পারফেক্ট ভিলেন

পারফেক্ট ভিলেন !! Part- 02

ছোয়া : কি করা যায়? ঘুরে অন্যদিক দিয়ে যেতে গেলে অনেক লেট হবে । ধুর এখান দিয়েই যাই …
ছোয়া যেতে লাগলো । সেজানদের ignore করে ।
সেজান : এই তোরা জানিস আমি না ভূত-প্রেত নিয়ে research করছি। প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন তো আমি ভূত-প্রেতদের উপস্থিতিও বুঝতে পারি?
জিসান : তাই দোস্ত? কিভাবে?
সেজান : ভূতেদের গন্ধে।
জিসান : তাই ?
সেজান : এই এই … এখনও ১টা পাচ্ছি। মনে হচ্ছে খুবই নিকটে আছে । দারা চোখ বন্ধ করে নেই…
.
সেজান চোখ বন্ধ করে গিয়ে সোজা ছোয়ার হাত ধরে চেচাতে
লাগলো : ধরেছি ভূত ধরেছি।
সবাই হাহা করে হাসতে লাগলো।
জিসান : what a ভূত….
ছোয়া : leave my hand i said…
সেজান : এতো দেখি ইংরেজ ভূত ।
সেজান চোখ মেলল।
সেজান : আআআ… 📢📢📢… এতো দেখি ভয়ংকর ভূত। বাচাও… 😁…
ছোয়া : আমি ভয়ংকর ভূত আমি…?
সেজান : দেখ স্বীকার করছে যে ও ভূত ।
ছোয়া : হাত ছারুন আমার ….
সেজান : আয়হায় বলে কি? তোমার হাত ছারবো কেন? তোমাকে তো আমি ভূত ভাগাও কমিটির কাছে hand over করবো। হাহাহা।
সবাই : হাহাহা…
ছোয়া নজের জুতোর হিল দিয়ে সেজানের পায়ে দিলো ১টা পারা । পেন্সিল হিলের আঘাত। আর কি লাগে? সেজান ছোয়ার হাত ছেরে দিলো। পা ধরে লাফাতে লাগলো।
ছোয়া : আর কখনো আমার হাত ধরার সাহস করবেননা।
ছোয়া ক্লাসে চলে গেলো ।
জিসান : ঝালমরিচ…
সেজান : দেখতে হবেনা মেয়েটা কাদের?
জিসান : কিছু বললি?
সেজান : কই না তো…
.
ওদিকে…
জান সুপার শপে গিয়েছে।
জান : চাউমিন নিয়ে নেই । শেষ হয়ে গিয়েছে । বাবা খেতে চেয়েছিলো কালকে। দিতে পারিনি। অনেক গুলো নিয়ে নেই।
জান সব কেনাকাটা করে বের হলো । পথের মধ্যে ওর গাড়ি মেঘের গাড়ির সাথে মুখোমুখি হলো । ২জনই গাড়ি থেকে নামলো ।
মেঘ : বাহ ! গেয়ো ভূত দেখি car drive করাও শিখে গেছে ।
জান : মেরিন বন্যা নীড় খান চৌধুরী সামান্য drive করতে পারবেনা?
মেঘ : oh shut up… পুরো দুনিয়া হয়তো জানতে পারে যে তুমি মেরিন বন্যা … কিন্তু তুমি নিজের origin ভুলে যেওনা । চৌধুরী পরিবার যতোই তোমাকে দুনিয়ার সামনে মেরিন সাজিয়ে রাখুকনা কেন আমার কাছে পারবেনা তোমার সত্যি লুকিয়েয় রাখতে । কাক যতোই সারা শরীর জুরে ময়ূরের পেখম লাগাক না কেন সে কাক হতে পারেনা … জান হলো কাক। আর মেরিন হলো ময়ূর।
জান : …
মেঘ : কেউ চাইলেই মেরিন হতে পারেনা … কিন্তু মেরিন চাইলে যে কারো রূপই ধারন করতে পারে?
জান : সব তো ঠিকই আছে কিন্তু ময়ূর অনেক সুন্দর i agree… but ময়ূরর পা… yuck… আমার পা কিন্তু অনেক সুন্দর ভাইয়া …
মেঘ ২পকেটে ২হাত দিয়ে জানের দিকে এগিয়ে গেলো । পায়ের দিকে তাকালো।
মেঘ : i think right you are… আমার বোনের পা জোরাও সুন্দর
বলেই ২জন হাহা করে হাসতে লাগলো।
মেঘ “মেরিন” কে জরিয়ে ধরলো ।
[[[ হামম জানই মেরিন 😒😒😒। কালকেই বলে দিতাম। কিন্তু আমি আপনাদের awwwe ki cute reaction দেখতে চেয়েছিলাম। 😜😜😜। এটা কোনো রহস্য ছিলোনা । 😁😁😁।]]]
মেঘ : missing you ইয়ার।
মেরিন : awwe… কিন্তু miss করার কি আছে ২-৩দিন পরপরই তো দেখা হচ্ছে ।
মেঘ : হামম। but চোরের মতো। আর কতোদিন? কতোগুলাে বছর হয়ে গেলো। আর কতো?
মেরিন : জানিনা ভাইয়া। আমি নিজেই tired … কোথায় সেই ভিলেন? কে সে ভিলেন? যতোদিন তাকে না পাবো ততোদিন ২পরিবারের ওপর তো গ্রহন লেগেই থাকবে । specially নীড়ের ওপর ।
মেঘ : কিন্তু নীড় তো কখনোই কারো খুন করেনি? তাহলে?
মেরিন : সেটাই তো? নীড়ের ওপর থেকে সেই গ্রহন যতোদিন পর্যন্ত আমি না দূর করতে পারছি ততোদিন পর্যন্ত … যদি জীবনের শেষ সময় পর্যন্তও এমন কিছু করে যেতে হয় তো করবো।
মেঘ : …. এতোদিনে তো সে জেনেই গেছে যে মেরিন বন্যা নেই…
মেরিন : হামম। তাইতো জানকে নিজের দলে টানার চেষ্টা করে যাচ্ছে। বারবার। আমার মনে হয় তার মূল উদ্দেশ্য নীড়-মেরিনকে আলাদা করার । whatever … বাদ দাও । বাসার সবাই কেমন আছে? ভাবি কেমন আছে? অনু?
মেঘ : সবাই ভালো আছে ।
মেরিন : oh no ভাইয়া … i am getting late … পরে দেখা হবে।
মেঘ : its টুনিট্যাক meet. not done .. ছোয়া আর নির্বন কেমন আছে।
মেরিন : ভালো। আসছি।
মেরিন চলে গেলো।
.
চৌধুরী বাড়িতে …
নীলিমা : কিরে এতো দেরি হলো যে?
মেরিন : আর বলোনা শাশুড়ি … আসার সময়না মেরিন আফার ভাইয়ের সাথে মানে মেঘ ভাইয়ের সাথে দেখা হয়েছিলো…
নীলিমা : তাই কেমন আছে ওরা? কবে থেকে ওদের দেখিনা? বকেছে তোমাকে?
মেরিন : না আমার সাথে তো কথাই বলেননি 😅।
নীলিমা : আচ্ছা যাও fresh হয়ে নাও।
মেরিন : জী শাশুড়ি …
মেরিন রুমে গিয়ে fresh হয়ে নিলো। এরপর দুপুরের জন্য রান্না বসালো ।
নীলিমা : আচ্ছা মেঘ একাই ছিলো?
মেরিন : হামম।
মেঘ : কেমন আছে মেঘ?
মেরিন : ভালোই তো লাগলো।
নীলিমা : ওহ।
.
১সপ্তাহপর …
রাত ১২টা…
ছোয়া : অনু অনু অনু … হায় ম্যা মারজাওয়া …
অনুভব : hello guys its yours #অনুভব … আবার ফিরে এসেছি তোমাদের মাঝে অনেকগুলো আড্ডা দিতে। শুরুতেই শোনাবো welcome song… চলো দেখি আজকে কোন গান অপেক্ষা করছে তোমাদের জন্য। music … oh its my favorite song…
“on my way”…
অনুভব : গানের পর ফিরে এলাম আবারও। আজকে কিন্তু ভীষন ঠান্ডা তারওপর বৃষ্টি। হাড় কাপানো অবস্থা । but এই weather টা আমার অনেক বেশি পছন্দের । চলো এখন কয়েকটা sms পড়া যাক… দেখি ম্যাসেজে কি আছে…
প্রথম ম্যাসেজ, এটা করেছেন মিরা from গাজীপুর । জিজ্ঞেস করেছে কেমন আছো crush ভাইয়া?
ভালো আছি আপু… তুমি ভালো আছো?
পরের ম্যাসেজ করেছে আলো from ঢাকা। আলো জিজ্ঞেস করেছে ভাইয়া কে সে ভাগ্যবতী নারী যে তোমার জীবনে আছে?
oh my god… what a question …. in that case আমার জীবনে ১জন নয় ৪জন নারী আছে। সত্যি বলতে ভাগ্যবতী কিনা জানিনা তবে আমি ভাগ্যবান তাদেরকে পেয়ে । তারা ৪জন হলেন আমার দীদা , আমার নান , আমার মামনি &&& আমার কিউট & এভার গ্রিন ফুপ্পি ডার্লিং।
৩টা ম্যাসজ পড়লাম। চলো ২টা গান শুনে আসি ।
.
গানেরপর…
অনুভব : কেমন লাগলো গান ২টা? শাহরুখ খানের ভালোলাগার কথা। আবার কয়েকটা ম্যাসেজ পড়া যাক।
শান্তিনগর থেকে রুবেল ম্যাসেজ করেছে। বলেছে ভাইয়া মেয়ে পটানোর কয়েকটা টিপস বলো…
রুবেল… পটানো শব্দটা wrong word… মেয়েদেরকে পটানোর কথা না ভেবে তাদের মন জয় করার করতে হয়… চিন্তাধারা পাল্টাও…
ছোয়া : ইশ মেয়েদের কতো সম্মান করে।
ওকে পরের ম্যাসেজ করেছে #অনুভবের_ছোয়া …
oh my god… এটা কি নাম?
ছোয়া : হামম। নাম। অনুভবের ছোয়া। তুমি অনুভব আমি তোমার ছোয়া ।
অনুভব : অনভবের ছোয়া বলেছে i love you my love…
thank u অনুভবের ছোয়া …
next ম্যাসেজ এ্যানা from কানাডা। প্রবাসী বাঙালী…
বলেছে ভাইয়া তুমি ২লাইন গান গেয়ে শোনাও।
oh my god বলে কি? গানের গলা ভালোনা। এমা আরো কতোজন দেখি গান শুনতে চেয়েছে….
গাইবো? বন্ধুদের আবদার তো রাখতেই হয় । তবে আগেই বলে দিচ্ছি আমি কিন্তু ডোরেমনের জিহান type singer… 😁… বকা দিওনা প্লিজ। আচ্ছা কি গান গাইবো? ম্যা হু জিহান? হাহাহা …
আচ্ছা ১টা প্রিয় গান শোনাই …
🎶🎵🎶
আমি তোমাকে আরো কাছে থেকে
তুমি আমাকে আরো কাছে থেকে
যদি জানতে চাও …
তবে ভালোবাসা দাও
ভালোবাসা নাও।
🎶🎵🎶
ছোয়া : হায় কি কন্ঠ?
.
পরদিন…
ভার্সিটিতে…
পলি : কিরে আজকে কি এতো ভাবছিস আনমনে…
ছোয়া : আমার অবুভবের কথা। এই কালকে যে ও গান গাইলো শুনেছিস? কি দারুন কন্ঠ…
পলি : হামম শুনেছি। crushed…
ছোয়া : ওই খবরদার ও কিন্তু আমার। just love the song…
তখন ২ বান্ধবি শুনতে পেলো বিশ্ব কর্কশ কন্ঠের ১টা গান …
কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার অবস্থা ।
🎶🎵🎶
ম্যা হু সেজান …
ম্যা হু বারা দাকাতবান
মেরা গালা হ্যা
বহত সুরিলা
মেরা আওয়াজ সুনকে
সাব হো যাতে হ্যা মাদহোশ ….
🎶🎵🎶
ছোয়া : মাদহোশ না বেহোশ…
সেজান : কে রে? আরে জুনিয়র সিটিজেন? তোমরা আমাদের এখানে? বুঝেছি আমার গান শুনতে এসেছো? how sweet … দারাও গাইছি …
ছোয়া : stop… সেজান ভাইয়া … প্লিজ গান গাইবেন না ।
ছোয়ার মুখে ভাইয়া শুনে সেজানের মেজাজ বিগরে গেলো।
সেজান মনে মনে : বাদর মেয়ে,,, রেডিও তে ম্যাসেজ করে বলে যে সে অনুভবের ছোয়া … আবার বলে i love you… আর এখন বলছে ভাইয়া একে তো ধরে উত্তম মধ্যম দেয়া দরকার। দেখাচ্ছা মজা ….
সেজান এক লাফে ছোয়ার খুব কাছাকাছি গিয়ে দারালো।
ছোয়া অপ্রস্তুত হয়ে গেলো।
সেজান : কিছু বললে রোজ… black rose….?
ছোয়া পিছে সরে দারালো। সেজান ধারে কাছে কোথাও থাকলেই heartbeat fast হয়। তারওপর এতো কাছে চলে এসেছিলো … মনে হচ্ছিলো heartটা লাফাতে লাফাতে বেরিয়ে যাবে ।
সেজান : বলো কি বলছিলে?
ছোয়া : ককককিছুনা …
বলেই পলির হাত ধরে দৌড়ে চলে গেলো ।
সেজান : পাগলি …
জিসান : আচ্ছা যাকে এতো ভালোবাসিস তাকে এতো জ্বালাস কেন?
সেজান : ভালো লাগে তাই… oh no ।।
জিসান : কি হলো?
সেজান : কটা বাজেরে?
জিসান : সাড়ে ৩টা। কেন?
সেজান : ফুপ্পি ডার্লিং… bye…
সেজান গাড়ি নিয়ে ছুটলো।
.
রমনা পার্কে…
মেরিন : ছেলেটাকে ধরে না পিটানোর দরকার… কথাই বলবোনা …
সেজান : থাকতে পারবে কথা না বলে?
মেরিন তাকিয়ে দেখলো খুব সুন্দর ১টা ফুলের তোরা নিয়ে সেজান মুখ ঢেকে দারিয়ে আছে । মাথায় joker cap…
মেরিন : huh…
সেজান : sorry ফুপ্পি ডার্লিং …
এতো cute করে সেজান sorry বলল যে মেরিন হেসে দিলো।
সেজানের কান টেনে
বলল : খুব চালাক না? এতো দেরি করলে কেন?
সেজান : তোমার মেয়েকে জ্বালাচ্ছিলাম।
মেরিন : কেনরে আমার মেয়ে তোমার কোন পাকা ধানে মই দিয়েছে হামম?
সেজান : ফুপ্পি ডার্লিং… নিজের হবু বউয়ের সাথে একটু শয়তানী না করলে হয় বলো … 😁..
মেরিন : ওরে বাদর ছেলে … লজ্জা করেনা আমার সামনে এমন কথা বলতে?
সেজান মেরিনের ২কাধে হাত রেখে
বলল : উহু… আমি আমার best friend এর সাথে কথা বলছি। লজ্জা পাবো কেন শুনি?
মেরিন : ড্রামাবাজ…
সেজান : খান বাড়ির ছেলে… ড্রামা তো রক্তে মিশে আছে ।
মেরিন : দুষ্টু। আসো বসো। বলো তো বক্সে কি আছে ?
সেজান : ফুপ্পি তোমার হাতের বুটের হালুয়ার ঘ্রাণ কখনোই লুকিয়ে থাকেনা …
মেরিন : নাও খেয়ে নাও।
সেজান : খাইয়ে দাও …
মেরিন মুচকি হেসে খাইয়ে দিতে লাগলো।
মেরিন : অনু…
সেজান : হ্যা ফুপ্পি…
মেরিন : সবাই কেমন আছে রে? ভাবি কেমন আছে?
সেজান : দেখতে গেলে সবাই ভালো আছে। কিন্তু বুঝতে গেলে কেউনা …
মেরিন : …
সেজান : ফুপ্পি ১বার কেবল ওই ভিলেনটাকে খুজে পাই … ওকে তো আমি …
মেরিন : কিছু করবেনা তুমি … আমি চাইনা তোমাদের জীবনে কোনো দাগ লাগুক…
.
রাতে…
চৌধুরী বাড়িতে…
মেরিন বারান্দায় দারিয়ে আছে। ঝড়ো বাতাস বইছে । মেরিন অংক মিলাচ্ছে ।
নীড় : ড্রামার গোডাইন বারান্দায় কি করছে? একে শীত তারওপর বৃষ্টি । মনে তো হয়না শল টল কিছু নিয়েছে । ঠান্ডা লাগলে? যা মন চায় করুক … উফফ। নীড় মনুষত্ববোধ বলতেও কিছু আছে ।
নীড় বারান্দায় গেলো ।
নীড় : ওই ক্ষেত মার্কা এখানে দারিয়ে ঠান্ডা লাগানোর মতলব আছে নাকি? দেখো তোমার পিছে extra টাকা খরচ করার টাকা আমার নেই । রুমে চলো।
মেরিন কিছু না বলে নীড়কে জরিয়ে ধরলো । নীড় খুবই অবাক ।
নীড় মনে মনে : কি হলো ? জান্নাত তো কখনোই এমন করেনা…
.
((( জানই যে মেরিন সেটা 1st part এই বলে দিতাম । কিন্তু সবার reaction দেখার ইচ্ছা ছিলো। 😁😁😁।
অনুভব কে নিয়ে confused হওয়ার কিছু নেই। season 1 এই বলেছিলাম যে মেঘ-অধরার ছেলের নাম অনুভব খান সেজান ।
প্রায় সব গল্পেই আমি নীড়-মেরিনের মেয়ের নাম নিরাম দেই । এই গল্পে ছোয়া দিয়েছি ইচ্ছা করেই । অনুভব আর ছোয়ার জন্য ।
আর ধীরে ধীরে গল্প নিয়ে সব উত্তর পেয়ে যাবেন । )))
চলবে…