না চাইলেও তুই আমার !! Part- 35 (Last-Part)
#Part: Last part
সময় নিজ গতিতে চলতে থাকে। দেখতে দেখতে অনেকগুলো দিন পর হয়ে যায়। মিরা আর মিহানের বিয়ের আর দুই দিন বাকি। ব্যস্ত সময় পার করছে সবাই। প্রিয়া আর প্রেমের মা বাবারা এসে পড়েছে অনেক দিন। প্রিয়ার মা নিশুকে দেখে পছন্দ করে ফেলে তার ছেলে আয়ানের জন্য। প্রিয়ার পাপা বিয়ের প্রস্তাব দিলে নিশুর বাবা মা রাজি হয়ে যায়। মিরার বিয়ের পর আয়ান আর নিশুর Engagement হবে, নিশুর অর্নাসের 4th Year এর এক্সাম শেষ হলে বিয়ে হবে। মিহানের মম নিজে সবকিছু পছন্দ করে কিনে মিরা আর মিহানের জন্য। মিরার মামু কোনো কিছু কমতি রাখিনি মিরার বিয়েতে। মিরা ঐ কথার পর মিরার বাবা সাহস পায়নি মিরার সাথে কথা বলার। মিরার এ কয়দিনে ঢাকার সব রাস্তা ঘাট চেনা হয়ে গেছে অবশ্য এজন্য দায়ী মিহান। বিকেলে মিহান এসে মিরাকে নিয়ে ঘুরতে গেলে, সারারাত মিরাকে নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়। মিরা অবশ্য সবকিছু খুব ইনজয় করেছে। কালও অনেক রাত পর্যন্ত মিহানের সাথে ঘুরা ঘুরি করে ভোর রাতে বাড়ি ফিরেছে মিরা। বেলা দশটার দিকে সব মেয়েরা এসে মিরারকে ঘুম থেকে উঠায়। সারাদিন ব্যস্ততার মাঝে কেটে যায় মিরার মিহানের সাথে কথা বলার সময় টুকু পায়নি। ফোন কোথায় আছে তাও জানে না। সন্ধ্যার পর মিরাকে পার্লারের লোক এসে মিরাকে সাজিয়ে যায়। মিরাকে স্টেজে নিয়ে গেলে নিঝুম এসে মিরাকে ওর ফোন দিয়ে বলে।
নিঝুম : তুমি তোমার ফোন বালিশের নিচে রেখে আসেছো আর জিজু আমাকে ফোন দিয়ে যাচ্ছে।
মিরা : ইশ! এই ঝামেলার জন্য ফোনের কথা একদম ভুলে গেছি।
নিঝুম : বুঝেছি, এবার তুমি জিজুকে ফোন দিয়ে ঠান্ডা করো।
মিরা মিহানকে ফোন দিলে মিহান ফোন কেটে দেয়, এরকম অনেকবার করলে মিরাও রেগে ফোন করা বন্ধ করে দেয়। কিছুক্ষন পর মিরার ফোনে ভিডিও কল করে মিহান, মিরা এবার রাগ না করে ফোন রিসিভ করে। মিরা মিহানের দিকে হা করে তাকিয়ে থাকে মুখ ভরতি হলুদ।
মিরা : কি হলো ফোন বারবার কেটে দিচ্ছিলে কেনো?
মিহান : ফোন আমার কাছে ছিলো না, আর এতক্ষণে তোমার আমার কথা মনে পড়লো?
মিরা : আমি কি করবো কখনো এই রিচুয়াল আবার কখনো সেই রিচুয়াল। আমাকে এক মিনিটের জন্যও কেউ একা ছাড়েনি।
মিহান : ছাড়ো সেসব কথা, তোমাকে তো হলুদ পাখি লাগছে জান।
মিরা মুচকি হেসে বলে।
মিরা : তোমার চোখে আমাকে সব সময় সুন্দর লাগে সেটা আমি জানি।
মিরা আর মিহান কিছুক্ষণ কথা বলে ফোন রেখে দেয়। দেখতে দেখতে মিরার হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হয়। মিরা মামনি খাবার রেখে যেতে বলে।
মামনি : মিরা ফ্রেশ হয়ে খেয়ে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ো, কাল অনেক কাজ আছে।
মিরা মাথা নেড়ে হা সম্মতি জানায়। মিরা ফ্রেশ হয়ে না খেয়ে বাড়ির পিছনের বাগানের চলে যায়। বাড়ির পিছনের দিকে টা অন্ধকার থাকলেও লাইটংয়ের হালকা আলো এসে পড়েছে। ছাদে মিথিদের গান বাজনা আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে, বিয়ে বাড়ি বলে কথা।
মামু : মিরা তুই এখন এখানে?
মিরা মামুকে দেখে অবাক হয়ে বলে।
মিরা : মামু তুমি এখানে?
মামু : একেই প্রশ্ন আমি তোকে আগে করেছি!
মিরা : তেমন কিছু না ভালো লাগছিল না, তাই হাটতে বের হয়েছি। কিন্তু তুমি এখানে?
মামু : বাড়ি ভিতরের ঢুকেছিল তখন মনে হলো কেউ একদিকে আসছে তাই।
মিরা : অহহহ।
মামু : তুই মিহানের সাথে খুশি তো?
মিরা ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটিয়ে তুলে বলে।
মিরা : মামু এক কথা জানো? তুমি সব সময় আমার জন্য বেস্ট জিনিসটা পছন্দের করো, এবারো তাই করছো।
মামু মিরার মাথায় হাত দিয়ে বলে।
মামু : তুই খুশি থাকলেই আমি খুশি। যা এবার গিয়ে ঘুমিয়ে পর, কাল আবার সকাল সকাল উঠতে হবে।
মিরা : ঠিক আছে।
মিরা মামুর সাথে কথা বলে ঘুমতে চলে যায়। পরেরদিন সকাল সকাল মেয়েরা মিরার রুমে হাজির হয়।
নীলা : আপু ওঠো আর কত ঘুমাবে?
নিধি : এখনো অনেক রিচুয়াল বাকি তাড়াতাড়ি উঠো আপু।
প্রিয়া : তুই উঠবি না গায়ে পানি ঢেলে দেবো?
মিরা ঘুম ঘুম কন্ঠে বলে।
মিরা : তোমরা ওতো রাত পর্যন্ত আড্ডা দিয়ে সকাল সকাল উঠে পড়েছে।
মিশু : আমরা কেউ উঠিনি, আমাদেরকে জোর করে উঠিয়ে দিয়েছে বাড়ির বড়রা।
নীলা : আপু তুমি একবারে শাওয়ার নিয়ে এসে না হয়ে আর সময় পাবে না, বারোটার দিকে পার্লার থেকে লোক আসবে।
মিরা : তা নিশু কাল রাতে কেমন ঘোরাঘুরি করেছো তুমি আর আয়ান?
মিরার কথায় সবাই অবাক হয়, নিশু চমকে উঠে বলে।
নিশু : মানে?
মিরা : সেটা তুমি ভালো জানো?
মিশু : আমি কেমন যেন রহস্যের গন্ধ পাচ্ছি!
নিশু : তুই তো সব সময় পাস।
মিরা ওদের কথা শুনে হেসে দেয়।
মিথি : কি হয়েছে ভাবী?
মিরা : তেমন কিছু না, কাল রাতে নিশু ওর হবু বরের সাথে ঘুরতে গেছিলো। সেটা নিয়ে কথা হচ্ছে।
মিশু : কখন গেলো আপু আমরা তো কিছু টেরই পায়নি।
নিশু : আয়ানই তো আমাকে জোর করে নিয়ে গেছে, আমি আগে থেকে কিছু জানতাম না, তাই তো আগে থেকে কিছু বলতে পারিনি।
মিথি : নিশুকে নিয়ে পড়ে মজা করা যাবে ওদিকে মিহান ভাইয়া কি করেছে জানো ভাবী?
মিরা : ও আবার কি করলো?
মিথি : ভাইয়া কাল রাতে তোমার কাছে আসতে চেয়েছিল কিন্তু তুমি তো কাজিনদের চিনো সব কয়টা ফাজিলের একশেষ, ওদের জন্য ভাইয়া আসতে পারিনি। তানভীর ভাইয়া, রাফি ভাইয়া, রিয়া ভাবী, আশিক, ইরা, নিশাত সবাই মিলে প্লান করছে বিয়ে আগে পর্যন্ত তোমার না দেখা করতে দেবে না ফোনে কথা বলতে দেবে। মিহান ভাইয়ার ফোন লুকিয়ে ফেলছে ওরা আর ভাইয়াকে সব সময় চোখে চোখে রাখে। ভাইয়া না কি খুব রেগে আছে ওদের উপর।
মিরা : এজন্য তো বলি আমার পাগল ডাক্তার এত ভদ্র হয়ে গেলো কবে থেকে।
নীলা : জিজু তো পাগল হয়ে যাবে আপু সাথে কথা না বলে।
হঠাৎ করে মিরার ফোন বেজে উঠে, মিরা তাকিয়ে দেখে অনু ফোন করেছে।
মিরা : হ্যা অনু বলো।
অনু : আমি কিছু বলবো না তোমার রোমিও কথা বলবে নেও কথা বলো।
মিরা : মানে?
অনু : কিছু না কথা বলো।
মিহান : বউ!
মিরা নীলাদের দিকে তাকিয়ে বলে।
মিরা : আচ্ছা তোমরা নিচে যাও আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।
মিথি : তাড়াতাড়ি চলে এসো কিন্তু!
ওরা সবাই চলে গেলে মিরা উঠে দরজা বন্ধ করে বলে।
মিরা : জ্বী বলুন মশাই?
মিহান : কি আর বলবো, কাল রাতে তোমার কাছে আসতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমার হারামি কাজিনদের জন্য পারিনি, কাল তোমার সাথে ফোনে কথা বলার ঘন্টা দুয়েক পর থেকে ফোনটা খুঁজে পাচ্ছি না। আমি জানি এই সব ঐ হারামিদের কাজ। কিছু বলতেও পারছি না। সবার কাছ থেকে লুকিয়ে অনুর ফোন দিয়ে তোমার সাথে কথা বলছি।
মিহানের কথা শুনে মিরা হালকা হেসে বলে।
মিরা : আর তো কিছুক্ষণ এত অস্থির হচ্ছো কেনো?
মিহান : হুম।
মিরা : আচ্ছা এখন রাখি পরে কথা হবে। ওদিকে কিছু রিচুয়াল বাকি আছে।
মিহান : ঠিক আছে।
মিরা ফোন রেখে ফ্রেশ হয়ে নিচে গিয়ে একে একে সব রিচুয়াল কমপ্লিট করে। কিছুক্ষন পর পার্লারে লোক এসে মিরাকে সাজাতে শুধু করে। মিরার সাজানোর মাঝে শুভ এসে দরজা নক করে, মিথি দরজা খুলে দিয়ে বলে।
মিথি : তুমি এই সময়?
শুভ : বিয়ে যেখানে হবে বাড়ির সবাই চলে গেছে সেখানে, আপুর সাজ কমপ্লিট হলে তুমি আর প্রিয়া আপু মিলে নিয়ে এসো, নিচে গাড়ি রেডি করা আছে। আমাকে এখনি যেতে হবে বরযাত্রী না কি এসে গেছে।
প্রিয়া : শুভ তুমি চিন্তা করো না আমরা এদিকটা সামলে নিতে পারবো।
শুভ : ঠিক আছে। আমি এখন যাই দেরি হয়ে যাচ্ছে আমার।
মিথি : হুম।
শুভ চলে গেলে মিরার বাকি সাজ কমপ্লিট করে প্রিয়া আর মিথি মিরাকে নিয়ে বেরিয়ে যায়। গাড়ি গিয়ে থামে গেটের সামনে। প্রিয়া, মিথি গাড়ি থেকে নেমে মিরাকে ধরে গাড়ি থেকে নামায়। ক্যামেরাম্যানরা বিভিন্ন স্টাইলে ছবি তুলতে থাকে আর কেউ কেউ ফুলের পাপড়ি কনের গায়ে ছিটিয়ে দিচ্ছে। আর একটু সামনে গেলে মিরা মিহানকে দেখতে পায়, এক নজর তাকিয়ে আবার চোখ সরিয়ে নেয় মিরা। মিহান মিরাকে দেখে মিষ্টি হেসে নিজের আসন থেকে উঠে এসে মিরার হাত ধরে নিয়ে যায়। মুহুর্তেই সবার হাতের তালি, সিটিতে পরিবেশ মাতিয়ে তুলে। মিরাকে নিজের পাশে বসিয়ে মিহান মিরার কানে কানে বলে।
মিহান : মমের Choice আছে বলতে হবে, আমার কেনা শাড়িতে বোধহয় এত ভালো হতো না। তোমাকে অসম্ভব সুন্দর লাগছে। তুমি তো আগে থেকেই আমার হয়ে আছো আজ না হয় আবার আমার হবে। কখন যে তোমায় একা পাবো আমি?
মিহানের কথা শুনে মিরা চোখ বড় বড় করে মনে মিহানের দিকে তাকায়। মিহান সেদিকে না তাকিয়ে সবার চোখের আড়ালে মিরার কোমর জড়িয়ে ধরে। মিহানের স্পর্শে মিরা কেঁপে উঠে করুন দৃষ্টিতে মিহানের দিকে তাকায়, মিহান মিরার অবস্থা বুঝতে পেরে ঠোঁটের কোণে বাঁকা হাসি ফুটিয়ে তুলে। কিছুক্ষন মধ্যে আবারো বিয়ের বন্ধনের আবদ্ধ হয় মিরা, মিহান। খাওয়া দাওয়ার পর প্রিয়া মিহানকে বলে।
প্রিয়া : জিজু একটু পর তো বিদায়। কিন্তু বিদায়ের আগে তুমি মিরাকে সবার সামনে আবার প্রপোজ করাবা। তারপর মিরাকে কোলে তুলে নিয়ে যাবে।
মিহান : কেনো?
প্রিয়া : মিরা আমাদের বিয়েতে প্রেমকে দিয়ে এসব করিয়েছে। আজ তুমিও করবে।
মিহান হেসে বলে।
মিহান : ঠিক আছে। কিন্তু আমার একগুচ্ছ গোলাপ ফুল লাগবে।
প্রিয়া : ওসব নিয়ে তুমি ভেবো না সব ব্যবস্থা করা আছে।
সব রিচুয়াল শেষ করে এবার যাবার পালা, হঠাৎ করে প্রিয়া মাইক্রোফোন নিয়ে বলতে শুরু করে।
প্রিয়া : এখানে উপস্থিত সবাইকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। আজ আমার আর প্রেমের খুব কাছের মানুষ মিরার জীবনের একটা বিশেষ দিন। আমরা তিন জন একসাথে বেড়ে উঠে। আমাদের ভার্সিটির টিচাররা বলতো তিন শরীরের এক আত্মা। মিরা কখনো ভালোবাসায় বিশ্বাস করতো না। আমি কখনো ভাবিনি মিরার জীবনে এমন কেউ আসবে যাকে ও ভালোবেসে ফেলবে। যাইহোক আমাদের জিজু পেরেছে রাগী মেয়েটাকে ভালোবাসার বেড়া জালে আটকাতে। তোদের বিবাহিত জীবনের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল। এখন জিজু কিছু বলবে মিরাকে।
মিহান এসে প্রিয়ার হাত থেকে মাইক্রোফোন নিয়ে বলতে শুরু করে।
মিহান : আমার চাচাতো ভাই তানভীর, আমার ছোট হয়ে বিয়ে করে নিয়েছে প্রায় দুই বছর হতে চললো, সেখানে আমি চৌধুরী বাড়ির বড় সন্তান হয়েও আমি এখনো বিয়ে করিনি, মম সব সময় বিয়ের জন্য চাপ দিতো। আমি কখনো সেসব সিরিয়াসলি নেয়নি। এইভাবেই রুটিন মাফিক আমার জীবন চলতে থাকে। কিন্তু জীবন সব সময় এক নিয়মে চলে না। তেমনি আমিও একটি মেয়ের প্রেমে পড়ি। আমাদের দেখে হওয়াটা আর পাঁচটা প্রেমিক প্রেমিকার মত ছিলো না, আমাদের প্রথম দেখা হয় হসপিটালে। হঠাৎ করে একদিন সন্ধ্যায় মাথা ফাটিয়ে একটা মেয়ে হসপিটালে এডমিট হয়। মেয়েটির দেখে আমার হার্ট দ্রূত বিট করা শুরু করেছিল। ওকে দেখে আমার সারাদিনের ক্লান্তি নিমিষে চলে গেছিল। সেখান থেকে শুরু হয় আমার প্রেম। তারপর অনেক কষ্টে আমি আর মেয়েটির মামু মিলে মেয়েটিকে বিয়ের জন্য রাজি করায়। সে মেয়েটি আর কেউ নয় আমার জান, আমার বিবাহিত স্ত্রী মিরা চৌধুরী।
মিহান একটু বলে থামে উপস্থিত সবাই ওদের দিকে তাকিয়ে আছে। মাইক্রোফোন রেখে হাত একগুচ্ছ গোলাপ নিয়ে হাটু গেড়ে বসে আবার বলতে শুরু করে।
মিহান : ভালোবাসতে চাই! ভালোবাসতে তোমাকে নিজের থেকেও বেশি। তোমার হাত ধরে জীবনে পথে হাটতে চাই। তোমার হাত ধরে কোনো এক বৃষ্টি ভেজা রাতে ভিজতে চাই। তোমার গানের লাইন
ভালোবেসে, সখী, নিভৃতে যতনে,
আমার নামটি লিখো তোমার
মনের মন্দিরে।
হতে চাই। কোনো এক চাঁদনি রাতে এক সাথে হাটতে চাই। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তোমার হাতটা ধরে রাখতে চাই। দিবে আমায় সেই অধিকার?
আশেপাশের ছেলে মেয়েরা মিরা, মিহানের কাজিনরা সবাই Say Yes! Say Yes! করছে। মিহান মিরার দিকে তাকিয়ে দেখে মিরা এক দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে আছে, চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়ছে। মিরা মিহানের হাত থেকে ফুল নিলে মিহান দাঁড়ায়। মিহান দাঁড়ানোর সাথে সাথে মিরা মিহানকে জড়িয়ে ধরে। মুহুর্তেই সবার হাতের তালি, সিটিতে পরিবেশ মাতিয়ে তুলে। মিরা মিহানকে জড়িয়ে ধরা অবস্থায় বলতে থাকে।
মিরা : সেই অধিকার তোমায় অনেক আগেই দিয়ে দিয়েছি। আমার উপর শুধু তোমার ই অধিকার আছে।
মিহান মিরা চোখ মুছে দিয়ে কোলে তুলে নেয়, মিরা ভয় পেয়ে মিহানের গলা জড়িয়ে ধরে। মিহান হাটতে হাটতে মিরার কানের কাছে মুখ নিয়ে বলে।
মিহান : যতই কান্না করো না কেনো জান, আজ রাতে তোমাকে আর ছাড়ছি না।
মিরা হেসে দেয় মিহানের কথায়। মিরা মিহানের বুকে চিমটি কেটে বলে।
মিরা : নিলজ্জ্য!
মিহান হেসে মিরাকে কোলে নিয়ে পা বাড়ায় গাড়ির দিকে। মিহান মিরাকে নিয়ে পা বাড়ায় নতুন সংসারের দিকে।মিরার সব দুঃখ কষ্ট দূরে সরিয়ে রেখে নিজের ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখে মিহান। চলতে থাকে মিরা মিহানের অবিরাম ভালোবাসা।
🍁 সমাপ্ত 🍁
বিঃ দ্রঃ ” লেখাঃ সারজীন ইসলাম ” লেখকের লেখা অন্য গল্প গুলো পড়তে এখানে ক্লিক করুন
এক পলকে দেখে নিন সহজে গল্প খুঁজে পাওয়ার সুবিধার্থে দেওয়া হল