ঘৃণা ও প্রেম

গল্প—-”ঘৃণা ও প্রেম” পর্ব–৩

© নিলান্তিকা_নাদিয়া

ঘরে ঢুকে দেখি মেয়েটা জানালা দিয়ে পা
বের করে বসে আছে। পিছন এ যেয়ে
দাড়ালাম।
দেখি আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে।
ওর কাধে হাত রাখার জন্য হাত বাড়ালাম।
কিন্তু মেয়েটা ঘুরে বসল।
হাত সরিয়ে নিলাম।

নিলান্তিকা – আমি নেমে দাড়ালাম।
ছেলেটার সামনে দাড়ালাম।
এগিয়ে গেলাম ওর দিকে। হাত রাখলাম ওর
মুখে।

শুন্য- অবাক হয়ে গেলাম।
করতে চাচ্ছে টা কি?
নিলান্তি! !”

নিলান্তি – ওর ঠোটে আংগুল রাখলাম।

শুন্য- আমি সরে গেলাম।
অদ্ভুত লাগছে আমার।

নিলান্তি – ওর কলার ধরে নিজের দিকে
টেনে নিলাম।

শুন্য- নিলান্তি! !!!” নিলান্তি! “”””” ওর চোখের
দিকে তাকালাম।
চোখ থেকে চোখ সরাতে পারছিনা।
মনে হচ্ছে চোখ আটকে গেছে।
খুব সরাতে চাচ্ছি পারছিনা।
হঠাত কেমন ঘুম ঘুম পাচ্ছে।
চোখ ঝাপ্সা হচ্ছে।

নিলান্তি – হাত টা সামনে আনলাম।
“বিষ ছুড়ি ” টা আসল।
আমার শরীরে রক্তের বদলে বিষ বয়ে
চলেছে।
আমার রক্ত বিষাক্ত।
আমি বিষাক্ত।
গলার সামনে ছুড়ি টা ধরলাম।
হালকা রক্ত বের হল।
আরো জোরে চাপ বসানোর আগেই শুন্য চোখ
খুলল।
আমি ভয় পেয়ে গেলাম।
সরে গেলাম।

শুন্য- আমি এগিয়ে যাচ্ছিলাম আর নিলান্তি
পিছিয়ে।
নিলান্তি দেওয়ালে মিশে গেল।
আমি সামনে যেয়ে দাড়ালাম। ওর এক পাশে
হাত দিলাম আরেক হাত আমার গলায়। সামনে
এনে দেখলাম খুব রক্ত ।)হুম তা আমাকে
আবার মারার চেস্টা করছিলে? ? তোমাকে
কত বার আর বোঝাব বলত?

নিলান্তি – হ্যা চেস্টা করছিলাম।
আর চেস্টা করে যাব।
যত দিন না তোমাকে মারতে পারছি তত দিন
চেস্টা করে যাব।

শুন্য- miss princess !!! এত যদি সহজ হত তাহলে
ত হতই।

নিলান্তি- আচ্ছা আমার কোনো শক্তি কেন
কাজ করছেনা তোমার উপর।

শুন্য- হাহাহা! !! তাই ত বললাম। তোমার ওই
সামান্য শক্তি দিয়ে তুমি আমাকে মারতে
পারবেনা।

নিলান্তি-
কিন্তু !!!!!

শুন্য- আচ্ছা জানতে চাও ত আমার উপর
তোমার বিষ কেন কাজ করেনি আর
হ্যাপ্নোটাইজ কেন হইনি আমি?

নিলান্তি- হ্যা।

শুন্য- তোমার বিষ আমার উপর ক্ষনিক সময় এর
জন্য কাজ করেছিল তাই আমি বেহুশ হয়ে
গিয়েছিলাম।
কিন্তু সেটা বেশি সময় এর জন্য না।তোমার
অল্প মাত্রার বিষ আমার শরীর সেটা আমার
জন্য শক্তি তে রুপান্তর করেছে।
আর তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে আমি
আগেই বুঝেছিলাম তুমি আমাকে
হ্যাপ্নোটাইজ করতে চাচ্ছ তাই আমি আমার
ব্রেন কে আগেই প্রিপিয়াড করে রাখি।
আসলে আমি হ্যাপ্নোটাইজ হই ই নি।
বুঝলে রাজকুমারী।
তুমি এখনও বাচ্চা আছো।

কিন্তু I can hlp u to kill me.
.
নিলান্তি- …….!!!!!!!

শুন্য- অবাক হয়ার কিছু নেই।
তুমি আমাকে মারতে চাও! ???

নিলান্তি- হ্যা।

শুন্য- তাহলে আমার কথা শুনতে হবে।পারবে?

নিলান্তি- কি কথা?

শুন্য- i work for a club. সেখানে সবার কাজ
হচ্ছে তোমাদের মত মানে তোমার বাবার মত
negative মানুষ দের মারা।
শেষ করে দেওয়া যাতে তারা এই দুনিয়ার
মানুষ দের ক্ষতি না করতে পারে।
সেখানে সবাই কে প্রশিক্ষন ও দেওয়া হয়।
আমি চাই তুমি সেখানে জয়েন কর।

নিলান্তি – তাতে কি হবে?

শুন্য- তাতে তোমার inner strength বাড়বে।
একদিন হয়ত আমাকে মারতেও পারবে তুমি।

নিলান্তি- তাহলে আমি রাজি।

শুন্য- গুড।
এখন তাহলে ঘুমাও।

নিলান্তি- শুন! !

শুন্য- হুম

নিলান্তি- actually im…im….hungry.
শুন্য- আমিও। তাহলে চল বাইরে থেকে খেয়ে
আসি।

নিলান্তি- I can’t. আসলে আমার জামা!!!

শুন্য- ও ও । আমি বুঝেছি
ঠিক আছে তুমি থাক। আমি আনছি।

নিলান্তি- ২দিন ধরে ১ জামা পরে আছি।
এখন জামা পাব কই আমি।

শুন্য- উফফ খেতে খেতে দেরি হয়ে গেল।
মেয়েটা না খেয়ে আছে।
বাসায় আসলাম।

রুমে ঢুকেই আমার মাথা ঘুরে গেল।
মেয়েটা আমার গেঞ্জি পরে দারিয়ে আছে
জানালার কাছে।
ভিজা চুল থেকে টপ টপ করে পানি পরছে ।
এইভাবে থাকলে মেয়েটার ঠান্ডা লেগে
যাবে।
হ্যালো মিস princess !!

নিলান্তি- ঘুরে দাড়ালাম।
অস্বস্তি লাগছে এক্টু। কিন্তু বুঝতে দিলাম
না।
মাথা নিচু করে দারিয়ে থাকলাম।

শুন্য – চুল দিয়ে পানি পড়ছে।
এই তোয়ালে টা নেও চুল মুছো।

নিলান্তি- আসলে আমি কখন ও একা চুল
মুছিনি।
এত বড় চুল…….

শুন্য- হ্যা বুঝেছি।
আয়নার সামনে ওকে বসালাম।
চুল মুছে দিচ্ছিলাম ।
এত বড় চুল মুছতে আমার পেটের সব হজম হয়ে
গেল।
হায় আল্লাহ! !! এত বড় চুল কেউ রাখে???

নিলান্তি- ( আচ্ছা ছেলেটাকে আমি মারতে
চাই। ও এটা জানা শর্তেও আমার এত দেখা
শুনা করছে কেন? ??)

শুন্য- নেও হয়ে গেছে।
আর খাবার খেয়ে নিও।

নিলান্তি- পিছন ঘুরে হাত ধরলাম।

শুন্য- কিছু বলবে।

নিলান্তি- হাত ছেড়ে হ্যা মানে কাল্কে
ওইখানে কি পড়ে যাব? ?

শুন্য- ও সব ভেব না। ম্যানেজ করে দিব আমি
সব।
খেয়ে ঘুমাও।

সকালে-
শুন্য- নিলান্তির রুমে গেলাম।
মেয়েটা ঘুমিয়ে আছে।
বিছানা থেকে চুল গুলা ফ্লোর টাচ করছে।
ওর চুল থেকে খুবব সুন্দর ঘ্রান বের হচ্ছে।
নিলান্তি! !

নিলান্তি – ঘুম থেকে জাগলাম।
এটা পরে রেডি হউ।
এটা নিশ্চই ফিট হবে।

নিলান্তি – ওয়াশ রুমে যেয়ে রেডি হয়ে
নিলাম।
ব্লাক জিন্স,এশ কালার টি শার্ট, ব্লাক
জেকেট, চুল টা ঝুটি করে নিলাম।

শুন্য- nilanti, hurry up. we r getting late.
.
মেয়েটা বাইরে এল। আমার চোখ ত আকাশে
উঠল। এত সুন্দর মানুষ কিভাবে হয়। তাও আবার
ভিন গ্রহেরর।

নিলান্তি- এটা কি? .

শুন্য- বাইক।
এটায় উঠে বস।

নিলান্তি- পরে যাব না তো? ?.

শুন্য- আমি থাকতে তোমার কিছু হবেনা।
আর রাতে যা যা বলেছি সব মনে আছে তো?.

নিলান্তি- আছে
ঘৃণা ও প্রেম” পর্ব–৪