বউ রানী { সিজন ২ } ——- পর্ব–১ থেকে –১২ (শেষ অংশ )
আব্বুর অনেক ইচ্ছে তার বুন্ধুর মেয়েকে
তার পুত্র বধু করে আনবে। আর সেই ইচ্ছেটা
পূরুন করার জন্য বেছে নিয়েছে আমাকে
কারন আমি ছারা বিয়ের আর কেও বাকি
নেই। বড় ভাইয়া বিয়ে করেছে তার পছন্দ
মত অনেক আগেই। তাই আব্বু ঠিক করেছে
আমার সাথে তার বুন্ধুর মেয়ের বিয়ে
দিয়ে ভাল্য কালের বুন্ধুত্ত আরো মুজবোত
করবে। যেই কথা সেই কাজ আব্বু আমাদের
সবাইকে গ্রামের বাড়ী দেখার নাম করে
নিয়ে এসেছে। আমি যখনি বাড়ীর
ভীতরে ঢুকেছি তখনি সবাই এসে আমাকে
দেখতে লাগলো, কেও কেও বলতেছে
জামির মিয়া মেয়ের জন্য একখান জামাই
পছন্দ করেছে দেখতে একদম রাজপুত্র।
আমি কারো কথায় কান না দিয়ে নিজের
মত করে ভাবির সাথে কথা বলতেছি
তখনি আম্মু এসে আমাকে বলতেছে,,
আম্মু:- সোহরাব এই দিকে আয় তো তোর
আব্বু তোকে ঢাকছে।
আমি:- হ্যা আসতেছি! তারপর আম্মুর সাথে
একটা রুমে গেছি গিয়ে দেখি আব্বু
দাঁড়িয়ে আছে।
আব্বু:- সোহরাব আমি তোকে না জানিয়ে
একটা কাজ করে ফেলছি।
আমি:- কি কাজ?
আব্বু:- আমার বুন্ধু জামিরের মেয়ের সাথে
তোর বিয়ে ঠিক করে ফেলছি আজকে
তোদের বিয়ে এখন তুই যদি এই বিয়েটা
না করিস তাহলে আমার মান সম্মান সব
মাটিতে নেমে পরবে।
আমি:- আপনি এমন একটা সিদ্দান্ত
নেওয়ার আগে একটি বার আমাকে
জিজ্ঞেস করতেন। এমন একটা মেয়ের
সাথে বিয়ে ঠিক করছেন যে মেয়েটা
গ্রামের শহরের কালচার বলতে কিছু
জানেনা।
আব্বু:- মেয়েটি অনেক ভালো গ্রামের
মেয়ে হলে কি হবে অনেক ভদ্র আর সুন্দর
দেখতে। এখন তুই বাবা না করিস না।
আমি:- যত সুন্দর হোক আমি বিয়ে করতে
পারবোনা এমন একটা মেয়েকে আমি কি
করে বিয়ে করবো যেই মেয়েটা শহরের
কালচার কিছু জানেনা। আমার পক্ষে এই
বিয়েটা করাটা সম্বব হবেনা।
আব্বু:- সাগরের মা তুমি সোহরাবকে
ভালো করে বুঝিয়ে বলো যাতে করে
আমার সম্মানের কোন ক্ষতি না হয়। (সাগর
হচ্ছে আমার বড় ভাইয়ার নাম)
আম্মু:- দেখ বাবা তোর নিজের জন্য না হয়
আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বিয়েটা
করে নে বাবা।
আমি:- আম্মু আমি শুধু তোমার জন্য
নিজেকে কুরবানি দিতে রাজি হলাম
তবে আমি কাল সকালে ঢাকা চলে যাবো
এখানে আমি থাকতে পারবোনা!
আব্বু:- ঠিক আছে, তাই হবে আমরা সবাই
সোনালীকে নিয়ে ঢাকা চলে যাবো।
আমি:- সোনালী কে?
আব্বু:- যার সাথে তোর বিয়ে হবে তার
নাম সোনালী।
আমি:- তাহলে ঠিক আছে, তারপর আব্বু
গিয়ে সব কিছু ব্যাবস্থা করে আমাদের
বিয়েটা পড়িয়ে দিলো। তবে আমি
আমার বউ সোনালীকে এখনো দেখিনি।
রাত ১২টা বাজে ভাবি এসে আমাকে
একটা রুমে নিয়ে গেলো রুমে ঢুকে মনে
হলো এইটা বাসর ঘর। ঘরে ঢুকে দরজটা
লাগিয়ে ঘুরেছি তখনি এয়া বড় একটা
ঘুমটা দিয়ে হাতে এক গ্লাস দুধ নিয়ে
আমার নাকের সামনে ধরে দাঁড়িয়ে
আছে। আমি জিজ্ঞেস করি এইটা কি?
সোনালী:- গ্লাসটায় দুধ রাখা আছে এখন
একটু খানি খেয়ে আমাকে দেন আমি
বাকিটা খাবো।
আমি:- তুমি আমার খাওয়া দুধ কেন খাবে
অন্য গ্লাসের দুধ খাবে।
সোনালী:- আম্মু বলে দিয়েছে স্বামির
জোটা খেলে বউয়ের প্রতি স্বামির
ভালোবাসা বারে। হায় আল্লাহ আমিত
ভূলে গেছি ছিঃ ছিঃ এই জন্য আম্মু বলে
আমাকে দিয়ে কিছু হবেনা।
আমি:- আরে কি ভূলে গেছো?
সোনালী:- আপনাকে সালাম করতে আম্মু
বলে ছিলো! আপনি যখন ঘরে ঢুকবেন তখন
জেন আপনাকে পা ছুয়ে সালাম করি।
নেন তো একটু গ্লাসটা ধরেন বলে আমার
হাতে গ্লাসটা দিয়ে সালাম করতে
লাগলো।
আমি:- আরে অনেক করেছো! এখন ওঠো
তারপর সোনালীকে ওঠিয়ে বলি তুমি
খাঠের উপর শুয়ে পরো।
সোনালী:- আমি এখন ঘুমাবো নাকি আমার
তো সব কথা বলা হয়নি।
আমি:- আর কি কথা বলবে?
সোনালী:- অনেক কথা ভাবি যে গুলা
বলতে আর করতে বলছে সেই গুলা তো
এখনো কিছুই করিনি।
আমি:- কার ভাবি?
সোনালী:- আমার ভাবি।
আমি:- কি করতে বলছে?
সোনালী:- তার আগে আপনি দুধটা খেয়ে
বাকিটা আমাকে দেন আমি খেয়ে
তারপর বলবো!
আমি:- ঠিক আছে তারপর দুধ একটু খেয়ে
সোনালীকে দিয়ে দিলাম সোনালী অন্য
দিকে ঘুরে দুধটা খেয়ে সোজা খাঠের
উপর গিয়ে বসে পরেছে। এই তুমি খাঠের
উপর বসেছে কেন এত বড় ঘুমটা টেনে?
সোনালী:- বা রে আজকে আমাদের বাসর
রাত তো আমি কি ঘুমটা ছারা বসে
থাকবো নাকি?
আমি:- তো এখন আমি কি করবো?
সোনালী:- আপনি কি করবেন তা তো
ভাবি আমাকে বলে দেয়নি! আমি কি
করবো তা শুধু বলে দিয়েছে। আচ্ছা আপনি
ফ্লিম দেখেন না?
আমি:- হ্যা দেখি তো।
সোনালী:- তাহলে তো সব কিছু জানেন।
আমি:- কি জানি?
সোনালী:- বাসর ঘরে বাংলা ছবিতে
দেখায় যে নায়িকা বউ সেজে ঘুমটা
দিয়ে বসে থাকে আর নায়ক স্বামি
সেজে এসে সেই ঘুমটা ওঠিয়ে বউয়ের
চেহারা দেখে। এইটা আপনি জানেন না?
আমি:- এখন কি তাহলে আমি তোমার
ঘুমটা ওঠাবো?
সোনালী:- আমি কি করে বলবো!
আমি:- তো এখন কি করতে হবে আমাকে?
সোনালী:- আমি কি করে বলবো আপনার
যা খুশি তা করেন তবে ভাবি আমাকে
যে গুলা বলে দিয়েছে আমি শুধু সেই
গুলাই করবো।
আমি:- দেখো আমার অনেক ঘুম পাচ্ছে! এখন
কি আমি ঘুমাতে পারি?
সোনালী:- আমি কি না করেছি আপনি
ঘুমাবেন তো আমি কি জেগে থাকবো?
আমি:- না তুমিও ঘুমাবে তাহলে তুমি
শুয়ে পরো আমিও শুয়ে পড়তেছি।
সোনালী:- তাহলে ভাবি যে আমাকে
বলে দিয়েছি আপনার সাথে কিছু করতে
তাহলে সেই গুলা না করে ঘুমিয়ে যাবো?
আমি:- আমাকে কি করতে বলছে?
সোনালী:- আগে আমার ঘুমটা ওঠান তারপর
বলতেছি।
আমি:- ঠিক আছে, তারপর গিয়ে
সোনালীর ঘুমটা সরালাম, তাকিয়ে
দেখি সারা চেহারা সাদা সাদা
পাউডার আর লাল রং দিয়ে ফুট ফুট ফোটা
দিয়ে রাখছে, আর ঠোটে লাল রংগের
লিবিষ্টিক গারো করে দিয়ে রাখছে।
দেখে মনে হচ্ছে সোনালী সুন্দর হবে
তবে
চেহারাটায় আজে বাজে জিনিজ দিয়ে
দেখতে একদম ভূত ভূত লাগছে! সোনালী
চোখ গুলা বন্ধ করে রাখছে। তখনি চোখ
গুলা খুলে আমাকে বলে,,
সোনালী:- আমি দেখতে অনেক সুন্দর
এলাকার সব ছেলেরা বলে আমাকে বিয়ে
করবে কিন্তু আপনি তো এখন আমাকে
বিয়ে করে নিয়েছেন। এখন আর কেও
আমাকে বিয়ে করতে চায়বেনা।
আমি:- কেন চাইবেনা?
সোনালী:- ভাবি বলেছে মেয়েদের
বিয়ে হয়ে গেলে আর অন্য ছেলেরা
বিয়ে করতে চাইনা। তবে আমি কিন্তু
দেখতে অনেক সুন্দর।
আমি:- হ্যা তুমি সত্যি অনেক সুন্দর এখন
তুমি শুয়ে পরো আর আমিও শুয়ে পরি।
তখনি সোনালী আমাকে বলে,,
সোনালী:- আমাকে আন্জা দিয়ে ধরবেন
কখন আর চুমা দিবেন কখন?
আমি:- কি বলছো এইসব আন্জা চুমা?
সোনালী:- আমি বলছি নাকি?
আমি:- তাহলে কে বলছে?
সোনালী:- ভাবি বলে দিয়েছে আপনি
ঘুমটা সরিয়ে আমাকে আন্জাদা ধরবেন আর
চুমা দিবেন। কিন্তু আপনি তো কিছুই
করতেছেন না তাহলে সকালে ভাবি
আমাকে জিজ্ঞেস করলে আমি কি
বলবো?
আমি:- কাম সারছে এতক্ষন তো ভালোই
ছিলে এখন আবার কি হলো! আচ্ছা
সোনালী তুমি কি লেখা পড়া কিছু
করেছো?
সোনালী:- হি হি হি, করেছি তো
কেলাস (ক্লাস) চার পর্যন্ত তারপর আম্মু
বলছে মেয়েরা বেশি লিকা পড্ডা
(লেখা পড়া) করতে নেই। মেয়েরা
স্বামির সাথে সংসার করবে এতেই হবে।
আমি:- ঠিক আছে এখন আমি ঘুমায় আমার
অনেক ক্লান্ত লাগছে।
সোনালী:- কি লাগছে কেলান্ত (ক্লান্ত)
কিন্তু ভাবি যদি সকালে জিজ্ঞেস করে
তাহলে কি বলবো?
আমি:- তোমার যা মন চায় বলো এখন
ঘুমাতে দাও যদি বেশি বেশি করো
তাহলে ঘর থেকে বের করে দিবো।
তখনি একদম ভয়ে চোপসে গেছে তখনি
আমি সোনালীর কাছে গিয়ে বলি। আমি
সাড়াদিন জার্নি করে এসেছি তো আমার
এখন খারাপ লাগতেছে আজকে ঘুমিয়ে
পরি কালকে যা করার করবে কেমন।
সোনালী:- আচ্ছা ঠিক আছে, তাহলে
ঘুমিয়ে পরেন।
আমি:- এই তো তুমি কত ভালো, বলে শুয়ে
পরেছি আর পাশে সোনালী শুয়ে পরেছে।
যাক এখন একটু আমার পরিচয়টা দিয়ে দেয়।
আমরা সবাই ঢাকা থাকি, আমি সোহরাব
আল ইসলাম, আব্বু আম্মু আর এক বড় ভাই ও
ভাবি আমি এখনও লেখা পড়া করি সাথে
আব্বুর ব্যাবসাও দেখি মাঝে মাঝে। আর
যার সাথে আমার বিয়ে হয়ছে তার বর্ননা
তো আগেই পায়ছেন তার নাম তো
জানেন। তবে সোনালীকে দেখে মনে
হচ্ছে বয়স তেমন একটা হবেনা বড় জোর ১৫
কি ১৬ হবে একে তো গ্রামের মেয়ে
আবার করেনি লেখা পড়া আল্লাহ যানে
বাকি জীবনটা আমার কপালে কি
রাখছে। যাই এখন একটু ঘুমায় তখনি নাকের
মাঝে এক ঘুসি আমি চিৎকার দিব কি
দিবনা ভাবতে ভাবতে আবার এসে
আমাকে জড়িয়ে ধরছে সোনালী। এমন
ভাবে ধরছে মনে হচ্ছে আমাকে মেরে
ফেলবে অনেক কষ্টে নিজেকে ছারিয়ে
নিয়ে মাঝে একটা বডার দিয়ে নাক
ডলতে ডলতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি ঠিক
মনে নেই। সকালে ঘুম থেকে ওঠে দেখি
সোনলী রুমে নেয় যাক একটু বাচা গেলো,
ওঠে ফ্রেস হতে যাবো তখনি আয়নার
দিকে চোখ গেলো তাকিয়ে দেখি
আমার সাড়া চেহারায় দুই ঠোটের লাল
লাল লিপিষ্টিকের দাগ পরে আছে তা
দেখে এক চিৎকার আর তখনি ভাবি সহ
সোনালী আর আম্মু দৌরে রুমে এসেছে।
আম্মু:- কিরে এমন ভাবে মুখ ঢেকে
রাখছিস কেন আর এত জোরে চিৎকার
দিলি কেন?
আমি:- কিছুনা তোমাদের আদরের
# বউ_রানী কোথায়?
সোনালী:- এইত আমি এখানে আপনার
সামনে দাঁড়িয়ে আছি। বলেন কি বলবেন?
আমি:- রুমালটা চেহারার সামনে থেকে
সরাবার পর সবাই আমার দিকে হা করে
তাকিয়ে আছে। তখনি আমি সোনালীকে
দেখিয়ে বলতেছি এই গুলা কি?
সোনালী:- রাতে যে আপনাকে চুমা
দিয়েছি সেই লিবিষ্টকের দাগ গুলো
লেগে আছে তাতে সমস্যা কি পানি
দিয়ে দুয়ে ফেললে তো পরিষ্কার হয়ে
যাবে।
আমি:- তোমাকে আমি বারন করেছিনা
যে আজকে কিছু করা লাগবেনা তাহলে
তুমি কেন করেছো?
সোনালী:- ভাবি তো রাতে এসে আমাকে
বলে গেছে যদি আপনি কিছু না করেন
তাহলে আমি যেন আপনাকে চুমা দেয় আর
আন্জা দিয়ে ধরি। তাই তো আপনি যখন
ঘুমিয়ে ছিলেন তখন আমি এই সব কিছু
করেছি।
আমি:- তবেরে মাইয়া দেখাচ্ছি আমি
তোমাকে।
সোনালী:- থাক এখন সবার সামনে কিছু
দেখাবার দরকার নেই, যখন দেখতে চাইছি
তখন কিছুে দেখাননি এখন দেখতে
পারবোনা ঐ দিকে আমার খেলা শেষ
হয়ে যাচ্ছে! তবে আজ রাতে কিন্তু আপনি
তারা তারি ঘুমাবেন না আপনি কিন্তু
বলছেন আজকে আমাকে আন্জা (জড়িয়ে)
দিয়ে ধরবেন আর চুমাও দিবেন।
আমি:- দেওয়াচ্ছি তোমাকে চুমা।
সোনালী:- থাক এখন রেখে দেন রাতে
দিয়েন কেমন! আচ্ছা আমি এখন যাই। ঐ
দিকে আমার খেলা ফেলে আসছি তানা
হলে শেষ হয়ে যাবে বলে দৌরে চলে
গেলো সোনালী। আম্মু আর ভাবি আমার
দিকে তাকিয়ে হাসতে হাসতে চলে
গেছে রুম থেকে! আর আমি দাঁড়িয়ে
রেগে মেগে ফ্রেস হতে চলে গেলাম।
।
চলবে,,,