ঘৃণার মেরিন

ঘৃণার মেরিন Season 3 !! Part- 25

নীড়ের এমন অবস্থা দেখে মেরিনের সবটা মনে পরে গেলো । নীড়কে হসপিটালে নিয়ে গেলো ।
ডক্টর : its an accident case… আমরা patient কে admit করতে পারবোনা। আগে police station এ রিপোর্ট করে আসুন…
মেরিন : ডডডক্টর আমি সব করবো । আগে আপনি প্লিজ treatment start করুন…
ডক্টর : i am sorry mam… কিন্তু পারবোনা । patient ম…
মেরিন ডক্টরের কলার ধরলো।
মেরিন : এই ডক্টর এই…. আমার নীড়ের কিছু হতে পারেনা… যদি এখন এই মুহুর্তে তুই আমার নীড়ের treatment start না করিস তাহলে তোর treatment করেও কেউ বাচাতে পারবেনা।
ডক্টর : আজব তো। আআপনি এইসব হহুমকি দিতে পারেননা। আপনাকে পুলিশে দিতে বাধ্য হবো।
মেরিন : বাংলাদেশে এমন কোনো জেল নেই যেটা মেরিন বন্যা নীড় খান চৌধুরীকে বন্দী করে। যেটা বলছি সেটা কর। না হলে জানে মেরে ফেলবো ।
মেরিনের হুংকারে সবাই কেপে উঠলো।
ডক্টর : আপনিই মেরিন বন্যা …
মেরিন এমন করে তাকালো যে ডক্টর আর কোনো প্রশ্ন না করে treatment শুরু করলো । মেরিন OT এর বাইরে বসে রইলো ।

মেরিনের চোখের সামনে বারবার নীড়ের রক্তাত্ব অবস্থাটা ভেসে উঠছে ।
মেরিন : আপনার কিছু হতে পারেনা নীড়। আপনি কেবল আর কেবল আমার নীড় । আপনার ওপর কেবল আমার অধিকার । এমনকি আপনার মৃত্যুর উছিলা হওয়ার অধিকারও অন্যকারো নেই। সেটাও কেবল আমার আর আমার অধিকার । আপনাকে বাচতে হবে নীড়… প্লিজ … আমাকে ছেরে যাবেন না।
তখন নার্স এলো। ভয়ে ভয়ে কাপা কাপা কন্ঠে
বলল : মমম্যাম এখানে এই formটাতে sssignature কককরে দিন।
মেরিন : এটা কিসের form…
নার্স : মমম্যাম এএটা…
মেরিন : shut up… please … let me check …
মেরিন form টা পড়লো ।
মেরিন : আমার নীড়ের কিছু হতে পারেনা। got it…
বলেই মেরিন signature করে দিলো ।
.
একটুপর…
মেরিন দরজায় মাথা ঠেকিয়ে বসে আছে। চোখ বন্ধ করে। তখন পরিবারের সবাই এলো।
কবির : বাবাই তুমি ঠিক আছো ?
কবিরকে দেখে মেরিনের মনটা আনন্দে ভরে উঠলো ।
মেরিন : বাব…
মনে মনে : না মেরিন… control your emotion … ১টা প্রশ্নের জবাব এখনও পাওয়া হয়নি…. বাবা কেন আমাকে shoot করেছিলো…
কবির : কি হলো বাবাই বলো। তুমি ঠিক আছো ?
মেরিন : হামম। আমি ঠিক আছি। কককিন্তু নীড়…
কবির : কি হয়েছে নীড়ের?
মেরিন : ভভভীষন critical situation বাবা… নীড়… 😥…
কবির : no worry মামনি … ঠিক হয়ে যাবে…
মেরিন : আমাকে বাঁচাতে গিয়ে উনিহ… 😭…
কবির : কান্না করেনা বাবুইপ… বাবাই… ডক্টর treatment করছে তো ।
একটুপর ডক্টর বেরিয়ে এলো ।
মেরিন : ডক্টর আ… নীড় কেমন আছে ?
ডক্টর : out of danger now… কিন্তু…
নিহাল : কিন্তু?
ডক্টর : উনাকে সকল mental pressure , stress দেয়া যাবেনা। অন্তত দুই এক মাসের মধ্যে তো একদমই না। সেটার খেয়াল রাখতে হবে।
কবির : হামম sure…
ডক্টর : excuse me …

১২ঘন্টাপর…
নীড়ের জ্ঞান ফিরলো। মেরিনের নাম নিলো। নার্স বেরিয়ে এলো ।
নার্স : নীড় স্যারের জ্ঞান ফিরেছে । মেরিন ম্যামকে দেখতে চাইছে ।
নীলিমা : আমার ছেলেকে দেখতে পারি ?
নার্স : নিশ্চয়ই।
মেরিন আগে ঢুকলো। নীড়ের মাথায়-হাতে-পায়ে ব্যান্ডেজ , মুখে oxygen mask দেখে মেরিনের মনটা কচকচ করছে । মেরিনের উপস্থিতি টের পেয়ে নীড় চোখ মেলল । হাসি দিলো । অনেক কষ্টে হাতটা বারিয়ে দিলো । বহু কষ্ট করে
বলল : মেহহরিহহন …
নীড়ের চোখ থেকে পানি গরিয়ে পরলো। মেরিন ধীর পায়ে নীড়ের দিকে এগিয়ে গেলো । বসলো । নিজের মাস্কটা খুলতে নিলো ।
মেরিন : কি করছেনটা কি? কষ্ট হবে তো নিঃশ্বাস নিতে ।
নীড় মেরিনের কথা উপেক্ষা করে মাস্কটা খুলল ।
মেরিন : পাগল হলেন নাকি ?
মেরিন মাস্কটা পরাতে নিলো । নীড় বাধা দিলো ।
নীড় : তুমিহ ঠঠঠিক আছোহ জান…
মেরিন : না মরে গিয়েছি… কি দরকার ছিলো এমন পাগলামো করার ? মরতে বসেছিলেন …
নীড় : ভভভালো হতো মমমরে গেলে । তততুমিহ ভভভালো থাকতো । i deserve a dangerous death … ভালো হতো ম …
মেরিন : চুপ করুন…
নীড় : এহকটু কককাছে আসো… মমমানে মমমুখটা কককাছে আনো।
মেরিন : মানে?
নীড় : আহনোনা …
মেরিন নিলো।
নীড় : আরো কাছে…
মেরিন নিলো। নীড় হাত ওঠাতে নিলো ।
মেরিন : কি হয়েছে?
নীড় : আহমার হহহাতটা তোমার মমাথায় রাখোনা …
মেরিন রাখলো।
নীড় : আরেকটু কককাছে আসো।
মেরিন গেলো। নীড় মুচকি হেসে মেরিনের চুলগুলো হালকা করে ধরে নিজের আরো কাছে নিয়ে মেরিনের ঠোটে হালকা করে ১টা কিস করলো । মেরিন অবাক হলো ।
নীড় : ভালোবাসি …
মেরিন : ….
নীড় : জজজানোহ.. তখন যখন তততুমি আমাকে জান বলে ডেকেছিলে আআহমি মমমনে কককরেছিলাম যে তোমার memory ফিরে এসেছে … কিন্তু এখন আমার ভালোবাসি কথাটা তোমার মুখে আনন্দ আনলোনা … পরিবর্তে ভালোবাসিও বললেনা… মমমনটা ভেঙে গেলো ।
মেরিন : …
কনিকা : নীড় বাবা… 😢।
নীড়-মেরিন দরজার দিকে তাকালো । কনিকাকে দেখে মেরিনের মাথায় রক্ত উঠে গেলো ।
মেরিন মনে মনে : control yourself মেরিন …
একটু মেলোড্রামা হলো।

রাতে …
নীড় ঘুমিয়ে আছে । মেরিন নীড়ের দিকে তাকিয়ে আছে । আর গত ২মাসের কথা কল্পনা করছে ।
মেরিন মনে মনে : আপনি অনেক খারাপ নীড়… বারবার আমাকে দুর্বল বানিয়ে দেন … আপনি প্রকৃতির নিয়মই পাল্টে দিয়েছেন। সাধারনত ছেলেরা পরে ধরে হেংলাদের মতো তাকিয়ে থাকে । আর আমার ক্ষেত্রে আমিই তাকিয়ে থাকি… কিন্তু আপনাকে কোনোদিনও আমি ক্ষমা করতে পারবোনা। আপনি আমার বাচ্চাটাকে মেরে ফেলেছেন … আপনাকে ঘৃণা করাও আমার পক্ষে সম্ভবনা । এখন না কিছুদিন যাক … এখন আমি একটু memory না থাকার নাটকটা চালিয়ে যেতে হবে । কিন্তু মিসেস খান… তাকে কি করে সহ্য করবে …
.
৭দিনপর…
নীড় মনে মনে : কেন যেন মেরিনের আচরনে গত ২-৩মাসের মতো ঘৃণা দেখতে পাচ্ছিনা। অভিমান দেখতে পাচ্ছি … তোমার কি তবে স্মৃতি ফিরে এসেছে …?
মেরিন মনে মনে : নীড় কি বুঝে গিয়েছে যে আমার memory ফিরে এসেছে???
তখন নার্স এলো । নীড়ের ব্যান্ডেজ change করতে।
নার্স : ম্যাম আপনি তো স্যারের wife… kindly একটু help করবেন ?
মেরিন : sure…
বুকের দিকটার ওখানে ব্যান্ডেজ ঠিক করতে গিয়ে মেরিন কিছু লেখা দেখলো । মেরিন ঠিক মতো খেয়াল করে দেখলো যে “বনপাখি” লেখা । না লেখাটা মোটেও নতুন নয়। যথেষ্ট আগের । দেখেই বোঝা যাচ্ছে । নীড় বিষয়টা খেয়াল করলো ।
নীড় : কি দেখছো জান?
মেরিনের মাথাটা নরমালি চক্কর দিলো । নিজের চোখকে কেন যেন বিশ্বাস হলোনা । ধিরিম করে বসে পরলো ।
নীড় : ঠিক আছো মেরিন ?
নার্স : ম্যাম anything wrong?
মেরিন চোখ বন্ধ রেখেই
বলল: হামমম।
নীড় মনে করলো যে “বনপাখি” লেখাটা দেখে মেরিনের brain এ চাপ পরেছে তাই হয়তো এমনটা হয়েছে । কিন্তু মেরিনের brain এ না heart এ চাপ পরেছে তাই এমন হয়েছে । পরদিন নীড়কে রিলিজ দেয়া হলো ।

৩দিনপর…
রাতে…
নীড় : জান… একটু এখানে আসবে…
মেরিন গেলো ।
নীড় : বসো …
মেরিন বসলো ।
নীড় : ১টা কথা জানার ছিলো ।
মেরিন : বলুন ।
নীড় : তুমি আমার চোখের দিকে কেন তাকাচ্ছোনা কেন এই ৭-৮দিন ধরে …
মেরিন অবাক হলো ।
মেরিন : কিসের মধ্যে কি?
নীড় : তাহলে তাকাও ।
মেরিন তাকালো ।
মেরিন : হয়েছে?
নীড় : হামম । কেন যেন মনে হচ্ছে তোমার চোখে ঘৃণার আগুন নয় অভিমানের পাহাড় দেখা যাচ্ছে …
মেরিন : কককি যযযাতা বলছেন । আপনাকে আমি ঘৃণা করি ।
নীড় : সত্যি ?
মেরিন : হামমম ।
নীড় : একটু কাছে আসো তো … ১টা কাজ আছে ।
মেরিন : রাত হয়ে গিয়েছে ঘুমান… শুয়ে পরুন ।
নীড় : ok তাহলে একটু help করো ।
মেরিন নীড়কে help করতে গেলে নীড় মেরিনকে টেনে নিজের কাছে, খুব কাছে বসালো ।
মেরিন : কি করছেনটা কি?
নীড় মেরিনের কপালে কিস করলো।
নীড় : তোমার সবকিছু মনে গিয়েছে । তাইনা?
মেরিন : মনে পরেছে মানে? কি মনে পরবে?
নীড় : অতীত।
মেরিন : অতীত কিসের অতীত?
নীড় : অতীত মানে অতীত । স্মৃতিশক্তি ফিরে এসেছে । সব মনে পরেছে বলেই তুমি আমার খেয়াল রাখছো …
মেরিন : কি পাগলের প্রলাপ বকছেন। কিসের অতীত … কিসের স্মৃতি … পপপাগল হলেন?
নীড় : ঠিকই বলছি । যদি তেমনটা না হয় তবে তুমি আমার সেবা কেন করছো ? মেরিন বন্যা নীড়ের কষ্ট সহ্য করতে পারেনা ।
মেরিন : আপনি পুরোই পাগল হয়ে গিয়েছেন । যা করছি সেটা আমার কর্তব্য। thats all… আর তাছারাও আমি আপনার মতো খুনী নই যে পশুর মতো ব্যাবহার করবো। খুন করা আপনার ধর্ম আমার না। আর আমি যা করছি তা কেবল কৃতজ্ঞতার জন্য। তততাছারা আর কিছুই না ।
নীড় : আচ্ছা। ? 😏।
মেরিন : হামম।
নীড় : তাহলে আমার হাত রেখে বলো যে তোমার কিছু মনে পরেনি … তোমার স্মৃতির পাতায় আমি নীড় নেই…
মেরিন : ….
নীড় : কি হলো বলো …
মেরিন : …
নীড় : বলতে পারবেনা । কারন ত…
নীড়কে অবাক করে মেরিন নীড়ের মাথায় হাত রাখলো ।
মেরিন : এই আপনার মাথায় হাত রেখে বললাম যে আমার স্মৃতির পাতায় কোথাও “এই” নীড় নেই …
মেরিনের কথাটা শুনে নীড়ের মনটা ভেঙে গেলো ।
নীড় মনে মনে : ভেবেছিলাম তোমার সব মনে পরেছে । কিন্তু না … আবারও আমিই ভুল । আমার ভয়ংকর মেরিন কখনো আমার মাথায় হাত রেখে মিথ্যা বলতে পারেনা

মেরিন মনে মনে : হামম ঠিক । আপনার মাথায় হাত দিয়ে মিথ্যা বলতে পারবোনা। বলিও নি । আমার স্মৃতির পাতায় যে নীড় আছে সেই নীড় আর এখন আমার সামনে যে নীড় বসে আছে তাদের ২জনের মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য । ওই নীড়ের ফিদরত ছিলো আমাকে ধোকা দেয়ার। বুঝতে পারছিনা এই নীড় কেমন ? তবে আগের নীড়ের কাছে থেকে শেখা ছলনা নতুন নীড়ের ওপর প্রয়োগ করবো ।
মেরিন : বিশ্বাস হলো ?
নীড় : …
মেরিন : বিশ্বাস হলো ….
নীড় : আ… হামমম।
মেরিন : ঘুমিয়ে পরুন …
.
পরদিন…
কনিকা সিরি বেয়ে নিচে নামছে। পা পিছলে পরে গেলো ।
কনিকা : আহ…
নীলিমা : ভাবি …
নীলিমা ছুটে এলো ।
নীলিমা : ভাবি ঠিক আছো তুমি? পরলে কি করে?
কনিকা ব্যাথার চোটে কথা বলতে পারছেনা । চোখ দিয়ে কেবল পানি পরছে ।
নীলিমা : ভাবি অনেক কষ্ট হচ্ছে তোমার ?
কবির : সবকিছু ড্রামা নীলি … সব ড্রামা । sympathy পাওয়ার ধান্দা ।
বলেই কবির অফিসে চলে গেলো । কবিরের কথায় কনিকা অনেক কষ্ট পেলো ।
মেরিন : awwwe… so sad… মিসেস খানের কতো কষ্ট। আহারে আমারই চোখে পানি চলে এলো । শারীরিক-মানসিক সব কষ্ট আমি আপনাকে দিবো। মিসেস খান । আজকে কেবল শুরু । সিরিতে তেলটা তো আমিই ঢেলেছি । আপনাকে ফেলার জন্য । আহারে … my dear জান … আপনার কাছে থেকে শেখা ছলনা এখন আমার কাজে লাগবে । এরজন্য আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। তিলে তিলে কষ্ট দিবো মিসেস খান আপনাকে । যাই স্বামী সেবা করি ।
মেরিন রুমে গিয়ে দেখে নীড় একাএকা washroom এ যাচ্ছে । মেরিন দৌড়ে গিয়ে ধরলো । মেরিন নীড়কে ধরে ধরে নিয়ে গেলো । এরপর নিয়ে এলো । মেরিন খেয়াল করলো নীড়ের চোখের কোনে পানি ।
মেরিন : আআআপনি বসুন আমি আপনার জন্য breakfast নিয়ে আসছি ।

একটুপর…
নীড় চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে ।
মেরিন : হ্যালো…

মেরিন : জী আমি মমমেরিন বলছিলাম।

মেরিন : হ্যা আমিই ফোন কককরেছিলাম। আপনিই কি ডডডক্টর তপুর assistant রররাজু?

মেরিন : ডক্টর তপু কককেমন আছে ? ভালো আছে ? না মানে “উনার” কি খবর…
কথাগুলো শুনে নীড়ের মেজাজ সাংঘাতিক বিগরে গেলো । হাতের সামনে থাকা মোবাইলটা আছার মারলো । মেরিন চমকে ওঠার ভান করলো । ছুটে গেলো ।
মেরিন : কককি হয়েছে ? ককিসের আওয়াজ ছিলো ? মমমোবাইল… মোবাইলটা ভাংলো কি করে। আপনি ঠিক আছেন ….
নীড় কিছুনা বলে মেরিনকে টেনে কাছে নিয়ে মেরিনের ঠোট জোরা দখল করে নিলো । এরপর পাগলের মতো মেরিনের গলায় ঘাড়ে কিস করলো । কোনো রকমে মেরিন নিজেকে ছারিয়ে নিলো ।
মেরিন : আপনি…
নীড় : এখন থেকে রাগ উঠলে তোমাকে ভালোবেসে আদ….র করে রাগ কমাবো ।
মেরিন কোনো কথা না বলে চলে গেলো ।
মেরিন : আমার টেকনিক আমার ওপর চালাতে আসে । কিন্তু ভালোবাসা দেখেছেন । এবার ঘৃ… না ঘৃণা আপনাকে করতেই হবে … আপনাকে ভালোবাসা যায়না। একটু সুস্থ হন। এরপর … কিন্তু ১টা জিনিষ বুঝতে পারলাম না । উনার বুকে বনপাখি লেখা কেন… ?

রাতে…
মেরিন রুমে এসে শুনতে পেলো …
নীড় : ডন … তপুকে জা…
মেরিন ফোনটা নিয়ে নিলো ।
মেরিন : কি করছিলেন?
নীড় : তপুকে মেরে ফেলার order দিচ্ছিলাম ।
মেরিন : আপনি কি মেরে ফেলে ছারা কককিছুই পারেননা?
নীড় : না। 😎। তবে ১টা কথা বলো তো , তপুর ওপর তোমার এতো মায়া কেন ? ভালো তো তুমি আমাকে বাসো। তবে তপু তপু তপু… কেন?
মেরিন : ডক্টর তপু ১জন ভালো মানুষ। তাই । আর হ্যা আমি আপনাকে ভভভালোবাসিনা … ঘৃণা করি।
মনে মনে : ডক্টর তপুকে এখন মরতে দেই কি করে? জবা তো ওর কাছেও পাওনা আছে আমার। ভুল ঔষধ দিয়েছিলো কেন?
নীড় : তুমি আমাকে ভালোবাসো আর না বাসো সেটা matter করেনা। আমি তোমাকে ভালোবাসি সেটাই বড় কথা…
মেরিন : আপনি কাউকেই ভালোবাসতে পারেননা…
.
চলবে…