ঘৃণার মেরিন

ঘৃণার মেরিন Season 3 !! Part- 26

মেরিন : আপনি কাউকেই ভালোবাসতে পারেননা …
নীড় : হামম হয়তো । আমি জানি। ভালোবাসা মানে বিশ্বাস… ভালোবাসা মানে নিঃশ্বার্থভাবে কাউকে আপন করে নেয়া … আমি জানি আমার ভালোবাসা’র , ভালোবাসার কাছে আমার ভালোবাসা অতি নগন্য …
মেরিন : কি? আপনার ভালোবাসা’র ভালোবাসা মানে?
নীড় : আমার ভালোবাসা মানে যাকে আমি ভালোবাসি । যার কাছে আমি ভালোবাসতে শিখেছি … যে ভালোবাসার আরেক নাম … আমার সকল ভালোবাসাও তার নখের যোগ্যনা। আমার ভালোবাসা যদি পাহাড়ি ঝর্না হয় তবে তার ভালোবাসা অতল সাগর …
মেরিন : কারো কাছে ভালোবাসতে শিখেছেন ?
নীড় : হামম কিছুটা … তার মতো করে ভালোবাসার সাধ্য আমার নেই।
মেরিন : আপনার ভালোবাসাই এতো ভয়ংকর …. তাহলে তার ভালোবাসা তো অতুলনীয় ভয়ংকর হবে । তাইনা ? 😏।

নীড় হা হা করে হাসতে লাগলো ।
নীড় : ভয়ংকর … ভালোবাসা । তার কার্যকলাপ ভয়ংকর না ভালোবাসা সেটা বুঝতে গিয়ে তাকেই হারিয়ে ফেলেছি … তোমাকে তপু ভুল মেডিসিন দিয়েছে … আর তাইজন্য আমি কেবল তার হাত কেটেছি … কিন্তু যদি “সে” হতো তবে কি করতো জানো ? সে কাউকে ২য় সুযোগ দেয়না। তপুকে জানেই মেরে দিতো । আমার দিকে কেউ চোখ তুলে তাকাবে … সেই চোখ দিয়ে ২য় বার সে দুনিয়া দেখবে ? তখন রাগ হতো… ঘৃণা করতো তার কাজকর্মকে … কিন্তু এখন দেখি সেইই ঠিক। বাকী সবাই ভুল … ২য় সুযোগ দেয়া মানেই ভুলকে প্রশ্রয় দেয়া … পাগল ছিলো সে … পাগলের মতো ভালোবাসতে। তাকে ঘৃণা করার হাজার কারন থাকলেও ভালোবাসার জন্য ১টা মাত্রই কারন ছিলো । সেটা হলো আমার প্রতি তার ভালোবাসা । তার ভালোবাসা সকল ঘৃণাকে ছাপিয়ে গিয়েছে … যদি তার মতো একটুখানিও ভালোবাসতে পারতাম তাহলে নিজেকে ধন্য মনে করতাম …
বলেই নীড় শুয়ে পরলো ।
মেরিন মনে মনে : এতো ছলনা করেছেন যে বুঝতে পারছিনা এটা ভালোবাসা নাকি ছলনা … আপনাকে ভালোবেসে নিজেকে আরো বেশি ঘৃণা করতে শিখেছি … নিজেকে অনেক ঘৃণা করতে শিখেছি কারন আপনাকে ভালোবেসেছি ।এটা আমার অপরাধ যে আমি আপনাকে ভালোবেসেছি …
নীড় : জান…
মেরিনের ধ্যান ভাংলো …
নীড় : ঘুম পাচ্ছে …
মেরিন : তো ঘুমান …
নীড় : 😒।
মেরিন : বেশি ভালোবাসা ভালো নয় নীড় … কারন বেশি ভালোবাসার বিনিময়ে কেবল আর কেবল ঘৃণাই পাওয়া যায়…
নীড় মুচকি হেসে
বলল : আমি ঘৃণায় তুষ্ট … কারন ঘৃণার আনন্দ আমি পেয়ে গিয়েছি … বুঝতে পেরেছি ঘৃণার সত্যি … ভালোবাসাকে ইচ্ছা করলেই ভুলে থাকা যায়… কিন্তু ঘৃণাকে ইচ্ছা করলেই ভুলে থাকা যায়না …
ভালোবাসার থেকে ঘৃণা অনেক বড়। কারন ভালোবাসা থাকে হৃদয় আর ঘৃণা থাকে হৃদয়ের গভীরে …
মেরিন : ….
নীড় : now come please …
মেরিন গিয়ে চুপচাপ নীড় বুকে মাথা দিয়ে শুয়ে পরলো ।
মেরিন : আমি আপনাকে ঘৃণা করি …
নীড় : আর আমি তোমাকে ভালোবাসি …

পরদিন…
অফিসে কাজ টাজ করে জন বাসায় পৌছালো। আজকাল জনের life টা কেমন যেন হয়ে গিয়েছে । কেবল অফিস যাওয়া আর আসা ছারা । বাসায় পৌছে অবাক হয়ে গেলো। কারন মেরিন দারিয়ে আছে।
জন : মমম্যাম… আপনি ?
মেরিন : any doubt …?
খুশীতে জনের চোখে পানি চলে এলো ।
জন : mam you are back???
মেরিন : কি মনে হয়?
জন : ম্যাম আমি অনেক বেশি happy …
মেরিন : চোখের পানি মানুষকে দুর্বল করে। মুছে ফেলো ।
জন : বসুন বসুন… কোথায় যে বসতে দেই আপনাকে? আপনি আমার বাসায় এসেছেন… আমার বিশ্বাসই হচ্ছেনা।
মেরিন : relax জন…তোমার বাসাটা enough বড় ।
জন : ম্যাম আপনার তুলনায় অনেক ছোট।
মেরিন : shut up…
বলেই মেরিন বসলো।
জন : ম্যাম আপনি বসুন আমি এখনি আসছি।
মেরিন : আরে কো…
জন : ম্যাম ৫মিনিট।
জন নানারকমের খাবার মেরিনের সামনে রাখলো । মেরিন একটু মুখে দিলো।
মেরিন : নীড়ের accident এর আগ পর্যন্ত আমার আগে পিছে ঘটা ঘটনার summery বলো।
জন সবটা বলল।
জন : ম্যান ডক্টর তপু মনে হয়না এমন কিছু করেছে। ওই bloody নী…
আর বলতে পারলোনা। মেরিন এমন ভাবে তাকালো যে জন চুপ হয়ে গেলো।
মেরিন : bloody নীড়? সাহস খুব বেরে গিয়েছে দেখছি… call him sir…
জন : sorry mam… কিন্তু নীড় স্যার খুব বাজে। আপনার memory যেতেই সে নিজের রাজত্ব শুরু করেছন। সব কোম্পানি তার কথা মতো চলে। এমনকি family ও। আর সবথেকে বড় কথা ।তিনি বিশ্বাসঘাতক। আপনার সাথে যা করেছে সেটা…
মেরিন : আমি বুঝবো।
জন : sorry to say mam.। কিন্তু নীড় স্যার লোভী… আপনার property নিজের নামে করিয়েছে। ডক্টর তপুকে বিনা অপরাধে শাস্তি দিলো ।
মেরিন : তোমার বলা শেষ?

জন : sorry mam…
মেরিন : first … নীড় লোভী নয়। কারন উনি লোভী হলে আগেই ভালোবাসার নাটক করতো। উনি বিশ্বাসঘাতক নয়। ছলনাবাজ। বিশ্বাসঘাতক তখন হতো যখন আমাকে ভালোবাসি ভালোবাসি বলে ধোকা দিতো । উনি বরাবরই আমাকে ঘৃণা করি বলেছেন । উনি জঘন্য মানুষ কারন নিজের বাচ্চাকে খুন করেছেন …. যাই হোক… secondly… নীড় তপুদাকে কোনো কারন ছারা প্রহার করেনি… নীড় যেমনই হোক আমি ছারা কারো সাথে অন্যায় করেনা। নিঃসন্দেহে তপুদার দোষ আছে ।
জন : …
মেরিন : এখন তোমার জন্য অনেকগুলো কাজ আছে ।
জন : order করুন ম্যাম।
মেরিন :1st… খোজ লাগাও যে তপুদা সত্যিই কি ভুল মেডিসিন prescribe করেছিলো কিনা? যদি না করে তো নেই। আর যদি করে থাকে তবে কারন খুজে বের করো। যে কেন এমনটা করলো। এবং… এবং এবং এবং… তপুদার সব ভুল-ত্রুটিও খুজে বের করবে। দেখতে চাই কতো ভুলের অপরাধী সে। কারন যে ১টা ভুল করেছে তবে আরও করেছে । আর কতো রোগীকে ভুল মেডিসিন দিয়েছে সেটাও জানতে চাই।
জন : জী ম্যাম।
মেরিন : 2nd… তপুদা ভুল মেডিসিন দিক আর না দিক সেটার অপরাধী মিসেস খান কে বানাতে হবে।
জন : মানে ম্যাম?
মেরিন : মানে খুব সহজ। মিসেস খানকে সবার সামনে আরো ঘৃণার করে তুলতে হবে। বাবা তো ঘৃণা করেই… নীড়ও ঘৃণা করবে। তাই খুব সাবধানে তপুদার কাজের পিছনে মূল মানুষ যে মিসেস খান সেটা প্রমান করতে হবে। বাবার কাছে । তারপর যা করার বাবাই করবে। নীড়ও ঘৃণা করবে। তার মামিমনিকে…
জন অবাক চোখে দেখছে মেরিনকে । এমন করে অপরাধী মেরিন কখনো কাউকে বানায়নি । যা করার সামনাসামনি করেছে ।
মেরিন : এমন করে কি দেখছো ?
জন : কককিছুনা ম্যাম…
মেরিন : মেরিন বন্যাও ছলনার আশ্রয় নিচ্ছে সেটাই ভাবছো তো?
জন : …
মেরিন : নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন যদি আমার সাথে থেকে ভয়ংকর থেকে আরো ভয়ংকর হতে পারে তবে আমি তার সাথে থেকে ছলনা শিখবোনা?
জন : …
মেরিন : যাই হোক… মিসেস খানের যে ড্রামাটা আছে । সেটা ২-৩দিন পর করবে …. is everything clear?
জন : জী ম্যাম…
মেরিন চলে গেলো ।
জন : হয়তো নতুন ঘৃণার খেলা শুরু…

নীড় : কোথায় গিয়েছিলে? 😤।
মেরিন : …
নীড় : বলছোনা কেন কোথায় গিয়েছিলে? তপুর কাছে ?
মেরিন : গগগিয়েছিলাম তো ডডডক্টর তপুর কাছেই। পরে ভভভাবলাম যে আমি যদি “উনার” সাথে দেখা করতে যাই তাহলে “উনি” আরো বিপদে পরবেন….
তপুর জন্য “উনি-উনার” শব্দটা শুনে নীড়ের মেজাজ বিগড়ে গেলো । ১টানে মেরিনকে বেডে ফেলে চেপে ধরে
বলল : বলেছিনা তুমি উনি কথাটা কেবল আমার জন্য বলবে আর কারো জন্য না। এই শব্দটা আমার নেশা হয়ে গিয়েছে…
মেরিনের হাত থেকে রক্ত বের হচ্ছে। হাতে কাচের চুপি ছিলো। সেটা ভেঙে গি়য়েছে। আর সেটা লেগেই রক্ত পরছে। মেরিন কোনো react করলোনা । ও নীড়ের চোখের ভয়ংকর রাগের পরিমাপ করতে ব্যাস্ত । নীড়ের চোখ বরাবরই ওর দুর্বলতা । এই ১টা জায়গাতেই ও ধরা খেয়ে যায় । নিজের আবেগ-অনুভূতি লুকাতে পারেনা… নীড় হাতে ভেজা কিছু অনুভব করে দেখলো মেরিনের হাত থেকে রক্ত পরছে । তারাতারি উঠে বসলো । মেরিনের হাতে রক্ত দেখে নীড় অস্থির হয়ে উঠলো । first aid boxএনে। ব্যান্ডেজ করে দিলো । মেরিন অবাক চোখে নীড়ের পাগলামো দেখছে ।
নীড় : i am sorry জান… i am really very sorry… বি…
মেরিন : i hate you… ঘৃণা করি আপনাকে …
বলেই মেরিন নিচে চলে গেলো । ২-১ঘন্টা পর মেরিন আবার রুমে এলো । এসে তো চোখ চরকগাছ । কারন নীড় হাত কেটে বসে আছে। মেরিনের তো সামান্য একটু কেটেছে । আর নীড়… নীড় অনেকটা হাত কেটেছে । ১হাত থেকে রক্ত ঝড়ছে আর অন্য হাতে ছুড়ি ঘোরাচ্ছে …
মেরিন : নীড়…
মেরিন ছুটে নীড়ের কাছে গেলো ।
মেরিন : এএএকি আআআপনার হাত কাটলো কি করে ?
মেরিন নীড়ের হাতে ব্যান্ডেজ করতে লাগলো । সেই সাথে নীড়কে বকতে লাগলো । মেরিনকে অবাক চোখে দেখছে নীড়।
নীড় মনে মনে : কেন যেন কিছুদিন ধরে তোমার আচরনে আমি আমার #ঘৃণার_মেরিন কে দেখতে পাচ্ছি … কিন্তু আমার বনপাখি কোনোদিনও যে আমার মাথায় হাত দিয়ে মিথ্যা বলবেনা ….
মেরিন : এসব করে কি প্রমান করতে চাইছেন? হ্যা ? বলুন … বলুন কি প্রমান করতে চাইছেন ? এটাই যে আপনি আমাকে ভালোবাসেন? আপনি যা করছেন তা আর যাই হোকনা কেন ভালোবাসানা… আমি জানিনা এর মানে কি ? কিন্তু এটা জানি যে এগুলো ভালোবাসানা । ফালতু ফুলতু … নিন খেয়ে নিন…
নীড় : আমি হাত দিয়ে খেতে পারবো …
মেরিন : খান … আমি গেলাম ….
মেরিন সত্যিই চলে গেলো ।
নীড় : যা সত্যিই চলে গেলো ।ধ্যাত…

৩দিনপর…
সবাই নিচে একসাথে বসে খাবার খাচ্ছে । তখন কবির রেগে আগুন হয়ে বাড়িতে ঢুকলো ।
কবির : কনিকা …
কবিরের ডাক শুনে সারা বাড়ি কেপে উঠলো ।
কনিকা : কককি হয়েছে ?
কবির ঠাস করে কনিকাকে থাপ্পর মারলো ।
দাদুভাই : কবির … কনিকার ওপর রাগ করা জায়েজ আছে তাই বলে ওর গায়ে হাত তুলবে সেটা আমি মেনে নিবোনা …
কবির : খামোখা ওকে থাপ্পর মারিনি বাবা । ও তো বিষধর সাপের থেকেও জঘন্য । ও কি করেছে জানো ?
নীড় :কি করেছে মামিমনি ? যে তুমি মামিমনিকে এমন করে মারলে … 😤।
কবির : মামিমনিকে থাপ্পর মারলাম বলে কষ্ট লাগলো নীড়? আর যখন আমার মেয়েকে তুমি থাপ্পর মারতে তখন?
নীড় : …
কবির : anyway …. ওগুলো ঘাটতে চাইনা । তুমি আমার মেয়ের জীবন বাচিয়েছো সেটাই অনেক। আর হ্যা … সেদিন তুমিই ঠিক ছিলে যে তপু বাবুইপাখিকে ভুল মেডিসিন prescribe করেছিলো । আর কেন করেছিলো জানো ?
নীড় : কেন ?
কবির : তপু সব করেছিলো ওই মহিলার কথায়… কনিকার কথায় …
নিহাল : কি ???
কবির : হ্যা ।
নীড় : মামা তুমি মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছো ।
কবির : না আমি কনিকা খান , না আমি নীলিমা চৌধুরী আর না আমি নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন যে কারো ওপর মিথ্যা অপবাদ দিবো । যা বলছি প্রমান পেয়েই বলছি ।
নীড় : কে প্রমান দিলো ? ওই ডক্টর তপু ?
কবির : না … আর তুমি যেই মামিমনির support করছো জানো সে এসব কেন করেছে ? করেছে কারন তোমাকেই সে বাবুইপাখির জীবন থেকে সরাতে চাইছে । কারন এখন মেরিন তপুর ভালোগিরির জন্য ওর প্রতি দুর্বল ।
কনিকা : কি যা তা বলছো?
কবির : ঠিকই বলছি।
বলেই কিছু প্রমান ছুরে মারলো । যেগুলো ছিলো মেরিনের সাজানো প্রমান। যেগুলো দেখে নীড়ও কনিকাকে ঘৃণা করতে শুরু করলো । মেরিন গুটিগুটি পায়ে কনিকার কাছে এগিয়ে গেলো ।
মেরিন : ততুমি না আআআমার আম্মু লাগো …. তততাহলে কেন আমার সাথে এএএমন করলে ?
মনে মনে : what an actor am i?
কনিকা : বিশ্বাস কর মা… আমি …
নীড় : জান… আমি রুমে যেতে চাই … please help me …
মেরিন নীড়কে ধরে ওপরে নিয়ে যেতে লাগলো ।
কনিকা : নীড় বাবা বিশ্বাস করো আ…
নীড় হাত দিয়ে ইশারা করে থামিয়ে দিলো ।
নীড় : not a single word… মিসেস খান। আপনি আমাকে ছোটবেলা থেকে অনেক স্নেহ-ভালোবাসা দিয়েছেন । তাই নিজের হাতে আপনাকে খুন করতে হাত কাপবে। তাই খুন করতে চাইনা আপনাকে । তাই যদি মরতে না চান তবে চুপ থাকুন।কারন এখন যাই বলবেন মিথ্যা কথাই বলবেন।so shut up please … চলো মেরিন …
নীড়ের কথায় কনিকা যথেষ্ট কষ্ট পেলো । মিথ্যা অপবাদ যে কতো ভয়ংকর সেটার কিছুটা কনিকা আজকে বুঝতে পারলো … আর মেরিনের মনে পৈশাচিক আনন্দ ।
মেরিন : poor মিসেস খান …কান্না করো… আরো কান্না করো… তোমার কান্না দেখে আমি স্বর্গীয় সুখ পাচ্ছি …

রাতে…
নীড় বারান্দায় বসে কান্না করছে ।
নীড় মনে মনে : মামিমনি এটা কি করলে? আমি তোমাকে কোনোদিনও ক্ষমা করতে পারবোনা । তুম… ১মিনিট … এখানে মেরিনের হাত নেই তো … ওর মুখের reaction গুলো … আর সেদিন ও রক্ত দেখেও তেমন react করলোনা । কিছুই বুঝতে পারছিনা…
মেরিন : ঘঘঘুমাবেন না ?
নীড় পিছে ঘুরলো । মেরিনকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করতে লাগলো । আধোও কি কখনো এই মেরিন বন্যা নামের রহস্যকে ও বুঝতে পারবে।
মেরিন : অনেক রাত হয়ে গিয়েছে ।
নীড় : তোমার মনটা অনেক খারাপ তাইনা ?
মেরিন : কককেন মন খারাপ হবে কেন ?
নীড় সন্দেহর দৃষ্টিতে তাকালো ।
মেরিন : অতীত আমি জানিনা। বর্তমানে আপনি ওই মহিলাটাকে এনে বলেছেন যে তিনি নাকি আমার মা । অথচ আমার মা মরে গেছে … তাই জানিনা আমার কষ্ট পাওয়া উচিত নাকি না পাওয়া উচিত….
নীড় কিছু বললনা ।
মেরিন মনে মনে : আপনাকেও শাস্তি পেতে হবে নীড়… আরেকটু সুস্থ হন। এরপর বুঝবেন…
.
চলবে….