উপন্যাস- রাত পর্ব- ০৫
প্রহর – ওর হাত ধরে আউট হাউজে নিয়ে
গেলাম।
দরজার সাথে আটকে ধরলাম।
।
রাত্রি- what the hell r u doing? ???
leave my hands.
leave me.
.
প্রহর – তোমার সাহস ত কম না।
তুমি আমাকে না বলে চলে গেলা কিভাবে? ?
এখন যদি তোমার কিছু হয়ে যেত তখন কি
বলতাম তোমার আংকেল কে? ?
।
রাত্রি- ……..
।
প্রহর – এইভাবে হবেনা।
বুঝেছি স্যার কে ফোন দিতে হবে।
যাতে তোমাকে এইখান থেকে নিয়ে যায়।
।
রাত্রি – no no no don’t do it. pls pls.
ok I’m sorry.
আমি আর এমন করব না।
।
প্রহর – ঠিক ত?
।
রাত্রি – হ্যা হ্যা ঠিক।
বলে বেরিয়ে এলাম।
তোমাকে আমি দেখে নিব।
শয়তান একটা।
।
প্রহর – কিছু বললে?
।
রাত্রি- না না কিছুনা।
সন্ধায় খুব বৃষ্টি শুরু হল।
আমি ছাদে বসেই বই পড়ছিলাম।
এইখানে প্রায় ই খুব বৃষ্টি হয়।
কিন্তু আমি ঠান্ডার ভয়ে ভিজতে পারিনা।
কিন্তু খুব শখ হল আজ ভিজার।
সন্ধ্যায় বৃষ্টির মধ্যে ভিজার লোভ টা
সামলাতে পারলাম না।
খুব জোরে পরা শুরু হয়েছে।
আর আমি বানরের মত লাফাচ্ছি ।
পানিতে পা পরতেই ঝপ ঝপ শব্দ হচ্ছে।
সাথে নুপুরের ও শব্দ হচ্ছে।
বৃষ্টিতে ময়ুর যেতন খুশিতে নাচে ঠিক আমার
ও হয়েছে সেই অবস্থা।
কিন্তু হঠাত আমি থমকে গেলাম।
কারন সামনে কিছুটা দুরে কেউ দাড়িয়ে
আছে।
সে এক পা এক পা করে সামনের দিকে
এগিয়ে আসছে।
আধারে তাকে ভালো মত দেখা যাচ্ছেনা।
তার উপর এই বৃষ্টি।
আমি দৌড়ে ছাদ থেকে থামতে গেলাম।
সিড়িতে পিছলে পরে যাচ্ছিলাম।
আর যখন চোখ খুললাম তখন দেখলাম প্রহর
আমাকে ধরে আছে।
।
প্রহর – এই পা নিয়ে সকালে বের হলে আর
এখন ছাদে লাফাচ্ছিলে , এখন যদি পরে
যেতে কি হত???
।
রাত্রি- ছাদে তুমি ছিলে??
প্রহর – ত কাকে আশা করছিলে??
রাত্রি- তুমি ছাদে এলে কখন আমি দেখলাম
না ত।
আর এত তাড়াতাড়ি ছাদ থেকে এসে আমাকে
ধরলেই বা কি করে?
।
প্রহর – তোমার এত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার
প্রয়োজন মনে করছিনা।
।
রাত্রি- প্রহর আআমাকে ছেড়ে দিয়ে নিচে
চলে যাচ্ছিল।
কিন্তু আমি খেয়াল ই করিনি আমার পায়ের
কাটা জায়গা থেকে আবার রক্ত বের হচ্ছিল।
আমি কোনো মত ঘরে যেয়ে কাটা জায়গা
পরিস্কার করতে লাগলাম।
।
প্রহর – আমি রক্তের স্মেল পাচ্ছি।
নিজেকে কন্ট্রোল করা কঠিন হচ্ছে।
।
রাত্রি- পা পরিস্কার করে ব্যান্ডেস যেই
করতে যাব মনে হল কোনো ঝড় হাওয়া এসে
আমাকে বিছানা তে চেপে ধরল।
প্রহর! !!!!!!
কি করছ কি তুমি? ?? ছাড়ো আমাকে ছাড়ো।
কি হল? কি দেখছ এইভাবে??
।
প্রহর – আমি তখন আমার মধ্যে ছিলাম না।
আমি তখন ছিলাম ঘোরের মধ্যে।
আমার তখন রক্তের প্রয়োজন।
রক্তের পিপাসা কন্ট্রোল করা খুব কঠিন
হচ্ছিল।
।
রাত্রি- প্রহর আমার দিকে আরও এগিয়ে
আসছিল।
আমার ভয়ে আত্তা বের হয়ে যাওয়ার মত
অবস্থা।
।
প্রহর – ওর ঘাড় থেকে চুল সরালাম।
।
রাত্রি- আমি ভয়ে চোখ বন্ধ করে আছি।
ঘাড়ে প্রহরের নি: শ্বাস বাড়ি খাচ্ছে।
আমি ভয়ে জমে যাচ্ছি।
এই প্রথম কেউ এত কাছে এল।
।প্রহর ঘাড়ের দিকে ক্রমশ এগিয়ে আসছে।
।
প্রহর – চোখ লাল হয়ে গেছে।
চোয়ালের দাত বড় বড় হয়ে গিয়েছে।
রক্তের নেশা বাড়ছে।
।
রাত্রি- ঘাড়ে ঠোটের স্পর্শ পেলাম।
আমি কেঁপে উঠে অনেক জোড়ে দিলাম
ধাক্কা।
বিছানা তে উঠে বসলাম ঘাড়ে হাত দিয়ে।
প্রহর আমার দিকে না তাকিয়েই রুম থেকে
বের হয়ে গেলো।
এখনও আমার হার্ট বিট খুব দ্রুত হচ্ছে।
কি হচ্ছিল সেটা ভেবেই আত্তা কেঁপে
কেঁপে উঠছিল।
।
প্রহর – আমি সোজা জংগল এ চলে এলাম।
কি করছিলাম কি আমি? ??
i have to control myself.
আমি ত অন্য সব ভ্যাম্পায়ার দের মত না।
I’m a hunter.
I have to control.
রক্তের পিপাসা আমাকে দুর্বল করে দিতে
পারেনা।
।
না না না।
আমি থাকলে হয়ত রাত্রির ক্ষতি হতে পারে।
না আমি আর ওর কাছে যাবো না।
না না না।
।
রাত্রি- রাতে কখন ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম
জানিনা।
সকালে ঘুম থেকে ঊঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা
করে নিলাম।
নিশি আপি ও কি খেয়েছে??
।
নিশি- ও টা কে গো?
।
রাত্রি- আরে ওই বডি গার্ড।
।
নিশি- এত দিন ধরে আসছে কখনও ত খেতে
দেখলাম না।
আর আজ ত সকাল থেকে দেখছি ও না।
।
রাত্রি- তাই নাকি?
।
নিশি- হুম।
।
রাত্রি – নাস্তা করে আউট হাউজে গেলাম।
প্রহর ছিল না।
সারা ঘর কেমন এলোমেলো।
আজব এই ছেলে এত নোংরা? ?
রুম টা ভালোমত গুছালাম
।
আজ সারাদিন ই প্রহরের কোনো সাড়া
পেলাম না।
আজব কোথায় গেলো।
বাইরে যেতেও ইচ্ছা করছেনা আর বই পরতেও
না।
যাক ভালোই হয়ছে ওই বডি গার্ড নিজের
ইচ্ছাতেই চলে গেছে।
তা আমার আবার ওর কথা মনে পরছে কেন? ?
উফফ।
হঠাত হাতের দিকে চোখ গেলো।
পুরা লাল হয়ে আছে।
পাচ আংগুল এর দাগ বসে আছে। এত জোরে
ধরেছিল যে দাগ ই বসে গিয়েছে।
আচ্ছা ও কি কালকের জন্যই চলে গেলো
নাকি? ?
উফফ আমি এত ভাবছি কেন? ??ওর আসার হলে
আসবে না হলে নাই।
আমি ঘুমাই।
হঠাত এক বিকট শব্দে ঘুম ভেংগে গেল।
আমি ঊঠে জানালার কাছে গেলাম।নিচে
কাওকে দেখতে পেলাম।
অস্পষ্ট।
মনে হয় প্রহর এসেছে।
আমি দৌড়ে নিচে গেলাম।
কিন্তু কাউকে দেখতে পেলাম না।
ব্যপার টা কি হল? ?
আমি ত কাউকে দেখেছিলাম।
গেটের সামনে বসে দাড়োয়ান ঘুমাচ্ছে।
আমি চলে আসছিলাম হঠাত চোখ গেলো
পিছনের গেটের দিকে।
এই গেট কখনও খোলা হয়না
তালা মারা থাকে।
কিন্তু খুলল টা কে? ?.
গেটের সামনে গেলাম।
তালা খোলা ছিল।
তাহলে কি চোর বাড়িতে ঢুকেছিল???
গেট লাগাতে যাচ্ছিলাম কিন্তু চোখ গেলো
ঘন জংগল টার দিকে।
আমাদের বাড়ির পিছনের দিকে রয়েছে
একটা ঘন জংগল।
এর জন্য গেট খোলা রাখা হয়না।
আর এই রাস্তাতেও মানুষ কম চলাচল করে
।
এত রাতে এইখানে কে??সে চলে যাচ্ছে
জংগল এর রাস্তা ধরে আরও ভেতরে।
আমি তাকে ডাকতে লাগলাম।
পিছন পিছন যেতে লাগলাম
।
কিছুদুর যেতেই আর কাউকে দেখতে পেলাম
না।
রাত কয়টা বাজে জানিনা।
কিন্তু চাঁদের আলোতে জংগল টা আলোকিত
হচ্ছে
।
আশে পাশের সব দেখা যাচ্ছে।
কিন্তু আমি মনে হচ্ছে পথ গুলিয়ে ফেলেছি।
আমি কোন দিক যাবো বুঝতে পারছিনা
।
চলতে চলতে কিছুর সাথে বাড়ি খেয়ে নিচে
পরে গেলাম।
পিছনে তাকিয়ে মনে হল কোনো মানুষ উপুর
হয়ে পরে আছে।
আমি মুখ টা দেখার জন্য মুখ টা তুললাম।
মুখ টা দেখে আমার জানে আর জান ছিল না।
সারা দেহ রক্তে ভেসে যাচ্ছে।
আমি চিতকার দিয়ে দৌড়াতে শুরু করলাম।
কোন দিক যাচ্ছি নিজেও জানিনা।
হঠাত পা থমকে গেলো, কিছু একটা এগিয়ে
আসছে আমার দিকে সেই আগের মত লাল
চোখ আর বড় দাত।
মুখ থেকে রক্ত বেয়ে পরছে।
আর কিছু মনে নেই।
সকালে ঘুম ভাংল।
নিজেকে আবিষ্কার করলাম নিজের ঘরে
বিছানাতে।
বিছানা থেকে উঠে দাড়ালাম।
কাল কে রাতের কথা মনে হল।
সেই দৃশ্য চোখে ভেসে ঊঠল।
আমি দৌড়ে নিচে নামলাম।
সিড়ি দিয়ে নামার সময় ধাক্কা খেলাম
কারো সাথে। তাকিয়ে দেখি প্রহর।
আমি জরিয়ে ধরলাম ওকে।
।
চিতকার করে কালকে রাতের কথা গুলা
বলছিলাম।
।
প্রহর – কাল কে রাতের ব্যাপার টা তে ও এত
ভয় পেয়েছে ….. সময় মত আমি না গেলে খুব
খারাপ হয়ে যেত।
কিন্তু ও এত ভয় পেয়েছে যে ভালো মত নি:
শ্বাস ও নিতে পারছেনা।
এত টা উত্তেজিত হওয়া ঠিক না কোনো
মানুষ এর জন্য। যে কোনো কিছু হয়ে যেতে
পারে।
।
রাত্রি – প্রহর তুমি শুনতে পাচ্ছ আমি কি
বলছি???
।
প্রহর – রাত্রি রিলেক্স। কুল ডাউন।
।
রাত্রি- না তুমি আগে আমার কথা শুনো।
প্রহর – ও কোনো মত শান্ত হচ্ছেনা। উপায় না
পেয়ে….
চলবে
বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!