বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -3 !! Part- 43
আবিরঃ(এলিয়েন কি আর এননি এমনি বলি,,কি কি নাম দেয় এই মেয়ে আল্লাহ জানে আমার কি অবস্থা করে এই সব নাম দিয়ে দিয়ে)
তিথিঃ শুনছেন আপনি
আবিরঃ হুম বলো?
তিথিঃ প্লিজ আমি বের হই প্লিজ
আবিরঃ কেউ কি ধরে রাখছে তোমায়?
তিথিঃ আপনি কিছু করবেন না তো?
আবিরঃ তা জানি না,,এখন বের হও আমি অফিসে যাবো
তিথি বের হয় আর উঁকি দেয়,,
আবিরঃ সামনে আসো
তিথিঃ আগে বলেন কিছু করবেন না
আবিরঃ তিথি সামনে আসবে কি না(একটু জোরে ধমক দিয়ে)
তিথি কিছু টা ঘাবড়ে যায় আবিরের সামনে আসে,,,আবির তিথির সামনে গিয়ে বলে
আবিরঃ ওই পাগলী এতো ভয় পাও কেন হুম
তিথিঃ আপনি যে বললেন আপনি আমায় কামড় দিবেন তাই
আবিরঃ হাহা তাই নাকি?
তিথিঃ হু
আবিরঃ আচ্ছা যাও ছেড়ে দিলাম,,যাও কিছু করবো না এখন টাই টা বেঁধে দাও
তিথিঃ আচ্ছা আমি দিচ্ছি
তিথি আবিরের অনেক টা কাছে আসে টাই টা বাঁধতে থাকে,,আবির তিথির কোমড় ধরে নিজের কাছে টেনে নেয়,,তিথি আমতা আমতা করে বলে
তিথিঃ কি কর,,ছেন কি?
আবিরঃ আমার যা ইচ্ছে তা করছি আমার বউয়ের সাথে এতে তোমার কি হুম
তিথিঃ হু
আবির তিথির গাল ধরে টানছে তিথির গালে হুট করে কিস দিচ্ছে,,তিথি টাই টাও ঠিক করে বাঁধতে পারছে না,,আবিরের এমন ফাজলামি দেখে তিথি রেগে বলে
তিথিঃ ওই বজ্জাত এনাকন্ডা এমন কেন করছেন হুম
আবিরঃ বাহা আমার বউ দেখি ধমক দিয়ে কথা ও জানে,,,
তিথিঃ হু আপনার টাই বাঁধা শেষ এই বার ছাড়ুন নিচে যেতে হবে
আবিরঃ না ছাড়বো না
তিথিঃ প্লিজ ছাড়ুন
আবিরঃ ছাড়বো শর্ত আছে
তিথিঃ আবার কি?
আবিরঃ কিস করতে হবে এখানে (ঠোঁটে ইশারা করে)
তিথিঃ না করবো না
আবিরঃ তাহলে ছাড়বো ও না
তিথিঃ উফফ কি অসহ্য রে বাবা
আবিরঃ যাই ভাবেন ম্যাডাম এখন আপনি আমাকে কিস না করে যেতে পারবেন না,,
তিথির আর কি করার আবিরকে কিস করতে যাচ্ছে ওমন সময় রিতু আসে
রিতুঃ সরি আমি কিছু দেখি নাই(চোখে হাত দিয়ে)
তিথি তাড়াতাড়ি সর যায় আবিরও নিজের টাই টা ঠিক করতে থাকে,,রিতু চোখ থেকে হাত একটু ফাঁক করে জিজ্ঞেস করে
রিতুঃ আমি কি হাত সরাতে পারি?
আবিরঃ হ্যাঁ সরাও শালিকা,,এসে তো রোমাঞ্চের বারটা বাজিয়ে দিলে হু
রিতুঃ সো সরি জিজাজু,,আমি কি জানতাম নাকি যে তোমরা কি করছো (জিভে কামড় দিয়ে)
তিথি রিতুর কান ধরে বলে
তিথিঃ ফাজলামি হচ্ছে হুম?
রিতুঃ যা বাবা তুই করলে ঠিক আমি করলেই দোষ হু
তিথিঃ কানের নিচে কষে চড় দিমু তখন বুজবি
রিতুঃ আচ্ছা তাই,,,
আবিরঃ আচ্ছা তোমরা কথা বলো আমার কিছু কাজ আছে অফিস যেতে হবে,,
রিতুঃ আবির তোমার সাথে কিছু কথা আছে
আবিরঃ ওকে বলো
রিতুঃ তিথি তোকে আন্টি আর মামানি ডেকেছিলো বলতে ভুলে গেছি,,আমি আবিরের সাথে কিছু কথা বলে নেই কেমন
তিথি চলে যায় আবির রিতুকে বলে
আবিরঃ তুমি ইচ্ছে করে তিথিকে পাঠিয়ে দিলে তাই না?
রিতুঃ হুম আমি চাই না সে আবার কষ্ট পাক
আবিরঃ কিসে?
রিতুঃ সব সত্যি তুমি আর তিথি জেনে গেলে,,তোমাদের মধ্যে ধরতে গেলে,,কিন্তু
আবিরঃ কিন্তু কি?
রিতুঃ নিয়া আর শিহাব?
আবিরঃ শিহাব কোথায় আমি জানি না,,আর নিয়ার ব্যবস্থা আমি করবো এই নিয়ে চিন্তার কিছু নেই,,,
রিতুঃ আবির নিয়া অনেক ডেঞ্জারাস,,আমি ওর স্ব রুপ দেখেছি যা ভাবতে ও পারবে না,,,সে তিথির ক্ষতি করতে একটু ও ভাববে না,,,
আবিরঃ তিথি একা না রিতু,,,তিথির সাথে তার হাজবেন্ড আছে,,,আর নিয়ার ওই সাহস টুকু হবে না তিথির কথাও চিন্তা করার,,,
রিতুঃ যাই করবে ভেবে করিও,,,আর একটা রিকুয়েস্ট
আবিরঃ কি?
রিতুঃ রিমানের ব্যাপারে যাতে কেউ না জানে প্লিজ,,
আবিরঃ চিন্তা করিও না রিতু,,রিমানের ব্যাপারে কিছু কেউ জানবে না,,
রিতুঃ ধন্যবাদ,,,
আবিরঃ আচ্ছা আমি কাজ সেরে আসি,,তুমি তিথির সাথে গল্প করো তাহলে
আবির নিচে নেমে যায়,,গিয়ে দেখে তিথি মামানির সাথে হেসে হেসে কথা বলছে,,,আবিরের চোখে চোখ পড়ায় আবার চোখ সরিয়ে নেয়,
আবিরঃ তিথি একটু বাহিরে আসবে
তিথিঃ(বাহিরে কিছু করতে পারবে না,দেখি কেন ডাকছে জনাব,)
আবিরঃ কি হলো আসো
তিথিঃ আসছি এখনই
আবিরের পিছনে পিছনে তিথি যায়,,আবির গাড়ির দরজা খুলে তিথিকে ভিতরে বসায়,,,
তিথিঃ আ,,মি এখন কই যাবো?
আবির কিছু না বলে সেও গাড়িতে গিয়ে বসে,,,তিথি বের হতে লাগে আবির হাত ধরে টেনে নেয়
তিথিঃ আমি বাসায় যাবো
আবিরঃ হ্যাঁ যাবে তো
তিথিঃ তাহলে যেতে দেন,,,,
আবিরঃ তোমার কাজ টা তো অর্ধেক রয়ে গেলো আগে শেষ করো তারপর,
তিথিঃ মা,,মানে?
আবিরঃ বুজছি আমার টা আমাকে আদায় করতে হবে,,তুমি তো আর নিজে থেকে দিবে না তাহলে আর কি আমকেই আমার টা নিতে হবে
তিথিঃ কিইই?
আবির আর তিথিকে কিছু বুজার সুযোগ দেয় না,,তিথির মাথার পিছনে হাত রেখে নিজের দিকে টেনে নেয়,,আর তিথির ঠোঁটে ডুবে যায়,,তিথি তার চোখ দুটো মারবেল এর মত বড় বড় করে হুট করে কি হলো সে বুজতে ও পারে নাই,,,,আবির কিছু ক্ষন পর তিথিকে ছেড়ে দেয় তিথি ড্যাবড্যাবিয়ে তাকিয়ে আছে আবিরের দিকে
আবিরঃ আহা কি মিষ্টি
তিথিঃ হেএএ
আবিরঃ আবার কি খাবো মিষ্টি
তিথি তাড়াতাড়ি তার মুখে হাত দিয়ে বলে
তিথিঃ না না না
আবিরঃ হাহা আচ্ছা তো কেমন লাগলো
তিথিঃ ছিই
আবিরঃ ছি মানে?
তিথিঃ মানে আপনার কল্লা বজ্জাত এনাকন্ডা
তিথি তাড়াতাড়ি গাড়ির দরজা খুলে পালিয়ে যায়,,,এই দিকে আবির হাসতে থাকে তিথির দৌড়ানি দেখে,,,আবির চলে যায় তিথি সোজা নিজের রুমে,,,লজ্জায় মুখ লাল করে ফেলে,,,আয়নায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাবছে আর ব্লাশিং হচ্ছে,,,,সব কিছু যে আস্তে আস্তে ঠিক হচ্ছে এই ভেবে,,,
এই দিকে আবির কিছু টা রেগে একটা বাড়ির সামনে আসে,,,গাড়ির দরজা খুলে বাড়িরটার ভিতরে যায়,,,একটু চিৎকার করে বলে
আবিরঃ নিয়া নিয়া নিচে আসো
আয়নার সামনে সাজগোজ করতে ব্যস্ত নিয়া,,আবিরের ডাক শুনে তো সে খুশিতে আত্নহারা হয়ে উঠে,,,আবির তার বাড়িতে তাকে ডাকছে এই ভেবে সে খুশিতে লাফাতে থাকে,,
নিয়ার মাঃ আরে আবির তুমি,,,বসো
আবিরঃ আমি বসতে আসি নাই মিসেস খান,,,নিয়ার সাথে কিছু কথা আছে ডাকুন ওকে,,
নিয়ার মাঃ সাহেদ নিয়াকে ডেকে আন,,,বল আবির আসছে
নিয়ার বাবাঃ আবির কেমন আছো মাই সান
আবিরঃ আই এম ফাইন আংকেল,,,
নিয়ার বাবাঃ প্লিজ সিট
আবিরঃ আমি বসতে আসি নাই আংকেল কিছু কথা আছে আর নিয়াকে কিছু দেওয়ার ও
নিয়া দৌড়ে আসে আবিরকে দেখে তো তার মুখে ঝলক ফুটে উঠে,,,সিড়ি দিয়ে তাড়াতাড়ি করে নেমে এসে আবিরকে জড়িয়ে ধরে
নিয়াঃ আই মিস ইউ সো মাচ,,,ফাইনালি তুমি আমার কাছে আসলে আই এম সো হেপ্পি
আবির নিয়াকে টান মেরে সরিয়ে দেয়,,,রাগে তো আবিরের চোখ দুটো লাল হয়ে আছে,,,কষে এক চড় লাগিয়ে ফেয় নিয়ার ওই মেকাপ করা মুখে,,,সবাই থতমত খেয়ে যায়,,,নিয়ার বাবা ধমক এর সুরে বলে
নিয়ার বাবাঃ হাউ ডের ইউ আবির
নিয়া হাত দিয়ে ইশারা করে কিছু না বলতে,,,আবিরের গালে হাত রেখে বলে
নিয়াঃ তুমি আমায় মারলে আবির?ইউ নো না হাউ মাচ আই লাভ ইউ
আবির আর একটা থাপ্পর লাগিয়ে দেয়,,,নিয়া ব্যালেন্স হারিয়ে নিচে পড়ে যায়,,,নিয়ার বাবা কিছু বলতে আসবে তখনই আবির বলে উঠে
আবিরঃ মেয়েকে সঠিক শিক্ষা দেওয়া শিখুন,,,বেশি আদরে অতিরিক্ত বাদর আর বেয়াদব বানিয়ে ফেলছেন,,,আপনার মেয়ে এতো টা নিচে নেমে গেছে যে একটা মেয়ের সম্মান নিয়ে পর্যন্ত সে খেলেছে,,,
নিয়ার বাবাঃ বলতে কি চাও তুমি আবির?
নিয়া গালে হাত দিয়ে উঠে বলে
নিয়াঃ পাপ্পা প্লিজ সাইট,,,
নিয়া আবিরের কাছে গিয়ে বলে
নিয়াঃ আ,,মি কি করেছি আবির?
আবিরঃ লজ্জা বলতে নাই তা তো জানতাম কিন্তু তোমার মত এমন মেয়ে আমার ফ্রেন্ড হবে ভাবতে আজ আমার নিজের লজ্জা লাগছে,,,,নিয়া তুমি এতো টা নিচে নামতে পারো ভাবতে ঘৃনা হয় এই ভেবে যে তোমায় আমি বন্ধু ভাবতাম আর তুমি কি না
নিয়ার মাঃ কি করেছে নিয়া তা বলো আবির,,,
আবিরঃ শুনতে পারবেন তো আপনার এই আদরের নেয়ে আসলে কি করেছে?
নিয়াঃ হ্যাঁ আমি জানতে চাই আমি কি করেছি,,,
আবির সব খুলে বলে নিয়ার মা বাবাকে,,,নিয়ার মা সোফায় বসে পড়ে এই ভেবে যে তার মেয়ে এতো টা নিচে নেমে গেছে,,নিয়া পুরো শকড হয়ে যায় আবির এই সব কিছু কি ভাবে জানছে,,
নিয়াঃ সব মিথ্যা আবির সব কিছু মিথ্যা,, আমি কিছু করি নাই বিশ্বাস করো সব কিছু ওই রিতু আর শিহাব করেছে আমার কোনো হাত ছিলো না,,
আবিরঃ রেলি?এতো টা মাসুম তুমি যে তুমি কিছুই করো নাই?
নিয়া আবিরের হাত ধরে বলে
নিয়াঃ আমি তোমায় খুব ভালোবাসি আবির খুব,,,সে কলেজ লাইফ থেকে তুমি আমায় পাত্তা পর্যন্ত দিতে না,,,,আর ওই তিথি মাত্র ভার্সিটিতে না আসতেই তুমি ওকে লাভ করে বসলে আমি সহ্য করতে পারি নাই,
আবিরঃ নিজেকে আয়নায় কখনো দেখেছিলে নিয়া?কেন তোমায় কেউ লাভ করে না?এই না যে তুমি সুন্দর না তোমার মধ্যে অহংকার বেশি তোমার এই রুপ সম্পদ নিয়ে,,,
নিয়া প্রচুর রেগে যায় আবিরের কলার চেপে ধরে বলে
নিয়াঃ ওই তিথির মধ্যে এমন কি আছে যা আমার মধ্যে নেই,,ওই মেয়ে তো একটা,,,,,,,,
আবির একটা ধাক্কা দিয়ে নিয়াকে আবার থাপ্পর দেয়,,,
আবিরঃ আমার তিথির বাম মুখে নিলেও আমি তোমার জিভ ছিড়ে ফেলবো,,,মেয়ে বলে বেঁচে যাবে কখনো না,,,তোমার মত ছোট মনের মেয়েকে দেখতে ও চাই না আমি,,আমার আর তিথি থেকে দূরে থাকবে,,,,তিথির আশেপাশে ও দেখলে তোমায় আমি কি করবো নিজে ও জানি না,,,
নিয়াঃ হাউ ডের ইউ আবির,,,,,আমার বাড়িতে এসে ওই দুই টাকার মেয়ের জন্য আমাকে থাপ্পর মারলে
আবিরঃ মনে হয় তিনটা থাপ্পড়ে কিছু হয় নাই,,আরো কয়েকটা কষে দিতে হবে বুজছি,,,
নিয়ার বাবাঃ আমার মেয়ের গায়ে আহ পর্যন্ত আমি ফুলের টুকা দেই নাই আর তুমি আমার বাড়িতে এসে আমার মেয়েকে থাপ্পড় মারলে সাহস হয় কি করে তোমার
আবিরঃ সাহসের এখনও দেখলেন কি আপনি? আমার ওয়াইফের আশেপাশে যদি আপনার মেয়েকে দেখি তাহলে সাহস কি তা দেখবেন,,আর হ্যাঁ যে থাপ্পড় গুলো আমি দিয়েছিলাম না আপনার মেয়েকে তা আপনার দেওয়া উচিত ছিলো একটা মেয়ে হয়ে অন্য একটা মেয়ের সম্মান নিয়ে খেলার জন্য,,,,
নিয়া কেঁদে কেঁদে আবিরের কাছে যায়
নিয়াঃ আম সরি আন সো সরি,,আমি আর নেক্সট টাইম এমন কিছু করবো না প্লিজ আমায় দূরে সরিয়ে দিয়ো না আমি পারবো না বাঁচতে তোমায় ছাড়া,,প্লিজ আমায় ছেড়ে যেও না আবির প্লিজ
আবিরঃ নিয়া আর ইউ রেলি মেড?এতো কিছু হওয়ার পর ভাবলে কি চাবে যে তোমার মুখ আমি দেখবো,,,আমার সামনে তো দুরে থাক আশেপাশে ও যাতে না দেখি,,
আবির ওই খান থেকে চলে যায় নিয়া চিৎকার করে কান্না করে আর আভিরকে ডাকে আবির শুনে না,,,রাগে নিজের রুমে দৌদৌড়ে চলে যায় নিয়ার বাবা-মা ও দৌদৌড়ে যায়,,নিয়া রুমের দরজা লাগিয়ে দেয়,,রুমের সব জিনিস ভেঙ্গে ফেলে আর চিৎকার করে বলে
নিয়াঃ তুমি শুধু আমার আবির শুধু আমার,,,
আয়নায় ফুলের ভাস মেরে দেয় আয়নায় ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে নিচে পড়ে,,এক টুকরো নিয়ে হাত কেটে ফেলে নিয়া আর চিৎকার করে বলে
নিয়াঃ তোমায় ছাড়া আমি বাঁচবো না,,,, শেষ করে দিবো আমি নিজেকে,,,
নিয়ার বাবা দরজায় প্রচুর বারি দেয় খুলেছে না নিয়া ভয়ে বাড়ির দাড়োয়ান কাজের লোক দিয়ে দরজা ভাঙ্গায় দরজা খুলে দেখে নিয়া পড়ে আছে নিচে ঘরের সব জিনিস ভাঙ্গচুর করে রেখেছে,,,হাত থেকে রক্ত পড়ছে,,
নিয়ার বাবাঃ এই টা কি করলি বেবী
নিয়াঃ পাপ্পা আমি আবিরকে চাই,,আবিরকে ছাড়া আমি বাঁচবো না,,,
নিয়ার বাবাঃ আবির শুধু তোমার হবে বেবী,,চিন্তা করিও না,, কে কোথায় আছিস ধর ওকে মেডিকেল নিতে হবে,,
এই দিকে তিথি রিতুর সাথে অনেক গল্প করে,,রিমানের কিছু ছবি দেখতে থাকে এলবামে,,,আমান রুমে এসে দেখে তিথি আর রিতু গল্প করছে তাই আর তাদের ডিস্টার্ব করে নাই চলে যায়,,,
এই দিকে আবির অফিসে চলে যায় কাজ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে,,,,খুব ইচ্ছে করছে তিথিকে দেখতে তাই ভিডিও কল দেয় কিন্তু তিথির ফোন নিজের রুমে রেখে রিতুর সাথে গল্প ব্যস্ত তাই আর ধরে নাই,,,আবির অফিস থেকে বের হয়ে যায়,,,,আমানকে কল দেয় আর কিছু কথা বলে তারা,,
সন্ধ্যার সময় একটা প্যাকেট তিথির রুমে রাখা থাকে,তিথি প্যাকেটটা দেখে কিছু টা অবাক হয় এইটা কে রেখেছে ভেবে,
তিথিঃ না না তিথি এই প্যাকেট খুলিস না যদি বোম থাকে তাহলে
রিতুঃ কিরে তোকে খুজছি তুই এখানে,, আর হাতে কি
তিথিঃ জানি না প্যাকেটটা এখানে পড়ে আছে
রিতুঃ খুলে দেখ
তিথিঃ না বাবা যদি বোম থাকে তাহলে
রিতু তিথির মাথায় হালকা বারি দিয়ে বলে
রিতুঃ ছাগল ওই খানে চিঠি একটা পড়ে আছে দেখিস না,ওই টা পড় তারপর বুজছি কে দিচ্ছে
তিথি চিঠিটা খুলে দেখে আবির লেখা সেখানে,,তখনই ফোনটা বেজে উঠে তিথি ফোন টা রিসিভ করে বলে
তিথিঃ জ্বি বলুন
আবিরঃ প্যাকেট টা খুলেছিলে?
তিথিঃ না আসলে আমি ভেবেছিলাম সেখানে বোম হবে তাই
আবিরঃ তোমাকে মাথার উপর থেকে আছাড় মারা দরকার ফাজিল মেয়ে একটা,,চুপচাপ প্যাকেট খুলো
তিথিঃ তাই বলে ধমক কেন দিচ্ছেন?
আবিরঃ যা বলছি তা কি করবেন আপনি নাকি না
তিথি ফোন টা রিতুর হাতে দিয়ে প্যাকেট টা খুলে
তিথিঃ বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম,,হে আল্লাহ আজ যদি কিছু হয় তাহলে
তিথির এমন ফেস দেখে আর কথা শুনে রিতু হাসতে হাসতে শেষ এই দিকে আবির তিতবির কথা শুনে,,
আবিরঃ এই কেমন বউ জুটলো আমার কপালে আল্লাহ,,, কি মেয়েরে বাবা
তিথি প্যাকেট খুলে দেখে একটা কালো শাড়ি আর কালো কাচের চুড়ি এক পাতা কালো টিপ,,রিতু তিথিকে ফোন টা দেয়
আবিরঃ এক ঘন্টা সময় তোমার হাতে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নাও আমি গাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছি এসে যাবে
তিথিঃ কিন্তু কোথায় যাবো?
আবিরঃ যা বলেছি তা করো প্রশ্ন করতে বলি নাই,,রিতুকে দাও
রিতুঃ হ্যাঁ আবির বলো
আবিরঃ প্লিজ এই এলিয়েন টা একটু রেডি করে পাঠিয়ে দাও,,এই মেয়ে বকবক করতে করতে আজকের সব প্লেন আমার মাঠি করবে প্লিজ অল রেডি করে পাঠিয়ে দাও
রিতুঃ ওকে চিন্তা করিও না সময় মত তিথি যাবে
রিতু ফোন টা রেখে তিথিকে রেডি করতে ব্যস্ত হয়ে যায়,, তিথি কালো শাড়ি পড়ে সাথে কালো কাচের চুড়ি আর কালো টিপ,,হালকা সাজ,,চুল গুলো খোলা দেখতে মাশাল্লাহ সুন্দর লাগছে,,,
চলবে,,,,,,,,