বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -3 !! Part- 44

রিতু ফোন টা রেখে তিথিকে রেডি করতে ব্যস্ত হয়ে যায়,, তিথি কালো শাড়ি পড়ে সাথে কালো কাচের চুড়ি আর কালো টিপ,,হালকা সাজ,,চুল গুলো খোলা দেখতে মাশাল্লাহ সুন্দর লাগছে,,,
রিতুঃ বাহা আজ তো তোকে অনেক সুন্দর লাগছে,,আবির তো আজ নজর ফিরাতে পারবেও না,,,
তিথিঃ হুম হয়ছে আর কিছু বলবি?
রিতুঃ বাই দ্যা ওয়ে তোর আর আবিরের মধ্যে সব ঠিক আছে তো
তিথিঃ হুম ঠিক আছে কেন?
রিতুঃ ঠিক থাকলে ভালো,,আচ্ছা চল চল লেট হচ্ছে আবির পরে আমাকে বকবে বলবে তার সুন্দরী বউকে আমি লেট করাইছি
তিথিঃহাহা হারামি
তিথি হেসে দেয় রিতুর কথায়,,,তিথি বের হয়ে যায় বাড়ি থেকে,,,বাড়ির সামনে একটা কালো গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে একটা ড্রাইভার দরজা খুলে দেয়,,তিথি গাড়িতে উঠে বসে,,,
এই দিকে রিতু নিজের রুমে গিয়ে বিছানা ঠিক করছে,,ওই সময় আমান এসে জিজ্ঞেস করে
আমানঃ তিথি চলে গেছে?
রিতুঃহুম একটু আগে গেছে,,,,
আমানঃ রিমান কই ওকে দেখছি না যে?
রিতুঃ মামানি আর আন্টির সাথে খেলছে,,,আসতে চাইছে না তাই আর ডাকি নাই,,
আমানঃ তাহলে তো ভালোই
রিতুঃ কিসের ভালো?
আমান দরজা টা লাগিয়ে রিতুকে জড়িয়ে ধরে,,রিতুর ঘাড়ে কিস করতে থাকে,,
রিতুঃ পাগল হয়েছো ছাড়ো এখন রিমান আসবে
আমানঃ আমি আজ আমার বউটাকে একটু কাছে পেয়েছি একা এই সুযোগ হাত ছাড়া করা যায় বলো,,,
রিতুঃ হয়ছে সরো,,,

আমানঃ না এখন ছাড়বো না,রিতু তোমার মনে হয় না যে রিমান একা ওর খেলার সাথী নাই,,ওর ও তো ইচ্ছে করে একটা ছোট কিউট বোনের,,,
রিতুঃ এইটা কি রিমানের ইচ্ছে নাকি আপনার জনাব,,
আমানঃ ওকে ফাইন আমার ইচ্ছে,,, আমিও চাই আমার একটা মেয়ে হোক,,,এখন যদি কিছু বলো তো খবর আছে,,
রিতু কিছু বলে না,,আমানের বুকে মাথা লুকায়,,,আমান রিতুকে কোলে নেয় আর ডুবে যায় ভালোবাসার সাগরে,,,,,
এই দিকে আবির অপেক্ষা করছে তার তোতাপাখির জন্য,,তিথি গাড়ি থেকে নামে একটা বড় বাড়ির সামনে,,,,চারপাশে কেউ নেই,,কিছু টা ভয় পায় হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠে,,,
তিথিঃ জ্বি
আবিরঃ আসতে থাকো চুপচাপ,,,
তিথি বাড়িটার দরজা খলে আর সাথে সাথে উপর থেকে কিছু গোলাপের পাঁপড়ি ঝরে পড়ে তিথির উপর,,,ফুল দিয়ে সুন্দর করে রাস্তা সাজানো আর ফুলের রাস্তার পাশে মোমবাতি জ্বালানো,,,তিথির কাছে কি আনন্দ লাগছে এমন সাজানো দেখে তাও তার জন্য,,, তিথি হাঁটতে থাকে পুরো বাড়ি ফাঁকা,,,,সিড়ি দিয়ে উপরে যেতে লাগে,,ফুল দিয়ে রাস্তা বানানো থাকে একটা রুম পর্যন্ত,,,রুমের দরজা খুলেই তিথি চমকে যায় অসম্ভব সুন্দর করে সাজানো পুরো রুম,,,,চারপাশে ছোট ছোট মোমবাতি জ্বালানো,,কোনো লাইট জ্বালানো নাই মোমের আলতে পুরো রুম যে পুরো আলতে ভরে ওঠে,,,অনেক গুলো লাভ ওয়ালা বেলুন,,,বিছানায় লাল গোলাপ পাঁপড়ি দিয়ে সুন্দর করে সাজানো হয়,,সাদা পর্দা চারপাশে যা বাতাসে উড়ছে,সব কিছু যেন তিথির কাছে স্বপ্নের মত,,,
তিথি চারপাশে তাকিয়ে মুগ্ধ হয়ে যায় কিন্তু আবির কোথায়,,,আবিরকে কোথায় দেখছে না তিথি,,,এই দিকে বাহিরে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়,,প্রচুর বাতাস,প্রচুর বৃষ্টি শুরু হচ্ছে,,,বজ্রপাতের আওয়াজে তিথি কিছু টা ঘাবড়ে যায় পিছনে ঘুরতে ধাক্কা খায় আবিরের সাথে,,,মুখটা তুলে দেখে আবির,,সাদা একটা শার্ট পড়ে আছে,আবিরের চোখে যেন এক নেশা কাজ করছে,,,আবার জোরে বজ্রপাত হয় তিথি ঝাপ্টে জড়িয়ে ধরে আবিরকে,,,,,
আবির তিথিকে আলতো করে জড়িয়ে ধরে,,কয়েক মিনিট পর আবির তিথিকে সরিয়ে তিথি থেকে কিছুটা পিছনে যায়,,,,হাঁটু ঘেড়ে বসে তিথির সামনে,,,প্যাকেট থেকে একটা রিং বের করে যেটা সে তিন বছর ধরে আগলে রেখেছে,,তার তোতাপাখিকে একদিন ঠিক এই রিং পড়িয়ে দিবে সেই আশায়,,আর আজ সেই আশা পূরন হলো,,,,
আবিরঃ অনেক ভালোবাসি তোমায় তোতাপাখি অনেক বেশি,,,,সারাটি জীবন তোমার সাথে কাটাতে চাই,,তোমার ঘুমান্ত চেহারাটি প্রতি দিন সকালে দেখতে চাই,,তোমার হাসি মাখা মুখখানী সব সময় দেখতে চাই,,,সব সময় আমার পাগলীটা কে জড়িয়ে ধরে ঘুমাতে চাই,,
তিথির চোখ ভিজে উঠে,,কষ্টের কান্না না এই যে সুখের কান্না,,ভালোবাসার মানুষটি এতো কষ্টের পর যে সে পেয়েছে,,,
আবিরঃ আমায় ভালোবাসবে?আমাকে ভালোবাসতে দিবে সব সময়?
তিথি মাথা নাড়ায় শুধু মুখ থেকে যে কথাও বের হচ্ছে না,,,হাতটা বারিয়ে দেয় আবিরের দিকে আবির রিংটা পড়িয়ে দেয় তিথির হাতে চুমু দেয়,,,,আবির উঠে তিথির কপালে ডিপ ভাবে চুমু দেয়,,,চোখ দুটো বন্ধ করে ফেলে তিথি,,,তার প্রত্যেক টা নিশ্বাস যে আবিরের ঘাড়ে এসে পড়ছে,,
বাহিরে বাতাস যেন বেরে যায়,,বৃষ্টি যে থামার নামও নিচ্ছে না,,,,বজ্রপাতের আওয়াজে তিথি আবিরকে ঝাপ্টে জড়িয়ে ধরে রাখে,,আবির তিথির বাতাসে এলোমেলো চুল গুলো কানের নিচে গুজে দেয়,,,তিথির গালে আলতো করে চুমু দেয়,,,তিথির ঘাড়ে চুমু দেয় আবিরের প্রত্যেক টা ছোয়াঁয় যে যেন কেঁপে ওঠে,,,,,
তিথিঃ আ,,মাদের বা,,,সায় যাও,,,য়া উচিত
আবির তিথির ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে বলে
আবিরঃইসসস কোনো কিছু না,,,আজকে কিছু বলবে না,,,
আবির তিথিকে কোলে নেয়,,,তিথিকে কোলে নিয়ে বিছানায় শুয়ে দেয়,,তিথির ঘাড়ে কিস দিতে থাকে,,,তিথি আবিরের স্পর্শে ঘাবড়ে যাচ্ছে,,,,বিছানার ছাদুর আকড়ে ধরে শক্ত করে,,,আবির তিথির চোখে কিস দেয়,তিথির৷ শাড়ির আঁচল টা সামান্য সরিয়ে দেয়,,,কালো শাড়িতে যে তিথিকে আজ অনেক সুন্দর লাগছে,,,তিথির ঠোঁটে ডুবে যায় আবির,,,তিথি আকড়ে ধরে রাখে শক্ত করে আবিরের শার্ট,,,কিছু ক্ষন পর ছেড়ে দেয়,,,,
তিথির বুকের মধ্যে যেন ঢোল বাজাচ্ছে কেউ,,,,ধকধক আওয়াজ শুরু হয়ে যায়,,,আবিরের প্রত্যেক স্পর্শে যেন তিথি বারবার কেঁপে ওঠে,,,,,আবিরের প্রত্যেক ছোয়াঁয় যেন নেশা লেগে আছে,,,,আবিরের সে খোচা খোচা দাঁড়ি যা তিথির গালে ছুঁয়ে যাচ্ছে বারবার,,,তিথি যেন আজ নিজের মধ্যেই নেই,,হারিয়ে যাচ্ছে আবিরের পাগল করা স্পর্শে,,,,

বাতাসে নিভে যায় মোমবাতি গুলো,,,পুরো রুম যে অন্ধকার হয়ে যায়,,তিথির বুকের মাঝে ধকধক শব্দ টা যে আরো বেরে যাচ্ছে,,,আবির তিথির শাড়ির আঁচল সরানোর সাথে সাথে অন্য দিকে ফিরে যায় তিথি,,,নিশ্বাস টা যেন বারি হয়ে যাচ্ছে তার,,,,আবির তিথির পিঠ থেকে চুল গুলো সরিয়ে ফর্সা পিঠে চুমু দিতে থাকে তিথি চোখ দুটো বন্ধ করে নিশ্বাস ফেলে,,,,ঘুরিয়ে নেয় নিজের দিকে তিথিকে,,,চুমুতে চুমুতে ভরিয়ে দেয় তার তোতাপাখিকে,,,হারিয়ে যায় দুইজনে এক অজানা সুখের দেশে,,,
রাতের তিনটা বাজে,,,বাহিরের বৃষ্টি এখনও কমে নাই,,,আবিরের বুকে লেপ্টে আছে তিথি,,,লজ্জায় মুখ তুলে তাকাতে পারছে না আবিরের দিকে,,,আবির ঘুমিয়ে আছে তারপর ও সে তাকাতে পারছে না,,,,তিথির সব ঘুম যেন কেড়ে নেয় আজ আবির,,,,আবিরের গালে হাত বুলিয়ে দেয়,,,আবিরের কপালে ছোট ছোট চুল গুলো বাতাসে উড়ছে,,,তিথি আলতো করে চুমু খেয়ে ফেলে আবিরের কপালে,,,,,আবিরের শার্টি পড়ে বারান্দায় যায় বাহিরের বৃষ্টি দেখছে আর হাতে ছুঁয়ে উপভোগ করছে বৃষ্টির পানি,,,
মুখের কোণায় হাসি ফুটে অজান্তেই,,,,পিছন থেকে কারো স্পর্শ পেয়ে চোখ দুটো বুজে নেয় কারণ এই স্পর্শ যে চিরচেনা তার,,,আবিরের গরম নিশ্বাস এসে তিথির ঘাড়ে পড়ছে,,,
আবিরঃ আজকে তো তোমায় দারুন লাগছে আমার শার্টে,,,এক কাজ করিও এখন থেকে তুমি রাতে আমার শার্ট পড়িও
তিথিঃ দরকার নাই হু
আবিরঃ কেন?জানো তোমায় এখন কতটা কিউট আর,,,,,,
তিথি ঘুরে আবিরের ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে বলে
তিথিঃ ছি লজ্জা করে না এই আব বলতে হুম
আবির তিথির আঙ্গুলে চুমু দেয় তিথি মুচকি হেসে আঙ্গুল টা সরিয়ে নেয়,,তিথির কোমড় চেপে নিজের কাছে টেনে নিয়ে বলে
আবিরঃ কিসের লজ্জা হুম,,,নিজের বউকে বলছি,,,আর তুমি তো জানোই আমি আমার বউকে সব কিছু বলতে পারি,,,তিথির গালে আস্তে করে কামড় দিয়ে
তিথিঃ উফফ আপনি একটা রাক্ষস,,এই ভাবে কেউ কামড় দেয় হুম,,
আবিরঃ আসতে না দিচ্ছি আচ্ছা ওয়েট
তিথি কিছু বলতে যাবেই তার আগে আবির তিথিকে কোলে নেয়,,,রুমে নিয়ে যায়,,
তিথিঃ ছাড়ুন
আবিরঃ হুম ছাড়বো তো কিন্তু এখন না সকালে,,,এখন নো ছাড়াছাড়ি ম্যাম,,
তিথির শার্টের বুতাম খুলতে যাবে তিথি ধমক দিয়ে বলে
তিথিঃ ওই কি করছেন কি হুম,,
আবিরঃ বেশি বকবক করো
তিথিঃ কিই
কি পর্যন্ত বলতে পারে এর পরে বলার সুযোগ টুকুও আবির দেয় নাই,,,,তিথির ঠোঁট দুটো যে আকড়ে ধরে,,,আবিরের ঘাড়ের পেছনে হাত রাখে আকড়ে ধরে আবিরের চুল,,,, তিথির ঠোঁট ছেড়ে আবির তিথির পেটে চুমু দেয় তিথি আবিরের পিঠে খামচে ধরে রাখে,, পিঠে খামচির দাগ বসিয়ে দেয়,,,,আলতো করে চুমু দিতে থাকে তিথিকে আবির,,,আবির আজ যেন বারবার হারিয়ে যাচ্ছে তার তোতাপাখির মাঝে,,,পরিপূর্ণ হলো আজ তাদের ভালোবাসা,,,আবির তিথির মাঝে সব কিছু যেন আজ সব ঠিক হয়ে গেলো,,,
দুইজনে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়ে,,বুকের মাঝে শুয়ে আছে আবিরের তোতাপাখি,,,
সকালে,,,
বাহিরের আবহাওয়া কিছু টা সাভাবিক হয়,,,এখনও ঘুমিয়ে আছে আবিরের বুকের উপর তার তোতাপাখি,,,
আবিরের ঘুম ভাঙ্গের ফোনের আওয়াজে,,ফোন টা পাশে পড়ে ছিলো ফোন টা নিয়ে দেখে অনেক গুলো মিস কল উঠে আছে নিয়ার তার বাবার,,আবির বুজতে পারে নিশ্চয় আবার কিছু নাটক করবে তাই ফোন টা অফ করে রেখে দেয়,,,
তিথির চুল গুলো সরিয়ে তিথির কপালে চুমু দেয়,,,,চোখ বন্ধ করে জড়িয়ে ধরে আছে আবির,,,তিহির ঘুম ভাঙ্গে আবিরের দিকে তাকিয়ে রাতের কথা মনে করে লজ্জা পায়,,,লজ্জায় গাল দুটো লাল করে ফেলে,,,আবিরকে ঘুম দেখে আবিরের গালে চুমু দেয়,,কপালে চুমু দেয়,,,আবির তো এমনি চোখ বন্ধ করে আছে,,,তিথি তাকে চুমু দিচ্ছে আর সে ঘুমের অভিনয় করে আছে,,,,,তিথি উঠে যেতে লাগে আবির টান দেয় তার বুকের মাঝে
তিথিঃ আ,,পনি ঘুমান নাই?জেগে ছিলেন এতো ক্ষন?
আবিরঃ আমার বউ আমাকে এতো ফিলিংস এর সাথে কিস করছে ঘুমিয়ে কি থাকতে পারি তুমি নিজে বলো
তিথিঃ হু হয়ছে ছাড়ুন,,,
আবিরঃ একটা জায়গায় কিস না করে উঠছেন আপনি ম্যাম
তিথিঃ কি?

আবিরঃ এই খানে কিস করতে হয়তো ভুলে গেলে(ঠোঁটে ইশারা করে)
তিথি লজ্জা পায় আবিরের এমন কথায় আর চাহিনিতে,,,ফাজলামি করে বলে
তিথিঃ আপনি ব্রাশ করেন নাই তাই দেই নাই হু,,
আবিরঃ ওহ রেলি?
তিথিঃ হুম
আবির তিথিকে আকড়ে ধরে জোর করে ঠোঁটে কামড় দেয়,,,তিথি আবিরের বুকে কিল দিতে থাকে,,,কিছু ক্ষন পর ছেড়ে দেয়
তিথিঃ আপনি একটা রাক্ষস(কান্নার সুরে)
আবিরঃ তুমি যদি আগে দিয়ে দিতে তাহলে তো আর আমাকে কামড় দিতে হতো না তাই না
তিথি আবিরের বুকে কামড় দিয়ে উঠে যায়,,
আবিরঃ এর প্রতিশোধ তো আমি তুলবোই
তিথিঃ দেখা যাবে হু
তিথি ওয়াশরুমে চলে যেতে লাগে আবির দরজায় হাত রেখে বলে
আবিরঃ আজ এক সাথে গোসল করি কি বলো গুড আইডিয়া না?
তিথিঃ চুপ একদম ফাজিল
আবিরকে হালকা ধাক্কা দিয়ে ওয়াশরুমে দরজা বন্ধ করে দেয়,,আবির হাসতে থাকে,,,ফোন টা হাতে নিয়ে অন করে ওই খানে আবার কল আসে বিরক্তি নিয়ে রিসিভ করে,আবির শকড হয়ে যায় শুনে,,,
চলবে,,,,,,,,