প্রেমের পাঁচফোড়ন

প্রেমের পাঁচফোড়ন !! Part- 69

মহল্লার সবাইকে মিষ্টি খাওয়ানো শেষ করে শান্ত ফিরে আসলো বাসায়,আজ তার সবচাইতে খুশির দিন!!
আহানা চুপচাপ জামা চেঞ্জ করতেসে অফিস যাবে তাই
শান্ত মিষ্টি একটা আহানার মুখে ঢুকিয়ে দিয়ে পুরো মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে বিছানায় বসে খেয়ে যাচ্ছে
আহানা শান্তর হাসিখুশি চেহারা দেখে কিছুই বলার সাহস খুঁজে পাচ্ছে না
আজ অফিসে যাওয়ার পথে একজন ফেরিওয়ালার হাতে একটা পুতুল দেখে কিনে নিলো সে,তার মেয়ে হলে তাকে দিবে খেলার জন্য
পুতুলটা কম দামি হলেও দেখতে বেশ লাগলো তার কাছে
আহানা সারাদিন ধরে শুধু শান্তর মুখের দিকে চেয়ে ছিল
শান্তর মন ভাঙ্গতে হবে এই ভেবে তার বুকটা ফেটে যাচ্ছে
শান্তকে সত্যিটা জানানোর জন্য সে সব চেষ্টা করছে

আজ অফিস ছুটি হওয়ার পর শান্ত আহানাকে নিয়ে সোজা তার বাসায় ফিরেছে,সেখানে আহানাকে সারপ্রাইজ দিবে সে
আহানার চোখে ফিতা বেঁধে দিসে বাসায় ঢুকার আগমূহুর্তে
তারপর আহানার হাত ধরে রুমে ঢুকে ওর চোখের ফিতাটা খুলে দিলো
পুরো রুমটায় বেশ সুন্দর করেই ডেকোরেশন করানো,পর্দার উপর বড় বড় করে লিখা “HAPPY BIRTHDAY AHANA”
আহানার মুখে হাসি আসার মত কোনো অবস্থা নেই তাও সে বাধ্য হয়েই হাসলো,সামনে এগোনোর জন্য এক পা কদম ফেলতেই উপর থেকে কৃষ্ণচূড়া ফুলের পাপড়ি এসে পড়তে লাগলো,আহানা এবার মন থেকেই হাসলো,শান্ত ভার্সিটির পাশের কৃষ্ণচূড়া গাছটার থেকে অর্ধেক ফুল নিয়ে এসেছিল
পিছন থেকে রুপা,নওশাদ,রিয়াজ আর সূর্য আসতেসে
পুরো বার্থডে পার্টিতে শান্ত খেয়াল করেছে আহানার মুখে এক ফোটাও হাসি নেই
রাত ১০টা বাজে,সবাই মিলে ডিনার করায় ব্যস্ত
আর আহানা বারান্দায় দাঁড়িয়ে অন্ধকার আকাশ দেখে যাচ্ছে,আকাশে তারা ছাড়া কিছুই নেই,চাঁদ ও না,তাও আহানা এত মনোযোগ দিয়ে দেখে যাচ্ছে
আসলে তার মন আকাশের দিকে নয়,এমনিতেই মুখটা আকাশের দিকে ফিরিয়ে রেখেছে,মনে মনে তো ভাবতেসে কিভাবে সে তার বাচ্চাকে বাঁচাবে,কিভাবে শান্তকে সত্যিটা জানাবে
শান্ত সত্যিটা শুনলে নির্ঘাত এবোরশান করানোর জন্য এক পায়ে দাঁড়িয়ে যাবে
পেটের মধ্যে শান্তর হাতের স্পর্শ পেতেই আহানা চমকে ভাবনার জগৎ থেকে বেরিয়ে আসলো
.
শান্ত আহানার ঘাড়ে মুখ রেখে কিছুক্ষন চুপ করে থেকে বললো “তোমার কি মন খারাপ আহানা?
আমি জানি কেন মন খারাপ”
.
আহানা চমকে পিছন ফিরে শান্তর দিকে চেয়ে বললো “আপনি জানেন?”
.
তোমার মা বাবা নেই তোমার জন্মদিনে তাই

আহানা মাথা নিচু করে রুমের দিকে চলে গেলো
শান্ত রান্নাঘর থেকে খাবার এক প্লেট নিয়ে এসে আহানার পাশে বসলো,আহানা শুরুতেই হাত দিয়ে মানা করে বললো সে খাবে না
.
কি হইসে তোমার??সারাদিনে কিছুই খাওনি তুমি,তুমি কি ভুলে গেসো যে তোমার পেটে এখন একটা জীবন আছে?
.
আহানা চোখ তুলে কিছুক্ষণ চেয়ে থেকে বললো “জীবন??আমাদের মতো?”
.
হুম,আমাদের মতই তো,আমরা সবাই তো এমন ছিলাম
.
আহানা আর চোখের পানি ধরে রাখতে পারলো না,জড়িয়ে ধরলো শান্তকে
.
শান্ত হাত থেকে প্লেট বিছানায় রেখে আহানাকে ধরে বললো “কি হয়েছে তোমার?আমাকে বলো”
.
শান্ত আমি এবোরশান করাতে পারবো না,আমাকে ক্ষমা করেন
.
এবোরশান মানে??কি বলতেসো এসব?
.
আহানা কান্নার জন্য কিছু বলতে পারছে না,শুধু বলেছে তার ডাঃ রোস্তমের সাথে কথা হয়েছে
আর কিছু মুখ দিয়ে বের হচ্ছে না তার
শেষে শান্ত ফোন নিয়ে ডাঃ কে কল করে পুরো বিষয়টা শুনলো উনার থেকে
সবকিছু শুনার পর হাত থেকে ফোন পড়ে গেলো তার
আহানা বিছানার নিচে এক কোণায় বসে আছে, তার চোখ শান্তর দিকে
.
শান্ত হাত দিয়ে চুল টেনে নিজেকে সামলালো,তারপর বড় একটা নিশ্বাস ফেলে নিচে ফ্লোরে বসে আহানার হাত দুটো ধরলো
.
শান্ত প্লিস!আমি এবোরশান করাবো না

দেখো আহানা,আমার কথা শুনো,আমরা চাইলে পরে আরও আরও বেবি নিতে পারবো
তাহলে এখন এই বেবির জন্য তুমি কেন লাইফ রিস্ক নিবা?
তোমার আর বেবির দুজনেরই লাইফ রিস্ক আছে এটাতে,আর সবচেয়ে বেশি হলো তোমার লাইফ রিস্ক
দেখো আহানা,ট্রাস্ট মি,এখনও বেবি হয়নি তোমার পেটে,জাস্ট একটা অংশ তৈরি হয়েছে,এটা নষ্ট করলে বেবি ব্যাথা পাবে না,সত্যি!
.
শান্ত প্লিস!আমাকে এসব বুঝাবেন না,আমি বাচ্চা না
.
আহানা শুনো!যদি এমন হয় ৯মাস পর আমরা বেবিকে না বাঁচাতে পারি?তখন তুমি শোক কি করে সামলাবে?
.
আপনি নেগেটিভ কেন ভাবতেসেন,বাঁচতেও তো পারে,সব আল্লাহর হাতে,আল্লাহ চাইলে কি না হয়?
.
জানি আমি,কিন্তু বিপদ সামনে জেনে শুনে আমরা কেন এমন করবো বলো??আমি তোমাকে হারাতে দিতে পারি না,এটা জেনে শুনে তো কখনই না,তুমি কাল সকালে আমার সাথে যাবা, এবোরশান করিয়ে আনবো,এতবড় রিস্ক আমি কিছুতেই নিব না
আই প্রমিস!তোমার কোর্স শেষ হলেই আমরা বেবি নিব
.
না,আমার মা বাবা আমাকে ফেলে গেসিলো,আমি জানি এটার কি কষ্ট!!সেই আমি কিনা আমার সন্তানকে মেরে ফেলবো??
.
জাস্ট শাট আপ আহানা!!!আমি যা বলেছি তাই হবে,তুমি এই বাচ্চা নিতে পারবে না,কাল আমি অসম্পূর্ন কাজ সম্পূর্ণ করবো,এখন খেয়ে ঘুমাবা তুমি
কথাটা বলে শান্ত বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালো
.
আহানা শান্তর ধমকে চুপ করে চেয়ে রইলো তারপর চোখ মুছে বললো”সে কি আপনার সন্তান নয়??শুধু আমারই ভেতরটা পুড়তেসে,আপনার পুড়তেসে না??”
.
শান্ত আকাশের দিকে চেয়ে বললো”হ্যাঁ আমার সন্তান,আমি অস্বীকার করতেসি না একদমই!!বাট বাচ্চার চেয়ে আমার কাছে এখন বাচ্চার মা সব চাইতে বেশি জরুরি!
আগে বাচ্চার মা,মা বেঁচে থাকলে বাচ্চা এমনিতেই আসবে”

আহানা উঠে দাঁড়িয়ে শক্ত চোখে তাকিয়ে বললো”বাচ্চা না থাকলে বাচ্চার মা ও থাকবে না”
ব্যস কথাটা বলে আহানা রুম থেকে বেরিয়ে চলে গেলো
.
আহানা দাঁড়াও বলতেসি,পাগলামি করবা না
.
কিরে শান্ত কি হয়েছে?আহানা বেরিয়ে গেলো কেন?
.
পরে বলতেসি,রিয়াজ!একজন ডাক্তার নিয়ে আহানার বাসায় আয়,বলবি ঘুমের ইনজেকশান নিয়ে আসতে
.
আহানা নিজের বাসায় ঢুকে দরজা লাগাতে যেতেই শান্ত ধরে ফেললো
আহানা বেশি বেশি করতেসো তুমি
.
আপনি চলে যান এখান থেকে
.
যাবো না
.
আহানা বিরক্ত হয়ে নিজের রুমে চলে গেলো
খাটের এক কোণায় বসে আছে সে আর শান্ত পাশেই দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে
.
শান্ত ওর পাশে এসে বসতেই ও সরে বসলো
.
ঠিক আছে,এবোরশন করাতে হবে না,শান্তি?তুমি মরে যেও, তুমি মরার ২মিনিট আগে আমি বিষ খাবো,তাহলে তো তুমি হ্যাপি?
.
আহানা চোখ মুছতেসে বারবার
.
নওশাদ আর রিয়াজ মিলে ডাক্তার নিয়ে আসলো,আহানা ডাক্তার দেখেই পিছিয়ে গেলো, চিৎকার করে বললো”শান্ত প্লিস এমন করবেন না”

শান্ত আহানাকে আগলে ধরে বললো”কিছুই করবো না,উনি তোমাকে রেস্টে রাখার জন্য একটা ইনজেকশান দিবে জাস্ট
.
না লাগবে না
.
শান্ত ডাক্তারের দিকে তাকিয়ে ইশারা করলো,তারপর আহানার হাত চেপে ধরলো
.
শান্ত প্লিস!!আমি মরে যাবো,আমার বেবিকে চাই শান্ত,এমন করবেন না

ডাক্তার ইনজেকশানটা দিয়ে চলে গেলেন,রুপা আহানার মাথায় হাত বুলাচ্ছে,আহানা ঘুমিয়ে পড়েছে ততক্ষণে
শান্ত জানালার গ্রিল ধরে বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে
.
আহানা ডিপ্রেশনে ভুগতেসে,ওকে ঘুমের ইনজেকশান দিতেই হতো নাহলে উল্টা পাল্টা কাজ করে বসতো আজ
.
তুই এখন কি করবি??আমার তো মতামত হলো এবোরশান করানো উচিত,নাহলে আহানার লাইফ নিয়ে টানাটানি লাগবে
.
ভাইয়া আমি বলতেসি কি আহানার কথাই ঠিক,সম্পূর্ন আল্লাহর উপর ছেড়ে দিলে হয় না??
.
ভবিষ্যতে কি হবে আমি জানি না তবে ডাঃ রোস্তম যা বললেন তা সত্য,,১০০শতাংশে ০.৯৯ ও চান্স নাই যে বাচ্চা আর মা দুজনেই বেঁচে যাবে
একজন না একজন মারা যাবেই,আর কথা হলো বাচ্চাকে না বাঁচিয়ে আহানাকে সেদিন বাঁচাতে গেলেও অনেক বড় রিস্কি হবে ব্যাপারটা,এত কিছুর পরও তাকে বাঁচানো নাও যেতে পারে,তাহলে সব জেনেও আমি কেন এত বড় রিস্ক নিবো?
.
দেখ শান্ত miracle ও তো হতে পারে?
.
নাহ,এরকম অনেক অপারেশন ডাক্তার করেছেন,এরকম ঘটনায় মায়ের মৃত্যু হয়েছে,আমি শুধু শুধু ব্যাপারটা সিরিয়াস নি নাই,যেটা সত্যি সেটাই
.
কি আর করার,তুই আহানাকে বুঝা,কারন ওর অনুমতি ছাড়া এবোরশন করাবে না ডাক্তার

পরেরদিন ভোরবেলায় লাফ দিয়ে উঠে বসে গেলো আহানা
পেটে হাত দিয়ে এদিক ওদিক তাকালো,চিন্তায় রুম থেকে বের হতেই দেখলো শান্ত মাথার উপর হাত রেখে সোফায় ঘুমাচ্ছে
.
আপনি এবোরশন করিয়ে ফেলসেন??
.
শান্ত ঘুম থেকে জেগে চোখ ডলতে ডলতে বললো “না”
.
আহানা পেটে হাত দিয়ে আবার রুমে চলে গেলো
শান্ত রান্নাঘরে এসে নাস্তা বানাচ্ছে
আহানা পেটে হাত দিয়ে চুপ করে বসে ভাবতেসে সে কি করবে এখন
.
১ঘন্টা পর শান্ত রুটি ভাজির প্লেট নিয়ে রুমে ঢুকলো
.
শান্তকে দেখে আহানা দূরে সরে বসলো
.
আহানা তুমি কাল সারাদিনে তেমন কিছুই খাওনি,এখন চুপচাপ খেয়ে নাও
.
না আমি খাবো না,কিছু খাবো না
আমি মোহনগঞ্জের আশ্রমে চলে যাবো
.
আহানা আজগুবি কথাবার্তা বাদ দাও,তুমি কাল থেকে এমন কেন করতেসো?একটা কথা বুঝার চেষ্টা করছো না কেন?
.
আমি এবোরশান করাবো না

শান্ত পকেট থেকে একটা ছোট্ট বোতল বের করে আহানার হাতে দিলো
.
ফাইন,এবোরশান করিও না,এখন এগুলো এই গ্লাসে ঢেলে আমাকে খাইয়ে দাও
আমি আমার আগে তোমার মৃত্যু সয্য করতে পারবো না,তার আগেই আমাকে মেরে দাও
.
দেখুন,বাচ্চার কিছু হবে না,সবসময় একই জিনিস হবে এমন তো না,আমি রোজা রাখবো,নফল নামাজ পড়বো,তাহাজ্জুদ নামাজ পড়বো
আল্লাহ আমার আর আমার বাচ্চার ক্ষতি হতে দিবে না
.
শান্ত রেগে গিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে চলে গেলো
.
আহানা নাস্তা আর খেলো না,একেবারে অফিস টাইমে রেডি হয়ে বাসা থেকে বের হলো সে
শান্ত বাইক নিয়ে আসেনি,রাগ করেছে নিশ্চয়
তাই আহানা একটা রিকসা নিয়ে অফিসে গেলো,এসে দেখলো শান্ত অফিসে আগেই এসে গেছে
আহানা এসে ওর পাশে বসতেই শান্ত ফাইল এডিট করতে করতে বললো “নাস্তা খেয়েছিলা?”
.
না
.
শান্ত রেগে ওর দিকে তাকালো তারপর উঠে ক্যানটিনে চলে গেলো খাবার আনতে
খাবারের প্যাকেট হাতে নিতেই দেখলো রাফি দৌড়ে দৌড়ে আসতেসে,এসে বললো আহানা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে
শান্ত দৌড়ে কেবিনে চলে আসলো,লিজা ওর কোলে আহানার মাথা রেখেছে,শান্ত ওকে কাছে নিয়ে আনলো,রাফি বললো হসপিটালে নিয়ে যেতে
দেরি না করে শান্ত ওকে নিয়ে হসপিটালে চলো আসলো
ডাক্তার রোস্তম চেক আপ করেতেসেন
.
খাওয়া দাওয়া ঠিকমত করে না নাকি?
.
আমি কি করবো একটু বলেন,সে চায় না এবোরশন করতে জেদ ধরে বসে আছে,আমি তার কথার বিরুদ্ধে বলায় এখন খাওয়া দাওয়াই অফ করে দিসে সে
.
এজ এ ডক্টর আমি আপনাকে একটাই পরামর্শ দিব আর সেটা হলো “এবোরশান”
একজন মা হিসেবে আহানার এমন রিয়েকশান স্বাভাবিক তবে একে উপেক্ষা করে এবোরশান করানো উচিত,কারন লাইফ রিস্ককে এভাবে সহজভাবে নেওয়াটা বোকামি

আমি বুঝেছি বাট সে বুঝতেসে না,এভাবে খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিলে আমি কি করতে পারি?ও ওর কথায় অটল
.
এবোরশনে মায়ের অনুমতি সব চাইতে বেশি ইম্পরট্যান্ট! যেহেতু আহানা রাজি হচ্ছে না সেহেতু আমি আর কি বলতে পারি বলুন
আপনারা যে সিদ্ধান্ত নিবেন সেটাই হবে
বাট আমি আপনাদের আবারও মানা করতেসি এই ভুল করবেন না,কথটাা সিরিয়াস নেন,এরকম কেস আমি আরও দেখেছি,জাস্ট ১/২বছর ওয়েট করতে পারবেন না আপনারা??
.
শান্ত আহানার মাথায় হাত বুলিয়ে ওর বেডের সামনে চেয়ার টেনে বসলো
নওশাদকে ফোন দিয়ে বললো কোন দেশে চিকিৎসা করলে এই সিচুয়েশনেও বাচ্চা মা দুজনকেই বাঁচানো যাবে এরকম দেশের খোঁজ নিতে
একদিকে আহানা আরেকদিকে তার সন্তান
মনে হচ্ছে দুই নৌকায় পা দিয়ে চলতেসে সে,এক নৌকা ছেড়ে দিতেই হবে,যেটা ছাড়বে সেটা তার শরীরের একটা অংশ,আরেকটা তার প্রান
চলবে♥