ঘৃণার মেরিন

ঘৃণার মেরিন Season 3 !! Part- 16

মেরিন : যদি…?
ডক্টর : যদি কবির স্যার মিসেস কনিকার কিছু মুহুর্ত তার সামনে তুলে ধরা হয়।
মেরিন : যেমন?
ডক্টর : যেমন তাদের ছবি বা ভিডিও।like বিয়ের ছবি, ভিডিও । বা অন্যান্য ছবি … সেই সাথে তাদের ভালোবাসার কোনো স্মৃতি ।
মেরিন : ok… পেয়ে যাবেন। কিভাবে তা উপস্থাপন করবেন সেটা আপনার ব্যাপার।
ডক্টর : yes of course …
মেরিন : thank u…
ডক্টর ফোন রেখে দিলো ।
মেরিন জনকে ফোন করলো ।
মেরিন : জন..
জন : hello mam…
মেরিন : ২-১দিনের জন্য যে করেই হোক পুরো খান বাড়ি খালি করো। এরপর বাবা আর মিসেস খানের যতো ছবি যতো স্মৃতি আছে সব collect করো। then ওগুলো নিয়ে তুমি লন্ডন যাও । দাদুভাই বা ডক্টরের কাছে handover করো। যতো তারাতারি সম্ভব ।
জন : sure mam…

মেরিন জনের সাথে কথা বলে factory sight এ ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলো। গত ৪-৫দিনের মতো আজও মাথাটা ঘুরছে। ৪-৫দিন ধরে শরীরটা মোটেও ভালো যাচ্ছেনা মেরিনের। নীড়কে বুঝতে দেয়না। infact কাউকেইনা । যাই হোক মাথা ঘুরে পরে যেতে নিলো । নীড় এসে ধরে ফেলল।
নীড় : ঠিক আছো তো ?
মেরিন : হামম।
নীড় : চলো চলো বাসায় চলো।
মেরিন : বাসায় এখন ? পাগল নাকি? সব কাজ পরে আছে।
নীড় : থাকুক। চলো।
মেরিন : না না যেতে পারবোনা এখন। অঅনেক কাজ পরে আছে ।
নীড় কোনো কথা না বলে মেরিনকে কাধে তুলে নিয়ে হাটা ধরলো।
মেরিন : নীড় … নামান..
নীড় মেরিনের কথা কানেই তুলল না। বাসায় চলে গেলো ।
পরদিনই জন মেরিনের কথা মতো কাজ করলো। খান বাড়ি ২দিনের জন্য ছলে বলে কৌশলে খালি করিয়ে কবির-কনিকার সব ছবি সব স্মৃতি কালেক্ট করে লন্ডনে পারি জমালো ।
.
৩দিনপর…
মেরিনের শরীরটা আরো খারাপ লাগছে। চোখ বন্ধ করে হেলান দিয়ে বসে আছে। নীড় মেরিনের মাথায় হাত রাখলো ।
মেরিন :চলে এসেছেন?
মেরিন চোখ মেলল।
মেরিন : যান গিয়ে fresh হয়ে নিন… আমি আপনার জন্য কফি নিয়ে আসছি…
নীড় মেরিনের পাশে বসলো।
নীড় : কি হয়েছে তোমার বলো তো? কেমন লাগে?
মেরিন : আমার কি হবে? ঠিক আছি আমি…
নীড় : হয়তো তোমার মতো জানার বা বোঝার ক্ষমতা আমার নেই । কিন্তু এতোটুকু বুঝি যে তোমার শরীরটা ভালো নেই … কেমন লাগছে সেটা বলবে? ডক্টরের কাছেও যাচ্ছোনা… বলোনা … কি হয়েছে? কেমন লাগছে…?
মেরিন : ম…
তখনই কনিকার কন্ঠ পাওয়া গেলো ।
কনিকা : মেরিন … মেরিন … মেরিন ….
মেরিন এলো ।
মেরিন : মিসেস খান… আমি বুঝিনা আপনি আজকাল এতো গলা ফাটান কেন ? ভোটে দারাবেন নাকি?
মেরিন সামনে আসতেই কনিকা ঠাস করে থাপ্পর মারলো । মেরিনও আর দেরি না করে কনিকার দিকে ঘুরে ওর গলা চেপে ধরে ১হাত উচু করে ফেলল।
মেরিন : আমার গায়ে হাত… এতো বড় সাহস… 😤
নীড় এসে কনিকাকে ছারালো।
নীড় : পাগল হলে তুমি মেরিন…
কনিকা : খুনীর কাজই তো খুন করা। তোর সাহস কিভাবে হয় আমার বাড়ি থেকে…
মেরিন : correction please … খান বাড়ি আমার বাড়ি…
কনিকা : হতে পারি বাড়িটা তোর…. কিন্তু যেই জিনিষগুলো গায়েব করেছিস সেগুলো একান্তই আমার…
মেরিন : not at all… ওগুলো আমার বাবার…
কনিকা : খবরদার… খবরদার কবির কে বাবা বলবিনা। কোন মুখে বাবা বলে ডাকিস? যে বাবা কে খুন করেছিস তাকে বাবা ডাকতে লজ্জা করেনা?
মেরিন : না… আমি আমার বাবাকে বাবা ডেকেছি। অন্যকারো বাবাকে না…
কনিকা : কবিরকে আরেকবার বাবা ডাকলে… আমি তোর জিভ কেটে কুকুরকে খাওয়াবো…
মেরিন : তাই বুঝি? বাবা বাবা কবির বাবা…
কনিকা রেগে গিয়ে পাশে থাকা flower vaseটা আছাড় মেরে ভেঙে ১টা টুকরা তুলে মেরিনের গলা বরাবর ছুরে মারলো। গলগল করে রক্ত ঝরতে লাগলো ।
নীড় : মেরিন…
নীলিমা : ভাবি তুমি কি মানুষ?
কনিকা : মানুষ বলেই আজও ওর মতো মেয়েকে বাচিয়ে রেখেছি…
মেরিন : কিন্তু তুমি আর বাচবেনা মিসেস খান… আজই তোমার শেষ দিন… এই টুকরা দিয়েই আমি তোমার জান কেরে নিবো…
বলেই মেরিন কনিকার দিকে তেরে যেতে নিলো। কিন্তু নীড় ধরে ফেলল।
নীড় : শান্ত হও মেরিন… প্লিজ…
মেরিন : না নীড় আজকে আমি একে মেরেই ফেলবো একেবারে…
বেশ অনেকদিনপর মেরিন আবার হিংস্র হয়ে উঠেছে। নীড়ের পক্ষেএ মেরিনকে ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছেনা।
নীড় : মামিমনি প্লিজ তুমি যাও…
কনিকা : না… যাবোনা.. আজকে যা হবার হয়েই যাক… সকল ঘৃণার অবসান ঘটুক…
নীড় : মামিমনি প্লিজ।
কনিকা ১চুলও নরলো না।
নীড় : মামনি মামিমনিকে যে করেই হোক এখানে সরাও।
নীলিমা ঠেলে ঠেলে কনিকাকে বের করতে লাগলো ।
মেরিন : এই কনিকা খান এই… যাওয়ার আগে শুনে যা… তোর মৃত্যু আমার হাতেই হবে। জানে মেরে ফেলবো তোকে আমি… একেবারে জানে মেরে ফেলবো… দারা তুই…
কনিকা চলে গেলো।
মেরিন ছুটতে না পেরে সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে নীড়ের হাতে কামড় দিলো । নীড় কোনো শব্দ করলোনা। মেরিনকে ছারলোও না। মেরিন অজ্ঞান হয়ে গেলো।

কিছুক্ষনপর…
মেরিন ঘুমিয়ে আছে। নীড় মেরিনের পাশে আধাশোয়া হয়ে বসে আছে কপালে হাত দিয়ে।
নিহাল : নীড়…
নীড় : আরে বাবা তুমি… কখন এলে?
নিহাল : এই তো একটু আগেই… মামনি এখন কেমন আছে?
নীড় : এখন তো ভালোই আছে। জানিনা জ্ঞান ফিরলে কেমন react করবে…
নিহাল : চিন্তা করোনা। সব ঠিক হয়ে যাবে।
নীড় : ঠিক হয়ে যাবে? কতো কষ্টে একটু একটু করে ওকে নরমাল করছিলাম … আজকে মামিমনি এসে আবার সব spoil করে দিলো । মেরিন আবার হিংস্র রুপ নিলো…
নিহাল : ভালোবাসার থেকে বড় কিছু নেই নীড় …
বলেই নিহাল চলে গেলো ।
.
খান বাড়িতে …
কনিকার ঘুম আসছেনা । ১টা মা যতো খারাপই হোক , সন্তানকে মারুক কাটুক যাই করুকনা কেন সন্তানের জন্য তার হৃদয়ও কাদে । কিন্তু যখন ঘৃণাটা ভালোবাসার ওপর ভারি হয় তখন সত্যি কিছু করার থাকেনা । কনিকা দেখলো পানির জগটা খালি । তাই পানি ভরার জন্য কিচেনের দিকে পা বারালো । তখন শুনতে পেলো …
সেতু : কাহিনি কী বলো তো… মেরিন ১মে ওই খান হারামজাদাকে গায়েব করলো। আর এখন এগুলো? কারন কি ?
মনির : কারন তো আছে। গভীর কারন … কারন, কারন ছারা মেরিন কোনো কাজ করেনা …
সেতু : কবির ফিরে আসেনি তো?
মনির : আরে ধ্যাত…কবির কোথায় থেকে ফিরে আসবে? ও কি বেচে আছে নাকি?
সেতু : থাকবেনা কেন ? ও কে তো আর আমরা মারিনি…ও তো আমাদের হাত ছারা হয়ে গিয়েছিলো ।
মনির : হ্যা তো? ভুলে যেওনা কবির তখন বদ্ধ পাগল ছিলো … হয়তো পথে ঘাটে ঢিল খেয়ে মরেছে …
সেতু : হামম। তবে মানতে হবে নসীব মেরিনের… নিজের বাপকে খুন না করেও খুনী হলো … আর কিসমতও ওই লোকটার যাকে কবিরের চেহারা পাওয়ায় তোমার হাতে মরতে হলো।
মনির :আ আ sweetheart… কবিরের চেহারার জন্য না গাদ্দারির জন্য মরতে হয়েছে…
সেতু : কিন্তু এবার মেরিন কে মরতে হবে। কারন কোনোক্রমেই আর এই খান সম্রাজ্ঞ আমরা পাবোনা। না মেরিন বাচলে আর না মরলে… কিন্তু যদি ও বেচে থাকে তবে চৌধুরী সম্রাজ্ঞও হাত ছারা হয়ে যাবে ।
মনির :হ্যা ঠিক বলেছো … তবে নিলয়কে জানানো যাবেনা যে মেরিনকে এবার শেষ করতে হবে…
কনিকার হাত থেকে জগটা পরে গেলো….
সেতু-মনির জানালার দিকে তাকালো । দেখলো কনিকা দারিয়ে আছে ।
সেতু : সব শুনে ফেলেছে…
কনিকা কোনো কথা না বলে নিজের রুমে গিয়ে নিজের গান টা লোড করলো।
মনির : খুন করবে আমাদের শালিকা?
কনিকা : হ্যা… জানে মেরে দিবো তোদের ২জনকে। তোরা আমার মেয়ের জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছিস … কবিরকেও কেরে নিয়েছিস… তোদেরকে…
বলেই কনিকা ওদের shoot করতে নিলো। তখন নিলয় বাইরে থেকে কনিকার গান বরাবর shoot করলো । এতে কনিকার হাত থেকে গান পরে গেলো । সেতুরা ৪জন মিলে কনিকাকে বন্দী করে ফেলল ।
সেতু : কালকে সকালে একে ডেরায় রেখে আসতে হবে…

সকালে…
নীড় ঘুমিয়ে আছে । মেরিন উঠে বসলো । নীড়কে ১টা বার দেখলো। নীড়ের হাতের দিকে তাকালো । কালকে ওই হাতটা তে কামড় দিয়েছিলো। দাগ পরে গেছে। মেরিন ওখানে অসংখ্য চুমু দিলো। এরপর হাতে মলম লাগিয়ে fresh হয় গান নিয়ে বের হলো। খান বাড়িতে পৌছালো । কনিকাকে মারতে। সেতু আবার দেখে নিলো মেরিন কে।
সেতু ছুটে ভেতরে গেলো ।
সেতু : মেরিন এসেছে মেরিন… হাতে বন্দুক… ও মনে হয় জেনে গেছে যে আমরা কনিকাকে বন্দী করেছি…
মনির : আরে ধুর ও কিভাবে জানবে ? যাই হোক আগে কনিকাকে লুকাতে হবে। মা-মেয়ের মিল হলে আমাদের বাচা মুশকিল ।
নিলয় : আমি খালামনিকে নিয়ে পেছনের দরজা দিয়ে চলে যাচ্ছি …
মেরিন : মিসেস খান… মিসেস খান …. মিসেস খান … কোথায়… সামনে আসুন। নিজের পাওনা টা নিয়ে গ্রহন করুন । কোথায় আপনি?
সেতু : একি তুই এ বাড়িতে ?
মেরিন : আমার বাড়ি আমার ঘর আমি যখন ইচ্ছা আসতে পারি । তোর বাপের কি? এখন বল তোর বোন কনিকা কোথায় ?
সেতু : জানিনা …
মেরিন কোন কিছু না বলে খুজতে লাগলো কনিকাকে । কোথাও খুজে পেলোনা । না পেয়ে চলে গেলো ।
নীড় : কোথায় গিয়েছিলে তুমি?
মেরিন : যেখানে ইচ্ছা ।
নীড় : তুমি মামিমনির সাথে কিছু করোনি তো ?
মেরিন : জানিনা…
বলেই মেরিন রুমে চলে গেলো।
নীড় : কি করবো তোমাকে নিয়ে মেরিন আমি? কিছুই জানিনা…
.
নীড় মেরিনের জন্য খাবার নিয়ে গেলো।
নীড় : নাও খেয়ে নাও…
মেরিন : এগুলো কি?
নীড় : খাবার…
মেরিন : না না আমি খাবোনা। বিশ্রি গন্ধ আসতেছে…
নীড় : গন্ধ মানে? জন্ডিস হলো নাকি ? চলো ডক্টরের কাছে চলো ।
মেরিন : মোটেও না । আমার এমন কিছু হয়নি যে ডক্টরের কাছে যেতে হবে । দিন গিলছি …
বলেই মেরিন নীড়ের হাত থেকে খাবার নিয়ে নাক বন্ধ করে খেতে লাগলো … নীড় মেরিনের কাহিনি দেখছে । আর হাসছে।
মেরিন : হাসছেন কেন ?
নীড় : আগে তোমার ওপর রাগ হতো। এখন হাসি আসে…
মেরিন : huh… তারাতারি খেয়ে রেডি হয়ে নিন । then office যাবো ।
নীড় : তুমি কোথাও যাবেনা । বুঝেছো …?
মেরিন : যাবো …

বিকালে …
নীড় : ১টা বার মামিমনির সাথে দেখা করার দরকার… আজই ১বার গিয়ে মামিমনির সাথে দেখা করে আসতে হবে । মেরিনকে বাসায় পৌছে দিয়ে ১বার ওই বাসা থেকে ঘুরে আসবো …
নীড় মেরিনকে বাসায় পৌছে দিয়ে খান বাড়িতে গেলো ।
নীড় : মামিমনি… মামিমনি… ও মামিমনি কোথায় তুমি?
নীরা : নীড়… 😃…
নীরা দৌড়ে নীড়কে জরিয়ে ধরতে গেলো। নীড় বাধা দিলো ।
নীড় : don’t you dare to do this …
নীরা : কি হলো? তুমি আমার সাথে এমন ব্যাবহার করছো কেন ?
নীড় : তো কি করবো ? তুমি সেদিন যা করেছো …
নীরা : আমি করেছি ? আমি কি করেছি ? করলে তুমি আর দোষ দিলে আমার … তোমার জ্বর দেখে রাত ভর তোমার সেবা করলাম। জ্ঞান ফিরলো পরে নিজেই মাতাল অবস্থাতে আমাকে টেনে বুকে জরিয়ে ঘুমিয়ে পরলে … সেটা কি আমার দোষ ? এটাইকি আমার নিঃস্বার্থ ভালোবাসার প্রতিদান …
বলেই নীরা ন্যাকা কান্না কাদতে লাগলো।
সেতু : কাদিসনা রে মা … বড়লোকেরা এমনই হয়। তাই বলেছিলাম যে বড়লোকদের ভালোবাসিসনা ।
নীড় : আচ্ছা মামিমনি কোথায় ?
সেতু : বাসায় নেই।
নীড় : কোথায় গিয়েছে ?
সেতু : বলতে পারিনা …
নীড় : ওহ… মেরিন এসেছিলো …?
সেতু ভয় পাওয়ার অভিনয় করে
বলল : নননা …
নীরা : কিন্তু মামনি মেরিন না স..
সেতু মিথ্যা চোখ রাঙানি দিলো । নীরা থেমে গেলো ।
নীড় : কি বলছিলে নীরা ?
নীরা : কিছুনা…
নীড় : তুমি কিছু ১টা বলছিলে…
সেতু : যা বলছিলো বলছিলো … এখন কিছু বললে তোমার বউ আবার কিছু না কিছু করবে…
নীড় চলে গেলো।

২দিনপর…
২দিনধরে নীড় কনিকাকে খোজার চেষ্টা করলো। পেলোনা ।
নীড় : কোথায় গেলো মামিমনি? মেরিন …
মেরিন বসে আছে…
নীড় : মেরিন…
মেরিন : হামম।
নীড় মেরিনের পাশে বসলো। মেরিনের হাত ২টা নিজের হাতের মুঠোয় নিলো। কিস করলো হাতে।
নীড় : ১টা কথা জিজ্ঞেস করি?
মেরিন : এতো মিষ্টি ভাবে চাইলে তো জীবনটাও দিতে পারি… আর এটাতো স্বাভাবিক প্রশ্নের উত্তর। করুন…
নীড় : মামিমনি কোথায়?
মেরিন : সেটাই তো… কোথায় মিসেস খান? ৩দিন ধরে গান লোড করে রেখেছি… চালাতে পারছিনা। জনটাও ফিরছেনা। জন না থাকলে কোনো কাজই ওরা কেউ করতে পারেনা… সবগুলো অকর্মা…
নীড় : তাহলে তুমি জানোনা মামিমনি কোথায়?
মেরিন : না…
নীড় মেরিনের কপালে কিস করলো।
নীড় : take rest…
নীড় মনে মনে : মেরিনের চোখ সত্যি বলছে… মেরিন আমাকে মিথ্যা বলতে পারেনা। অন্তত ওর চোখ নয়… যে যাই বলুক মেরিন কিছু করেনি এবার। আমি জানি… কিন্তু মামিমনি গেলো কোথায়?
মেরিন মনে মনে : গেলো কোথায় মিসেস খান ? আহ মাথা… আচ্ছা আমার এমন লাগছে কেন ? ১বার ডক্টরকে দেখাই… কিন্তু কাউকে কিছু জানাবোনা…

পরদিন…
মেরিন ডক্টরের কাছে গেলো…
ডক্টর মিলা : আরে মেরিন বন্যা নীড় খান চৌধুরী আমার কাছে। কি সৌভাগ্য আমার।
মেরিন : strange … যেখানে মেরিন বন্যার সাথে দেখা হওয়া সবাই দুর্ভাগ্য মনে করে সেখানে আপনি সৌভাগ্য বলছেন?
মিলা : কারন আমি আপনার fan…
মেরিন : হাহাহা…
মিলা : তো ম্যাম কি হয়েছে?
মেরিন সবটা বলল। মিলা check up করলো।
মেরিন : কি হয়েছে ডক্টর ? মরে টরে যাবো নাকি ?
মিলা : not at all.. মনে হচ্ছে খুশির খবর।
মেরিন : মানে? clearly বলুন…
মিলা : may be u r pregnant …
মেরিন : কি ?
মিলা : তবুও ১বার সব টেস্ট করিয়ে নিলে ভালো হবে। sure হওয়া যাবে… এই টেস্টগুলো করিয়ে নিবেন ।
মেরিন : ok…
মেরিন টেস্ট করালো ।
মেরিন : আমার মনে হয়না যে আমার ভাগ্য এতো ভালো… মনে হয়না যে আমি pregnant … মনে হয় আমার কোনো বড় সরো রোগ হয়েছে। খুব তারাতারিই মরে টরে যাবো… ভালোই হবে … কিন্তু তার আগে বাবাকে সুস্থ হতে দেখতে পারতাম… আর ওই ৪জনকে মেরে ফেলতে পারতাম…
.
চলবে…