না বললেও ভালোকিন্তুবাসি !! Part- 25
সাগর : sir… she is mohona. my wife…
ডক্টর গোমেজ : wife… ভালো ভালো ভালো। খুব ভালো…. তোমার নাম মোহনা?
মোহনা : হামমম।
গোমেজ : ভালো ভালো ভালো । খুব ভালো । আমার নাম জিজ্ঞেস করবেনা?
মোহনা : আপনার নাম কি?
গোমেজ : আমার গোমেজ ডি কসটা । তোমার মুখ-চোখ দেখে মনে হচ্ছে তুমি কিছু বলতে চাও। বলো বলো বলে ফেলো… আমি বন্ধু সবার বন্ধু।
মোহনা : আসলে আপনাকে দেখতে আইনস্টাইনেই “অজমজ” ভাই ডক্টর মাশুর গুলাটির মতো ।
গোমেজ : ভালো ভালো খুব ভালো। the kapil sharma show… laughing show… ভালো ভালো। মন ভালো থাকে।
মোহনা : আমার মন সবসময়ই ভালো থাকে। awwwe ki cute…
গোমেজ : তাহলে তো আরো ভলো। come come come… come with me….
.
গোমেজ সাগর-মোহনাকে ভেতরের রুমে নিয়ে গেলো। রুমটা যেন কেমন। কেমন বিদঘুটে লাইট।
মোহনা : আমরা কি কোনো secret room এ এসেছি।
সাগর : হামমম।
মোহনা : কার দুঃখে?
গোমেজ : এই ধরো আমার দুঃখ।
মোহনা : মানে sorry sir…
গোমেজ : no no… don’t be … আসো আসো বসে বসে। এই চেয়ারটাতে। ভীষন softy softy…
মোহনা : সে না হয় বসবো। কিন্তু ছোট্ট ১টা question mark…. জল্লাদ আপনি কি আমার treatment করানোর জন্য এখানে এনেছেন?
গোমেজ : একটু একটু। বসো বসো বসো।
মোহনা মনে মনে : এর নাম কি জল্লাদ? এ যে জবাব দিলো। আজিরা বকবক।।। মাশুর গুলাটি কোথাকার। huh…
গোমেজ : আসো আসো আসো । বসো বসো বসো।
মোহনা মনে মনে : এও দেখি আমার মতো ১কথা ৩ বার করে বলে। বলুক আমার জামাইর কি?
সাগর : যাও মোহো…
মোহনা গিয়ে বসলো। এরপর রুমের সব লাইট নিহে গেলো। কেবল ১টা লাইট জ্বললো। গোমেজ hypnotism কাজে লাগিয়ে মোহনাকে hypnotize করে ফেলল ।
.
গোমেজ : মোহনা… এখন তুমি সেটাই বলবে যেটা আমি তোমাকে জিজ্ঞেস করবো। বুঝেছো?
মোহনা : হামম।
গোমেজ : তোমার নাম?
মোহনা : মোহনা চৌধুরী মিষ্টি।
গোমেজ : তোমার বাসা কোথায়?
মোহনা : ঢাকা…
গোমেজ : বাসায় কে কে আছে?
মোহনা : শশুড়বাবা শাশুড়িআম্মু আর সাগর।
গোমেজ : তোমার শরীর কেমন আছে? কেমন লাগছে?
মোহনা : ভালো…
গোমেজ : মাথা কেমন লাগছে?
মোহনা : জানিনা…
গোমেজ : যন্ত্রণা করছে?
মোহনা : জানিনা…
গোমেজ : মাথায় ব্যাথা হয় কখনো?
মোহনা : হ্যা।
গোমেজ : কেমন feel হয়?
মোহনা : মনে হয় কেউ মাথার ভেতরে কিছু দিয়ে নারাচারা করছে…
গোমেজ : কখন এমনটা হয়…
মোহনা : ….
গোমেজ : কখন এমন হয়?
মোহনা : যখন রররাগ ওঠে…
গোমেজ : যখন অমন হয় তখন কি করতে মনে চায়?
মোহনা : মন চায় সব শেষ করে ফেলি… নিজেকে শেষ করে ফেলি….
গোমেজ : কি দেখে ভয় করে?
মোহনা : আগুন & গরম …
গোমেজ : হামম।
5…4…3…2… & 1 …
গোমেজ তুরি বাজালো। মোহনা বেরিয়ে এলো ।
গোমেজ : বন্ধু হবে আমার?
মোহনা : আপনি আমার বন্ধু হবেন? 😱।
গোমেজ : এতো অবাক হওয়ার কি আছে?
মোহনা : কারন কেউ আমার বন্ধ হতে চায়না।
গোমেজ : আমি তো হবো। তুমি হবে?
মোহমা : …
গোমেজ : যদি তুমি আমার friend হও তবে as medicine আমি তোমাকে কোনো ট্যাবলেট দিবোনা। তোমার favorite injection দিবো দিবো দিবো।
মোহনা : সত্যি? no tablets ? 😃…
গোমেজ : হামম।
মোহনা : awwe ki cute… thank u…
গোমেজ :friends ?
মোহনা : হামম। friend … কিন্তু আমি আপনাকে best friend বানাতে পারবোনা । ওইটা ১জনই।
গোমেজ : ok… তো friend আগে কখনো এই ward এ এসেছো?
মোহনা : না।
গোমেজ : এর পাশে আছে কি আছে জানো? psychology ward… আর আর patient গুলো তো just & just interesting …
মোহনা : আমারও তাই মনে হয়।
গোমেজ : দেখতে চাও?
মোহনা : হামম হামম আবার জিগায়…
গোমেজ : তাহলে যাও ঘুরে ঘুরে দেখো। আর এই নাও আমার কার্ড . কেউ যদি বাধা দেয় তাহলে এটা দেখিয়ে দিবে। ok ok ok…?
মোহনা : ok….ওদের সাথে selfie তুলবো।
মোহনা লাফাতে সাফাতে বেরিয়ে গেলো ।
.
সাগর : স্যার… আমার মোহো ঠিক হবে তো..
গোমেজ : হবে হবে হবে। হয়ে যাবে। chill করো । রিপোর্ট তো ওর সব দেখেছি ।
সাগর : স্যার আপনি বললেন যে no tablets just injection …. serious কিছু?
গোমেজ : আমি ওকে mental pressure দিতে চাইনা দিতে চাইনা দিতে চাইনা। এই treatment এ patient এর happy থাকা জরুরী। আর “তোমার মোহোর” ১টা plus point আছে । ওর brain যথেষ্ট দুর্বল হলেও ওর heart impressively অনেক বেশি strong…
সাগর : জী স্যার।
গোমেজ : next month থেকেই ওর এই treatment শুরু হয়ে যাবে। যে main মেডিসিন সেটা ৩মাস পর পর ওর bone marrow তে push করতে হবে। ১৩টা নিতে হবে । আর যেহেতু কোনো tablets দেয়া হচ্ছেনা তখন তার বদলে injection দিতে হবে । ৫দিন পর পর এটা নিবে।
সাগর : জী স্যার মোহো ঠিক হয়ে তো…
গোমেজ : একেবারে ঠিক হয়ে যাবে যাবে যাবে। but young man… ওর মেন্টাস সমস্যা বেশি ভাবছো কেন? যেখানে ভাবা দরকার ওর pregnancy problem নিয়ে। ওটা ঠিক হওয়ার possibility অনেক কম । ওর মা হওয়ার সম্ভাবনা কিন্তু only 15%…
সাগর : হোক স্যার। বেবি সবাই পছন্দ করে। আমিও করি । কোন পুরুষ বাবা না হতে চায়? কিন্তু স্যার বাবা হওয়ার আনন্দের চেয়েও মোহো ভালোবাসার সুখ বেশি… ওর সুস্থ হওয়ার আনন্দ বেশি…. সেই ছোটবেলা থেকে আমার এই ১টাই দোয়া… বেবি তো এখনও এই পৃথিবীতেই আসেনি… আর মোহো তো আমার চোখের সামনে। বলতে গেলে ১৮ বছরেরই সম্পর্ক । তাহলে যার কোনো অস্তিত্ব নেই তারজন্য আমি আমার অস্তিত্ব কেন হারাবো…
গোমেজ: বউ মানেই প্যারা। এই কারনে জীবনে বিয়েই করলামনা। ১২বছর প্রেম করেও তাকে বউ বানানোক ভয়ে ছেরে দিলাম। আর তুমি? hats off… দিল খুশ কার দেতততা…. যাই হোক মোহোর ওই রিপোর্ট গুলো রেখে দিলাম। কালকে fax করে কানাডা ন্যাশনাল হসপিটালে পাঠাবো। ওখান আমার খুব খুব খুব ভালো বন্ধু আছে। watson … best medicine doctor in that hospital … সে নিশ্চয়ই ১টা solution দিবে ।
সাগর : স্যার আমি আপনাকে …
গোমেজ : ধন্যবাদ দেয়ার দরকার নেই দুলাভাই।
সাগর : দুলাভাই?
গোমেজ : তুমি আমার friend এর জামাই লাগোনা। 😁😁😁।
সাগরও হেসে দিলো।
কিন্তু ২জনের ১জনও জানলোনা যে মোহনা শেষ কথা গুলো শুনে নিয়েছে ।
.
১০মিনিট পর…
সাগর মোহনাকে খুজতে খুজতে পাশের ward এ গেলো। গিয়ে অবাক হলো। কারন দেখলো মোহনা চুপচাপ বসে আছে।
সাগর : কি ব্যাপার মিসেস নাগিন ? চুপচাপ বসে আছো?
মোহনা : বাসায় যাবো…
সাগর : ok.. যাবো । কিন্তু আগে বলো তো মন খারাপ কেন?
মোহনা : মন খারাপনা। মাথা মহাব্যাথা করছে ।
সাগর : সে কি.. আগে বলবেনা? চলো চলো চলো…. মাথা ব্যাথা নিয়ে চুপ চাপ বসে আছে। মারবো ধরে।
.
বাসায়…
সাগর : মোহোপাখি…. এই মোহোপাখি.. এই শীতের রাতেরবেলা মধ্যে shower নিচ্ছো নাকি?
মোহনা : ….
সাগর : এই মোহো। বলো?
মোহনা : হ্যা।
সাগর : তারাতারি বের হও। না হলে ১টা থাপ্পর মারবো।
আসলে মোহনা shower on করে কান্না করছে। সত্যি ১টা মেয়ে যখন জানতে পারে সে মা হয়তে হতে পারবেনা …. তখন তার চেয়ে বড় কষ্টের আর কিছু হয়না। কোনোরকমে নিজেকে control করে মোহনা বের হলো। এরপর চুপচাপ বেডের ১কোনায় শুয়েও পরলো। প্রতিদিনের মতো ঠ্যালাঠেলি করে সাগরকে বেড থেকে ফেলেও দিলোনা ।
সাগর মনে মনে : মনে হয় মাথা বেশি ব্যাথা করছে। ভুলেই তো গিয়েছিলাম যে hypnotize করা হয়েছিলো। মাথাটা টিপে দেই।
সাগর মোহনার মাথা টিপে দিতে লাগলো।
সাগর : অনেক ব্যাথা করছে মোহোপাখি ?
মোহনা : ….
সাগর : মনে ঘুমিয়ে পরেছে… মেয়েটা খেলোও না ।
তখন শিখা রুমে এলো।
শিখা : সে কি মিষ্টি ঘুম কেন ? কি হয়েছে?।
সাগর : ওই একটু মাথা ব্যাথা করছে।
শিখা : একটু না বেশিই করছে। তা না হলে ও শুয়ে থাকার মেয়ে না। কিছু তো খেলোও না।
সাগর : না আসলে hypnotize করেছিলো তো। কিছুক্ষনের জন্য distract করার জন্যেই মনে হয়…
শিখা : হামম হয় তো।আয় খেয়েনে।
সাগর : না মামনি। খাবোনা। ক্ষুধা নেই। তুমি আর বাবা খেয়ে নাও।
শিখা : হামম।
শিখা চলে গেলো। মোহনার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে সাগরও ঘুমিয়ে পরলো ।
.
২দিনপর…
রেদোয়ান : শিখা সাগর কি মামনিকে কিছু বলেছে?
শিখা : জানি না। জিজ্ঞেস করলাম তো। না করলো।
রেদোয়ান : শরীর খারাপ?
শিখা : তাও তো না করছে…
রেদোয়ান : কিছু তো হয়েছে ।তা না হলে মামনি তো এতো চুপচাপ থাকার কথা না….
শিখা: হামমম।
রেদোয়ান : সাগরকে ডাকো তো।
শিখা সাগরকে ডেকে আনলো।
সাগর : বলো বাবা।
রেদোয়ান : তুমি কি কিছু বলেছো মামনিকে?
সাগর : না বাবা। কিছুই বলিনি। আমি নিজেই অবাক যে মোহো এমন কেন করছে? infact ও আমাকে ignoreও করছে।
রেদোয়ান : হঠাৎ এমন? হসপিটালে কি ডক্টর এমন কিছু বলেছে?
সাগর : না ডক্টর তো ভালোই বলেছে। বলেছে যে ও ঠিক হয়ে যাবে।
রেদোয়ান : তাহলে?
সাগর : সেটাই ত… ১মিনিট… ও সেলফি তুলতে চেয়েছিলো … কিন্তু মোবাইল তো আমার কাছে ছিলো। নিতেও আসেনি।
শিখা : কি বলছিস কি?
সাগর : মনে হয় ও ডক্টর গোমেজের শেষ কথাগুলোও শুনে নিয়েছে।
রেদোয়ান : মানে…?
সাগর : মানে এটাই যে মোহো হয়তো মা হতে পারবে না…
শিখা : ….
সাগর : মামনি আসছি…
.
সাগর ১টা গ্লাস অর্ধেক ভরে রুমে গেলো।
সাগরকে আসতে দেখে মোহনা তারাতারি শুয়ে পরলো ।
সাগর : মোহোপাখি… ওঠো দেখি…
মোহনা : …
সাগর : আমি কিন্তু জানি যে তুমি ঘুমাও নি। জেগে আছো… তো ওঠো ওঠো…
মোহনা : ….
সাগর : দেখো আমি ওঠাতে গেলে কিন্তু হাতে ব্যাথা পাবা….
মোহনা :…
সাগর : ওঠো…
মোহনা : …
সাগর : বুঝেছি… আমাকেই ওঠাতে হবে।
সাগর মোহনাকে টেনে ওঠালো ।
সাগর : ড্রামা কুইন… মানতে হবে সাংঘাতিক ড্রামাবাজ তুমি…
মোহনা : ….
সাগর : ok… এখন আমার কথা ভালোভাবে শোনো। ১টা কথা বলো…
মোহনা : আআমি ঠিক আছি…
সাগর : oh hello. নিজেকে এতো importance দিওনা যে বারবার তোমাকে কেমন লাগছে জিজ্ঞেস করবো…
মোহনা : 😒।
সাগর : এখন ১টা কথা জিজ্ঞেস করবো। আর তুমি ঠিক ঠিক উত্তর দিবে। ok?
মোহনা : ….
সাগর : বুঝেছো?
মোহনা : …
সাগর : মুখে কিছু বলো…ans দিবে?
মোহনা : হামমম।
সাগর গ্লাসটা হাতে নিলো।
সাগর : এই গ্লাসটা দেখো তো… এই গ্লাসটাকে দেখো। গ্লাসের পানি দেখো …
মোহনার মাথায় কিছু ঢুকলোনা। এতো কিছু রেখে সাগর গ্লাস দেখতে বলল কেন?
সাগর : এই গ্লাসটা তোমার জন্য কি?
মোহনা : গ্লাস ।
সাগর : আরে গ্লাস তো কেমন গ্লাস?
মোহনা : কাচের গ্লাস ।
সাগর : পানির বেসে বলো ।
মোহনা : ok… এটা পানির গ্লাস ।
সাগর : মোহো… আরো ১টা দিকে আছে। ভরা-খালি….
মোহনা এবার সত্যি মোহনার মেজাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছে । গেছেও আসলে।
সাগর : বলো….
মোহনা : এটা খালি… অর্ধেক খালি গ্লাস। 😒।
সাগর : ok… এটা তোমার জন্য অর্ধেক খালি গ্লাস । কিন্তু আমার কাছে এটা অর্ধেক ভরা গ্লাস।
.
মোহনার ইচ্ছা করছে এই গ্লাসটা দিয়ে সাগরের মাথাটা ফাটিয়ে দিতে…
সাগর : রাগ হচ্ছে…
মোহনা : 😒।
সাগর : এই গ্লাসের মতোই সবাই আমরা। কেউই fullfill না…
মোহনা এতোক্ষনে বুঝলো যে ঘটনাটা কি?
.
চলবে….