পারফেক্ট ভিলেন ! Season- 02 !! Part- 15
নীড় : চান্দু… আমার শিকার আর তুমি কেরে নিবে… তা হবেনা তা হবেনা…
মেরিন বেশ অবাক হলো নীড়ের কথায়।
নিরব : কে তুই? কি নাম?
নীড় : নামে কি এসে যায়? তবে এদের শত্রু সেটা জেনে রাখ… হয়তো কোনো ভিলন। তোর থেকেও বড়…
নিরব : আমার থেকেও বড় ভিলেন? আমার থেকে বড় ভিলেন কেউ হতে পারেনা। কারন আমিই হলাম #Perfect_Villain ….
নীড় : আচ্ছা… তাই বুঝি? তো ভিলেন বাবু কি এমন ভিলেন গিরি করলেন যে নিজেকে perfect villain ঘোষনা করলেন।
.
নিরব : সব করেছি। চৌধুরীদের দেশে টেনে আনা। মেরিনের ওর attack …
নীড় : কি? আমি শিকারের ওপর হামলা? আমি না হয় সবার সাথে সাথে একেও ঘৃণা করি,, কিন্তু তুই না একে ভালোবাসিস?
নিরব : হ্যা বাসি। তাইতো দুর্বল বানাতে চেয়েছিলাম। সব কিছুর মাঝে প্রধান বাধা ছিলো নির্ঝর। তাই আগে ওকে ডাউন করলাম। ওর পরিবারকে আটকে রেখে ওকে ভিলেন সাজালাম । ভেবেছিলাম নির্ঝর মেরিনের সাথে অমন কাহিনি শুরু করবে। আর আমি বাচাবো। কিন্তু ওই শালা নীড় চলে এলো… bloody নীড়… এরপর কানাডার বিচেও sharkএর attack করালাম। তবুও এই মেয়ের মন পেলামনা। whatever …. মেরিনকে ছার…
নীড় : no honey … পিছে ঘোরো….
পিছে ঘুরে দেখে পুলিশ চার দিকদিয়ে ওদের ঘেরাও করে ফেলেছে।
খান পরিবার মুক্ত হলো। আর নীড়ও মেরিনের গলা থেকে ছুরি নামালো। আর নিজের রুপে ফিরলো।
সবাই : 😱।
নীড় : মিস্টার perfect villain… তুমি ভিলেন হও তবে আমি হিরো? না… আমি হিরো না। আমি নীড়। সাধারন মানুষ। মেরিন ওর engagement এ invite করেছিলো। আসতে আসতে একটু লেট হয়ে গিয়েছিলো। আর আসতেই দেখি সবাই দৌড় বের হচ্ছে। রাব্বি বলল ঘটনা কি? ভেতরে ঢুকলাম। দেখলাম কাজী দারিয়ে… নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন কাজী হয়ে গেলো। সেই সাথে পুলিশকেও খবর দিলাম। আর বললাম যেন সাইরেন বাজিয়ে না আসে। তারা কথাটা শুনলো।
নিরব : আমি তোকে…
নিরব তেরে যেতে নিলে পুলিশ ওকে ধরে ফেলল। ওদের সবাইকে arrest করলো।
নীড় : officer… নিয়ে যান এদের।
পুলিশ নিয়ে যেত লাগলো।
যেতে যেতে নিরব ওসির পিস্তল নিয়ে নিলো।
সবাই ভয় পেয়ে গেলো।
নিরব : i am sorry মেরিন।
বলেই নিরব নিজেকে shoot করলো । সবাই আরো অবাক হলো। police dead body নিয়ে গেলো।
.
কবির : তুমি যে আমার ৠণের বোঝা বারিয়েই যাচ্ছো।
নীড় : uncle …. কি যে বলেননা…
মেঘ : তুমি আমার বোনের জন্য যা যা করলেনা… তা সত্যি অনেক।
নীড় : ভাইয়া আমি যা করেছি নিজের জন্য করেছি। নিজের বিবেকের জন্য করেছি। মেরিন তো তাও আমার বন্ধ। যদি কোনো অচেনা মেয়ে হতো তাহলেও আমি সাহায্য করার চেষ্টা করতাম।
কনিকা : সত্যিই তুমি অনেক ভালো।
কবির : মনেই হয়না যে তুমি নিহালের ছেলে।
নীড় : আসি uncle ….
নীড় চলে গেলো।
কবির মেরিনের কাছে গেলো। ওর মাথায় হাত রাখলো।
বলল : sorry মামনি… আমার জন্য…
মেরিন : বাবা… let it be… আর আমি এখন অনেক tired …. এত্তোভারি ১টা dress পরে। জীবনে আর বিয়ের ভাবনা মাথায় আনবোনা।
মেঘ : correct … যাও গিয়ে rest কর৪ো।
মোহনা : হামম।
মোহনা চলে গেলো।
মেঘ : বাবা… i have a doubt …
কবির : বলো…
মেঘ : বাবা… মেরিন বিপদে পরলে নীড় কিভাবে সবসময় আসতে পারে? ১বার ২বার হলে স্বাভাবিক। কিন্তু বারবার হলে… isn’t it planned …?
কবির : ….
অধরা : কি যা তা বলছো? ১টা ছেলে তোমার বোনের জীবন বাচালো। আর তুমি… সব জায়গায় গোয়েন্দাগিরি ঠিকনা মেঘ।
মেঘ : যেটা বোঝোনা সেটা বলবেনা। বাবা…
কবির : আমি কবির ফয়সাল খান। আমাকে বোঝাতে এসোনা। নীড় ছেলেটা এমনই। ওর চোখের সামনে যেই বিপদে পরুকনা কেন ও সাহায্য করে। আমিও তোমার মতো ওকে ভুল বুঝেছিলাম। এরপর ওর ওপর নজর রাখা শুরু করি। but যে result পেয়েছি তাতে নিজেই লজ্জিত হয়েছি। নীড় খুব ভালো। যদি ও নিহালের ছেলে না হতো তবে ওকেই মেয়ের জামাই বানাতাম।
বলেই কবির রুমে চলে গেলো।
মেঘ মনে মনে : যাই বলো বাবা…. আমার সন্দেহ আমি মিটিয়েই ছারবো।
.
পরদিন….
ভার্সিটিতে…
নীড় : জান তুমি এভাবে তাকিয়ে আছো কেন? ভয় করছে তো…
মেরিন : আমার জায়গায় যেকোনে মেয়ে থাকলেও তুমি এভাবেই বাচাতে? 😒😒।
নীড় মুচকি হেসে মেরিনের কপালে চুমু দিয়ে নিজের কোলে বসালো।
নীড় : পাগলি… তুমি তো জানোই কারো বিপদ আমি দেখতে পারিনা। তবে তুমি আমার জান…
মেরিন : থাক আর আলুপাম লাগবেনা। huh…
নীড় : বিশ্বাস হয়না তুমি আমার জান…
মেরিন : জানিনা। তবে ভয় হয়। নির্ঝরের ভালোবাসা দেখেছি… নিরবের ভালোবাসা দেখেছি… ওদের ভালোবাসা আমার মনে আতঙ্ক ঢুকিয়ে দিয়েছে…. তুমিও অমন করবেনা তো? তুমি অমন করলে কিন্তু মেরিন মরে যাবে নীড়…
নীড় : ইশ… বললেই হবে? মেরিন নীড়ের জান। মরবে কি করে? আর নির্ঝরকে কেন দোষ দিচ্ছো? ও নিজেই তো victim …
মেরিন : হামম।
নীড় : এতো ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমি কখনো তোমায় ছেরে যাবোনা। তোমার ছায়া হয়ে থাকবো। অন্যদের কুনজর থেকে বাচাবো । কথা দিলাম…।
মেরিন : 😢।
নীড় : এখন কাদছো কেন?
মেরিন নীড়কে জরিয়ে ধরে কাদতে লাগলো।
মেরিন : i love u….
নীড় : i love you 2….
নীড় মেরিনকে বুক থেকে তুলে ওর চোখের পানি শুষে নিলো। এরপর মেরিনের ঠোট জোরা দখল করে নিলো।
মেঘ নীড়ের পিছনে লোক লাগালো । কিন্তু নীড়ের নামে কোনো রিপোর্ট পেলোনা। পরে মেঘ নিজের কাজের জন্য আফসোস করলো।
.
২বছরপর…
নীড়-মেরিনের ভালোবাসায় ২ছর কেটে গেছে। আজও ওদের ভালোবাসা তেমনি রয়েছে। actually ওদের ভালোবাসা অনেক বেরে গেছে । ২ পরিবারের কাছে লুকিয়ে ২জন দিব্যি প্রেম করেছে। নীড় ওদের পারিবারিক মেডিসিন ব্যাবসায় যোগ দিয়েছে। মেরিন LLB এর 3rd year complete করে final year এ উঠেছে। ২জন ২জনকে না দেখলে ১দিনও থাকতে পারেনা। ২বছরে ২হাজারবার ২জন ঝগড়া করেছে। আর কারনে অকারনে নীড়ই sorry বলেছে। মেরিনের মন নীড় কখনোই থাকতে দেয়নি।
মেরিন : ২দিন ধরে ফোনেই কথা বলে যাচ্ছো। দেখা করতে বললেই এরিয়ে যাচ্ছো। কি হয়েছে?
নীড় : না কিছুনা।
মেরিন : বুঝেছি… এখন আর আমার প্রতি সেই ভালোবাসা নেই। রাখছি…
নীড় : জান… কি বললা তুমি? তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা নেই? তুমি আমাকে সন্দেহ করলা?আমি কেন এরিয়ে যাচ্ছি যানো কারন i have an ac… বাদ দাও । কিন্তু তুমি জানোনা আজকে তুমি আমার কোথায় আঘাত করলা। রাখছি…
নীড় ফোন রেখে দিলো।
মেরিন : নীড়… নীড়… কি করলাম এটা? কিন্তু ও কি যেন বলতে গিয়ে থেমে গেলো। আমিও না… কিন্তু আমি তো just মজাই করছিলাম।
.
একটুপর…
মেরিন বারান্দায় দারিয়ে আছে। তখন কেউ ১হাত দিয়ে পেছন থেকে মেরিনকে জরিয়ে ধরলো।
নীড় : sorry…
মেরিন : দোষটা তো আমার ছিলো।
নীড় : না । আমার ।
মেরিন : হায়রে… এতো বে…
মেরিন পিছে ঘুরলো। আর কথা আটকে গেলো। কারন নীড়ের ডান হাতে ব্যান্ডেজ করা।
মেরিন : একি তোমার হাতে কি হয়েছে?
নীড় : car accident …
মেরিন : আর একারনেই দেখা করছিলেনা?
মেরিনের চোখে পানি চলে এসেছে।
নীড় মেরিনের চোখের পানি শুষে নিলো।
নীড় : … এই কারনেই তো বলতে চাইনি। আমি সব মানতে পারি। কিন্তু তোমার চোখের পানিনা।
মেরিন : এতো ভালোবাসতে কে বলেছে?
নীড় : বলবো?
মেরিন : হামমম।
নীড় : এই কালো চোখ , গোলাপী ঠোট , ভুবন ভোলানো হাসি…. সব কিছু…
মেরিন : idiot….
.
কিছুদিপর…
কবির আর নিহালের গাড়ি সামনা সংঘর্ষ হতে হতে রয়ে গেলো।
২জনই নামলো।
২জন : দেখে চালাতে পারিস না?
২জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হতে লাগলো। হঠাৎ ওদের নজর গেলো পাশে থাকা ছোট পার্কটাতে । আর যা দেখলো তা দেখে নিজেদের চোখকে বিশ্বাস করতে পারলোনা। কারন নীড় মেরিনকে কোলে তুলে ঘুরছে। আর মেরিন খিলখিল করে হাসছে।
নীড় : ১বার না ২বার না… হাজারবার ভালোবাসি…. ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি… love you my love & my life…
মেরিন :& i lo….
তখন মেরিনের চোখ গেলো কবির আর নিহালের দিকে। আর থেমে গেলো। নীড়ও দেখলো ২জনকে। দেখে আসতে করে মেরিনকে নামালো। ২জন মাথা নিচু করে দারিয়ে রইলো। কবির আর নিহাল কিছু না বলে রেগে মেগে চলে গেলো।
মেরিন : এখন….?
নীড় : জানিনা….
মেরিন : ভয় করছে।
নীড় : আমারও….
মেরিন : আমি তোমাকে ছারা নিজেকে ভাবতে পারিনা।
নীড় : চিন্তা করোনা। ভাবতে দাও।
২পরিবারেই তুফান উঠে গেলো ।
.
রাত ৮টা…
২বাড়িতে ফোন গেলো। নীড়-মেরিনের তরফ থেকে। এমন ১টা জায়গায় যেতে বলল যেখানে খান-চৌধুরী ছারা কেউ নেই। আর ২পরিবার গেলোও। অধরা যেতে পারলোনা। কারন ওর পা মচকে গেছে। আর জ্বরও আছে। সবাই বসে আছে। নীড়-মেরিন মাথা নিচু করে বসে আছে।
কবির : এসবের মানে কি মামনি? বলো…
মেরিন : …
নীড় : uncle আ…
কবির : আমি আমার মেয়েকে জিজ্ঞেস করেছি…
নীড় : ….
কবির : বলো মেরিন ….
নিহাল : নীড় … তুমি আমার বিশ্বাসের এই প্রতিদান দিলে?
নীড় : …
নিহাল : তুমি বলেছো যে তুমি মেরিনকে ভালোবাসো। আমি মেনে নিয়েছি। কারন তুমি আমাকে ভরসা দিয়েছিলে যে তোমার ভালোবাসা তোমার মনেই থাকবে। আমিও তোমাকে বিশ্বার করেই ছিলাম। তবে কেন এমন করলে?
নীড় : ….
নিহাল : বলো…
কবির : ও… তাহলে এসব তুই জানতি ।তোরই প্ল্যান না তো? তুই তোর ছেলেকে দিয়ে চাল চেলেছিস….
নিহাল : তোর মেয়ে যেমনই হোক যতে ভালোই হোক সেটা তোর মেয়ে। আর তোর মেয়ের পিছে আমার ছেলেকে লাগানোর আগে নিজের হাতে ওর জান নিয়ে নিবো।
২জন আবার শুরু হয়ে গেলো।
নীড়-মেরিন : তোমরা থামবে প্লিজ….
.
মেরিন : দেখো আমি জানিনা তোমাদের মধ্যে কিসের দ্বদ্ন ? কেন ২জন ২জনকে শত্রু ভাবো সেটাও জানিনা। কি নিয়ে তোমাদের এই শত্রুতা? বলো… সব কিছুর যেমন শুরু থাকে তেমনি শেষও থাকে। তোমাদের শত্রুতারও শেষ আছে।
কবির : আমার আর ওর শত্রুতা কখনো শেষ হবেনা।
মেরিন : কেন হবেনা বাবা….
কবির : তোমাকে বলতে পারবোনা।
নিহাল : বলার তো মুখই নেই।
কবির : তোমাদেরকে নিজেদের ভালোবাসা ভুলতে হবে।
মেরিন : কিভাবে ভুলবো? ভালোবাসি আমরা ২জন ২জনকে । কিভাবে ভুলবো? আর তুমি যে বললে নীড় চাল করেছে। না বাবা। আমিই ভালোবাসি নীড়কে। আমার জন্য নীড় ওর engagement ভেঙেছে। এ্যানা আপুকে ওর ভালোবাসার কাছে ফেরত দিয়েছে। কতোবার নিজের জীবন বাজি রেখেছে সেটা তোমরা জানো…
নিহাল : নীড় তুমি এ্যানাকে ….
নীড় : হ্যা বাবা…. মেরিনকে ছারা বাচা সম্ভব না।
মেরিন : বাবা তুমি আমাকে ভালোবাসো জানি। আমিও তোমাকে ভালোবাসি। অনেকবেশি। আর নীড়কেও। ওকে ছারা আমি আমাকে ভাবতেই পারিনা। মরে যাবো…
নিহাল-কবির: যখন ২জন ২জনকে ছারা মরে যাবে তখন আর কি? যা মন চায় করো। কিন্তু আমাদের সাথে কোনো সম্পর্ক রাখতে পারবেনা।
নীড় : না… তোমরা এমন করে বলোনা। না আমরা একে অপরকে ছারা বাচবো আর না তোমাদেরকে ছারা। বাবা তুমিই তো একদিন মেরিনকে দেখে পছন্দ করেছিলে…
নিহাল : হ্যা করেছিলাম… আজও করি। মেয়ের মতো ভালোওবাসি। যদি ও কবিরের মেয়ে না হতো আমি ২বার ভাবতামনা নিজের পুত্রবউ বানাতে।
কবির : নিহালের ছেলে না হলে আমিও ২বার ভাবতামনা তোমাকে মেয়ের জামাই বানাতে…
নীড় : তাহলে কেন নিজেদের জেদ ভুলে আমাদের ভালোবাসা মেনে নিতে পারছোনা।
কবির : সেটা সম্ভব না।
নিহাল : তোমাদের শেষ সুযোগ দিচ্ছি …. আমাদেরকে ভুলে ২জন দূরে চলে যাও।
কবির : না হলে নিজেদের ভালোনবাসা ভুলে আমাদের সাথে চলো। কারন আমরা তোমাদের সম্পর্ক কখনোও মানবোনা।
নীড়-মেরিন : কোন option ই মেনে নেয়া সম্ভব না… ২জনকেই চাই।
নিহাল : তোমাদেরকে option দিয়েছিলাম । মানলেনা। এখন আমরা আমাদের মতো কাজ করবো।
.
বলেই ২দিক থেকে ২জন নীড়-মেরিনকে টেনে নিয়ে যেতে লাগলো। মেঘ আর কবির মেরিনকে টেনে নিয়ে যেতে লাগলো। আর নিহাল-নীলিমা নীড়কে। নীড় নিহালের হাত ছারিয়ে নিয়ে সরে দারালো।
নীড় : না তোমাদেরকে ছারা বাচা সম্ভব আর না মেরিনকে ছারা।তাই এর থেকে নিজেকে শেষ করে দেয়াই ভালো।
বলেই নিজের গানটা বের করে নীড় নিজেকে shoot করে দিলো।
মেরিন : নীড় ….
.
চলবে….