আড়ালে ভালোবাসার সংসার !! Part- 02
ও বিথিকে জিগ্যেস করে,
এটা ভাঙলো কী করে ( রেগে চিৎকার করর)
বিথিঃ নিশ্চুপ।
বিধানঃ আমি কিছু জিজ্ঞেস করছি। জাস্ট এন্সার মি রাইট নাউ ইউ ইডিয়াট।
বিথিঃ ভ-ভ-ভু-ভুলে। হ-হাত লেগে প-পরেগিয়েছিল। আ-আমি আমি ইচ্ছে করে করিনি। ( ভয়ে আতঙ্কে তোতলিয়ে)
বিধানঃ ইউ ফুল তুমি জানো এটা কত এক্সপেন্সিভ এন্ড রেয়ার। আর তুমি কিনা এটা ভেঙে ফেললে? অবশ্য বুঝবে কি করে ছোট ফেমেলীর মেয়ে এগুলোর কোনো আইডিয়া আছে নাকি? ব্লাডি মিড্যাল ক্লাস।
বিথিঃ স্তব্ধ হয়ে দাড়িয়ে আছে। চোখ বেয়ে পানি পরছে। জীবনে এই প্রথম কেউ তার ফাইনানশিয়াল অবস্থার জন্য ছোট করেছে।
,
,
অন্যদিকে বিধান এসব বলে রাগের মাথায় স্লিপিং পিলস খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লো।
আর বিথি সে ওয়াসরুমে যেয়ে অধর নয়নে কাঁদছে।
,
,
বিথিঃ মা বাবা এতটাই কি বোঝা হয়ে গিয়েছিলাম যে এমন একজনের সাথে বিয়ে দিলে।
অনেক্ষণ কান্না করে একটা জরজেট শাড়ি পরে বাইরে আসে। খাটে তাকিয়ে দেখে বিধান ঘুমিয়ে আছে। আর বালিশ ও ব্লাঙ্কেট একটিই ছিল যাতে বিধান ঘুমিয়ে আছে তাই উপায় না পেয়ে শাড়ি ভালোভাবে জড়িয়ে ফ্লোরে শুয়ে পড়লো। সারাদিনের ক্লান্তি আর কান্নার ফলে ঘুমিয়ে গেল সাথে সাথেই।
,
,
,
সকালে,
,
,
,
ফযরের আজানের আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায় বিধানের। পাশে হাত দিয়ে বিথিকে না পেয়ে ভাবে ওযুর জন্য উঠেছে মনে হয়। হঠাৎ ফ্লোরে চোখ যেতেই বিধানের চোখ কপালে। এই হাড় কাপানো শীতে মেয়েটা ফ্লোরে তাও কাথা ব্লাংকেট ছাড়া। শীতে কাপছে শরীর তা বিধান দেখে বুঝতে পারছে। আগেই বলে রাখি বিথির ঘুম ভালোনা। জামা ঠিক থাকে না। আর আজতো শাড়ি। হাটুর নিচ পযর্ন্ত উঠে আছে। আচল সরে ভাজ হয়ে সম্পূর্ণ পেট দেখা যাচ্ছে।
,
,
,
বিধান খেয়াল করলো মেয়েটার ফেসটা শ্যামা হলেও শরীরটা হলদে। এই হলদে রঙে পায়ের আর পেটের টকটকে লাল খয়েরি তিলগুলো অনেক সুন্দর লাগছে। ওর ঘোর কেটে যায় বিথির নড়াচড়ায় তখন ওর ধ্যান আসে বিথির শরীরটা অস্বাভাবিক লাল হয়ে আছে। ও তারাতারি উঠে বিথির মাথায় হাত দিয়ে দেখ বিথির জ্বর এসে পড়েছে। তাই বিথিকে বিছানায় রেখে তাড়াতাড়ি ওর বান্ধবী ডঃমিমকে ফোন দেয়। সে এসে চেকআপ করে।
,
,
,
মিমঃ টেনশন নিস না জ্বর খুব বেশি না পিলস নিলেই ঠিক হয়ে যাবে।
বিধানঃ তাহলে ওর শরীর যেয়ে লাল হয়ে রয়েছে।
মিমঃ ভাবির মেয়বি ঠাণ্ডার প্রবলেম আর ধুলোবালি থেকে প্রচন্ড এলারজি আছে তাই রিয়েকশন করছে। কিন্ত…..
বিধানঃ কিন্ত কি?
মিমঃ কালকে তো ভাবিকে ঠিক দেখলাম এর মধ্যে ঠাণ্ডা লাগলো কিভাবে? আর এতটা এলারজিক রিয়েকশন কিভাবে?
বিধানঃ আসলে। আসলে….
ঠিক তখনই মিমের ফোনে একটা টেক্সট আসে।
মিমঃ তা যাই হোক আমার দেয়া পিলগুলো টাইমওয়াইস খাওয়ায় দিস। আমি আসি।
বিধান রহমত চাচাকে দিয়ে মেডিসিন আনিয়ে বিথিকে ঘুমের মধ্যেই খায়িয়ে দিল। বিধানের বিথির উপর আর নিজের উপর ও প্রচন্ড রাগ হলো।
বিধানঃ বুঝলাম আমার এভাবে রিয়েক্ট করা ঠিক হয়নি তাই বলে ও নিচে ঘুমাবে। কতখানি অসুস্থ হয়ে পড়েছে হলদে শরীরটা লাল টুকটুকে হয়ে আছে আর মুখটা কেমন শুকিয়ে ফেকাশে হয়ে আছে। কাল রাতেও তো কিছু খায় নি। (মনে মনে )
,
,
,
বিধান এরপর রেডি হয়ে নিচে চলে গেলো। নিচে মিসেস চৌধুরী ও মিস্টার এণ্ড মিসেস ইফতেখার খান এবং তাদের মেয়ে ইফতিকা ব্রেকফাস্টের জন্য টেবিলে বসে আছেন।
(মিস্টার ইফতেখার খান হলো বিধানের মামা। এই লোকটার ও তার ফেমেলীর সব কাজে নাক গলানোর একটা জন্মগত অভ্যাস আছে যার জন্য বিধানের চোখের কাটা উনি তবে মায়ের দিকে তাকিয়ে কখনো কিছু বলে না)
বিধানকে নিচে নামতে দেখে ইফতিকা তার পাশের চেয়ারটা ঠিক করে দেয় বসার জন্য। তবে বিধান সেখানে না বসে ওর মায়ের সাথে বসে।
,
,
,
বিথিঃ গুড মরনিং এভরিওয়ান
মিসেস চৌধুরীঃ বিধান বিথি মামনি কোথায়? দেখছি না যে।
বিধান কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না। কিন্তু বিধানের মামা এমন কিছু বলল যা শুনে বিধান রাগে ফেটে পড়ছে।
চলবে,,,