বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -4 !! Part- 35

তিথি নিজের শপিং নিয়ে ভাবতে থাকে,,আর বাড়ির সবাই বিয়ের আয়োজন নিয়ে,,এক সাথে যে এখন দুইটা বিয়ে পড়েছে তাদের বাড়িতে,,,
দুইদিন পর,,,
সব কিছু আয়োজন শুরু হয়ে যায়,,সবাই বড় বাড়িতে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছে,,,তিথির ফ্যামিলি ও আসে,,,পুরো দুইটা বাস আনায় একটায় বড়রা আর একটায় ছোটরা,,,,
তিথি তার ব্যাগ গুছিয়ে হাফিয়ে যায়,,এক গ্লাস জুস খাচ্ছে আর ভাবছে কি কি নেওয়া হয় নাই,,,আবির ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে এসে দেখে দুইটা ব্যাগ গুছানো ভাবে তার কাপড় ও তিথি গুছিয়ে নিয়েছে,,,
আবিরঃ বাহা আজ মহারানি এতো কাজ করেছে যে হাফিয়ে গেছে,,,
তিথিঃ হ্যাঁ আর বলিয়েন না এতো গুলো কাপড় গুছাতে হইছে যে উফফ,,,
আবিরঃ ওহ আচ্ছা,,,আচ্ছা আমার সাদা সার্টটা নিয়েছো তো??
তিথিঃ আমি কেন আপনার শার্ট নিবো আজিব,,,
আবিরঃ আরে ব্যাগে নিয়েছো কি না তা জিজ্ঞেস করি আজিব,,,
তিথিঃ আপনার কাপড় আমি কেন নিবো আমার ব্যাগে??আপনার কাপড় আপনি গুছাই নেন হু,,
আবিরঃ মানে এই দুই ব্যাগে শুধু তোমার কাপড়???
তিথিঃ হ্যাঁ আমার জুতা কাপড় কসমেটিকস কত কিছু
আবিরঃ তুমি কি এক বারে যাচ্ছো অইখানে??বিয়ে শেষ হলেই এসে যাবো আমরা
তিথিঃ বিয়ের জন্য যাচ্ছি তাই তো দুইটা ব্যাগ মাত্র,,,আমার এক মাত্র ননদের বিয়ে আবার আমান আমার ফ্রেন্ড হয় আবার দেবর ও আর তিশা সেও আমার ফ্রেন্ড হয় আমি কি এতো নরমাল সাজবো তাদের বিয়েতে নো নেভার কাবি নেহি,,,
আবিরঃ আল্লাহ এই কোন মেয়েকে আমার বউ করলে???এমন এলিয়েন কে আমারই বউ করার ছিলো উফফ
তিথিঃ কি বললেন???
আবিরঃ কিছু না,,,
আবির চুপচাপ নিজের কাপড় গুছাতে থাকে,,,তিথির দিকে তাকিয়ে দেখে তিথি চুপ করে আছে হয়তো ভাবছে তিথি তাকে সাহায্য করবে কিন্তু না তিথি তো চুপচাপ কি যেন ভাবছে,,,
আবিরঃ তো ম্যাডাম আপনি কি ভাবছেন?
তিথিঃ আমার মেকাপ যদি কম হয় তাহলে???
আবিরঃ মানে????

তিথিঃ মেকাপ তো আমি আনি নাই এখন বিয়েতে কি দিবো???
আবিরঃ এইসব আটা ময়দা না দিলে হয় না হুম,,,তোমাকে নরমাকে অনেক বেশি সুন্দর লাগে এইসব আটা ময়দা দিলে পুরো শাঁতচুন্নি লাগে আমার কাছে,,,,
তিথিঃ আপনার কাছে আমাকে কোন দিন ভালো লেগেছে যে এখন লাগবে,,,
আবিরঃ আমার কাছে তুমি নরমালে ভালো লাগে,,,তুমি এমনিতেই অনেক কিউট আর সুন্দর বুজলে,,,
তিথির তারিফ করায় তিথি কিছুটা লজ্জা পায়,,লজ্জায় গাল লাল হয়ে যায়,,আবির বুজতে পারে তিথির তারিফ করায় তিথি লজ্জা পাচ্ছে,,,
আবিরঃ তুমি এতো কিউট যে আমি ভেবেছি আমার ব্যাগ গুছিয়ে রাখবে কিন্তু না,,,
তিথি তাড়াতাড়ি এসে আবিরের হাত থেকে শার্ট গুলো নিয়ে বলে
তিথিঃ আপনি বসেন আমি গুছিয়ে দিচ্ছি,,,
তিথি সব গুছাতে থাকে এইদিকে আবির তো তিথির কান্ড দেখে অবাক তিথিকে দিয়ে কিছু করাতে পারে না সে তিথি সামান্য তারিফে তার ব্যাগ গুছাচ্ছে,,,
তিথিঃ আর কিছু লাগবে?
আবিরঃ এক কাফ চা হলে ভালো হয়,,,আসলে তোমার হাতের কফি আর চা কি বলবো এতো অসাধারণ যে ইচ্ছে করে,
তিথিঃ কি??
আবিরঃ হাতটা চুমু দিতে থাকি,,,,
তিথি তো লজ্জায় এইবার পুরো শেষ,,,তাড়াতাড়ি গিয়ে আবিরের জন্য চা বানাচ্ছে আর ভাবছে আবির তার হাতের খাবার এতো পছন্দ করে সে জানে ও না,,,
এইদিকে আমান তিশা আরিশা আহাদ ওদের শেষ সব,,,সবার ব্যাগ গুলো বাসে রাখা হয়,,,
আমানঃ এই তিথি তোমাদের হয় নাই?আর আবির কই?
তিথিঃ শেষ তো আমাদের আমরা এখন আসতেছি তোমরা যাও
তিথি চা নিয়ে উপরে যায় আবির চা টা খেয়েই তিথির দিকে তাকায় তিথি অনেক আগ্রহ এর সাথে তার দিকে তাকিয়ে আছে
আবিরঃ কিছু বলবে?
হাতটা এগিয়ে দিয়ে বলে
তিথিঃ আপনি বলেছিলেন যে চা মজা হলে হাতে চুমু দিতে মন চায় তো,,,,,
আবির পুরো বেক্কল হয়ে যায় তিথির এমন কথাতে,,সে শুধু এমনি বলেছে আর তিথি কিনা হাতে চুমু চায় তিথির এমন লজ্জা মাখা মুখ দেখে আবিরের বেশ ভালো লাগে,,হাতটা টেনে নিয়ে আলতো করে চুমু দেয়,,সাথে সাথে তিথি চোখ অফ করে,,,আবির চুমু দিয়েই নিচে চলে যায় তিথি এখনও দাঁড়িয়ে আছে চোখ অফ করে,,,ভাবে যে আবির তাকে আরো চুম্মা দিবে🤣
তিথিঃ(উনি এখনও চুম্মা দেয় না কেন গালে?এখনও কি করে দূর)
তিথি চোখ খুলেই বেক্কল যে আবির রুমে নাই,,,সব জায়গায় তাকিয়ে দেখে আসলেই তো আবির নাই নিজে নিজেই লজ্জা পেয়ে নিচে চলে যায় গিয়ে দেখে সবাই নিচে,,,,
তিশাঃ তোমার জন্য এখনও আমরা কেউ বাসে উঠি নাই অইদিকে সবাই চলে গেছে আমরা ছাড়া,,,,
আরিশাঃ ভাবি এতো ক্ষন কি করলে ভাই তো সে কখন আসছে,৷
তিথি আবিরের দিকে রাগী লুক নিয়ে তাকায় যে সে তাকে এইভাবে একা পেলে এসে গেছে,,,,
তিথিঃ আমার ইয়ারিং পাচ্ছি না তাই,,,
আবিরঃ মিথ্যা টা ভালোই পারে এই মেয়ে,,,
তিথিঃ কিছু বললেন?
আবিরঃ না দেরি হচ্ছে চলো,,,,
আহাদঃ আবির ভাই সবাই এতো ক্ষনে অনেক টুকু চলে গেছে আমাদের এখন উঠতে হবে,,,
আমানঃ হ্যাঁ,,,
সবাই বাসে উঠে তিথি একটা চিপস নিয়ে বসে জানালার পাশে,,,বসে বসে খাচ্ছে আর বাহিরে তাকিয়ে আছে,,,
এইদিকে আমান তিশা এক সিটে বসে,,আহাদ আর আরিশা এক সিটে,,,আবির এসে তিথির পাশে বসতে যাবে দেখে তিথি মন অন্য দিকে,,,
আবিরঃ ম্যাডাম মাথা ভিতরে ডুকান জানালা দিয়ে এইভাবে মাথা বের করা উচিত না,,,
তিথিঃ কই করলাম আমি তো দেখতেছি শুধু,,,,
আবিরঃ হুম,,তুমি না নাস্তা করলে একটু আগে তাহলে আবার চিপস কেন খাচ্ছো?
তিথিঃ চিপস এর সাথে নাস্তার কি সম্পর্ক আজিব,,,দেখুন চিপস যখন তখন খাওয়া যায় বুজলেন,,,
আবিরঃ হুম সেটায়,,,
এইদিকে,,,
আমান তিশার হাতটা শক্ত করে ধরে,,,তিশা আমানের ঘাড়ে মাথা রাখে আর বলে
তিশাঃ অনেক ভালোবাসি আমান তোমাকে,,,,
আমানঃ আমিও তুমি জানো না যত দিন তুমি ছিলে না আমার কাছে আমার কত টা কষ্ট হয়েছে মনে হয়েছে জীবন থেকে কি যেন হারিয়ে গেছে যা ছাড়া আমি অসম্পূর্ণ,,,,আল্লাহ জানে কিভাবে কাটিয়েছি অই দিন গুলো আমি,,,
তিশাঃ আমার ও আমান,,জানো নিজের মধ্যে যেন ছিলাম না আমি কিভাবে যে অইখান থেকে আসবো তা ভাবতে ভাবতে শেষ যখন শুনেছি তারা আমাদের অন্য জায়াগায় পাচার করবে জানো কত টা কষ্টে অই সময় গুলো পাড় করলাম,,ভেবেছি হয়তো এই জীবনে আর দেখা হবে না,,কিন্তু তিথি তার জন্য আজ আমি তোমার কাছে আমান,,
আমানঃ হ্যাঁ তিথি সবার থেকে আলাদা,,,নিজের জীবনে যত ঝড় তুফান হোক না কেন সে সব সময় অন্যের সাহায্য করবে সব সময় অন্যের পাশে থাকবে,,
তিশাঃ আবির ভাইয়া অনেক লাকি যে তিথির মত একজন জীবন সাথী পেয়েছে,,
আমানঃ হ্যাঁ কিন্তু চিন্তা এখন আর একটা হচ্ছে আমার৷
তিশাঃ কি নিয়ে?
আমানঃ মায়রা,,,,,
তিশাঃ মায়রা কে??

আমানঃ সাইকো ধরতে গেলে,,,যার জন্য আবিরের লাইফটা অনেক টা হেল হইছে কিভাবে আমরা দুইজন লন্ডনে কাটাইছি ৪ টা বছর অই সাইকোকে নিয়ে আমরা জানি,,,,
তিশাঃ কে সে???
এইদিকে তিথি দাঁড়িয়ে বলে উঠে
তিথিঃ উফফফ সবাই রোমাঞ্চ করতে এতো ব্যস্ত যে সবাই ভুলে গেছে আমরা গাড়িতে একটা গান তো গাওয়া যায়,,,,
আবিরঃ চুপ করে বসো,,,
তিথিঃ ওরা রোমাঞ্চ করছে আমরা তো নয়,,দেখুন আমার বোর লাগছে তাই আমি কাউকে রোমাঞ্চ করতে দিবো না ব্যস,,,
তিথির কথা শুনে সবাই হেসে দেয়,,,
আহাদঃ তিথি ভাবি যা বলেছে একদম রাইট,,,আমরা গান গাইতে পারি
তিথিঃ ইয়ায়াহুউউ
আরিশাঃ ভাই অনেক ভালো গান করে,, আর আহাদ জানিস ভাবিও
আহাদঃ তোর হবু বর লাগি তুই করে কেন বলিস সম্মান দে,,
আরিশাঃ আমিও তোর হবু বউ লাগি আমাকে ও তুই ডাকা অফ কর,,,
তিশাঃ আমি ভেবেছি শুধু আবির ভাইয়া আর তিথি ঝগড়া করে এখানে দেখি আমার ভাইটা আরো বড় ঝগড়াটে,,,
আহাদঃ এই আপু একদম ঝগড়াটে বলবি না,,
আমানঃ আচ্ছা তোমরা চুপ থাকবে আজ আমি গান শুনাবো,,,
তিথিঃ যাক আজ ভালো কিছু শুনতে পারবো,,
আবিরঃ মানে??আমি ভালো কিছু শুনাই না?
তিথিঃ কই শুনান??
আবিরঃ অইদিন রাতে বৃষ্টির মধ্যে কে শুনাইছে৷
সবাইঃ ওহ হো,,,
সবাই এইভাবে বলে উঠাতে আবির তাকিয়ে বলে
আবিরঃ না মানে এমনি,
আমানঃ বুজি বুজি সব বুজি,,,
আবিরঃ একটু বেশি বুজিস সর,,,
সবাই হইহল্লা করে মজা করে গাড়িতে,,,
সময় টুকু পাড় হয়ে যায় সবার মজাতে,,,
বড় বাড়িতে আসে বিশাল বড় বাড়ি যেন প্রাসাদ,,,,তিথি প্রথমে ভাবে এইটা রেস্টুরেন্ট
তিথিঃ এতো বড় রেস্টুরেন্ট আপনাদের?
আবিরঃ না এইটা রেস্টুরেন্ট না,,আমার দাদার বাড়ি যেখানে আমরা আগে থাকতাম কিন্তু চাচা ফুফুরা সবার বিয়ের পর আলাদা হয়ে যাই,,,এই বাড়ির প্রতিটা জিনিস পুরানো দাদার অনেক শখ করে বানানো,,,,
আরিশাঃ জানো ভাবি আমরা সব সময় ছোট বেলায় ছুটে এখানে এসে কাটাতাম,,,দাদা মারা যাওয়ার পর সব কিছু এলো মেলো,,,দাদি আজও এই বাড়ির কথা বলে,,,,
তিথিঃ হ্যাঁ দাদিমা মাঝে মধ্যে বলে,,,
আমানঃ আচ্ছা এখন রাখ এইসব কথা চল,,
সবাই বাড়ির ভিতরে যায়,,,বাড়ির সামনে এক বিশাল বড় সুইমিং পুল,,,বাগান টা বিশাল বড় আর বাগানে একটা দোলনা আছে যেটা অসাধারণ দেখতে,,,বাড়ির ভিতরে যাওয়ার পর রুম গুলো আর বাড়ির জিনিস গুলো দেখে তো সবাই অবাক এতো সুন্দর আর পুরাতন যে মনে হচ্ছে আগের কালের রাজা বাদশাদের প্রাসাদে তারা এসেছে,,,,,
আবিরের মা আর বাকিরা সবাই আড্ডা দিচ্ছে সামনের রুমে,,,
আমানের মাঃ সবাই ফ্রেশ হয়ে আসো,,আজ সবাই ঘোরাফেরা করো কাল থেকে সব অনুষ্ঠান শুরু হবে,,,
আবিরের মাঃ হ্যাঁ বাড়ি সাজানো কাল থেকেই শুরু হবে,,,,আর বাচ্চারা সবাই ফ্রেশ হয়ে নাও সবার জন্য রুম রেডি,,,,
আমানের মাঃ ফ্রেশ হয়ে নে সবাই নাস্তা নিচে বাগানে করিস,,,
সবাই ফ্রেশ হতে চলে যায়,,,
তিথি রুমে গিয়ে হা করে তাকে পুরো রুম এতো অসাধারণ যে বলার বাহিরে,,,বারান্দায় গিয়ে তো আরো অবাক যে বারান্দা থেকে বীচ দেখা যাচ্ছে,,,
তিথিঃ সাগর পাড়???
আবিরঃ হ্যাঁ রাতে আরো সুন্দর লাগে,,,আমি সব সময় এই রুম পছন্দ করি তাই দাদাভাই আমাকে এই রুম দিয়েছে ছোট থেকে এইটা আমার রুম,,,
তিথিঃ এতো সুন্দর
আবিরঃ আরো আছে ছাদে তো আরো সুন্দর করে সাজানো দেখলে যেতে চাইবে না আর,,,,
তিথিঃ এখানে কেন থাকেন না আপনারা,,,,
আবিরঃ কাজের জন্য,,,
তিথিঃ আচ্ছা আমি ফ্রেশ হয়ে আসি,,,
তিথি ফ্রেশ হয়ে আসে,,,,এসে আবিরকে বলে
তিথিঃ প্লিজ আমরা সাগর পাড়ে যাবেন এখন প্লিজ,,,,,
আবিরঃ আচ্ছা আগে সবার সাথে বসে নাস্তা করে নেই তারপর,,
তিথি আর আবির নিচে চলে যায় সবার সাথে নাস্তা করতে থাকে,,,
তিথিঃ কি হলো বলুন,,,
আবিরঃ মা তিথি সাগর পাড়টা ঘুরে আসতে চাচ্ছে?
আবিরের মাঃ হ্যাঁ নিয়ে যা তাড়াতাড়ি এসে যাইস,,,আর আমান তিশা আহাদ আরিশা ও যাও,,,
আবিরঃ ওকে মা,,,
আমানঃ ভাই মনে আছে ছোট বেলায় অইখানে কত খেলতাম,,আর আরু তো কেঁদেই দিতো অল্পতেই
আরিশাঃ ওহ হ্যালো আমি কই কাঁদতাম??
আমানঃ হইছে???
আবিরঃ তোরা ঝগড়া অফ কর আর তাড়াতাড়ি আয়,,,
সবাই সাগর পাড়ে যায়,,,আরিশা তিশা সাগরে নামে আর মজা করে আবির আহাদ আমান ওরা এক পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলছে,,,
আমানঃ তিথি কই??
আবিরঃ হ্যাঁ তাই তো তিথি কই,,,
আহাদঃ অই যে ডাব ওয়ালার অইখানে মনে হচ্ছে ঝগড়া করতেছে,,
আবিরঃ উফফফ এই মেয়েকে নিয়ে আর পারি না আমি,,,
তিথি ডাব ওয়ালারা কাছে এসে ঝগড়া লাগায় এক লোকের সাথে,,,
লোকটিঃ আমি আগে অই ডাব নিচ্ছি আপনি কেন কেড়ে নিলেন,
তিথিঃ ডাব কি তোর বাপের গাছে ধরেছে যে নিতে পারবো না??
লোকটিঃ আপনি ব্যবহার কেন খারাপ করছেন?

তিথিঃ তোর ভাগ্য ভালো যে আমি এই ডাব তোর মাথায় এখনও মারি নাই,,,দেখ মিস্টার মোটা প্যাকেট চুপচাপ এখান থেকে কেটে পড় না হলে এই ডাব খেয়েই আমি তোর মাথায় ঠাসঠুস ভাবে ভাঙ্গবো,,,আর নিজের সাইজ দেখেছিস মনে হচ্ছে পুরো হাতি একটা গিলে খেয়ে এসেছিস এখন
লোকটিঃ এমন অসভ্য মেয়ে আমি বাপের জন্মে দেখি নাই,,,
তিথি এইবার আরো ক্ষেপে যায় ডাব টা অই লোকের মাথার উপর মেরে দিয়ে বলে
তিথিঃ তোর বাপ কেন তোর চৌদ্দগুষ্টি এখন দেখবে এমন মেয়ে,,,
বেচারা লোকটি অইখানে বসে পড়ে মাথায় হাত দিয়ে আর ডাব ওয়ালা প্রচুর ভয় পায় তিথির এমন কান্ড দেখে,,,,এইদিকে আবির আর আমান আহাদ দৌড়ে আসে এসে যা দেখে তার জন্য তারা প্রস্তুত ছিলো না,,,
চলবে,,,,,,,,,

Comments
Write a comment…