বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -3 !! Part- 29

আবির কিছু বলে না চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে,,,নিরব বাইকে উঠার পর তিথি তার পিছনে উঠে চলে যায়,,তিথি ভয়ে শেষ এই ভেবে যে অফিসে তার সাথে কি হবে,,,আবির যে পরিমাণ রেগে আছে আজ তো তিথি শেষ,,,
আবিরের রাগটা যেন মুহূর্তে বেরে যায় তিথির সাথে অন্য কাউকে,,,কেউ সহ্য করতে পারবে না তার ভালোবাসার মানুষ এর সাথে অন্য কাউকে,,,ভালোবাসা এমন একটা জিনিস যা আপনজনের সাথে অন্য কাউকে দেখলে নিজের উপর প্রচুর রাগ হয় কি করবে না করবে নিজে ও জানে না,,,
আবির রাগে এতো জোরে ড্রাইভ করর যে বলার বাহিরে,য্যাজ যে তিথির কপালে কি আছে কে জানে,,,
তিথি বাইক থেকে নেমে অফিসে যেতে লাগে তখন নিরব ডাক দেয়
নিরবঃ তিথি
তিথিঃ জ্বি
নিরবঃ আজ একটু তাড়াতাড়ি আসবে প্লিজ
তিথিঃ কেন?
নিরবঃ আসলে তোমার জন্য কিছু গহনা নিতে হবে আর আম্মু বলেছে এই টা তোমাকে পছন্দ করে নিতে,, সো যদি আজ একটু
তিথিঃ আমি সিউর না,,কিন্তু চেস্টা করবো তাড়াতাড়ি আসার
নিরবঃ ধন্যবাদ,,,
তিথি হালকা হেসে অফিসের ভিতরে চলে যায়,,,,ভয়ে তো তিথি শেষ এই ভেবে যে আবির তার কি অবস্থা করবে,,,,কিছু টা স্বাভাবিক হয়ে নিজের কাজ করতে থাকে৷, কিছু ক্ষন পর আবির তিথির টেবিলের সামনে এসে বলে
আবিরঃ একটা কফি নিয়ে আমার কেবিনে আসো
তিথি ঢোক গিলতে থাকে,,,,আবির বলেই চলে যায়,,,তিথি কফি বানাচ্ছে আর নিজে নিজে বকবক করছে
তিথিঃ আল্লাহ জানে আমার কি করবে ওই বিপজ্জনক রাক্ষস টা,, আমার তো ইচ্ছে করছে এই কফি তে থাকে ডুবিয়ে গিলে ফেলি,,আজকে অসহায় পিচ্ছি বলে ওই বজ্জাত এনাকন্ডা আমার উপর খাকি অত্যাচার করে,,,,তারে আমি ব্যাঙের সুফ বানিয়ে কাঁচা মরিচ দিয়ে খাবো হু
পাশে একটা পিয়ন বলে
পিয়নঃ ওহ আল্লাহ এই মেয়ে এতো খবিশ কেন?কি সব বলে ছি
তিথি রেগে পিয়ন এর সামনে এসে বলে
তিথিঃ আমি খবিশ নাকি তোর চৌদ্দ গুষ্টি খবিশ বেটা শ্যাওড়াপাড়ার পেত্নীর জামাই
পিয়নঃ সরি ম্যাম
তিথিঃ হু
তিথি কফি টা নিয়ে আবিরের কেবিনের সামনে দাঁড়িয়ে দোয়া পড়ে,,,বুকে কয়েকটা ফুঁ দিয়ে অনেক সাহস করে ভিতরে যায়,,,ভিতরে গিয়ে দেখে আবির নাই,,,তিথি হাফ ছেড়ে একটা নিশ্বাস ফেলে টেবিলে কফি রাখে,,,
তিথিঃ উফফ বাঁচা গেলো বজ্জাত এনাকন্ডা টা নাই,,,না হলে আজ কি যে হতো,, ভাগ তিথি ভাগ সময় থাকতে ভাগ এখান থেকে,,, এই টা একটা শয়তান এর কেবিন যদি সামনে পায় তাহলে কাঁচা গিলে খাবে,,,,
আবির পিছনে দাঁড়িয়ে সব শুনে,,,কেবিনের দরজা টা লাগিয়ে পকেটে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,,,,তিথি পিছনে ফিরে ঢোক গিলে আবিরকে দেখে,,,,আবির অনেক টা রেগে তিথির দিকে তাকিয়ে আছে
তিথিঃ(রাক্ষসের নাম নিলাম মাত্র আর রাক্ষসটা হাজির উফফ)
আবির তিথির দিকে এগিয়ে আসে,তিথি পিছনে যেতে লাগে আর আবির তিথির দিকে,,,
তিথিঃ আ,,,মার কা,,জ আছে প্লি,,,,,প্লিজ আমাকে যেতে দিন,,,(আমতা আমতা করে)
আবিরঃ হুম
তিথি যেতে লাগেই আবির তিথির হাতটা ধরে নিজের দিকে টান দেয় আর তিথির হিজাব এর পিক গুলো খুলে ফেলে,,,
তিথিঃ কি করছেন কি প্লিজ
আবিরঃ,,,,,,,,!

আবির তিথির কথায় উত্তর দিচ্ছে না,,,তিথির চুলের ক্লিফ টা খুলে ফেলে,,চুল গুলো হাত দিতে আলতো করে যত্নে ধরে,,,,তিথি অনেক টা ঘাবড়ে যায় আবিরের কান্ডতে,,,,, আবিরের চোখে কেন জানি একটু ও রাগ নাই,,,,এক নেশা যেন কাজ করছে আবিরের চোখে,,,আবির তিথির চুল গুলো ঘাড় থেকে সরিয়ে দেখে কাল রাতে যেখানে কামড় দিয়েছে সেখানে দাগ হয়ে আছে,,,,,আবির তিথি কোমড় টা একটু চেপে ধরে নিজের কাছে আরো টেনে নেয়,,,আবিরের গরম নিশ্বাস যেন তিথির ঘাড়ে পড়ছে,,,,তিথির বুকে যেন কেউ হাতুড়ি দিয়ে ধুপধাপ করে বারি দিচ্ছে,,,,হার্ট বিট টা যেন প্রচুর বেরে যায়,,,,তিথি আবিরের দিকে তাকিয়ে দেখে আবির চুপ করে শুধু তাকিয়ে আছে ঘাড়ের সে কামড়ের দাগে,,,,,
আবিরঃ অনেক ব্যাথা করছে তাই না?
আবিরের এমন কথায় তিথি কিছুটা অবাক হলো ভাবলো হয়তো আবির তার ভুল বুজতে পেরেছে,,,,একটু শান্ত গলায় বলে
আবিরঃ দাগ টা কিছু টা কমে গেছে কাল থেকে
তিথি চমকে উঠে
তিথিঃ মানে?
আবির কিছু বলে না আর,,,,তিথির চুল গুলো আলতো করে সরিয়ে তিথির গালে নিজের গাল রাখে,,,,,আবিরের শার্ট আকড়ে ধরে আছে তিথি,,,,আবির আবার অই জায়গায় কামড় দেয় যেখানে প্রথমে দিয়েছে,,,এই বার একটু জোরে দেই,,,,ব্যাথা তো তিথি কেঁদে দেয়,,,,চিৎকার ও করতে পারছে না মুখ চেপে ধরে আছে যে আবির এক হাত দিয়ে,,,,আবিরকে অনেক সরানোর চেস্টা করছে কিন্তু আবির সরছেই না,, আরো শক্ত করে কামড় দেয়,,,,জোরে কামড় দেওয়ার পর তিথির দিকে তাকিয়ে দেখে চোখের পানি পড়ছে,,,,,তিথির মুখ থেকে হাত সরিয়ে নেয়,,,,,তিথি কিছু বলতে যাবে তিথির ঠোঁটে ডুবে যায় আবির,,
কিছু ক্ষন পর আবিরকে ধাক্কা দেয় তিথি,,,,আর কেঁদে দেয়,,,আবির তিথি চোখের পানি মুছে কিছু বলতে যাবে তিথি আবিরকে আবার ধাক্কা দেয়,,,,
তিথিঃ দূরে থাকুন আপনি,,,,আপনি কি মানুষ নাকি অন্য কিছু
আবিরঃ তুমি কি যেন ডাকো আমায় ওহ হ্যাঁ বিপজ্জনক রাক্ষস তাই তো??হুম আমি প্রত্যেক বার রাক্ষস হবো যদি তোমার আশে পাশে আর ওই ছেলেকে দেখি,,,,প্রত্যেক বার অই জায়গায় কামড় দিবো যে জায়গায় আজ আবার দিলাম,,,,
তিথি কিছু বলতে যাবে আবির তিথির ঠোঁটে আঙুল দিয়ে আলতো করে ছুঁয়ে বলে
আবিরঃ নেক্সট টাইম যদি অই ছেলেকে তোমার পাশে দেখি তাহলে ঘাড়ের এক পাশে না দুই পাশে দাগ হবে,,,,,
তিথিঃ কেন করছেন এমন কেন?
আবিরঃ তুমি কেন করছো?তুমি ভালোবাসো আমাকে আর বিয়ে অন্য কাউকে বাহা তিথি
তিথিঃ কে বলেছে আমি আপনাকে ভালোবাসি?বাসি না আমি আপনাকে ভালো বুজলেন আপনি
আবির তিথির গালে আলতো করে চুমু দিয়ে বলে
আবিরঃ পুরো পুরি মিথ্যা বলা শিখে আমার সামনে বলতে আসিও,,,যাও ফ্রেশ হয়ে আসো
আবির উঠে কেবিনের দরজার হুক করে টেবিলে বসে,,,তিথির একটা কথার পর্যন্ত আবির পাত্তা দেয় না,,,তিথি কিছু বললে আবির ইগনোর করে,,,তিথি উঠে বাহিরে যেতে লাগে আবির বলে
আবিরঃ এই ভাবে বাহিরে গেলে অনেকে অনেক কিছু ভাববে কারণ তোমাকে দেখার মত এখন
তিথিঃ মানে?
আবিরঃ মানে ম্যাডাম আপনার ঘাড়ে কামড়ের দাগ হিজাব খুলা ঠোঁট ফুলা,,,আর কিছু কি বলতে হবে,,,
তিথি রাগী চেহারায় তাকায়,,,
আবিরঃ রাগ না দেখিয়ে যাও ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে হিজাব পড়ে আসো
তিথি উঠে ওয়াশরুমে গিয়ে আয়নায় দেখে ঘাড়ে এতো টা দাগ হয়ে যায় যে মনে হচ্ছে এখন রক্ত পড়বে,,,ব্যাথায় ঘাড়ে হাত পর্যন্ত দেওয়া যাচ্ছে না,,,কান্না করে দেয় তিথি
তিথিঃ কেন এমন করছে কেন?আই জাস্ট হেট ইউ হেট ইউ মিস্টার আবির রহমান জাস্ট হেট ইউ
কিছু ক্ষন চোখের পানি ফেলে উঠে মুখ ধুয়ে হিজাব টা বেঁধে নেয়,,ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে দেখে আবির একটা ফাইল নিয়ে তিথির সামনে আসে
আবিরঃ এক ঘন্টার মধ্যে এই ফাইল চেক করে দাও
তিথি কিছু না বলে ফাইল টা নিয়ে যায়,,,,কিছু ক্ষন পর আবির তিথির টেবিলের সামনে যায় দেখে তিথি কাজ করছে পাশে ফোনের রিং বেজেই যাচ্ছে,,,মামানির নাম্বার দেখে আবির নিজেই রিসিব করে নেয়,
আবিরঃ আসসালামু আলাইকুম মামানি
মামানিঃ আরে আবির তুমি?
আবিরঃ জ্বি তিথি কাজ করছে তো তাই,,,
তিথি আবিরের দিকে কিছু বলতে যাবে আবার চুপ হয়ে যায় কি বলবে তা ভেবে,,,
মামানিঃ আবির আজ কিছু গহনা নেওয়ার জন্য শপিং মলে যেতে হবে যদি তিথিকে আজ তাড়াতাড়ি ছুটি দিয়ে দাও তাহলে অনেক ভালো হবে,, ওর বিয়ের গহনা যদি সে নিজে পছন্দ করে তাহলে খুব ভালো হয় আর কি,,,,
আবিরঃ ওকে মামানি আমি নিজে তিথিকে শপিং মলে নিয়ে যাচ্ছি
তিথি আবিরের কথায় আবিরের দিকে তাকায়,,
মামানিঃ তাহলে তো ভালোই,,,আচ্ছা তোমরা তাহলে আসো আমরা ও তাহলে বের হই
আবির ফোন টা দিয়ে বলে
আবিরঃ চলো
তিথিঃ আমি একা যেতে পারবো
আবিরঃ তোমাকে কিছু বলতে বলি নাই আমি বলেছি চলতে এতো বেশি কেন বুজো হুম
তিথি আর কিছু বলে না সে জানে কিছু বললে ও বেকার,,আবির যে ঘাড়ত্যাড়া ছেলে এখন কিছু বললে হয়তো তাকে অনেক কিছু বলে চুপ করে দিবে,,,
তিথি আর আবির গাড়ির সামনে যায়,,,,তিথি ভয়ে পিছনে বসে আবির রেগে বলে
আবিরঃ আমাকে কি তোমার ড্রাইভ পেয়েছো নাকি পিছনে কেন বসলে?
তিথিঃ আ,,,আসলে সামনে বসলে কে,,কেমন জানি লাগে তাই,,
আবিরঃ বাহানা না করে চুপচাপ সামনে এসে বসো না হলে কোলে করে সামনে আনবো
তিথি বিরক্তি ভাব নিয়ে সামনে এসে বসে,,,

আবিরঃ সিট বেল্ট লাগাও
তিথি সিট বেল্ট লাগাতে পারছে না আবির তিথির দিকে তাকিয়ে দেখে ফেসটা বানিয়ে ফেলে,,,আবির সিট বেল্টটা লাগিয়ে দেয়,,,,তিথি মুখটা অন্য দিকে ফিরিয়ে ফেলে,,আবির তিথির মুখটা টেনে নিয়ে কিস করে দেয়
তিথিঃ(উফফ যখন তখন খালি অসহ্য)
আবিরঃ মিস বকবক তোমাকে কিস করা,,অত্যাচার করা সব কিছুর অধিকার শুধু আমার ওকে,,সো এতো ভাবিও না
তিথিঃ আমি কি ভাবছি আজিব?
আবিরঃ হুম
আবির আর তিথিকে কিছু বলে না,,তারা কিছু ক্ষন পর একটা শপিং মলে আসে,,এখনও কেউ আসে নাই আবির তিথিকে একটা জুয়েলারি দোকানে গিয়ে বসে,,,আবিরের নজর পড়ে একটা সিম্পল হারের উপর,,,,খুব সুন্দর দেখতে,,,
সবাই এসে পড়ে,,,,নিরব আবিরকে দেখে কিছু টা অবাক হয়,,,কিন্তু কিছু বলে না,,,আবির নিরবকে দেখে মুখটা মলিন করে ফেলে তার একদম পছন্দ না নিরব,,,নিরব এসে তিথির পাশে বসে তিহি আবিরের দিকে তাকায় আবির চোখ রাগিয়ে ইশারা করে সরে যেতে,,,তিথি চুপচাপ উঠে পড়ে আর মামানির কাছে গিয়ে দাঁড়ায় ব্যাপারটা নিরবের কাছে মোটে ও ভালো না লাগলে ও আবিরের কাছে তা অনেক ভালো লাগে,,,,
সবাই গহনা পছন্দ করতে ব্যস আর আবির তিথিকে দেখতে,,,,তিথিকে একটা বড় গলার নেকলেস পড়ায়
তিথিঃ আহা মামানি লাগছে(ঘাড়ে হাত দিয়ে)
আবির তিথির দিকে তাকিয়ে দেখে ঘাড়ে হাত রেখে আছে,,আবির বুজতে পারে যে ঘাড়ে কামড় দেওয়ায় আবার অই জায়গায় তাই ব্যাথা পাচ্ছে,,,, নিরব তিথিকে গলার নেকলেস পড়াতে আসার আগে আবির এসে আস্তে করে পড়ায়,,নিরব অই খানে দাঁড়িয়ে যায়,,তিথি কিছু বলে না,,,,
আবিরঃ এখন ব্যাথা লাগছে?
তিথিঃ না
নিরবের কেন জানি প্রচুর রাগ উঠে,,,আবির কেন তিথিকে নেকলেস পড়াই দিয়েছে আর তুথি কিছু বলে নাই,,সব কিছুতে নিরব কিছু টা রেগে যায়,,,,বিয়ের জন্য গহনা নেওয়ার পর বিয়ের ওড়না নেওয়ার জন্য একটা ফোকানে ডুকে,,,কয়েকটা ওড়না দেখায় প্রত্যেক টা তে আবির বলে সুন্দর না এই বলে রেখে দেয়,,,,নিরব একটা গোল্ডেন কালারের ওড়না নিয়ে বলে
নিরবঃ তিথিকে বেশ মানাবে এই টায়,,,পুরো বউ বউ লাগছে
তিথির মাথায় ওড়নাটা দিয়ে,,,আবিরের মেজাজ পুরো গরম হয়ে যায় তিথির মাথায় ওড়না দিয়ে ঘাড়ে হাত রাখায়,,,,,আবিরের কাছে একটা ওড়না অনেক বেশি ভালো লাগে,,,,লাল কালারের,,,ওড়না নিয়ে এসে তিথির মাথার থেকে গোল্ডেন ওড়না টা সরিয়ে লাল্টা পড়িয়ে দিয়ে বলে
আবিরঃ বউদের লাল কালার বেশ লাগে,,আর তিথিকে লাল কালারে অনেক বেশি সুন্দর লাগে,,,ওড়না এখন অনেক বেশি সুন্দর হয়ে গেছে কারণ সে তিথির মাথায়,, কথা গুলো আবির তিথির দিকে তাকিয়ে বলে৷ নিরব রাগে শুধু তাকিয়ে আছে,,,আবির তিথিকে আয়নার সামনে নিয়ে দাঁড় করিয়ে বলে
আবিরঃ আজ পরী ও হার মানবে আমার তোতাপাখির কাছে,,,,

নিরব তিথির কাছে এসে বলে
নিরবঃ তিথি তোমার যেটা পছন্দ তা নাও কারো পছন্দ মত নেওয়ার দরকার নাই,,,
আবির মুচকি হেসে তিথির দিকে তাকায় তিথি মামানির কাছে আবিরের পছন্দ করা ওড়না দিয়ে বলে
তিথিঃ মামানি এইটা পছন্দ আমার,,
নিরব বেশ অবাক হয়,,তার পছন্দ তিথি পছন্দ করে নাই কিন্তু আবিরের পছন্দটা সে পছন্দ করে,, নিরবের একদম ভালো লাগে না আবিরকে,,,,তিথির জন্য অনেক কিছু কিনে কিন্তু আবিরের পছন্দ মত,,, নিরবের একটা পছন্দ মত কিছু কিনা হয় নাই,,এই সব নিরবের মাথায় ঘুরে বস হয়ে কেন সে এমন করছে,, আবির নিরবে এক ও,,,জদম তিথির পাশে পর্যন্ত আসতে দিচ্ছে না,,,
তিথি বারবার শুধু আবিরের দিকে তাকায় আবির কি করছে কি বলছে সব কিছু,, নিরবের দিকে তাকানো তো দূরে থাক তার মনে ও হচ্ছে না নিরব আছে তার পাশে কারণ ছায়া হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আবির,,,ওই যে হিংসা ভালোবাসার মানুষের কাছে অন্য কাউকে দেখা সেম,,,,,,,,,
চলবে,,,,,,