বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -3 !! Part- 42

আমান রিতুকে নিয়ে চলে যায়,,,তিথি কান্না করতে থাকে তার সামান্য ভুকে এতো কষ্ট পেতে হয় দুইজনকে,,আবির তিথির পাশে এসে তিথির হাতটা শক্ত করে ধরে রাখে,,তিথি আবিরকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেয়,,
আবিরঃ প্লিজ তিথি কান্না অফ করো,,,দেখো তোমার দোষ ছিলো না,,ওই সময় তোমায় যা দেখানো হয়েছে ব্যস তুমি তো তাই দেখলে,,
তিথিঃ আমার দোষ সব আমার,,আমার জন্য আপনাকে এতো বছর কষ্ট পেতে হয়,,,শুধু মাত্র আমার জন্য রিতুর সাথে এতো কিছু হয়েছে যদি অই দিন আমান ভাইয়া না হতো তাহলে তো রিতু
তিথির কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে,,,আবির তিথির কান্না গুলো একদম সহ্য করতে পারছে না,,
আবিরঃ আমার দিকে তাকাও
তিথি আবিরেত দিকে তাকায়,,আজ তিথির নজর ও যেন আবিরের দিকে তাকাতে চাইছে না,,তিথির চোখের পানি টুকু যে আবিরের কাছে খুব কষ্টের,,আবির তিথির চোখে চুমু দেয়,,,তিথির চুল গুলো কানের কাছে গুজে দেয়,,,
তিথিঃ আ,,মি আ,সলে (কান্নায় কথা পর্যন্ত বলতে পারছে না)
আবির তিথির ঠোঁটে আলতো করে চুমু দিয়ে বলে
আবিরঃ নতুন করে সব কিছু শুরু করা যাক মিসেস তিতা
তিথিঃ হুম বজ্জাত এনাকন্ডা
আবির আর তিথি একটু হেসে দেয়,,,আবির তিথিকে একটু চিমটি দিয়ে বলে
আবিরঃ আমাকে কি আমার ঝগড়াটি এলিয়েনটা ফিরিয়ে দিবেন ম্যাডাম
তিথি আবিরের গাল টেনে বলে
আবিরঃ যদি আমার বিপজ্জনক রাক্ষসটা ফিরে আসে তাহলে
আবির তিথিকে বলে
আবিরঃ যাবে ছাদে?
তিথিঃ এখন?
আবিরঃ হুম কেন ভয় পাও বুজি?
তিথিঃ হু আমি আর ভয় কখনো না,
আবিরঃ আচ্ছা তাই?
তিথিঃ হুম চলুন
আবির তিথিকে কোলে নিয়ে নেয়
তিথিঃ কি করছেন কি?আমাকে নিচে নামান
আবিরঃ কাল থেকে ভাত কম খাবে কি মুটি রে বাবা
তিথিঃ কি আমি মুটি,,শয়তান ছেলে তুই মোটা, তোর চৌদ্দ গুষ্টি মোটা,,আমি অনেক শুকনা ওকে,,
আবিরঃ আমার চৌদ্দগুষ্টির মধ্যে এখন আপনি ও পড়েন হাহা
তিথিঃ তাই তো,,,
আবির তিথির বকবক গুলো শুনেই যাচ্ছে,,
তিথিঃ কি হলো চলেন
আবির তিথিকে নিয়ে হাঁটছে আর তিথি আবিরের ঘাড়ে হাত রেখে বুকে মাথা রেখে চুপ করে আছে,,ছাদের দরজাটা খুলে দোলনায় বসে দুইজন,,তিথি চুপ করে আছে আর আবিরও,,কারো মুখে কোনো কথা নাই,,,তিথি আর না পেরে বলে
তিথিঃ আজ চাঁদটা অনেক সুন্দর লাগছে তাই না
আবিরঃ মোটেও না
তিথিঃ কি আপনার কাছে চাঁদ সুন্দর লাগছে না?
আবিরঃ ওই আকাশের চাঁদের চেয়ে আমার পাশে বসে থাকা চাঁদটা আরো বেশি সুন্দর লাগছে,,
আবিরের কথায় তিথি কিছুটা লজ্জা পায়,,লজ্জায় গাল দুটো লাল করে ফেলে,,আবির তিথির দিকে তাকিয়ে দেখে তিথি লজ্জায় মাথা নিচু করে হাসছে মুচকি মুচকি,,,আবির দোলনায় হেলান দেয় বসে তিথিকে হালকা টান দেয় তিথি এসে আবিরের বুকে পড়ে
আবিরঃ আমার বুকে মাথা রাখতে ইচ্ছে করছে বললেই তো হয় এই ভাবে পড়ে যেতে হয়
তিথিঃ কিই আপনি না আমাকে টান দিচ্ছেন
আবিরঃ হয়ছে হয়ছে আর মিথ্যা বলতে হবে না,
তিথিঃ আনি মিথ্যা বলছি তাই তো ওকে ফাইন আমি উঠে যাচ্ছি হু
তিথি উঠে যেতে লাগে আবির তিথিকে আবার টান দেয়,,তিথির হাত দুটো চেপে ধরে নিজের দিকে ফিরায়
আবিরঃ আমার এই বুকে তো শুধু তোমার জন্য,,আমার বুকে মাথা রাখার জায়গা তো শুধু তোমার অধিকার,,আমার মিষ্টি তিতা বউটাকে বুকে না নিলে কাকে নিবো হুম
তিথিঃ হু হয়ছে
আবিরঃ কি হয়ছে হুম,,
তিথিঃ কিছু না,,
আবিরাঃ একটা জিনিস চাইবো দিবে?
তিথিঃ কি বলেন?
আবিরঃ প্রমেস করো দিবে?

তিথিঃ দিতে পারলে দিবো প্রমেস এর কি,,,আগে শুনি কি তারপর প্রমেস
আবিরঃ তুমি দিতে পারবে,,, তুমি যদি না দাও না তাহলে আমি অই যে পাহাড়ি এলাকায় আমার ইজ্জতের উপর হামলা করলে না তার জন্য কেস করবো
তিথিঃ কিইই,আপনি পাগল নাকি,,আমি করি নাই কিছু করি না ওকে,,,আর ওই টা তো তিন বছর আগে হু
আবিরঃ আমার কাছে কিন্তু প্রমান আছে,,তুমি রাজি কি না বলো
তিথিঃ আপনি আপনার এক মাত্র বউয়ের নামে কেস করবেন(অসহায় দৃষ্টিতে)
আবিরঃ বউ বলে কি বেঁচে যাবেন ম্যাডাম,,, অন্যায় তো অন্যায়
তিথিঃ এখানে অন্যায় কত থেকে আসছে আজিব,,,
আবিরঃ এতো প্যাচাল না করে এখন করবে কি না বলো
তিথিঃ ওকে ফাইন কি করতে হবে বলুন,,শয়তান একটা হু
আবিরঃ আমাকে কিস করবে এখন
তিথিঃ কিইইইই
আবিরঃ তিথি রাত হয়েছে আসতে চিল্লাও পরে তোমাকে চোর ভেবে সবাই ইচ্ছে মত ধুলাই দিবে হুম
তিথিঃ আ,,পনার,,,মা,,,থা ঠিক আছে
আবিরঃ হুম আমার মাথা ঠিক আছে এখন তুমি করবে কি না বলো
তিথি তার চোখ দুটো বন্ধ করে আবিরের কাছে নিয়ে মুখ নিয়ে কিস করতে যায় আবির হাত দিয়ে বলে,,তিথি চোখ খুলে ইশারা করে কি
আবিরঃ চোখ বন্ধ করে না,,চোখ খুলে আমার চোখের দিকে তাকিয়ে,,পুরো ফিলিংস এর সাথে কিস করবে৷
তিথিঃ আপনি যা বলবেন আমি তা করবো প্লিজ এইটা করতে বলিয়েন না
আবিরঃ চুপচাপ যা বলছি তা করেন
তিথি প্রচুর ঘেমে যায়,,ভয়ে হাত পা কাঁপছে তার,,আবির তিথির এমন অবস্থা দেখে মুচকি হাসে,,তিথির কোমড় ধরে নিজের অনেক টা কাছে টেনে নেয়,,তিথি আবিরের চোখে যেন হারিয়ে যায়,,আবিরের চোখে যে তিথির জন্য ভালোবাসা সে ভালোবাসায় ডুবে যায় তিথি,,,,তিথি যেন আজ নিজেও জানে না সে কি করছে,,,,
আবিরঃ কি হলো কি ভাবছো?
তিথি কিছু বলে না,,,আবিরের গালে দুই হাত রাখে,,,গালটা টেনে নেয়,,আলতো করে চুমি দেয় আবিরের গালে,,আবির শুধু তাকিয়ে আছে তার তোতাপাখির দিকে,,তিথির চোখে যে আজ এক নেশা কাজ করছে যা আবিরকে মুগ্ধ করছে,,তিথি আবিরের কপালে চুমু দেয় নিজের চোখ বন্ধ করে,,,আজ তিথির প্রত্যেকটা ছোঁয়ায় ভালোবাসা,,,তিথি আবিরের ঘাড়ের পিছনে হাত নিয়ে চুল গুলো শক্ত করে ধরে আর ডুবে যায় আবিরের ঠোঁটে 🙈
আজ তিথি আবিরকে চুমুতে ভরে দেয় আবির তো বেচারা আজ শেষ তিথির প্রত্যেকটা ছোঁয়ায়,,চাঁদ যেন আজ নিজেও লজ্জা পাচ্ছে তাদের এমন ভালোবাসা দেখে,,,
কিছু ক্ষন পর আবিরের ঠোঁট দুটো ছেড়ে দেয়,,,লজ্জায় মুখ লুকিয়ে ফেলে আবিরের বুকে,,
আবিরঃ বাহা বউ নিজে থেকে চুমু দিলে এতো মিষ্টি 😍তাহলে তো আজ থেকে বউকে চুমু দিতে বলবো কি বলো
তিথি আবিরের বুকে কামড় দেয়
আবিরঃ আয়ায়া কি রাক্ষসীরে বাবা
তিথি আবিরকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে,,,আবির তিথিকে জড়িয়ে ধরে আকাশের চাঁদের দিকে তাকিয়ে আছে,,,দুইজনে চুপ
আবিরঃ তিথি?
তিথিঃ হুম
আবিরঃ ভালোবাসো আমায়?
তিথি চুপ করে আছে,,মুখটা আরো লুকাচ্ছে,,,আবিরের বুকের মধ্যে যেন ডুকে যাবে,,
আবিরঃ কি হলো চুপ যে?তার মানে বাসো না তাই তো
তিথি মাথা তুলে রাগী লুকে বলে
তিথিঃ আমি কি একবার ও বলেছি যে ভালোবাসি না,,,লজ্জা ও কি ঠিক মত পেতে দিবেন না উফফ,,
আবিরঃ কিইই লজ্জা ও পেতে দিতে হয় নাকি
আবির হেসে দেয় তিথির এমন কথা শুনে,,,তিথি তো এইবার আরো লজ্জা পায়,,,কি বলতে কি বলছে নিজেও জানে না,,,তিথি উঠে চলে যেতে লাগে আবির তিথির হাতটি ধরে বলে
আবিরঃ কই যাচ্ছেন হুম?
তিথিঃ রুমে
আবিরঃ না আজ এইখানে গল্প করবো দুইজন
আবির তিথিকে টেনে আবার বসিয়ে দেয়,,আবিরের বুকের সাথে পিঠ লাগিয়ে বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে তিথি,,,তার খুব খুশি লাগছে এই ভেবে যে তার ভালোবাসা সে পেয়েছে,,,,আবির তিথির ঘাড়ে থুতনি রাখে আর তিথি বকবক করতে থাকে,,আজ অনেক দিন পর তিথি মন খুলে কথা বলছে,,আবির তা শুনছে,,,,তিথির চুল গুলো নিয়ে আবির খেলছে,,ঘাড়ে জিস করছে তিথির চুলের ঘ্রাণ নিচ্ছে,,তিথি লজ্জা তো পাচ্ছে কিন্তু তার বকবক চালু আছে,,,
রাত অনেক টা হয়ে যায় দুইজনে রাতের চাঁদের আলোতে নিজেদের মধ্যে সব কিছু ঠিক করে নেয়,,,নতুন করে তাদের জীবন শুরু করতে যাচ্ছে তারা,,,ঘুমিয়ে পড়ে দুইজনে দোলনায়,,,

সকালে সূর্যের আলোতে,,,পাখির কিচমিচ ডাকে আবিরের ঘুম ভাঙ্গে,,,চারপাশে তাকিয়ে দেখে আলো হয়ে গেছে,,তার বুকে তিথি ঘুম,,,তিথিকে কোলে করে রুমে নিয়ে এসে শুয়ে দেয়,,,তিথির ঘুমান্ত চেহারাটা যে আবিরের কাছে খুব প্রিয়,,,তাকিয়ে আছে তিথির ঘুমান্ত চেহারার দিকে,,,আবির তার তোতাপাখির দিকে তাকিয়ে থাকে অপলক দৃষ্টিতে,,,অনেক ক্ষন পর তিথির ঘুম ভাঙ্গে চোখ খুলে তিথি দেখে তার দিকে ড্যাবড্যাবিয়ে তাকিয়ে আছে আবির
তিথিঃ গুড মর্নিং
আবির তিথির কপালে চুমু দিয়ে বলে
আবিরঃ গুড মর্নিং তোতাপাখি,,,
তিথি মুচকি হাসে,,আবির তিথিকে জড়িয়ে ধরে বুকে টেনে নিয়ে মাথায় চুমু দিয়ে বলে
আবিরঃ প্রত্যেক সকাল যেন এই ভাবে যেন কাটে,,আমার তোতাপাখির মিষ্টি মুখখানি দেখে যেন আমার দিন শুরু হয়,,ভালোবাসি তোতাপাখি
তিথিও আবিরকে জড়িয়ে ধরে বলে
তিথিঃ আমিও ভালোবাসি আমার বজ্জাত এনাকন্ডাকে,,,
তাদের জন্য আজ নতুন সকাল তাদের ভালোবাসার,,দুইজনে দুইজনকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে থাকে,,,
তিথিঃ ছাড়ুন উঠতে হবে তো
আবিরঃ না আমি ছাড়বো না,,আমার বউ আমি জড়িয়ে ধরে আছি এতে তোমার কি হুম
তিথিঃ আচ্ছা তাই বুজি তো আপনার বউটা কে শুনি
আবিরঃ আছে এল এলিয়েন ঝগড়াটি,,
তিথিঃ ওহ তাই বুজি দেখাছি ঝগড়াটি কে?
আবির কিছু বলতে যাবেই তার আগে তিথি আবিরের গালে কামড় দিয়ে দৌড়ে ওয়াশরুমে চলে যায়,,আবির ওয়াশরুমের দরজা নক করতে থাকে
আবিরঃ বের হও আজ তোমায় আমি কি করবো দেখবে,,,

তিথিঃ হবো না হবো না হু
আবিরঃ সারাদিন বুজি এখানে থাকবে ওকে থাকো,,,
আবির অন্য ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে আস এখানো তিথি বের হয় নাই ভয়ে,,আবির রেডি হচ্ছে আর বলছে,,
আবিরঃ আজ তোমার গালের যদি আমি ১২ টা না বাজাই না তাহলে দেখবে
তিথিঃ আপনি তো অনেক ভালো,,আমার কিটু,,কিসমিস বাদাম,,আমার গলুমলু,,,কিটকাট,,,আমার গোলগাপুশ,,
আবিরঃ কি নাম এই সব?পাও কই এই নাম গুলো তুমি?
তিথিঃ আপনাকে দেখলে আমার তো তাই মনে হয় তাই ডাকি,,
আবিরঃ(এলিয়েন কি আর এননি এমনি বলি,,কি কি নাম দেয় এই মেয়ে আল্লাহ জানে আমার কি অবস্থা করে এই সব নাম দিয়ে দিয়ে)
চলবে,,,,,,