আমার ক্রাশ বর

আমার ক্রাশ বর !! Part- 19

অনু তো বাবার বাড়িতে চলে আসে।

অনুর মা অনুকে দেখে দৌড়ে গিয়ে মেয়েকে জড়িয়ে ধরে,,
তারপর কোনো কথা না বলে,”পিছনে খুজে বলে,,জামাই কোথায় রে অনু “?

অনু রেগে বলে,”আমি আমার বাবার বাড়ি আসছি পরের ছেলেকে কি দরকার”??

অনুর মা :কি যে বলিস না তুই,,জামাই ছাড়া বিয়েন পর প্রথম কেউ একা আসে?

অনু :আজব কাহিনী তো,আমি এতোদিন পর আসছি তাতে তুমি খুশী না? ?
এই তুমি আমার নিজের মা তো না কি অন্য কিছু তাতে আমার সন্দেহ হয়।
আজব মা তুমি,মেয়ে আসছে,,কেমন আছে,
দুইটা ভাল মন্দ কথা বলবে তা নয় আজারে পেঁচাল শুরু।বিয়ের আগে বিয়ে,
বিয়ে করে মাথা খেয়ে ফেলছিলে,
এখন জামাই জামাই করে মাথা খারাপ করে দিচ্ছো।কেন যে ছেলের শ্বশুর বাড়ি আসার সময় নেই তাকে নিয়ে কেন পরে থাকো??

আবির বুঝতে পারছে তার বোনের মন ভাল নেই।না হলে কখনো এমন কথা বলতে পারতো না।

আবির সোজা গিয়ে নিজের বোন কে জড়িয়ে ধরে বলে,”আরে আমার অনু মনু,,এতো কথা বলতে নাই,,,চুপ করো মনু পাখি প্লিজ “?

অনু তার ভাইকে জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি শুরু করে দেয়।

আবির বোনকে কান্না করতে দেখে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারে না।তবুও কন্ট্রোল করে।

অাবির অনুকে বলে,”কি হয়েছে আমার অনু মনু পাখিটার? এমন করে কখনো তো কান্না করে না আমার বোন টা।”?

অনু কান্না করতে করতে বলে,”ভাইয়া আমার সব কিছুতে বিষাদ মনে হয়।
কোনো কিছু ভালো লাগে না।
জীবনের সব রং গুলো মনে হয় হারিয়ে যাচ্ছে জানি না কেনো এমন মনে হচ্ছে আমার”।

আবির বুঝতে পারছে অনুর মনের মাঝে হয়তো কোনো এলোমেলো ঝড় বইছে।
তা না হলে তার বোন কোনোদিন এমন করে কান্নাকাটি করতো না।

তারপর আবির অনুকে বলে,”জানিস তো আমি তোর জন্য কতো চকলেট কিনে রাখছি এমন করে কান্নাকাটি করলে সে সব চকলেট কে খাবে আমার কলিজা পাখিটা??

অনু চোখ মুছে,,ঠোঁটে একটা মলিন হাসি নিয়ে বলে,,”আমি ছাড়া কি তোমার আর কোনো বোন আছে যে সে খাবে “?

আবির অনুর চোখের পানি মুছিয়ে বলে,যাও আগে ফ্রেশ হয়ে আসো তারপর।

অনু চকলেটের লোভে তাড়াতাড়ি নিজের রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিচে এসে বলে কই রে ভাইয়া আমার চকলেট কোথায়!!

আবির অনুর হাত ধরে নিয়ে গিয়ে ডাইনিং টেবিলে বসিয়ে নিজের হাতে খাবার খাওয়াই দেয়।
তারপর অনুর হাতে একটা বড় বক্স চকলেট এর ধরিয়ে দেয়।

অনু তো চকলেট পেয়ে ভাইকে জড়িয়ে ধরে। তারপর নিজের রুমে চলে যায়।

অনু তার খাটের পাশে টেবিলের উপর বক্স টা রেখে নিজের বারান্দাতে গিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে।



এদিকে আরিয়ান বাড়িতে এসে দেখে অনু রুমে নেই।তার বুঝতে একটু দেড়ি হয়না যে অনু বাবার বাড়ি চলে গেছে।

আরিয়ান রাতে খাবার খেতে নিচে আসে।

তখন ওর বাবা জিজ্ঞাস করে,”বউমা কোথায় গিয়েছে”?

আরিয়ান :বাবা অনু তার বাবার বাড়িতে গেছে।

আরিয়ানের বাবা :তা সে একা গেছে না কি তুমি তাকে রেখে আসতে গিয়েছিলে?

আরিয়ান বলে,”অনু একা তার বাবার বাড়িতে গিয়েছে “!

আরিয়ানের বাবা :বাহ দারুণ,, এমন শিক্ষা আমরা তোমাকে দিয়েছি বুঝি?

আরিয়ানের মা বলে,,,”ওকে তো আমরা কোনো শিক্ষা দিতে পারি নাই,দশ বছর বাহিরে থেকে এসে বিয়ে করেছে সে এসবের কিছু বুঝবে না”।

অারিয়ানের বাবা :হুম তুমি ঠিক বলেছো!! একটা মেয়েকে বিয়ে করার পর তাকে বাবার বাড়ি একা যেতে দেয় তার থেকে বেশি কিছু আশা করা টাই বোকামি।

আরিয়ান :আমার অনেক কাজ ছিলো!নিজের কাজ ফেলে রেখে তো আর শ্বশুরবাড়ি গিয়ে পরে থাকতে পারি না।

আয়াত বলে,”ভাইয়া এটা কেমন ধরণের কথা বলছো,বিয়ে করলে বউয়ের বাবা মা কে নিজের বাবা মার মতো ভাবতে হয়”।

আরিয়ান :তুই তো এখনো বিয়ে করিস নাই? তাহলে অযথা জ্ঞান দিতে আসবি না।আমি এখানে কারো জ্ঞান নিতে আসি নাই।তাই বলে নিজের রুমে চলে যায়।

আরিয়ানের মা বলে,”ছেলেকে অন্যের ভরসাতে ছেড়েছি বলে আজ ছেলেটা আমার অমানুষ হয়ে গেছে।এ ভুলের মাশুল কেনো ঐ নিষ্পাপ মেয়েটা কে দিতে হবে।কি এমন ভুল তার”?

আরিয়ানের বাবা :জানি না নিজেদের ভুলের মাশুল আর কতো জন কে দিতে হবে।ভেবেছিলাম মেয়েটা নিজের চঞ্চলতা দিয়ে সব ঠিক করে দিবে।
কিন্তু আজ সে মেয়ে নিজে নিরব হয়ে যাচ্ছে ভালই হয়েছে মেয়েটা বাবার বাড়ি গিয়ে তো একটু শান্তিতে থাকবে।

আয়াত মনে মনে বলে,,”সব কিছু ঠিক করতে হলে আবার দশ বছর আগে ফিরে যেতে হবে।আর না হলে রাজ ভাইদের ফিরে আসতে হবে”।

আরিয়ান নিজের রুমে এসে চারিদিকে একবার তাকিয়ে দেখে,,,
সকালেও অনু এ রুমে ছিলো কিন্তু আজ এখন সে নেই।
এ ঘরের মতো কোনো একদিক আমার জীবন থেকেও সে হারিয়ে যাবে।
আর যায় হোক জোর করে তো ভালবাসা যায় না।



পরেরদিন সকালে আরিয়ান তাড়াতাড়ি অফিসে চলে যায়,,কারণ সে অনুকে অফিসে দেখতে পারবে সে অাশায়।

কিন্তু অফিসে এসে আরিয়ানের সে আশার মুখে পানি ঢেলে দেয় অনু।

আরিয়ান বার বার অফিসের পিয়নের থেকে খবর নিচ্ছে যে অনু আসছে কি না।
আবার নিজেও বাহিরে গিয়ে অনেক বার চেক করে কিন্তু ফলাফল শূন্য।
আরিয়ানের মাঝে কোনো কিছু হারিয়ে ফেলার ভয় প্রচুর পরিমাণে কাজ করছে।
না জানি অনুকে সারাজীবনের জন্য হারিয়ে ফেলি।

এদিকে দিশা আরিয়ানের কেবিনে এসে দেখে,”আরিয়ান কোনো কিছু নিয়ে খুব টেনশনে আছে”।

দিশা :স্যার আপনি কি কোনো কিছু নিয়ে টেনশন করছেন?

আরিয়ান কোনো কথা না বলে সোজা বলে,”অনু কি অফিসে এসেছে “?

দিশা :স্যার ঐ মেয়ে দেখেন কতোটা বেয়াদব। কোনো কথা না বলে অফিসে আসা বন্ধ করে দিয়েছে।

আরিয়ান :Shut up !! okay…
কারো সম্পর্কে কোনো কথা বলার কোনো অধিকার তোমার নেয়।
আর অনু সম্পর্কে তো নাহ।
আর এখন আমার সামনে থেকে গেলে খুশী হবো।

দিশা একটু মন খারাপ করে অারিয়ানের কেবিন থেকে বাহিরে চলে যায়।



ঐ দিকে এতো বেলা হয়ে গেছে তাও অনু নিচে আসছে না তা দেখে আবির তাড়াতাড়ি বোনের রুমে চলে যায়।

আবির রুমে গিয়ে দেখে অনু কাথা মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে আছে।
আবির বোনের পাশে বসে মাথায় হাত দিয়ে দেখে জ্বরে অনুর পুরা শরীর পুরে যাচ্ছে।আর অনুর কোনো সেন্স নেয়।
আবির দ্রুত তাদের পারিবারিক ডাক্তার কে কল করে।
কিন্তু জানতে পারে সে দেশের বাহিরে আছে।

আবির কিছু ভাবতে পারছে না।
তাই দ্রুত বোন কে কোলে করে একটা প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সেখানে ডাক্তার অনুকে চেকআপ করার পরে বলে,”উনি হয়তো অনেক সময় ঠাণ্ডা পানিতে ভিজেছিলেন তার জন্য এমন অবস্থা হয়েছে তার।কিন্তু চিন্তার কিছু নাই।
আমরা একটা ইনজেকশন দিয়ে দিচ্ছি কিছু সময় পর তার জ্ঞান ফিরে আসবে”।

তখন সে হাসপাতালে আবির কে দেখতে পেয়ে আয়াত এগিয়ে আসে।

আয়াত :আরে আবির ভাইয়া আপনি এখানে?? কারো কিছু হয়েছে না কি??

আবির :হুম।অনু একটু অসুস্থ তাই ওকে এখানে নিয়ে আসছি।

আয়াত তাড়াতাড়ি অনুকে দেখতে আস,তারপর ডাক্তারের থেকে সব টা শুনে আবির কে বলে,”ভাইয়া চিন্তা করবেন না কিছুদিন রেস্ট করলে ভাবী ঠিক হয়ে যাবে”।

আবির :হুম,, রেস্ট করবে তাও অনু।

আয়াত :আচ্ছা ভাইয়া একটা কথা জিজ্ঞাস করবো?? ভাবী হঠাৎ করে এতো ঠাণ্ডা কি ভাবে লাগছে?

আবির :জানি না,,কিন্তু অনুমান করতে পারছি যে কি করে এমন হয়েছে।

অায়াত : কি ভাবে,, কি অনুমান করেছেন?

আবির :ওর ছোট থেকে বাজে অভ্যাস আছে,,কারো উপর রেগে থাকলে,
বা কোনো কিছু নিয়ে কনফিউশনে থাকলে অনেক সময় পর্যন্ত সে বাধরুমে শাওয়ারের নিচে বসে ভিজবে।কাল যে এমন কিছু করবে জানতাম না।

এদের কথার মাঝে অনুর জ্ঞান ফিরে আসে।

আবির সোজা অনুর কান ধরে বলে,”ফাজিল মেয়ে কোনোদিন ভালো হবি না,,,
নিজের দেখতো কেমন বেহাল অবস্থা করে রাখছিস তুই “?

অনু আরে ভাইয়া বলে পা বাড়িয়ে দেখিয়ে বলে,”দেখো রাতে গোছল করতে গিয়ে পা পিছলে বাধরুমে পরে যাই,এর জন্য একটু বেশী দেড়ি হয়ে গেছে”।

আয়াত এসে অনুর পা দেখে বলে,”ভাবী সমস্যা নাই,,হালকা মোচকা লেগেছে,,
একটু রেস্ট আর মেডিসিন ঠিকমতো খেলে ঠিক হয়ে যাবে “।

অনু বলে,”ভাইয়া ঐ বাড়িতে কাউকে প্লিজ কিছু বলবেন না,তাহলে সবাই টেনশন করবে “।।

আয়াত বলে,”জ্বি ভাবী কাউকে কিছু বলবো না “।

আবির আর অনু তারপর বাড়িতে চলে আসে।

আয়াত ভাবে,”দেখো ভাইয়া তুমি যার কেয়ার করো না সে কিন্তু ঠিকি তোমার কেয়ার করে তাই তেমাকে না জানানোর জন্য এ কথা বলে যায়”।



এদিকে অনুকে বাড়িতে এনে তো পুরা খান বাড়ি আবির মাথায় করে রাখছে।
অনু অসুস্থ সে খবর তার নানু বাড়ি খালা মামা সবাই কে বলে তো সেই কি এক কান্ড বাধিয়ে বসে আছে।

অনু আবিরের এসব পাগলামি দেখছে আর ভাবছে,”অযথা নিজেকে কষ্ট দিয়েছি আমি,
আমার জন্য এতো মানুষ কষ্টে আছে।
তাদের জন্য হলেও অতীত ভুলে না হয় নতুন করে জীবটা গুছিয়ে নিবো “।

আবির তো অনুর সব পছন্দমত খাবার দিয়ে বাড়ি ভরে ফেলছে।কি যত্ন অনুর।



ঐ দিকে সারাদিন ক্লান্ত হয়ে বাড়িতে এসেও আরিয়ানের মাঝে হতাশা কাজ করছে।
অনু কেনো যে আজ অফিসে আসলো না কে জানে।
রাতে খাবার টেবিলে সবাই এক সাথে খাবার খাচ্ছে।
এমন সময় আয়াত আরিয়ান কে বলে,”আচ্ছা আজ ভাবী অফিসে এসে ছিলো ভাইয়া “?

আরিয়ান :হুম,,আসবে না কেনো,,আসছিল।

আয়াত :ওহ আচ্ছা তাহলে তো ভালো।

আরিয়ান : তা হঠাৎ তুই এ প্রশ্ন কেনো করেছিস?

অায়াত : না মানে ভাবী যেমন ধরণের মেয়ে তাতে তো মনে হয় না সে বাবার বাড়ি থেকে রেগুলার অফিস করবে।

আরিয়ান :অফিস তো করেছে।না করার তো কিছু দেখছি না।

আয়াত :কিছু না।তা ভাবী ভালো আছে তো।?

আরিয়ান বল,”কেমন বোকাদের মতো কথা বলিস যে তুই,,ভালো না থাকলে কেউ অফিসে আসে “?

আয়াত আর কিছু না বলে চুপচাপ খাবার খেয়ে নিজের ঘরে চলে যায়।নিজের ফোনটা হাতে নিয়ে সোজা আবিরের নাম্বারে কল দেয়।

আবির :আরে আয়াত যে এতো রাতে কোনো সমস্যা??

আয়াত :নাহ তেমন কিছু না।তা ভাবী এখন কেমন আছে?

আবির :আগের থেকে একটু ভালো।

আয়াত :আচ্ছা ভাইয়া ভাবী কি আজ অফিসে গিয়েছিল?

আবির :কি যে বলো তুমি। অনু বিছানা থেকে উঠতে পারছে না। ওহ যাবে অফিসে।

আয়াত বলে,”হুম ভাবী ভালো কাজ করেছে।আচ্ছা ভাইয়া ভাবীর খেয়াল রাখবেন।

আয়াত বাহ কি দারুণ,,!! আজ কাল আমার ভাই মিথ্যা বলতেও ভয় করে না।
আগে তো এমন ছিলো না।
সময়ের সাথে ভাই অনেক বদলে গেছে।
না জানি তার বদলে যাওয়া নতুন কোন ঝড় আনে বাড়িতে।


এভাবে বেশ কিছুদিন কেটে যায়।আরিয়ান বিরহবেদনা সহ্য করে নিজের দিন গুলা পার করে দিচ্ছে।

আর অনু ভাবছে,”আরিয়ান আর দিশার জন্য ভালো হবে।তাদেন সম্পর্ক্যটা নতুন দিক খুজে পাবে।

এসবের মাঝে অনু আগের থেকে অনেকটক সুস্থ।
এদিকে আরিয়ান রুক্ষ মেজাজি হয়ে গেছে।কারো সাথে ঠিক ভাবে কথা বলে না।

অার অনু এতোদিনে বুঝতে পারছে সে অারিয়ান কে ভালো বাসে।
কিন্তু আরিয়ান তো তাকে ভালোবাসে না।
যদি ভালোবাসতো তাহলে তার একবার হলেও খবর নিতো।
তাকে দেখতে আসতো।এতোদিন হয়ে গেছে তাকে না নিতে আসে না দেখতে আসে।।।
এর জন্য অনুর পরিবারের মাঝে অনেক কৌতূহল কাজ করছে।

অনু তো তাদের পাঁচ সাত বুঝিয়ে রেখে দিয়েছে। যে আরিয়ান ব্যস্ত তাই তাকে নিতে আসতে পারে না।অনু ও মনে মনে পণ করে আছে,,
কেউ তাকে না নিতে আসলে যাবে না।
কিন্তু বাবা মা যে ভাবে যাওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে তাতে না আবার একলা ফিরে যেতে হয়।

অন্যদিকে আরিয়ান নিজের ইগোর কাছে মাথা নতো করবে না।
অনু যেমন একা বাবার বাড়ি গিয়েছে তাকে ঠিক সে ভাবে একলা আসতে হবে।

হঠাৎ একদিন সকালে আরিয়ানদের বাড়িতে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয়ে যায়।
কে চিৎকার চেঁচামেচি করছে তা দেখতে আরিয়ান নিচে চলে আসে এসে দেখে….

(আজ যে আবার কে এসেছে জানি না।
এই অনু আরিয়ান কে মন চায় থাপ্পড় দেয়।
**আশা করা যায় খুব তাড়াতাড়ি রাজের সত্যি টা সামনে আসবে।আর সেদিন রাজ আরিয়ান আর অনুর জীবনের নতুন কাহিনী শুরু হবে।😇😇
আজকের পর্ব বড় করে লিখেছি। তাই প্লিজ নেক্সট লিখবেন না)



চলবে….

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *