গিরগিটি বর তাও আবার চুক্তি

গিরগিটি বর তাও আবার চুক্তি —পর্ব-০৫

ইচ্ছে করে সজলের সাথে হেসে হেসে কথা
বলছি, যাতে করে সৌরভ জেলার্স ফিল করে।
আমাকে এখন ভালো করে চিনেনা গিরগিটি,
তোমাকে আমি এমন জব্দ করব, কথা গুলো মনে
মনে ভাবছি। তখনি,,
সজল:- ঐশি তোমার কাপড়ে ময়লা লাগছে, দাও আমি
পরিষ্কার করে দেয়। বলে আমার জামার ময়লা
পরিষ্কার করতে লাগলো। সৌরভ তাকিয়ে আছে
চোখ গুলো বড় বড় করে।
আমি:- আরে আপনি কি করছেন? থাক লাগবেনা, আমি
নিজে পরিষ্কার করে নেব। বলে চলে এলাম,
একটু পর মনে হলো আরে আমিত সজলের কাছ
থেকে সব কিছু জানতে পারি। আর তখনি,,
আমার ইন্টারকম বেজে উঠলো। রিসিব করতে
সৌরভ:- তুমি এখনি আমার রুমে এসো।
আমি:- ঠিক আছে আসছি, বলে ইন্টারকম রেখে
সৌরভের রুমে দিকে গেলাম, বাহিরে দারিয়ে নক
করলাম, আসবো স্যার,,
সৌরভ:- ভদ্রতা তাহলে কিছুটা শিখছো? এতদিন ত
একারো অনুমতি নিতেনা, আর এখন বার বার অনুমতি
নিতেছ? হে আসো।
আমি:- বলেন কেন? আমাকে ডাকছেন? তখনি,,
একটা ফাইল আমার দিকে ছোরে মারে বলছে।
সৌরভ:- তোমার এত ভূল হয় কি করে? কাজ করার সময়
মনটা কোন দিকে থাকে? তোমাকে কত করে
বলছি কাজটা জেন ভূল না হয়? তাও তুমি কাজটা ভূল
করলে? কাজ না করলে চাকরি ছেরে দাও? তোমার
মত স্টাফ আমার দরকার নেই। কথা গুলো আমাকে
দমক দিয়ে দিয়ে বলছে। কি হলো কথা বলছোনা
কেন?
আমি:- কথা বলার সুজুগ দিলে ত, আমি বলব? আপনিত
একের এক বলে যাচ্ছেন, আমি বলব কখন?
সৌরভ:- তুমি এত বেশি কথা বলো কেন? তোমাকে
না বলছি, আমার সাথে কথা কম বলতে? তাও নিজের
মত করে বক বক করে যাচ্ছো। তারা তারি করে
বলো কাজটা এত বার বলার পরও কি করে ভূল
করলে?
আমি:- আপনিত আমাকে এমন করে কাজটা করতে
বলছেন, আবার এখন বলছেন, আমি কাজটা এইভাবে
করছি।
সৌরভ:- তুমি আগে ফাইলটা দেখো তারপর তর্ক কর?
আমি:- হে দেখছি, ফাইলটা দেখে আমিত একদম
চুপসে গেছি ভয়ে, আরে এ আমি কি করলাম?
সৌরভ:- কি হলো এবার কথা বলছোনা কেন?
তোমার খেয়াল থাকে কোথায়? তুমি কি ভাবছো
আমি বুঝতে পারবোনা। এখনো সময় আছে
নিজেকে পরির্বতন করে নাও। তানা হলে তার পরিনাম
ভালো হবেনা কিন্তু বলে দিলাম।
আমি:- আপনি কি ভাবেন কি বুঝেন, আর কি জানেন
তাতে আমার কিছু যায় আসেনা। আমি ইচ্ছে করে
কাজটা ভূল করিনি। এখনি আমি কাজটা ঠিক করে এনে
দিতেছি। তখনি সৌরভ কাছে এসে আমা হাতটা ধরে ওর
বুকের সাথে মিসিয়ে নিছে, আমার হাতটা এমন ভাবে
দরছে আমি পচন্ড ব্যাথা করছে কিন্তু বলছিনা।
সৌরভ:- তোমাকে কত বার বলছি আমার মুখে মুখে
তর্ক না করতে? এই রকম থার্ডক্লাশ একটা মেয়ে
হয়ে আমার মুখে মুখে তর্ক করার সাহুস হয় কি
করে তোমার?
আমি:- যেহেতু আমি থার্ডক্লাশ মেয়ে, সেহেতু
আমাকে বিদায় করে দিন? আবার আমাকে ভয়
দেখিয়ে বিয়ে করছেন কেন? আমিত থার্ডক্লাশ
মেয়ে। আমি আপনার সাথে কথা বললে দুস না
বললে দুস। আমি আজ এই মুহূর্তে চাকরি ছেরে
চলে যাবো।
সৌরভ:- তুমি চাইলে এখন আর চাকরিটা ছারতে
পারবেনা। কেননা, চুক্তির কাগজে লিখাটা তুমি ভালো
করে পড়নি। কাগজে লিখা আছে আমি না চাইলে তুমি
এই চাকরিটা কোন দিন ছারতে পারবেনা। এমনকি অন্য
কোন কম্পানিতে চাকরি করতে পারবেনা। আর এই
জন্য তোমাকে বলছিলাম ভালো করে পেপার
গুলো পড়ে নাও।
আমি:- কি এত বড় চিটিং করছেন আমার সাথে? কিন্তু
আপনিত বলছেন শুধু বিয়ের জন্য এই কাগজ গুলো।
বলে আমার আর কথা বলার মত শক্তি খুঝে পাচ্ছিনা।
আমার চোখ দিয়ে আমার অজান্তে পানি বেড়িয়ে
এলো। সৌরভ দেখে সাথে সাথে আমার হাতটা
ছেরে দিল।
সৌরভ:- তুমি বলবেনা তোমার ব্যাথা লাগছে? তাহলে
কি এমন তরে ধরে রাখতাম?
আমি:- থাক তার জন্য আর কিছু বলতে হবেনা। বলে
ফাইলটা নিয়ে বেড়িয়ে এলাম। চোখের পানি মুছে
আবার কাজটা করতে লাগলাম। এভার কাজটা ঠিক করে
করলাম। নিজে গিয়ে সৌরভের রুমে ফাইলটা রেখে
এলাম একটা কথা বলিনি, একটু পর ৫টা বাজে আমি অফিস
থেকে বেড়িয়ে এলাম। আমি বাসের জন্য
অপেক্ষা করছি তখনি,,
ঐশি তুমি আমার সাথে চলো আমি তোমাকে
বাড়ীতে নামিয়ে দেবো। (সজল)
আমি:- না থাক, আমি বাসে করে চলে যাবো। আপনি
চলে যান।
সজল:- তোমাকে একা রেখে যেতে মন
চাইছেনা। চলো আমি তোমাকে বাড়ীতে নামিয়ে
দেবো, বলে আমার হাত দরে টানতেছে।
আমি:- আরে কি করছো সজল? ছারো কেও
দেখলে কি বলবে? ছারো বলছি বলে হাতটা
ছারিয়ে নিলাম।
সজল:- এমন করছো কেন? তুমি এখানে দ্বারিয়ে
থাকবে আমার কাছে খারাপ লাগছে।
আমি:- তাতে তোমার খারাপ লাগার কি আছে? তখনি
দেখি সৌরভ তার গাড়ীটা নিয়ে এসেছে, আর আমার
দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে। তখন
আমি ইচ্ছে করে সজলের সাথে ওর গাড়ীতে
গিয়ে বসেছে। তারপর সজলের গাড়ীতে করে
আমার শ্বশুড় বাড়ীর সামনে এসে নেমেছি।
সজলকে বিদায় করে দিয়ে, আমি বাসার ভীতরে
ডোকার সাথে সাথে,,
শ্বাশুড়ি:- ঐশি তুমি যদি অফিস করে বেড়াও, তাহলে
সংসারের কাজ গুলো কে করবে? কাল থেকে
তুমি অফিসে যাবেনা।
আমি:- আমার কি দুস সৌরভ নিজে বলছে অফিসে
যেতে, সুতুরাং আমি অফিসে যাবো। আর যদি
বাড়ীতে থাকতে বলে তাহলে আমি বাড়ীতে
থাকবো। আপনি সৌরভের সাথে কথা বলেন এই
ব্যপার নিয়ে। বলে আমি রুমে চলে এলাম। এসে
ফ্রেসহয়ে রুমে বসে আছি, একটু পর সৌরভ রুমে
এসে কোন কথা না বলে ফ্রেসহতে চলে
গেল। একটুপর বের হয়ে আমাকে বলছে,,
সৌরভ:- তোমার আম্মুর সাথে কথা বলছ আজ।
আমি:- হঠাত ভুতের মুখে রাম রাম।
সৌরভ:- কি বললে তুমি? তোমাকে কত বার বলছি আমি
যেইটা জিগ্যাসা করব। তুমি সেইটার উত্তর দিবে।
আমি:- আপনার কি মনে হয়, আম্মু আমার সাথে কথা
বলবে? আজ আপনার জন্য, আমার বাবা মা আদরের
ছোট ভাইটা ওর সাথে কথা বলতে পারতেছিনা।
সৌরভ:- তোমার আম্মু আমার নাম্বারে ফোন করছিল
তাই জিগ্যাসা করছি।
আমি:- সত্যি বলছেন? কখন করছিল?
সৌরভ:- দেখ, মোবাইলে আছে। বলে মোবাইলটা
আমার হাতে ধরিয়ে সৌরভ চলে গেলে রুম
থেকে।
আমি:- আপনাকে ধন্যবাদ, তারপর আম্মুর নাম্বারে
ফোন করলাম। রিং হতে রিসিব, তারপর আম্মুর সাথে
কথা বলে মনটা ভাল হয়ে গেল। তারপর আমি
মোবাইলটা সৌরভকে দিতে নিছে যায়তেছি তখনি
মোবাইলে একটা ফোন আসলো, আমি চেয়ে
দেখি একটা নাম্বার নাম লিখা নেই রিসব করতে,,
আই লাভ উই উম্মা উম্মা উম্মা,,
আমি:- তারা তারি করে মোবাইলটা সৌরভকে নিয়ে
দিয়ে বলি একজন ফোন দিয়ে বলছে উম্মা উম্মা
উম্মা, খাবার টেবিলের সবাই আমার দিকে হা করে
তাকিয়ে আছে।
চলবে,,,