ঘৃণার মেরিন

ঘৃণার মেরিন Season 3 !! Part- 24

মেরিন : ডক্টর তপুহ…
মেরিন ছুটে তপুর কাছে গেলো ।
মেরিন : ডক্টর তপু আপনি ঠিক আছেন? ওই লোকটা আপনার কিছু করেনি তো?
তপু : না। আমি ঠিক আছি। এখন তোমার কেমন লাগছে ?
মেরিন : ভালো।😊।
নীড় দাত কটমট করতে লাগলো। ওদের দিকে এগিয়ে গেলো। মেরিনের কাধে হাত রাখলো । মেরিন চমকে উঠলো।
নীড় দাতে দাত চেপে বলল : ডক্টর তপু you may go now. its our bedroom …. public visitor place নয়। যে treatment করে দারিয়ে থাকবে। out please …
তপু নীড়ের কথা ignore করে
বলল : নিজের খেয়াল রেখো । কেমন?
মেরিন মিষ্টি হাসি দিয়ে বলল : হামম।
তপু মেরিনের ঠোটের কোনে হাসি দেখে থেমে গেলো ।
নীড় ঝারি মেরে বলল : i said go…
বলেই পকেটে থাকা টুনি ট্যাক ছুরিটা দিয়ে তপুর হাতে আঘাত করলো ।
তপু চলে গেলো । নীড়ের ঝারিতে আর আঘাত করাতে মেরিন ভয়ে কাজুমাজু হয়ে গেলো।

নীড় : অনেক রাত হয়ে গিয়েছে জান। চলো ঘুমাবে । এমনিতেই আজকে তোমার শরীরটা ভালোনা ।
মেরিন : …
নীড় : কি হলো? এতো ভয় পাচ্ছো কেন?
মেরিন : আপনি পচা।
বলেই মেরিন দৌড়ে গিয়ে blanket মুরি দিয়ে শুয়ে পরলো। ১টুও ফাক রাখেনি। যদি নীড় পিটানি দেয় । নীড়ের ভীষন হাসি পেলো। নীড় গিয়ে মেরিনের পাশে শুয়ে পরলো ।
নীড় : আহারে আজকে আমার কপালে blanket নেই।
মেরিন : 😶।
নীড় প্রথমে ১টা blanket সরালো।
মেরিন : আম্মু…
এরপর নীড় মেরিনকে কাছে টেনে বুকে জরিয়ে নিলো।
মেরিন : আপনি ডডডক্টর তপুকে মমমারলেন কেন?
নীড় : কারন ও তোমার check up করার পর ঠ্যাটার মতো এখানেই দারিয়ে ছিলো । তুমি ওকে দেখে হেসেছো । তাই …
মেরিন : আরে হেসেছি আমি আর মারলেন তাকে….? আমাকে মারা উচিত ছিলো।
নীড় : তোমাকে আর আঘাত করার সাহস আমার নেই। let me sleep …
.
ওদিকে…
কনিকা : কবির…
কবির : তুমি আমার রুমে পা রেখেছো কোন সাহসে?
কনিকা : আমাকে কি ১টা বার ক্ষমা করা যায়না?
কবির : ক্ষমা? ক্ষমা মানে কি জানো? জানো তুমি? নিজে ১টা নাবালিক বাচ্চাকে ক্ষমা করতে পারোনি আর নিজে ক্ষমা চাইছো কোন মুখে?
কনিকা : তততুমি তো জানো আমি অন্যায়কে কখনোই প্রশ্রয় দেইনা । আর আমি ভেবেছিলাম যে যদি এতোবড় ভুলের জন্য ওকে ক্ষমা করি তবে ওর সাহস বেরে যাবে । আর জেল থেকে বের হওয়ার পর ও এমন উগ্র হয়েছিলো যে কারো কথাই শুনতো না। হ্যা আমার দোষ ছিলো নিজের সন্তানের ওপর বিশ্বাস রাখা । কিন্তু আমি রাখিনি। আমার উচিত ছিলো মাথা ঠান্ডা রেখে ভালোভাবে মেরিনের সাথে কথা বলা। বলিনি… সত্যিটা বিবেচনা করে দেখার দরকার ছিলো। দেখিনি… নিজের মেয়ের জীবন নষ্ট করে দিয়েছি… আমাকে শাস্তি দাও। কিন্তু আমার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিওনা।। আমি তোমাকে ভীষন ভালোবাসি ।
কবির হা হা করে হাসতে লাগলো।
কবির : আমার মেয়েটাও নীড়কে ভীষন ভালোবাসতো । কিন্তু শুধু তোমার জন্যেই আজকে আমার বাবুইপাখির এই করুন পরিনতি। ঘৃণা করি তোমাকে। ভীষন ঘৃণা । চলে যাও আমার চোখের সামনে থেকে।

অন্যদিকে…
তপু : মেরিন কি তবে আমাকে like করতে শুরু করেছে? নীড়কে ভুলে … না না এখন তো কেবল ওর স্মৃতিশক্তি নেই বলে । স্মৃতি ফিরে এলে তো নীড়কেই ভালোবাসবে । না না মেরিনের memory যাওয়ার আগে থেকেই তো মেরিন নীড়কে ঘৃণা করে।
রাজু : স্যার i have a plan….
তপু : plan ? কিসের plan?
রাজু : মেরিন ম্যামের মনে চিরকাল আপনার থাকার plan ?
তপু : মানে ?
রাজু : মানে খুব সহজ। আপনি মেরিন ম্যামের মেডিসিনটা পাল্টে দিন। যেন মেরিন ম্যামের memory না ফিরে আসে । মানে ম্যাম সুস্থ থাকবে কিন্তু memory থাকবেনা ।
তপু : রাজু… 😠…
রাজু : sssorry sir… আসলে আমি যা বলেছি আপনার জন্যেই বলেছি । কারন আমি জানি আপনি ম্যামকে কতোটা ভালোবাসেন ।
.
পরদিন …
মেরিন সিরি দিয়ে নামছে তখন দেখলো যে দাদুভাইয়ের হাত থেকে রক্ত পরছে। আর পাশেই নীড় পায়ের ওপর পা তুলে বসে আছে। অন্যদিকে মুখ করে। মেরিন মনে করলো নীড়ই দাদুভাইয়ের হাত কেটেছে । কিন্তু আসলে ফল কাটতে গিয়ে দাদুভাইয়ের হাত কেটেছে । নীড় ধরতে গেলে দাদুভাই খবরদার বলে দিয়েছে । দাদুভাইয়ে হাত কাটা দেখে নীড়ের ভীষন কষ্ট হচ্ছে । তাই অন্যদিকে মুখ করে রেখেছে ।
মেরিন : দাদুভাই…
দৌড়ে দাদুভাইয়ের কাছে গেলো। ব্যান্ডেজ করে দিলো ।
মেরিন : আপনি কি মানুষ ? এই বয়ষ্ক লোকটার হাত কেটে রক্ত বের করতে লজ্জা করেনা? ছিঃ…
নীড় যেন আকাশ থেকে পরলো। মেরিন বলছো কি এসব ?
দাদুভাই : দিদিভাই তুমি ভুল ভ…
মেরিন : ভুল করলে বেশ করেছি । এই ভুলের জন্য যদি উনি আমাকে মেরে ফেলে তো ফেলবে। এটা কোনো ভুল না প্রতিবাদ । উনির একের পর ভুল করেই যাবে আর কেউ কিছু বলবোনা? মুখ বুঝে সহ্য করবো? no never… অসভ্য বাজে লোক। পশুর থেকেও নিকৃষ্ট । আপনার জায়গায় আমি থাকলে না মরে যেতাম। কারো মন যে এতো কুৎসিত হতে পারে সেটা আপনাকে না দেখলে জানতাম না । বুক কাপলোনা এমনটা করতে। চলো তো দাদুভাই rest করবে ।
নীড়ের চোখের কোনে পানি চলে এলো । তখন শুনতে
পেলো : এতোটুকু ঘৃণা মেনে নিতে পারছোনা …
নীড় পিছে ঘুরলো । দেখলো নিহাল দারিয়ে আছে ।
নিহাল : এই ২-৩ মাসের ঘৃণা মেনে নিতে এতো কষ্ট হচ্ছে । অথচ মেয়েটা ১২-১৩ বছর এর থেকে হাজারগুন ঘৃণা-অপবাদ মেনে নিয়েছে… ভেবে দেখেছো?
নীড় কোনো জবাব না দিয়ে গাড়ি নিয়ে চলে গেলো । নীড় উন্মাদের মতো drive করছে । এতোটুকু কটু কথা ওর সহ্য হলোনা। আর মেরিন কতো কি সহ্য করেছে । নিজের নানাভাইকে ছোট্ট আঘাত করার অপবাদ মেনে নিতে ওর কতোটা কষ্ট হচ্ছে। আর মেরিন… মেরিন তো নিজেক বাবার খুনের অপবাদ নিয়ে এতোগুলো বছর কাটালো। জেল খাটলো। নিজের ছেলেবেলা হারিয়ে ফেলল।
দাদুভাই : দিদিভাই কি করলে এটা বলো তো?
মেরিন : ঠিকই করেছি॥ উনার সাহস কি করে হয় তোমাকে আঘাত করার। হাত কাটার?
দাদুভাই : নীড় কিছুই করেনি।
মেরিন : মানে?
দাদুভাই : মানে হলো এই যে ফল কাটতে গিয়ে আমার হাত কেটে গিয়েছে। ও আমার হাতে ব্যান্ডেজ করতে এসেছিলো। আর আমি যা তা বলেছি । তুমি অকারনে এমনটা বললে।
মেরিন : বেশ করেছি। উনি খুনী। তাই ওনাকে এমন করেই বলার দরকার । যাই হোক। তুমি কেন ফল কাটতে গেলে বলো তো… সসসবাই কি মরে গেছে নাকি?

সকাল গরিয়ে রাত হয়ে গেলো । নীড় এখনও ফিরলোনা ।
মেরিন : নীড় এখনও ফিরলো না কেন ? এই কদিনে তো উনি ১দিনও এমন করেনি। তাহলে ? এখনও আসছেন না কেন ?
মেরিন বারান্দায় দারিয়ে বাহিরের দিকে দেখছিলো । আর এগুলো ভাবছিলো । তখন ঝড়ের বেগে নীড় এসে মেরিনকে জরিয়ে ধরলো । মেরিন নীড় স্পর্শ চিনে গেছে। তাই react করলোনা । কিন্তু মেরিন বেশ বুঝতে পারছে যে নীড় কান্না করছে । স্মৃতিশক্তি না থাকলেও নীড়ের কান্না মেরিনের সহ্যসীমার বাইরে ।
মেরিন : রাত দদদুপুরে কককি ঢঢঢং শুরু করেছেন। ছছারুন। ঘুমাবো।
নীড় কোনো রকমে নিজেকে সামলে নিয়ে চো়খের পানি মুছে মেরিনকে ছারলো।
নীড় : রাতে খেয়েছো? মেডিসিন নিয়েছো?
মেরিন : জানিনা। huh…
বলেই মেরিন গিয়ে শুয়ে পরলো। fresh হয়ে নীড়ও শুয়ে পরলো । তবে আজকে আর মেরিনকে বুকে জরিয়ে নিলোনা। মেরিন বেশ অবাক হলো।
মেরিন মনে মনে : ভালোই হয়েছে। আজকে একটু আরামসে ঘুমাতে পারবো।
কিন্তু দেড় ঘন্টার মধ্যেই মেরিনের ধারনা ভুল প্রমানিতো হলো । কারন আরামসে ঘুম তো দূরের কথা ঘুমই এলোনা মেরিনের।
মেরিন মনে মনে : এই খুনী লোকটা কি বিদঘুটে অভ্যাস করে দিয়েছে এই কদিনে আমার …
নীড়েরও ঘুম আসেনি। ও ঘুমানোর অভিনয় করে মেরিনের কান্ড কারখানা দেখছে। আর মনে মনে হাসছে । দেখে রাত ২টা বেজে গিয়েছে । মুচকি হেসে ১টানে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো । কপালে কিস করলো ।
মেরিন : 😒।
নীড় : জান… আমার বুকে মাথা না রাখলে আপনি ঘুমাতে পারবেননা । হ্যা ওই কয়দিন মেডিসিনের প্রভাবে ঘুমিয়ে পরতে । কিন্তু normally তুমি ঘুমাতে পারবেনা জান … আর না আমি পারবো । নাও এখন ঘুমিয়ে পরো … i love you….

২দিনপর …
তপু নিজের মন মস্তিষ্কের সাথে লড়াই করে রাজুর কথাই মেনে নিলো। ও ঠিক করলো সেই মেডিসিন prescribe করার যেগুলো নিলে কখনো মেরিনের memory ফিরবে না। ও নীড়কে ফোন করলো।
নীড় : হ্যালললো ডক্টর তপু…
তপু : হ্যালো । নীড় ১টা কথা ছিলো ।
নীড় : কোনো শুভক্ষনের অপেক্ষা না করে বলে ফেলো।
তপু : না মানে মেরিনের regular check up করানোর দরকার। কিছু test করাতে হবে। দেখতে হবে যে মেডিসিন গুলো effect করছে কিনা ? তুমি যদি চাও তো আমার কাছেও আনতে পারো। না হলে অন্য ডক্টরের কাছে নিতে পারো । আমার কাছে মেরিনের সুস্থ থাকাটা জরুরী ।
নীড় : you know what তপু… ? you are the necessary evil.. আজকে বিকালেই আসছি ।
তপু : ok…
বিকালে নীড় মেরিনকে নিয়ে হসপিটালে গেলো । রিপোর্ট টিপোর্ট করালো। তপু prescription দেয়ার সময় ওর হাত কাপতে লাগলো। নীড় বিষয়টা লক্ষ্য করলো ।
নীড় : তপু তোমার হাত কাপছে কেন?
তপু : কোথায় না তো?
নীড় : চলো জান ।
তপু : মেরিন ..
মেরিন : জী ডক্টর তপু…
তপু : take care…
মেরিন : হামম।।😊। আপনিও ভালো থাকবেন।
নীড় : চলো জান….
ওরা পৌছালো চৌধুরী বাড়িতে।
মেরিন : এএএটা কককোন জায়গা ?
নীড় কোনো কথা না বলে মেরিনকে কোলে তুলে ভেতরে নিয়ে গেলো। ভেতরে ঢুকে মেরিন দেখলো সবাইই আছে।
নীড় : আজকে থেক সবাই এখানেই থাকবে। শশুড়বাড়িতে থাকা কি নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষনকে মানায়?
.
রাতে…
কনিকা মেরিনকে খাবার খাইয়ে মেডিসিনি খাওয়াতে নিলো । কোথায় থেকে নীড় ঝড়ের বেগে ছুটে এসে কনিকার হাত থেকে ঔষধ ফেলে দিলো ।
কনিকা : কি করলে এটা নীড়? ফেললে কেন?
নীড় : মামিমনি এই মেডিসিন ভুল মেডিসিন।
কনিকা : মানে ?
নীড় : মানে ডক্টর তপু মেরিনকে ভুল মেডিসিন prescribe করেছে। যেন মেরিন কখনো ঠিক না হয়।
কনিকা : কি বলছো কি?
নীড় : হ্যা ।
মেরিন : stop it নীড়। খামোখা ডক্টর তপুর ওপর অপবাদ লাগানো বন্ধ করুন।
নীড় : আমি অপবাদ লাগাচ্ছি ?
দাদুভাই : অবশ্যই । অপবাদই তো লাগাচ্ছো । তপু কোনোদিনও দিদিভাইয়ের ক্ষতি চাইবেনা।
নীড় : তাহলে কি আমি ক্ষতি চাই মেরিনের…
নিহাল : i think সবাই জানে মামনির ক্ষতি কে চায়…
নীড় : তোমরা আজকে তপু তপু করছো । তপু বলতে তোমরা অজ্ঞান হয়ে গিয়েছো। আমি এইমাত্র prescription টা অন্য ডক্টরকে দেখিয়ে এলাম। তিনিই সব বললেন। সেই ডক্টরকে জিজ্ঞেস করে দেখো ।
কবির : টাকা দিয়ে সব হয় ।
নীড় : ওওও…. right you are। আসলে ভুলটা আমারই। করতে থাকো তোমরা তপু তপু জপ…. আমি তো করবোনা । তবে হ্যা তপুর কাজের জন্য শাস্তিতো তপুকে পেতেই হবে। ডন… ডন…
ডন : yes sir…
নীড় : আধা ঘন্টা সময় দিলাম তপুকে এখানে নিয়ে এসো ।
ডন : sure sir…
ডন গেলো।
নীড় : তোমাদের সকলের ভালোবাসার তপুকে আমি তোমাদেরই সামনে শাস্তি দিবো।
মেরিন : কককি করবেন আপনি ডক্টর তপু সাথে?
নীড় : দেখতেই পাবে।
মেরিন : খখখুন?
নীড় : বললাম তো দেখতেই পাবে ।
মেরিন : ppplease ডক্টর তপুকে মারবেন না। please ….
নীড় : 😏

আধাঘন্টাপর…
সবার হাত-পা বাধা । সবাই দর্শকের আসনে বসে আছে । ডন তপুকে নিয়ে এলো । তপুর মুখে টেপ দেয়া । তপু বসে আছে। নীড় তপুর চারদিকে ১বার ঘুরলো। এরপর তপুর ডান হাতটা ধরলো।
নীড় : এই হাত দিয়ে তুই আমার জানকে ভুল ঔষধ prescribe করেছিস… এই হাত দিয়েই… তাইনা …?
বলেই তপুর হাত দিলো ১টা মোচর । খট করে শব্দ হলো। ব্যাথায় তপুর জান যায় যায়।
মেরিন : ডক্টর তপু…
নীড় : chill জান… হাত তো এখনও করলামই না। কেবল ১বার মোচর দিলাম। হাজারটা মোচর দিবো ।
নীড় ৪-৫বার তপুর হাত মোচর দিলো। এরপর হাতটা কেটেই ফেলল। আর রক্ত দেখে মেরিন আবার অস্থির হয়ে গেলো । অজ্ঞান হয়ে গেলো ।
.
একটুপর…
মেরিনের জ্ঞান ফিরলো। পাশেই নীড়কে দেখে ভয় পেয়ে উঠে বসলো ।
নীড় : জান… তু…
মেরিন : আআগে বারবেন না …
নীড় জান বলে মেরিনের হাত ধরতে গেলে মেরিন
বলল : dddon’t touch … আপনিহ খুনী। আপনি বাজে লোক।
নীড় : আমি জানি।দেখি দেখি তোমার জ্বর কমেছে কিনা?
মেরিন : একদম ধরবেন না আমায়। আপনি বাজে লললোক।
নীড় : ডক্টর তপু বুঝি ভালো ??? 😏।
মেরিন : অবশ্যই ভালো আপনার মতো নয় । আপনার স্পর্শ আমার ঘৃণা করে । আপনাকেও ঘৃণা করে।
নীড় : আমাকে মানলাম ঘৃণা করে। ভালো কাকে লাগে? সেটাও তপুকে?
মেরিন : হ্যা । তপু খুবই ভালো মানুষ.. তাই তাকে ভালো লাগে।
ভালো লাগে কথাটা শুনে নীড়ের রাগ উঠে গেলো।
নীড় : অনেক বলেছো মেরিন এবার থামো।
মেরিন : না থামবোনা। কি করবেন কি আপনি ? হ্যা?
মেরিন যা তা বলতে লাগলো। নীড় বারবার মেরিনকে থামতে বলল। কিন্তু মেরিন থামলো। ১পর্যায়ে রাগের মাথায় মেরিন
বলে ফেলল : ভালোইবাসি ডক্টর তপুকে …
ব্যাস আর কি লাগে ।
নীড় : enough …
মেরিন কেপে উঠলো। তবুও বলতে
লাগলো : ডক্টর তপুকে ভালোবাসি ভালোবাসি ভা…
আর বলতে পারলোনা । নীড় মেরিনের ঠোট জোরা দখল করে নিলো । এরপর romance করতে লাগলো।
🥱🥱🥱।
romance বলতে নীড় নিজের রাগ কমাতে লাগলো । কিন্তু নীড়ের এই আচরন মেরিনের মনে আরো ঘৃনা বারিয়ে দিলো।

৪দিনপর …
রাত ১২টা…
মেরিনের ঘৃণা সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে গেছে । নীড় হাজারবার sorry বলেছে । তবুও লাভ হয়নি । নদীর ওপর নীড়-মেরিন। মেরিন নীড়কে পেছন দিয়ে দারিয়ে আছে ।
নীড় : এখন ১৯শে নভেম্বরের ১ম প্রহর। happy married anniversary জান… অবাক লাগছে যে আমাদের বিয়ের ২বছর হয়ে গেলো । ২বছর ? না আসলে তো ১৩বছর। এই ১৩বছরের লম্বা সময়ে অনেক কিছু ঘটে গিয়েছে । তুমি অনেক কিছু সহ্য করেছো। হাজার অপবাদ , হাজার ঘৃণা , হাজার অপমান … অনেক কিছু সহ্য করেছো । কিভাবে করেছো জানিনা। আমি তো এই ২-৩মাসেই হাপিয়ে উঠেছি … যাই হোক ওই প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে তোমাকে ১টা কথা বলতে চাই… যেটা কোনোদিনও তেমন করে তোমাকে বলা হয়নি … হয়তো তোমার মন শুনতে চাইতো …
মেরিন : …
নীড় : ভালোবাসি … অনেকবেশি ভালোবাসি তোমাকে।
নীড়ের মুখে ভালোবাসি কথাটা শুনে । মেরিনের বুকটা ধুক করে উঠলো ।
নীড় : একটু এদিকে ঘুরবে প্লিজ…
মেরিন ়ঘুরলোনা । তাই নীড়ই মেরিনের মুখোমুখি গিয়ে দারালো ।
নীড় : তোমার মতো সহ্যসীমা আমার নেই। ঘৃণা সহ্য করার ক্ষমতাও আমার নেই। আমি কিছুতেই ভেবে পাচ্ছিনা তুমি এতো কি করে সহ্য করেছো ।
নীড় গান বের করে মেরিনের হাতে দিলো।
নীড় : সময় আবার উল্টো ঘুরে গেলো ।তবে আজকে তোমার জায়গায় আমি আর আমার জায়গায় তুমি… এই গানটা লোড করাই আছে । shoot me… গুলি করো আমাকে। মেরে ফেলো। সব ঘৃণার অবসান করো।
কথাটা শুনে মেরিনের বুকটা কেপে উঠলো ।
নীড় : মারো আমাকে।
মেরিনের ক্ষমতা নেই নীড়কে shoot করার। মেরিন গানটা পানিতে ফেলে দিলো ।
মেরিন : আমি আপনার মতে খুনী নই যে খুন করবো…
নীড়ও এই কথাটাই ১দিন মেরিনকে বলেছিলো।
মেরিন : আপনি আমার হাতে মৃত্যুও পাবেন না।
নীড় : …
মেরিন : চলুন। বাসায় ফেরা যাক।
২জন মাঝ নদী থেকে তীরে এলো। নীড় car start দিলো। নীড় drive করতে লাগলো । চোখ দিয়ে পানি ঝরছে । হাজার চেষ্টা করেও থামাতে পারছেনা । নীড়ের চোখের পানি মেরিনের বুকে তুফান তুলেছে ।

কিছুক্ষনপর …
গাড়িটা থেমে গেলো। কারন tire puncture হয়ে গেলো। ২জন গাড়ি থেকে নামলো । নীড় change করতে লাগলো । মেরিন দেখলো জোনাকির মেলা । একে পূর্নিমার রাত । আরেকদিকে ঝাকে ঝাকে জোনাকির আলো। যে কারোই মন ভরে উঠবে । মেরিনের মনটা ভরে উঠলো। মেরিন জোনাকির পিছে ছুটতে লাগলো। নীড় নিজের কাজে ব্যাস্ত তারওপর মনটাও ভীষন খারাপ । গভীর রাত হলেও highway হওয়াতে গাড়ি টারির আনাগোনা আছে। সেই সাথে বড় বড় ট্রাক-লড়িরও আসা যাওয়া আছে । মেরিন খেয়ালই করেনি যে ১টা ট্রাক ওর সামনে চলে এসেছে । আর যখন দেখলো তখন ভয়ে জমে গেলো । চোখ বন্ধ করে নিলো । পরমুহুর্তেই ১টা ধাক্কা অনুভব করলো। ঠিক হয়ে দারিয়ে পিছে ঘুরতেই দেখলো নীড়ের রক্তাত্ব দেহটা রাস্তার মাঝখানে পরে আছে ।
মেরিন : নীড় …
মেরিন ছুটে নীড়ের কাছে গেলো।
মেরিনের মুখ দিয়ে বেরিয়ে
এলো : জানহ্….
মেরিনের মুখে জান শুনে নীড় ১টা হাসি দিয়ে জ্ঞান হারালো। নীড়ের এমন অবস্থা দেখে মেরিনের কেন যেন সবটা মনে পরে গেলো ।
😒😒😒।
.
চলবে….