বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -3 !! Part- 55

আবির তিথি থেকে বাটিটা কেড়ে নেয়,,,চোখ পুরো লাল,,,ঝালে হাঁফাতে থাকে তিথি,,,,আবির তিথির কাছে গিয়ে তিথির মুখটা টেনে নিয়ে তিথির ঠোঁটে নিজের ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়,,,,,তিথির সব ঝাল যেন আবির নিয়ে নিচ্ছে,,,,তিথি আবিরের ঘাড়ের পিছনে চুল আকড়ে ধরে রাখে,,,,,
কিছু ক্ষন পর আবির তিথিকে ছেড়ে দেয়,,পরম যত্নে তিথির ঠোঁট দুটো আলতো করে মুছতে থাকে,,,,তিথির চোখে আসা পানি গুলো চুমু দিয়ে মুছতে থাকে,,,আবিরের প্রত্যেক স্পর্শে তিথি শিউরে উঠে,,আবির তিথিকে কোলে করে বেডে শুইয়ে দেয়,,,নিজের বুকে টেনে মেয় তার তোতাপাখিকে,,,,
লাইট অফ হওয়ার সাথে সাথেই তারা জ্বলে উঠে তিথি অবাক চাহিতে চেয়ে আছে সাদা বেড বরফ ও পড়ছে আবার তারা ও উপরে লাগানো অনেক সুন্দর লাগছে পুরো রুম,,আবির তিথিকে জড়িয়ে ধরে শক্ত করে আর তিথির কপালে চুমু দিয়ে বলে
আবিরঃ তোতাপাখি
তিথিঃ হুম
আবিরঃ তোমার কি স্বপ্ন?
তিথিঃ কেন?
আবিরঃ খুব ইচ্ছে করছে আজ আমার তোতাপাখির স্বপ্ন গুলো শুনতে চেস্টা করবো পূরন করার ইনশাআল্লাহ
তিথিঃ সত্তিইইই
আবিরঃ উফফ আসতে চিল্লাও তো
তিথিঃ হুহু
আবিরঃ আচ্ছা বলো
তিথিঃ ছোট থেকে আমার একটাই স্বপ্ন (অনেক খুশিতে)
আবিরঃ কি?
তিথিঃ ছোট থেকে স্বপ্ন বিয়ে করা অনেক গুলো ছেলে-মেয়ের মা হওয়া,,,নাতনিদের সাথে হানিমুনে যাওয়া ওদের বিয়ে দেখা আর তো শখ আছে নাতনিদের সাথে হানিমুনে গেলে প্রেম করা
আবির হা করে তাকিয়ে আছে কি বলে এই সব বুজার জন্য,,আবির হাসবে নাকি কাঁদবে কিছু বুজতে পারছে না,,,এই মেয়ের কথায় সে হুশ হারিয়ে ফেলছে
তিথিঃ আরে জানেন খুব শখ আমার জামাই শীতের দিনে সকাল সকাল সাইকেল নিয়ে আমাকে ঘুরতে বের হবে তার সামনে বসবো হাও রোমান্টিক ইসসস
নিজে বলে এতো লজ্জা পাচ্ছে আবির কিছু বলছে না শুধু কান্ড দেখছে তিথির,,,
তিথিঃ কি হলো চুপ যে
আবিরঃ না মানে সিরিয়াসলি?
তিথিঃ কি?
আবিরঃ অনেক গুলো বাচ্চা আবার ওদের বাচ্চার সাথে হানিমুনে যাওয়া আবার অন্য ছেলের সাথে প্রেম সাহস তো কম না
তিথিঃ আমি বলছি প্রেম করমু এই বলি নাই যে অন্য ছেলেদের ওকে,,,আমি আমার জামাই এর সাথে করমু হু
আবিরঃ জ্বি বুজছি
তিথিঃ কি বুজলেন হ্যাঁ
আবিরাঃ কিছু না হু,,,

আবির গাল ফুলিয়ে আছে,,তিথি এসে আবিরের গালে আলতো করে চুমু দেয়,,,
আবিরঃ হইছে এখন আদর দেখাতে হবে না,,,
তিথিঃ তাহলে অন্য কাউকে দেখাবো হুম
আবিরঃ ঠ্যাং এর নলা ও ভেঙ্গে দিবো আপনার ওকে,,চুপচাপ বুকে আসেন
তিথি চুপচাপ আবিরের বুকে শুয়ে পড়ে কিছু বলছে না শুধু মুচকি হাসছে আবির যে তাকে অনেক ভালোবাসে তা সে জানে,,,চোখ বন্ধ করে আবিরের বুকে ঘুমিয়ে পড়ে আর আবির তিথির মাথায় হাত বুলাতে থাকে,,,কপালে আলতো করে চুমু দেয়,,,,
আবিরঃ আজ তোমার জন্য সারপ্রাইজ আছে মিসেস তিতা,
সকালে,,,,
আজ সবাই অনেক ব্যস্ত,,,তিথি ঘুম থেকে উঠে আবিরকে তার পাশে পায় না,,,সব জায়গায় খুজলো কোথাও ছিলো না আবির,,,কিছু টা টেনশন হচ্ছিলো কই যাবে তাকে না বলে,,,এই দিকে বড়রা মিলে হলুদ বাটতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে কেউ গ্রামের কিছু গান গাইছে আবার অল্প বয়সী মেয়েরা নাচতে থাকে,,,রিমান তো সারা বাড়ি মাথায় নিচ্ছে,,,,
রিতুঃ কিরে তিথি আনমনে কি ভাবছিস?
তিথিঃ দেখ না রিতু অই বজ্জাত কই গেলো কে জানে একটু বলেও গেলো না টেনশন হচ্ছে খুব,,
রিতুঃ আরে কাজে আছে মেবি,,এসে যাবে সন্ধ্যার আগে দেখিস,,,
মাঃ তিথি রিতু তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে আসো সবাই অপেক্ষা করছে
রিতুঃ চল তাড়াতাড়ি
তিথিঃ হু,,,
রিতু আর তিথি রেডি হয়ে আসে,,,কাঁচা হলুদ কালারের শাড়ি,,,শাড়ির কাচাটা সবুজ,,,চুল গুলো খোপা করা কোনো সাজ নাই মুখে,,,দুইজনকে সুন্দর লাগছে অনেকটায়,,,,তিথির আর রিতুর গায়ে একটা গামছা দেয় তারপর তাদের বসিয়ে সবাই হলুদ লাগাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে,,হাসাহাসি তো চলছেই গান বাজনা সব কিছু হচ্ছে কিন্তু তিথির মনটা কেমন যেন অস্তির হয়ে আছে,,,বারবার ফোনের দিকে তাকাচ্ছে আবির কল দিচ্ছে কি না মেসেজ এর রিপ্লাই দিচ্ছে কি না,,এই সব ভাবছে,,,
হঠাৎ বেজে উঠে অনেক জোরে ঢোলের আওয়াজ সব মেয়েরা তো দৌড়ে বের হয় তিথির মনে একটু শান্তি আসে এই ভেবে হয়তো এইটা আবির,,তার তো কাজেই এইসব করা,,,ঢোলের আওয়াজ এইবার আরো জোরে আসে,,আমান ঢোল বাজাচ্ছে সাথে রিশাব আর আবিরের বাবা বড় বাবা ওরা,,,কিন্তু আবিরকে কোথাও দেখছে না আবার ছোট হয় মনটা
তিথিঃ আমান ভাইয়া একটু এইদিকে আসবেন
আমানঃ হ্যাঁ তিথি বলো
তিথিঃ বলছি কি উনি কোথায়?
আমানঃ কে আবির?
তিথিঃ জ্বি আপনাদের সাথে আসে নাই পরে আসবে কি?
আমানঃ আমাদের সাথে তো সে ছিলো না আমায় বলছে তার কি যেন কাজ আছে তাই সে একটু বাহিরে গেছে এসে যাবে দেখিও
তিথি আর কিছু বলে না,,আমান হাত টেনে তিথিকে ও নিয়ে যায় নাচতে সবাই নাচে ব্যস্ত হয়ে পড়ে,,,,এক আনন্দের উৎসব মেতে উঠে আজ,,,,
দুপুর ঘনিয়ে সন্ধ্যা হয়ে আসে,পার্লারের মেয়েরা তিথি আর রিতুকে রেডি করে দেয়,,,,সবাই রেডি তিথির প্রচুর কান্না পাচ্ছে এই ভেবে আবির কোথায় আছে ঠিক আছে কি না,,,,,

মাঃ তিথি কি হলো চোখে পানি কেন?
তিথি মাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেয় আর বলে
তিথিঃ আম্মু উনি সে সকালে বেত হইছে কই গেছে জানি না এখনও আসছে না,,,কল দিচ্ছি ধরছে না মেসেজ এর রিপ্লাই দিচ্ছে না আমার খুব টেনশন হচ্ছে আম্মু
মাঃ আরে পাগলী মেয়ে এসে যাবে কাঁদিস না,,আজ আসুক অই বদমাশ ওর কান ছিড়ে ফেলবো আমার মেয়েটার সাজ নষ্ট করছে এই জন্য হুম
মা তো তিথিকে শান্তনা দেয় কিন্তু তার মনে ও যে ভয় কাজ করছে আবির কোথায় আসলে,,,,,
হলুদের অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যায়,,,কিছু শিল্পী আসে তারা গান গাইছে আবার মেয়েরা নাচছে,,,,,স্টেজে রিতুর সাথে আমান বসে আছে কিন্তু তিথি একা এই নিয়ে কিছু লোক কথা ও বলাবলি করছে,,, তিথি আবার কল দেয় কিন্তু এইবার ও আবির ধরে নাই,,,,
অনেক ক্ষন পর মা বলে উঠে
মাঃ অই তো আবির,,,,
তিথি আবিরকে দেখে খুশিতে দৌড়ে যায় আর জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেয়,,,তার কান্নার আওয়াজ বেড়ে যায় এতো ক্ষন তো আস্তে করে কাঁদছিলো এইবার আওয়াজ করে,,,সবাই অবাক গান অফ করে দেয়,,
আবিরঃ অই পাগলী কান্না করছো কেন?
তিথিঃ কই ছিলেন আপনি হ্যাঁ আমার কত টেনশন হচ্ছে আর আপনি
আবির তিথিকে তুলে তিথির চোখের পানি মুছে দিয়ে বলে
আবিরঃ মেকাপ সব নষ্ট করলে পুরো পেত্নী লাগছে এখন
সবাই এসে দেয় এমন কথায়,,,মা এসে আবিরের কান ধরে বলে
মাঃ বদমাশ ছেলে কই ছিলি হুম,,
আবিরঃ উফফ লাগছে আম্মু,,আচ্ছা ওয়েট দেখাচ্ছি কই ছিলাম
আবিরঃ আসেন
পিছন থেকে এক জন লোক এগিয়ে আসে,,,কোর্ট পড়া বুজাই যাচ্ছে দেশের বাহির থেকে আসছে এমন গেট আফ তার,,,,মামানি এগিয়ে এসে বলে
মামানিঃ ভাই সাহেব আপনি?
তিথিঃ কে উনি মামানি?
মামানিঃ তোর বাবা,,
তিথি শুধু তাকিয়ে আছে কিছু বলছে না লোকটি তিথির দিকে তাকিয়ে থাকে তিথি দৌড়ে চলে যায় রুমে,,,,, মামানি যেতে লাগে তখন আবির বাঁধা দেয়
আবিরঃ আজ বাবা মেয়েকে তাদের সব ভুল ভাঙ্গতে দাও মামানি,,আংকেল আপনি যান আপনার মেয়েকে মানিয়ে নেন,,
তিথির বাবা রুমে যায় গিয়ে দেখে তিথি একটা ছবি বুকে জড়িয়ে কাঁদছে পাশে বসে,,,
তিথির বাবাঃ জানি ক্ষমার যোগ্য না আমি,,,তোর মা মরে যাওয়ার পর আমি হতাশ হয়ে গেছি,,,অনেক একা লাগছিলো নিজের একান্তটা শেষ করতে সব ছেড়ে চলে যাই তোকে ও রেখে যাই তোর মামা মামির কাছে,
তিথিঃ,,,,,,,,,,,
তিথির বাবাঃ পরে নিজের ভুল বুজি তোকে কত নিতে চেয়েছি তুই যাস নাই,,কিছু দিন আগে আবিরের কল আসে সে সব বলে বিশ্বাস কর তখন মনে হয়েছে আমাকে আর একটা সুযোগ দিচ্ছে আল্লাহ তাই কিছু না ভেবেই এসে গেছি,,,আমায় প্লিজ ক্ষমা করে দে
তিথিঃ,,,,,,,,,
তিথির বাবাঃ জানি অনেক রাগ লাগছে বকা দে আমায় কিছু বল তবুও প্লিজ চুপ করে তাকিস না,,,আমার সব ভুলের শাস্তি পেতে আমি রাজি তবুও আমায় ক্ষমা করে দে মা প্লিজ
তিথি হুট করে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেয়,,
তিথিঃ আমায় ছেড়ে আর যেও না প্লিজ বাবা
বাবা ডাক শুনে তিথির বাবা কেঁদে উঠে এই ডাক শুনার জন্য কত অপেক্ষা করছে,,বাবা মেয়ে কান্না করতে থাকে বাহিরে সবাই দাঁড়িয়ে ছিলো প্রায় অনেক ক্ষন পর পরিবেশ টা একটু ঠান্ডা হলো তিথির বাবা তিথির চোখের পানি মুছে দিয়ে বলে
তিথির বাবাঃ সব মেকাপ তো নষ্ট হয়ে গেলো এখন যদি সবাই তোকে ভুঁত ভেবে পালিয়ে যায় অনুষ্ঠান থেকে,,,
তিথি হেসে দেয়,,,আর বাহিরে যারা আছে সবাই,,,সবার আওয়াজ পেয়ে তিথি আর তার বাবা বাহিরে তাকায়,,,আর সবাই কে দেখে উঠে দাঁড়ায়,,
আবিরঃঅনুষ্ঠানে সবাই অপেক্ষা করছে তোমার জন্য তিথি,,,
তিথির বাবা আবিরকে জড়িয়ে ধরে বলে
তিথির বাবাঃ আমার মেয়ে অনেক ভাগ্যবতী তোমার মত জীবন সাথী পেয়ে,,,,কি বলে ধন্যবাদ জানাবো বুজছি না
আবিরঃ ধন্যবাদ দিতে হবে না শুধু আপনার অই ঝগড়াটি এলিয়েন মেয়েটাকে দিলেই হবে
তিথিঃ কে ঝগড়া এলিয়েন হু আপনি একটা বিপজ্জনক রাক্ষস এনাকন্ডা উফস সরি বজ্জাত এনাকন্ডা হুম
মাঃ তোদের ঝগড়া পড়ে জরিস এখন আয় সবাই অপেক্ষা করছে আর তিথি তোকে রেশমি রেডি করে দিবে আর বাকিরা চলেন প্লিজ
সবাই চলে যায় আবির রেশমিকে বলে
আবিরঃআপ্পি ৫ মিনিট প্লিজ
রেশমিঃ ওকে ওকে তুইও কি মনে রাখবি হুস
আবির দরজা লাগিয়ে তিথির কাছে এসে বলে
আবিরঃ একদিন মানা করছি মা কান্না করবে না এই চোখ দুটোতে যেন পানি না আসে তাহলে কাঁদলে কেন হ্যাঁ
তিথি আবিরের বুকে ঘুষি দেয় কয়েকটা আর রাগে বলে
তিথিঃ আপনি অনেক বাজে অনেক আমাকে খালি কষ্ট দেন,,কত চিন্তা হচ্ছিলো জানেন আপনি একটা মেসেজ এর রিপ্লাই তো দিতে পারতেন আর আপনি কিনা,,,
আবিরঃ অই পাগলী আম সরি ফোন সাইলেন্ট ছিলো তাই জানি না, আর আমি তো আমার তোতাপাখির খুশি নিয়ে আসতে গেছি,,
তিথি আবিরকে জড়িয়ে ধরে
তিথিঃ আপনি যেখানেই যান না কেন প্লিজ আমাকে বলে যাইয়েন প্লিজ
আবিরঃ সরি আর এমন ভুল হবে না প্রমেস,,,
রেশমিঃ ওই তোদের রোমাঞ্চ শেষ হলে সর,,আমি তিথিকে তাড়াতাড়ি রেডি করে দেই,,,
আবিরঃ এমন বোন থাকলে শত্রুর কি দরকার হু,,,বউয়ের সাথে রোমাঞ্চ ও করতে দেয় না উফফ,,,
তিথিঃ হু যান এখন আমার মেকাপ আল্লাহ
আবিরঃ পুরো শাতঁচুন্নি পেত্নী লাগছে,, হাহা
তিথিঃ আপনি একটা,,

আবিরঃ জানি অনেক কিউট অনেক ভালো আর সত্যি কথা বলি
আবির এই বলে দৌড়ে চলে তিথির প্রচুর রাগ লাগছে আবির শুধু তার পিছনে লেগে থাকে৷, রেশমি তিথির মেকাপ ঠিক করে দেয়,,আবার সবাই অনুষ্ঠানে যোগ দেয়,,,নাচ গান সব হয়,,আবির তো বুকের বাম পাশে হাত রাখে তিথিকে দেখে তিথির কাছে এসে বলে
আবিরঃ আজ তোমায় অনেক
তিথিঃ পেত্নী লাগছে আর কি তাই না (চোখ গুলো ছোট ছোট করে)
আবির হেসে দেয় আর বলে উঠে
আবিরঃ মোটেও না আমার তোতাপাখিকে অনেক সুন্দর লাগছে বুজলেন
তিথিঃ হু বুজছি,,,
হলুদের অনুষ্ঠানে সবাই নাচ গানে মেতে উঠে,,আজ তিথি অনেক খুশি এই ভেবে যে তার বাবা ও আছে তার বিয়েতে এখন,,,,
বিয়ের দিন,,,,,,
আজ আবির তিথির আমান রিতুর বিয়ে,,কাজ তো হবেই বাড়িতে সব কিছু বেস্ট যে করতে হবে,,,,,আবির তিথির কাছে যেতে ও পারছে না বড় মায়ের মানা আজ যাতে তিথি আর রিতুর সাথে আবির আমান একদম দেখা না করে একদম বিয়ের দিন,,,,আবির তো তার তোতাপাখিকে না দেখে থাকতে পারে না,,কত চেস্টা করছে দেখা করতে কিন্তু ব্যর্থ হয় বারবার,,,
চলবে,,,,,,