তোকে চাই – Season 2 ! Part- 22
আমি কি আপনার প্রাণ ভোমড়া নিয়ে ভেগেছিলাম নাকি যে মরে যাবেন।(অবাক হয়ে)
.
আমার কথায় শুভ্র ভাইয়া মুচকি হাসলো…. গালের উপর এসে পড়া চুলগুলো গুঁজে দিলো কানে।।ঠোঁটে বৃদ্ধাঙ্গুল দিয়ে স্লাইড করতে করতে বলে উঠলেন-
.
তুমিই তো আমার প্রাণ ভোমড়া…
.
উনি আরো কিছু বলতেন তার আগেই চিত্রার গলার আওয়াজ কানে এলো।।সাথে সাথেই আমাকে ছেড়ে দূরে গিয়ে দাঁড়ালেন উনি।। লুচু পোলা… চিত্রার ভয়ে ছেড়ে দিলো নির্ঘাত.. তার চিত্রা বেবি কষ্ট পাবে বলে কথা!!!..অসভ্য,সাদা বিলাই কোথাকার!!আমার ভাবনায় জল ঢেলে চিত্রা অপরাধী দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে উঠলো-
.
সরি ভাইয়া!!আই থিংক আমি রং টাইমে চলে এসেছি।
.
না না ইটস ওকে।আমরা এমনি ভাইয়ার বিয়ে নিয়ে ডিসকাশন করছিলাম।(জোড় পূর্বক হাসি দিয়ে) এক্চুয়েলি লাস্ট টাইম তো আদিবের গন্ডগোলের জন্য এ্যান্গেজমেন্টটা হতে হতেও হয় নি।।সো ওটায় রিপিট করা হবে আগামী শনিবার।।ওটা নিয়েই কথা বলছিলাম জাস্ট।অন্যকিছু না।
.
ওও আচ্ছা।
.
আমি কিছুক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে থেকে উনাদের সংডং এর কথা শুনেই চুপচাপ বেরিয়ে এলাম রুম থেকে।।এই শুভ্র ভাইয়ার মতি গতি কিছুই বুঝি না আমি।।কি চায় সে আমার থেকে??কেনো এতো নজরদারি আমার উপর??মামুর ভাগ্নি বলে??নাকি অন্যকিছু??হঠাৎই পেছন থেকে কেউ একজন বলে উঠলো-
.
ভাবি?
.
বিরক্তি নিয়ে পেছনে তাকাতেই দেখি রাতুল ভাইয়া। এদের মধুর স্বরে ভাবি ডাক শুনে নিজেকে সরকারি ভাবি বলে মনে হয়…. বিরক্তি দমন করে… জোড়পূর্বক একটা ক্লোজ আপ হাসি দিয়ে বলে উঠলাম-
.
জি বলুন দেবরজি।
.
ভাইকে পাইতেছি না।।ভাই কই?মিটিং আছে লেট হচ্ছে(অসহায় কন্ঠে)
.
আপনার ভাই কই আমি কি করে জানবো??আমার কি জানার কথা ছিলো নাকি??(ভ্রু কুঁচকে)
.
না মানে….লাস্ট যখন দেখেছিলাম তখন তো ভাই আপনার সাথেই ছিলো।।ওই ফার্স্ট ইয়ারের ক্লাসের দরজা লাগাচ্ছিলো।
.
রাতুল ভাইয়া কথাটা সাদা মনে বললেও আমার রাগ তখন সপ্তম আকাশে।।আমাকে নিয়ে দরজা লাগাচ্ছিলো…ছিহ্ কি বিশ্রী শুনায় কথাটা।।মেজাজ ফোরটি নাইন করে কোনো কথা না বলেই হাঁটা দিলাম বাড়ির পথে।।সবকটা আহাম্মকের ঢেঁকি।।অসহ্য,,, জাস্ট অসহ্য!!
.
🍁
.
আজকে আপুর এনগেজমেন্ট,,সেদিন আমি অসুস্থ হয়ে পড়ায় এনগেজমেন্টটা আর হয় নি।ওখানেই অনুষ্ঠান থামিয়ে দিয়েছিলো মামু।।মার সাথে দাঁড়িয়ে ছিলাম হঠাৎ কোথা থেকে এক মহিলা এসে মুখে অমায়িক হাসি নিয়ে বলে উঠলো-“কেমন আছো মা?” যেনো আমি তার হারিয়ে যাওয়া বউ মা।আমি মুচকি হেসে উত্তর দিলাম-“জি আলহামদুলিল্লাহ ভালো!!আপনি??” আমার কথায় উনি যেনো চাঁদ হাতে পেয়েছেন,, খুশিতে গদগদ হয়ে আম্মুর দিকে তাকিয়েই বলে উঠলেন- “আপা?আপনার মেয়েটা যেমন লক্ষি তেমন মিষ্টি।।আমার ছেলেটাও তেমন,,কি ভদ্র!!এবার ডাক্তারী পাস করে হসপিটালে বসেছে।আমাদের নিজেদের ক্লিনিক।” আম্মু চলনসই হাসি দিয়ে চলেছেন ক্রমাগত।।মায়ের হাসিতে মহিলা যেনো আরো ভরসা পেলেন।হাসিমুখে বলে উঠলেন – ” আপা?আপনার মেয়েকে বিয়ে…” আন্টির কথাটা শেষ হওয়ার আগেই কেউ একজন পাশ থেকে বলে উঠলো- “ভাবি??” পাশে তাকিয়ে দেখি আবার সেই রাতুল ভাইয়া।।।উফফ্ আমার হয়ে যাওয়া বিয়েটা একটা মাত্র “ভাবি” ডেকে ভেঙে দিলো তো??আমি আম্মুর দিকে তাকাতেই দেখি আম্মু কড়া নজরে একবার আমাকে তো একবার রাতুল ভাইয়াকে দেখছেন।।”ভাবি” কথাটা নিতে তার যথেষ্ট কষ্ট হচ্ছে।তার অবিবাহিত মেয়েকে কোনো সুদর্শন হ্যাবলাকান্ত পুরুষ অবলীলায় ভাবি ডাকছে সেটা মা জাতি হিসেবে তার মেনে নেওয়ার কথা নয়….আমি মুচকি হেসে উনার দিকে তাকিয়ে বললাম-
.
জি ভাইয়া বলুন…..
.
আপনাকে আংকেল ডাকছে…
.
আংকেল??
.
মানে আপনার মামু ডাকছে।এনগেজমেন্টের রিং নাকি আপনার কাছে?এগুলো চাইছেন।
.
ওহ আচ্ছা!!ওকে চলুন।
.
আমার কাছে কোনো রিং কোনো কালেই ছিলো না।রাতুল ভাইয়া যে ডাহা মিথ্যা কথা বলছেন তা বেশ বুঝতে পারছি।।কিন্তু কেনো??এই ভাবি রহস্য তো দূর করতেই হবে।।আমাকে কোন আহাম্মকের বউ বানিয়ে চলেছে ক্রমাগত কে জানে??ওরা আমায় ভাবি ডাকে…তাহলে ওদের ভাই কে? শুভ্র ভাইয়া?ইয়েস…কারন একমাত্র শুভ্র ভাইকেই ওরা ভাই ভাই বলে ডাকে।। আমি এতোটা ডাফার কি করে হলাম??ওরা আমাকেও অনেকবার বলেছে…ভাই এটা,,ভাই ওটা..আর আমি বুঝতেই পারলাম না?সিউর তো হতেই হবে।।যেই কথা সেই কাজ…একটু দূরেই কোলড্রিংকস হাতে নিয়ে রাতুল ভাইয়া দ্রুত পায়ে হেঁটে চলেছেন।।আমি সোজা উনার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম।। ব্যাপারটায় উনি অবাক।।আমি উনার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিয়ে বলে উঠলাম-
.
কেমন আছেন রাতুল ভাইয়া??
.
আলহামদুলিল্লাহ ভালো ভাবি।আপনি কেমন আছেন ভাবি?
.
ভালো..খুব ভালো।(দাঁত কেলিয়ে) তোহ্…. এত্তোগুলো কোল্ডড্রিংক্স নিয়ে কোথায় যাচ্ছেন ভাইয়া??
.
ছাদে যাচ্ছি ভাবি।ভাই নিয়ে যেতে বলছে।সাহেল ভাইয়ারা সবাই মিলে ওখানে আড্ডা দিবে তো তাই।
.
ওহহহহ..আচ্ছা আচ্ছা।।খুব ভালো হেহেহে…ভাই আড্ডা দিবে?ভালো,,খুব ভালো,,মহা ভালো!!
.
আমি এখন যাই ভাবি?দেরী হলে ভাই রাগ করবে।
.
নাহ্ না আপনি যাবেন না।
.
মানে?(অবাক হয়ে)
.
মানে সিম্পল আপনি এখন ছাদে যাবেন না।।এখানে আমার পাশে দাঁড়িয়ে থাকবেন।
.
আমি এখানে দাঁড়িয়ে থেকে কি করবো?(অবাক হয়ে)
.
আমার সাথে গল্প করবেন।আমার না খুব গল্প করতে ইচ্ছে করছে বুঝলেন??সো আপনি এখন আমার সাথে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গল্প করবেন।
.
কিন্তু ভাই রাগ করবে তো ভাবি।।আর আমি আপনার সাথে কি নিয়ে গল্প করবো?(অসহায় দৃষ্টিতে)
.
অনেক টপিকস আছে গল্প করার মতো।।আর ভাইয়ের টেনশন করবেন না…ভাই কিচ্ছু বলবে না…ভাইদের উপর হলো ভাবি।।একটা সিক্রেট বলি??
.
জি??
.
আপনার ভাই কিন্তু আমায় দেখে ভয় পায়।। ভালোবাসে তো বুঝেন না??আচ্ছা আপনার কি মনে হয়,,আপনার ভাই আমাকে সত্যিই ভালোবাসে??নাকি সব নাটক??হুম?(ভ্রু নাঁচিয়ে)
.
জি জি অনেক ভালোবাসে।নাটক কেনো হবে?আস্তাগফিরুল্লাহ্
.
আপনি কিভাবে বুঝলেন,,অনেক ভালোবাসে?(ভ্রু কুচঁকে)
.
বুঝবো না কেন?আপনি কোথায় যাচ্ছেন,, কি করছেন সব কিছুই তো ভাইয়ের জানা।।অলওয়েজ আপনাকে কেউ না কেউ ফলো করে,,যদিও ডিস্টেন্স রেখে তাই আপনি বুঝেন না।।আর সেই দিন তো স্বপনদের হেব্বি কেলিয়েছে….হাত ভেঙে দিছে একদম।।
.
কেনো??কেলিয়েছে সরি মেরেছে কেনো??
.
আপনার দিকে তাকিয়ে সিটি বাজিয়েছিলো বলে….(মাথা নিচু করে)
.
ওহহ…এটুকুর জন্যই হাত ভেঙে দিলো??(অবাক হয়ে)
.
জি ভেঙে দিলো।
.
আচ্ছা আমি সম্পর্কে আপনার কি হই??
.
ভাবি….
.
আপনি আমার কি হোন??
.
জি মানে…(কনফিউজড হয়ে)দেবর হই ।
.
আপনার সাহেল ভাইয়ার কি হই আমি??
.
উনি তো সানশাইন বলেন।।(বোকা বোকা গলায়)
.
ওহ হ্যা তাই তো।।তাহলে আপনার শুভ্র ভাইয়ের কি লাগি?
.
বউ…
.
উনার কথায় ভ্রু কুঁচকে তাকালাম।।সন্দেহী দৃস্টিতে বলে উঠলাম-
.
বউ? এটা শুভ্র ভাইয়া বলেছে আপনাকে??
.
হুম।ভাই তো সবাইকে বলে দিয়েছেন,,,”রোদ হলো আমার বউ।।সো তোদের মধ্যে একজনও যদি ওর দিকে চোখ তুলে তাকাস….জাস্ট খুন করে ফেলবো।।ভুল করেও যেনো ওর দিকে চোখ না যায়,,নয়তো আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না।।আমার জিনিসে কেউ নজর দিবে তা আমি কিছুতেই সহ্য করবো না।মনে থাকে যেনো।”
.
আমি জিনিস হয়ে গেলাম??
.
জি হয়ে গেলেন।ভাইয়ের জিনিস।ভাবি?এখন যাই?হাত ব্যাথা করছে,,, অনেকগুলো কোল্ডড্রিংস তো…
.
হুমম যান বাট একটা কথা…
.
কি কথা??
এখন ছাদে গিয়েই আপনার ভাইকে স্ট্রেইট দুলাভাই ডেকে দিবেন,,, শুধু একবার নয় প্রতি লাইনে লাইনে দুলাভাই ডাকবেন…বুঝলেন??
.
দুলাভাই কেনো ডাকবো?(অবাক হয়ে)
.
আমি বলছি তাই।
.
না ভাই চড় মারবে।
.
আর না ডাকলে আমি কান্না করে দিবো।।তখন আপনার ভাই আপনাকে আরো বেশি মারবে।।বুঝেন না?ভালোবাসা!!!(চোখ টিপে)
.
রাতুল ভাইয়ার মুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে সে ব্যাপক ফ্যাসাদে পড়েছেন।।উত্তর দক্ষিণ যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই প্রবলেম।বেচারা!!!
.
.
দু..দুলাভাই?কোলড্রিংক্স এনেছি।
.
রাতুল ভাইয়ার কথায় উনি ভ্রু কুঁচকে তাকিয়েই বলে উঠলেন-
.
তুই কি আমাকে বলছিস??
.
জি দুলাভাই আপনাকেই বলছি।
.
এই তুই আমাকে দুলাভাই ডাকছিস কেন??মাথা ঠিক আছে তোর??(অবাক হয়ে)
.
জি দুলাভাই… মাথা ঠিক আছে।
.
একটা চড় বসাবো।।ফাজলামো করিস আমার সাথে?(রাগী গলায়)
.
ফাজলামো করছি না দুলাভাই… ভাবি বললো ডাকতে তাই ডাকছি।নয়তো উনি কাঁদবেন।(মিনমিন করে)
.
ভাবি বললো মানে??কোন ভাবি??(ভ্রু কুঁচকে)
.
আমাদের ভাবি!!
.
রোদ??(বিস্ময় নিয়ে)
.
উনি তুমুল গতিতে মাথা ঝাঁকিয়ে জানান দিলো “হ্যা রোদ” শুভ্র ভাইয়া অবাক চোখে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকেই হুহা করে হাসতে লেগে গেলেন।।যেনো ভীষন মজা পেয়েছেন ব্যাপারটায়।।আমিও মুচকি হেসে দরজার আড়াল থেকে সরে এলাম।।শুভ্র ভাইয়া লাভস্ মি??ভাবতেই অবাক লাগছে..কিভাবে সম্ভব??হাও হাও??
এনগেজমেন্ট শেষের দিকে।রিং পড়ানো শেষ।এবার কাজিন,,ফ্রেন্ডস সবাই মিলে গেইম খেলবে।গেইমটা সিম্পল।একটা বাক্সে সবার জন্য একটি চিরকুট রাখা হয়েছে।।তারমধ্যে থেকে একটা চিরকুট তুলতে হবে এবং যা লেখা আছে তাই পার্ফোম করতে হবে।।গান থাকলে গান,,নাচ থাকলে নাচ।।আমার কপালে এসে পড়লো গান।।কি দুর্ভাগা কপাল আমার….গানটাও সিলেক্ট করা…এটাই গাইতে হবে।।কি মুশকিল।।আমি আপুর পেছনে দাঁড়িয়ে আপুর শাড়ির আঁচল খামচে ধরে আড়চোখে শুভ্র ভাইয়াকে দেখে নিয়েই গাইতে শুরু করলাম…
.
লাললালা লা লাই লাই লাই লালা…..
.
লাললালা লা লাই লাই লাই লালা…..
.
দিদি তেরা দেবার দিওয়ানা
.
ও দিদি তেরা দেবার দিওয়ানা.
.
হায় রাম!!গোরিও কো ঢালে দানা..
.
ধান্ধা হে এ উজকা পুরানা
.
ও ধান্ধা হে এ উজকা পুরানা
.
হায় রাম!!গোরিও কো ঢালে দানা…
.
লাললালা লা লাই লাই লাই লালা…..
.
মে বলি কি লানা দু ইমলি কি দানা, মাগার ও ছোয়ারে লে আয়া দিওয়ানা…
গান গাইতে গিয়ে লজ্জায় আমি লাল।।সবাই চারপাশ থেকে শুভ্র শুভ্র বলে চেঁচাচ্ছে… ইশশ কি লজ্জা।।আমি আড়চোখে উনার দিকে তাকালাম…উনি মুচকি হাসছেন।।চোখাচোখি হতেই সামনের চুলগুলো পেছনে ঠেলে দিয়ে নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে… শার্টের হাতা ফোল্ড করতে করতে এগিয়ে এলেন আমার দিকে।।আমি ভয়ে আর লজ্জায় কুঁকড়ে গেলাম মুহূর্তেই।।আপুর আড়ালে নিজেকে পুরোপুরি ঢেকে নিলাম।।উনি পাশে দাঁড়িয়ে আমার দিকে তাকিয়ে শয়তানী হাসি দিয়েই আপুকে টেনে নিলেন নিজের কাছে।।আমার হাত থেকে মাইক্রোফোনটা নিয়ে গানের সাথে তাল মেলালেন।।আমি অবাক চোখে তাকিয়ে আছি।। কি সুন্দর গাইতে পারেন উনি!!!আপুর কাঁধে হালকা কাঁধ ঝাকিয়ে গেয়ে উঠলেন উনি-
.
ভাবি তেরি বেহেনা কুমারা
.
ও ভাবি তেরি বেহানা কুমারা…
.
হায় রাম!!গোরিও কা হে যাময়ানা..
.
রাব্বা মেরে মুজকো বাঁচানা,,ও রাব্বা মেরে মুজকো বাঁচানা..
.
হায় রাম!!!গোরিও কা হে যাময়ানা…।।
.
রাপপাপাপা রুরুরুরু রুওরুরু…।।(আমার দিকে তাকিয়ে চোখ টিপে)
.
হুকুম আপকা থা যো মেনে না মানা,,খাতাবার হু মে না আয়া নিবানা।
.
সাজা যো বিহ দুগে ও মঞ্জুর হোগী…
.
গান শেষে আমার দিকে তাকিয়ে শয়তানী হাসি দিয়ে সবার সামনেই বা চোখ টিপে দিলেন।। আমি ঢোক গিলছি বারবার…কি শয়তান ছেলে।।সবাই কি ভাবছে.. কে জানে??
.
#চলবে🍁