পূর্ব রোদ

পূর্ব রোদ !! Part- 28

হঠাৎ নিলয়ের মনে পড়লো সে তো নাবিলা’র কান্না শুনতে পারে অজানা নাম্বার হয়ে।নিলয় তাড়াতাড়ি নাবিলা’র নাম্বারে কল করলো।ওপাশে রিসিভ হলো ঠিকই কিন্তু কান্নার আওয়াজ ছাড়া কিছুই শুনা গেলো না।নিলয়ের চোখজোড়া লাল হয়ে এলো।কান্নাটা যেনো গলা বরাবর এসে ধাক্কাধাক্কি করছে।এতো কষ্ট কেনো হয় মানব-জাতির?


রোদের চোখ লেগে আসবে তখনি ফোনটা বেজে উঠলো।চোখ পিটপিট করে মোবাইল হাতে নিয়ে দেখলো মেঘের কল।এতো রাতে মেঘের কল দেখে রোদ হতবাক হলো।কেনো কল করেছে তা ভেবে রোদ রিসিভ করলো।
“হ্যালো,রোদ কেমন আছো?”
“ভালো।তুমি এতো রাতে?”
“কেনো জানি না আজ হঠাৎ তোমাকে বেশি মনে পড়ছিলো।তাই কল করলাম।সরি!”
মেঘের কথা রোদ বিরক্ত হলো।ভদ্রতার খাতিরে উত্তর দিলো,”না না ইট’স ওকে।”
“পূর্ব কোথায়?”
মেঘের কথায় রোদ পাশে তাকিয়ে দেখলো পূর্ব চোখ বন্ধ করে ঘুমিয়ে আছে।হাসিমুখে রোদ উত্তর দিলো,”ঘুমাচ্ছে।”
“ওহ।”
“গুড নাইট মেঘ।”

“রোদ শুনো..”
বিদায় জানিয়ে রোদ কান থেকে মোবাইল নামিয়ে রাখছিলো।মেঘের কথায় সে আবার কানে মোবাইল লাগালো।অসস্তি স্বরে বললো,
“বলো,”
“পূর্বের সাথে সব ঠিক আছে তো?”
“মানে?”
“মানে” শব্দটা একটু জোরে উচ্চারণ করায় পূর্ব নড়ে উঠলো।পূর্বের ঘুম ভাঙবে ভেবে রোদ সাবধানে পা ফেলে বারান্দায় গেলো।ওপাশ থেকে মেঘের কন্ঠস্বর শুনা গেলো,
“মানে পূর্ব তোমার সাথে ভালো ব্যাবহার করছে তো?”
“মেঘ,তোমাকে শুরু থেকে আমি বন্ধু ভাবতাম শুধু।আর কিছুই না।পূর্বের সাথে আ’ম টোটালি হ্যাপি।আমি আরো হ্যাপি থাকবো যদি তুমি আমার সংসারে নাক না ঢোকাও।”
রোদের শেষ কথাটা শুনে মেঘের অনুভূতি সব ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেলো।মেঘের মনটা যে বড্ড অবুঝ হয়ে গেছে।মেঘ কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বললো,
“রোদ,আমি জানি আমি তোমাকে ডিসটার্ব করছি।জানো তো সবচেয়ে কষ্ট কখন হয়?নিজের ভালোবাসা’র মানুষকে না পেলেও অতোটা কষ্ট হয় না যতটা নিজের ভালোবাসার মানুষের সাথে অন্য’জনকে দেখলে হয়।”
“আমি হ্যাপি আছি কি’না তা কেনো জিজ্ঞেস করো?”
“জানিনা।শুধু মনে হয় তোমার জন্য আমি পারফেক্ট!তুমি শুধু আমার কাছেই খুশি থাকবে।”
“মেঘ,এইটা তোমার ভূল ধারণা।আমি পূর্বের সাথে যথেষ্ট হ্যাপি আছি।”
রোদের কথা শুনে ওপাশ থেকে কোনো আওয়াজ এলো না।রোদ দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে আবারো বললো,”তোমার যদি ডাউট হয় আমি ভালো নেই তাহলে তুমি নিজে এসে দেখে নিতে পারো।”
“মানে?”
“মানে সামনে যে কোনো একদিন আমি তোমাকে ইনফর্ম করলে তুমি ঢাকা এসে দেখে নিবে আমি কতোটা হ্যাপি।তখন হয়তো নিজেকে শুধরে নিতে পারবে।মরীচিকা’র মতো আর আমার পেছনে ছুটবে না।”
রোদের কথায় মেঘ কিছু বললো না।রোদ আর কিছু না বলে ফোন কেটে দিলো।রোদ আবারো ঘুমাতে যাবে তখন পূর্বের কন্ঠস্বর কানে আসলো,”কার সাথে কথা বললে এতো রাতে?”
পূর্বের কথায় রোদ ভূত দেখার মতো চমকে উঠলো।এখন যদি মেঘের সাথে কথা বলছি বলে তাহলে মাঝরাতে কোলাহল করবে।তার চেয়ে বরং না বলায় ভালো ভেবে রোদ বললো,
“আলো’র নাকি পেট ব্যাথা করছিলো তাই কল করে কান্নাকাটি করছিলো।আমি ওষুধ খেয়ে ঘুমাতে বললাম।”
“ওহহ।ঘুমাও এখন।”
পূর্বের শেষ কথায় রোদ হাঁপ ছেড়ে বাঁচলো।আল্লাহ’র নাম নিতে নিতে ঘুমের রাজ্যে পাড়ি জমালো।


“আম্মি,ও আম্মি বলো না ৬ তারিখ কী?”
“তোর মনে নেই রোদ?”
“মনে থাকলে তোমাকে জিজ্ঞেস করতাম?”
“৬ তারিখ তোদের বিয়ের ডেইট।”
“কীহ?”
চাঁদনি মোহাম্মদের কথা শুনে রোদ মুখটা হা হয়ে গেলো।নিজের বিয়ের তারিখ নিজেরেই মনে নেই।চাঁদনি মোহাম্মদ যখন তার স্বামীর সাথে ৬তারিখ নিয়ে কথা বলছিলো রোদ সবটা শুনে নে।কিন্তু ৬তারিখ যে তার বিয়ে হয়েছিলো মনেই নেই।এমন লজ্জাজনক পরিস্থিতি’তে রোদ কোনোদিন পরেনি।পরক্ষণে মনে এলো সেই ছোট বেলায় বিয়ে হয়েছিলো এখন কীভাবে মনে থাকবে?রোদ ভাব নিয়ে বললো,
“পিচ্চিকালে বিয়ে দিছিলে তোমরা।মনে থাকবে কেনো?”
“হয়েছে।”

রোদের মনে হঠাৎ প্রশ্ন জাগলো পূর্বের কী মনে আছে?আবার ভাবলো পূর্বেরও ছোট বেলায় বিয়ে হয়েছে নিশ্চয় তার ও মনে নেই।রোদ আবুল-তাবোল ভাবতে ভাবতে রুমে প্রবেশ করে।পূর্ব এখন বাড়িতে নেই।কোথাও বেরিয়েছে হয়তো।রোদ বিছানায় বসে ভাবতে লাগলো ৬তারিখ হলো পরশু।তাহলে সেদিন কী স্পেশাল কিছু করা যায় না?রোদ অনেকক্ষণ ভেবে সিদ্ধান্ত নিলো আগামী কাল সে কিছু একটা করবে।তাড়াতাড়ি সে নিচে গেলো।নিচে গিয়ে চাঁদনি মোহাম্মদ’কে বললো,
“আম্মি,পরশু কী কিছু করছো?”
“হ্যা।ছায়া,আলো,রাফিয়া তিহান আর নাবিলা ওরা সবাই আসবে।”
“মানে আমরা কয়েকজন থাকবো?পার্টি হবে নাকি?”
“পার্টি টাটি না।এমনি সবাই আসবে।”
“ওহহ।আচ্ছা আম্মি তাহলে আমি আমার একফ্রেন্ড’কে ইনভাইট করি?”
“তোর আবার বন্ধু কখন হলো?”
“আরে আছে।”
“ঠিক আছে।আসতে বল।”
রোদ এলোমেলো হেটে নিজের রুমে চলে এখন।রোদের এখন অনেক কাজ।

পূর্ব পা নাড়িয়ে সামনে হাটছে।আজ বাইরে বের হয় কোনো কারণ ছাড়া।হঠাৎ তার রোদের মায়ের কথা মনে পড়ায় তার কাছে যায়।ওবাড়িতে গিয়ে পূর্ব যখন আলো’র থেকে শরীরের অবস্থা জিজ্ঞেস করে তখন আলো বলে সে একদম ঠিক আছে।এমনকি রাতে কোনো কল করেনি।
তাহলে রোদ কী তাকে মিথ্যা বললো?কিন্তু রোদের মিথ্যা বলার কারণ কী?কার সাথেই বা ও কথা বলছিলো?হাঁটতে হাঁটতে পূর্ব নিজের বাড়িতে প্রবেশ করে।তখন বাড়ি’র পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিলো।কিন্তু অস্বাভাবিক ছিলো পূর্ব।পূর্ব মনে মনে ঠিক করলো সে সোজা রোদ থেকে জিজ্ঞেস করবে কাল রাতে কার সাথে কথা বলছিলো।সেই ভাবা সেই অনুযায়ী পূর্ব রোদকে খুজতে লাগলো।তখনি তার সামনে এসে রোদ হাসিমুখে হাজির হলো।রোদের এমন চেহেরা দেখে পূর্ব সবকিছু ভূলে গেলো।রোদ’কে আর কোনো কিছু জিজ্ঞেস করলো না।
সময় এখন চার’টা।আসরের আজান দেওয়া হয়ে গেছে।আছরের পরের সময় সবটা রোদের কাছে যথেষ্ট মূল্যবান।খুব ভালো-ভাবে অনুভব করে সময়টা।তখন পরিবেশটা থাকে থমথমে,নিরব!রোদ নামাজ আদায় করে ফোনটা হাতে নিলো।মেঘ’কে কল করে জানাতে হবে পরশু এখানে উপস্থিত হওয়ার জন্য।
ঐদিন আসলে ভালোমতো দেখবে পূর্ব-রোদের সংসার।রোদ মোবাইল থেকে মেঘের নাম্বারে ডায়াল করলো।দু’বার রিং হতে ওপাশে রিসিভ হলো।রোদ মোবাইলটা কানে লাগিয়ে বললো,
“হ্যালো,মেঘ?”
“হুম।কী অবস্থা?”
“আলহামদুলিল্লাহ ভালো।তোমাকে একটা কথা জানাতে কল করলাম।”
“কী কথা?”

“তুমি যদি ফ্রি থাকো তাহলে পরশু ঢাকায় আসতে পারো।”
“পরশু?”
“হুম।তুমি এসে দেখে নিও আমি হ্যাপি কি’না।”
“ওকে।ট্রাই করবো।”
“হুম।”
রোদ কল কেটে দিয়ে ফোনটা বিছানায় রাখলো তখনি পেছন থেকে পূর্ব বলে উঠলো,”কার সাথে কথা বলছিলে?”
পূর্বের থমথমে কন্ঠ শুনে রোদ গত রাতের মতো চমকে গেলো।পূর্বের কথা শুনে রোদ ভাবতে লাগলো কী বলবে এখন?মেঘ যদি আসে তাহলে তো ঠিকই দেখবে আর এখন যদি বলে দে তাহলেও রাগারাগি করবে।রোদের নিজের সাথে যুদ্ধ শুরু করলো।এক মন বলছে সবটা বলে দিই অন্য মন বলছে না থাক,মেঘ আসলে বলবো।রোদের নক কামড়াতে লাগলো।পূর্ব রোদের কোনো সাড়া না পেয়ে নিজে বললো,”কল কী মেঘ করেছিলো?”
এবার রোদ আগের তুলনায় বেশি চমকালো।পূর্ব কী করে জানলো সে মেঘের সাথে কথা বলছিলো?তাহলে কী সব শুনে ফেলেছে?রোদ আমতা আমতা করে কিছু একটা বলতে যাবে তখন পূর্ব বললো,”তুমি কাল রাতেও মেঘের সাথে কথা বলেছো।অথচ আমাকে বললে আলোর সাথে কথা বললে।এখন আবার মেঘের সাথে কথা বলছো।কী এতো কথা জমে আছে ওর সাথে?আর লুকিয়ে লুকিয়ে কেনো কথা বলছো?সমস্যা কী তোমার?”
পূর্ব কথায় রোদের আশ্চর্য আকাশ ছোঁয়ালো।পূর্ব সবটা কে বললো?আর পূর্ব কী মিন করছে?রোদ কাঁপা কাঁপা স্বরে বললো,
“পূর্ব তুমি ভূল ভাবছো।মেঘ কল ক…”

“এখন আমি সবকিছু জানার পর কেনো সত্যি’টা বলছো?আগে বলতে পারোনি?আর মেঘের কিসের এতো ফষ্টিনষ্টি?”
“পূর্ব তুমি সিম্পল একটা…..”
“হুয়াট সিম্পল?আমার স্ত্রী মাঝরাত পর পুরুষের সাথে কথা বলছে তাও চুপিচুপি।এইটা তোমার কাছে সিম্পল?”
“পূর্ব….”
“শাট আপ।একটা কথাও বলবে না তুমি।যা বুঝার আমি বুঝে গেছি।”
নিজের মতে করে বকবক করে পূর্ব রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।রোদ শুধু ছলছল দৃষ্টিতে পূর্বের যাওয়ার পনে তাকিয়ে রইলো।পূর্ব তাকে সন্দেহ করছে।নূন্যতম বিশ্বাস টুকুও কী পূর্বের নেই?এ কেমন জন’কে ভালোবেসে ফেলেছে রোদ?

সন্ধ্যা ছয়’টা তেত্রিশ মিনিট।নাবিলা নিজের বাইক নিয়ে বেরিয়ে পরলো নিলয়ের সাথে এক রাত কাটানে উদ্দেশ্য।তার গন্তব্য স্থান নিলয়ের বাড়ি।পরণে তার সোনালি কালারের টপস সাথে এ্যাস কালারের জিন্স পেন্ট।নাবিলা একদম নরমাল ভাবে যাচ্ছে।মুখে একদম সাজেঁর চিহ্ন পর্যন্ত নেই।বাড়িতে মা’কে বলে এসেছে বান্ধবী’র বাসায় যাচ্ছে।আর রাতে ওখানেই থাকবে।প্রথমে তিনি না মানলেও পরে নাবিলা’র জোরাজোরি’তে রাজি হয়ে যায়।
টানা আধ ঘন্টা বাইক চালানোর পর নাবিলা আহমেদ মঞ্জিলে পৌছালো।বাড়িটা বেশি বড় না হলেও অতো ছোটও না।নাবিলা চাপা স্বরে নিজে পা সে বাড়ির মাটিতে রাখলো।সামনে যত এগোচ্ছে নিজের মধ্যে অস্থিরতা ততটাই বাড়ছে।নাবিলা যতটা সম্ভব নিজেকে কঠিন রাখছে।নাবিলা অনেকটা ডাবের মতো।বাইর থেকে যেমন শক্ত ভিতরে ঠিক তেমনি সরল।
নাবিলা সেই একতলা বাড়ি’টার সদর দরজার সামনে দাঁড়ালো।দরজার বাম পাশে কলিং বেল দেখা যাচ্ছে।নাবিলা কলিং বেল চাপতে গিয়ে থেমে গেলো।কারণ সদর দরজা খুলা দেখা যাচ্ছে।নাবিলা আলতো করে ঠেলে ভিতরটা দেখলো।নাবিলা’র প্রথমে চোখ পরলো সামনে থাকা নিলয়ের ছবিটার উপর।তারমানে সে ঠিক জায়গায় এসেছে।এভাবে বিড়ালের মতে লুকিয়ে লুকিয়ে না দেখে নাবিলা খুব জোরে দরজা ধাক্কা দিলো।দরজা আগে থেকে হালকা খুলা ছিলো বিধায় এখন পুরাটা খুলে গেলো।
নাবিলা দেখলো বাড়িটা বাইর থেকে দেখতে মাঝারি হলেও ভিতরে বেশ বড়সড়।নাবিলা বা’পাশে তাকিয়ে দেখলো ওয়াইনের বোতল রাখার জন্য তিন-চারটা তাক।কিন্তু নাবিলা’র জানা মতে তো নিলয় ড্রিংক করে না।তাহলে এগুলা?নাবিলা ভিতরে থাকা সরল মনের মানুষটি তার মস্তিষ্কে জানান দিলো নাবিলা জানে না এমন আরো অনেক কাজ নিলয় করে।আর নিলয়ের মতো ছেলে ওয়াইন খাবে এইটা স্বাভাবিক।নাবিলা হঠাৎ জোর বলে উঠলো,”মি.নিলয়,তোমার ওয়ান নাইট পার্টনার এসে…”
“ওহ।এতোক্ষণ তোমার অপেক্ষা’তে ছিলাম।”
নিলয়ের কন্ঠ অনুসরণ করে নাবিলা পেছনে তাকালো।ওদিকে থাকা একটি রুম থেকে নিলয় বের হচ্ছে।নাবিলা ভ্রু-কুচকে দু’হাত ভাজ করে নিলো।তাচ্ছিল্যের সুরে হেসে বললো,
“এতো অপেক্ষা করার কী ছিলো?অন্য কোনো মেয়েকে ডেকে নিলেই পারতে।”
“উফ!তোমার এই ট্যারা কথায় না আমি ফেঁসে গেছি পাখি।চারপাশে শুধু এখন নাবিলাকেই দেখি।”
“জোক্স!”

নিলয় নাবিলা’র কাছাকাছি এসে তার চারপাশে ঘুরতে ঘুরতে বললো,”এখন সময় সাত’টা বারো মিনিট।তুমি পাক্কা এক ঘন্টা লেইট করেছো।তাই যেতে দিবো ওদিকে প্লাস করে।”
“আই ডোন্ট কেয়ার!নাবিলা কারো কথায় নিজেকে চালায় না।”
“তাহলে তুমি এখানে নিজের ইচ্ছায় এসেছো?”
“ইয়েস।এক রাত কাটালে তোমার থেকে চিরদিনের জন্য মুক্তি তো পেয়ে যাবো।”
কথাটা নিলয়ের বুকে নির্ধারিত তীরের মতো ভেদ করলো।নাবিলা’র কাছে সত্যিই সে অতোটা বিরক্ত যে মুক্ত হওয়ার জন্য কতোকিছু করছে।হ্যা!নিলয় তাকে সত্যি চিরদিনের মতো মুক্ত করে দিবে।নিলয় বাঁকা হাসলো।সে হাসিতে লুকিয়ে পরলো জমে থাকা কষ্টের পাহাড়’টা।
[চলবে]