বস বয়ফ্রেন্ড Season 2

বস বয়ফ্রেন্ড Season 2 ! পর্ব- ১৪

অফিসে –

ইরা : কিরে কেমন আছিস?

তারা : হুম ভাল।

ইরা : মন মরা কেন?

তারা : না কিছুনা।

মেঘ : ইরা এই কয়েকদিনের সব কাজের ফাইল
নিয়ে আসতো।

ইরা : ওমা একি?
তুই থাকতে আমি? ?

তারা : তুই ত অফিস এ ছিলি আমি ছিলাম না
তাই হয়ত।

ইরা : তাও।
আচ্ছা যাই।

তারা : আসলেই তো।
আগে তো উনি কখনই অন্য কাওকে ডাকতেন
না।

ইরা : অই কি করিস/?

তারা : ভাল লাগছেনা রে।

মেঘ : ইরা কাল কে তুমি আমার সাথে এক্টা
মিটিং এ যাবা সব ভালভাবে বুঝে নিও।
আমি কোন ভুল চাই না
ইরা : হা হয়ে থাকলাম আর তারার দিকে
তাকালাম।
।তারাও আমার দিকে তাকিয়ে আছে।

কিরে কি বলে গেল স্যার। আমি যাব? ?
মানে কি??
আমি কি সপ্ন দেখছি?? চিমটি দে তো
আমারে।

তারা : ইরা আমি বাসায় যাচ্ছি।
বাই।

ইরা : তারা দাড়া। শুন প্লিজ।।
তারা – চোখ মুছতে মুছতে চলে আসলাম।

মেঘ – ইরা অই……তারা কই? ??

ইরা : স্যার ও তো চলে গেছে।

মেঘ -( তুমি যত দুরে থাকবা তত ভাল তমার
জন্য)
অকে।

বাসায়-
মেঘ :
রুমি তারা কি খাইছে??

রুমি : স্যার আজকে ম্যাম কি করছে জানেন?
ম্যাম আজকে মদ খাইছে।
কি কি যেন বিড়বিড় করতে করতে বমি করে
দিল। এখন ঘুমাচ্ছে।

মেঘ – কিহ?? গেলাম তারার রুমে।
ফ্লোরে পরে আছে।
কোলে তুলে নিলাম।
তারা কি করলা তুমি।
তুমি এখন নিজেকে কেন কস্ট দিচ্ছ বলত।
আমি মানুষ না অমানুষ।
তুমি কখনই সুখি হবানা আমার সাথে।
নিজেকে কস্ট দিওনা।

তারা বিড়
বিড় করে কি যেন বলছিল আমি শুনতে
পারলাম্না।

সকালে-
তারা- অরে মাথা শেষ আমার।
রুমি লেবুর শরবত আন জলদি।

হ্যা রে রুমি উনি কই? ?

রুমি – রুমেই আছে।

তারা : কাল কে কখন আসলেন।

মেঘ – তুমি মদ খেয়েছিলে কেন? .

তারা – ভুলে খেয়েছি
বুঝতে পারিনি।

দিন আমি পরিয়ে দেই টাই।

মেঘ : লাগবেনা।
এক ধাক্কায় সরিয়ে দিলাম।
দেওয়ালের সাথে খেল বাড়ি। সাথে সাথে
ফুলে গেল।
তারা im im sorry.
আমি বুঝতে পারিনি।
রুমি বরফ আন।খাটে নিয়ে বসালাম। আমি
নিচে বসলাম।

তারা : কলার ধরলাম উনার কি পাইছেন কি
আপনি? ?
যখন খুশি কাছে টেনে নিবেন যখন খুশি দুরে
ফেলে দিবেন? ?
কি আমি কি মানুষ না? ?
আমার কস্ট লাগেনা? ?

মেঘ : তারা আমি জানি আমি তোমাকে শুধু
কস্ট দিয়েছি।
তাই তোমার থেকে দুরে থাকতে চাচ্ছি। না
হলে তোমার আর কস্ট হবে।

তারা : অহ এই জন্য ignore করছেন।

মেঘ – তারা তুমি বুঝতে চাইছ না কেন?

তারা : বুঝতে চাইও না।

মেঘ – ছাড় আমাকে রুমি এখনি আসবে।

তারা : আসুক, দেখুক যা খুশি হক।
আমি বলেছিনা আপনার দায়িত্ব আমার। আর
কারো না।

মেঘ – কি হচ্ছে কি?? ছাড় বলছি।

তারা – উনার কলার অনেক শক্ত করে ধরে
আছি উনি ছাড়াতে চাচ্ছেন।
গাল ধরে ঠোট এ চুমু দিয়ে বসলাম।

মেঘ – চোখ বড় গোল আলু হয়ে গেল। ওমা এটা
কি হল।
।কিস করছিলাম অনেক ক্ষন ধরে।

অকে নিয়ে বিছানায় পরলাম।
তাও তারা আমাকে ছাড়ে নি।

রুমি : রুমে ঢুকে এই দৃশ্য দেখতে হবে ভাবিনি

হাত থেকে বরফ এর বাটি পরে গেল।

মেঘ – চমকে উঠে দরজার দিকে তাকালাম
রুমি বের হল দেখলাম।

তারা – কি হল।
?

মেঘ – উঠে তারাকে হাত ধরে উঠালাম।

নিচে যাও।
রেডি হয়ে নেও অফিস যাতে হবে।

তারা – জি।
শুনুন।

মেঘ – কি।

তারা – ঠোট টা মুছে নিচে আসুন।

মেঘ – আয়নার সামনে গেলাম।ঠোট ভিজে আছে।
টিসু দিয়ে মুছে নিচে গেলাম।
তারা রেডি হয়ে দাড়িয়ে- আছে।

গাড়িতে –
না তারা না আমি কেউ কারো সাথে কথা
বলিনি।
তারার দিকে কয়েকবার তাকিয়েছিলাম। ও
মাথা নিচু করে বসে ছিল।

অফিসে –
মেঘ – ইরা মিটিং এ চল।
ইরা – কিরে তুই কিছু বলবিনা?

তারা – না তুই যা।

মেঘ – তারা একা বাসায় যেতে পারবে।

তারা : জি।

কাজ শেষ করে বাসায় যাচ্ছিলাম।
আজকে কি ট্যাক্সি এর অকাল পরছে।
গাড়িও নস্ট হয়ার টাইম পেলনা।
।অনেক ধরে হাটছিলাম।
মনে হল কে যেন পিছু পিছু হাটছে।
আমি যে দিকেই যাচ্ছি সেটাও সেদিকে
যাচ্ছে।

নাহ ব্যপারটা তো সাংঘাতিক।
জলদি একটা দোকানের ভেতরে গেলাম।
ছেলেটা বাইরে দাড়িয়ে আছে।
প্রায় ১ঘন্টা যাবত বাইরে দাড়িয়ে।
যাচ্ছেওনা।

নাহ এবার উনাকে ফোন দিতেই হবে।
এত ফোন দিচ্ছি ফোন দিচ্ছি ধরছেনা।
রনি কে দেই।

রনি – ম্যাম বলুন।
রনি খুব বিপদে আছি তাড়াতাড়ি আস।
ঠিকানা বলে দিলাম।
রনি তাড়াতাড়ি আসল।
অর সাথে বাড়ি চলে আসলাম।
রনির বাকি লোকেরা অই ছেলেটাকে নিয়ে
বাড়ির বাইরে রেখেছে।

মেঘ – তারা ( চিতকার করে )

তারা – পানি খাচ্ছিলাম।
তার ডাকে পানি মিখের থেকে সব পরে
গেল।

মেঘ – ঠিক আছ তুমি।
তুমি আমাকে ফোন দেওনি কেন? ?

তারা – ফোন বের করে দেখেন কয়বার ফোন
দিসি।

মেঘ – ৩০ টা মিসকল।
ফোন দিলাম আছাড়।

তারা – কি করলেন।

মেঘ – রনি রনি কই সেই ছেলেটা।
বাইরে গেলাম।

তারা- আমি দরজার আড়ালে দাড়িয়ে-
দেখছিলাম।

মেঘ – কয়েক্টা ঠাস ঠাস থাপ্পড় দিলাম।
এবার বল তারার পিছনে কেন লেগেছিস?

ছেলে- স্যার আমাকে ছেড়ে দিন।
আমিও উনার নামও জানিনা।

মেঘ – চুল ধরে নাম জানিস না তো পিছে
কেন লাগছিস।

ছেলে- আসলে উনাকে আমি ১ মাস আগে
একটা পার্কে দেখেছিলাম।
আমার ভাল লাগেছে উনাকে ।তাই প্রতিদিন
উনাকে দেখার জন্য পিছুনেই।
আর কিছু না।
আমাকে ছেড়ে দিন।

মেঘ – এরপর যদি আর পিছু নিস তোর লাশ টাও
কেউ খুজে পাবেনা।
বুঝলি??
তারা শুধু আমার।
যা ভাগ।
রনি তুলে ফেলে দিয়ে আস।

মেঘ – ঘুড়ে তাকাতেই দেখি তারা পিছনে।

তারা : উনার তাকানো দেখে রুমে চলে
আসলাম।

মেঘ – তারা কিছু শুনে ফেলল না তো
তারা – উনি বলেছে আমি শুধু তার।
এখন হবে লুংগি ডান্স।
হেহেহে।

মেঘ – নাচ ছো কেন??

তারা – না কিছুনা।

মেঘ – খেয়ে ঘুমিয়ে পর।
কাল কে থেকে তুমি একা আসবেনা।
আমি না থাকলে রনি তোমার সাথে থাকবে।

তারা – জি।
এই খুশি কই রাখি।

মেঘ – তারা এখনো ঘুম থেকে উঠে নি। থাক
আজ অকে আর যেতে হবেনা।

তারা : উফফ কত দেরি হয়ে গেল। আজ
আমাকে উনি ডাক অ দিলেন না। কি দেরি
হয়ে গেল।
রেডি হয়ে অফিস গেলাম।

ইরা – কিরে এত দেরি কেন?

তারা – ঘুম থেকেই তো উঠতে পারিনি। ।
মেঘ – তারা রুমে আসতো।

তারা – রুমে ঢুকে। আরে শফিক সাহেব আপনি।

শ.সা- হুম।
তোমাদের দাওয়াত দিতে আসলাম। ।
তারা – কিসের?

: আমাদের ডিল টা সফল ভাবে হল। তাই
সেটার success party আরকি. .
তারা – জি আমরা সবাই আসব।

: হুম অফিসের সব stuff দের অ নিয়ে আসবে।
আমি বাইরে বলে যাচ্ছি।

মেঘ – জি। আমরা আসব।

ইরা – তারা তারা চল চল শপিং এ যাই।
উফফ কি মজা।
অনেক দিন পর একটা পার্রটিতে যাব।
ভাগ্য খুললেও খুলতে পারে।
আর যে তোর সইছেনা।

কোন ছেলে যদি প্রপস করে!!!!

তারা : তুই আর তোর আজগুবি সপ্ন।

ইরা – এমন করিস কেন।
লক্ষি সোনা চল না।

তারা : আচ্ছা আচ্ছা।
কাজ শেষ এ যাব।
মেঘ – কাজ শেষ এ বাইরে বেরিয়ে দেখি
তারা নেই।
কি ব্যপার অর না আমার সাথে যাওয়ার কথা।
আমাকে না জানিয়ে কই গেছে।
এই মেয়ে একটাকথাও কেন শুনেনা।

তারা – কিরে হল তোর।
কয়টা বাজে দেখ।

ইরা – এই যে হয়ে গেছে।

তারা – বাসায় আসতে আসতে ১০টা বেজে
গেল।

আস্তে আস্তে ঘরে ঢুকে নিজের ঘরে গেলাম।
লাইট জালালাম।
ওমা একি উনি সোফায় বসে আছে।

মেঘ – উঠে দাড়ালাম।
অর সামনে আগাতে আগাতে বললাম- কাল কে
তোমাকে কি বলেছিলাম।

তারা : ইয়ে মানে ইরার সাথে।

মেঘ – অর একেবারে সামনে দাড়িয়ে- এটা
আমি প্রশ্ন করিনি।

তারা – আপনি/ রনি একজনের সাথে বাসায়
আসতে।

মেঘ – আর তুমি কি করেছ?

তারা – কি করব বলুন ইরা টেনে নিয়ে গেল।

মেঘ – আমাকে জানানোর দরকার মনে
করনি? ?আর
ফোন ধরছিলেনা কেন?

তারা – silent ছিল। বুঝিনি। ( মাথা নিচু করে)

মেঘ – তুমি একটা …… u r just impossible.
যাও চেঞ্জ করে খেয়ে নেও।

তারা – উনার হাত ধরে।
একটু আদুরে গলায় বললাম – আপনি রাগ করে
থাকবেন না আর। প্লিজ।
im sorry.
মেঘ – (এত আদুরে গলায় বললে কি আর রাগ
থাকে) অকে বলে চলে আসলাম।

তারা – হঠাত ঘুম ভেংগে গেল।
উফফ পানি খাব।
উঠে বসে সামনে তাকালাম।
মনে হচ্ছে অন্ধকারে সোফায় কেউ বসা।
জলদি লাইট অন করলাম।
একি আপনি কি করেন এইখানে? ?

মেঘ – পাহাড়া দেই তোমাকে।

তারা : কাছে যেয়ে উনার পাশে বসলাম।
ঘাড়ে মাথা রাখলাম।
আপনি থাকতে আমার কোন ভয় নেই।
আপনি যেয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন।

মেঘ – কপালে চুমু দিয়ে চলে আসলাম।

তারা – আপনি কবে আমাকে ভালবাসার
কথাটা বলবেন বলুন তো।
আমি কি আগে এটা বলতে পারি।
আমার ত লজ্জা লাগে।

চলবে
বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *