ঘৃণার মেরিন Season 3 !! Part- 23
নীড় : নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন …
তপু আর মেরিন পিছে ঘুরলো। দেখলো নীড় দারিয়ে আছে । নীড়কে দেখে মেরিন ভয় পেয়ে তপুর পেছনে গিয়ে লুকালো । তপু শার্ট খামছে ধরলো । তপু্র পেছন থেকে উকি দিয়ে নীড়ের দিকে তাকালো । নীড়ও ২পকেটে ২হাত দিয়ে ঘাড়টা কাত করে মেরিনের দিকে তাকালো । মেরিনের চোখে নিজের জন্য ভয় আর ঘৃণা দেখে নীড়ের বুকে চিনচিন ব্যাথা অনুভব করলো ।
তপু : নীড় তুমি?
নীড় : হামম আমি।
মেরিন : শশশুনুন… ডক্টর তপু।
তপু : হামম বলো ।
মেরিন : ওইযে উউউনিই খখখুন করেছে।
তপু : কি ???
নীড়-মেরিন : হ্যা উনিই/আমিই খুন করেছে/করেছি।
তপু : তুমি খুন করেছো নীড়? এতোটা নিচে নেমেছো ?
নীড় : নিচে নেমেছি? what rubbish… আমি মানুষরূপী শয়তানকে মেরেছি। মনিরকে… একদম শেষ করে দিয়েছি । whatever … জান চলো ডিনার করবে। কাম .. কাম কাম কাম।
মেরিন : নননা আমি আপনার সাথে যযযাবোনা। আপনি খুনী। আমাকেও খুন করবেন… আমি যাবোনা । আমি আপনাকে #ঘৃণা করি।
ঘৃণা করি কথাটা শুনে নীড় হাহা করে হাসতে লাগলো।
নীড় : আরেকবার বলবে প্লিজ … তোমার মুখে ভালোবাসির থেকে ঘৃণা শুনতে অন্যরকম ভালো লাগলো।।once more জান … আরেকবার ঘৃণা করি বলো।
নীড়-মেরিনের ভালোবাসা তো আমার মাথাতেই ঢোকেনা তো তপুর মাথায় কি করে ঢুকবে?
তপু : নীড় … বাসার সবাই মেরিনের চিন্তা করছে । ওকে নিয়ে যেতে দাও। আর তুমি বাসায় যাও।
নীড় : তপু… আমাদের মধ্যে তোমাকে আর তোমার কথা কি মানায় ? একদমনা। যেখানে মেরিন বন্যা নীড় খান চৌধুরী কাউকে ২য় সুযোগ দেয়না সেখানে আমি কি করে দেই। তাই ১ম আর শেষ বারের মতো বলছি এখন চুপচাপ এখান থেকে প্রস্থান করো। না হলে আমার করাতে হবে।
তপু মেরিনের হাত ধরলো। নীড়ের সামনে গিয়ে দারালো।
তপু : মেরিন বন্যা হতে চাইছো ? কোনোদিনও পারবেনা। চলো মেরিন।
নীড় বাকা হাসি দিয়ে পকেট থেকে injection বের করে দুম করে তপুর কাধে push করলো।
নীড় : এটা আমার মেরিনের হাত ধরার শাস্তি। ডন…
মেরিন : ডক্টর তপু।
নীড় মেরিনের অন্যহাতে টান দিয়ে নিজের কাছে নিলো।
ডন : জী স্যার…
নীড় : একে এর বাসায় পৌছে দাও । আমার জানের জান অনেকবার বাচিয়েছে। এর কষ্ট হলে আমারও কষ্ট হবে। চলো জান…
বলেই মেরিনকে কোলে তুলে হাটা ধরলো।
মেরিন : নামান আমাকে … নামান… আপনি খুনী আপনি পচা … আমি বাবার কাছে যাবো। দদদাদুভাইয়ের কাছে যযযাবো। ডডডক্টর তপুর কাছে যাবো ।
নীড় হাটা থামিয়ে দিলো।
নীড় : কার কাছে যাবে?
মেরিন : বববাবার কাছে দদদাদুভাইয়ের কাছে ডক্টর তততপুর কাছে ।
নীড় : ডক্টর তপুর কাছে? কেন কেন ?
মেরিন : কারন উনি ভালো। আপনি পচা। তাই। ছারুন আমাকে।
নীড় : ওহ। ভালো। thank u…. ডন…. খেয়াল রেখো যেন ও আমার জানের সামনে আর না আসে ।
বলেই নীড় আবার হাটা ধরলো।
মেরিন : আপনি কি মানুষ ?
নীড় : উহু… নীড়। #বনপাখির_নীড় ..
মেরিন : বববনপাখিহ … বনপাখিহ … বববনপাখিহ…
মেরিনের মাথা যেন কেমন করতে লাগলো। মেরিন মাথায় হাত দিলো।
মেরিন : আহ…
নীড় : আজকে তোমাকে বন্দী করবো। হা হা হা … আর খান বাড়িতে যেতে দিবোনা।
নীড় মেরিনের খেয়ালটা অন্যদিকে নেয়ার জন্য কথাটা বলল ।
মেরিন : নননা না আমি বাবার কাছে যাবো আমাকে যেতে দিন।
নীড় : তাহলে ভালোবাসি বা ঘৃণা করি বলো।
মেরিন : ঘৃণা করি । অনেক বেশি ঘৃণা করি ।
নীড় : হায়… আরেকবার।
মেরিন : আমি আপনাকে ঘৃণা করি।
নীড় : মন চায় বারবার শুনি ।
মেরিন : এবার আমাকে ছেরে দিন না…
নীড় : 😏। কেন?
মেরিন : আপনিই না বললেন যে ঘৃণা করি বললে ছেরে দিবেন ।
নীড় : কি বলেছিলাম মনে করে দেখো।
মেরিন: মানে?
নীড় : মানে গাড়ির কাছে চলে এসেছি ।
নীড় মেরিনকে গাড়িতে বসিয়ে drive করতে লাগলো।
মেরিন : কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আমাকে? আহমি বববাবার কাছে যাবো। ছারুন আমাকে।
নীড় যেন কিছুই শুনতে পায়নি ।
বেশকিছুক্ষনপর…
গাড়ি থামলো।
নীড় নেমে মেরিনের জন্য দরজা খুলে দিলো ।
নীড় : নামো।
মেরিন : না আমি নামবো না। আমি বাবার কাছে যাবো ।
নীড় : নামতে বলেছি কিন্তু…
মেরিন : নননা না না আমি নামবোনা ।
নীড় : হায়রে।
নীড় মেরিনকে কোলে তুলে নিয়ে বের করে ভেতরের দিকে হাটা ধরলো। মেরিনতো লাফালাফি করতে লাগলো নামার জন্য । কিন্তু পারলোনা । নীড় তো পরম আনন্দে হাটতে লাগলো । একটুপরই মেরিন শুনতে
পেলো : বাবাই….
কবিরের কন্ঠ শুনে মেরিন সামনে তাকালো। দেখলো এটা খান বাড়ি ।
মেরিন : বাবা…. নামান আমাকে।
নীড় : ঘৃণা করি বলো ….
মেরিন : বাবা…
নীড় মেরিনকে নামালো। মেরিন দৌড়ে কবিরের কাছে গেলো ।
কবির : বাবাই তুমি ঠিক আছো … কতো চিন্তায় পরে গিয়েছিলাম জানো … নিশ্চয়ই ও তোমাকে নিয়ে গিয়েছিলো ।
মেরিন : হ্যা বববাবা । ওই যে ওই লোকটা না খুনী। ১টা লোককে পশুর মতো করে মমমেরেছে । খুন ককরেছে । কককি যযযেন নননাম মমমমন মমমন…
নীড় : মনির…. মামা আমি মনিরকে জানে মেরেছি। যাই হোক পরে কথা বলছি। আগে মেরিনকে রাতের খাবার আর মেডিসিন খাইয়ে নেই।
কবির: দারাও ওখানে । নীলিমা মামনিকে রুমে নিয়ে যা ।
নীলিমা মেরিনকে রুমে নিয়ে গেলো।
দাদুভাই : এই খুনটুন করে কি প্রমান করতে চাইছো?
নীড় : এটাই যে আমি মেরিন বন্যার স্বামী… 😎
দাদুভাই : তু…
কবির : বাবা ওর সাথে কথা বলার কি দরকার ? জন…
জন এলো।
নীড় : wait guys…. my dear ডন….
তখন ডন সাথে ১টা lawyer ভেতরে ঢুকলো। lawyerটা মেরিনের।
দাদুভাই : মিস্টার রায় আপনি।
নীড় : yes নানাভাই।
দাদুভাই : আমাকে নানাভাই ডাকবেনা ।
নীড় : ok… সবাই শোনো তোমাদের ছোট্ট ১টা প্রশ্ন করি। ১ কথায় উত্তর দিবে। কেমন ? খান & চৌধুরী empire emperor কে? বলো বলো বলো…
সবাই : 😤😤😤।
নীড় : কি হলো বলো।
নিহাল : নীড় ন্যাকামো বন্ধ করে এখান থেকে চলে যাও।
নীড় : বাবা thats not done…. সম্রাটকে তার সম্রাজ্ঞ থেকে বের হতে বলছো? not done…
কবির : মানে?
নীড় : মানে খুব সহজ মা…..মাজান। মেরিন খান & চৌধুরী empire অনেক আগেই আমার নামে মানে নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষনের নামে করে দিয়েছিলো। কারন আমি ছিলাম ওর জন্য সবথেকে মূল্যবান । আমার ভালোবাসা পেয়ে মানে আমি ওকে ভালোবাসলে সেই ভালোবাসাকে ফিরিয়ে দিয়ে আমাকে ফেলে দূরে চলে যাওয়ার plan ছিলো মেরিনের। এই শাস্তি মেরিন আমার জন্য নির্ধারন করেছিলো… আর তাই আগে ভাগেই সবকিছু ও আমার নামে করে দিয়েছিলো।এসব কিছুই নানা… i mean দাদুশশুড়ভাই জানতেন। তাইনা?
কবির : এগুলো কি সত্যি বাবা ?
দাদুভাই : ….
কবির : বলো বাবা…
দাদুভাই : হামম।
নীড় : মিথ্যা বলিনি আমি।
নিহাল :তুমি আর তোমার কথা মোটেও বিশ্বাসযোগ্য না । ২মুখো বিষধর সাপকে তাও বিশ্বাস করা যায় তাও তোমাকে না ।
নীড় : thank you…. যাই হোক moral of the story হলো এই যে এখন আমি হলাম সম্রাট। আর সম্রাটকে তার সম্রাজ্ঞ থেকে বের করার ক্ষমতা কারো নেই ।তাইনা মিস্টার roy…?
রায় : হ্যা ।
নীড় : thank you… now get out please ….
রায় চলে গেলো।
নীড় : জন ডার্লিং এখন তো তুমি আমাকে বের করতে পারবেনা । infact কেউই পারবেনা । কিন্তু আমি ইচ্ছা করলে যে কাউকেই বের করতে পারি । but no worry… আমি কাউকেই বের করবোনা। ঢোকাবো ।
কবির : ঢোকাবে মানে ? কাকে ঢোকাবে ?
নীড় : এখনই দেখতে পাবে …. মামিমনি … 📢📢📢….
তখন কনিকা ভেতরে ঢুকলো।
.
কবির : তুমি ? তোমার সাহস কি করে হয় এ বাড়িতে ঢোকার ? বের হয়ে যাও এখনি। না হলে ঘাড় ধরে বের করবো ।
নীড় : আ আ আ … আগেই বলেছি আমার সম্রাজ্ঞে আমি যাকে ইচ্ছা ঢোকাতে পারি। তোমাদের কারো সমস্যা হলে তোমরা চলে যেতে পারো।
নিহাল : নীড়…
নীড় : yes daddy …
কবির : বেশি উরো না। ঝড়ে পরে যাবে।
নীড় : ok…
দাদুভাই-নিহাল-কবির যার যার রুমে চলে গেলো ।
কনিকা : এটা কি ঠিক করলে নীড় ?
নীড় : হয়তো হ্যা হয়তো না … মেরিনের কাছে ১টা জিনিষ শিখেছি মামিমনি… সেটা হলো যে শক্ত না হলে নিজের উদ্দেশ্য হাসিল করা যায়না । তাই এমনটা করা । আর তুমি আমি ২জনই ভুলের শিকার।
কনিকা : কোন মুখে মেয়েটার সামনে গিয়ে দারাবো বাবা …. অনেক বেশি অন্যায় করে ফেলেছি।
নীড় : অতীত ঘেটে লাভ নেই মামিমনি। তোমার চেয়ে আমার অপরাধটা অনেকগুন বেশি। তবুও তো আমি … যাই হোক । নিজর মমতা-ভালোবাসা-স্নেহ নিয়ে মেরিনের সামনে যাবে । আমাদের ভুলের মাশুল তো আমাদেরই দিতে হবে। তাইনা মামামনি…
কনিকা : হামমম।
সকালে…
মেরিনের ঘুম ভাঙলো। মাথার মধ্যে কারো কোমল স্পর্শ অনুভব করলো। চোখ মেলে তাকিয়ে কনিকাকে দেখতে পেলো । হুরমুরিয়ে উঠে বসলো।
মেরিন : কককে আআআপনি? এখানে কি কককরছেন ? চচচলে যান…
নীড় : ইনি তোমার মা জান।
মেরিন : মমমা মমমাহ মমমা.. নননা। এটা আমার মা কককি করে হহহতে পারে ? বববাবাতো বলেছে যে আমার মা মরে গিয়েছে ।
নীড় : মিথ্যা কথা। মামা মিথ্যা কথা বলেছে।
মেরিন : নননা। আআমার বববাবা মমমিথ্যা কথা বলতে পারেনা । আপনি মিথ্যা কথা বলছেন।
নীড় : আমিই সত্যি বলছি । বিশ্বাস না হলে বাবাকে জিজ্ঞেস করে দেখো। যাও ।
মেরিন : বাবা বববাবা…
কবির ছুটে এলো ।
কবির : কি হয়েছে বাবাই? ঠিক আছো তুমি ?
মেরিন : হামমম আআআমি ঠিক আছি। বববাবা ওই মহিলাটা কে ? উউউনি বলছেন যে তিনি নাকি আআআমার মা। তুমি না বলেছো যে আআআমার মা মরে গিয়েছে। তাহলে? তাহলে ওই মহিলাটা কে?
কবির : কেউ না। ওই মহিলাটা কেউ না । ওই মহিলা ১টা ডাইনি। ডাইনি মহিলা …
কনিকা : কবির … 😢
কবির : খবরদার আমার নাম নিবেনা। বাবাই চলো fresh হয়ে নিয়ে breakfast করবে । চলো।
নীড় : দারাও মামা। আমার বউ আমাকে ওর কাজ করতে দাও । তুমি আসতে পারো।
কবির ; just shut up…
নীড় : মামা… রাগারাগি করতে চাইনি তবুও কেন রাগ ওঠাতে চাইছো ? যাওনা প্লিজ।
কবির : ঠিক করছোনা ।
নীড় : আমি জানি …
কবির চলে গেলো । নীড় গিয়ে মেরিনের পাশে বসলো । মেরিন দূরে সরে গেলো । নীড় বাকা হাসি দিয়ে ১টানে মেরিনকে নিজের কোলে বসালো। এতে মেরিনের চুল গুলো মেরিনের মুখে এসে পরলো। নীড় মেরিনের চুল গুলো কানের পিছে গুজে দিলো।
নীড় : রাতে মামিমনি মানে শাশুড়িমা তোমার সাথে ছিলো। সকাল পর্যন্ত ছিলো। তাই good morning kiss টা করতে পারিনি … তাই এখন করে নিচ্ছি ।
বলেই ঝট করে মেরিনের ঠোট জোরা দখল করে নিলো । মেরিন আরো ১বার নিজেকে ছারানোর বৃথা চেষ্টা করতে লাগলো। কিন্তু পারলোনা।
একটুপর …
নীড় মেরিনকে কোলে বসিয়ে খাইয়ে দিচ্ছে । actually জোর করে খাইয়ে দিচ্ছে । আর না চাওয়া সত্বেও মেরিন সেগুলো খাচ্ছে । নীড় মেরিনকে ১টা ৫-৭বছরের বাচ্চার মতো ট্রিট করছে । মাত্রাতিরিক্ত care করছে ।
মেরিন : ডডডক্টর তপু কককোথায়?
তপুর নাম শুনে নীড়ের মেজাজ গরম হয়ে গেলো । তবুও মাথা ঠান্ডা রেখে
বলল : কেন তপুকে দিয়ে কি হবে ?
মেরিন : উউউনাকে মমমারবেন না পপপ্লিজ । উনি খখখুব ভভভালো ।
নীড় মেরিনের চুল বাধতে বাধতে
বলল : জান… 1st… তুমি এই “উনি” কথাটা কেবল আর কেবল আমার ক্ষেত্রে বলবে । আর 2nd তপুর কথা আর কখনো বলবেনা । তোমার মুখে কেবল আমার নাম। মানে নীড়ের নাম থাকবে। তুমি নীড়ের মেরিন…
মেরিন : কককেন ? আমি ডডডক্টর তপুর নাম নিবো । উনি ভালো। আপনি পচা। আপনি খুনি। ডক্টর তপু খখখুব ভালো polite…. আআআপনি রাগী …
নীড় :আমি রাগী?
মেরিন : হামম।
নীড় : right…. আমি রাগী। ভীষন রাগী।
.
রাতে…
নীড় : জান তুমি ২কিলোমিটার দূরে শুয়ে থাকার কারন জানতে পারি ?
মেরিন : 😒।
নীড় কিছু না বলে মেরিনকে টেনে বুকে জরিয়ে নিলো ।
মেরিন : ছারুন আমাকে।
নীড় :কেন কেন ? ছারবো কেন ?
মেরিন : আপনার স্পর্শ আমার ভালো লাগেনা । ভয় করে … ঘৃণা লাগে।
নীড় : তাই? ভালো খুবই ভালো। কিন্তু কিছু করার নেই জান…. you have to tolerate me…
দেখতে দেখতে ১মাস কেটে গেলো । এই ২মাসে নীড়ের পাগলামো শতগুন বেরে গিয়েছে । আর নীড়ের প্রতি মেরিনের ঘৃণা-অবহেলা বেরেছে হাজারগুন … যা পলকে পলকে নীড়কে আঘাত করে । পরমুহুর্তেই নীড় মেরিনকে দেয়া কষ্ট গুলো মনে করে নিজের কষ্টের কথা ভুলে যায়। আর মেরিন নীড়ের ভালোবাসা দেখে অবাক হয়।
মেরিন ছাদে দারিয়ে আছে । আকাশপানে মুখ করে।
মেরিন মনে মনে : লোকটাকে এতো অপমান করি তবুও সে আমার এতো যত্ন করে। সবার সাথে কতো পচা ব্যাবহার করে। কিন্তু আমার সাথে কতো ভালো ব্যাবহার করে। উনি এমন কেন? কেন কেন কেন ? ডডডক্টর তপু… তাকেও কি মেরে ফেলেছে ?
তখন নীড় এসে মেরিনকে পেছন থেকে জরিয়ে ধরলো । মেরিন ভয় পেয়ে গেলো। নীড়ের চেহারা না দেখেই পেছনে ঘুরে ঠাস করে ১টা থাপ্পর মারলো।
মেরিন : সাহস কি ক…
দেখলো নীড় দারিয়ে আছে। মেরিন ভয় পেয়ে গেলো। নীড় চোখ বন্ধ করে আছে। মেরিন লম্বা লম্বা ঢোক গিলতে লাগলো।
নীড় মনে মনে : কতোদিন পর মেরিন রাগ করলো …
নীড় চোখ মেলে মেরিনের দিকে তাকালো । মেরিন ভয়ে চোখ বন্ধ করে নিলো । নীড় মুচকি হেসে মেরিনের কোমড় জরিয়ে ধরে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো… মেরিনের নাকে নাক ঘষে
বলল : থাপ্পরটা খুব রোমান্টিক ছিলো জান…
মেরিন অবাক হয়ে নীড়ের দিকে তাকালো।
নীড় : বলো তো জান ৭দিন পরে কি ?
মেরিন : কককি?
নীড় : anniversary … 2nd anniversary আমাদের বিয়ের।
মেরিন : ববববিয়ে….? anniversary ….? বববিয়েহ anniversary …
মেরিনের আবার দুনিয়াদারি ঘুরতে লাগলো। মাথায় ব্যাথা করতে লাগলো। আজকে ২মাসপর মেরিনের এমন লাগতে লাগলো। মেরিন অজ্ঞান হয়ে গেলো ।
নীড় : মেরিন…. মেরিন…. জান…
নীড় ডক্টর ডাকলো। কিন্তু ডক্টর মেরিনের জ্ঞান ফেরাতে পারলোনা। ডক্টর advice দিলো যে ডক্টর মেরিনের regular treatment করে মানে তপু তাকে ডাকতে। কারন তপু মেরিনের সকল মেডিকেল history জানে… আর কোনো উপায় না পেয়ে নীড় তপুকে বন্দী দশা থেকে মুক্তি দিয়ে মেরিনের সামনে আনলো। আর যেহেতু তপু মেরিনের সবটা জানে তাই মেরিনের জ্ঞান ফেরাতে সক্ষম হলো । মেরিনের জ্ঞান ফিরলো। চোখ মেলে তাকালো। উঠে বসলো। নীড় মেরিনকে জরিয়ে ধরে কাদতে লাগলো।
নীড় : আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম জান। i am sorry…
নীড় মেরিনকে ছেরে ওর মুখের দিকে তাকিয়ে মেরিনের মুখে হাসি দেখতে পেলো। মেরিনের মুখে হাসি দেখে নীড়ের মন আনন্দে ভরে উঠলো। কারন অনেকদিনপর মেরিন হাসছে।
নীড় : জান….
মেরিন : ডক্টর তপুহ….
.
চলবে…