বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -4 !! Part- 49

আবিরঃ বাহা আজ আমার বউকে দেখি পুরো পরী লাগছে,,এতো সুন্দর লাগছে যে আমার বউকে যে আমি আজ পুরো ক্রাশিত আমার বউয়ের উপর,,
তিথিঃ হেএ ভুঁতের মুখে রাম রাম,,,
আবিরঃ মানে?
তিথিঃ না মানে আপনি আর ক্রাশ খাইলেন আমার উপর তাই ভাবি আর কি,,,,
আবিরঃ সত্যি আজ অসাধারণ লাগছে তোমাকে,,,
তিথিঃ শুকরিয়া,,,আপনাকে ও অনেক হ্যান্ডসাম লাগছে,,,
আবিরঃ হুম,,,
তিথিঃ আচ্ছা শুনেন,,,
আবিরঃ কি?
তিথিঃ আজ কিন্তু সব মেয়েদের থেকে দূরে থাকবেন হুম,,,,
আবিরঃ কেন?
তিথিঃ না আজ আপনাকে এতো হ্যান্ডসাম লাগছে যে কখন আবার কোন শাঁতচুন্নির নজর পরে যায় বিশ্বাস নাই হু,,,
আবির হেসে উঠে তিথির এমন কথায়,,,
তিথিঃ আর শুনেন অই ডাইনি শাঁতচুন্নি পেত্নি ডাইরিয়া উরফ মায়রা কায়রা ছায়রা থেকে দূরে থাকবেন হুম,,,
আবিরঃ ওকে ম্যাম,,,আচ্ছা এখন কি কিছু পিক তুলতে পারি আপনার সাথে ম্যাম,,
তিথিঃ জ্বি অবশ্যই (অনেক ভাব নিয়ে)
আবির তিথি অনেক গুলা কাফেল পিক তুলে একে সাথে তারপর সবাই এক সাথে,,
অনেক ক্ষন আবির তিথি এক সাথে ফাজলামি করার পর আবির চলে যায় মেহমানদারী করতে,,তিথু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কিছু মহিলাদের সাথে কথা বলছে,,
আবিরের মা তিথিকে ডাক দেয়,,,
আবিরের মাঃ এই তিথি,,,
তিথিঃ জ্বি মা
আবিরের মাঃ অইদিকে খেয়াল রাখো যে আরিশা তিশার কিছু লাগবে কিনা,,,আর কিছু কি খাইছিলে.
তিথিঃ না এখনও খাই নাই,,,
আবিরের মাঃ এখনও কেন খাও নাই হুম,,,তাড়াতাড়ি গিয়ে খেয়ে নাও,,
তিথিঃ আরিশা তিশার সাথে খাবো,,
আবিরের মাঃআচ্ছা তাহলে এখন যাও আর হ্যাঁ অল্প কিছু হলেও খেয়ে নাও,,,
তিথিঃ আচ্ছা ঠিক আছে,,আমি এখন যাই স্টেজে,,
তিথি চলে যায় স্টেজে গিয়েই সবার সাথে পিক তুলে ফাজলামি করে,,,
এইদিকে আবির ও ব্যস্ত হয়ে পরে আজ যে তার বোনের বিয়ে অনেক দায়িত্ব পরে তার উপর,,,,
এই দিকে কাজি সাহেব ও এসে যায়,,,আবিরের বাবা আর বাকিরা সবাই এক সাথে এক হয়,,,আবির আর তার সব ফ্রেন্ড এক সাথে দাঁড়ায়,
আমান তিশা,,আহাদ আরিশা ওদের অন্য স্টেজে আনা হয় যেখানে আহাদ আমান এক পাশে আর তিশা আরিশা অন্য পাশে,,তাদের মাঝে একটা লাল পাতলা ওড়না,,,
ছেলেরা সব আমান আহাদের পাশে দাঁড়ায় আর মেয়েরা দাঁড়ায় কনের পাশে,,,,
কাজি সাহেব বিয়ে পড়ানো শুরু করে,,প্রথমে আমান আর তিশার বিয়ে পড়ানো শুরু করে,,,
কাজি সাহবেঃ বলেন কবুল,,
আমানঃ কবুল কবুল কবুল,,,
আমান এক সাথে তিন বার বলে দেয়,আমানের সব ফ্রেন্ড হেসে উঠে,,,,
তারপর তিশাকে বলতে বলা হয়,,,তিশার হাত শক্ত করে ধরে আছে আরিশা,,আরিশা যেন তাকে সাহস দিচ্ছে,, তিশা যেন আরিশার মধ্যে একটা বোন ফ্রেন্ড সব খুজে পায়,,,মুচকি হেসে তারপর বলে
তিশাঃ কবুল,,
কাজি সাহেবঃ আবার বলেন,,,
তিশকঃ কবুল,,কবুল
সবাইঃ আলহামদুলিল্লাহ
আবির তিথির দিকে তাকিয়ে আছে আর তিথিও,,দুইজনের চোখে যেন কথা বলছে,,পুরানো সে দিন গুলো যেন আজ সামনে ভেসে উঠছে তাদের,,,
এইদিকে আবার কাজী সাহেব আরিশা আহাদের বিয়ে পড়ানো শুরু করে,,,
কাজি সাহেবঃ বলেন কবুল,,,
আহাদঃ কবুল,,,,(৩বার)
তারপর আরিশা বলে
আরিশাঃকবুল(৩বার)
সবাইঃ আলহামদুলিল্লাহ
সবার মুখে যেন এক রাশ খুশি এই বিয়ের কারনে,,,
,উকিল ও আসে,,কাজি সাহেব বিয়ে পড়ানোর পর উকিল বিয়ের রেজিস্ট্রেশনে দেয় তাদের তারা সাইন করে,,, আমান তিশা ইসলাম অনুযায়ী আইন অনুযায়ী আজ তারা স্বামী স্ত্রী,,,,এতো বছরের ভালোবাসা আজ নাম পেলো,,,
এইদিকে,,
আরিশা আহাদ ও আইন অনুযায়ী ইসলাম অনুযায়ী স্বামী স্ত্রী,,,আহাদের এতো বছরের অপেক্ষার ফল পায় আজ,,,আর আরিশা ও তার আসল ভালোবাসা পায়,,
মায়রা এসে আবিরের পাশে দাঁড়ায় যা দেখে তিথির প্রচুর পরিনাম রাগ উঠে,,,আবির খেয়াল করে যে তিথি রেগে যে একটু পাশ ফিরে তাকিয়ে দেখে মায়রা,,,
আবিরঃ(এই যা এই এলিয়েন এইজন্য রেগে আছে)
মায়রা আবিরের হাত ধরে বলে
মায়রাঃ হে আবির আমাকে কেমন লাগছে বললে না যে??
আবির ভাবতে থাকে কি বলবে যদি না বলে কিছু তাহলে তো ছাড়ছে ও না আটার মত লেগে থাকবে,,,তাই বলে উঠে
আবিরঃ সুন্দর এই লাগছে,,,
মায়রাঃ ওহ রেলি আবির থ্যাংকস,,,, জানো আমি তোমার জন্য শুধু শাড়ি পড়ছি,,,
আবিরঃ ওহ আচ্ছা,,,
মায়রাঃ এইসব কিছু আমি তোমার জন্য করেছি জানো পুরো ৪ ঘন্টা লাগিয়ে সেজেছি
আবিরঃ বাহা আরো কিছু সময় নিতে আরো দারুণ লাগতো (এতো মেকাপ আল্লাহ তুলে নাও)
মায়রাঃ ওহ আবির তুমি কত সুইট যে আমার এতো তারিফ করো,,
আবির খুব বিরক্তি ভাব নিয়ে অন্য দিকে ফিরে আছে,,নজর যায় তিথির দিকে ওমা সেকি তিথি এতো রেগে আবিরের দিকে তাকিয়ে আছে যে মনে হচ্ছে এখন আস্তা গিলে খাবে আবির তো একটু ঘাবড়ে যায় যে ভাবে আজ তো খবর আছে,,,,
এই দিকে নেহাল তো মায়রা থেকে চোখ এই সরাতে পারছে না,,চোখ যেন আটকে আছে মায়রার দিকে,,আকাশ মজা নিতে থাকে নেহালের,,,
আকাশঃ বাহা আজ তো তোর মায়রাকে পুরো পেত্নী লাগছে পুরো
মেঘঃ হাহা তাই তো সে রকম শাঁতচুন্নি
নেহাল রেগে বলে
নেহালঃ তোরা নাকি আমার হেল্প করবি?কই করলি তো না উল্টো কিনা বকবক করিস,,,,
আকাশঃ কি হেল্প করবো রে তোর মায়রা যে ভুঁতের মত সেজে আছে ভয়ে তো আমার জান যাচ্ছে এইভাবে যে তুই এই মেয়েকে কেমনে পছন্দ করলি উফফফ,,,
নেহালঃ চুপ থাক,,,
মেঘঃ দেখ আমার কাছে আইডি আছে একটা,৷
নেহালঃ কি বল৷
মেঘঃ তোদের দুইজন কে আমরা একটা রুমে আটকাই রাখবো,,দরজা খুলতে পারবি না সারারাত অই রুমে থাকবি,,,,
নেহালঃ সিরিয়াসলি???
আকাশঃ হ্যাঁ তাই তো,,,,
এইদিকে এরা প্লেন করছে আর একটা,,
অইদিকে বিয়ের কাজ পুরো সম্পন্ন হয়,,,
আমান তিশাকে এক সাথে বসানো হয়,,আর আরিশা আহাদকে এক সাথে,,,,
সবাই অনুষ্ঠানের মজা নেয়,,,সবাই এক সাথে ছবি তুলতে থাকে অনেক যে যার মত আজ মজা করছে,,
রাত অনেক হয়ে যায় অনুষ্ঠান শেষ হয়ে যায়,,
তিশা আরিশাকে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের রুমে,,,রুম টুকু অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়,,রাত অনেক হয়ে যাওয়াতে তারা ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পড়ে,,,
এইদিকে,,,
তিথি ফ্রেশ হয়ে বসে আছে আবিরের জন্য আবির এখনও রুমে আসে নাই,,,
তিথিঃ অই বজ্জাত টা কই এখনও কেন আসে নাই,,
এইদিকে,,,
আবির আকাশ মেঘের সাথে প্লেন করছে মায়রাকে কি কি করা যায়,,
আবিরঃ দেখ নেহাল মায়রার যা যা পছন্দ সব তো তোকে বললাম এখন এইসব কর তুই তারপর মায়রাকে প্রোপজ করে দে সরাসরি বিয়ের,,,এর মধ্যে আমি মায়রাকে এমন ভাবে ট্রিট করবো যে তার মন ভেঙ্গে যাবে আর সে ভাঙ্গা মন নিয়ে তোর কাছে যাবে,,তুই ও ওকে এমন ভাব আগলে নিবি যে তুই ওকে অনেক অনেক ভালোবাসি ওকে,,,
আকাশঃ আরে বাহা,,,

আবিরঃ সকাল থেকেই কাজে লেগে যাবি ওকে,,,
আকাশঃ আবির তুই রুমে যা তো,, আমরা ও যাই ঘুমিয়ে পড়ি অনেক তো রাত হলো,,,
আবির রুমে আসে এসে দেখে তিথি ঘুমিয়ে গেছে,,,আবিরের জন্য অপেক্ষা করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়ে সে খবর এই নাই,,,
আবির ফ্রেশ হয়ে নেয়,,,তারপর তিথির পাশে গিয়েই শুয়ে পড়ে তিথিকে বুকে নিয়ে,,,কাল সারারাত ঘুমাতে পারে নাই কিন্তু আজ যা শান্তি লাগছে তার যে তার বুকে আজ আবার তিথি,,,
সকালে,,,
আরিশা একটা মিষ্টি কালারের শাড়ি পড়ে,,চুল গুলা ভিজা চোখে ঘাড়ো করে কাজল দেয় বেশ সুন্দর এই লাগছে,,,আহাদ ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে এসে দেখে আরিশা রেডি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আহাদ যেন তার চোখ সরাতেই পারছে না আরিশা থেকে,
আরিশাঃ তোমার কি হলো তাড়াতাড়ি আসো নাস্তা করতে সবার সাথে,,,
আহাদঃ হু
আরিশাঃ কি হু তাড়াতাড়ি আসবে,,
আহাদ তার হাতের তাওয়ালটা রেখে আরিশাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে
আরিশাঃ এই কি করছো কি?
আহাদঃ আজ আমার মিষ্টি বউকে যে আরো মিষ্টি লাগছে এই সাজে,,,বিয়ের পরের দিন যে মেয়েদের এতো সুন্দর লাগে আজ বিশ্বাস করলাম,,,
আরিশাঃ হইছে,, ছাড়ো
আহাদঃ আজ যে ছাড়তে একদম ইচ্ছে করছে না,,,ইশ বউটা যে অপরুপ সুন্দর লাগছে আজ,,
আরিশাঃ প্লিজ ছাড়বা কি?এইসব ফাজলামি অফ করো তো,,,
আহাদঃ ম্যাডাম এখন আমরা বিবাহিত,,, তো আমি আমার বউকে যা ইচ্ছে করবো এতে কার কি হুম,,,
আরিশাঃ জ্বি জনাব বুজলাম এইবার প্লিজ ছাড়ুন
আহাদঃ না ছাড়ছি না,,
আহাদ আরিশার ঘাড়ে চুমু দিতে লাগে,,,আরিশা অনেক ছুটার চেস্টা করে কিন্তু পারছে না,,,
হঠাৎ দরজায় কড়া নাড়ে কেউ,,,
আরিশাঃ আহাদ ছাড়ো এইবার কেউ দরজায় নক করছে,,,
আহাদঃ উফফ শান্তিতে রোমাঞ্চ করতে দিচ্ছে না,,,
আরিশাঃ তোমার রোমাঞ্চের গুষ্ঠি কিল্লাই এখন ছাড়বা কি,,,
দরজায় আবার নক পড়ায় আহাদ ছেড়ে দেয়,,,দরজা খুলে দেখে খালামনি ডাকতে এসেছে নাস্তার জন্য,,,
খালামনি; এতো দেরি কেন দরজা খুলতে হুম,,,
আহাদঃভেবেছিলাম একটু দেরি করবো কই আর করতে দিলে খালামিনি,,,
খালামনিঃ ও তাই নাই,,তো নতুন জামাই কাল আপনারা দেরি করে উঠলে ও কেউ কিছু বলবে না,,,(ফাজলামি মুড নিয়ে)
আহাদ হেসে দেয় আরিশা এই শুনেই লজ্জা পেয়ে যায় আর বের হয়ে যায় রুম থেকে,,,
এই দিকে,,,

তিশা আজ হালকা গোলাপি শাড়ি পড়ে,,সেজে গুজে রেডি দেখে আমান এখনও ঘুম,,,ফাজলামি করে বিছানায় গিয়ে তার ভিজা চুল ধরে আমানের মুখে চুলের পানি ছিটিয়ে দেয়,,,তিশা হেসে উঠে যখন আমান একটু নড়ে উঠে,,আবার চুলের পানি মেরে উঠে যেতে লাগে আমান তিশার হাতটি ধরে নিজের বুকে টেনে নেয়,,,ভিজা চুল গুলো তার মুখে এসে পড়ে আলকা করে সরিয়ে দিয়ে বলে
আমানঃ বাহা আমার বউ তো অনেক সুন্দর করে ঘুম থেকে তুলতে পারে,,,,
তিশাঃ এই ফাজলামি করবে না ওকে,,
আমানঃ এখনও কই শুরু করলাম যে এখন অফ হয়ে যাবো হুম,,,
তিশাঃ হুম হইছে,,, তাড়াতাড়ি উঠে ফ্রেশ হয়ে নাও,,
আমানঃ এখন ছাড়লে ও আজ রাতে নয়,,,
তিশা লজ্জা পায় আমানের এমন কথায়,,,লজ্জা মাখা মুখ নিয়ে চলে যায় নিচে,,,কিছু ক্ষনে আমান ও ফ্রেশ হয়ে নিচে নামে,,,সবাই এক সাথে নাস্তা করতে বসে কিন্তু আবির আর তিথি ছাড়া,,,মায়রা অনেক ক্ষন ধরে আবিরকে খুজছে কিন্তু সে ও পায় নাই আবিরকে,,
আমানের মাঃ এই আবির আর তিথি কই গেলো?
আকাশঃ আন্টি মনে হয় বউয়ের সাথে রোমাঞ্চ করছে,,,
আকাশের এমন কথা শুনে সবাই হেসে দেয়,,আমানের পাশে বসাতে আমান একটা পায়ের উপর একটা লাথি দিয়ে আসতে করে বলে
আমানঃ তোর কি আক্কেল জ্ঞান নাই,,বড়রা বসে আছে আর তাদের সামনে কি সব বলিস হ্যাঁ?
আকাশঃ আরে আমি তো অই পেত্নীকে শুনাই বলছিলাম,,,
আমানঃ তা ওর কানের কাছে গিয়ে বলতি বড়দের সামনে কেন বেকুব,,,
আকাশঃ সরি সরি,,,
মায়রা খুবই বিরক্তি ভাব নিয়ে নাস্তা না করেই উঠে যায়,,,
আবিরের মাঃ সেকি মায়রা তুমি না খেয়ে উঠে গেলে যে?
মায়রাঃ আন্টি ক্ষিধে নাই,,,
মায়রা এই বলেই চলে যায়,,,সবাই নাস্তা করছে আর গল্প করছে,,,
এই দিকে মায়রা গিয়ে আবিরের রুমের দরজাটা হালকা খুলে দেখে আবিরের বুকে তিথি ঘুমাচ্ছে আর আবিরও তিথিকে অনেক টা শক্ত করে ধরে ঘুম,,,এই দেখে মায়রার পায়ের রক্ত মাথায় উঠে যায়,,,রাগ যেন অনেক গুন বেড়ে যায়,,,
নিজের রুমে গিয়ে কাঁদতে থাকে আর নিজের হাত কাটতে থাকে,,হাত থেকে রক্ত পড়ছে প্রচুর আর নিজেকে নিজেই বলছে
মায়রাঃ আমি তোমাকে সংসার করতে দিবো না তিথি আমার আবিরের সাথে,,,,আবির তুমি শুধু আমার শুধু আমার,,,অই তিথিকে মরতে হবে,,,তিথি যতদিন বেঁচে থাকবে আমার পথের কাটা হয়ে থাকবে,,তার মৃত্যু হবে আমার জন্য পথ তোমার মনে যাওয়ার,,একবার তিথি মরে গেলে তুমি আমাকে বিয়ে করবে তারপর আমরা সুখে সংসার করবো,,,
এক ভয়ানক রুপ তার সে ভয়ানক হাসি,,,মায়রা নিজের কাছে নিজেই প্রমেস করে যে তিথিকে মরতেই হবে,,,
এইদিকে,,,
তিথির ঘুম ভাঙ্গে চোখ খুলেই দেখে আবির তার দিকে তাকিয়ে আছে ড্যাবড্যাবিয়ে,,,
তিথিঃ সে আপনি কখন উঠলেন,,,,
আবিরঃ অনেক ক্ষন হইছে,,,
তিথিঃ আচ্ছা উঠেন ফ্রেশ হয়ে নিচে যেতে হবে,,,
আবিরঃ আজ তো যেতে দিচ্ছি না আমি,,
তিথিঃ মানে কি হুম,,,
আবিরঃ পরশু যা করলে তারপর কাল দেখা ও দিলে না এর পর ভাবলা কিভাবে ছেড়ে দিবো হুম আজ তো ছাড়ছি না,,,,
তিথিঃ আমি কি করছি হুম,,,
আবিরঃ অই যে আমাদের পার্টি নষ্ট করে আবার দাদিমাকে মিথ্যা বললে যে সব কিছু আমি করছি এই সেই,,,
তিথিঃ আ,,,মি মাসুম মেয়ে সত্যি কিছু জানি না,,
আবিরঃ বাহা এখন মাসুম মেয়ে,,,
তিথি কিছু বলতে যাবে আবির তিথির ঠোঁটে জোর করে কিস করে বসে তিথি পুরো থ,,অনেক ক্ষন পর আবির তার ঠোঁট দুটি ছেড়ে গালে অনেক জোরে কামড় বসিয়ে দেয়,,,
তিথিঃ আপনি কি রাক্ষস হ্যাঁ??????
আবিরঃ যা ভাবো এইটা তো কিছু না জাস্ট একটু শাস্তি রুপে৷, বাকি শাস্তি রাতে পাবা,,,
তিথিঃ মানে????

আবিরঃ কিছু না যাও ফ্রেশ হয়ে নাও
তিথি আবিরকে ভেঙ্গচি দিয়ে উঠে যায় ফ্রেশ হয়ে নেয়,,,ফ্রেশ হয়ে আসার পর যে আয়না দেখবে সে সুযোগ তার আর হলো না কারণ আবির সে তাড়া করলো তিথিকে,,,
নিচে যাওয়ার পর দেখে বাড়িতে মেহমান ভরতি,,,অনেক বেলা হয়ে গেছে সবাই যার যার কাজে ব্যস্ত,,,তিথিকে দেখে তিশা আরিশা আর বাকি মেয়েরা ও মুচকি হাসতে লাগে,,আমান আর আহাদ আকাশ ওরা দেখে তো আরো বেশি,,,সবার এমন হাসির কারন না বুজে তাদের পাশে গিয়ে বসে জিজ্ঞেস করে
তিথিঃ কি ব্যাপার সবাই এতো হাসছো যে?কিছু কি হয়েছে হুম?আমাকে ও বলো আমিও হাসি,,
মায়রা নিচে নেমে আসে,,নিচে এসে দেখে তিথি সবার মাঝে বসে আছে কিন্তু আবির নাই,,,
আরিশাঃ ভাবি তোমার গালে দাগ,,
তিথিঃ কিসের দাগ.???
আবিরের মামাতো এক ভাবি লাগে সে বলে উঠে
ভাবিঃ আর কিসের তোমার জামাইয়ের আদরের দাগ,,
এই বলেই সবাই হেসে দেয়,,,কথাটা শুনে মায়রা তিথির গালে খেয়াল করে দেখে কামড়ের দাগ,,দাগটা দেখে যেন তার রাগ আরো বেড়ে যায় তিথির উপরে,,,অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তিথির দিকে মনে হচ্ছে এখনই গিলে খাবে,,
তিথি গালে হাত দিয়ে বলে
তিথিঃ মা,,,নে,,,
আবির ও ততক্ষনে নিচে এসে যায়,,,নিচে এসে দেখে সবাই জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছে,,,
আবিরঃ আমাকে ছাড়াই এখানে দেখি জমিয়ে আড্ডা দেওয়া হচ্ছে,,,
আকাশঃ না ভাই তোকে ছাড়া মা কারণ তোকে নিয়েই আড্ডা দেওয়া হচ্ছে
আকাশ আর বাকি সবাই হেসে উঠে তিথি প্রচুর পরিমাণ লজ্জা পায় এতে,,,,
তিথি আবিরের দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আবির তিথির গালে খেয়াল করে হেসে উঠে পরে আবার সবার দিকে তাকিয়ে দেখে তারা ও হাসছ এইবার বুজছে সবাই কেন হাসছে,,,
তিথি অইখান থেকে উঠে চলে যায়,,,
আর কারো সামনে সহজে আসে নাই,,,
বিকাল হয়ে যায়,,,ফুলের দোকান থেকে লোক এসে আমান আহাদের দুইজনের রুম সুন্দর করে সাজিয়ে দেয়,,আজ যে তাদের চার জনের বাসর রাত,,,পুরো রুম এতো সুন্দর করে সাজায় যে দেখার মত,,,
আমানের পাশে আকাশ মেঘ আবির আরো বাকিরা বসে আছে,,,আকাশ তো আমানকে ধাক্কা দিয়ে বলে
আকাশঃ আজ আমাদের আমান কত খুশি তাই না আবির,,,
আবিরঃ হ্যাঁ কিন্তু কেন?
মেঘঃ আরে বুজিস না আজ যে তার বাসর রাত,,
আমানঃ এক লাথি মারবো যে উড়ে যাবি চুপ থাক তোরা,,
আকাশঃ এই আবির তোর বাসর রাতের কাহিনী বল আমাদের আমানের টা না হয় কাল শুনবো,,,
আবির তার বাসর রাতের কথা কিভাবে ভুলে,,অইদিন তিথি যে থাপ্পড় টা মা তাকে মেরেছে,,অইদিন ভুল গুলো যে জেনে নিজের কাছে নজর মিলাতে পারে নাই,
আবিরঃ চুপ থাক,,
এরা সবাই এখানে আড্ডা দিচ্ছে,,
অইদিকে,,
আরিশা আর তিশা একটা নীল বেনারসি শাড়ি পড়ে,,,তারা দুইজন আর তিথি দাদিমার রুমে,,দাদিমা হাতের বালা বের করে প্রথমে আরিশাকে পড়িয়ে বলে
দাদিমাঃ তোর দাদু আমাকে গিফট করেছিলো বিয়ের পর,,, বিয়ের কয়েক মাস তো সে আমাকে অনেক গিফট করেছে কিন্তু কিছু কিছু গিফট আমি অনেক যত্নে রেখে দিয়েছি তোদের জন্য,,,,
আরিশাঃ এতো দিন যে দিলে না?
দাদিমাঃ নতুন জীবনে পা দিচ্ছিস তাই আজ দিলাম,,,
দাদিমা তিশাকে ও পড়িয়ে বলে
দাদিমাঃ আমান আমার কাছে আমার আবিরের মত,, ছোট থেকেই তাকে অনেক আদর করতাম তার বউয়ের জন্য আমি এই চুড়ি গুলো রেখেছি আজ তা তার বউকে যে পড়িয়ে দিচ্ছি ভেবেই কত আনন্দ লাগছে,,,আজ তোদের নতুন জীবন শুরু
তিথি দাদিমার এমন ভালোবাসা দেখে মুগ্ধ,,,
দাদিমা এসে বলে
দাদিমাঃ এই তিথি হাত বাড়িয়ে দাও তো
তিথিঃ আমি কেন?
দাদিমা তিথির হাত টেনে তাকে ও চুড়ি পড়িয়ে দেয়,,
তিথিঃ আজ তো আমার বাসর রাত না দাদিমা,,ওদের বাসর ওদের দিলে বুজলাম আমাকে কেন দিলে হুম,,
সবাই হেসে দেয়,,,
দাদিমাঃ আমার নাতবউয়ের জন্য যে রেখেছি তা তা দিবো না,,,
তিথিঃ দাদিমা আমার কিন্তু আর একটা গিফট চাই,,
দাদিমাঃ কি?
তিথিঃ তোমার বাসর রাতের কাহিনী বলে,,,
তিথির এমন কথায় তিশা আর আরিশা লজ্জা পেয়ে যায়,,,
দাদিমাঃ কি বলে মেয়ে,,,
তিথিঃ আমার তো আর বাসর হলো না তোমাদের টা শুনে না হয় মনটা একটু ভালো করতাম,,
এই কথা শুনেই দাদিমা বলে উঠে
দাদিমাঃ কিই তোদের বাসর হয় নাই মানে?
তিথি কথা ঘুরিয়ে বলে
তিথিঃ আরে দাদিমা মানে ফুলসজ্জা হইছে হিহি,,আচ্ছা এখন কাহিনী কি বলবা???
দাদিমাঃ তোদের দাদু অনেক রোমান্টিক ছিলো,,,ফুল নিয়ে আসছে অইদিন,,লাল বেনারসি শাড়ি পড়ে বসে ছিলাম আমি,,
দাদিমা কাহিনী বলছে আর তিথি তো এতো আগ্রহ দিয়ে শুনছে মনে হচ্ছে সে কল্পনায় চলে গেছে আবিরের সাথে,,,আর আরিশা তিশা ও শুনতে লাগে,,,
দাদিমা প্রচুর পরিমাণ লজ্জা পাচ্ছে আর কাহিনী বলছে,,,চোখের কোণায় পানি এসে যায়,,চোখ মুছে বলে
দাদিমাঃ অনেক ভালোবাসতেন আমাকে,,,কখনো কষ্ট পেতে দেয় নাই,,ঝগড়া কখনো করতো না হ্যাঁ আমাকে রাগাতে মাঝে মধ্যে করতো কিন্তু উনার মত আর কেউ হয় না,,,উনার সাথে কাটানো দিন গুলো আমার কাছে অনেক মূল্য বান,,
তিথিঃ দাদু যদি এতো রোমান্টিক হতো তাহলে তোমার একটা ছেলে না হয়ে ডজন ডজন হতো হুম,,,
এই কথা শুনে তো আরিশা তিশার মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ছে,,তিথি যে এইভাবে বলবে কেউ ভাবে নাই,,দাদিমা হেসে উঠে
দাদিমাঃ আমার তো একটা ছেলে তুমি মা হয় ডজন নিও,,
তিথিঃ আরে দাদিমা তা কি বলতে হয় আমি তো পুরো ক্রিকেট ফুটবল দুইটা টিম করবো হুম,,একবার বাসর টা হতে দাও,,
তিশা আরিশাকে বলে
তিশাঃ এই তিথির কি একটু লজ্জা শরম বলতে কিছু নাই,,,দাদিমার সামনে কিসব বলছে,,,
আরিশাঃ হ্যাঁ আমরা লজ্জায় শেষ আর ভাবি কিনা আল্লাহ পুরো এলিয়েন আমার ভাইয়ের বউটা,,,
দাদিমা প্রচুর হেসে উঠে,,,
আবির অনেক ক্ষন ধরে দাঁড়িয়ে আছে দরজার কাছে সব কিছু শুনেই নিজে হাসতে হাসতে শেষ ভাবতে থাকে এমন এলিয়েন বউ জুটেছে যে কোথায় কি বলবে সে জ্ঞানটা পর্যন্ত এখনও হয় নাই,,,
চলবে,,,,,