পারফেক্ট ভিলেন ! Season- 02 !! Part- 11
নীড় : তুমি ?
মেরিন : আপনি ? আপনি এখ…
তখন মেরিন দেখলো নীড়ের কপালকাটা। তাও ঠিক ওই জায়গাতেই যেখানে মেরিন সেদিন রাতে হামলাকারীকে আঘাত করেছিলো। আর দেখে বোঝাই যাচ্ছে কাটা চিহ্নটা ১-২দিন আগের। মেরিনের কপালের ভাজ পরে গেলো।
মেরিন : আপনার কপাল কাটলো কি করে? কবে কাটলো? 😒।
মেরিনের কন্ঠে concern জিনিসটা ছিলোনা। দৃঢ়তা ছিলো। সন্দেহ ছিলো। নীড় অবাক হয়ে গেলো যে মেরিন কপাল কাটার কথা বলছে কেন?
মেরিন : কি হলো? বলুন…
নীড় : আরে এটা ত…
তখন ওখানে নিরব এলো।
.
নিরব : hello my dear students…
নীড়-মেরিন অবাক হলো।
নীড়-মেরিন: hi sir…
তখন মেরিন দেখলো যে নিরবের কপালও কাটা…. একই জায়গায় আর সেই ১-২দিন আগেরই।
মেরিন মনে মনে :এরও দেখি কপাল কাটা…
মেরিন ১বার নীড়কে দেখছে ১বার নিরবকে দেখছে।
নীড়-নিরব খেয়াল করলো।
নীড় : স্যার আপনার কপাল কাটলো কি করে? 😁😜
নিরব : তুমি এটা ask করছো?😒।
নীড় : হাহাহাহা….
মেরিনের মাথায় কিছুই ঢুকছেনা।
নিরব : actually মেরিন ২দিন আগে আমাদের ২জনের গাড়ির মধ্যে ছোট ১টা accident হয়। ২জনেই একটু ব্যাথা পাই মাথায়…. দোষটা আমারই ছিলো।
নীড় : না স্যার আমারই ছিলো।
নিরব : না আমার…
নীড় : না আমার….
মেরিন মনে মনে : এরা তো ২জন ২জনকে সহ্যই করতে পারেনা। তাহলে এমন ভালোগিরি করছে কেন?
নিরব ওর ব্যাগটা রাখলো। ওর সিটটা পাশের সারিতে।
নিরব : তোমরা বসো । আমি একটু বাকীদের check করে আসছি।
নীড় : sure sir….
নিরব চলে গেলো।
নীড় : irritating person…
মেরিন : 😒। air hostess air hostess…
air hostess : yes mam… how could i help you?
মেরিন : can you exchange my sit? please …
air hostess: sorry mam…
আসলে আজকে পুরো flight full…
মেরিন : ওহ।
air hostess : mam… ১টা সিট খালি আছে।
মেরিন : কোথায়? please give that …
air hostess : ম্যাম… এই সিটটাই খালি। near to you…
মেরিন তাকিয়ে দেখলো যে ওটা নিরবের পাশের সিট।
মেরিন : না… 📢…
নীড় : 😁
মেরিন : you may go…
air hostess : ok mam… happy journey …
মেরিন মনে মনে : ওটার পাশে বসার থেকে তো নীড়ের সাথে বসা ভালো। গায়ে তো হাত দিবেনা।
.
৫মিনিটপর…
নিরব এলো। এখন take off হবে। আর মেরিনের অনেক ভয় করে take off এর সময়। মেরিন তারাতারি নিজেকে শান্ত করে চোখ বন্ধ করে বসে পরলো। কিন্তু হাত কচলাতে লাগলো । নীড় বিষয়টা খেয়াল করলো। মুচকি হাসি দিয়ে মেরিনের হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিলো। মেরিন চোখ মেলে নীড়ের দিকে তাকালো।
নীড় : মানুষের দুর্বলতা থাকতেই পারে…
মেরিন টান দিয়ে হাত সরিয়ে নিলো
মেরিন : আমার হাত ধরার অধিকার আপনার নেই। don’t touch me… ভুলে যাবেননা আপনি engaged ….
নীড় : আমার তো মনে আছেই। তুমিই তো ভুলে গিয়েছিলে সেদিন…
মেরিন : মানে ? কোনদিন?
নীড় : যেদিন আমাকে কিস করেছিলে… 😘😗… কি লজ্জা কি লজ্জা…আমার ভার্জিনিটি নষ্ট করেছো তুমি… 🙈..
নীড়ের কথা শুনে মেরিনের ইচ্ছা করছে মাটির সাথে মিশে যেতে। লাল হয়ে গেছে একেবারে ।
নীড় : থাক আর লজ্জা পেতে হবে না…. লাল গোলাপী হয়ে গেছো একেবারে। এভাবে লজ্জা পেতে থাকলে আমিও ভুলে যাবো যে আমি engaged … 😁…
মেরিন : আপনার সমস্যা টা কি?
নীড় : সেটা আমিও মাঝে মাঝে ভাবি….
মেরিন : huh…
নিরব : guys তোমরা always ঝগড়া কেন করো?
কথা বলতে বলতে take off হয়ে গেছে। মেরিনের খেয়ালই নেই। তাই আর ভয়ও পায়নি। একারনেই তো নীড় এমন করছিলো। মেরিন বুঝতেও পারেনি।
.
একটুপর….
মেরিন কানে হেডফোন গুজে চোখ বন্ধ করে বসে আছে।
মেরিন মনে মনে : car accident হলো। কিন্তু ২জন একই যায়গায় একই রকমের কিভাবে কাটতে পারে? অংক মিলছে না। নীড়-নিরব একে অপরের দুশমন। কখনোই ২জন ২জনের সাথে ভালোভাবে কথা বলেনা…. তবে আজকে এমন করে কথা বলছে কেন? কেউ কি কিছু লুকাচ্ছে? নাকি এদের মধ্যে কেউ কি সেদিন আর আগে হামলা করেছিলো? ২জনের হাইটও এক। নাকি ২জন মিলেই কিছু করছে। নিরব এমন করবে? তিনি তো কতোবার আমাকে বাচিয়েছেন… মেরিন … অতিভক্তি চোরের লক্ষন…. তবুও নিরবের চোখে ভালোবাসা দেখেছি। তাহলে কি নীড় ? ছিঃ মেরিন। নীড় ২ ২ বার তোর জীবন বাচিয়েছে । কিন্তু উনার রাগ। হ্যা উনিই হতে পারেন। সেদিন আমাকে বলেছিলেন যে প্রতি ফোট রক্তের হিসাব নেবেন। উফফ…. মেরিন .. বেশি ভাবছিস। its just an accident …. হয় তো অন্যকেউই হবে…
তখন মেরিন বুঝতে পারলো যে ওর ঘাড়ে কারো মাথা। পাশে ফিরে দেখে নীড়ের মাথা।
মেরিন : কি ঢং। আমার কাধে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে। ঘুম থেকে উঠে বলবে আমি মনে করেছি এ্যানা।
মেরিন ১ধাক্কা দিয়ে নীড়ের মাথা সরিয়ে দিলো। নীড়ের ঘুম ভেঙে গেলো।
নীড় : ouch …. এমন কেউ করে?
মেরিন : আমি করি….আমি আপনার বউনা।
নীড় : তোমাকে বউ বানাতে বয়েই গেছে। আমার ঘাড় ভেঙে দিলে..
মেরিন : বেশ করেছি। আমার ঘাড়ে মাথা রাখবেন কেন?
নীড় : ok fine রাখবোনা। কিন্ত তুমিও মনে রেখো।
মেরিন : আমি রাখবোনা…
নীড় : ঘুমিয়ে তো আর খেয়াল রাখতে পারবেনা। যদি আমার গায়ে touch লাগাও তাহলে কি হবে জানো?
মেরিন: কি ?
নীড় : তোমাকে কিছু return করবো।
মেরিন : কি?
নীড় : কিস…. লিপ কিস…
মেরিন : what?
নীড় : yeah… নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন কারো ৠণ রাখেনা। 😜😜
মেরিন : huh….
.
flight land করার একটু আগে…
মেরিন তো মহা আনন্দে ঘুম। তাও নীড়র কাধে মাথা রেখে।
নীড় : oh my goodness… এই মেয়ে তো দেখি আমার কাধেই ছোট ১টা সংসার পেতে নিয়েছে। আমিও শোধ তুলবো। এমন leg pull করবো তা বলার বাইরে না। সেদিন কিস করে দিন দুনিয়া ঘুরিয়ে দিয়েছো। এখন আমি তোমার মাথা hang কর দিবো। 😁… ওই… ওই… ওঠো… land করবে।
মেরিনের ঘুম ভাঙলো। দেখলো ও নীড়ের কাধে মাথা রেখে শুয়ে আছে। তারাতারি ঠিক হয়ে বসলো। দেখলো নীড় বাকা চোখে তাকিয়ে আছে সেই সাথে বাকা হাসি।
মেরিন : huh…
নীড় : 😏…
flight land করলো। সবাই হোস্টেলে উঠলো। কিন্তু নীড়-মেরিন হোটেলে উঠলো। সাথে নিরবও।
.
হোটেলে…
check in করার সময়…
মেরিন : চাবিটা কখন দিবেন?
রিসিপশনিস্ট : ম্যাম আজকে অনেকে একসাথে check in করছে। তাই late হচ্ছে।
মেরিন : তারাতারি করুন । না হলে আমি অন্য কোথনো হোটেলে যাবো।
রিসিপশনিস্ট : no mam… একটু wait করুন….
.
১০মিনিট পর…
মেরিন চাবি নিয়ে রুমে গেলো। রুমে ঢুকবে তখন দেখে যে ওর রুমের বরাবর রুমে কারো ব্যাগ-ট্যাগ ঢোকাচ্ছে। আর রুমের মালিক মোবাইলে কথা বলছে । যার পেছন দেখা যাচ্ছে। তবুও মেরিন বুঝে গেলো যে এটা নীড়।
মেরিন : oh no…. bad luck ই খারাপ….
নীড় কথা বলে ঘুরলো । আর ঘুরেই মেরিনকে দেখে ভুত দেখার মতো চমকে গেলো।
নীড় : you??😱😱📢📢…
মেরিন : huh….
বলেই মেরিন রুমে ঢুকে গেলো।
মেরিন : এখানে থাকা just অসম্ভব। বাবাকে ফোন করি।
কবির: হ্যালো মামনি।
মেরিন : বাবা আমি এই হোটেলে থাকবোনা। অন্য কোথাও থাকার ব্যাবস্থা করো।
কবির : মামনি… ওটাই best hotel.. আর সেই সাথে security systemও খুব ভালো। বডিগার্ড থাকলেও তাদের problem নেই । আর flatt এ থাকাটা তোমার জন্য safe হবে না। তাই …
মেরিন : কিন্তু বাবা….
কবির : মামনি…. ১টা কথা তো শোনা উচিত… please …
মেরিন : ok…. i need a car also…
কবির : হামম।
.
২দিনপর…
মেরিন ready হয়ে university তে যাবে। দরজা খুলল। একই সাথে নীড়ও দরজা খুলল।
মেরিন : no…
নীড় : yes… hello baby….
মেরিন : shut up ok….
নীড় : এমন করো কেন? আমি কি তোমার পর? ওহ… আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম যে ৠণ পরিশোধ করতে হবে।
মেরিন : don’t you dare to…. huh…
বলেই মেরিন চলে গেলো।
নীড় : পাগলি। রেগে গেলে আরো adorable লাগে। কিউটের বস্তা। but নীড় ভুলিও না ওই রুপে…. তার নাম মেরিন বন্যা খান। “খান” … ধোকা দিতে পারোনা তুমি নিজের বাবাকে।
.
ভার্সিটিতে…
মেরিন : উফফ… london তো তাও নিজের ঘরের মতোই ছিলো। কিন্তু কানাডা… ভার্সিটিতে কাউকেই চিনবোনা। নিজেদের ভার্সিটি থেকে যে কয়টা এসেছে সব কয়টাই বিরক্তিকর।
নিরব : হ্যালো।
মেরিন : স্যার আপনি আবার?
নিরব : তুমি আমার student তাই তোমার খেয়াল রাখা আমার কর্তব্য ।
মেরিন : স্যার…. আমার সাথে ৬ ৬ জন বডিগার্ড আছে। আপনাকে আর চিন্তা করতে হবেনা।
নিরব : বললেই হলো?
তখন বডিগার্ড বাধা দিলো।
বডিগার্ড : ম্যাম না করছে তো…
নিরব : আরে আমি তোমাদের ম্যামের টিচার। ask her… একি কোথায় গেলো।
ওরা কথা বলতে বলতে মেরিন পালিয়েছে।
মেরিন : মাথা ব্যাথা গুলো। কি ফালতু….
.
মেরিন হোটেল পৌছালো আর পৌছাতেই নীড়ের দর্শন।
মেরিন : আমার কপাল এতোটা খারাপ কেন?
নীড় : hi… কি খবর প্রতিবেশী?
মেরিন : প্রতিবেশী মানে?
নীড় : এই ৬মাস তো তুমি আর আমি প্রতিবেশী হয়েই থাকবো।
মেরিন : ঢং…
নীড় : ঢং এ মনে পরলো। আমার কিসটার কি হলো?
মেরিন : ঘোড়ার ডিমের মাথা।
বলেই মেরিন দরজা লাগিয়ে দিলো।
মেরিন : আজব প্যারা তো। এই ৬ মাস একে সকাল বিকাল দেখতে হবে? আমার তো মনে হয় সময় পেলেই জালাতে আসবে। একে আমি ভুলতে চাইছি আর আল্লাহ একে আমার নাকের ডগায় এনে ফেলল। ভেবেছি ৬-৭ মাসের মধ্যে বিয়ে করবো। মনে হয় না সেটা হবে। কেন হবেনা কেন? আমি কি দেবদাস হবো নাকি? huh… ভালো লাগেনা। মেয়ে বলে কি মানুষনা?
.
৩দিনপর…
রাতে….
মেরিন বুঝতে পারলো যে ও হাত-পা নারাতে পারছেনা। তারাতারি চোখ খুলল। দেখলো ওর হাত-পা বাধা।
মেরিন : এসব কি ?
☆ : তোমার মৃত্যু ফাদ…
মেরিন : কককে?
☆: তোমার মৃত্যু সুন্দরী। তোমার মৃত্যুই তোমাকে এখানে টেনে এনেছে। যেন তোমাকে একা পেয়ে আমি আমার কাজ সমাপ্ত করতে পারি। কেউ নেই তোমাকে বাচানোর।
সে ছুরি দিয়ে মেরিনের হাতে আঘাত করলো।
মেরিন : আহ…
☆: এতোটুকুতেই এতো আর্তনাদ? তাহলে এখন কি করবে?
বলেই সে আবার মেরিনের গলার দিকে আঘাত করতে গেলো।
মেরিন ভয় পেয়ে গেলো।
অজান্তেই ওর মুখ দিয়ে বেরিয়ে
গেল: : নীড় ….
☆: নীড়? কে নীড়? কোনো নীড় আসবেনা তোমাকে বাচাতে… good bye… খান বাড়ির প্রান ভ্রোমরা….
বলেই ও মেরিনেকে মারতে গেলে কেউ এসে তার হাত ধরে ফেলল। সে ঘুরে দেখে কেউ ১জন।
মেরিন : নীড়…
নীড় : যতোদিন নীড় আছে ততোদিন কেউ মেরিনের কিছুই করতে পারবেনা। বুঝেছিস?
নীড় তাকে বেরোধক পিটাতে লাগলো। ওর মাস্ক খোলার চেষ্টা করলো। কোনো মতেই পারছেনা। লোকটা জানালা দিয়ে লাফ দিয়ে পালিয়ে গেলো।
নীড় তারাতারি মেরিনের হাত-পায়ের বাধন খুলে দিলো। নীড় মেরিনকে বুকে জরিয়ে নিলো।
নীড় : shushh… কান্না করেনা… একদম কান্না করেনা। আমি আছিতো…. যতোক্ষন আমি আছি কেউ তোমার কিছুই করতে পারবেনা।
বলেই নীড় মেরিনের কপালে চুমু দিলো।
নীড় : এমা… হাত থেকে তো রক্ত পরছে।
নীড় ব্যান্ডেজ করতে বসে পরলো। নীড়ের মুখ দেখে যে কেউই বুঝতে পারবে যে মেরিনের ব্যাথায় ওর কতো কষ্ট হচ্ছে। মেরিনও বুঝলো।
নীড় : তুমি ঘুমাও আমি তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি।
মেরিন : উহু… ও আবার আসলে…
নীড় : আসবেনা…. আমি আছিনা…. তুমি শুয়ে পরো।
মেরিন শুয়ে পরলো।
নীড় : আমাকে না দেখে চোখ বন্ধ করে ঘুমাও।
নীড় মেরিনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো। মেরিন ঘুমিয়ে পরলো।
নীড় : অনেক হয়েছে । আর না। হামলার পর হামলা… এই ঘটনার ইতি টানতেই হবে। মুখোশ খুলতেই হবে। বাবাকে বোঝাতে হবে যে এ্যানা out মেরিন in… কিন্তু খান & চৌধুরী? তাতে কি? i am নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন। মেরিনের সাথে no compromise …. plan বানাতে হবে…
.
পরদিন…
সকালে…
মেরিনের ঘুম ভাঙলো। উঠে বসলো। আর ভাবতে লাগলো কালরাতর কথা। মুখে হাসি ফুটে উঠলো। পরক্ষনেই আবার মুখ মলিন হয়ে গেলো।
মেরিন : আপনি আমাকে অসামান্য ভালোবাসেন নীড়…. তবে কেন তা মেনে নেন না? কেন দূরে চলে গেলেন? কেন অন্যের হলেনা? কেন বললেন না যে ভালোবাসি…..
.
চলবে…