My Mafia Boss

My Mafia Boss- Season- 1 !! Part- 39

এই শুনো মেয়ে গুলোকে ডাকলো রায়ান।জি মেয়ে দুজন থেকে একজন রায়ানের কাছে এসে দাঁড়িয়ে বলল জি বলুন।রুহীকে রেডি করিয়ে দাও। রায়ান বলে উঠলো।জি আচ্ছা তবে আমাদের স্যারই ওকে কিনবে।আচ্ছা দেখা যাক তোমাদের স্যার কতো টাকা দেয় বলেই ঠোঁট বাঁকা করে হাসলো রায়ান।হুহ মেয়েটি রুহীর রুমে চলে এলো।রুহী তোমাকে রেডি হতে বলছে রায়ান নামের লোকটা।রুহী উপড় হয়ে শুয়েছিলো।মেয়েটির কথা শুনে মাথা উঠালো। কেন?জানিনা কোথায় জানি যাবে মেয়েটি বলে উঠলো।আমি যাবোনা কোথাও।রুহী তোমাকে যেতে হবে নাহলে রায়ান তোমার মামাকে ছাড়বেনা অপর মেয়েটি বলে উঠলো (রুহীকে রেডি করতেই মিথ্যা বলতে হলো)।রুহী খুব আস্তে উঠে বসলো।চোখের কোনা বেয়ে দুফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়লো।রুহীকে মেয়ে দুটি রেডি করিয়ে নিলো।
রোয়েন কালো কোট আর কালো প্যান্ট পড়ে নিলো।বন্দুক গুলোকে বুলেটে পরিপূর্ণ করে পকেটে ভরে নিলো।কালো তিনটি গাড়ি নিয়ে রোয়েন রায়ানের আস্তানার উদ্দেশ্যে।রুহীকে একটা রুমে বসিয়ে রাখা হয়েছে অমেক গুলো মেয়ে সহ।ওই মেয়ে গুলো ও আছে ওর সাথে।রুহীর বুঝতে দেরি হলো না এখানে কেন আনা হয়েছে ওকে?কি হতে যাচ্ছে ওর সাথে।কি ভুল করলো ও রায়ানের সাথে এসে।রাগে নিজের চুল ছিড়তে মন চাইছে রুহীর।কিছুক্ষন পর দুজন লোক এসে সব মেয়েদের বের করে নিলো। লোকদুটোর পিছু নিচ্ছে সবাই।একটা বড় হল ঘরে ওদের বসানো হলো।বেশ কয়েকজন লোককে দেখা যাচ্ছে।তারা একে অপরের মধ্যে কি যেন বলাবলি করে হাসছে।একজন মধ্যবয়স্ক লোক রুহীর এগিয়ে এলো।রুহীর গাল ধরতে যেতেই মুখ সরিয়ে নিলো রুহী।লোকটি রায়ান কে বলে উঠলো আই নিড হার।
রাসেল বলে উঠলো ওকে আমার লাগবে।এ্যাডভান্স ২০লাখ টাকা দিয়েছি আমি।লোকটি বলে উঠলো ৪০লাখ দিবো।একেকজন একেক দাম বলছে কেউ ৬০লাখ এক কোটি আরো অনেক কিছু।রুহীর দুচোখ ভরে এসেছে।ঠিক কিছুক্ষন পরেই রায়ান চিৎকার করে চুপ হয়ে গেল।সবাই দাড়িয়ে পিছনে ফিরে দেখলো রায়ানের গলা বেয়ে অনর্গল রক্ত গড়িয়ে পড়ছে।রুহী রায়ান থেকে চোখ সরিয়ে সামনে তাকাতেই রোয়েনকে দেখতে পেলো।ততক্ষনে রোয়েনের লোকগুলো চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে।
রোয়েনের চোখ দুটো রক্তলাল হয়ে আছে।রাগে ফোঁসফোঁস করতে করতে রুহীর কাছে এসে দাঁড়ালো।রুহী নড়ার শক্তি পাচ্ছেনা।রুহীর হাত খুব শক্ত করে ধরে টানতে টানতে বের করে আনলো রোয়েন। গাড়ির দরজা খুলে জোর করে ভিতরে ঢুকিয়ে নিজে ও বসে পড়লো।রুহী মাথা নিচু করে কাঁদছে।রোয়েন কিছুই বলছেনা। খুব স্পিডে গাড়ি চালাতে শুরু করলো।রুহী গাড়িতে বাড়ি খাচ্ছে কিন্তু রোয়েনের সেদিকে পরোয়া নেই। বাসার সামনে গাড়ি থামালো রোয়েন। দরজা খুলে রুহীর হাত টেনে বের করে আনলো রোয়েন।টানতে ঘরের ভিতর ঢুকিয়ে ফ্লোরে ছুড়ে মারলো রুহীকে। রুহী সামনে তাকিয়ে দেখে মামা মামী নুহাশ আর অবন্তী বসে আছে।রোয়েনের দিকে অসহায় চোখে তাকালো রুহী। রোয়েন নিচে বসে ওর চিবুক চেপে ধরে বলল আজ তোকে বুঝাবো ছেড়ে যাওয়ার পরিনাম কতোটা ভয়ানক হয়।দাঁতে দাঁত চেপে বলল রোয়েন।রুহীর চুলের মুঠি ধরে উঠে দাঁড় করালো রোয়েন।রুহী রোয়েনের হাত থেকে চুল ছাড়াতে চেষ্টা করছে। রুহীকে টানতে টানতে সোফায় বসালো রোয়েন।কাজী সাহেব শুরু করেন চিৎকার করে বলল রোয়েন।রুহীর পাশে বসে জোরে হাত ধরে রাখলো রোয়েন।রুহী রোয়েনকে একনজর দেখে আবার মুখ ফিরিয়ে নিলো।
বলো মা কবুল কাজী সাহেব বললেন।
রুহী চুপ করে আছে।
মা কবুল বল (আফজাল সাহেব)
রুহী মাথা নিচু করে কাঁদছে।রোয়েন উঠে অাফজাল সাহেবের মাথার কাছে বন্দুক ধরলেন।কবুল বল নাহলে বুঝতেই পারছিস চিৎকার করে বলতে লাগলো রোয়েন। রুহী ফুঁপিয়ে কাঁদতে শুরু করেছে।মামার দিকে এবার তাকিয়ে রোয়েনের দিকে তাকালো।তার নাক চোখ মুখ লাল হয়ে আছে।প্লিজ ম মাম মা মামা কে কিছু করবেননা।বলছি আমি।কবুল কবুল কবুল।রোয়েন আফজাল সাহেবের কাছ থেকে সরে এসে নিজে ও কবুল বলে দিলো।এবার আপনারা যেতে পারেন। আফজাল সাহেবের দিকে তাকিয়ে রাগী গলায় বলল রোয়েন।ওনারা চলে যেতেই রুহীর হাত জোরে চেপে ধরে টানতে টানতে রুমে নিয়ে এলো রোয়েন।রুহী কে ফ্লোরে ছুড়ে মেরে পুরো ঘরে কি যেন খুঁজতে লাগলো।রুহী রোয়েনের চলন কিছুই বুঝতে পারছেনা।ভাগছোস কেন বিয়ে থেকে রোয়েন কিছু খুঁজতে খুঁজতে চিৎকার করে বলছিলো।রুহী মাথা নিচু করে নিঃশব্দে কাঁদছে।কি হলো কিছু জিজ্ঞেস করলাম উত্তর দে চিৎকার করে বলল। রুহী কেঁপে উঠলো।রোয়েন একটা মোটা বেত হাতে নিয়ে রুহীর দিকে এগোলো।রুহী ফ্লোরে বসে পিছাচ্ছে।প্লিজ মারবেন না।কাঁদতে কাঁদতে বলছিলো রুহী।রোয়েন দ্রুতপদে রুহীর দিকে এগিয়ে এসে বেত দিয়ে মারতে লাগলো রুহীকে।রুহীর একেকটা চিৎকার রোয়েনের বুক দুমড়ে মুচড়ে দিচ্ছে।কেন ভেগেছিস বল?একবার ও কি আমার চিন্তা মাথায় আসেনি তোর?রুহী কাঁদছে একটা টু শব্দ ও করেনি।কিছুক্ষন পর রোয়েন বাড়ি দিতে গিয়ে দেখে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে রুহী।রোয়েন রুহীর পাশে বসে রুহীকে ঝাঁকিয়ে ডাকতে লাগলো।রুহী!! রুহী উঠো। রোয়েন ওয়াশ রুমে গিয়ে পানি এনে রুহীর মুখে ছিটা দিলো।রুহী একটু নড়ে উঠতেই কোলে তুলে নিয়ে পাশের রুমে খাটে শুইয়ে দিলো।রুহী চোখ খুলতেই রোয়েন কে দেখতে পেল।রোয়েন ওর দিকে অনেকটুকু এগিয়ে এসেছে।বিয়ের প্রথম দিন বর এমন নির্যাতন চালাতে পারে ধারনা ছিলো না রুহীর।রোয়েন রুহীর বেশ কাছে চলে এসেছে।রুহীর হৃৎস্পন্দন বেড়ে চলছে।রোয়েন সরে এলো।ফোন বের করে কল দিলো।হ্যালো ডাতার জাকির।জি স্যার ভালো আছেন?পিরিতি আলাপ করতে কল দিইনি বাসায় আসেন দাঁতে দাঁত চেপে বলল রোয়েন।আ আ আচ্ছা স্যার এক্ষুনি আসছি।রোয়েন ফোন কেঁটে রুহীর দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে আছে।রুহী মাথা নিচু করে ফেলল।কিছুক্ষন পর ডাক্তার রুমে এলো।স্যার কি হয়েছে?ডাক্তার জাকির জিজ্ঞেস করে উঠলো।কিছু হয়নি চেকআপ করে ঔষধ দিয়ে চলে যান।জাকির রুহীকে চেকআপ করে বলল এভাবে মারলেন স্যার?রোয়েনের দিকে তাকিয়ে বলল।ওনার শরীরে রক্ত জমে গেছে।ঔষধ গুলো নিয়মিত খাওয়াবেন রোয়েনের হাতে প্রেসক্রিপশন দিয়ে বেরিয়ে গেল ডাক্তার।রোয়েন রুহিকে বসিয়ে হাত পা বেঁধে দিলো।রুহী রোয়েনের দিকে অসহায় ভাবে তাকিয়ে আছে। এতো হিংস্রতা প্রকাশ পাচ্ছে রোয়েনের চেহারায়।রুহীর দিকে তাকিয়ে রোয়েন বেরিয়ে গেল।রুহী সেভাবেই একদিকে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে গেল।রুহীর ঘুম ভাঙ্গতেই খেয়াল করলো রাত হয়ে গেছে।হঠাৎ রোয়েনের কথা শুনতে পেল রুহী।সানিয়া রুমে এসো রুহী দরজার দিকে তাকাতেই চোখ ভরে উঠলো।রোয়েন ছোট্ট কাপড় পরা একটি মেয়েকে নিয়ে রুমে ঢুকছে।রুহী কাঁদতে কাঁদতে হাতের বাঁধন খুলতে চাইলো কিন্তু দড়ি এতো শক্ত কিছুতেই খুলছেনা।রুহীর বুক ফেঁটে যাচ্ছে।বর চোখের সামনে আরেক মেয়েকে নিয়ে রুমে যাচ্ছে।রুহী ফুঁপিয়ে কাঁদছে আর রোয়েনের রুমের দিকে চেয়ে আছে।
চলবে