পূর্ব রোদ

পূর্ব রোদ !! Part- 14

রোদ পূর্বের চেহেরা দেখে মিটিমিটি হাসলো।পূর্ব নাবিলার মন্তব্য শুনে বুঝলো শুধু তার কফিটাই ইচ্ছে করে বাজে বানানো হয়েছে।পূর্ব রাগান্বিত দৃষ্টিতে রোদের দিকে তাকিয়ে দেখলো সে মিটিমিটি হাসছে।
“পূর্ব কফি খাচ্ছিস না ক্যান?দারুন কফি করে তোর কাজিন।”
“হ্যা খাচ্ছি।”
রোদের দিকে তাকিয়েই পূর্ব দাঁতে দাত চেপে লবণযুক্ত কফি খাচ্ছে।রোদ মহা আনন্দে নিজের মতো মিটিমিটি হাসছে।তখন তিহানের উদ্দেশ্য রোদ বললো,
“ইন্না-লিল্লাহ,বলছিলাম যে রাফিয়া’কে একটু নিয়ে আসবেন?ওর সাথে একটু টাইম স্পেন্ড করবো।”
“রাফিয়া মানে তিহানের জোর করে হওয়া গার্লফ্রেন্ড?হাহাহাহা।”
নাবিলা’র কথা শুনে পূর্ব আর তিহান হেসে উঠলো।বিষয়টা রোদের মোটেও ভালো লাগলো না।রাফিয়া একরকম জোর করেই তিহানের গার্লফ্রেন্ড হয়েছে কিন্তু তিহানকে ভালোবাসে।তবুও বিষয়টা নিয়ে হাসাহাসি’র কী হলো বুঝছে না রোদ।বিরক্তিতে রোদের চেহেরায় কালো ছায়া নেমে এলো।তখনি রোদকে অবাক করে দিয়ে নাবিলা বললো,
“তবে মেয়েটা জোশ বস!সেদিন হয়েছে কী রোদ,আমি তিহান’কে কল করলাম।মোবাইল নাকি রাফিয়া’র হাতে ছিলো।কলে আমার কন্ঠ শুনে যা ঝারি দিলো।হাহাহাহা।এরপর থেকে আমার বেশ পছন্দ হয়েছে মেয়েটাকে।”
“বেশ কেনো লেগেছে?”(রোদ)
“বা রে বস! বেশ লাগবে না?ক’জনে নিজের বয়ফ্রেন্ড’কে এমন আগলে রাখে?এতো কেয়ার করে?আর সেখানে তো তিহান রাফিয়া’কে কম বকা দে না।”
“কিন্তু আপনাকে তো ঝারি দিলো বললেন?”
“হুম ঝারি দিলো কারণ আমি রাত এগোরাটাই ফোন করেছিলাম।আমি আমেরিকা থেকে এসেছি একবছর আগে।কিন্তু তবুও আমার মধ্য থেকে আমেরিকা’র সংস্কৃতি যায়নি।রাত ১টা-২টা আমার কাছে কিছুই না।তাই মাঝরাতেই কল করি।কিন্তু পরে বুঝলাম সেটা ভূল বস!”
নাবিলা’র কথা শুনে রোদ ভালো করেই বুঝলো মাঝেমধ্যে পূর্ব নাবিলা’র সাথেই কথা বলতো।তখন মনের ভিতর খচখচ করলেও এখন কিছুটা অস্থিরতা কমেছে।নাবিলা’কে দেখে রোদ ভালোভাবেই বুঝলো মেয়েটা ডোন্ট কেয়ার!কারো কথায় কিছু মনে করে না।যখন যা মাথায় আসে বলে দে।আর পূর্বের থেকে শুনেছে বেশ জেদি।তিহানকে উদ্দেশ্য করে রোদ কিছু বললে তখন নাবিলা বললো,
“তিহান তুই বরং রাফিয়া এখানে আজকে আসতে বল।সবাই একসাথে আড্ডা দিবো।”
“ইন্না-লিল্লাহ!তোকে দেখলে রাফিয়া রেগে আমার কী হাল করবে কে জানে!”
“হাহাহাহা!কিছু করবে না।তুই বরং ও কে সেইভলি এবাড়িতে নিয়ে আয়।”
নাবিলা’র কথায় রোদও সায় দিলো।তিহান আর পূর্ব রাফিয়া’কে আনতে গেলে নাবিলা রোদের সাথে বাড়িতেই রয়ে গেলো।রোদ রান্না ঘরে যেতে নাবিলা তার পিছু পিছু গিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
“রোদ তোমার কথা কোনো দিন পূর্বের থেকে শুনলাম না।তুমি ওর কেমন কাজিন বস?”
“আমার মামুনি আর হরিচন্দনের মা বেস্টফ্রেন্ড।”
“হরিচন্দন?হু?”
রোদ নিজের জিহ্বা কামড়ালো।নাবিলা’কে আমতা আমতা করে বললো,
“হরিচন্দন মানে পূর্ব আর কী!”
“ওহ।হাহাহাহা!হরিচন্দন?হাহা নামটা জোশ রেখেছো বস।তুমি কখন থেকে এবাড়িতে থাকো?”
“ওর সাথেই এসেছি।”
“ওহ।এইখানে কয়টা রুম?”
“ওপরে তিনটা।নিচে দুটো।”
“বাহ!কী রান্না করছো?”
“ইলিশ পোলাও!রাফিয়া অনেকদিন ধরে বলছিলো খাবে তাই।”
“ওহ।ভালে রাঁধো তুমি।বাট কফিটা কীভাবে বানালে?ভী-ষ-ন টেস্ট।”
“শিখবেন?”
“হুম।”
“আচ্ছা তাহলে প্রথমে আধা লিটার পানি ভালভবে গরম করে নিবেন,তার থেকে কিছুটা গরম পানি গ্লসে নিনে গ্লাস গরম করে পানি ফেলে দিবেন।সামান্য চিনি ,কফি ডাস্ট গ্লাসে নিয়ে চামিচ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে মিশ্রনে পানি যুক্ত করবে।তারপর দু’ চামচ কফি মার্ট মিশাবেন।সবশেষে ৩০ সেকেন্ড ঢেকে রাখুন ।চাইলে বোতলে ঝাকিয়ে নিতে পারেন তাহলে ফেনা হবে।”
“কপি পাউডার কতো চামচ দিবো?”
“এক চামচ।”
“বাহ!আমি তৈরি করবো।এখন তুমি রান্না করো আমি দেখি কারণ রান্না আমি পারি না।হিহিহিহি!”
নাবিলা’র কথায় রোদ মুচকি হাসলো।নাবিলা’র কথাবার্তায় রোদ তার সাথে সহজ হতে চাইছে কিন্তু কোনোকিছু যেনো আটকে রেখেছে।হঠাৎ রোদ প্রশ্ন করে বসলো,
“আচ্ছা পূর্ব আপনাকে এতো সহজে ফ্রেন্ড মেনে নিলো?না মানে আমি যতটুকু জানি ও তো কোনো মেয়েকে ফ্রেন্ড বানায় না।”
“পূর্ব’কে প্রথম দিন কলেজে দেখে ওর কথা বার্তা,তিহানের সাথে ফাজলামো সব ভালো লাগে।তারপর জেদ উঠলো যেভাবে হোক ওর সাথে ফ্রেন্ডশিপ করবো।দ্যান বস অনেক কষ্ট করে ফ্রেন্ড হলাম।”
“ওহ।”
“আর পূর্ব তো যাস্ট অসাধারণ একটা পার্সন!কথায় কথায় আমাকে ধমক দে,এইটা করবি না ঐটা করবি না,আমার এটা পছন্দ না,ঐটা পছন্দ না।ইত্যাদি,ইত্যাদি!তবে ওর আচরণ আমার অনেক ভালো লাগে।ইশ!আই উয়িশ যদি আমি ওর বউ হতাম।”
“হুয়াট?”
রোদ “হুয়াট” যথেষ্ট জোরে বলে ফেলে।যার জন্য নাবিলা ভয় পেয়ে বুকে থু থু দে।নাবিলা চারপাশে তাকিয়ে বুঝার চেষ্টা করলো কী হয়েছে?রোদের দিকে জিজ্ঞাসা দৃষ্টিতে তাকাতেই রোদ চোখ নামিয়ে দে।নাবিলা’র মুখ থেকে পূর্বের প্রশংসা শুনতে রোদের একটুও ভালো লাগছিলো না।তাই সে শেষের কথাটা শুনে এমন রিয়েক্ট করে।রোদ মাথা ঝাকিয়ে নাবিলাকে বললো,
“সরি আসলে মনেমনে কিছু একটা ভেবে এমন করে ফেলি।”
“ইট’স ওকে।ইট’স ওকে বস!আমি তো ভয় পেয়ে গেলাম।”
নাবিলা’র কথায় উত্তর না দিয়ে রোদ হাঁড়িতে পানি ঝরানো চাল দিলো।এরপর অনন্য উপকরণের সাথে পানি,লবণ দিয়ে ঢেকে দিলো।কলিং বেলের আওয়াজ পেয়ে রান্না ঘর থেকে রোদ বেরিয়ে দরজা খুলতে গেলো।রোদ দরজা খুলতেই তার গায়ের উপর রাফিয়া ঝাঁপিয়ে পরলো।মহা আনন্দে রোদ রাফিয়া’কে জড়িয়ে ধরলো।
পূর্ব ফ্রেশ হওয়ার জন্য রুমের দিকে যাচ্ছিলো।তা দেখে নাবিলা তার পিছু পিছু গেলো।আড়চোখে বিষয়টা রোদ খেয়াল করলো।তার ইচ্ছে করছে দৌড়ে গিয়ে রুমের দরজা নাবিলার মুখের সামনে বন্ধ করে দিতে।কিন্তু সে নিজের ইচ্ছেকে ধমিয়ে রাখলো।শুধু তীক্ষ্ণদৃষ্টি’তে রুমের দিকে তাকালো।রোদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি উপেক্ষা করে রুমের দরজা বন্ধ হয়ে গেলো।বিনা কারণে রোদের মনটা ধক করে উঠলো।
“রোওওওওদ!”
“হু।”
“কী হু?কখন থেকে ডাকছি।মন কই?”
“উপরে।”
রোদ মন মরা করেই উত্তর দিচ্ছে।তা দেখে রাফিয়া রোদের হাতে চিমটি দিলো।ব্যাথা পেয়ে রোদের ঘোর ভাঙ্গলো।রাফিয়া কী করেছে সেটা বুঝতে পেরে রাফিয়া’কে মারতে লাগলো।হঠাৎ তিহানের কথায় রোদ থেমে গেলো,
“ইন্না-লিল্লাহ!পূর্ব আর নাবিলা কোথায় গেলো?”
“ওরা…ওরা রুমে গেলো।”
“কী করছে রুমে ওরা?আমি গিয়ে দেখি তো..”
“ভাইয়া তোমরা এখানে বসো।আমি গিয়ে দেখছি।”
রোদের মুখ থেকে ‘ভাইয়া’ ডাক শুনে রাফিয়া আর তিহান সমান অবাক হলো।রোদ এই পর্যন্ত আজই প্রথম তিহানকে ভাইয়া ডাকলো।ওদের কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে গেলো।এতক্ষণ ধরে রোদ উপরে আসার সুযোগ খুঁজছিলো।তাই সে সুযোগ পাওয়া মাত্র আর অপেক্ষা করলো না।রোদ দরজা’র সামনে এসে হাত কচলাতে লাগলো।আলতো করে ঠেলা দিয়ে দরজা’র ফাঁক দিয়ে দেখলো নাবিলা পূর্ব’কে জড়িয়ে ধরেছে।মুচকি হেসে পূর্বও নাবিলার পিঠে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।রোদের কানে নাবিলা’র ভাঙ্গা কন্ঠ ভেসে আসলো,”লাভ ইউ!”
মুহুর্তে রোদের বুকে চিনচিন ব্যাথা অনুভব হলো,বুকটা ধক ধক করছে।অমনি ডান হাতটা বুকের বা’পাশে চলে গেলো।চোখ ঝাপসা হয়ে গেলো।রোদ বুঝতে পারলো তার চোখ থেকে অভি ঝরবে।তাড়াতাড়ি চোখ ঘুরিয়ে নিলো রোদ।এক পা এগোতেই শাড়িতে পা লেগে পড়ে যেতে চাইলো নিজেকে সামলে নিলো।কারণ এখন তার নিজেকে নিজেরই সামলাতে হবে।


“রোদ পোলাও টা দা-রু-ণ হয়েছে।”
রাফিয়া’র কথা শুনে রোদ ভদ্রতার শহিদ শুধু হাসলো।রোদের বুকটা খা খা করছে।যেনো খুব মূল্যবান কিছু হারিয়ে ফেলেছে।রাফিয়া’র পাশে তিহান বসেছে।তার বিপরীত পাশে পূর্ব আর নাবিলা।রোদের মধ্যে কী তুফান যাচ্ছে তা শুধু সেই জানে।
রোদ সবাইকে পরিবেশন করাচ্ছে।খাবারের মাঝে নাবিলা বলে উঠলো,
“রোদ তুমিও খেয়ে নাও।”
“নাহ।খিদে নেই।”
রোদের কথা শুনে পূর্ব আবারো আড়চোখে তাকালো।অনেকক্ষণ ধরে পূর্ব আড়চোখে তাকাচ্ছে।বিষয়টা রোদ বুঝতে পেরেও এড়িয়ে যাচ্ছে।কিছুক্ষণ আগে সে শাড়ি পাল্টাটিয়ে সেলোয়ার-কামিজ পরেছে।শাড়িতে রোদের আগের মতো ভালো লাগছিলো না।হয়তো যে কারণে শাড়ি পরেছিলো সে কারণ টাই তার ধোঁয়াশা মনে হলো।
“রাফিয়া আমার একটা বিষয় জানতে ইচ্ছে করছে।”
“কীহ?”
“তুমি ঠিক কীভাবে আই মিন কী করে বস তিহান’কে বয়ফ্রেন্ড বানালে?”
“ইন্না-লিল্লাহ!ঐসব জিজ্ঞেস করিস ক্যান?”
“হাহাহাহা।আমি বলি(রাফিয়া)”
“হুম।বলো..”
“তিহানের উপর প্রথম থেকেই ফিদা ছিলাম।তারপর ওর বাসায় গিয়ে ও কে প্রপোজ করলাম কিন্তু না করে দিলো।দ্যান হাহাহাহা…”
“তারপর বলো।” (নাবিলা)
“তারপর হাহাহাহহা..”(রাফিয়া)
“রাফিয়া চুপ.” (তিহান)
“কিস করে গার্লফ্রেন্ড হয়।”
রাফিয়া’র কথা শুনে সবাই হেসে উঠলো।কিন্তু রোদ এক বিন্দুও হাসলো না।বরং তাদের হাসিটা রোদের ভালো লাগলো না।তখনি হাসি থামিয়ে নাবিলা বললো,
“বস রাফিয়া’র মতো মেয়ে যাস্ট প্রথমবার দেখলাম।তিহান কী তোমার ফাস্ট লাভ?’
“ফাস্ট লাভ!কিন্তু এর আগে আমার একজনের সাথে রিলেশন ছিলো।”
“ইন্না-লিল্লাহ!তোমার রিলেশন ছিলো?”
“এমনে রিয়েক্ট করতেছিস যেনো রাফিয়া’কে লাভ করিস।”
“করিই তো!”
রাফিয়া’র কথা শুনে তিহান রেগে থাকাই সত্যিটা বলে দে।এতে করে সবাই আরেকধপা হাসলো।তখন নাবিলা বললো,
“পূর্ব,আমি ঠিক করেছি আজকে আমি আর রাফিয়া তোদের সাথে থাকবো।”
নাবিলা’র কথা শুনে পূর্ব আর রোদ দুজনে চমকে গেলো।রুম পরিষ্কার আছে মাত্র একটা।আর এক রুমে পাঁচ জন থাকা পসিবল না।আর রোদের মন তো সায় দিচ্ছে না নাবিলা’কে রাখতে।রোদ কিছু একটা বলতে যাবে তখনি পূর্ব বললো,
“থাকতে পারিস।কিন্তু তোদের রুম পরিষ্কার করে তাকতে হবে।”
“রুম কেনো পরিষ্কার করবো?”
“আমরা এক রুমে থাকি আর তাই বাকি রুম অপরিষ্কার।”
“তোরা তিনজন?মানে তিহান তুই রোদ তিনজনে একরুমে থাকিস?”
নাবিলা’র কথা শুনে পূর্বের বলা বন্ধ হয়ে গেলো।রোদ ভালোভাবে বুঝলো পূর্ব নাবিলাকে কী বলেছে।পরিবেশ সামলানোর জন্য রোদ বললো,
“ভাইয়া অলওয়েজ আমাদের সাথে থাকেন না।মাঝেমধ্যে আসেন।”
“তাহলে তুমি আর পূর্ব থাকো এক রুমে?”
এবারে পূর্ব-রোদ আরো পেঁচে পড়ে গেলো।পূর্ব তো রোদকে কাজিন বলে পরিচয় দিয়েছে।তাহলে?রোদ ঠোঁট কামড়িয়ে বললো,
“আমি নিচের রুমে থাকি।”
“ওহ।তাহলে রাফিয়া আর তুমি নিচে থাকবে আমরা তিনজন উপরে থাকবো।”
আশ্চর্য হয়ে রোদ চোখ বড় বড় করে ফেললো।নাবিলা পূর্বের সাথে কেনো থাকবে?তখন অন্য টপিক নিয়ে কথা বলে তিহান ব্যাপারটা সামাল দিলো।ওদের খাওয়া শেষ হলে রোদ সবকিছু রান্না ঘরে নেওয়া আসা করছিলো তখন হঠাৎ পূর্ব রোদের হাত ধরে দাড় করায়।
“শাড়ি পাল্টিয়েছো কেনো?”
“ইচ্ছে হয়েছে তাই!”
“এভাবে কেনো কথা বলছো?”
“আমার মুখ।তাই আমার যেভাবে ইচ্ছে সেভাবে বলবো।”
“কেনো?আই মিন মেঘ..”
“যাস্ট সাট আপ।কথায় কথায় মেঘকে একদম আনবি না।ও এট লিস্ট তোর মতো না।”
“আমার সার্টিফিকেট তোমার কাছে চায়নি।”
“তাহলে আমার হাত ছাড়।”
“ছাড়বো না।কী করবা?”
“আমি কী করবো?বাড়িতে নিজের গার্লফ্রেন্ড এনে আমাকে তার সামনে কাজিন বলছিস।আমি তো চেয়ে আছি।”
“হুয়াট?গার্লফ্রেন্ড?”
রোদের হুস এলো সে রাগের মাথায় কী বলে ফেলছিলো।পরক্ষণে মাথা ঠান্ডা রেখে বললো,
“গার্ল অর্থ মেয়ে ফ্রেন্ড-বন্ধু তাহলে তো মেয়ে বন্ধুই না?”
“ওহ।”
সুযোগ বুঝে রোদ পূর্বের পায়ে পায়ের চাপা দিয়ে সে স্থান থেকে পালালো।পূর্বের মাথায় রোদের বলা কথাগুলা ঘুরতে থাকলো।
বি.দ্রঃগতকালের মতো একই কারণে গল্প সকালে দিতে পারিনি।তারজন্য আমি দুঃখিত।নাবিলা আর পূর্বের বিষয়টা একপর্বে ক্লিয়ার করা সম্ভব না।তাই আস্তেধীরে সব বুঝে যাবেন❤
[পরের পর্ব কখন দিবো সঠিক বলতে পারছি না।তবে কাল রাতের মধ্যে পেয়ো যাবেন]