পারফেক্ট ভিলেন

পারফেক্ট ভিলেন ! Season- 02 !! Part- 17

নীড় : তোমাকে কথা দিচ্ছি তুমি না বললে না চাইলে কখনো তোমাকে touch ও করবো না।
মেরিন : …..
নীড় : জান…
তখন নীড়ের ১কাজিন এলো। নাম দীপা।
দীপা : হায় কি সিন? আমার নীড় ভাইয়া দেখি আজকে থেকেই কিউট ভাবির 😁।
নীড় : আসার আর সময় পেলি না? পাকুন্নি… যা ভাগ…
দীপা : ok… bye… 😒..
দীপা যেতে নিলো।
মেরিন : দীপা…
দীপা : হ্যা ভাবি…
মেরিন : আসো বসো।
দীপা : কারো সমস্যা হবে। 😁।
নীড় : টেনে ১ থাপ্পর লাগাবো।
মেরিন : যার সমস্যা সে বেরিয়ে যাক। আর খাবার নিয়ে বেরিয়ে যাক। আমি সবার সাথে বসেই খাবো।
দীপা : 😂। ভাইটু তুমি কি শুনেছো না ভাবি আবার বলবে?
নীড় : চুপ থাক।
নীড় খাবার নিয়ে বেরিয়ে গেলো। মেরিন-দীপা একটু গল্প করে নাস্তা করতে গেলো।
.
রাতে…
রিসিপশনের অনুষ্ঠান শুরু হলো।
মেরিনকে কালো রঙের ১টা bridal গাউন পরানো হয়েছে । ভীষন সুন্দর লাগছে। নীড়-মেরিনের নানাভাবে নানাধরনের কাপল পিক তোলা হচ্ছে । নীড়ের তো চোখ কপালে। নীড়ও কালো পরেছে। কিন্তু মেরিন ১বারের জন্যেও নীড়ের দিকে তাকায়নি।
নীড় ফিসফিস করে মেরিনকে
বলল : actually কি বলবো জানিনা। তবে এটা জানি যে তুমি ভীষন রেগে আছো। but u know what… u r looking gorgeous …
মেরিন : ….
নীড় : i love u…
মেরিনের অনেক হাসি পেলো। কারন নীড় কার্টুনের মতো মতো কথা গুলো বলেছে। কিন্তু প্রকাশ করলোনা।
.
প্রোগ্রাম শেষে…
খান বাড়িতে…
মেরিন রুমে ঢুকে দেখে নীড় তলপি তলপা নিয়ে সোফায় সংসার পেতে বসেছে।
নীড় : hi… জান… অনেকরাত হয়ে গেছে । তুমি অনেক tired … so you need rest… good night dearling…
বলেই নীড় blanket মুরি দিয়ে শুয়ে পরলো।
মেরিন মনে মনে : idiot… আজও sorry বলা শিখলোনা। থাক ওখানে। কয়েকদিন শাস্তি ভোগ কর। huh…
পরদিন ওরা চৌধুরী বাড়িতে back করলো।
.
২দিনপর…
নীলিমা : মামনি…
মেরিন: হ্যা মামনি…
নীলিমা : আসলে আমাদের চৌধুরী বাড়ির ১টা নিয়ম আছে।
মেরিন : কি নিয়ম?
নীলিমা : এই যে বিয়ের ৪-৫দিনপর নতুন বউ কিছু রান্না করে। যেকোনো কিছু।
নীড় : মামনি মেরিন রান্না করতে পারেনা।
নিহাল : ওহ। its ok…
নীলিমা : আচ্ছা তাহলে রান্নাতে just একচু হাত দিও। thats more than enough … ☺..
মেরিন : মামনি… আমি হালকা পাতলা রান্না করতে পারি । so i will manage …
নীড় : মিথ্যা কথা কেন বলছো?
নীলিমা : মামনি its ok… not needed …
মেরিন : মামনি … বললাম তো। আমি পারবো।
নীড় : আরে…
মেরিন : 😒
নীড় চুপ হয়ে গেলো। নিহাল-নীলিমা মিটিমিটি হাসতে লাগলো।
.
মেরিন রান্না ঘরে গেলো। পিছে পিছে নীড়ও গেলো। মেরিন এখন পর্যন্তও নীড়ের সাথে কোনো কথা বলেনি।
নীড় : আমি জানি তুমি রান্না করতে পারোনা। just family ritualটা পূরন করার জন্য আর আমার ওপর রেগেই তুমি এমন করছো।
মেরিন : …
নীড় : আর তোমার ঠান্ডাও লেগেছে। দম ছারতে পারছো না। তুমি বসে থাকো আমি রান্না করছি।
মেরিন : ….
নীড় : কি হলো? বসো… ছুরি রাখো।
মেরিন : …
নীড় :রাখো….
রাখো বলতে না বলতেই মেরিন ছুরিটা নিয়ে একদম নীড়ের গলার সামনে চলে গেলো।
নীড় : ok… i understand … কককরো রান্না… আমি থাকি?
মেরিন চোখ আরো বড় করলো।
নীড় : ok…. চচচলে যাচ্ছি। তুমিই রান্না করো।
নীড় বেরিয়ে গেলো। নীড় যেতেই মেরিন হাহা করে হাসতে লাগলো।
মেরিন : পাগল ১টা।
মেরিন কাটাকুটি করতে লাগলো তখন ১জন servant এসে বলল ওর বাসা থেকে ফোন এসেছে। তাই মেরিন কথা বলতে গেলো।
.
একটুপর…
মেরিন কথা বলে এসে কাটাকুটি কমপ্লিট করলো। এখন রান্না চুলায় দিবে। গ্যাস অন করেছে কি করেনি blust হলো। boom করে আওয়াজ হলো। নীড়-নিহাল-নীলিমী হলরুমে ছিলো। শব্দ পেয়ে ভয় পেয়ে গেলো।
নীড় : মেরিন…
৩জনই রান্নাঘরে ছুটলো দেখলো চারদিকে আগুন আর ধোয়া। নীড় পুরো blank হয়ে গেলো। কোনো কিছু না ভেবে ভেতরে ঢুকে গেলো। নিহাল আর আরো ২জন servant মিলে extinguisher দিয়ে আগুন নেভাতে লাগলো ।
নীড় ঢুকে দেখে মেরিন নিচে পরে আছে। অজ্ঞান হয়ে। শাড়িতে আগুন লেগে আছে।
নীড় : জান…
নীড় মেরিনকে উদ্ধার করলো। আগুনও নেভানো হলো। ডক্টর এলো। চেক আপ করলো। চলে গেলো। মেরিন ঘুমিয়ে আছে। আর নীড় মেরিনের পাশে বসে মেরিনের হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে কান্না করছে।
নিহাল : ছিঃ ছিঃ… কবিরকে কি জবাব দিবো? ও তো মনে করবে যে আমরা actually আমিই সব করেছি। মনে করার মতোই কথা। কিন্তু আমি জানি আর আল্লাহ জানে যে আমি কিছু করিনি…
নীলিমা : নিহাল… থামো তো। মেরিন মামনি ঠিক আছে তো।
নিহাল : আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া যে মামনি ঠিক আছে। না হলে নিজেকে কখনো ক্ষমা করতে পারতাম না।
.
একটুপর…
মেরিনের জ্ঞান ফিরলো।
নীড় : জান.. মেরিন…
নিহাল : মামনি…
নীলিমা : কেমন লাগছে?
মেরিন : ভালো। একি তোমরা কাদছো কেন?
নিহাল : ক্ষমা করে দাও মামনি… এতো বড় ১টা ঘটনা ঘটে গেলো… জানিনা কবিরকে কি বলবো?
মেরিন : বাবাকে কি বলতে হবে?এ বাড়িতে যা ঘটছে তা এ বাড়িতেই থাকনা। বাড়ির বাইরে যাবে কেন? আর তুমিই ক্ষমাই বা চাইছো কেন? এটা just ১টা accident ছিলো। তাইনা… তাহলে?
মেরিনের কথায় নিহাল এমন প্রশান্তি পেলো যা বলার বাইরে।
নিহাল মেরিনের মাথায় হাত রেখে
বলল : তুমি সত্যি আমাদের বউ না মেয়ে । আজকে থেকে ছেলে বাদ । আমার কেবল ২টা মেয়ে।
“কেবল” ২টা মেয়ে শুনে মেরিন অবাক হলো।
মেরিন মনে মনে : ২টা মেয়ে মানে? ১টা মানলাম আমি.. অন্যটা।। উফফস… মনে পরলো। নীড় না বলেছিলো যে ওর আপু পানিতে পরে গিয়েছিলো। হ্যা মনে পরেছে। হয়তো আজও আপুকে ভুলতে পারেনি।
.
রাতে…
মেরিনের হাত হালকা পুরে গেছে। নীড় সেটাকে আবার নতুন করে ব্যান্ডেজ করছে।
নীড় ব্যান্ডেজ করছে আর কান্না করছে।
নীড় : বললাম রান্না করার দরকার নেই। না সে রান্না করবেই। কোনো কথা যদি শোনে… খালি পারে রাগ করতে… আদর্শ বউ হতে গেছে। পরিবারের নিয়ম মানতে গেছে। সে কি বোঝে তার একটু কষ্ট কারো জীবনে তুফান বয়ে আনে? তা বুঝবে কেন? সে তো খালি রাগ করেই থাকতে পারে। রাগ করুক অধিকার আছে রাগ করার। কিন্তু সে তো তাকে ভালোমতোই চিনে। কেউ তো তাকে hurt করার কথা কল্পনাতেও ভাবতে পারেনা। তবুও তাকে চরম না না মহাচরম শাস্তি দিচ্ছে। বেচারা কতো কষ্টে আছে তা কেউ বোঝেনা…
নীড় এতো কিউট করে কথাগুলো বলছে যা বলার বাইরে।
মেরিন মুচকি হেসে নীড়ের গলা জরিয়ে ধরলো। এরপর নীড়ের ঠোটজোরা দখল করে নিলো।
.
একটুপর…
মেরিন নীড়ের বুকে মাথা রেখে শুয়ে আছে।
নীড় : i am sorry জান…
মেরিন :& i love you জান।
নীড় : বিশ্বাস করো আমি ইচ্ছা করে কিছুই করিনি। damn sure যে বন্ধুরাই করেছে। trust me…
মেরিন : ok… i trust u…
নীড় : আচ্ছা ম্যাডাম এখন বলেন তো হানিমুনে কোথায় যাবেন? ইউরোপ না আমেরিকা?
মেরিন : না ইউরোপ অনেক ঘুরেছি… আমেরিকা যাবো…
নীড় : as your wish… জানো আমার ইচ্ছা ছিলো first night এ সারারাত বাইকে করে তুমি আমি ঘুরবো। বিয়ের সাজে। সব ভেস্তে গেলো। ভালো লাগেনা…
মেরিন : awwwe…. so sad…. no worry… চলো আজকে যাই….
নীড় : হ্যা আজকে যাবো… শরীর না ভালো … আজকে যাবে। stupid….
.
☆: হায় কি প্রেম… এতো ভালোবাসা… কিন্তু মেরিনের কাছে এমন আদর্শবাদী বউর আচরন আশা করিনি… হায়রে ভালোবাসা… সবাইকে পাল্টে দেয়। আমেরিকা তে হানিমুন করতে যাবে? জান…মেরিন… ফিরতে পারবে তুমি? নাকি ওখানেই মরবে? না না মরবে না। কেন মরবে মেরিন? সত্যি আল্লাহ অনেককে নিজের হাতে বানায়…. তাদের মধ্যে তুমি ১জন… তবুও তোমার রুপ আমাকে দুর্বল করতে পারবেনা। কখনোই পারেনি…. আজও পারবেনা…. আমি আমার সিদ্ধান্তে অটল জানু…. আজও বেচে গেলে…. বাচবেই তো…. বাচিয়ে যে দিলাম। তোমাকে যদি জানি মারতে হতো তাহলে তো পাইপটা তে আরো বড় সরো ছিদ্র করতাম। কিন্তু আমি তো তোমাকে মারতে চাইনা… ভয় দেখতে চাই। তোমার ঠান্ডা লেগেছে। নাক বন্ধ। সেটারই তো সুযোগ নিয়েছি আমি…. তোমার মুখের ভয়টা আমার ভালো লাগে। তবে তার থেকেও বেশি ভালো লাগে তোমার আঘাতে কবির খানের ব্যাথিত চেহারা। কিন্তু আজকে তোমার আদর্শবাদীতার জন্য সেটা দেখতে পারলামনা। যেটার শাস্তি তোমাকে দিবো। wait সুন্দরী জানু…
.
৩দিনপর মেরিন খবর পেলো লন্ডনে ১টা জরুরী কাজ চলে এসেছে। যার জন্য মেঘটে urgently লন্ডন যেতে হলো। ১দিনের মধ্যে। মেঘের সাথে অধরাও গেলো। তার ৮-১০দিনপর নীড়-মেরিন USA গেলো। হানিমুন করতে। যেখানে গিয়ে আবার মেরিনকে অনেক বিপদের সম্মুখীন হতে হলো। কিন্তু প্রতিবার নীড় ঢাল হয়ে ছিলো। মেরিনের কোনো ক্ষতি হয়তো দেয়নি। কিন্তু মেরিনের মনে সাংঘাতিক আতংক ঢুকে গেছে। প্রায় সবসময় ওর মনে ১টা আতংক থাকে। না জানে কখন কোন দিক দিয়ে ওর ওপর attack হয়। ১৫দিন থেকে ওরা দেশে ফিরলো। নীড়ের আশ্বাসে মেরিন কিছুটা স্বাভাবিক হলো।
সব কিছু এক পাশে রেখে, নীড়-মেরিনের ভালোবাসা আর romance এ বেশ ভালোভাবেই দিন কাটতে লাগলো।
.
কিছুদিনপর….
মেরিনের final পরীক্ষা শুরু হলো। এরপরই মেরিন ১জন lawyer হিসেবে পরিচয় পাবে। এটা অর্জন করে মেরিন মাস্টার্স কমপ্লিট করবে। মেরিনের স্বপ্ন পূরন হবে। দেখতে দেখতে পরীক্ষা শেষও হয়ে গেলো। সব পরীক্ষার মতো শেষ পরীক্ষার দিনও নীড়ই মেরিনকে নিয়ে এলো।
তবে সেদিন বাসায় এসে মেরিন অনেক অবাক হলো। নীলিমার ফোনে বলা কথাগুলো শুনে।
নীলিমা : মারে… কতোদিন তোকে দেখিনা বলতো… তোর ১টা মাত্র ভাইয়ের বিয়েতেও এলিনা। তোর ভাই তোর ওপর কতোটা অভিমান করেছে জানিস? বিয়েতে না আসার জন্য। রেগে মেগে বলছে যে আমার কোনো বোন নেই। আর কখনো আপুর সাথে কথা বলবো না আর দেখাও করবো না। রাগ করে তোর সব ছবি বাসা থেকে নামিয়ে রেখেছে। কবে আসবি রে মা…. আচ্ছা আচ্ছা রাখছি।
নীলিমা ফোন রেখে দিলো। ঘুরে দেখে নীড়-মেরিন দারিয়ে আছে।
নীলিমা ভুবন ভোলানো হাসি দিয়ে
বলল : নীড় … তোর আপু ফোন করেছিলো।
নীড় : ওই পেতনিটার নাম নিবেনা আমার সামনে। huh… চলো জান…
নীলিমা : বাবাহ… রাগ না লক্ষি…. আচ্ছা fresh হয়ে আসো আমি টেবিল সাজাচ্ছি।
নীড় : হামম।
ওরা ওপরে গেলো।
.
রুমে…
নীড় : থাক থাক বলতে হবেনা। যাও fresh হয়ে আসো সব জবাব দিবো।
মেরিন : 😤😡।
নীড় : বললাম তো।
মেরিন fresh হয়ে এলো । দেখলো মেরিন ১টা পুরানো album নিয়ে বসে আছে। আর কান্না করছে।
নীড় : বেরিয়েছো? আসো বসো।
মেরিন গিয়ে বসলো। নীড় ৮-১০ বছরের ১টা মেয়ের ছবি দেখিয়ে
বলল : এই দেখো আমার আপু… কিউটনা? নাম মনি। মামনি-বাবার চোখের মনি… সত্যি বলতে আমার থেকে আপু বেশি আদুরী । তুমি ভাবছো যে আমি তোমার কাছে সত্যি গোপন করেছি। হ্যা ঠিকই ভাবছো। আমি সত্যি গোপন করেছি। আমি গোপন করেছি যে আমার মামনির mental problem আছে।
মেরিন : what ?
নীড় : দেখে বোঝা যায় না? তাইনা? কিন্তু এটাই সত্যি। আপু আমাদের মাঝে উপস্থিত নেই কিন্তু মামনি মনে করে আছে । ডক্টর বলেছে যেন মামনির হ্যা তে হ্যা আর না তে না মিলাই। না হলে হয়তো মামনিকে হারাতে হবে। আপুর সব ছবি store room এ রাখা হয়েছে। যেন আপুর কথা মনে না পরে। অথবা কম মনে পরে। কিন্তু মা তো… ভুলতে পারেনা। যখন খুব বেশি মনে পরে তখন কি কি যে করে তার ঠিক থাকেনা। কখনো একা একা ফোনে কথা বলে। কখনো কেক বানায়….
বলেই নীড় কান্না করতে লাগলো।
মেরিন: কান্না করেনা। i sorry …
নীড় : why should you? জানো আজও আপুর পানিতে হাবুডুবু খাওয়াটা চোখে ভাসে…
.
কিছুক্ষনপর…
নীড় নরমাল হলো।
মেরিন : নীড়… ১টা কথা বলি?
নীড় : বলো।
মেরিন : আচ্ছা এই আপুকে নিয়েই কি ২ বাবার মধ্যে দ্বন্দ?
নীড় : না না… তারও আগে থেকে।
.
((( কে কে ভেবে নিয়েছো যে অধরাই সেই পানিতে ডুবে যাওয়া মনি??? আর সেই মনিই পানিতে ভেসে ভেসে বেচে গিয়েছিলো? 😂😂😂।
একটু কমেন্ট করে বলো….
আর হ্যা… কালকে #Perfect_Villain কে ? সেটা জেনে যাবে। love you all…
)))
চলবে…

Comments