গিরগিটি বর তাও আবার চুক্তি

গিরগিটি বর তাও আবার চুক্তি —পর্ব-০৪

আরে সবাই আমাকে দেখে এমন করে
তাকিয়ে
আছে কেন? আমি কি আজ নতুন অফিসে
আসছি
নাকি? আর আমাকে কি ওরা এর আগে কেও
দেখিনি
নাকি? আমি অফিসের ভীতরে যাচ্ছি সবাই
ওঠে
আমাকে সালাম দিচ্ছে। আরে আগেত কেও
আমাকে ভালো করে দেখেওনি? আর এখন
সবাই
সালাম দিচ্ছে। এর কারনটা ঠিক বুঝতে
পারছিনা, তবে
মনে হয় যেনে গেছে সবাই আমাদের বিয়ের
কথা। যাক আমি গিয়ে আমার চেয়ারে
বসলাম, তখনি
আমার ইন্টারকম বেজে ওঠলো, আমি রিসিব
করতে।
এত দেরি করলে কেন অফিসে আসতে? এখনি
আমার রুমে এসো। (সৌরভ)
আমি:- হে আসছি, বলে রিসিবারটা রেখে
দিলাম। একটু
পর সৌরভের রুমে গেলাম। আসতে পারি
স্যার?
সৌরভ:- তুমি আজ হঠাত করে অনুমিত নিচ্ছো?
আজ
আকাঁশে সূর্য কোন দিক দিয়ে ওঠছে? আসো
ভীতরে।
আমি:- মনে হলো তাই, আর রোজ সূর্য যেইদিক
দিয়ে ওঠে আজ সেইদিক দিয়ে ওঠছে। এখন
বলেন কেন ডাকছেন?
সৌরভ:- তুমি আজ অফিসে আসতে এত দেরি
করলে
কেন? আজকের মত ক্ষমা করে দিলাম, আরেক
দিন যদি দেরি করো, তাহলে অফিস থেকে
গার
দাক্কা দিয়ে বের করে দেবো। নাও এই কাজ
গুলো ৩০ মিনিটের মধ্যে করে নিয়ে আসবে।
আমি:- গতকাল আমার বিয়ে হয়ছে, রাতে
বরের
সাথে অনেক রাত পর্যন্ত জেগে কথা বলছি,
তাই
সকালে ঘুম থেকে ওঠতে দেরি হয়ে গেছে।
আর এখন থেকে আমার একটু দেরি হবে, কারন
আমার একটা সংসার হয়ছে। যদি আপনি মনে
করেন
আমাকে দিয়ে কাজ হবেনা, তাহলে বিদায়
করে
দেন। কারন রাতে আমার স্বামি আমার সাথে
বসে
বসে গল্প করে, আর তার জন্য সকালে ঘুম
থেকে ওঠতে দেরি হয়। ( আমি ইচ্ছে করে
বলছি কথা গুলো যাতে করে গিরগিটি রেগে
যায়।)
সৌরভ:- কি আমি তোমার সাথে রাতে বসে
গল্প করি?
আমি:- ওমা কি বলেন? আমিকি বলছি আপনি
বসে গল্প
করেন? আমিত বলছি গল্প করে আমার স্বামি।
তবে
আমার স্বামি আমাকে খোব ভালোবাসে।
সৌরভ:- এবার কিন্ত বেশি হয়ে যাচ্ছে, বলে
দিলাম
ঐশি, আচ্ছা এখন তুমি আমার রুম থেকে যাও?
আর তারা
তারি করে কাজটা শেষ করে নিয়ে এসো?
আমি:- ঠিক আছে স্যার, তবে আমার স্বামি
কিন্ত
খোব ভালো। তখনি কাছে এসে আমার মুখে
হাত
দিয়ে দরে ফেলছে, আর আমি সৌরভের
চোখের দিকে তাকিয়ে আছি, ওর চোখ গুলো
অনেক সুন্দর, ওকে দেখে মনে হয়
পৃথিবীতে ওর মত ভালো আর কোন মানুষ নেই।
কিন্ত ভীতরটা একদম বদ আর অংহকার আছে,
কি
হচ্ছে কেও দেখলে কি বলবে? ছারুন বলছি।
বলে আমি ওর হাতটা ছারিয়ে নিলাম। তারপর
আমি চলে
আসতেছি,,
সৌরভ:- নিজেকে অনেক চালাক মনে করো
তুমি
তাই না? তবে মনে রেখ তোমার চালাকি এখন
আমি
বুঝতে পারি। আর আগামি কাল থেকে তুমি
অফিসে
শাড়ি পড়ে আসবেনা। সবাই যেভাবে আসে
তুমি
সেই ভাবে আসবে। এখন তুমি আসতে পারো?
যে কাজ গুলো করতে দিয়েছি সেই কাজ
গুলো
২৫ মিনিটের মধ্যে করে নিয়ে আসবে।
আমি:- আপনিনা বলছেন ৩০ মিনিটের মধ্যে
করতে?
এখন আবার বলছেন ২৫ মিনিট।
সৌরভ:- তুমি এখানে দ্বারিয়ে কথা বলবে
তার জন্য
আমি কি করবো? তোমাকে ৫ মিনিট আগে
সময়
দেওয়া হয়ছে? সুতুরাং তুমি এখানে দ্বারিয়ে
৫ মিনিট
সময় নষ্ট করেছ। এখন তুমি ২৫ মিনিটের মধ্যে
করে নিয়ে আসবে। তারা তারি যাও আরো
এক মিনিট
সময় চলে গেছে। আর সময়মত কাজ কম্পলিট না
হলে কি করি তুমি নিশ্চয় জানো।
আমি:- হে জানি, নতুন করে আর বলতে হবেনা।
বলে চলে এলাম আমার টেবিলের সামনে। এই
গিরগিটির কাছ থেকে কবে মুক্তি পাবো
আল্লাহ
যানে। আপনারা হয়ত ভাবছেন কেন এই
চাকরিটা করছি,
আর সৌরভকে আমি কেন, বিয়ে করছি?
জানতে
পারবেন তার আগে যে কাজটা দিয়েছে সেই
কাজটা শেষ করি। দুর আমিত জানতে
পারলামনা সৌরভ
আগে বিয়ে করছে কিনা? আর যদি না করতো
তাহলে কি, শ্বশুড় মসায় বলত আমি এই বাড়ীর
ছোট
বউ। যাক আগে কাজটা শেষ করি, তারপর
কাওকে
জিগ্যাসা করে জেনে নেব। কাজ করছি
তারা তারি
করে, যাক এক মিনিট বাকি থাকতে, কাজটা
শেষ করছি।
আমি কাগজ গুলো নিয়ে গিরগিটির রুমে
দিকে যাবো
তখনি এক ঠাসসস ওমা গু আমি শেষ,, আমার
চিৎকার
শুনে সবাই এসে হাজির। সৌরভও আসছে, আর
এসে
আমাকে।
সৌরভ:- কি হচ্ছে চেচালে কেন? এইটা
অফিস
তোমার বাড়ী নয়।
আমি:- আরে আপনি দেখছেন আমি পড়ে
গেছি,
কই আমাকে টেনে তুলবেন। তানা করে
আমাকে
ধমক দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্ত আমি পড়লাম কি
করে?
সৌরভ:- তোমার মত বোকা আর কেয়ার লেস
মেয়ে আমার জীবনে কমই দেখছি। তুমি
কিভাবে
হাটো, কোথায় তাকাও কিভাব নিজে
যানোনা। তবে
তুমি পড়লে কি করে?
আমি:- মনে হয়, শাড়ির সাতে পা লেগে পড়ে
গেছি। আর তখন সবাই হাসা হাসি শুরু করছে।
তখনি,,,
সৌরভ:- স্টপ, এখানে কি, জোক শোনানো
হচ্ছে? সবাই নিজ নিজ কাজে যান। অফিসের
সবাই
চলে হেছে, যাবেনা কেন, যাকে বলা হয় সব
চাইতে বদ মেজাঝি বস্ অামার চাকরির
বয়সে দেখিনি
একটু হেসে কারো সাথে কথা বলতে। কি
হলো
ঐশি তুমি এখানে বসে থাকবে নাকি? তুমি
কাজটা
করছো নাকি এখনো বাকি আছে?
আমি:- আগে আমাকে টেনে তুলেন? তারপর
আমাকে কাজের কথা জিগ্যাসা করেন।
সৌরভ:- হাত দাও?
আমি:- নেন, আমি হাত বারালাম, কি হলো
এইটা ওনি
আমাকে না তুলে শুধু কাগজ গুলো নিয়ে চলে
গেলো। আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম এই
গিরগিটির দিকে। একবার যদি বাটে পায়
তাহলে বুঝাব
মিস্টার গিরগিটি। না ওঠি, আমি ওঠতে
যাবো, তখনি,,
আরে ঐশি তুমি কষ্ট করে ওঠতে যাচ্ছো
কেন?
দাড়াও আমি তোমাকে টেনে তুলছি। দাও
তুমার হাতটা
দাও?(সজল)
আমি:- এক মাত্র তুমি আমার কষ্টটা বুঝলে
সজল। নাও,
আমি হাত বারিয়ে দিলাম, সজল আমার হাত
ধরে টেনে
তুলছে। তখনি আমি খেয়াল করলাম সৌরভ
আমার দিকে
রাগি চোখে তাকিয়ে আছে।
চলবে,,,