ঘৃণা ও প্রেম

গল্প—-”ঘৃণা ও প্রেম” পর্ব–২

© নিলান্তিকা_নাদিয়া
বাকা ১
টা হাসি দিলাম।
sweet hrt.
আমি কি তোমাকে বলিনি আমাকে মারা
তোমার মত মেয়ের দ্বারা হবেনা।
ইনফেক্ট কারো পক্ষেই সম্ভব না।
তুমি তোমার সামান্য বিষ দিয়ে আমাকে
মারবে ভেবেছ?

মেয়েটা- বিষ্ময় নিয়ে তাকিয়ে আছি
ছেলেটার দিকে।ও বেচে গেল কিভাবে?)
কিন্তু তুমি ত??!!

শুন্য – বলছি বলছি তার আগে তোমার নাম টা
বল।

মেয়ে- সরুন আমার উপর থেকে।
আমি ব্যথা পাচ্ছি।

শুন্য- আমি শক্ত করে ওর হাত মেঝেতে
আটকে ধরে ওর মুখের কাছে একেবারে মুখ
নিলাম।

মেয়ে- মুখ ঘুরিয়ে নিলাম।
ছাড়ানোর চেস্টা করে যাচ্ছি

শুন্য-
কানের কাছে মুখ নিয়ে বললাম – নাম টা বল
তাহলে ছাড়ব।

মেয়ে- নিলান্তিকা।

শুন্য- বাহ।
কিন্তু অর্থ কি??

নিলান্তিকা – blue beauty.
শুন্য- হুম।
ঠিক নাম।
কারন তুমি রাগলে তোমার চোখের মনি নীল
হয়ে যায়।
আর তুমি অনেক সুন্দর।

নিলান্তিকা – ছেলেটার দিকে তাকালাম।
ওর নাকের সাথে আমার নাক লেগে আছে।

শুন্য- তুমি এখন রেগে নেই কারন তোমার চোখ
আবার কালো হয়ে গেছে।

নিলান্তিকা – (ছেলেটা এত সব ১ দিনেই
বুঝে গেছে? ?)

শুন্য- ওকে ছেড়ে উঠে পাশে বসলাম।
মেয়েটাও উঠে বসল।
মেয়েটা উঠে দাড়ালো।

নিলান্তিকা – উঠে দাড়ালাম। কিন্তু হাটার
শক্তি পাচ্ছিনা।
গত কালথেকে না খেয়ে আছি।
মাথা ঘুড়াচ্ছে।
পড়ে যেতে নিলাম।

শুন্য- মেয়েটা পরে যেতে নিচ্ছিল খপ করে
ধরলাম।

পালস চেক করলাম।
লো।
এই যে ঠিক আছো? ?
মেয়েটা কে দাড় করালাম।

নিলান্তিকা – আমি দাড়িয়ে- থাকতে
পারছিলাম না।
মাথা ঘুড়াচ্ছে।
শুন্য- মেয়েটা আবার পরে যাচ্ছিল।
ধরে কোলে তুলে নিয়ে বিছানা তে বসিয়ে
দিলাম।
খাওয়া হয়নি কিছু মনে হয় তাই দুর্বল।
রান্না ঘরে গেলাম।
চেক করে দেখলাম কিছুই নেই।
বাইরে যেতে হবে।
কিন্তু ওকে রেখে কিভাবে যাব? ?
আর দেরি ও হয়ে যাচ্ছে ক্লাবে না গেলে
কাল্কের রিপোর্ট কিভাবে দিব ??কিন্তু
ওকে ও তো দেখতে হবে।
প্রথম কে ফোন দিলাম।
কিছু খাবার আনতে বললাম।

প্রথম – কিরে তুই তো নিজে লেট হবি
আমাকেও করবি।
জানিস না। কোমান্ড কত কঠোর।
শুন্য- তুই যা। আমি আসছি।

প্রথম – কিরে তুই আমাকে ঘরে না ঢুকিয়েই
দরজার সামনে থেকে বের করে দিচ্ছিস?

শুন্য- লেট হয়ে যাবে তুই যা।

প্রথম – (ডাল মে কুছ কালা হায়) ঠেলে হহরে
ঢুকলাম।
কিরে এমন মেয়েলি পারফিউম এর সবাস
আসছে কেন? ?
শুন্য- (যা ভয় পাইছিলাম তাই হল।
প্রথম এর smelling power খুব প্রখর।
)
আরে না কই না ত।

প্রথম – উহু আমি পাচ্ছি ওই দিক থেকে
আসছে।
আমি যেতে লাগলাম।

শুন্য- খুব আটকানোর চেস্টা করলামম।
শেষ রক্ষা হলনা।

প্রথম – ওই মা!”” কিরে এই পরি কই থেকে
পেলি?

শুন্য- চুপ আস্তে আস্তে মেয়েটা ঘুমাচ্ছে।

প্রথম – সেত দেখতেই পাচ্ছি।

এবার কাহিনি বল।

শুন্য- সব বললাম।

প্রথম – আমরা আসার পর এই হইছে।
এখন কি করবি? ?

শুন্য- আমাদের ক্লাবে জয়েন করাব।

প্রথম – কি বলছিস? ? ও করবে নাকি? ?
আর তাছাড়া কোমান্ড? ??

শুন্য- এর আসল পরিচয় তুই আর আমি ছাড়া কেউ
জানেনা।
আর আমি জানতে দিব ও না।

প্রথম – তাহলে কি পরিচয় দিবি?

শুন্য- বলব দুর সম্পকেরর আত্বিয়।

প্রথম -কেউ যদি বুঝে যায়? ?

শুন্য- পরেরটা পরে দেখব।
এখন মেয়েটা কে আগে খাবার দিয়ে আসি।

শুন্য- নিলান্তিকা উঠ! !! নিলান্তিকা! !!!

নিলান্তিকা – চোখ খুললাম। সব ঝাপ্সা
দেখছি।

শুন্য- খেয়ে নেও।

নিলান্তিকা – আমার হাত কাঁপছিল।
খেতে পারছিলাম না।

শুন্য- মেয়েটা কে দেখে মনে হচ্ছে মেয়েটা
খুব অসুস্থ হয়ে পরেছে।
খাবার খাইয়ে দিতে চাচ্ছিলাম।
নিলান্তিকা – মুখ সরিয়ে নিলাম।
শুন্য-
চুপ করে খেয়ে নেও।
এত জেদ দেখানোর জন্য ও শক্তি দরকার।
যা তোমার এখন নেই।
আমাকে মারতে হলে শক্তি বাড়াতে হবে।
এর জন্য হলেও খেতে হবে।

নিলান্তিকা – চুপ করে এখন খেয়ে নিলাম।
(ঠিক বলেছে আমার এখন শক্তি দরকার।
তাই খেতে হবে)

শুন্য- নিলান্তি এখন আমি বাইরে যাচ্ছি।
তুমি থাকো।

নিলান্তিকা – আমার নাম নিলান্তিকা।

শুন্য- ওত বড় নাম ডাকতে পারব না।
ছোট করে নিলান্তি ডাকব।
নিলান্তি কিসুন্দর।

নিলান্তিকা – মুখ বাকালাম।

এই গ্রহ টা আমার কাছে অচেনা।
শুধু এই ছেলেটা কেই চিনি।
কিন্তু ওকে দেখলে আমার বাবার মুখ ভেসে
উঠে ।
ওকে কিভাবে মারব।
আমার বিষ ও কাজ করল না ওর উপর।
প্রথম – কিরে কিছু বল।
এখন কি করবি? ?

শুন্য- আরে বাবা এত ভাবার কিছু নেই।
শুন ও আমাকে ছাড়া আর কারো ক্ষতি
করবেনা।ক্ষতি যদি করতেই হয় আমারি
করবে।
প্রথম – কিন্ত! !???
শুন্য- বুঝেছি তোর কথা। তাইত ওকে চোখে
চোখে রাখার জন্য আমাদের ক্লাবে ওকে
নিতে হবে।

প্রথম – আর কোমান্ড! !!

শুন্য- আমি দেখে নিব।
তুই চুপ করে বস।
বাইক এসে থামল ক্লাবের সামনে।

আমি আর প্রথম প্রবেশ করলাম।

প্রথম – (শুন্য কে দেখেই সব মেয়েদের যেন
হার্টের বিট বন্ধ হয়ে যায়।
)কিরে তুই কি দেখছিস তোকে সবাই দেখছে।

শুন্য- দেখছি তাতে? ?
এটা এখন নতুন কিছুনা।
চল আগে কোমান্ড এর কাছে রিপোর্ট দিয়্রে
আসি।
পরে ক্লাস জয়েন করব। ( এই ক্লাবে শক্তি
এর উপর ভিত্তি করে ক্লাস ভাগ করা আছে –
A,B,C,D,E,F কোরে।আমি আর আমার গ্রুপ A
te )।
কোমান্ড এর রুমের সামনে গেলাম।
ফিংগার প্রিন্ট দ্বারা দরজা খুলে।
এইখানে যারা সদস্য তারাই দরজা খুলে
ঢুকতে পারবে। তাছাড়া আর কেউনা।
ঢুকে পরলাম আমি আর প্রথম।

কোমান্ড –
শুন্য i knew that তুমিই পারবে আমাদের এই
মিশন টা সফল করতে।
im very happy with you.
you can go now.I’ll call you later.
শুন্য- বের হয়ে এসে ক্লাসে গেলাম।
(ছেলেরা আমাকে তেমন একটা পছন্দ
করেনা।কারন মেয়েরা আমাকে খুব পছন্দ
করে।)
কিরে নাবা এখন ঠিক আছিস?

নাবা- হ্যা রে এখন ঠিক।

শুন্য- কিরে আলো আসেনি??

আলো- im here”””!
.
শুন্য- কই ছিলি? এত দেরি কেন? ?

আলো- আরে দুর। বাসা থেকে আসতে দেরি
হয়ে গেল।

শুন্য- কথায় কথায় নিলান্তির কথা ভুলেই
গিয়েছিলাম।
কিন্তু হঠাত করে ওর মুখ টা চোখে ভেসে
উঠল।
কি করছে এখন? ভাল আছে ত???
আবার পালাবে নাত? ?
কিন্তু পালিয়ে যাবে কই? ?
ক্লাসে স্যার নতুন সব আরমার সম্পকে ধারনা
দিচ্ছে।
আমি শুনছি।
কিন্তু বেখেয়ালি ভাবে।
সন্ধা তে বাসায় গেলাম।
ঘরে ঢুকে দেখি সব অন্ধকার।
লাইট জ্বালালাম।
মেয়েটার ঘরে আগে গেলাম।
ঢুকার আগে এক বার থামলাম।
আবার কি হামলা করে বসে নাকি। আল্লাহ
জানে।
ঘরে ঢুকে দেখি মেয়েটা জানালা দিয়ে পা
বের করে বসে আছে। পিছন এ যেয়ে
দাড়ালাম।

ঘৃণা ও প্রেম” পর্ব–৩