বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -4 !! Part- 44

তিথির রুপ যেন দিনের পর দিন সুন্দর এই হচ্ছে,,,বিয়ের পর নাকি মেয়েরা অনেক সুন্দর হয় আসলে কি তাই?তিথিকে দিনের পর দিন আবিরের কাছে বেশ সুন্দর লাগে,,,মন যেন কেড়ে নিচ্ছে তিথি তার মায়াবী এই রুপ দিয়ে,,,
আবিরের নজর সরছেই না তিথির দিক থেকে,,,,
তিথি মেয়েদের ভিড়ে এসে নাচা শুরু করে দেয়,,আবির এক পাশে দাঁড়িয়ে শুধু দেখছে তিথির নাচ,,মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে তিথির দিকে,মুখে এক রাশ হাসি তিথির যা মন কেড়ে নিতেই যথেষ্ট,,,,
তিশা আরিশা ওরা ও নাচা শুরু করে তিথির হাত ধরে,,,,আমান আহাদ আর বাকি ছেলেরা তো উড়াই ফেলে,,,
ঢোল ওয়ালারা ঢোল বাজানো হুট অফ করার সাথে সাথে সবাই থেমে যায়,,,
নেহামঃ মামা বাজান অফ কেন করলেন?
ঢোল ওয়ালাঃ একটু রেস্ট কি নিবো আমরা?? আসলে সে সকাল থেকে বাজাছি তাই আর যদি আপনারা বলেন তাহলে আমরা বাজাচ্ছি,,,,
আকাশঃ না না এক কাজ করেন আপনাদের ঢোল গুলো আমাদের দেন,,,
ঢোল ওয়ালাঃ না না স্যার,,আমরা বাজাচ্ছি,, এইসবাই বাজাও
আমানঃ মামা দেন আমাদের,,,কলেজ লাইফে এইসব কত করেছি আমরা হিসাব নাই,,আজ এইটার কারনে সে পুরানো দিন গুলো আবার ফিরে আনবো কিছু টা,,কি বলিস আবির?

আবিরঃ হ্যাঁ সেটায়,,,
আবির আকাশ আমান আহাদ আর নেহাল তারা পাঁচ জন গিয়ে ঢোল নেয়,,,অনেক গুলা ঢোল আর তাদের ফ্রেন্ড গুলো বাঁশি আর ভিন্ন বাজনা গুলো নিয়ে নেয়,,
ঢোল ওয়ালারা চেয়ারে বসে তাদের জন্য নাস্তা পানি আনাতে বলে যাতে তারা কিছু সময় রেস্ট নিতে পারে,,,
আমানঃ হয়ে যাক সে কলেজ লাইফের দিন গুলো আবার,,,
আকাশঃ ইয়া বস,,,আজ তো ধামাকা হবে,,,
তিথি হুট করে বলে উঠে
তিথিঃ অইইই সবাই পারবেন তো?
আহাদঃ কেন ভাবি?
তিথিঃ সুন্দর করে বাজাবেন যদি উল্টো পালটা হয় না তাহলে খবর আছে হুম,,,
আমানঃহবে না তিথি কারণ তোমার বর অনেক ভালো বাজায় ঢোল তবলা গিটার,,আমরা চারজন যেখানে থাকি না অইখানে গন্ডগোল হওয়ার তো কথাই নাই কি বলিস তোরা,,,

নেহালঃ আরে ভাবি তোমরা মেয়েরা ইনজয় করো বাকি সব আমাদের হাতে ছেড়ে দাও,,,
তিথিঃতাহলে ঠিক আছে,,,
মেয়েরা সবাই এক সাথে দাঁড়ায়,,,আর ছেলেরা বাজানো শুরু করে,,,ঢোলের আওয়াজে সবাই আবার উড়াধুড়া নাচ দেয়,,,আবির ঢোল বাজাচ্ছে আর তিথির দিকে তাকিয়ে আছে,,,আজ আবিরের নজর শুধু তিথির দিকে সে মায়াবী চেহারা থেকে তার চোখ এই সরছে না,,তিথির নাচ,,, সে বাচ্চামি সব কিছু যেন আজ আবিরের কাছে বেশ ভালো লাগছে,,,,
তিথিকে এমন রুপে দেখে আবিরের গান মনে পড়ে যায়,,,আবির আনমনে গেয়ে উঠে গানটি আর বাকিরা ঢোল বাজানো অফ করে শুধু বাজতে থাকে আবিরের ঢোল,,,আবির ঢোল বাজাচ্ছে আর তিথির চারপাশে হাঁটছে আর গান টা গাইছে,,,,
আবিরঃ🎵
বিধাতার তুমি এক অপূর্ব সৃস্টি
ফেরানো যায় না এ আপলক দৃস্টি
তার উপর রংধনু সাত রঙ প্রসাধন লভিয়াছ
আনমনে প্রতিক্ষণ তনুমন
অঙ্গে অঙ্গে যেন রূপ আর ধরে না
রার হাত শাড়িতে অবয়ব ঢাকে না
হাতের কাকন বাজে রিনিঝিনি কিনিকিনি
মনে হয় সারাদিন দেয় যেন হাতছানি
তবুও বলছ তুমি ও ভাবে কী দেখছ
*** *** সাজ ঘরে পিছু পিছু ছুটছো🎵🎵
সবাই বেশ মজা নেয় আজ আবিরের গানে ঢোল বাজানোতে,,,গান শেষে সবাই পলকহীন ভাবে তাকিয়ে আছে আবিরের দিকে আর তিথি ও,,,আবির কিছু টা লজ্জা পায় যে এইভাবে তাকিয়ে আছে কেন,,,,
সবাই করতালি দিতে থাকে কারণ গান টা অসাধারণ ছিলো আর আবিরের সুর এমনিতেই অনেক সুন্দর,,,,
আমানঃ বাহা আজকে তো ফাটিয়ে দিলি তুই,,,
তিথির মুখে ছিলো এক রাশ হাসি কারণ গানটি যে আবির তার দিকেই তাকিয়ে গেয়েছে এক পলক ও অন্য দিকে তাকায় নাই,,,,গানটি তার জন্য এইটা বুজতে আর বাকি রইলো না তার,,,,
তিশা তিথিকে হালকা ধাক্কা দিয়ে বলে
তিশাঃ কাল বললে না যে আবির ভাই রোমান্টিক না তাহলে দেখো আজ কত সুন্দর গান গেয়েছে তাও আবার তোমার দিকে তাকিয়ে তোমার জন্য এখন কি বলবে আর যে আবির ভাই রোমান্টিক না?
তিথিঃ আমার জন্য নাকি হু
তিশাঃ ওহ তাই,, অন্য কারো জন্য গাইলে তার দিকে তাকিয়ে গাইতো বাট উনি তো তোমার দিকে তাকিয়ে গাইছে এক পলক ও অন্য দিকে তাকায় নাই তাহলে কি হু,,
তিথি তিশার দিকে তাকিয়ে একটু হাসি দেয়,,,
আর অইদিকে সবাই আবিরের সাথে কথা বলছে,,আজ আবিরের গানে যে কত মেয়ে ক্রাশ খেয়েছে হিসাব নাই সব চেয়ে বড় কথা আমাদের তিথি ও কিন্তু খেয়েছে আজ আবার,,,

মায়রা সব কিছু দেখছে চোখ মুখ ছিলো কেমন যেন লাল,,রাগ জিদ সব কিছু যেন স্পষ্ট বুজা যাচ্ছে তার চোখে যা আরিশার নজর এড়িয়ে যায় নাই,,,,মায়রা অইখান থেকে চলে যায়,,,,
আরিশা তিশার কাছে গিয়ে বলে
আরিশাঃ তিশা এই মায়রার উপর নজর রাখতে হবে
তিশাঃ কেন?
আরিশাঃ আজ ভাই যখন ভাবির দিকে তাকিয়ে গান গাইছে ভাবির দিকে তাকিয়ে ছিলো তখন মায়রা কেমন ভাবে যেন তাকিয়ে ছিলো তাদের দিকে,,,
তিশাঃ আরে দূর মায়রা খুব ভালো মেয়ে,,কাল আমি ওকে বুজিয়েছি বুজলে আর আমার মনে হয় সে বুজেছে তাই তো কাল রাতে দেখো নাই কি সুন্দর করে নেহাল ভাইয়ার পাশে গিয়ে বসছে আবির ভাইয়ের পাশে না বসে,,,
আরিশাঃ না তিশা অই মেয়েকে বিশ্বাস নাই,,সে এতো চুপচাপ মানে তার মাথায় কিছু তো চলছে৷
তিশাঃ তুমি বেশি চিন্তা করছো তাই,,,মায়রা খুব ভালো মেয়ে বুজলা,,,এইসব বাদ দাও এখন মজা নাও
আরিশা আর কিছু বলে না কিন্তু তার কেন জানি মনে হচ্ছে মায়রা চুপ করে বসে থাকার মেয়ে না সে কিছু করবে,,,
এইদিকে,,,
আহাদ এসে আরিশার হাত ধরে টেনে নাচা শুরু করে,,,দুইজন কে আসলে বেশ সুন্দর এই লাগছে,,,আরিশার মুড এমন অফ দেখে বলে উঠে
আহাদঃ আমার হবু বউয়ের মুড অফ কেন জানতে কি পারি?
আরিশাঃ কিছু না,,
আহাদঃ আজ বেশ সুন্দর লাগছে,,,
আরিশাঃ থ্রি পিছে বুজি?
আহাদঃ হ্যাঁ,,আচ্ছা শাড়ি পড়বে না তুমি
আরিশাঃ হুম,,,একটু পরে
আরিশা আহাদ দুইজন দুইজনের সাথে কথা বলছে আর নাচছে হাত ধরে
এইদিকে
আমান সে কখন থেকে সুযোগ খুজছে তিশার হাত ধরার আর নাচার বাট পাচ্ছে না,,,আকাশ নেহাল যে তাকে ছাড়ছেই মা চোখের ইশারায় শুধু কথা বলছে তিশার দিকে যা আমান তিশা বুজছে কি বলছে তারা,,,,
অইদিকে,,,,
সবাই এক সাথে নাচছে শুধু আবির তিথি ছাড়া,আবির ঢোল রেখে একটা চেয়ারে বসে আছে,আর তিথি এক পাশে দাঁড়িয়ে আছে,,,তিথি কিছু টা ভেবে আবিরের সামনে এসে বলে
তিথিঃ আপনি বললেন না যে আমাকে আজ কেমন লাগছে,৷
তিথি কিছু টা সিরিয়াস মুডে আছে দেখে আবির ফাজলামি করে তিথিকে বলে
আবিরঃ হুম পুরো হলুদ পেত্নী লাগছে,,,
তিথিঃ মানে???
আবিরঃ হ্যাঁ পুরো হলুদ পেত্নী,, এক কেজি আটা ময়দা মেখে তো পুরো হলুদ পেত্নী লাগছে আল্লাহ
তিথিঃ অই হারামি চোখে কম দেখিস হ্যাঁ আমি মুখে কিছু দেই নাই ওকে শুধু লিপস্টিক আর কাজল ছাড়া হুম
আবিরঃ তবুও তো দিলে,,,
তিথিঃ তোর কল্লা দিচ্ছি দূর,,,
রাগে হনহনিয়ে অইখান থেকে চলে যায়,,আবির মুচকি হেসে বলে
আবিরঃ বাবা রে ঝগড়াটি এলিয়েন দেখি পুরো ক্ষেপে গেছে,,,,যাক রাগলে বেশ কিউট এই লাগে এই ঝগড়াটি এলিয়েন কে,,,,,
অনেক টা সময় এইভাবে যায়,,সবাই আনন্দ করে অনেক,,,অনেক ক্ষন পর আবিরের মা এসে তিশা আর আরিশাকে বলে তাড়াতাড়ি যেন তারা শাড়ি পড়ে নেয়,,,
টুকটুকে হলুদ কালারের শাড়ি দুইজনে পড়ে গাধা ফুল দিয়ে চুলে খোপা করে হাতে গলায় ফুলের মালা,,,দুইজনকে বেশ সুন্দর ভাবে শাড়ি পড়িয়ে আনে,,কোনো মেকাপ নাই তাদের মুখে শুধু হালকা লিপস্টিক আর কাজল ছাড়া,,
এইদিকে
আমান আর আহাদকে এক সাথে বসানো হয়,,,বাগানের পাশে অনেক বড় জায়গা যেখানে সব আয়োজন করা হয়,,,,আমান আহাদ অইখানে বসা আবিরের মা আমানের মা আহাদের মা ওরা সবাই মিলে হলুদ লাগাচ্ছে দুইজনকে,,একে একে সবাই হলুদ লাগাতে থাকে,,
এইদিকে মামনি তিথির দিকে তাকিয়ে ভাবে মেয়েটা কিছু খেয়েছে কিনা,,,তাই নিজে এসেই তিথিকে বলে
মামনিঃ তুই কিছু খেয়েছিস?
তিথিঃ সবাই হলুদ লাগাচ্ছে আর তুমি কি না জিজ্ঞেস করছো আমি কিছু খেয়েছি কি না
মামনিঃ সকাল থেকে কিছু খেতে দেখি নাই তাই,,,
তিথিঃ হ্যাঁ খেয়েছি একটু আগে,,,আচ্ছা যাও মামনি ওদের হলুদ লাগিয়ে আসো
মামনি ও হলুদ লাগাতে যায়,,,
আবিরের মাঃ তিথি তুমি ও লাগাও ওদের ভাবি যে সম্পর্কে আর তোমার তো অধিকার বেশি তাদের উপর,,,
তিথিঃ আরে বাহা আমি তো ভুলেই গেলাম আজ আমার অধিকার বেশি ওদের উপর হাজার হোক এক মাত্র কিউট ভাবি যে,,,
তিথির এমন কথা শুনে আহাদ আমানের কানের কাছে গিয়ে বলে
আহাদঃ জিজু আমরা মেবি আজ শহিদ হবো
আমানঃ কেন?

আহাদঃ তিথি ভাবির কাছে হলুদ এর বাটি যাবে মানে ভাবি আমাদের হলুদ লাগাবে নাকি গোসল করাবে তাই,,,আর উনার মাথায় তো অল টাইম শয়তানি ঘুরে,,,
আমানঃ আরে তিথি ওমন না আমার ভালো ফ্রেন্ড দেখবে সে এমন কিছু করবে না,,,
তিথিঃ কি কথা হচ্ছে ফিসফিস করে হুম,,,
আমানঃ আরে কিছু না,,,
আমানের মাঃ তিথি তাড়াতাড়ি লাগিয়ে দাও তারপর মেয়েদের ও লাগাতে হবে,,,
তিথি প্রথমে অল্প একটু হলুদ নিয়ে আমানের গালে লাগায় আমান আহাদের দিকে তাকিয়ে একটু মুচকি হেসে দেয়,,,তিথি তারপর অনেক টুকু হলুদ নিয়ে আমানের পুরো মুখে লাগিয়ে দেয়,,সবাই হাসতে থাকে,,
আমানঃ তিথি করছো কিইই
তিথিঃ আরে ভাবি হই তোমার দেবরের সাথে তো এই ফাজলামি করাই যায় তাই না দেবরজি,,,
আহাদ হাসতে থাকে,,
তিথি মুচকি হেসে আহাদের দিকে তাকিয়ে বলে
তিথিঃ আমার এক মাত্র ননদের জামাই বলে কথা এতো সহজে ছেড়ে কি দিতে পারি??
আহাদঃ ভাবি প্লিজ আমাকে এইভাবে লাগাইও না,,,
তিথি কার কথা শুনে আহাদের পুরো মুখে হলুদ লাগিয়ে দেয়,,,আমান আর আহাদের মুখের অবস্থা তিথি পুরো বারোটা বাজিয়ে দেয়,,আর এইসব ছবি তুলে
রাখে নেহাল,,,,
দূর থেকে এইসব আবির দেখছে,,,তিথির এমন পাগলামিতে সে হাসছে আসলেই তিথির এমন কান্ডতে যে সবার মুখে মুহূর্তে হাসি এসে যায়,,,
আহাদঃ জিজু বলেছিলাম না আমি,,,দেখলে তো
আমানঃ হ্যাঁ শালাবাবু এখন দেখি তিথিকে বিশ্বাস করা বিপদ,,,
তিথিঃ আরে দূর এখনও তো কিছু করি নাই,
আমানঃ মানে?
তিথিঃ হিহি দাড়াও বুজাচ্ছি মানে কি,,,
তিথি আমানের আর আহাদের কান জোরে টেনে ধরে বলে
তিথিঃ এইটা নিয়ম যে ভাবি নতুন জামাইদের কান এইভাবে ধরে টান দেয়,,,,
আমানঃ আহা আমার কান,,,
আহাদঃ ভাবি ছিড়ে গিলে কান আপনার ননদ আমাকে বিয়ে করবে না,,,
সবাই হা করে আছে এইটা আবার কিসের নিয়ম,,,
আমানের মাঃ এইটা আবার কিসের নিয়ম?এমন কিছু তো শুনি নাই কখনো,,,
তিথিঃ শুনবে কি করে আন্টি নিয়ম টা যে আজ বানালাম আমি,,,,
আবির হেসে দেয় এই টা শুনেই,,এগিয়ে এসে বলে
আবিরঃ আন্টি নিয়ম তিথি মানে না উল্টো বানায় আর এমন বানায় যে অন্যদের নানি দাদি সব মনে এসে যায়,,,
তিথি কান ছেড়ে দেয় তাদের,,উঠে দাঁড়ায় দেখে আবির হাসছে,,,
আমান কান ঢলতে ঢ্লতে বলে
আমানঃ তাই বলে কি তোর বউ আমার কান এইভাবে ছিড়বে উফফ,,,
আবিরঃ ভাগ্যিস আর একটা টানে নাই,,পরে আবার কান ছাড়া বিয়ে করতে যেতি,,,
আমানঃ তোকে আমি পরে দেখে নিবো মজা নিচ্ছিস তাই না,,,,শোধ নিয়ে নিবো ওয়েট,,,
আবিরের মাঃ আচ্ছা আমরা যাই মেয়েদের লাগাই,,,,
এইদিকে
আরিশা আর তিশা বসে আছে সে কখন থেকে,,,
সবাই এসে তাদের হলুদ লাগাতে থাকে,,,আরিশা তিশাকে হলুদ লাগানোর পর মেয়েরা একে অপরকে লাগাচ্ছে হলুদ আবার বড় রা বড়দের,,,
তিথি অল্প একটু হলুদ নিয়ে আবিরকে খুজতে লাগে,,,আবির আমান আর আহাদের সাথে গল্প করছে দেখে আবিরকে ডাক দেয়,,,
তিথিঃ এই যে শুনছেন একটু এই দিকে আসবেন,,,
এমন কথা শুনে আমান আহাদ ঢোক গিলে,,আবির শকড
আমানঃ বাহা আবির আজ তোর বউ এতো সুন্দর করে তোকে ডাকছে ব্যাপার কি বস,,,
আবিরঃ আমিও তো ভাবছি,,,
আকাশ নেহাল কে না দেখে হুট করে এসে বলে
আকাশঃ নেহাল কই রে?
আহাদঃ নেহাল ভাইকে পরে খুজেন আকাশ ভাই,,,
আকাশঃ কেন?
আমানঃ চুপ থাক,,,আবির যা তোর উনি ডাকছে,,,
আবিরঃ চুপ থাক হারামি গুলা,,,,
আবির তিথির কাছে যায়,,,
আবিরঃ হ্যাঁ বলো,,,
তিথিঃ এক পাশে আসেন এখানে না,,,
আবিরঃ এখানে কি সমস্যা?
তিথিঃ সবাই আছে তাই,,,
আবিরঃ তাহলে কই যাইতাম,,,
তিথিঃ অই যে অইদিকে অইখানে কেউ নাই,,
আবিরঃ কি ব্যাপার যেখানে কেউ নাই সেখানে নিয়ে যাচ্ছো?
তিথিঃ আপনাকে না নিয়ে কি অন্য ছেলেকে নিয়ে যাইতাম আজিব,,,
তিথির এমন কথা শুনে আবির আর কিছু বলে না,,,জানে একটা বললে যে হাজার টা শুনাবে,,,
আবির তিথির পিছনে পিছনে এক কোণায় আসে যেখানে কেউ নাই,,,
আবিরঃ হ্যাঁ বলো এইবার,,,
তিথি আবিরের কিছু টা কাছে যায়,,,আবিরের গালে হুট করে হলুদ লাগিয়ে দেয়,,,হুট করে এইভাবে হলুদ লাগাতে আবির কিছু টা অবাক হয়,,,তিথিকে কিছু বলবে তিথি তাড়াতাড়ি যেতে লাগে,,,হাতটা ধরে নিজের কাছে টেনে নেয়,,,
আবিরঃ আমাকে হলুদ লাগিয়ে কই পালাও তুমি হুম.?
তিথিঃ আমি কেন পালাবো হুম,,,আমি তো অইদিকে যাচ্ছি কাজ আছে তাই,,,
আবিরঃ আমাকে যে হলুদ লাগালে এখন তো আমার ও লাগানো উচিত,,,
তিথি আবিরের দিকে তাকিয়ে বলে
তিথিঃ আপনার কাছে তো হলুদ নাই,,আচ্ছা দাঁড়ান আমি নিয়ে আসি(মানে পালাবো আমি হিহি)
আবিরঃ লাগবে না আমার কাছে আছে,,,
তিথিঃআপনার কাছে কত থেকে(ভ্রু কুচকে)
আবির তিথিকে নিজের কাছে আরো টেনে নেয়,,,কোমড়ে হাত দিয়ে নিজের সাথে লাগিয়ে তিথির মুখের কাছে মুখ নেয়,,তিথি ভাবে যে তাকে কিস করবে তাই সে চোখ বন্ধ করে ফেলে🤣কিন্তু হুট করে তার গালে আবিরের খোচা খোচা দাড়ি লাগায় চোখ গুলো খুলে তাকায়,,,,এক গালে লাগানোর পর অন্য গালে ও সেম আবির নিজের গালে লাগানো হলুদ টুকু তিথির গালে লাগায় গাল দিয়েই,,,
হলুদ লাগিয়ে আবির তিথির দিকে তাকিয়ে বলে
আবিরঃ কি ভেবেছিলে?
তিথিঃ আ,,,মি কি ভাববো?
আবিরঃ ভেবেছিলে কিস করবো তাই না?
তিথিঃ ছি ছি কি সব বলেন এইসব মোটে ও আমি ভাবি না হু,,আমি অনেক ভালো মেয়ে,,,
আবিরঃ সেটায় তুমি এতো ভালো মেয়ে যে আমাকে বারান্দায় একা পেয়ে লিপ কিস করলে,,,,
আবিরের এমন কথাতে তিথি অনেক টা লজ্জা পায়,,,আবিরকে হালকা ধাক্কা দিয়েই অই খান থেকে দৌড়ে চলে যায়,,আবির হাসতে থাকে তিথির এমন যাওয়া দেখে,,,,
আবিরের কাছে এই মুহূর্ত টা আসলেই খুবই মধুর,,,তিথির প্রতি যে ভালো লাগা তা দিনের পর দিন বেড়েই যাচ্ছে আবির ও এখন বুজতে পারে এইটা আসলে মোহ নয়,,,,
পিছনে ফিরে কিছু টা অবাক হয় মায়রাকে দেখে,,মায়রা আবিরের কাছে এসে বলে
মায়রাঃ বাহা ভালোবাসো না তাকে বিয়ে হয়েছে ভুল বুজাবুজিতে কিন্তু রোমাঞ্চ ঠিকই চলছে,,এক সাথে ঠিক ঘুমাতে পারছো,,,যখন তখন কিস জড়িয়ে ধরা সব হচ্ছে (হাত তালি দিয়ে)
আবিরঃ মুখ সামলে কথা বলিও মায়রা,,,
মায়রাঃ ওহ রেলি আবির,,,,অই মেয়ের মধ্যে এমন কি যা আমার নাই,,,রুপ গুন সব দিক আমার আছে,,
আবিরঃ তিথির সাথে তুলনা করছো নিজের?? হাহা তুমি আর তিথির মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য বুজলে,,,,আর হ্যাঁ কেউ কারো মত কখনো না,,,তো ফালতু কথা অনুষ্ঠানের মজা নাও,,,
মায়রাঃ তুমি আমাকে প্রমেস করেছিলে আবির তুমি আমার হবে,,,
আবিরঃ আমি কোনো জিনিস নয় যে আজ ওর কাল ওর,,,প্রমেস করেছিলাম মন থেকে নয়,,,তুমি বাধ্য করেছিলে আমাকে করতে,,আর আমি বলি নাই তোমার হবো এমন কিছু প্রমেস করেছি বলে মনে পড়ছে না,,,
মায়রাঃ সে যাই হোক তুমি এখন আমাকে বিয়ে করবে ব্যস,,,,
আবিরঃ তুমি কি পাগল নাকি অন্য কিছু হ্যাঁ??? আমি তিথিকে বিয়ে করেছি আর আমার ওয়াইফ শুধু সে আর কখনো আমি কাউকে অই জায়গা দিতে পারবো না,,,আমার ফ্যামিলি আমার সব আর আমার ফ্যামিলি এর সব তিথি,,,,সো এইসব বাদ দাও এসেছো এখানে ভালো থাকো খাও ঘুরো বিয়ের আনন্দ নাও আমান আরিশার তারপর চলে যাও তোমার বাবা মায়ের কাছে ওকে,,,
আবির এইসব বলেই চলে যায়,,,মায়রা রাগে জিদে পারছে না কিছু করতে,,জিদের কারনে যেতে লাগে চোখে পড়ে নেহাল সে কয়েকজন এর সাথে সেল্ফি তুলছে আর মজা করছে,,,,মায়রা কিছু টা ভেবে নেহালের কাছে যায়,,,
মায়রাঃ আমার সাথে সেল্ফি তুলবে?
নেহালের সাথে সেল্ফি তুলবে শুনেই নেহাল খুশিতে আত্নহারা,,,মায়রা নেহাল এর সাথে অনেক গল্প করতে থাকে,,,
এইদিকে,,,
হলুদ লাগানোর পর নাকি কি পানি মারামারি করে তাই হচ্ছে,,,সবাই পানি মারামারি করছে,,,সবার সামনে গিয়ে আবির তিথিকে কোলে নিয়ে নেয়,,,
যেহেতু অনুষ্ঠান বাগানের কাছেই হচ্ছে সুইমিংপুল কাছেই আছে সুইমিংপুলে তিথিকে ফেলে দেয় আবির,,,সবাই তো হাসতে হাসতে শেষ,,,
আবিরঃ বাড়ির বড় বউকে নাকি এইভাবে পানিতে ফেলতে হয় এইটা নিয়ম নাকি তাই ফেলে দিলাম,,,
সবাই হেসে উঠে,,,,তিথি ঠিক বুজতে পারে আবির ইচ্ছে করে করছে,,বেচারি পানি খেয়েছে এইভাবে ফেলে দেওয়াতে,,,,
উঠে এসে আবিরকে বলে
তিথিঃ আপনি একটা লাল কাক হুম,,,
আবিরঃ হুম আর কিছু?
তিথিঃ জ্বি না,,,
আবির যেতে লাগেই যে তিথি আবিরকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে লাগে আবির তিথির হাত ধরে ফেলে,,,
আবিরঃ কি ভেবেছিলে ধাক্কা দিয়ে ফেলবে হাহা ম্যাডাম আপনি এখনও কাঁচা এইসবে,,,
আমান পিছন থেকে এসে দুইজনকে এক সাথে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় আর বলে
আমানঃ আমি তো আর কাঁচা নয় ভাই,,,
আবির আর তিথি যেভাবে পড়ছে পানি অনেক টা উপরে আসে,,,বড় কেউ ছিলো না এখানে শুধু আমান আবির তিথি আকাশ ওরা,,,
আবিরঃ এইটা কি করলি তুই,,,
আমানঃ তোর বউ আমার মুখে যেভাবে হলুদ লাগাইছে তার প্রতিশোধ,, আর মজা নিলি তুই তার ও,,,
আকাশঃ ওরা থাকুক আমরা ভিতরে যাই আয়,,,
আমান আর আকাশ ভিতরে চলে যায়,,,
তিথি উঠতে যাবে আবির টেনে ধরে বলে
আবিরঃ সুইমিংপুলে নাকি রোমাঞ্চ করে সত্যি?
তিথি বেক্কল হয়ে যায় আবিরের কথাতে,,,,
তিথিঃ এ্যা
আবিরঃএ্যা নয় ম্যাডাম হ্যাঁ
তিথিঃ সরুন তো
তিথিকে অল্প একটু পানি মেরে দিয়ে বলে
আবিরঃ না সরবো না,,,
তিথি আবিরের হুট করে এমন কান্ডতে কিছু টা অবাক,,,ভাবে এই আবিরের আবার কি হলো যে এমন করছে,,,,একদিকে হেপ্পি যে আবির তার সাথে এমন ব্যবহার করছে,,,আবির তিথিকে কিছু টা টেনে নেয় নিজের দিকে তারপর কপালে হুট করে চুমু দেয়,,সুইমিংপুলে একটা রোমাঞ্চকর হয়ে গেলো,,,,
চলবে,,,,,