উপন্যাস- রাত

উপন্যাস- রাত পর্ব- ০৪

প্রহর –
কিন্তু কেনো যেনো নিজের রাগ কে
কোন্ট্রল করতে পারিনা মাঝে মাঝে।
ওর পায়ের সামনে যেয়ে বসলাম।
পা টা ধরলাম।
ব্যান্ডেজ খুলার জন্য।

রাত্রি – ঘুম ভেংগে গেলো।চোখ খুললাম।
পায়ের সামনে কে যেন বসে আছে।
আমি উঠে বসলাম।
তুমি ইইইইইইইইই!!”
এই কি করছ???

প্রহর- এটা চেঞ্জ করতে হবে তাই করছি।

রাত্রি- তোমাকে কে বলেছে করতে।
নিশি আপি কে ডাক দাও।

প্রহর- ও নেই চলে গেছে।

রাত্রি- তাহলে আমাকে ডাক দিতে আমাকে
বলতে আমি করতাম।

প্রহর- তুমি ঘুমাচ্ছিলে।

রাত্রি- তাতে কি ডাক দিতে।
ছাড়ো।
ছাড়ো।

প্রহর- রাত্রি একটু পিছিয়ে গেলো।
আমি পা ধরে টান দিলাম।
ও একে বারে আমার কাছে এসে পরল।
রাত্রি- আমি কোনো মত ওর ২ কাধে আমার ২
হাত দিয়ে ওর উপর পরে যাওয়া টা
ঠেকালাম।

এখনি ত পরে যাচ্ছিলাম।
ওর চোখের দিকে তাকালাম।

প্রহর- ওর চোখের দিকে তাকিয়ে আছি।
আমার অনেক টা কাছে ও যে আমি ওর প্রতি
টা নি:শ্বাস অনুভব করতে পারছি।

রাত্রি- ( এইভাবে তাকিয়ে আছে কেন??
চোখ দিয়েই ঘায়েল করবে নাকি? ?)
তাকিয়ে কি দেখছ???

প্রহর- আমার ঘোর ভাংল।
চুপ করে ভালমত বসো।
পা নিয়ে ব্যান্ডেজ খুলতে লাগলাম।

রাত্রি – হি হি হি।
আরে আরে থামো।
কি করছ? ?

প্রহর- আমি অবাক হয়ে ওর দিকে তাকালাম।
এই মেয়ে কি পাগল হয়ে গেছে? ? হাসছ
কেন? ??

রাত্রি- পায়ে সুড়সুড়ি লাগছে।
ত হাসি পাবেনা? ?

প্রহর- ……..

রাত্রি – ( হুহ কি ভাব। হুহ।) মুখ বাকালাম।

প্রহর- ওর পায়ের ক্ষত টা গভির।
এখনও হালকা রক্ত বের হচ্ছে সেখান থেকে।
আমি নিজেকে শান্ত করছি করছি।
কোন্ট্রল করছি।
আমি নিজেকে কোন্ট্রল করতে না পারলে
ওর ক্ষতি করে ফেলব।
কিন্তু আমি ওর ক্ষতি করতে না ওর যাত্র
ক্ষতি না হয় তার জন্য এসেছি।
কিন্তু এই রক্তের পিপাসা না আমাকে মরতে
দেয় না বাঁচতে।

রাত্রি – একে এমন ফেখা যাচ্ছে কেন? ?
কি হয়েছে এর? ? কাটা দেখে আবার অসুস্থ
হয়ে গেলো না ত ??

এই তুমি ঠিক আছো।

প্রহর – ঠিক আছি আমি।
হয়ে গেছে।
আসি।

রাত্রি – আরে এ ত বড়ই আজব।
আমার ঘুম ভাংগিয়ে চলে গেলো

আর আমি এখন কি করব? ?
উঠতেও ত পারছিনা।
ফোন ই দেখি।

প্রহর- আমি বের হয়ে দৌড়ে জংগল এর দিকে
যাচ্ছি।
গভির জংগল।
যেখানে চাঁদের আলো ও পৌঁছাতে পারেনা।
গাছের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়ালাম।
আমি হাপাচ্ছি। না দোড় দিয়েছি তার জন্য
না।
রক্তের পিপাসার জন্য।
.
rose – well well. my dear hunter . how r u?
.
প্রহর- rose!! তুমি এইখানে? ?

rose- জংগল ই ত আমার বাড়ি।
অনেক দিন পর দেখা হল।
wht a surprise.
.
প্রহর- সে ত বটেই।
এই শহরে কবে আসলে?।
?

rose- তোমার সাথে দেখা করতে এলাম
ডিয়ার হান্টার।

প্রহর- আমাকে এই নামে মানুষ এর সামনে
ডেকো না।

rose- মানুষ বলতে রাত্রি রাইট?

প্রহর- …….

rose- what?? এইভাবে তাকিয়ে আছ কেন? ??
আমি সব ই জানি।
তুমি কি ভেবেছ আমি কিছু জানিনা? ?
বাট সুইট হার্ট নাইট এর হাত থেকে ওকে
কিভাবে বাঁচাবে? ?

প্রহর- আগে যেভাবে বাঁচিয়ে ছিলাম।
ওকে আগেও বাঁচিয়েছি।
এখন ও বাঁচাব।
আর সামনেও বাঁচাতে থাকব।
rose- dear dear dear. u know something that’s
why i like u very much.
my hero!
.
প্রহর- back off.আমার এসব পছন্দ না।
আমি আগেও বলেছি।

rose- ya ya i remember that.
আমাকে আর পছন্দ হবে কেনো।
তুমি ত আরেক জন কে পছন্দ করো।

বাট ভুলে যাচ্ছ সে মানুষ।

তাই তোমার আর ওর ……
প্রহর- তুমি ভুল করছ। আমি ওকে পছন্দ করিনা।
ওকে রক্ষা করা আমার কাজ।

rose- rose এর কাছে কিছুই লুকানো যায় না।
তুমি কেনো ভুলে যাচ্ছ।
হানি।

প্রহর- আমাকে যেতে হবে।

rose- হুম হুম যাও।
আর মনে রেখো ও শুধু মানুষ ই না আরও অন্য
কিছু।

প্রহর- আমি সব জানি।তোমাকে বলতে
হবেনা।
আমি শুধু চাই তুমি তোমার মুখ টা বন্ধ রাখো
আর আমার সামনে আসার দরকার নেই।
রোজ – ওকে।

প্রহর- বাতাসের বেগে ছুটলাম রাত্রির
কাছে।
আমি ঘরের এক কোনায় দাড়ালাম।
ওকে দেখছি।
ও ঘুমাচ্ছে গভির ঘুমে। চাদের আলো মুখে
এসে পরছে।
ওর ঘুমন্ত চেহারা আরও মায়াবি।
শুধু ওর কাছে টানে।
আমি ওর কাছে যেয়ে ওকে দেখতে লাগলাম।
ঠোটের উপর চুল উড়ে এসে পরল।
আমি আরেক্টু কাছে যেয়ে ফু দিয়ে সরিয়ে
দিলাম।
আমার ঘোর কাটতে চায় না ওর কাছে গেলে।
না না কি করছি আমি??
এটা ঠিক না।
আমি সারারাত ঘরের এক কোনায় বসে ওকে
পাহাড়া দিলাম।
রাত্রি – আড়মোড়া ভেংগে ঘুম থেকে উঠলাম।
চোখে আলো এসে পরল।
পাশে রাখা বই টার দিকে নজর গেলো।
আল্লাহ! এটা ত লাইব্রেরী তে জমা দেওয়ার
লাস্ট ডেট আজ। আমার ত মনেই নেই।
আজ না দিলে ত আবার ফাইন দিতে হবে। আজ
কাজ করি ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে বের হয়ে
পরি। ওই গার্ড দেখার আগেই।
হুম।
রেডি হয়ে বের হচ্ছিলাম।
আশে পাশে ভাল মত তাকালাম। কাউ কে
দেখলাম না।
প্রহর মনে হয় এইখানে নাই এই টাই ঠিক সময়
বের হওয়ার। দ্রুত বের হয়ে গেলাম।
লাইব্রেরী তে পৌছে বই জমা দিয়ে নতুন
কিছু বই খুজতে লাগলাম।
একটা বুক সেল্ফ এর কাছে গেলাম।
অনেক ধরনের হয় আছে তাতে।
কিন্তু নজরে পরল এক্টা বই “history of vampires

বই টা উপরের দিকে হাত ঠিক মত যাচ্ছে না।
পা উঁচু করে নিতে চেস্টা করছিলাম।
কিন্তু কিসের থেকে কি হয়ে গেলো সেল্ফ
সোজা আমার উপর পরতে নিচ্ছিল আর আমি
মুখ হাত দিয়ে ঢেকে নিচে বসে পরলাম।
কিছুক্ষন পর চোখ খুলে দেখলাম প্রহর আমার
দিকে ঝুকে আছে আর ওর পিঠে ঠেকে আছে
সেল্ফ টা।

প্রহর – সেল্ফ টা ঠিক করে বাইরে এসে গাড়ি
তে বসলাম।

রাত্রি- আমি মাথা নিচু করে এসে গাড়ি তে
বসলাম।
এত জোড়ে গাড়ি চালাচ্ছে মনে হচ্ছে গাড়ি
চালাচ্ছেনা রকেট চালাচ্ছে।
হুহ রাগ দেখাচ্ছে তাও আমাকে??
ওর রাগের ধার ধারি নাকি আমি? ?

বাসার সামনে এসে গাড়ি থেকে নেমে ঘরে
ঢুকছিলাম কিন্তু

প্রহর – ওর হাত ধরে আউট হাউজে নিয়ে
গেলাম।
দরজার সাথে আটকে ধরলাম।

রাত্রি- what the hell r u doing? ???
leave my hands.
leave me.

 


বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *