পারফেক্ট ভিলেন

পারফেক্ট ভিলেন ! Season- 02 !! Part- 13

মেরিন : নীড় ….
নীড় : ….
মেরিন মনে মনে : এর চোখ মনে হচ্ছে পিটপিট করছে। ও….. তো ড্রামা করা হচ্ছে? দেখাচ্ছি মজা…
মেরিন : oh no… কি হলো নীড়ের? মরে টরে গেলো না তো? না বাবা না হাত লাগাবোনা। আমার দোষ হবে। এক কাজ করি উনার family কে ফোন করি। সবার আগে উনার হবু বউকে। আমার ফোন? রুমে…
মেরিন রুমে যেতে নিলে নীড় তারাতারি উঠে মেরিনের হাত ধরলো।
নীড় : ওই কই যাও?
মেরিন : একি আপনি পটল তুলেননি ?
.
নীড় মেরিনকে টেনে নিজের কোলে বসালো।
মেরিন : yuck… আমাকে নিচে বসালেন কেন?
নীড় : নিচে কোথায় বসালাম? আমার কোলেই তো আছো…
মেরিন : দেখি ছারুন আমাকে …
নীড় মেরিনের কপাল থেকে চুল সরিয়ে কানের পিছে গুজে দিলো।
নীড় : এখন তো ভালোবাসি বলে দিলাম । তবুও কেন এতো রাগ?
মেরিন : এভাবে কেউ ভালােবাসি বলে? যেন ভালোবাসি বলে আমাকে উদ্ধার করলেন।
নীড় মুচকি হেসে বলল : আমি চেয়েছিলাম grandly তোমাকে propose করতে। কিন্তু কালকে তোমার জন্য সব ভেসতে গেলো।
মেরিন : মানে?
নীড় : মানে তোমার চোখের পানি । i can’t bear that…
মেরিন : …
নীড় : i love you..
মেরিন : but i hate you…
নীড় : কেন ?
মেরিন : কারন আপনি second hand… অন্যকারো। এ্যানা আপুর।
নীড় : আরে just engagement ই তো হয়েছে। তাই না? i will break it…
মেরিন : আপনার জন্যা এটা just engagement হতে পারে । কিন্তু সবার জন্যনা। ১টা মেয়ের জন্য না। এ্যানা আপুর জন্যনা। আপনি চাইলেই এই সম্পর্ক ভাঙতে পারেন না। কারো মন ভেঙে, কারো সম্পর্ক ভেঙে কেউ সুখী হতে পারেনা। আমি আপনিও পারবোনা। আর হতে চাইও না।
নীড় : you know what… thats why i love you most… আর তার থেকেও বড় কথা এ্যানা আর আমার সম্পর্ক কোনো ভালোবাসার সম্পর্ক না its about family … আর জবরদস্তির সম্পর্কে কেউ ভালো থাকতে পারেনা।
মেরিন : তাহলে সম্পর্কটা তৈরী হতে দিলেন কেন? কেন আগে নিজের ভালোবাসার কথা বললেন না?
নীড় : জেনে যাবে । খুব শীঘ্রই জেনে যাবে।
মেরিন : আপনি কি সত্যিই আমাকে ভালোবাসেন?
নীড় মুচকি হেসে মেরিনের কপালে কিস করে বলল : আমার চোখের দিকে তাকাও…
মেরিন তাকালো।
নীড় : i love you…. তুমি trust করো। আমি আর কিছুই চাইনা ।
মেরিন : এ্যানা আপু…
নীড় : i’ll handle her…
.
৩দিনপর…
নীড়-মেরিন লাভি ডাবি কাপল হয়ে ৩দিন কাটালো।
মেরিন : তারাতারি রেডি হয়ে নেই। না হলে আবার নীড় বলবে যে আমি রেডি হতে বেশি সময় নেই। আর রেড হতে লেট হলে তো লং ড্রাইভে যেতেও দেরি হয়ে যাবে। আর যদি লং ড্রাইভে সময় না পাই তবে উনাকে সত্যিটা বলবো কি করে যে সেদিন shark নিয়ে ড্রামাটা আমি করেছিলাম। হ্যা যদিও ওখানে ১টা সত্যিকারের shark চলে এসেছিলো। কিন্তু যা করেছি উনার actual feelings টা জানার জন্য। যদি উনি মনে করেন যে উনাকে পাওয়ার জন্য এসব করেছি….উনার engagement ভাঙার জন্য করেছি… কিন্তু আমি কেবল উনার feelings টা জানার জন্যে করেছি। উনার engagement ভাঙার জন্য না… উনি কি আমাকে বিশ্বাস করবেন?
তখন মেরিন কিছুর শব্দ শুনতে পেলো।
মেরিন : আরে কিসের আওয়াজ ? মনে হলে কেউ নীড় দরজায় নক করলো । দেখবো? না না । করুক । এতো চেকিং সেকিং করলে আমিও আর ৫টা typical lover হয়ে যাবো।
একটুপর মেরিন আবার কোনো চিল্লানোর আওয়াজ পেলো
মেরিন : আরে এটা কিসের শব্দ? চিল্লানোর। তাও মেয়ে কন্ঠ।যাবো? রেডি তো হয়েই গেছি। একটুখানি বাকী। একবারেই যাই।
.
মেরিন রেডি হয়ে নিলো। এরপর নীড়ের রুমে গেলো।
মেরিন : i m ready জা…
কিন্তু চোখের সামনে যা দেখলো তা দেখে মেরিনের পায়ের নিচে মাটি সরে গেলো । কারন এ্যানা আর নীড় অনেক close ছিলো। actually কিস করছে ২জন ২জনকে।
মেরিনের গলার আওয়াজ পেয়ে এ্যানা পিছে ঘুরলো। আর নীড়ের তো মরে যেতে ইচ্ছা করছে। এ্যানা হঠাৎ করে দুম করে এসে ওকে জরিয়ে ধরলো। এ্যানাকে সরাতে চাইছিলো । বারবার এ্যানাকে বারবার দূরে সরাচ্ছিলো। অথবা নিজে সরে যাচ্ছিলো। ১টা পর্যায়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয় । এ্যানা চিল্লা পাল্লা কান্না কাটি শুরু করলো। নীড় এসে সামলাতে গেলে এ্যানা দুম করে কিস করে বসলো।
এ্যানা : আরে তুমি এখানে? কারো রুমে ঢুকতে হলে নক করে আসতে হয়। personal time থাকতেই পারে।
মেরিন : sorry আপু
মেরিন চলে গেলো।
নিজের রুমে গিয়ে বালিশে মুখ গুজে কাদতে লাগলো।
মেরিন : i hate you নীড় …. i just hate you…
.
পরদিন …
সকালে…
নীড় : i have to talk to her…
নীড় রুম থেকে বের হবার জন্য দরজা খুলল। দেখলো যে রুমে নতুন কারো লাগেজ ঢোকানো হচ্ছে। নীড় বুঝতে পারলো যে মেরিন এখান থেকে চলে গেছে।
নীড় : damn it… আমার লাইফে কি আগেই সমস্যা কম ছিলো? ধ্যাত… তারাতারি ভার্সিটিতে যাই। নীড় ছুটলো ভার্সিটিতে। কিন্তু মেরিনকে পেলোনা। নিজের ক্লাস বাদ দিয়ে মেরিনের অপেক্ষা করলো । কিন্তু মেরিন এলোনা। ৩দিন ধরে নীড় মেরিনকে খুজে পেলোনা।
.
৩দিনপর…
মেরিন বসে আছে yacht এ। চারদিকে পানি আর পানি। কেউ নেই চারদিকে।
মেরিন : কেন নীড় কেন? ধোকা দিলেন কেন? আপনার ধোকাটা যে আমি মেনে নিতে পারছিনা… আপনার ধোকার শাস্তি আপনার পেতেই হবে। কেন দিলেন ধোকা….
নীড় : আমি কোনো ধোকা দেইনি…. ভালোবেসেছি….
মেরিন অবাক হয়ে পিছে ঘুরলো। নীড়কে দেখে ওর বুকটা মোচর দিলো।
মেরিন : আপনি? আপনি এখানে ?
নীড় : অবাক হলে তাইনা? যে আমি কি করে এখানে কি করে এলাম? ভুলে যেওনা যে বন্যা কখনো বর্ষনের আড়াল হতে পারেনা …
মেরিন : প্রথম আর শেষবারের মতো বলছি এখানে থেকে চলে যান ।
নীড় কিছু না বলে মেরিনের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলো। মেরিন ওর গান বের করলো।
মেরিন : ভালোমতো বলছি চলে যান। না হলে আপনাকে shoot করবো। আর আমার গান আসল।
নীড় মুচকি হেসে
বলল : যদি গুলি করতে পারো তো করো। যাকে ভালোবাসি তার হাতে মৃত্যু পাওয়া কয়জনের ভাগ্যে থাকে বলো তো…
মেরিন : আমি কিন্তু সত্যি গুলি করে দিবো…
নীড় আগে বারতে লাগলো। আগে বারতে বারতে একে বার gun point এ চলে গেলো। গান নীড়ের বুকে লেগে গেলো।
.
নীড় : shoot me… come on shoot me…
মেরিন : ….
নীড় : যদি তোমার মনে হয় যে আমি অপরাধী , তোমাকে ধোকা দিয়েছি তাহলে গুলি করো। shoot me….
মেরিন : আপনি আমাকে ভালোনাবাসলেও আমি আপনাকে ভালোবাসি। thats why i can’t hurt you.. but others can… আমি চাইনা ভাইয়ার কাছে বিষয়টা জানাতে… out.. just out…
নীড় মেরিনের হাত থেকে গানটা সরিয়ে রাখলো ।
নীড় : i know i hurt you… কিন্তু আমাকে বলার ১টা সুযোগ দাও জান।
মেরিন নীড়কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো।
মেরিন : খবরদার আমাকে জান ডাকবেননা। বুঝেছেন। আপনি ধোকাবাজ ধোকাবাজ ধোকাবাজ।
নীড় : বিশ্বাস করো আমি তোমাকে ধোকা দেইনি। আমি সত্যি তোমাকে ভালোবাসি । অনেক বেশি…
মেরিন : just shut up… কোন কথা বলবেন না। আপনি ১টা বাজে মানুষ। মেয়েদের মন নিয়ে খেলতে আপনারা ভালোবাসেন। আপনারা কাউকেই ভালোবাসেন না। আপনাদের কাছে শুধু ১টা জিনিসই mean করে । সেটা হলো intimacy…. এ্যানা is smart & stylish ,,, সুন্দরী perfect …. ওই কয়দিন এ্যানা ছিলোনা। তাইজন্য আপনি আমার কাছে ছিলেন। আপনার উদ্দেশ্য তো ছিলো in….
মেরিন আর বলতে পারলোনা। নীড় মেরিনের ঠোট জোরা দখল করে নিলো। মেরিন বারবার নীড় সরানোর চেষ্টা করছে কিন্তু পারছেই না।
.
একটুপর….
নীড় মেরিনকে ছেরে শক্ত করে বুকের সাথে চেপে ধরলো। সেই সাথে মেরিনের হাতও বন্দী করে নিলো।
নীড় : listen to me very carefully ….
নীড় মেরিনকে সেদিনের সব সত্যি বলল। এরপর নিহাল-কবিরের দুশমনির কথা বলল।
নীড় : বুঝেছো…. কেন এ্যানের সাথে engagement করেছিলাম। কিন্তু আমি বুঝতে পারলাম যে তুমি ছারা আমি অচল।
মেরিন : বাবার সাথে uncle এর কি দুশমনি?
নীড় : জানিনা জান….
মেরিন : এখন কি হবে?
নীড় : আমাকে বিশ্বাস করো?
মেরিন : হামম।
নীড় : পাশে থাকবে ?
মেরিন : হামম।
নীড় : then খাবার খেয়ে রেডি হয়ে নাও । আমি জানি খাবার ঠিক মতো খাওনি?
মেরিন : কোথায় যাবো?
নীড় : গেলেই দেখতে পারবে।
মেরিন : বলুন না…
নীড় : ১টা কথা বলি..
মেরিন : বলুন…
নীড় : তুমি করে বলা যায়না?
মেরিন হেসে দিলো।
মেরিন : is it important ?
নীড় : হামমম। যদিও আপনিটা তোমার মুখে ভালোলাগে।
.
পরদিন…
নীড় : মেরিন… মিট রুবেল…. রুবেল মিট মেরিন… my love…
মেরিন : ….
নীড় : মেরিন ও হলো রুবেল। এ্যানার এক্স। রিয়াল লাভ।
মেরিন : 😱।
নীড় : রুবেলের income আগে অনেক কম ছিলো। যারজন্য এ্যানা ওকে ছেরে দেয়। কারন ওর ambition অনেক high… তাই।
কিন্তু সত্যি সত্যি ও রুবেলকেই ভালোবাসে। আজও ভুলতে পারেনি রুবেলকে। আজকে রুবেল প্রতিষ্ঠিত। international model…. চৌধুরী com. কে ১০বার কিনতে পারে। লাখ লাখ মানুষের crush… কিন্তু ওর মনে আজও এ্যানা।
মেরিন : সবই তো বুঝলাম। কিন্তু … করবেন টা কি?
নীড় : এ্যানাকে রুবেলের মুখোমুখি করবো। আমি জানি ভালোবাসা কে লুকিয়ে রাখা যায়। কিন্তু ভোলা যায়না ।
রুবেল : কিন্তু এ্যানা যে ভীষন জেদী। যদি আমার কাছে না ফিরে?
নীড় : এ্যানা ওর career কে অনেক বেশি ভালোবাসে । ফিরবেই তোমার কাছে।
রুবেল : সত্যি বলছো
নীড় :হামম।
.
পরদিন এ্যানা-রুবেল মুখোমুখি হলো। ৮-১০ দিন নীড়ের অনেক কাঠ-খর পুরানোর পর এ্যানা আর রুবেল এক হয়ে গেলো। এরপর এ্যানা নীড়ের সাথে engagement ভেঙে দিলো।
নীড় : তোমার জন্য বাবা…. অমন ১টা মেয়ের সাথে আমি নতুন জীবন শুরু করতে যাচ্ছিলাম । মেরিনকে ভুলে… তুমি এমন ১জনকে আমার জন্য select করেছিলে যে কি বলবো…
নিহাল : sorry my son…. আমি জানতাম না বাবা। last moment এ তো বলেই ছিলাম যে করতে হবেনা engagement … কিন্তু তুমিই তো…
নীড় : ব্যাস বাবা। রাখছি। bye….
নীড় ফোন রেখে দিলো।
মেরিন : কি নিখুত অভিনয় মিস্টার চৌধুরী…
নীড় : যার জন্য করলাম চুরি সেই বলে চোর… হায়রে কপাল।
মেরিন : আহা হা.. আচ্ছা এ্যানা তো গেলো। ২বাবাকে কিভাবে রাজি করবো। বাবার অনুমতি ছারা কিন্তু আপনাকে বিয়ে করতে পারবোনা। ভুলতে হবে ভালেবাসা…
নীড় : আমারও same…
মেরিন : বাচবো কিভাবে ?
নীড় : জান। আমরা বাচবো। ভালোবেসেই বাচবো। আমাদের বিয়েও হবে । সবার অনুমতি নিয়েই হবে ।
মেরিন : কিভাবে?
নীড় : planning করতে হবে। বড় সর। তুমি এগুলো না ভেবে study তে concentration করো। graduation complete করো। ততোদিনে খান-চৌধুরীকে এক আমি করেই দিবো।
.
☆: হায় নীড়… i proud of you…. তুমি তো আমার সব কাজ সহজ করে দিলে। love you.. তুমি শুরুতে ভিলেন ছিলে। কিন্তু এখন তুমি হিরো। হায়…. ম্যা মারজাওয়া। কিন্তু নীড়… তোমার জান যে ৭মাসের মধ্যে বিয়ের করার কথা বলেছে সেটা তো তুমি জানোনা। মেরিন বন্যা খান তো বলেছে তো বলেছে। তখন তোমার কি হবে নীড়? কি plan করবে? ঝটকা তো খেতেই হবে। scholarship শেষে দেশে ফিরেই তো ধামাকা…. বুম … বুম… বুম… হাহাহা….
নীড়-মেরিন কি আলাদা হবে ? না না না…. আমি তো আলাদা হতে দিবোনা।
.
৪মাসপর….
scholarship complete করে নীড়-মেরিন দেশে ফিরলো। আর বাড়ি ফিরেই মেরিন অবাক। কারন ওর engagement ঠিক হয়ে গেছে। ওরই কথা মতো।
কবির : মামনি…. তোমার কথা অনুযায়ী বিয়ে ঠিক করেছি….
.
চলবে….