না চাইলেও তুই আমার !! Part- 15ৃ + 16
সবে ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছে।মিহান মিরার মাথায় জল পট্টি দিলে কোনো লাভ না হলে রুমাকে এক বালতি পানি দিয়ে আসতে বলে। মিহান মিরাকে বুকের সাথে আগলে আস্তে আস্তে ওর মাথায় পানি ঢালতে শুরু করে।এরমধ্যে ডোর বেল বাজালে রুমা মিহান কে বলে দরজা খুলতে চলে যায়।মিহান কিছু না বলে তোয়ালে ভিজিয়ে মিরার হাত মুখ মুছে দিতে শুরু করে।
– মিহান।
কারো কন্ঠো শুনে মিহান পিছনে তাকিয়ে দেখে ওর মম এসেছে।
মিহান : মম তুমি একা এসেছো পাপা আসেনি?
মম : তোর পাপা নামাজ পড়তে মসজিদে গেছিল তাকে জানানো সুযোগ পাইনি।রিমি কে বলে এসেছি। ড্রাইভার সাথে নিয়ে এসেছি।
মিহান : মম মিরার মাথায় পানি ঢালতে গিয়ে ওর গায়ের জামা ভিজে গেছে তুমি আর রুমা মিলে জামা পাল্টে যাও। ততক্ষণে আমি ফার্মেসি থেকে ওর জন্য মেডিসিন নিয়ে আসি।
মম : ঠিক আছে। তুই চিন্তা করিস না আমি এখনি পাল্টে দিচ্ছি।
মিহান মিরার রুম থেকে বেরিয়ে মিরার মামুকে ফোন দেয়।
মিহান : হ্যালো মামু।
মামু : হ্যা মিহান তুমি পৌঁছিয়েছো?
মিহান : হ্যা মামু কিছুক্ষন আগে এসেছি।এসে রুমার থেকে সব কথা শুনে মিরা কে ডাকি কিন্তু মিরা দরজা খুলে না।আমি আর না পেরে দরজা ভাঙ্গে ঢুকে যাই গিয়ে দেখি মিরা জ্বরে সেন্সলেস হয়ে আছে।
মামু : কি বলছো ও এই জ্বর গায়ে রাজশাহী থেকে ঢাকা এত দূর একা গেছে!ওকে কি হসপিটালে এডমিট করতে হবে?
মিহান : মামু আমি তো ডাক্তার আজ সারাদিন মিরা কে বাড়িতে রাখি যদি ইমপ্রুব না হয় রাতে হসপিটালে এডমিট করবো।
মামু : তোমার যা ভালো মনে হয় করো।মিরা এখন থেকে তোমার দ্বায়িত্ব।যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা আসার চেষ্টা করছি।
মিহান : আচ্ছা মামু এখন রাখি পরে কথা হবে।
মিহান মামুর সাথে কথা বলে মেডিসিনের জন্য বেরিয়ে যায়।
মিরার মামু ফোন রেখে মিরার বাবার কাছে গিয়ে বলে।
মামু : নিলয় তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে ৩০ মিনিটের মধ্যে আমরা রওনা দেবো।
মিরার বাবা : মিহান পৌঁছিয়েছে?মিরা কেনো এমন করলো কিছু বলেছে?
মামু : সে সব পরে জানা যাবে।মিহান আমাদের তাড়াতাড়ি যেতে বলেছে।
মিরার বাবা : ও ঠিক আছে তো?
মামু রাগ দেখিয়ে বলে।
মামু : দেখ আমাকে আর কিছু জিজ্ঞাসা করিস না।তাড়াতাড়ি যেতে হবে।
মামু বেরিয়ে গেলে মিরার বাবা সবাইকে রেডি হয়ে নিতে বলে।বড় রাস্তায় গাছ পড়ে থাকায় তা সরিয়ে ওদের রওনা দিতে সকাল সাতটা বেজে যায়।মিরার মামু মিরার বেপারে কাউকে কিছু বলেনি।না বলেও সবাই টেনশনে আছে।
চৌধুরী বাড়িতে মিহানের পাপা মসজিদ থেকে ফিরে আর মিহানের মমের সাথে দেখা হয়নি।অনু আর মিহানের পাপা ব্রেকফাস্ট টেবিলে এলে মিহানের পাপা অনুকে জিজ্ঞাসা করে।
পাপা : অনু তোমার মম কোথায়?
অনু : জানি না পাপা!
রিমি : কাকা কাকিমা খুব সকালে বেরিয়ে গেছে।
পাপা : কোথায় বেরিয়ে গেছে?
রিমি : মিহান ভাইয়া ফোন করেছিলো ভাবীর না কি ভিশন জ্বর তাই ফোন করে যেতে বলছে।আপনি মসজিদে ছিলেন আর অনু ঘুমিয়ে ছিলো তাই আপনাদের জানিয়ে যেতে পারেনি।
অনু উত্তেজিত হয়ে বলে।
অনু : ভাবী মানে মিরা ভাবী?
রিমি : হ্যা।
পাপা : সে কি কথা!আচ্ছা আমি অফিসে যাওয়ার আগে একবার খান বাড়ি হয়ে যাবো।
অনু : পাপা আজ আমার ক্লাস টেস্ট আছে।তারপর কোচিং করে আসতে আসতে বিকেল হয়ে যাবে।আমি না হয় সন্ধ্যার পর গিয়ে ভাবীকে দেখে আসবো।
পাপা : আচ্ছা মামনি তুমি খেয়ে ড্রাইভারের সাথে স্কুলে চলে যাও।
অনু : ঠিক আছে পাপা।
মিহান মেডিসিন নিয়ে এসে দেখে ওর মম মিরার জন্য সুপ বানিয়ে ওকে খাওয়ানোর চেষ্টা করছে।
মিহান : মম ওর কি জ্বর কমছে?
মম : না জ্বর কমেনি কিন্তু সেন্স ফিরছে।জ্বরের ঘোরে কথা বলছে এই ফাঁকে দেখি কিছু খাওয়াতে পারি কি না।
মিহান ওর মম কে কিছু মেডিসিন দেখিয়ে দিয়ে বলে।
মিহান : সুপ খাইয়ে এই মেডিসিনগুলো খাইয়ে দিও মম।
মম : আচ্ছা।এখন বল তো তুই জানলি কি করে মিরার এরকম অবস্থায় আর ও বাড়িতে একা আছে?
মিহান ওর মম কে সব ঘটনা খুলে বলে কাল রাত থেকে কি কি হয়েছিল।মিহানের মম মিরাকে মেডিসিন খাইয়ে বলে।
মম : তোর ফোনটা দে তো।তোর পাপার সাথে কথা বলবো।আমার ফোনটা তাড়া হুরো করে বাড়িতে ফেলে এসেছি।
এরমধ্যে মিহানের পাপা এসে বলে।
পাপা : আর ফোন করতে হবে না।আমি এসে গেছি
মম : তুমি এখানে?অনু কোথায়?
পাপা : অনু স্কুলে গেছে সন্ধ্যার চলে আসবে।মিরা মামনির এখন কি অবস্থায়।
মম : মিহান মেডিসিন দিয়েছে।
পাপা : মিহান এর থেকে ভালো হতো না তোর হসপিটালে নিয়ে গেলে।
মিহান : পাপা আজকের দিনটা দেখি সন্ধ্যার মধ্যে জ্বর না কমলে তারপর না হয় হসপিটালে নিয়ে যাবো।আমার মনে হয় নরমাল জ্বর সন্ধ্যার মধ্যে কমে যাবে।
পাপা : দেখ তুই যেটা ভালো বুঝিস।
মিহানের পাপা আরো কিছুক্ষন কথা বলে চলে যায়।মিহানের মম মিহানের পাপা কে একটু এগিয়ে দিতে তার সাথে যায়।মিহান মিরার মাথার কাছে বসে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে থাকে।
চলবে…🍁
#না_চাইলেও_তুই_আমার
#Writer_Sarjin_Islam [ সারজীন ]
#Part:16
মিহান মিরার পাশ থেকে একটু ও সরছে না।কিছুক্ষন পর পর মিরার কপালে হাত দিয়ে জ্বর পরিক্ষা করছে।মিহানের মম এগারোটার দিকে একবার চৌধুরী বাড়ি যায় মিহান কে বলে।রুমা বাড়ির সবার জন্য রান্না করছে।মিহান মামুর সাথে ফোনে কথা হয় কিছুক্ষন পর পর।তারা আর দুই ঘন্টার মধ্যেই ঢাকা পৌঁছে যাবে।মামু মিরার জন্য খুব চিন্তা হচ্ছে।
মিহান মিরার পাশে বসে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।মিরা জ্বরের ঘোরে মিহানের হাত জড়িয়ে ধরে।মিহান চিন্তার মধ্যে মিরার এমন কাজে মুচকি হেসে একটু ঝুঁকে মিরার হাতের আঙ্গুলে চুমু খেয়ে বলে।
মিহান : জ্বরের ঘোরে আমার হাত জড়িয়ে ধরে আছো জেগে থাকলে তো এতক্ষনে পুরো বাড়ি মাথায় করে ফেলতে।জানো তোমার রাগি চেহারার প্রেমে পড়েছি।খুব ভালোবাসি তোমায়।তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাও তারপর আমি আবার তোমাকে রাগাবো আর তুমি রেগে পুরো বাড়ি মাথায় করবা।তারপর আমিই তোমার আবার রাগ ভাঙ্গাবো।এখনো ভালো ভাবে প্রেম করতে পারলাম না আর তুমি অসুখ বাধিয়ে বসে আছো।তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাও তারপর চুটিয়ে প্রেম করবো।
মিহান একা একা মিরার সাথে কথা বলতে থাকে।মিরার জ্বর কমে আবার কিছুক্ষন পর বেড়ে যাচ্ছে।জ্বর বাড়লে মিরা জ্বরের ঘোরে অনেক কথা বলে।মিহান মিরার পাশে চুপ করে সব কিছু শোনে।একটার আগেই মিহানের মম চলে আসে আর মিরার জন্য কিছু খাবার ও নিয়ে আসে।মিহানের মম মিরার রুমে গিয়ে দেখে মিহান মিরার মুখের কাছে কান নিয়ে কিছু শোনার চেষ্টা করছে।মিহানের মম মিহানকে কিছু না বলে বেডের অন্য পাশে বসলে মিরার অস্পষ্ট কথাগুলো তার কানে আসে।মিহানের মম মিহানের দিকে তাকালে মিহান বলে।
মিহান : মম ওর মনে এত কষ্ট?এত কষ্ট নিয়ে কি করে এত স্বাভাবিক থাকে?
মম : সবাই কষ্ট প্রকাশ করতে পারে না।নিজের মধ্যে রেখে নিজে কষ্ট পায়।মিরাও তেমনি একটা মেয়ে।মিহান ও ছোট থেকে অনেক কষ্ট পেয়েছে তুই তোর ভালোবাসা দিয়ে ওকে আগলে রাখবি কখনো কষ্ট পেতে দিবি না।আমার কথাটা সব সময় মাথায় রাখবি।
মিহান : মম তুমি চিন্তা করো না আগে ওকে সুস্থ করেনি তারপর এক এক করে সব কষ্ট দূর করে দেবো।
মিহান মম আর মিহান আরো কিছুক্ষন কথা বলে মিহান রুমের বাইরে এসে দাঁড়ায়।মিহানের মম তোয়ালে ভিজিয়ে হাত মুখ মুছে দিয়ে জামা পাল্টে দেয়।মিহানকে ডাক দিয়ে মিরাকে ধরে বসতে বলে।মিহানের মমের কথা মত বুকের সাথে মিরার পিঠ ঠেকিয়ে ধরে বসে থাকে।মিহানের মম মিরাকে আস্তে আস্তে সুপ খাইয়ে দিতে থাকে।তারপর মেডিসিন খাইয়ে আবার শুইয়ে দেয় মিরাকে।মিহানের মম মিহানের পাপার সাথে মিরার ব্যাপারে ফোনে পাশের রুমে বসে কথা বলছে।আর মিহান মিরার হাত ধরে বসে আছে চুপ করে।
তিনটার দিকে খান বাড়ির সবাই বাড়িতে পৌঁছায়।হল রুমে মিহানের মম কে দেখে সবাই বেশ অবাক হয়।মিহানের মমকে প্রথমে তারা কেউ চিনতে পারেনি।রুমা সবাইকে বলে উনি মিহানের মম।সে সব কথা গুরুত্ব না দিয়ে মামু এক প্রকার দৌড়ে উপরে চলে যায়।
অনামিকা : কি হলো ভাইয়া এরকম দৌড়ে চলে গেলো কেনো?
রুমা : আপাকে দেখতে গেছে বোধহয়।
ফুপি : মিরা আজ বের হয়নি বাড়ি থেকে?
রুমা : বাড়ি থেকে বের হবে কি?সে তো বিছানা থেকে উঠতে পারছে না।কাল রাত থেকে জ্বরের কারনে অজ্ঞান হয়ছ আছে।মিহান ভাইজান আর তার মা আজ সারাদিন আপার সেবা যত্ন করেছ।একটু জ্বর কমে তো একটু পর আবার বেরে যায়।কেনো আপনারা কিছু জানেন না?
দাদি : কি বলছিস এসব আমি তো এসব তো কিছুই জানি না।তোমরা আমাকে এসব কথা আগে বলোনি কেনো আমার নাতনির এই অবস্থায়।
মিরার বাবা : মা আমরাও কিছু জানতাম না।
দাদা : এসব কথা পরে হবে আগে ওকে দেখি আসি চলো!
ফুপি : বাবা আগে বাইরের জামা কাপড় পাল্টে নি।মিরা তো অসুস্থ ধুলো বালিতে তো আরো অসুস্থ পড়তে পারে তাই আগে জামা কাপড় পাল্টে তারপর ও কাছে যাও।
আরিফ : ফুপি ঠিক কথা বলছে।আগে সবাই ফ্রেশ হয়ে আসো।
এরপর সবাই ফ্রেশ হয়ে একে একে মিরার রুমে যায়।মিহান সবাইকে দেখেও মিরার হাতটা ছাড়েনি।মামু বেডের পাশে দাঁড়িয়ে মিহানের সাথে কথা বলছে মিরার বিষয়ে।মিরার জ্বর বাড়তে শুরু করলে মিহান জল পট্টি দিতে থাকে।মিরার দাদি তো কান্না শুরু করে দিয়েছে মিরার এই অবস্থায় দেখে।জ্বর বাড়ার কারনে আবার জ্বরের ঘোরে কথা বলতে শুরু করে দিয়েছে।মিরা আবার অস্পষ্ট সরে সেই কবিতা বলতে থাকে।
মিরা : যদি জানতেম আমার কিসের ব্যথা তোমায় জানাতাম।
কে যে আমায় কাঁদায় আমি কী জানি তার নাম।।
কোথায় যে হাত বাড়াই মিছে, ফিরি আমি কাহার পিছে–
সব যেন মোর বিকিয়েছে, পাই নি তাহার দাম।।
এই বেদনার ধন সে কোথায় ভাবি জনম ধ’রে।
ভুবন ভরে আছে যেন, পাই নে জীবন ভরে।
সুখ যারে কয় সকল জনে বাজাই তারে ক্ষণে ক্ষণে–
গভীর সুরে “চাই নে’ “চাই নে’ বাজে অবিশ্রাম।।
[ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ]
মিরার বাবা : মাহিন কি বলছে ও এসব?
মাহিন তাচ্ছিল্য হাসি দিয়ে বলে।
মিহান : একটু অপেক্ষা করুন সব কিছু বুঝতে পারবেন।
কেউ কিছু বলবে তার আগে মিরা একটু জোরে বলে উঠে।
মিরা : আল্লাহ তুমি আমাকে কেনো এত কষ্ট দেও?তুমিও কি আমাকে ভালোবাসো না?থাক আমার কারো ভালোবাসার দরকার নেই আমার মামু আমাকে অনেক ভালোবাসে।আর কাউকে দরকার নেই আমার।তুমি তো জানো আমি কতবার নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছি কিন্তু মামু কোনো না ভাবে আমাকে বাঁচিয়ে নিয়েছে।কিন্তু এভাবে আর কত দিন আমার ভিশন কষ্ট হয় যখন কোনো বাচ্চাকে তার বাবা মা সাথে দেখি তখন ঠিক আমার ছোট বেলার কথা মনে পড়ে যায়।আমার কি দোষ ছিলো বলতে পারো তুমি?তারা তাদের সুখের জন্য আলাদা হয়ে গেলো একবারো ভাবলো না আমার কি হবে?আমার স্কুল,কলেজের কোনো অনুষ্ঠানে তাদের আমি কাছে পাইনি।ক্লাসে ফাস্ট হলে কেউ খুশি হয়ে আমার পছন্দের রান্না করে খাওয়ানি।আমি যেদিন প্রথম অফিস জয়েন্ট করি কেউ আমাকে সাহস জোগায়নি।তবুও আমি তাদের কখনো কিছু বলতে যাইনি।আমি চাই না আমার কারনে কারো সুখের সংসার নষ্ট হোক।মামু বুঝে পারে আমার কষ্ট।মামু বুঝে যায় আমার যখন ভিশন কষ্ট হয় তখন আমি এই কবিতার অংশটুকু বলি।তখন মামু আমার পছন্দের জায়গায় ঘুরতে নিয়ে যায় আমার মন ভালো করার জন্য।কিন্তু আমার বোকা মামু তো আর জানে না আমি সব বুঝতে পারি।যাই হোক তোমাকে আমি আর কখনো কিছু বলবো না তুমি আমার কথা শোনোনি আমিও আর কখনো আমার মনের কথা তোমাকে বলবো না।যদি বেশি কষ্ট হয় তাহলে চলে যাবো অনেক দূরে।সেখান থেকে আর কেউ খুঁজে পাবে না।কেউ না!
মিরা আস্তে আস্তে বিড়বিড় করতে করতে চুপ হয়ে যায়।মিহান মিরার কপালে হাত দিয়ে দেখে জ্বর ছাড়তে শুরু করেছে।মিহান তাকিয়ে দেখে অনামিকা,ফুপি,দাদি,নীলা,নিধির চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।মিরার মামু,বাবা আর দাদার চোখ লাল হয়ে আছে।আরিফ আর জারিফ মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
মিহান : মামু এত মানুষ মিরার রুমে থাকলে মিরার অসুবিধা হবে।
মামু : আমরা যাচ্ছি।তুমি মিরার পাশে থাকো।
মিহান মাথা নাড়িয়ে মামুর কথায় সম্মতি জানায়।
সবাই মিরার রুম থেকে বেরিয়ে হল রুমে চলে আসে।
মিরার বাবা : ফাহিম আমার মিরা মনের মধ্যে এত কষ্ট লুকিয়ে রেখেছিল।
মামু : আমার এখন মনে হচ্ছে তোদের এখানে ওকে থাকতে বলে আমি ভুল করেছি।আমার অজান্তে আমি ওকে কষ্ট দিয়ে ফেলেছি।
ফুপি : ভাইয়া তুই এখন এসব বলছিস কেনো তখন তো নতুন সংসার নিয়ে এতটাই ব্যস্ত ছিলি যে মিরার সাথে এক মিনিট কথা বলার মত তোর সময় ছিলো না।মেয়েটা সারাদিন রোদের মধ্যে ছাদে দাঁড়িয়ে থাকতো।আমি কলেজ থেকে ফিরে ওকে সময় দেওয়ার চেষ্টা করতাম কিন্তু তখন কারো সাথে ঠিক মত কথা বলতো না।তুই তো জানতি মিরা সব থেকে বেশি ভালোবাসতো তোকে।আর এখন বোধহয় সব থেকে বেশি ঘৃনা করে।তখন যখন এসব নিয়ে ভাবিস নি তাহলে এখনো তোর ভাবার কোনো দরকার নেই।ফাহিম ভাইয়া আর মিহান আছে মিরার জন্য তোকে আর কিছু করতে হবেনা ওর জন্য।অনেক করেছো ওর জন্য আর না।
মিরার ফুপি রেগে আরো কিছু কথা শুনিয়ে দেয় ওর ভাইকে।
চলবে…🍁