ঘৃণার মেরিন

ঘৃণার মেরিন Season 3 !! Part- 18

মেরিনের গলা-বুক জ্বলতে লাগলো । নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হতে লাগলো।
মেরিন : নননীড় কককি খাওয়ালেন আমাকেহ… নননীড় আমার গলা বববুক জজজ্বলছে নীড়…
নীড় : কি?
মেরিন : আপনি আআআমাকে বববিষ খাওয়ালেন নীড়… নীড় আমি বাচতে চাই… নীড় আমাদের bbbabyকে বাচান…
নীড় : বেবি?
মেরিন : হ্যা বেবি… i am pregnant …
মেরিনের নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে লাগলো । আর নীড়ের সময় ওখানেই থেমে গেলো । ও স্থির হয়ে গেলো… ওর চোখ স্থির হয়ে গেলো। পাথর হয়ে গেলো নীড়…
মেরিন প্লিজ বাচান নীড়… কককথা দিচ্ছি… আহমি আহপনার জীবন থেকে অনেক দূরে চলে যাবোহ… ওহ নীড়…
নীড় : …
মেরিন : বাচাবেন না আমাদের…?
মেরিন কোনো রকমে … রুম থেকে বের হলো ।
মেরিন : বববাবাহ… বাবাহ
মেরিন নিচের দিকে যেতে লাগলো । সিরি দিয়ে পরে গেলো। শব্দ শুনে নিহাল-নীলিমা ছুটে এলো ।
.
নীলিমা : বন্যা …
নিহাল : মামনি…
মেরিন : আমি বাচতে চাই… আমার বাচ্চাটাকে বা…
আর বলতে পারলোনা । মেরিন জ্ঞান হারালো ।
নিহাল : মামনি… মামনি… নীড় কোথায়? নীড়… driver.. গাড়ি বের করো…
নিহাল দৌড় নীড়ের রুমে গেলো। দেখলো নীড় স্থির হয়ে দারিয়ে আছে । মুর্তির মতো ।
নিহাল : নীড় কি করেছো মামনির সাথে তুমি ?
নীড় : …
নিহাল : নীড়… কি বলছি তোমাকে… মামনিকে ডক্টরের কাছে নিতে হবে…
নীড় : …
নিহাল : নীড়…
নিহাল নীড়কে ঝাকাতে লাগলো। নীড়ের বোধ ফিরলো।
নীড় : হ্যা…
নিহাল : মামনিকে হসপিটালে নিতে হবে… ওর নাক-মুখ দিয়ে রক্ত পরছে…
নীড় : কককোথায় মেরিন…
নিহাল : নিচে…
নীড় দৌড়ে নিচে গেলো। দেখলো নীলিমাক কোলে পরে আছে মেরিন…
নীড় : মেরিন…
নীড় দৌড়ে মেরিনের কাছে গেলো।
নীড় : মেরিন… এই মেরিন… ওঠো। মেরিন…
নীলিমা : হসপিটালে নিয়ে চল… already অনেক দেরি হয়ে গেছে… তারাতারি চল…
মেরিনকে হসপিটালে নেয়া হলো ।

হসপিটালে…
OT এর দরজায় হেলান দিয়ে বসে আছে । নিরবে চোখের পানি ফেলছে ।
নীড় মনে মনে : কি করে ফেললাম আবার আমি… কতোবড় পাপ করে ফেললাম… কি করে ফেললাম …
কিছুক্ষনপর তপু বের হলো।
নীড় : তততপু আমার মেরিন… আমার বাচ্চা …
তপু ঠাস করে নীড়কে থাপ্পর মারলো ।
তপু : তুমি ১টা অমানুষ… just অমানুষ। আবার এখন হায় মাতাম করছো … লজ্জা করছেনা…
জন : ডক্টর… ম্যাম কেমন আছে?
তপু : তোমার ম্যাম out of danger … but…
নিহাল : but ?
তপু : বাচ্চাটাকে বববাচাতে পারিনি… sorry …
নীলিমা : একি বলছো তপু??? বাচ্চাটা…
তপু : বাচাতে পারেনি …. & all credits goes to the নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন ।
বলেই তপু চলে গেলো ।
জন : মিস্টার নীড়… hope যদি আপনাকে এই মুহুর্তে খুন করে ফেলতে পারতাম… ভালো লাগতো…
.
in london …
কবির এখন সম্পুর্ন সুস্থ । দাদুভাইকে চিনতে পেরেছে। বাবা ছেলের মধ্যে মেলোড্রামা হলো । দাদুভাই তো খুশিতে আটখানা হয়ে মেরিনকে ফোন করলো। কিন্তু মেরিন ধরবে কি করে? দাদুভাই জনকে ফোন করলো । জনও ধরলোনা । কারন মেরিনের খবর পেয়ে ও এমন হন্তদন্ত হয়ে হসপিটালে গিয়েছে যে মোবাইল নিতেই ভুলে গিয়েছে । পরে
কবির বলল : বাবা … চলো তবে গিয়ে surprise দেই …
দাদুভাই : কিন্তু দিদিভাইকে না জানিয়ে …
কবির : আমার মেয়েকে আমি চিনিতো। ও ঠিক খুশিই হবে…
দাদুভাই মনে মনে : তোমার মেয়ে আর সেই মেয়ে নেই কবির। পরিস্থিতি ওকে নষ্ট করে দিয়েছে ।
কবির : এই বাবা… কি হলো ?
দাদুভাই : বলছিলাম কি …
কবির : কোনো কিছুনা। আমি আমার মনি মা কে surprise দিবো..
london to Bangladesh flight ৭দিনের মধ্যে না থাকায় ওরা আসতে পারলোনা।

৩দিনপর…
মেরিনের জ্ঞান ফিরলো। চোখ মেলল। তাকিয়ে দেখে নিহাল-নীলিমা বসে আছে। নীড় নেই। নীড়ের মু়খ নেই মেরিনের সামনে আসার ।
তপু check up করছে ।
মেরিন চোখ বন্ধ করে
বলল : তপুদা…। আমার বেবিটা কি আছে ?
তপু :…
মেরিনের চোখ থেকে পানি গরিয়ে পরলো।
মেরিন : কিছু জিজ্ঞেস করেছি…
তপু কাপা কাপা কন্ঠে
বলল : নননা…
মেরিন : জন…
জন : জী ম্যাম …
মেরিন : সবাইকে নিয়ে বেরিয়ে যাও… এখনই। আর সবাই মানে সবাই…
জন : জী ম্যাম…
জন সবাইকে নিয়ে বের হয়ে গেলো ।
মেরিন চোখ বন্ধ করে আছে ।
মেরিন মনে মনে : এখন না তো আছে কোনো পিছুটান আর না বেচে থাকার কারন … বাবাকে তো পেয়েই গিয়েছি .. কাউকে কিছু প্রমান দিবোনা … সবাইকে চেনা শেষ…

কিছুক্ষনপর…
মেরিনের চোখটা লেগে এসেছে । তখন বুঝতে পারলো যে কেউ পেছন থেকে এসে ওকে জরিয়ে ধরে ওর পাশে শুয়ে পরলো। শক্ত করে মেরিনকে জরিয়ে ধরে কান্না করতে লাগলো। মেডিসিনের প্রভাব আর ঘুমের ঘোরের জন্য মেরিনের situation টা বুঝতে সময় লাগলো । আর যখন বুঝতে পারলো তখন যতো শক্তি আছে সবটা দিয়ে নীড়কে ়ধাক্কা মারলো। নীড় পরতে পরতে নিজেকে balance করে দারিয়ে গেলো। মাথা নিচু করে দারিয়ে রইলো।
মেরিন : এই মুহুর্তে আমার চোখের সামনে থেকে সরে যান …
নীড় : …
মেরিন : যান … যান … যান …
চিল্লাতে চিল্লাতে মেরিন ১টানে ক্যানোলা ট্যানোলা সব খুলে ফেলল।
নীড় : মের…
মেরিন : খবরদার… খবরদার আমার নাম নিবেন না … একদম না … চলে যান চোখের সামনে থেকে। just out…
নীড় মেরিনের দিকে তাকিয়ে কান্নাই করে যাচ্ছে ।
মেরিন ট্রেটা হাতে নিয়ে
বলল : আপনি যাবেন না এটা ছুরে মারবো?
নীড় তবুও নরলোনা । মেরিন ওটা নীড়ের দিকে ছুরে মারলো। যেটা লেগে নীড়ের কপাল কেটে রক্ত বের হতে লাগলো । নীড় তাও বের হলোনা। দারিয়েই রইলো। শব্দ পেয়ে সবাই ভেতরে ছুটে এলো। নীড় দেখলো যে মেরিনের হাত থেকে রক্ত পরছে ।
নিহাল : কি হয়েছে?
নীড় মেরিনের দিকে এগোতে গেলে হাতের সামনে যা পেলো তা ছুরে মেরে হসপিটাল থেকেই দৌড়ে বেরিয়ে গেলো । কেউই আটকাতে পারলোনা …
.
পরদিন…
সবাই সারাদিন মেরিনকে খুজেছে । কেউই পায়নি । জন সারাদিন মেরিনকে খুজে বাসায় গেলো ।
জন : কোথায় চলে গেলো ম্যাম …
মেরিন : i am here…
জন : ম্যাম আপনি?
মেরিন : কখন থেকে wait করছি জানো?
জন : ম্যাম আপনি ঠিক আছেন ?
মেরিন : কেন আমার কি হয়েছে ? whatever … শোনো … তোমার জন্য ১টা বড় সরো ধামাকাদার কাজ আছে।
জন : কি ম্যাম ?
মেরিন : মনির-সেতু-নীরা-নিলয়-কনিকা … এই ৫জনকে খুজে বের করতে হবে । পাতাল থেকে হলেও … ওদেরকে খুজতে হবে । at any cost …
জন : sure mam….
মেরিন : আগে ওদেরকে খুজে বের করো । তার পর আরেকটা কাজ। r u ready?
জন : জী ম্যাম…
মেরিন : আমার ছারা কারো phone call নিবেনা … মনে থাকে যেন…
জন : yes mam…
মেরিন : bye…
.
৩দিনপর …
অন্ধকারে হাত-পা-মুখ বাধা অবস্থায় দারিয়ে আছে । নীড়-নিহাল-নীলিমা-কনিকা-নিলয়-নীরা-সেতু … চোখে কেবল অন্ধকার দেখছে সবাই । তখন সেই অন্ধকারে তেজী কন্ঠ ভেসে এলো ।
মেরিন : welcome my friends welcome …
তখন আলো জ্বলে উঠলো । ঝলমলে আলো … বিশাল ১ ঝারবাতি জ্বলে উঠলো । চারদিকে আলো আর আলো । খুব সুন্দর করে সাজানো গোছানো আলিসান হলরুম । কালো গোলাপ দিয়ে সাজানো । মেরিন নিজেও পরেছে কালো পোশাক। কালো eye shadow … dark red lipstick … কালো চুল গুলো খোলা । ভয়ংকর লাগছে । ওর চোখে হিংস্রতা । আজকে কেউ খুজেও মেরিনের চোখে ভালোবাসা পাবেনা । সবাই হিংস্রতা তো দেখছে কিন্তু নীড়… নীড় মেরিনের চোখে ধংব্স দেখতে পাচ্ছে ।
মেরিন : কেমন লাগলো এই আলোরমেলা ? সুন্দর না ? এমন আলোরমেলা আগে কখনো কেউ দেখোনি সেটা আমি জানি… মেরিনের এই কালকোটরি কতো আলোকিত… তাইনা? কারো চোখে ভয় কারো চোখে আতংক কারো চোখে ঘৃণা দেখে ভীষন ভালো লাগছে। i have a grand surprise gift for all of you…. সবাই জানতে চাওনা যে কি surprise gift ? surprise gift টা হলো মৃত্যু … দারুন gift … তাইনা ? …

ওদিকে…
দাদুভাই-কবির আর রকি দেশে ফিরলো। কবির তো মহাখুশী । কিন্তু দাদুভাইয়ের আত্মা তো কাপছে ।
কবির : বাবা আগে তাহলে নীলিমার বাসাতেই যাই তবে । নাকি আমাদের বাসায় যাবো? আমি কনাকে নিয়ে মেয়েকে দেখতে যাবো ।
দাদুভাই : তুমি যেটা বলো…
ওরা খান বাড়িতে গেলো । পুরো খান বাড়ি ফাকা ।
কবির : কাহিনি কি? এখানে দেখি কেউ নেই … সবাই কোথায় গেলো? সবাই ওই বাসায় যায় নিতো ?
দাদুভাইয়ের ধাক্কা লাগলো। পরে সবাই মিলে চৌধুরী বাড়িতে গেলো । সেখানেও কেউ নেই ।
কবির : সবাই পিকনিকে যায়নি তো?
দাদুভাই : আমার মনে হয় আমি জানি সবাই কোথায় ?
কবির : কোথায় ?
দাদুভাই : হয়তো সেখানে?
কবির : কোথায় সেটা বলবে তো?
দাদুভাই : চলো…
.
মেরিন : আজকে আমি আমার প্রিয় খেলা খেলবো … মৃত্যু খেলা… এতোদিন সবাইকে সহজ মৃত্যু দিয়েছি… আজকে দিবো আমার মনের মতো মৃত্যু… oh my dear dearling খালামনি… আমি জানি আমাকে বিষ খাওয়ানোর পেছনে তোর হাতটা বেশি। তুইই মিস্টার চৌধুরীর হাতে তুলে দিয়েছো । আর তোর জন্য আমি আমার সন্তানকে হারিয়েছি… এবার তোর পালা … তুই তোর ২সন্তানকে তরপে তরপে মরতে দেখবে । ওরা মৃত্যু চাইবে নিজেদের… আজকে তোর ছেলেমেয়ের রক্ত দিয়ে হোলী খেলবো । ওদের হৃদয় আজকে আমি ছিরে বের করবো। তবে তার আগে বলতে চাই যে আমার বাবা কবির ফয়সাল খান বেচে আছে। জন projector on করো।…
জন : yes mam…
জন অন করে দেখালো। সবাই তো মহাঅবাক।
মেরিন : বাবাকে তো দুরের কথা। সেদিন আমি কাউকেই খুন করিনি… করেছিলো মনির।।। আজকে মনিরকে পেলামনা। না জানি কোথায়… whatever … জন give me that…

বলেই জন ২টা electric stick নিয়ে এলো। মেরিন হাতে নিলো ।
মেরিন : এগুলো কতো ভোল্টের electric stick জানো? ২হাজার ভোল্টের… না না… shocked দিয়ে ওদের মারবোনা। just কয়েকসেকেন্ড সংস্পর্শে রাখবো …
বলেই মেরিন ২জনকে shock দিলো। ২-৩বার দিলো।
মেরিন : জন এগুলোর কাজ শেষ। নিয়ে যাও । আর ওইটা দাও।
জন : জী ম্যাম…
জন মেরিনকে লোহার গরম লাঠি মেরিনের হাতে দিলো। লোহার লাঠি ২টা লাল হয়ে আছে । মেরিন লোহার লাঠি দিয়ে নিলয়-নীরার ২হাতের তালু… আর ২পায়ের তালু ঝলসে দিলো । ২জন যন্ত্রনায় ছটফট করতে করতে জ্ঞান হারালো। সবাই সব দেখছে। কিন্তু কিছু বলতে পারছেনা। কারন সবার মুখে টেপ দেয়া।
মেরিন : জন… ওদের হাত-পা খুলে দাও… জ্ঞান ফিরাও… hurry up hurry up… কিয়ামত পর্যন্ত সময় নেই আমার কাছে…
জন : জী ম্যাম…
জন নিলয়-নীরার হাত-পায়ের বাধন খুলে দিলো। জ্ঞান ফিরানোর ব্যাবস্থা করালো । কিছুক্ষন পর ওদের জ্ঞান ফিরলো।
মেরিন : hi guys… কেমন ঘুম হলো? ভালো? সবাই কারবালা পরেছো ? শিমার ইমাম হোসেইন (র:)-এর বুকের ওপর বসে তাকে মেরেছিলো। তোরা ইমাম সাহেব না । আর না আমি শিমার । হয়তো আমি তার থেকেও নিষ্ঠুর… পাষাণ…
বলেই মেরিন নিলয় – নীরার বুকের ওপর ছুরি চালালো । এরপর ওই রক্ত ২হাতের মুঠোয় নিয়ে খেলতে লাগলো … আর হা হা করে হাসতে লাগলো । এরপর ২জনের heart বের করে ২হাতে নিয়ে সেতুর সামনে গেলো।
মেরিন : কেমন লাগছে বলোতো? দারুন না ?
সেতুর বুকটা ফেটে যাচ্ছে ।
মেরিন : খারাপ লাগছে বুঝি? আমারও লেগেছিলো । এতোবছরের জীবনে সেরা খুশী সেদিন পেয়েছিলাম… কিন্তু সেটাও তুই কেরে নিয়েছিস…
বলেই মেরিন ওগুলো ছুরে ফেলেদিলো ।
এরপর ছুরি নিয়ে লাগাতার সেতুর ওপর ছুরি চালাতে লাগলো । যতোক্ষন না সেতু মারা গেলো । সবাই মেরিনের হিংস্রতা ২চোখ ভরে দেখলো ।
মেরিন হাহা করে হাসতে লাগলো।

মেরিন : ওরা তো গেলো। এখন আসল খুনীর পালা… সবথেকে নিকৃষ্ট খুনী … মিস্টার নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন … আপনাকে বলেছিলাম যে আপনার ৭খুন মাফ… আপনাকে বলেছিলাম আমাকে মেরে ফেলুন… trust me… সুখকর হতো। ভাগ্যবতী মনে করতাম নিজেকে… কিন্তু আপনি আমার …
সন্তানটা কি আমার একার ছিলো ? বলুন… বলেছিলাম যে আপনি সবসময় ভালোবাসার মেরিন থাকবেন… কিন্তু তা সম্ভব হলোনা… এতোদিন সবার জন্য ঘৃণা দেখেছেন। আজকে আপনার প্রতি ঘৃণা দেখবেন। নিজের হাতে আপনাকে খুন করবো। তবে তার আগে আপনি আপনার মা-বাবা আর অতিপ্রিয় মামিমনিকে আগে মরতে দেখবেন। সবার মৃত্যু দেখে নিজে মরবেন…
.
চলবে…