বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -4 !! Part- 37
এই কি নতুন করে প্রেমে পড়ার আহবান নাকি পুরান প্রেমকে জাগিয়ে তুলা,,,মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে আজ আবির তিথির দিকে,,,আবিরের এমন চাহিনিতে তিথি যে লজ্জায় লাল হয়ে যায়,,,আবিরের উপর তো সে আগে থেকেই ক্রাশ খায় আজ নতুন করে খায় যে আবির কালো একটা শার্ট পড়ে যেটায় অসম্ভব সুন্দর লাগছে আজ আবিরকে,,,,,
তিথিঃ (বাবা রে আজ দেখি বজ্জাত টা কে হ্যান্ডসাম লাগছে অনেক লাগবে না কেন হাজার হোক আমার এক মাত্র জামাই বলে কথা)
আমান আবির হালকা ধাক্কা দিয়ে বলে
আমানঃ চোখ সরাতে পারছিস না তাই না?
আবিরঃ মানে?
আমানঃ কিছু না,,যা নিয়ে আয় তোর বউকে,,,
আবির কয়েকটা সিড়ি উঠেই হাত বাড়িয়ে দেয় তিথির দিকে,,,তিথি মুচকি হেসে হাতটা আবিরের হাতে দেয়,,দুইজন কে বেশ সুন্দর লাগছে,,,
তিশা আরিশাকে ও আজ অনেক সুন্দর লাগছে,,,,,আবিরের মা তিশা আরিশা আর তিথির কানের নিচে হালকা কালো তিল লাগায় কাজল দিয়ে যাতে নজর না পড়ে,,,
আমানঃ আন্টি মা আমরা কি দোষ করছি যে শুধু মেয়েদের দিলে আমাদের ও লাগাও,,,
আবিরের মাঃ হ্যাঁ এই দিকে আয় কপালে বড় করে একটা লাগাই দেই যাতে তোদের চাঁদ মুখ খানি কেউ যাতে নজর না দেয়,,
সবাই হাসতে থাকে,,,অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যায়,,গান বাজনা হচ্ছে এক দিকে খাওয়া দাওয়া,,,
আবির তিথির কাছে গিয়েই দাঁড়ায় আর স্টেজে তিশা আরিশা বসা সাথে আমান আহাদ ও ওদের সাথে অনেকে ছবি তুলছে,,,
আবির তিথির দিকে তাকিয়ে আছে সে ক্ষন থেকে অনেক ক্ষন পর বলে
আবিরঃ আজ সুন্দর লাগছে অনেক তোমাকে,,,,
তিথিঃ শুকরিয়া,,,আপনাকে ও অনেক হ্যান্ডসাম লাগছে,,,
আবিরঃ বাহা আমার দিকে তাকানোর তাহলে সে সময় হয়েছে,,,,
তিথিঃ কেন আপনার দিকে বুজি আমি তাকাই না?
আবিরঃ অহ আমি ভেবেছি তাকাও না,,,
তিথিঃ আপনি তো আপনি তাই ভাবেন হু,,
আমান তিশাকে বলে
আমানঃ তিশা ওদের মুখে কিভাবে প্রকাশ করাই যে ওরা একে অপরকে ভালোবাসে,,,
তিশাঃ হুম ভালো তো দুইজন দুইজনকে বাসে কিন্তু প্রকাশ করছে না,,,
আমানঃ তিথি আবিরকে ভালোবাসে তা সে নিজেও জানে,,,শুধু অপেক্ষায় আছে আবিরের বলার,,,কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আবির এখনও জানে না যে সে তিথিকে ভালোবাসে,,,,
তিশাঃ আবির ভাইয়া তিথির ফিলিংস কি বুজছে না?
আমানঃ জানি না,,, বাট আবির তিথিকে ভালোবাসে তা আবিরকে বুজাতে হবে এর জন্য লাগবে আইডিয়া,,,,
আহাদ মাঝ থেকে বলে উঠে
আহাদঃ আমি আর আরু হেল্প করবো ওদের মিলাতে,,
আরিশাঃ হ্যাঁ,,, ভাই এর ভালোবাসা নিজের মুখে শিকার করতে সাহায্য করবো আমরা,,,
আমানঃ যাক আমাদের টিম রেডি,,, আমার এখন একটা মিশন আবিরের মুখে তিথিকে ভালোবাসি এই টা বের করা,,আবিরকে বুজানো যে তিথিকে সে লাভ করে,,,
তারা চারজন প্লেন করে আবির তিথির ভালোবাসা এক করতে,,,
এইদিকে,,
একটা লোক সে কখন থেকে তিথির দিকে তাকিয়ে আছে,,,,তিথি তো আবিরের দিকে নজর,,,মেয়েরা অনেক গুলো আবিরের দিকে ড্যাবড্যাবিয়ে তাকিয়ে আছে মনে হচ্ছে গিলে খাবে,,,তিথির চোখে পড়ে যে মেয়েরা আবিরের দিকে তাকিয়ে আছে,,,
তিথিঃ(শাঁতচুন্নি গুলো কি জীবনে ছেলে দেখে নাই যে আমার জামাই এর দিকে ড্যাবড্যাবিয়ে তাকিয়ে আছে,,,চোখ গুলো গিলে খেতে ইচ্ছে করছে)
একটা মেয়ে আবিরের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে হাসছে আর কি যেন বলছে অন্য জনকে,,,তিথির এতো যে বিরক্তি লাগে বলার বাহিরে,,,
তিথি সুন্দর করে আবিরের দিকে ফিরে,,আবিরের শার্টের কলার টা হালকা ঠিক করে দিতে থাকে আবার অই মেয়েদের দিকে তাকায়,,,
আবির কিছু বুজছে না তিথি করছে কি,৷
আবিরঃ কি করছো সবার সামনে,,,
তিথিঃ না মানে আপনার শার্টের কলারে কি যেন লেগেছে তাই,,,
আবিরঃ আচ্ছা এইবার সরো,,,,
তিথি একটু সরে দাঁড়ায় আবার দেখে মেয়েরা তবুও তাকিয়ে আছে,,,তিথির খুব হিংসা হচ্ছে তিথি আবিরের গালে হাত দিয়ে বলে
তিথিঃ আপনার গালে সাদা সাদা এই গুলা কি?
আবিরঃ কই কি?
তিথিঃ আচ্ছা আমি মুছে দিচ্ছি,,,
আবিরঃ না থাক আমি ওয়াশরুমে যাচ্ছি,,,
তিথিঃ আরে আমি আছি তো আর যাওয়া লাগবে না,,দাঁড়ান আমি মুছে দিচ্ছি
আবিরঃ আচ্ছা ওয়েট ওয়েটার একটা টিস্যু নিয়ে আসেন তো,,,
তিথিঃ আরে আপনি টিস্যু কেন আনাছেন?
আবিরঃ কেন মুখ মুছতে
তিথিঃ আমি আছি কি জন্য হুম,,,টিস্যু লাগবে না আমার শাড়ির আঁচল আছে তো,,,
তিথি তার শাড়ির আঁচল দিয়ে আবিরের গালে হালকা মুছতে থাকে যদিও কিছু লেগে নাই তবুও তিথি মুছতে লাগে,,,তিথির এমন কান্ডতে আবির কিছু টা অবাক হুট করে আবিরের এতো কেয়ার করছে তিথি,,,,অইদিকে মেয়ে গুলো তো জ্বলে পুড়ে শেষ তারা অন্য দিকে চলে যায়,,,,
আবিরঃ হইছে?
তিথিঃ হুম শেষ এখন কিউট লাগছে,,,
আবিরঃ হুট করে কি হলো তোমার?
তিথিঃ আমার কি হবে?
আবিরঃ না কিছু না,,,
তিথিঃ আচ্ছা চলেন না কিছু খাই,,,খুব ক্ষুধা লাগছে,,,
আবিরঃ আচ্ছা চলো,,,
আবির তিথিকে নিয়ে যায় খেতে,,,কিছু খাবার নিয়ে একটা চেয়ার টেনে তিথিকে বসতে বলে,,,
আবিরঃ নাও খেয়ে নাও,,,
তিথিঃ আপনি খাইয়ে দেন,,,
আবিরঃ কেন হাতে কি হইছে?
তিথিঃ হাতে এতো চুড়ি যে কিভাবে,,,
আবিরঃ হাতে চুড়ি থাকলে বুজি খাওয়া যায় না?
তিথিঃ আপনি কি খাইয়ে দিলে কি সমস্যা হুম,,,,
আবিরঃ সমস্যা নাই কিন্তু সবাই আছে,,,অনুষ্ঠান চলছে একটা,,,
তিথিঃ তো??? এমন ভাবে বলছেন মনে হচ্ছে অন্যের বউকে খাইয়ে দিচ্ছেন আজিব,,,আপনার বউকে আপনি খাওয়াবেন এতে কার কি হুম,,,
আবিরঃ তোমার সাথে কথায় পারবো না,,,
তিথিঃ যখন জানেন পারবেন না তাহলে বলতে আসেন কেন?
আবিরঃ ওহ আল্লাহ,,,
তিথিঃ খাইয়ে দেন প্লিজ,,,
তিথি অনেক কিউট করে বলে খাইয়ে দিতে,,,আবির ও কিছু না বলে তিথিকে খাইয়ে দিতে লাগে,,,আবিরের কাছে ও খুব ভালো লাগছে তিথিকে খাইয়ে দিতে,,,তিথির এমন হুট করে বাহানা যে আবিরের কাছে বেশ ভালো লাগে তবুও মুখে প্রকাশ করছে না,,,,
তিথিঃ আচ্ছা একটা কথা বলি?
আবিরঃ হুম বলো,,,,
তিথিঃ আপনি কি কাউকে কখনও খাইয়ে দিয়েছেন?
আবির বুজতে পারে তিথি কি বলতে চাইছে মুখে একটু হাসি এনে বলে,,,
আবিরঃ না,,,তুমি প্রথম যে আমার হাতে খাচ্ছো,,,
তিথিঃ হুম আপনার বউ বলে কথা,,,,
আবিরঃ হুম,,,আমি কখনো কারো হাতে খাই নাই মায়ের হাত ছাড়া,,, কিন্তু হ্যাঁ তোমার হাতে খাইছি শুধু,, আর কাউকে কখন খাওয়াই ও দেই নাই তুমি ছাড়া,,,
তিথিঃ(যাক তাহলে আমার উনি তো পুরো সিঙ্গেল ছিলো জন্ম থেকে বাহা তিথি তোর জামাই টা একটা জিনিস আসলে,,,থুক্কু জিনিস না ভালা মানুষ হিহি)
তিথি মুচকি হাসে আর আবিরের দিকে তাকাচ্ছে,,,আবিরের কাছে তিথিকে কেমন যেন লাগছে অদ্ভুত,,,
আবিরঃ পাগলের মত নিজে নিজে কেন হাসছো?
তিথিঃ ভাবতেছি,,,,
আবিরঃ কি?
তিথিঃ এই যে আমাদের অনেক গুলা বাচ্চা হবে তাদের বড় করে বিয়ে দিবো তারপর নাত নাতনি হবে ওদের বিয়েতে আমরা দুইজন সে ভাবে ডান্স করবো মজা করবো তারপর তাদের সাথে আমরা ও হানিমুনে যাবো কেমন,,,,
তিথির কথা শুনে আবির পুরো বেক্কল হয়ে যায়,,,আবির এইসব মাথায় আনে না আর তিথি কিনা পুরো নাত নাতনিতে চলে গেছে,,,একটা ঢোক গেলে তারপর পানির গ্লাস্টা নিয়ে গটগট করে পানি খেয়ে নেয়,,,
তিথিঃ কি হলো???
আবিরঃ না কিছু না,,স্বপ্ন ভালো ছিলো তোমার,,,,
তিথিঃ তো বলেন আমাদের বেবী কবে হবে,,,
আবির এইবার আরো হতবাক,,,তিথির এমন কথা শুনে কাশতে থাকে আর তিথি লজ্জায় মাথা নিচু করে রাখে,,,কিছু টা সাভাবিক হয়ে বলে
আবিরঃ তুমি যে পাগল তা কি আসলে তোমার মামনি বাবা সবাই জানে?
তিথিঃ কেন বলুন তো?
আবিরঃ না আসলে আমি ভাবছি কি জানো?
তিথিঃ কি?বাচ্চা কয়টা নিবেন তা?
আবিরঃ না এইটা না,,,
তিথিঃ তাহলে??
আবিরঃ যে পাবনায় তোমার জায়গায় আমি গিয়ে ভর্তি হয়ে আসি,,তোমার সাথে থেকে থেকে আমি পাগল হয়ে গেছি,,,
আবির এইটা বলেই চলে যায়,,তিথি গালে হাত দিয়ে বলে
তিথিঃ হু
অনেক ক্ষন হয়ে যায় অনুষ্ঠান অনেক টা শুরু হয়,,,সবাই এক সাথে মজা করে,,তিথি ও আবিরের কাছে এসে দাঁড়ায় আবির তিথিকে দেখেই মনে পড়ে তিথির বলা কথা,,,,,
আমান তিশা দুইজন আজ অনেক হেপ্পি যে এতো দিনের সম্পর্ক আজ একটা পবিত্র নাম পাবে,,ভালোবাসার মানুষ কে পাবে তারা,,,
আহাদ আজ অনেক হেপ্পি এই ভেবে যে মেয়েকে সে মন থেকে চেয়েছে আজ সে মেয়ে তার নামের আংটি পড়বে আর আরিশা ও হেপ্পি এই ভেবে যে এমন একজন কে পেয়েছে যে বন্ধু ও ভালোবাসার মানুষ ও,,,
তারা চারজনের নতুন জীবন শুরু হচ্ছে তারা তো অনেক খুশি,,
এইদিকে পিছন থেকে একটা আওয়াজ ভেসে উঠে,,,,
মায়রাঃ আবির,,,,,,,
সবাই পিছনে থাকায়,,,মায়রাকে দেখে আবির তো ৪৪০ এর শকড খায়,,,আমান মায়রা কে দেখে চোখ কপালে তুলে,,,দুইজনে ভয় পেয়ে যায় মায়রাকে এখানে দেখে,,,
তিথি মায়রার দিকে তাকায় ছোট ড্রেস পড়া,,, হিল পড়া অনেক বড় বড় দেখতে কেমন যেন ঢঙ্গি মনে হয় তিথির কাছে,,,,
তিশাঃ কে এই মেয়ে আমান??
আমানঃ সাইকো এখানে???
আবিরঃ(এই সাইকো এখানে কি করছে)
মায়রা এসে সবার সামনে আবিরকে জড়িয়ে ধরে,,,সবাই হতবাক হয়ে যায়,,,,তিথি তো পারছে না মায়রার চুল গুলো টেনে ছিড়ে ফেলতে যে এইভাবে তার সামনে তার জামাইকে জড়িয়ে ধরেছে,,,,,রাগে ফুসছে শুধু তিথি,,,,
মায়রাঃ অনেক মিস করেছি তোমায় জানো?,,
আবির মায়রাকে একটু সরিয়ে দাঁড় করায় জিজ্ঞেস করে
আবিরঃ তুমি এখানে??লন্ডন থেকে কবে আসলে?
মায়রাঃ আজ দুপুরে এসেছি,,,,
আবিরঃ আমাকে জানাও নাই কেন?
মায়রাঃ সারপ্রাইজ দিবো বলে,,,তোমায় বলেছিলাম না একটা বড় সারপ্রাইজ দিবো,,,,,
মায়রা আমানকে দেখে আমানের কাছে যায়,,
মায়রাঃওহ আমান কেমন আছো
মায়রা হুট করে আবার আমানকে জড়িয়ে ধরে,,তিশা কিছু টা বিরক্তি ফিল করে এতে,,,,,
মায়রাঃ আমাকে একবার জানালে না আমান যে তুমি বিয়ে করছো হুম,,,
আমানঃ অহ সরি মায়রা আসলে হুট করে সব হয়ছে আর ভাবছি তুমি আসতে পারবে না ওতো দূর থেকে তাই জানানো হয় নাই,,,
মায়রাঃ আবিরের জন্য আমি সব পারবো তা তো জানোই,,,
সবাই তাকাই আছে আর তিথি রেগে আগুন,,,আমান বুজতে পারে পরিস্থিতি ঠিক না তাই তাড়াতাড়ি বলে উঠে
আমানঃ তিশা ওহ আমার আর আবিরের ভার্সিটি ফ্রেন্ড,লন্ডনে আমরা এক সাথে পড়াশোনা করছি বলেছিলাম না অই যে,,,
তিশাঃ হুম,,,,,
তিথি এইটা শুনে মুখ বাঁকা করে,,,
তিথিঃ(ফ্রেন্ড না ডাইনি একটা,,এসেই আমার জামাইকে জড়িয়ে ধরেছে কামিনি ডাইনি পেত্নি একটা,,,দেখতে তো পুরো লাল পেঁচার মত লাগে)
সবাই আবার নিজের মত ব্যস্ত হয়ে পড়ে,,মায়রা সবার সাথে পরিচয় হয়ে নেয়,,,তিথি ছাড়া,,,
মায়রা আবিরের হাতটা ধরে বলে
মায়রাঃ তুমি আমাকে কল দাও নাই কেন বেবী,, জানো কত মিস করছি তোমাকে,,,
তিথি চোখ গুলো বড় বড় করে ফেলে বেবী ডাক শুনেই,,,,আবিরের হাত ধরাতে তো তিথি আরো আগুনের গোলা হয়,,,
তিথিঃ (এই মেয়ের সাহস কত বড় আমার জামাই এর হাত ধরে দেখাচ্ছি মজা ওকে এখন)
তিথি আবির আর মায়রার কাছে যায়,,,আবির অনেক টা টেনশনে পড়ে যায় কি বলবে,,,,তখন বলে উঠে
আবিরঃ মায়রা তুমি রেস্ট নাও কিছু ক্ষন আমরা পরে কথা বলি,,
মায়রাঃ তুমি আমার কত কেয়ার করো এই জন্য এতো ভালো লাগে আমার তোমাকে,,,,
আবিরঃওয়েটার ম্যাডামকে গেস্ট রুমে নিয়ে যাও,,,
মায়রাঃ না আমি তোমার রুমে যাবো,,,
আবিরঃ মায়রা বুজার চেস্টা করো ফ্যামিলি আছে সবাই,,,
মায়রাঃ ওকে বেবী তুমি যা বলো তাই হবে,,,
মায়রা ওয়েটার এর সাথে যায়,,,
এই দিকে তিথি রেগে আবিরের সামনে আসে কোমড়ে হাত দিয়ে বলে
তিথিঃ কি হচ্ছে এইসব?
আবিরঃ কি হবে?
তিথিঃ অই মেয়ে কে? আর আপনাকে এইভাবে সবার সামনে কেন জড়াই ধরছে আর তো বেবী বেবী ডাকছে অই আপনি কোন দিকে বেবী লাগেন যে আপনাকে বেবী ডাকে হুম,,,
আবিরঃ তিথি এই নিয়ে আমার কিছু কথা আছে,,অনুষ্ঠান শেষ হোক সব বলবো প্লিজ
তিথি আর কিছু বলে না রাগে অইখান থেকে চলে যায়,,,,সবাই ডান্স করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে কাফেল,,,আমান আবিরকে আর তিথিকে টেনে ডান্স করতে দেয়,,,
আবির তিথির কোমড়ে হাত রাখে,,তিথি এক হাত আবিরের বুকের বাম পাশে রাখে,,,আর এক হাত ঘাড়ে,,দুইজনে অনেক টা কাছাকাছি একে অপরের,,,, ডান্স শুরু হয় তিথি আবিরের দিকে তাকিয়ে আছে চোখের দিকে চোখ যেতেই সব ভুলে যায় তিথি,,,আবির ও যেন হারিয়ে যায় তিথির চোখের মাঝে এক নেশা কাজ করছে তিথির চোখে এই কি তা সে এখনও বুজে উঠতে পারছে না,,,,
অনেক টা সময় আবির তিথি একে অপরের সাথে ডান্স করছে কাফেল,,,,সবাই তাদের দেখে অনেক হেপ্পি,,আবিরের মায়ের মুখে তো এক ঝলক হাসি এই ভেবে যে তার ছেলে আর ছেলের বউকে এক সাথে কত কিউট লাগছে,,,,,তিথির মাও হেপ্পি এই ভেবে যে তার মেয়ের জীবনে আবিরের মত একজন আসে,,,,
আমান তিশা এক সাথে ডান্স করে,,আহাদ আরিশা ও,,,
স্টেজে শুধু আমান-তিশা,,,আহাদ-আরিশা,,,আর আবির-তিথি কাফেল ডান্স করছে,,,তিন কাফেলকেই বেশ কিউট লাগছে এক সাথে,,,
মায়রা ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে নিচে নেমে দেখে আবির একটা মেয়ের সাথে ডান্স করছে এই দেখে তার গা জ্বলে উঠে,,,,স্টেজে গিয়েই তিথির হাতটা ধরে একটা থাপ্পড় মারে সবার সামনে,,,সবাই হতবাক হয়ে যায় সাথে সাথে গান অফ করা হয় সবাই তাকিয়ে আছে,,,,,
চলবে,,,,,,,,,