না বললেও ভালোকিন্তুবাসি

না বললেও ভালোকিন্তুবাসি !! Part- 03

মোহনা: না… মোটেও না… যারা এমন করে তাদের কে করল্লার পায়েস আর চিরতার সন্দেশ খাওয়ানোর দরকার…
সাগর: আচ্ছা? তাই? তাহলে এটা কি?
বলেই সাগর ওরনাটা দেখালো।
মোহনা: এটা ওরনা। আচ্ছা আপনি কার ওরনা হাতে নিয়ে ঘুরছেন বলুনতো…? 🧐…
সাগর: নিজের দিকে তাকাও….
মোহনা: আগে আমাকে বাচান…. যেকোন সময় হাত ফসকে যাবে।
সাগর: no… আগে নিজের দিকে তাকাও।
মোহনা ১ঝলক তাকিয়ে
বলল: তাকিয়েছি এবার তো দ….
তখন মোহনার তাল এলো যে ওর গায়ে ওরনা নেই।
সাগর: কি?🤬।
মোহনা: আমার চুল দিয়েই তো আমি একদম ঢাকা… এই দেখুন। 😅 এখন তো নামান।।
সাগর নামালো। সাগর এমন ভাবে তাকিয়ে আছেন যেন মোহনাকে আস্ত গিলে খাবে।
.
মোহনা:এভাবে তততাকিয়ে আছেন কককেন বলুন তো? ওরনা না থাকলেও তো আমি আর western দের মতো চলিনি। তততাইনা। আমার লম্বা লম্বা চুল…. ১টা গগগান শশশুনবেন?
🎶🎵🎶
ঝলমল কালো চুল
আমার ঝলমল কালো চুল….
cute cute cute shampoo…
ঝসলমলে কালো চুল…
🎶🎵🎶
কিন্তু আমার চুল তো কালোনা…
সাগর ওরনাটা মোহনাকে পরিয়ে দিলো।
মোহনা: আসলে কি… আমার লম্বা লম্বা চুল তো… তাই কোনটা ওরনা আর কোনটা চুল… বুঝতেই পারিনা… 😅…
সাগর: ok… আজকের পর থেকে না তো এই ওরনা-চুল নিয়ে confusion থাকবে আর থাকবে এই বিশ্রী বাহানা…
বলেই মোহনাকে গাড়িতে বসালো।
মোহনা: আপনি কি কোনো কাজই টানাটানি ছারা করতে পারেন না?
সাগর: …
মোহনা: আচ্ছা আমরা কোথায় যাচ্ছি?
সাগর: …
মোহনা: আচ্ছা আজকে এখন আপনি আমাদের বাসায় এসেছেন কেন?🤔 এখন তো year final শেষ। awwe ki cute ছুটি চলছে। তাহলে আজকে কেন বাসায় এসেছেন? বন্ধের মধ্যে কিন্তু আমি বই touch ও করবোনা বলে দিলাম ।
সাগর: হ্যা এমনিতে তো লাগে বইয়ের ভেতর ঢুকে যাও…
মোহনা: huh… কোথায় যাচ্ছি সেটা বলুন।
সাগর: এখনই দেখতে পাবে।
.
একটুপর…
গাড়ি থামলো। মোহনা তাকিয়ে দেখলো beauty perlour…
মোহনা: এখানে কেন?
সাগর চোখ মারলো।
মোহনা: চুল কাটবেন?
সাগর: no… কাটাবো। না থাকবে চুল আর না থাকবে বাহানা।
মোহনা: সত্যি?😀।
মোহনার এমন reaction এ সাগর খানিকটা অবাক হলো। পরে ভাবলো হয়তো ওকে confused করার জন্য এমনটা করছে। তাই মোহনাকে নিয়ে ভেতরে ঢুকলো। সাগরের instruction অনুযায়ী মোহনার চুল সামনে পিছে লেয়ার কাট দেয়া হলো। তবে মোহনার চুল কাটতে গিয়ে বেচারী বিউটিশিয়ানদের হাল খারাপ। ৫মিনিটের কাজ ১ঘন্টা লেগেছে। কারন মোহনা না তো ১মিনিট চুপ থাকতে পারে আর না ১মিনিট স্থির থাকতে পারে।
.
১ঘন্টাপর…
সাগর : এখনও হচ্ছেনা কেন? বেচারাদের অবস্থা আমি feel করতে পারছি। তবে ওরা কি বেচে আছে না মরে গেছে সেটা জানতে পারলে ভালো হ….
তখনই সাগর মোহনার চিৎকারের শব্দ পেলো। দৌড়ে সাগর ভেতরে ঢুকলো।
সাগর: are you ok মোহো….
মোহনা: দেখুন দেখুন জল্লাদ new hair cutএ আমাকে একদম awwwe ki cute লাগছে। আমার অনেক ইচ্ছা ছিলো এই কাট দেয়ার।
thank you এতততততো গুলা। সাগর খেয়াল করে দেখলো আসলেই মোহনাকে সুন্দর লাগছে।
সাগর: এমন চিল্লানি ছারা কাজ করতে কি তোমার সমস্যা হয়?
মোহনা: আবার জিগায়?
সাগর: নাগিন কোথাকার। চলো।
মনে মনে: আমি একে শাস্তি দিলাম আর তিনি এটাকে awwe ki cute বানিয়ে নিলো। 1st time planটা flop হলো।
২জন বাসায় গেলো।
.
৩দিনপর…
মোহনা মীনা কার্টুন দেখছে। ওদের কীজের লোকের নামও রিতা।
মোহনা: রিতা ও রিতা তুমি আমার মিতা, তুমি গলার ফিতা… 😁…
রিতা: ছোট আপা… তুমি এগুলা কি বলো…😕।
মোহনা: ছড়া… মীনা ছড়া। দীপু বলছে। রিতা ও রিতা… 😜
রিতা: আমি জানি তুমি আমাকে নিয়ে মজা করছো।
মোহনা: এমা… আ…
শিখা: মামনি….
মোহনা: কে ডাকে? ছোটআম্মু…
বলেই গিয়ে মোহনা গিয়ে শিখাকে জরিয়ে ধরলো। পারলে কোলে উঠে যায়। শিখা কেমন আছে আমার ময়না বাচ্চাটা?
মোহনা: এত্তোগুলা ভালো। তুমি?
শিখা: এতোদিন ভালো ছিলাম না। তবে আজকে অনেক ভালো হয়ে গেলাম।
রেদোয়ান: এই তুমি সরবে? আমাকেও একটু সুযোগ দাও…
শিখা: কতোদিন পর আমার বাচ্চাটাকে দেখলাম। তাও তোমার জন্য শান্তি নেই। huh…
রেদোয়ান: কেমন আছে ছোট আম্মী টা।
মোহনা: ভালো। ছোটআব্বু… তুমি তুমি?
রেদোয়ান chocolate & ice cream এর box বের করে
বলল: এটা কার লাগবে?
মোহনা খুশি হয়ে নিয়ে নিলো।
শুভ্র: কারা এলো আমাদের বাসায়?
গরীবের বাড়িতে হাতির পারা ।
রেদোয়ান: কি যে বলো তুমি এগুলো শুভ্র।
দীপ্তি: আর ছোটআব্বু ছোটআম্মু…. কেমন আছো তোমরা?
রেদোয়ান: ভালো মামনি…
দীপ্তি: তোমরা বসো আমি আসছি।
শিখা: এই দারাও। পরে যেও। আগে বসো কথা বলি। পরে যেও।
শুভ্র: তারপর বলো কেমন আছো তোমরা? এই যে শালিকা…
শিখা: ভালো। তুমি ভালো আছো ভাইয়া?
শুভ্র: আর ভালো থাকা… তোমার বান্ধবী চলে যাওয়ার পর…. সে যাই হোক। তোমরা এতোদিন পর?
শিখা: হামম। যখন মা সন্তানদের ভুলে যায় তখন তো সন্তানদেরই মায়ের কাছে আসতে হয়।
মোহনা: মানে?
রেদোয়ান: মানে হলো এই যে মিষ্টি মা …
তুমি তো আমার মা…. কিন্তু কতোদিন ধরে আমাদের বাসায় আসোনা বলো তো….
মোহনা: ওমা সেদিনই না গেলাম।
শিখা: সেদিন? মাস হয়ে গেছে।
মোহনা: তাই?
রেদোয়ান: হামম। তাে শুভ্র।
শুভ্র: বলো।
রেদোয়ান: দেখো… মামনির এখন year final শেষ। ছুটি চলছে। কোথাও তো আর বেরাতে যাওয়া হয়না মেয়েটার। শ্রাবনীও কালকে আসবে। তাই বলছিলাম কি মিষ্টি মা কে নিয়ে যাই আজকে?
শুভ্র: ও তো আর আমার একার মেয়ে না। তোমাদেরও। আর শিখাই তো মায়ের আদর ভালোবাসা দিয়ে ওকে বড় করেছে। আমাদের সকলের থেকে তো মিষ্টির ওপর ওরই অধিকার বেশি।
কিন্তু কথা হচ্ছে এইযে ওকে না দেখলে যে আমার ভালো লাগেনা।
রেদোয়ান: আচ্ছা তাহলে থাক।
শুভ্র: না না। নিয়ে যাও। কিন্তু বেশিদিন রেখোনা।
শিখা: ৪-৫দিন পরই দিয়ে যাবো।
মোহনা ওদের সাথে চলে গেলো।
.
শুভ্র: দীপ্তি মামনি..
দীপ্তি: হ্যা বাবা..
শুভ্র: তুমিও যাও।
কদিন শাখারী পট্টি থেকে ঘুরে আসো। অভ্রও নেই। আমি ড্রাইভার কে বলছি গাড়ি বের করতে। ততোক্ষনে গুছিয়ে নাও।
দীপ্তি: না বাবা । তুমি একা থাকবে যে।
শুভ্র: না মামনি ঘুরে আসো। মিষ্টির জন্য তো তুমি আর বাবার বাড়ি যেতেই পারোনা। ২বছর ধরে এ বাড়িতে এসেছো। এর মধ্যে ওই বাসায় গেছো কয়বার বলো তো? খুব কষ্ট দিয়ে ফেলেছি মামনি? তাইনা?মিষ্টির দেখা-শোনা .. মায়ের মতো ওকে আদর করো, খেয়াল রাখো।
দীপ্তি: বাবা… মোহো কি আমার কিছুই না? ও আমার ননদ হলেও আছে ছোটবোন হলেও আছে। আর তাছারাও… ও বাড়িতে আছে বলেই তো দিন কিভাবে ফুরায় সেটাই বুঝিনা।
শুভ্র: তবুও মা। বুঝি তো। তোমারও তো মন আছে। অহনার বিয়ের আগে তাও তোমার কষ্ট কম হতো।
দীপ্তি: ভালো হয়েছে যে ওর বিয়ে হয়ে গেছে।
তা না হলে তো অহনাই মোহনার সব দেখভাল করতো। আমি ভাগেই পেতাম না।
শুভ্র: হয়েছে। জানি জানি তুমি তোমার ননদিনী কে ভালোবাসো। এখন যাও রেডি হয়ে নাও।
.
ওদিকে…
মোহনা: ছোটআম্মু… আপু কবে আসবে?
শিখা: কালকে রে পাগলি।
মোহনা: কি মজা কি মজা… অর্থিও আসবে?
শিখা:হ্যা অর্থিকে কোথায় রেখে আসবে? বোকা…
মোহনা: তাহলে অর্থিকে কোলে নিতে দিবে? খেলতে দিবে? জল্লাদ তো কোলেই নিতে দেয়না….
শিখা: আচ্ছা নিস।
মোহনা:😁।
শিখা: এখন বলতো রাতে কি খাবি?
মোহনা: vegetable , খাসির মাংস, গরুর মাংস , হাসের মাংস, রুই-কাতল ফকিন্নি ছারা যা রান্না করবে তাই খাবো। 😊।
শিখা হালকা করে মোহনার কান মলে
বলল: তবেরে পাজি… এগুলো বাদে থাকে তো কেবল চিকেন, চিংড়ি মাছ আর ইলিশ মাছ।
মোহনা: তাই বুঝি? ok তাহলে এগুলোই খাবো। 😜।
শিখা: পাজিটা….
মোহনা: জল্লাদটা এই বাসায় না থাকলে এটা ১টা স্বর্গ রাজ্য মনে হয়। ক্যাম্পিং করে ১০০বছর পর আসতো… আহা কি আনন্দ।
শিখা: আজকে রাতে না কালকে সকালেই ফিরবে।
মোহনা: এ্যা….
.
রাতে…
সাগর বাসায় ফিরলো। দেখলো দরজা খোলাই আছে। আর ভেতরে হৈ হৈ আওয়াজ।
সাগর: আপুর তো কালকে আসার কথা। তার মানে মোহো…
সাগর জলদি ভেতরে ঢুকলো। দেখলো মোহনা আর রেদোয়ান video game খেলছে। আর শিখা মোহনাকে খাইয়ে দিচ্ছে। সাগর মুচকি হাসলো। এরপর রাগী রাগী মুখ করে
বলল : কি হচ্ছে এখানে?
মোহনা চমকে উঠলো।
মোহনা: বাবাগো…
সাগর: বাবা ওটাতো পিচ্চি । তুমিও কি বাচ্চা?
রেদোয়ান: ববাচ্চার কি আছে? মমামনি এসেছে ততাই একটু।
সাগর : তাই একটু না? রাতে মেডিসিন নিয়েছো?
রেদোয়ান: ন…
মোহনা: রাতে তো ছোটআব্বু এখনো খায়ই নি… মেডিসিন নিবে কিভাবে?
সাগর: what? আমি fresh হয়ে আসছি। তারাতারি খেলা শেষ করো।
বলেই সাগর ওর রুমে গেলো।
রেদোয়ান: মাগো। বাচলাম। মাঝে মাঝে ভুলে যাই আমি ওর বাবা না ও আমার বাবা…
মোহনা: উনি তোমার বাবা…😁. চলো খেলা করি।
সাগর fresh হয়ে লুকিয়ে ওদের খেলা দেখতে লাগলো। খেলাটা উদ্দেশ্য না। উদ্দেশ্য হলো মোহনার হাসি দেখা ওদের খেলা শেষ হলে সাগর বের হলো।
খাওয়া-দাওয়ার পর সবাই ঘুমাতে গেলো। বরাবরের মতো শিখা মোহনার সাথে ঘুমালো। মোহনা শিখার ওপর ৪হাত-পা দিয়ে শিখার মুখে গল্প শুনতে শুনতে ঘুমালো।
.
পরদিন…
শ্রাবনী-নিশান আর ছোট্ট ৪মাসের অর্থি এলো। নিশান ওদের পৌছে হালকা পাতলা নাস্তা করে airport চলে গেলো। নিশান ১৫দিনের জন্য মালেশিয়া চলে গেলো।
অর্থিকে নিয়ে মোহনার excitement এর শেষ নেই।
শ্রাবনী: কেমন আছে আমার মিষ্টি মোহোমনি?
মোহনা: অনেকগুলা ভালো। তুমি তুমি?
শ্রাবনী: আমি আমিও ভালো আছি।
শিখা: কালকে থেকে আশায় বসে আছে। অর্থির সাথে খেলবে। অর্থিকে কোলে নিবে…
সাগর: মোটেও না…
শ্রাবনী: কি মোটেও না?
সাগর: অর্থিকে মোহোর কোলে দেয়া যাবেনা।
মোহনা: কেন দেয়া যাবেনা কেন? আপনি সবসময় এমন করেন কেন? আমি ওরে কোলে নেবোই।
সাগর: যে নিজেকেই সামলাতে পারেনা সে আবার বাবু কোলে নিবে? মনে নেই এর আগে কোলে নিতে গিয়ে নিজেই পরে যাচ্ছিলো। নিজেতো পরবে পরবেই অর্থিকে নিয়েই পরবে। ২জনের জন্যেই বিপদ।
মোহনা: এমন করেন কেন জল্লাদ? ইকটুস খানি কোলে নিতে দিন না। please … please …
সাগর: no…
রেদােয়ান: নিতে দাওনা। আমরা তো আছি।
সাগর: না বাবা…
মোহনা: না দিলেন।
বলেই মোহনা রুমে গিয়ে দুম করে দরজা লাগিয়ে দিলো।
.
একটুপর…
মোহনা: ১টা মানুষ এতোটা খারাপ কি করে হতে পারে?
সাগর: যেভাবে আমি।
মোহনা: একি আপনি ভেতরে ঢুকলেন কি করে?
সাগর: সেটা তুমি কখনোই বুঝবেনা। দেখি একটু ভেতরের দিকে গিয়ে বসো।
মোহনা: কেন? 📢।
সাগর: আস্তে অর্থি ভয় পাবে তো।
মোহনা ফিসফিস করে
বলল: ওহ। sorry . ভেতরে গিয়ে বসবো কেন?
সাগর: আমি বলেছি তাই।
মোহনা: পারবোনা।
সাগর বেডে বসে ১টানে মোহনাকে ভেতরের দিকে টেনে বসিয়ে ওর কোলে অর্থিকে দিলো।
মোহনা তো খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেলো। আর কথা বলতে লাগলো।
সাগর: যখন তুমি বেডের মাঝে বসে থাকবে তখন আমাদের মধ্যে কেউ অর্থিকে তোমার কোলে দিবে। একা একা ওকে কোলে নেয়ার চেষ্টা ভুলেও করবেনা। বুঝেছো?
মোহনা: হামম হামম।
সাগর: ও যখন অন্যকারো কোলে থাকবে বা শুয়ে থাকবে তখন মন ভরে খেলবে। ok?
মোহনা: হামম হামম।
.
রাতে…
মোহনা অর্থির সাথে কথা বলছে: কিলাগো তুমি? তুমি গো কিলা? তুমি কি জানো তুমি একদম awwe ki cute… শোনো আমি না আমার চকোলেট কারো সাথে share করিনা। কিন্তু তোমার সাথে করনো। এই দেখো চকোলেট। আমি একদম ছোট ছোট করে দেই । তাহলে তুমি খেতে পারবে।
মোহনা কেবলই ওর মুখে দিতে নিলো তখন শ্রাবনী চলে এলো।
শ্রাবনী: কি করছো কি মোহো?
মোহনা: আপু ওকে আমি চকোলেট দিচ্ছি। 😊।
শ্রাবনী হাহা করে হেসে উঠলো।
শ্রাবনী: পাগলি। ও এখনো অনেক ছোট। তাই এগুলো খেতে পারবেনা। বুঝেছো মোহো পাগলি?
মোহনা: ওহ। হামম। বুঝেছি।
.
২দিনপর…
বিকালে…
মোহনা-অর্থি ঘুমিয়ে আছে। শিখা-শ্রাবনী ২তলায় গেছে। ১জনকে অসুস্থকে দেখতে। সাগর কানে headphones লাগিয়ে ১টা surgery এর ভিডিও দেখছে। হঠাৎ অর্থি কান্না করে ওঠলো। ওর কান্নায় মোহনার ঘুম ভেঙে গেলো। মোহনা ওকে থামানোর চেষ্টা করছে । কিন্তু পারছেনা। মোহনা ওকে একা ফেলে যেতেও পারছেনা। তাই ওখান থেকেই সবাইকে ডাকছে। কিন্তু কেউ এলোনা। এদিকে অর্থির কান্না বেরেই চলেছে।
মোহনা: কি করি? আচ্ছা ও যখন কান্না শুরু করে তখন তো দেখি সবাই ওকে কোলে নিয়ে হাটে। কিন্তু আমি তো কোলেই নিতে পারিনা । দেখি চেষ্টা করে। বিসমিল্লাহ…
মোহনা অর্থিকে কোলে নিলো । ভালোভাবেই নিলো। এরপর হাটতে লাগলো। অর্থির কান্না কমলো। তখন অর্থি কাপড় ভিজিয়ে দিলো।
মোহনা: awwe… let me change you মামপাখি…
মোহনা খুব সাবধানে নিয়ে যেতে লাগলো। কিন্তু ভেজার মধ্যে পিছলে মোহনা ধপাস করে পরে গেলো….
.
চলবে….