বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -4 !! Part- 38
মায়রা ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে নিচে নেমে দেখে আবির একটা মেয়ের সাথে ডান্স করছে এই দেখে তার গা জ্বলে উঠে,,,,স্টেজে গিয়েই তিথির হাতটা ধরে একটা থাপ্পড় মারে সবার সামনে,,,সবাই হতবাক হয়ে যায় সাথে সাথে গান অফ করা হয় সবাই তাকিয়ে আছে,,,,
তিথি আবিরের গায়ে পড়ে যায়,,,তিথির যে এতো রাগ উঠে বলার বাহিরে,,,,আবির তিথিকে উঠে দাঁড় করায়,,,,
মায়রা তিথির উপর প্রচুর রেগে বলে উঠে
মায়রাঃ সাহস হয় কি করে আমার আবিরের সাথে ডান্স করার তার হাত ধরার,,,,,
মায়রা তিথিকে আবার থাপ্পড় মারতে যায় আবির হাতটা ধরে ঝাপটা মেরে ছুড়ে দিয়ে মায়রাকে সবার সামনে কষে এক চড় লাগিয়ে দেয়,,,,,
আবিরের এমন কান্ডতে সবাই অবাক কিন্তু তিথি খুশি এই ভেবে যে তার কিছু বলার আগে তার জন্য আবির প্রতিবাদ করে উঠে,,,,,,
মায়রা গালে হাত দিয়ে চলচল চোখে আবিরের দিকে তাকায়,,
মায়রাঃ তুমি আমাকে মারলে তাও আবার এই থ্রাড ক্লাস মেয়ের জন্য,,,,
আবির কথাটা শুনে এইবার আরো ক্ষেপে যায়,,,আর তিথি শুধু তাকিয়ে আছে আবিরের দিকে,,,,আবির রাগী সুরে বলে উঠে
আবিরঃ তোমার সাহস হয় কি করে মায়রা তিথির গায়ে হাত তুলার ওকে অপমান করার,,,,,,
মায়রাঃ তুমি এই মেয়ের জন্য আমাকে অপমান করছো আবির সবার সামনে কে হয় এই মেয়ে??
আবিরঃ সে আমার স্ত্রী,,,,বুজলে তুমি তিথি আমার বিয়ে করা বউ,,,,,,
মায়রা কথাটা শুনে পুরো থমকে যায়,,,,আর তিথি আবিরের কথা শুনেই যেন খুশিতে আত্নহারা হয় এই ভেবে যে আবির তাকে মন থেকে স্ত্রী ভাবে,,,,
মায়রা রেগে অইখান থেকে উপরে চলে যায়,,,,
আবিরের মা প্রচুর রেগে যায় আবিরের উপর
আবিরের মাঃ ওই মেয়ের সাহস হয় কি করে আবির তিথিকে থাপ্পড় মারার আর আমার আবির আমার আবির এইসব কি বলছে?
আমান কথা ঘুরিয়ে বলে উঠে
আমানঃ আন্টি মা আসলে আবির হুট করে বিয়ে করেছে তাই হয়তো এইভাবে সে রিএক্ট করছে,,,আসলে আবিরের অনেক ভালো ফ্রেন্ড তো তাই,,,
আবিরের মাঃ সে যাই হোক আমান,,সে তিথিকে সবার সামনে এইভাবে থাপ্পড় মেরেছে এর মানে কি হ্যাঁ????
আমানঃ আসলে সে তো জানতো না যে আবির বিয়ে করছে ভার্সিটিতে মেয়েরা আবিরের কাছে আসলে সে এইভাবে মারতো তাই ভাবছে তিথি এমনি কেউ,,,আবিরের ভালো ফ্রেন্ড তাই না আবির,,,
আবির কি বলবে বুজে উঠতে পারছে না অই মুহূর্তে শুধু মাথা নাড়ায়,,,
আবিরের মাঃ আমার এইসব একদম পছন্দ না ওকে বলবি ভালো ভাবে থাকতে,,,আর হ্যাঁ আবির এমন ফ্রেন্ড বানাবি না যে তোর বউকে সবার সামনে অপমান করে বুজলি,,,,নেক্সট টাইম যেন আমার বউমার সাথে কেউ একটা বাজে শব্দ ও যেন না করে,,, আমি এলাও করবো না আর,,,,
আমানঃ আন্টি মা বাদ দাও তো,,,সবাই প্লিজ অনুষ্ঠান আবার শুরু করেন আজ আমাদের দিন নাচ গান শুরু হোক,,,,
আমান ব্যাপার টা অই খানে চেঞ্চ করে দেয় সবাই সবার মত আবার অনুষ্ঠানে মন দেয়,,,কিন্তু সবাই চাইলে ও পারছে না,,,
তিথির মা এসে তিথির পাশে বসে,,আবির আমানের সাথে এক কোনায় কথা বলছে,,,তিথি তাকিয়ে আছে শুধু অইদিকে,,,
তিথির মাঃ তিথি লেগেছে কি বেশি?
তিথিঃ না মামনি আমি ঠিক আছি,,,,
তিথির মাঃ মেয়েটা হয়তো বুজে নাই,,ভুল বুজে মেরেছে তুই মনে কিছু নিস না কেমন,,, আমার মেয়ে তো অনেক বুদ্ধিমতি যে সে মনে কিছু নিবে না তাই না???
তিথি ভ্রু কুচকে তার মাকে বলে
তিথিঃ সত্যি করে বলবে তুমি কি আমার মা???
তিথির মাঃ মানে কি বলিস পাগলের মত??
তিথিঃ না মানে অই কায়রা ডায়রিয়া আমাকে মারছে আর তুমি কিনা বলো কিছু মনে করবো না????মামনি কসম বলছি অই মাইয়ার কপালে যে কত বড় শনি ডেকেছে আইডি নাই তোমার,,,তারে যদি আমি শুটকি বানিয়ে আমার কাকদের না খাওয়াই না আমিও তিথি না হুম,,,
তিথির মাঃ এই জন্য বলছি যে মনে না করতে কিছু,,,তুই যে মাইয়া আমার তোরে কেউ টুকা দিয়ে যেতে পারে না আর অই মেয়ে তো সবার সামনে আবার থাপ্পড় দিচ্ছে সে যেতে পারবে,,,
তিথিঃ হুম বুজলে ভালো,,,কিন্তু হ্যাঁ অই ডাইরিয়াকে আমি ছাড়ছি না সে বাঘিনীর মুখে হাত দিচ্ছে হাত আমি কামড়াক ছিড়ে গিলে খাবো হুম,,,
তিথির মাঃ আল্লাহ আমার মেয়েটার মাথায় বুদ্ধি দাও একটু উফফফ,,,
তিথিঃ মামনি যাও তো মাথা গরম আর ফ্রাই করিও না,,,
তিথির মা চলে যায়,,,তিথি রেগে আগুন এইভাবে যে মায়রার এতো সাহস তাকে মারার তাও আবার হুট করে,,,,,
এই দিকে,,
আমান আবিরকে বলে
আমানঃ এখন কি করবি আবির???মায়রা যে মেয়ে সে যদি তিথির কিছু করে বা কারো কিছু পুরো সাইকো তা আমরা জানি,,,
আবিরঃ বুজতে পারছি না কি করবো বাট আমার ফ্যামিলি আর তিথির কিছু হতে দিবো না,,,আমার ভয় যদি মায়রা আবার আত্নহত্যা করার চেস্টা করে তখন??
আমানঃ সাইকো এই মেয়ে,,,আমার তো ভয় হচ্ছে তিথি যে মেয়ে তাকে থাপ্পড় মারার আজ পর্যন্ত সাহস কারো হয় নাই আর মায়রা তাকে সবার সামনে মারছে এর জন্য যে মায়রার কি হাল হয় আল্লাহ জানে,,,,
আবিরঃ হুম সেটায়,,,আচ্ছা শুন তুই এইদিক সামলা আমি মায়রার সাথে কথা বলে আসি,,,
আমানঃ কি করবি.??
আবিরঃ আমি কথা বলে আসি বুজলি,,,,
আমানঃ হ্যাঁ যা তুই ছাড়া আর কেউ পারবে না ওকে হেন্ডেল করতে,,,,
আবির চলে যায় উপরে গিয়ে দেখে গেস্ট রুমে সব কিছু এলো মেলো জিনিস পত্র অনেক ভাঙ্গচুর,,,,মায়রার হাত ও কিছু টা কাটা আবির তাড়াতাড়ি একটা রুমাল দিয়ে বেঁধে বলে
আবিরঃ পাগল তুমি হ্যাঁ?????
মায়রাঃ হ্যাঁ আমি পাগল তোমার জন্য শুধু তোমার জন্য বুজলে তুমি আবির,,,
আবিরঃ প্লিজ মায়রা পাগলামি করিও না,,,
মায়রাঃ আমি নিজেকে শেষ করে দিবো যাও তুমি
আবিরঃ প্লিজ তোমার বাবা-মায়ের কথা ভাবো,,,,
মায়রাঃ আমি কাউকে নিয়ে ভাবি না বুজলে,,আমি শুধু তোমাকে নিয়ে ভাবি ব্যস,,,
আবিরঃ ওকে ওকে তুমি আমার জন্য প্লিজ এইসব পাগলামি অফ করো,,,আমি হাতটা ব্যান্ডিস করে দেই প্লিজ আমার জন্য
মায়রা চুপ করে আছে আবির তাড়াতাড়ি ব্যান্ডিস করে দেয়,,,,
মায়রাঃ তুমি অই মেয়েকে কেন বিয়ে করলে আবির???আমাকে প্রমেস করেছিলে তুমি আর তুমি কিনা??
আবিরঃ পরিস্থিতি এমন ছিলো যে আমি সব ভুলে গেছি,,,
মায়রাঃ কিসের পরিস্থিতি???
আবির মায়রাকে সব খুলে বলে তার আর তিথির বিয়ে কিভাবে হয় কেন হয় সব কিছু,,,,
আবিরঃ আমার ভুলের কারনে এমন হইছে,,,,আমি শুধু আরুর খুশির জন্য করেছি,,,
মায়রাঃ ওহ বেবী আমি জানি তুমি কখনো আমার সাথে অন্যায় করতে পারো না,,,ওই সব অই থ্রাড ক্লাস মেয়ের জন্য হইছে,,,
আবিরঃ ও ওই টাইপের মেয়ে নয়,,, তিথি অনেক ভালো মেয়ে,,,,,
মায়রাঃ সে যাই হোক কেয়ার করি না আমি,,,,
আবিরঃ মায়রা তুমি সব বলো সমস্যা নাই বাট তিথিকে অপমান করে এমন কিছু বলিও না যে আমার রাগ উঠে,,,
মায়রাঃ তুমি কি অই মেয়েকে ভালোবাসো??
এই শব্দ টা শুনেই আবির কিছু টা থমকে যায় কি উত্তর দিবে আবার বলে উঠে
আবিরঃ এইসব প্রেম ভালোবাসা আবেগ এর জন্য আমার মনে জায়গা নাই,,,,তুমি ভালো করেই জানো আমি এইসব নিয়ে ভাবি না আর না এইসব আমার লাইফে আসতে দেই,,,,
মায়রাঃ জানি আমি,,,
আবিরঃ মায়রা তুমি আমার ভালো বন্ধু আগে ও বলেছি এখনও বলছি দেখো আমি তোমাকে ভালোবাসি না,,,
মায়রাঃ তুমি আমাকে প্রমেস করেছিলে আবির,,,আর আবির রহমান এর মুখের কথা মিথ্যা হবে???
আবিরঃ আমি অইজন্য আসলেই লজ্জিত যে এমন প্রমেস করেছি যা আমি রাখতে পারবো না,,,ভেবেছি একটা হয়েছে আর একটা,,,
মায়রাঃ আমি জানি না ব্যস জানি তুমি আমার হবে,,,এখন কিভাবে হবে জানি না যদি না হও তাহলে আমি কি করবো জানি না আমি,,,,
আবির মায়রাকে বুজাতে থাকে,,,,আবির আর মায়রার মধ্যে যা কথা হইছে সব কিছু আমান শুনে৷ আমানের কাছে খুব খারাপ লাগে এই ভেবে যে আবির তিথিকে ভালোবাসে না এইটা সে মন থেকে মেনে নিয়েছে কিন্তু আবির তার লুকানো ভালোবাসা দেখতে পারছে না,,,,
কিছু ক্ষন পর আবির মায়রাকে নিয়ে নিচে নামে সবাই কিছু টা রাগ অভিমান করে আছে,,মায়রা তিথির কাছে গিয়ে বলে
মায়রাঃ আম সরি,,,
তিথি আবিরের দিকে তাকায় আবার মায়রার দিকে,,,
আবিরঃ তিথি ও আসলে বুজতে পারে নাই তাই অইভাবে,,,
তিথিঃ আরে দূর কিছু হবে না আমি কিছু মনে করি নাই,,,,উনার বন্ধু মানে আমার ও,,,আচ্ছা ডাইরিয়া
ডাইরিয়া কথাটা শুনেই সবাই চোখ বড় বড় করে তিথির দিকে তাকায়,,,
তিথিঃ থুক্কু মায়রা আসলে মুখ দিয়ে যে কি বের হচ্ছে,,, সরি হ্যাঁ
আবিরঃ(ইচ্ছে করে করছে জানি আমি)সমস্যা নাই তিথি,,,,
মায়রাঃ নো প্রবলেম,,,
মায়রা গিয়ে আবিরের মায়ের কাছে মাফ চায়,,
মায়রাঃ আমাকে সবাই মাফ করুন আসলে মাথা ঠিক ছিলো না তাই,,,আচ্ছা সবাই প্লিজ অনুষ্ঠান উপভোগ করুন,,,
সবাই আবার নরমাল হয়ে যায়,,,শুধু হয় নাই তিথি,,,রাগে তিথির মাথা একশ তে একশ গরম সে তো মায়রা থেকে থাপ্পড় এর প্রতিশোধ নিবে এইটা সে ভেবে রেখেছে ছাড়বে তো নয়,৷,,,,
কিছু ক্ষন এর মধ্যে আংটি পড়ানো শুরু হয়,,সবাই করতালি দিয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করছে অই মুহূর্তে,,,,,
অনুষ্ঠান শেষের দিকে,,,,
অনেক মেহমান চলে যায় শুধু থেকে যায় বাড়িতে যারা থাকবে তারা,,,তিশা আরিশা ও ক্লান্ত হয়ে যায় তারা চেয়ারে ভসে থাকে,,,,আমান আহাদ আর আবির এক সাথে ককয়েকজন ছেলের সাথে কথা বলছে,,,,
এই দিকে তিথি একটা জুস এর গ্লাস নিয়ে হাঁটছে,,,,,মায়রা আবিরের দিকে এগিয়ে আসে
মায়রাঃ আবির শুনো,,,,
আবিরঃ হ্যাঁ বলো,,,,,
মায়রাঃ আমার না খুব ক্ষিধে পেয়েছে,,,,
আবিরঃ ওয়েট আমি এখনই ওয়েটারকে বলছি খেতে দিতে,,,
মায়রাঃ না তুমি আনবে আমার জন্য খাবার,,,,
তিথি আবির আর মায়রাকে এক সাথে দেখে জ্বলে উঠে,,,,,তাড়াতাড়ি মায়রার কাছে এসে বলে উঠে
তিথিঃ হাইইই ডাইরিয়া,,,,থুক্কু মায়রা,,,,
আবির তিথির দিকে কিয়টা রাগী লুক নিয়ে তাকায় এইভাবে নাম নিয়ে ট্রোল করার জন্য,,,,,
মায়রা বিরক্তি ভাব নিয়ে বলে
মায়রাঃ হোয়াট????
তিথিঃ না তোমার জন্য জুস আনলাম খাবা???
আবির জুসের গ্লাসের দিকে তাকিয়ে বুজে কিছু হয়তো মিলাই আনছে তিথি,,,তিথি যে মেয়ে এতো সহজে যে সে মায়রাকে ছাড়বে না তা ভালোই বুজতে পেরেছে,,,,,,আবির তিথির হাত থেকে গ্লাস নিয়ে বলে
আবিরঃ আমান চেয়েছে জুস,,,ওকে দিয়ে আসি,,,,
তিথিঃ কিন্তু আমি তো কায়রার জন্য থুক্কু মায়রার জন্য এনেছি,,,,
আবিরঃ আমান খাবে তাই,,,,
তিথিঃ ওকে(কি ভেবেছে জুসে কিছু মিশাই আনবো নো নেভার,,,,,আমি জুসে মিশিয়ে হেতিরে শাস্তি দিবো না এমন শাস্তি দিবো যে নিজের বাপের নাম ও ভুলে যাবে এই কায়রা ডাইরিয়া হুম,,,,)
মায়িরাঃ উফফ যা ইচ্ছে করো,,,আবির আমার ক্ষিধে পেয়েছে
তিথিঃ উনি কি বাবুর্চি যে খাবার দিবে??আমার সাথে আসো,,,
তিথি মায়রাকে নিয়ে যায়,,
আবির ও পিছনে পিছনে যায় এই ভেবে যে তিথি না আবার কিছু করে বসে,,,,তিথি ঠিক বুজতে পারে আবির কেন পাহাড়া দিচ্ছে,,,মায়রাকে খেতে দেয় ভালো ভালো আবির অবাক এই ভেবে যে তিথি এতো শান্ত আবার ভাবে হয়তো সব কিছু ভুলে গেছে কিছু মনে করে নাই মাফ চাওয়াতে,,,,
আবিরঃ আমিও না বেশি ভাবি তিথির মন আসলেই বড় যে মাফ করে দিচ্ছে মাফ চাওয়াতে,,,,মেয়েটা আসলেই অনেক দয়ালু,,,,,
আবির অইখান থেকে চলে যায়,,,তিথি মায়রার দিকে তাকিয়ে বলে
তিথিঃ(খা ভালা করে খা,,গরু ছাগল কোরবান করার আগে ভালো করে খাওয়ায় আমিও তাই করছি আজ খা খেয়ে তাজা হয়ে নে কাল তোর একটু ক্লাস নিমু,,আস্তে আস্তে বুজবি কোন বাঘিনীর মুখে হাত দিলি আর জীবনে কত বড় ভুল করলি কায়রার বাচ্চা ডাইরিয়া,,,,,আজকের এই দিনের জন্য তুই আফচুচ থুক্কু আফসোস করবি যে তিথি দ্যা গ্রেট এর সাথে কেন পাংঙ্গা নিতে আসলি হুম)
তিথি তার মত ভাবতে থাকে অনেক ক্ষন,,,
অনুষ্ঠান শেষ যে যার মত রুমে চলে যায় ঘুমাতে,,,অনেক রাত ও হয়েছে,,,
আবির ফ্রেশ হয়ে এসে দেখে তিথি নাক টেনে ঘুম,,,,ফ্রেশ তো দূরে থাক কাপড় পর্যন্ত চেঞ্চ করে নাই,,,তিথির পাশে গিয়ে একটু বসে আসতে আসতে হাতের চুড়ি খুলে রাখে কানের দুল গুলো খুলতে থাকে,,,তিথির মাসুম চেহারার দিকে তাকিয়ে আছে কেমন যেন এক নেশা কাজ করে তিথির দিকে তাকালে,,,মায়াবী সে মুখের দিকে যত তাকায় তত সে তিথির দিকে তাকিয়ে থাকতে চায়,,,,
কিছু টা নড়ে উঠে তিথি,,,আবির তিথির গহনা গুলো খুলে টেবিলে রাখে,,একটা টিস্যু দিয়ে লিপস্টিক গুলো মুছতে থাকে তিথি এমন ভাবে শুয়ে আছে যে আবিরের কাছে বিরক্তি লাগছে এইভাবে কেউ ফ্রেশ না হয়ে শুয়ে পড়ে,,,,
আবিরঃ এই মেয়ে কি আসলে আল্লাহ,,,,
আবির লাইটটা অফ করেই তিথির মাথা টা নিজের বুকে টেনে নেয় তারপর ঘুমিয়ে যায় তিথিকে জড়িয়ে ধরে,,,,,
চলবে,,,,,,,,,