বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -4 !! Part- 36

বেচারা লোকটি অইখানে বসে পড়ে মাথায় হাত দিয়ে আর ডাব ওয়ালা প্রচুর ভয় পায় তিথির এমন কান্ড দেখে,,,,এইদিকে আবির আর আমান আহাদ দৌড়ে আসে এসে যা দেখে তার জন্য তারা প্রস্তুত ছিলো না,,,
আবির তিথির কাছে এসে বলে
আবিরঃ এখানে ও ঝগড়া শুরু করলে?
তিথিঃ আপনার মনে হয় আমি ঝগড়া করি?.আমাকে কি দেখে ঝগড়াটি মনে হয় হুম,,,
আবিরঃ না মনে কেন হবে তুমি তা আমি জানি,,,,
আমানঃ আচ্ছা তিথি কি হইছে? কেন ঝগড়া করলে?
তিথিঃ আমি ডাব এর জন্য আসছি অই মোটা লোক আমার ডাব সে কেন নিচ্ছে,,,
আবিরঃ ডাবের উপর কি তোমার নাম ছিলো? সব সময় বাড়াবাড়ি করো,,,ঝগড়া কমাও বুজলে সব সময় এতো বাড়াবাড়ি করা উচিত নয় ওকে,,
আবির সবার সামনে তিথিকে অনেক বকা দেয়,,, তিথির মনটা পুরো খারাপ হয়ে যায়,,আবির সুন্দর করে ও তো বলতে পারতো কিন্তু তা না করে সে সবার সামনে রেগে যায়,,
আহাদঃ আবির ভাই পাবলিক জায়গা থাক না,,,ভাবি চলেন,,,
আবির ডাব ওয়ালাকে টাকা দিয়ে তিথির হাত ধরে নিয়ে যায় এক পাশে,,,
তিথিঃ আপনি পুরো ব্যাপার না শুনেই আমাকে বকছেন,,,
আবিরঃ চুপ একদম,,,অই লোকের মাথায় যে ডাব মারলে ভাগ্য ভালো যে কিছু হয় নাই,,যদি কিছু হতো কি করতে হ্যাঁ?? সব সময় এতো বাড়াবাড়ি ভালো না বুজলে,,,বেশি করে ফেলতেছো তুমি যা লিমিট পাড় করে,,,,একটু ভালো হয়ে যায়,,,বাচ্চা না তুমি বুজলে,,,
তিথির কিছু শুনে না আবির আজ,,,তিথি চুপ করে আছে কান্না পাচ্ছে তার এই ভেবে যে আবির তার কথা গুলো না শুনেই বকছে,,,
এইদিকে তিশা আর আরিশা ও আসে পুরো ঘটনা শুনে নেয়,,,আরিশা খেয়াল করে আবির অনেক টা দূরে তিথিকে কি যেন বলছে বুজা যাচ্ছে বকছে,,,
আরিশাঃ আমান ভাই তুমি গিয়ে একটু ভাইকে বুজাও প্লিজ ভাবিকে এইভাবে না বকতে,,,,,
তিশাঃ হ্যাঁ আমান তুমি যাও আবির ভাই তোমার কথা শুনে,,,
আমান আবিরের কাছে যায়,,,
আমানঃ আবির বাদ দে,,,, অই লোকের ও দোষ আছে,,,সে তিথির উপর লাইন মারতে চাইছে যার জন্য তিথি এতো ক্ষেপছে,,,দোষ টা অই লোকের তিথির না,,
আবিরঃ সে যাই হোক আমান,,সব সময় তিথি বাড়াবাড়ি করে,,এতো বাড়াবাড়ি করা ঠিক না,,লিমিট পাড় করা উচিত না এইটা ওর মনে রাখা উচিত,,,
আমানঃ আচ্ছা বাদ দে,,,এখন চল সন্ধ্যায় সূর্য ডুবা টা দেখি,,,আর একটু ঘুরি
তিথিঃ আমি বাসায় যাবো (কান্না কান্না ভাব নিয়ে)
আবিরঃ এই তো শুরু,,কিছু বলা যায় না সাগর ছেড়ে দেয় চোখে,,,,
আমানঃ আবির প্লিজ যা তো তুই,,,
আবির চলে যায় আমান তিথিকে নিয়ে হাটতে থাকে আর বলতে থাকে,,
আমানঃ তুমি আবিরের স্ত্রী তোমার কিছু হলে ওর গায়ে লাগে,,তুমি সুন্দর করে চলবে সুন্দর করে কথা বলবে সে এইটায় চায়,,আর একজন ভালো স্ত্রীর দায়িত্ব হলো তার হাজবেন্ড এর কথা শুনা সব সময় তার মনের মত চলা,,,
তিথিঃ তাহলে উনি আমাকে ভালোবাসবে??
এমন কথা শুনে আমান অবাক হয়ে যায়,,তিথির দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে
আমানঃ ভালোবাসো বুজি আবির কে???
তিথি লজ্জা পায়,,,আবির যে এতো ক্ষন বকা দিচ্ছে তা কিছু না সব ভুলে গেছে মুহূর্তে,,,
আমানঃ কি হলো?
তিথিঃ হ্যাঁ অনেক আগে থেকেই কিন্তু উনি কি বাসে জানি না,,,
আমানঃ তোমার মত এতো কিউট মেয়েকে না বেসে যাবে কই হুম,,আর ম্যাডাম আপনার যে কেয়ার সে নেয় না এতে বুজা যায় আবির ও ভালোবাসে,,,হয়তো সে প্রকাশ করতে পারে না বাট সে সবার থেকে আলাদা৷,
আবির দূর থেকে ডাক দেয়
আবিরঃ তোরা গল্প অফ করে আয় বাকিরা ও আছে,,
তিথিঃ হু এই বজ্জাত টা এমন কেন, বোরিং টাইপের হু
আমানঃ আবির একবার তার মনের কথা প্রকাশ করলে বুজবে সে কেমন যাই হোক এখন তাড়াতাড়ি চলো আমরা যাই না হলে আপনার স্যার আমাদের পিঠাবে,,,,
তিথিঃ হু,,,

আমান আর তিথি সবার কাছে যায়,,সবাই সন্ধ্যাটা উপভোগ করে অনেক ভালো ভাবে,,,অনেক ঘুরাঘুরি করে তারা বাসায় ফিরে,,,,
সবাই ড্রইংরুমে বসে আছে,,,আবিরের বাবা কি যেন হিসাব করছে আর বাকিরা গল্প করতে ব্যস্ত,,,
আবিরের মাঃ তিথি তিশা আরিশা এই দিকে আসো তোমরা,,
তারা তিন জন আবিরের মায়ের কাছে যায়,,,
আবিরের মাঃ কাল সকালে ডিজাইনার আসবে,,তোমাদের তিন জনের ড্রেস সব অনুষ্ঠানের জন্য করা হইছে,,
তিথিঃ কিন্তু মা আমার তো বিয়ে না,,,ওদের বিয়ে আমার জন্য কেন?
আবিরের মাঃ তুমি আমার এক মাত্র ছেলের বউ,, আর নতুন বিয়ে হয়েছে তোমার ও,,,,আর হ্যাঁ সুন্দর করে সাজানো হবে তোমাদের তিন জনকে বুজলা,,
আমানঃ আন্টি মা কাল কি কিছু,,,
আবিরের বাবাঃ কাল তোমাদের engagement হবে,,পরশু মেহদী অনুষ্ঠান তারপরের দিন হলুদ তারপরের একদিন গেভ তারপরের দিন বিকালে কাবিন হবে সন্ধ্যায় বিয়ের অনুষ্ঠান,,,
আরিশাঃ পাপ্পা এক দিন পর পর করলে ভালো হয়, কারণ সবাই ক্লান্ত হবে,,প্লেন তো এমন ছিলো যে একদিন অনুষ্ঠান তারপরের দিন রেস্ট এমন ছিলো
আমানের বাবাঃআরিশা ঠিক বলেছে এক সাথে এমন হলে ওরা ক্লান্ত হয়ে যাবে,,একদিন গেভ দিয়ে দিয়ে হলে বেটার হবে,,,বাচ্চারা ও মজা করতে পারবে আর আমাদের জন্য ও বেটার হবে
আমানের মাঃ আমরা বড় রা তো আছি তাহলে আর কি
আবিরের মাঃ না ভাবি ওরা ঠিক বলছে,,অনুষ্ঠান টুকু ওদের জন্য ওরা ভালো করে ইনজয় না করলে কেমনে হবে,,
আবিরের বাবাঃ ওকে এমন হবে এখন যাও সবাই রেস্ট নাও কাল তাড়াতাড়ি উঠে যাবে সবাই
সবাই যার যার রুমে চলে যায়,,,
তিথি আবিরের উপর রেগে আছে অভিমান করেই আছে ধরতে গেলে যে কেন এইভাবে বকা দিচ্ছে,,,,
তিথিঃ(ভাবে কি নিজেকে সে হু সব সময় সবার সামনে বকবে হু,,,ইচ্ছে তো করে করলা দিয়ে তেলাপোকা রান্না করে খাওয়াই হু,,,)
আবির ফ্রেশ হয়ে এসে দেখে তিথি সোফায় বসে বসে আসতে আসতে কি যেন বকছে,,বুজা যাচ্ছে তাকেই বকা দিচ্ছে
আবিরঃ আমাকে যদি বকা দেওয়া শেষ হয় তাহলে শুতে আসেন,,,
তিথিঃ আপনি কি করে বুজলেন আপনাকে গালি দিচ্ছি (অবাক দৃষ্টিতে)
আবিরঃ এই তো মুখেই বলে দিলে,,,
তিথিঃ হু,,,
আবিরঃ আচ্ছা এখন কি আসবে নাকি না
তিথিঃ আপনি ঘুমান আমি কি করবো হু
আবিরঃ কেন তুমি ঘুমাবে না??
তিথিঃ হ্যাঁ পরে আমি সোফায় ঘুমিয়ে যাবো
আবিরঃ কেন?
তিথিঃ এমনি,,,
আবিরঃ তুমি ছাড়া আমার ঘুম আসে না,,,আর আমি জানি আমার বুকে মাথা না রাখলে তোমার ঘুম আসে না,,,
তিথিঃ এতো দরদ দেখাতে হবে না হু,,,বকা দিয়ে এখন আসছে দরদ দেখাতে হু
আবিরঃ ওকে সরি,,,এইবার প্লিজ আসবে,,,
তিথিঃ কি বললেন আবার বলুন তো
আবিরঃ মানে???
তিথিঃ না মানে আবার বলতেন আপনি কি বললেন?
আবিরঃ ঘুমাতে আসতে,,,
তিথিঃ না না এর পরে,,,
আবিরঃ এর পরে কি?
তিথিঃ আমি ভাবছি আপনি সরি বলছেন,,,
আবিরঃ হুম বলেছি তো??
তিথিঃ না আমি শুনি নাই তো তাই,,,
আবিরঃ এই যে বললে সরি বলছি ভাবলে,,,
তিথিঃ অইটা তো ভাবলাম শুনি তো আর নয়,,,
আবিরঃ ফাজলামি হচ্ছে???
তিথিঃ কিসের ফাজলামি আপনি সরি বললে যাবো না হয় নয় হু,,,
আবিরঃ লাগবে না আসা ঘুমাও সোফায়,,,
আবির চলে যায় গিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ে,,তিথি সোফায় শুয়ে পড়ে কিন্তু কারো ঘুম আসে না একে অপরকে ছাড়া,,আর আবির টা ও হইছে জেদি তার জেদ এর কারনে সে সরি বলছে না আর,, আর তিথি কিছু ক্ষন পর পর উঁকি মেরে দেখে আবির ঘুমাচ্ছে কিনা৷, কিছু ক্ষন পর দেখে আবির চোখ অফ করে আছে গিয়ে আবিরের হাত টা সরিয়ে বুকে শুয়ে পড়ে,,,
আবিরঃ ঘুমাবে তো আমার বুকেই তাহলে এতো অভিনয় এর কি আছে হুম,,,
তিথিঃ আপনি ঘুমান নাই?

আবিরঃ না ঘুম আসছে না,,তোমাকে বুকে নিয়ে ঘুমাতে ঘুমাতে এখন অভ্যাস হয়ে গেছে যে তাই,,,
তিথিঃ তাহলে ডাকেন নাই কেন?
আবিরঃ জানতাম তুমি আসবে তাই,,,,
আবির তিথি তাদের দুষ্টু মিষ্টি ঝগড়া গুলো করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ে,,,
সকালে পুরো বাড়ি সাজানো হয় ফুল দিয়ে,,,চারপাশে আয়োজন বাড়ির বড় রা তো আজ অনেক ব্যস্ত,,,,তিথি তিশা আর আরিশা ওদের যে এক রুমে নেওয়া হইছে আর বের করা হচ্ছে না,,,
আবির ঘুম থেকে উঠেই তিথিকে দেখে নাই আজ,,অনেক খুজেছে কিন্তু পায় নাই,,ফোন টা ও ছিলো রুমে,,,
আবিরঃ এই আমান এই দিকে আয় তো,,,
আমান আবিরের কাছে আসে,,,
আমানঃ কি বল,,,
আবিরঃ তিথিকে দেখেছিস?সকাল থেকে দেখছি না
আমানঃ তিশা ও সেম গায়েব,,,মা থেকে জানলাম ওদের তিনজন কে নাকি একটা রুমে নিয়ে গেছে কি মুখে আটা ময়দা সব মাখবে সাথে আছে তোর দাদি যে পার্লারের মেয়ে সকালেই এনে রাখছে,,,
আবিরঃ হইছে কাজ যেখানে দাদি মা আছে সেখানে আর কি,,,
আমানঃ হুম রাতে দেখবি ওদের দেখে আজ ভুত গুলো পালাবে,,,কারণ পেত্নী গুলো আজ আমাদের বাড়িতে,,,
আমান আর আবির হাসতে থাকে পিছন থেকে তিথির মা এসে হাজির,,
তিথির মাঃ ভাগ্যিস তোমাদের কথা গুলো তিথি শুনে নাই না হলে ক্লাস নিতো দুইটার,,
আবিরঃ আচ্ছা মামনি একটা সত্যি করে কথা বলবে,,,
তিথির মাঃ কি?
আবিরঃ তিথি কি আসলে তোমার মেয়ে??এমন ঝগড়াটি এলিয়েন আমি আর দেখি নাই,,,
আমানঃ হাহা যেমন এই হোক তোর বউ,,,
তিথির মাঃ ওর বাবার আদরে এমন হইছে,,,ছোট থেকে ফাজিল মেয়েটা,,,কিন্তু মনটা খুব সরল ওর,,, অল্পতেই বিশ্বাস করে সবাই কে অল্পতেই ভালোবেসে ফেলে,,,যাকে ভালোবাসবে তার জন্য সব করবে আর যে তার মন থেকে একবার উঠবে হইছে তাকে দুই চোখে দেখতে পারবে না,,,
আমানঃ হ্যাঁ আন্টি এইটা ঠিক,,,,কিন্তু আমাদের আবির অনেক ভাগ্যবান যে তিথির মত বউ পাইছে,,,
আবির চুপ করে আছে,,,
তিথির মাঃ ওকে কখনো কষ্ট দিও না আবির,,,হয়তো একটু বাচ্চামি করে কিন্তু তার মনটা খুব সরল,,,আমার মেয়েটার সব দায়িত্ব তোমার উপর আমি ওকে বকা দেই কিন্তু আমি জানি আমার মেয়েটা কেমন,,,,
আবিরঃ কখনো কষ্ট দিবো না ওকে,,তিথি আমার দায়িত্ব মামনি,,,
তিথির মা আবিরের মাথায় হাত বুলিয়ে চলে যায়,,,
আমান আবির তাদের মত কিছু কাজ করে নেয়,,,
বিকাল হয়ে আসে তবুও তিশা তিথি আরিশার দেখা নাই,,,
আবিরের মা কিছু ড্রেস এনে আবির আমান আহাদকে দেয়,,,
আবিরের মাঃ আজ সবাই কালো ড্রেস তাড়াতাড়ি পড়ে আয়,,,
আবিরঃ মা তিথি কই?
আবিরের মাঃ কিছু ক্ষন পর দেখবি কই,,, এখন তাড়াতাড়ি আয় তোরা,,,
আমানঃ সারাদিন একবার এর জন্য ও দেখলাম না আমার হবু বউকে,,,
আবিরঃ তোদের হবু বউ আমার তো বিয়ে করা বউ আমিও দেখলাম না তোদের কারনে,,,
আমান; বাহা বউয়ের জন্য কি মহব্বত,,,
আবিরঃ চুপ থাক,,,
আমানঃ বুজি বুজি সব বুজি,,,
আবিরঃ এমন কিছু না ওকে,,,
আমানঃ ওহ ভালোবাসিস মুখে প্রকাশ করতে পারছিস না,,,
আবিরঃ আমি কাউকে ভালোবাসি না ওকে,,,
আমানঃ হইছে আমাকে এই উত্তর না দিয়ে নিজেকে দিস কেমন, , এখন রেডি হয়ে নে,,,
আবির কিছু ক্ষন বসে আর ভাবে আমানের কথা,,,
আহাদঃ আবির ভাই রেডি হয়ে নাও আগে,,,,সবাই হয়তো এসে গেছে,,,
আমানঃ আবির তাড়াতাড়ি কর ভাই,,,
আবির রেডি হতে থাকে,,,
এইদিকে সব মেহমান এসে যায়,,,বাড়ির সবাই আজ কালো ড্রেস,,,সবার ড্রেস কোডে আজ বেশ ভালোই লাগছে দেখতে,,,,চারপাশে গানের আওয়াজ হচ্ছে সবাই মজা করছে,,,,

আবির আমান আহাদ আসে রেডি হয়ে এসে পুরো জায়গায় দেখে তাদের প্রিয়তমা দের কিন্তু কাউকে দেখে নাই,,,,
আমানঃ এখনও কই যে আছে?
আবিরের বাবাঃ অই তো এসে গেছে মেয়েরা,,
আমান আবির আহাদ সিড়ির দিকে তাকায় দেখে দাদি কালো গ্রাউন পড়ে নিচে নামছে চুল গুলো কাল করা সেজে তো বেহাল অবস্থা,,,,,বেশ সুন্দর এই লাগছে দাদিকে,,,,
আমানঃ তিশা কই দাদিকে দেখি যে?
আহাদঃ দাদিকে সেই লাগছে আজ,,
আমানঃ দাদিকে তাহলে বিয়ে কর শালাবাবু,,
আবিরঃ অই চুপ কর দাদি আমার,,
আমানঃ যা সুন্দর লাগছে না আজ দাদিকে মনে হচ্ছে না তোর মত নাতি ও আছে তার,,,
আহাদঃ হাহা রাইট জিজু,,,
দাদি আসার পর পিছনে পিছনে তিশা আরিশা আর তিথি আসে,,তিশা আরিশা কালো গ্রাউন পড়ে দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে,,,,
আবির শুধু হা করে থাকে তার তিথির দিকে তাকিয়ে,,,কালো শাড়ি পড়েছে চুলে লাল গোলাপ এক পাশে,,,চুল গুলো ছাড়া দেখতে অনেক কিউট লাগছে আজ,,,চোখ সরাতে চেয়ে ও আজ যে আবির পারছে না তিথির দিক থেকে চোখ সরাতে,,,
এই কি নতুন করে প্রেমে পড়ার আহবান নাকি পুরান প্রেমকে জাগিয়ে তুলা,,,মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে আজ আবির তিথির দিকে,,,আবিরের এমন চাহিনিতে তিথি যে লজ্জায় লাল হয়ে যায়,,,আবিরের উপর তো সে আগে থেকেই ক্রাশ খায় আজ নতুন করে খায় যে আবির কালো একটা শার্ট পড়ে যেটায় অসম্ভব সুন্দর লাগছে আজ আবিরকে,,,,,
চলবে,,,,,,,,,