আমার ক্রাশ বর

আমার ক্রাশ বর সিজন- 2 !! Part- 55 (Last-Part)

স্রোতহীন সময়ের তীরে ভেসে যায় মানুষের জীবন সেই নিয়মের সাথে বদলে যায় সব কিছুর নিয়ম।
সময়ের স্রোতে ভেসে যায় কষ্টের কালো দিন গুলো।আবির নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছে শুধু নিজের মেয়েটার মুখের দিকে তাকিয়ে।
এদিকে অনু আরিয়ানের ঘর আলো করে জন্ম নেই তাদের দুই সন্তান এক ছেলে আর এক মেয়ে।
আরিয়ান ভালোবেসে তাদের নাম রেখেছে অানিশা আর অর্ণব।
এদের দু জন কে নিয়ে বেশ ভালো দিন কেটে যাচ্ছে অনু আরিয়ানের।
অনু একা হাতে এদের বড় করতে পারবে না।

তাই বাড়ির সবাই সব সময় ওদের নানা ভাবে সাহায্য করতে থাকে।
আনিশা তো আয়াত আর রিমির জান।
তারা দুজন বাড়িতে এসে আগে ওকে নিজেদের কাছে নিয়ে আসে।আয়াত পারলে রাতের বেলাও আনিশা কে নিজেদের কাছে রাখে আফসোস এতো ছোট বাচ্চা কে তো আর মায়ের কাছ ছাড়া করা যায় না।
তাই আয়াত জোড় করে আনিশাকে নিজের কাছে রাখতে পারে না।
মাঝেমধ্যে তো আরিয়ানের সাথে আনিশা কে নিয়ে আয়াতের ঝগড়া বেধে যায়।
আয়াত বলে,” মেয়ে আমাদের আর ছেলে তোদের।”
আরিয়ান বলে, ”ছেলে মেয়ে দুইটা আমার।
তোমাদের কেনো হতে যাবে শুনি?”
এসব দেখে অনু বলে,”আল্লাহ এরা দেখছি এখনো বাচ্চা আছে।কোথায় নিজেরা বাচ্চাদের আদর যত্ন করে বড় করবে।না সেখানে এনারা নিজেরাই বাচ্চা ভাগাভাগি নিয়ে পড়ে আছে।আরে ওরা বড় হলে তখন না হয় নিজের মুখে বলবে ওরা কার।
এবার তো ততোদিনের অপেক্ষা করো তোমরা।
না কি সেই সময় পর্যন্ত সহ্য হবে না।”

এদিকে মিষ্টি এ বাড়িতে এসে দেখে অনু তার বাচ্চাদের কতো আদর করে গোসল করাই,কোলেপিঠে করে রাখে সব সময়।
কতো যত্ন নিয়ে তাদের বড় করছে।
এসব দেখে মিষ্টির খুব কষ্ট হয়।
আমার আম্মু থাকলেও হয়তো আমাদের বাবু আর আমাকে এমন করে আদর করতো?
আমার আম্মু নেই বলে আজ আমার প্রতি সবার আদর কমে গেছে হয়তো।
বাড়ির সবাই নতুন বাচ্চাদের নিয়ে এতো ব্যস্ত যে মিষ্টির কথা সবাই ভুলে যায় ইদানীং।
মা হারা মেয়েটা চোখের সামনে এমন আদর পেতে দেখলে ওর যে খুব ইচ্ছা করে কেউ এভাবে ওকে আদর করুক।
সে দিকে কারো নজর নেই।
সবাই তো পিচ্চি নিয়ে মহা ব্যস্ত।

অনুর বাচ্চা হবার পর থেকে তো রিদি এবাড়িতে চলে এসেছে।রিদি বাচ্চাদের ছেড়ে ঐ বাড়িতে যেতে চাই না।বাচ্চার মায়া যে বড় মায়া।
রাজ তো অর্ণব বলতে পাগল।সে তো ঘুম থেকে জেগে অর্ণব কে দেখার বায়না করে।
রিদি তো মাঝে মাঝে রেগে বলে,”তোমার জন্য দেখছি আরেকটা অর্ণবের ব্যবস্থা করতে হবে।”
রাজ রিদিকে জড়িয়ে ধরে বলে,”আরে একশোটা অর্ণব দাও আমাকে আমিও তো চাই আমাদের বাচ্চা হোক অনেক গুলো।”
রিদি বলে,”আল্লাহ তাই বলে একশোটা বাচ্চা কেমনে সম্ভব? তোমার মাথা ঠিক আছে তো? ”
রাজ বলে,”আরে এটা তো কথার কথা।
একশো জন কে লাগবে না আপাতত একজন কে দাও তাহলে হবে জানেমন আমার।”
রিদি বলে,”তোমাকে নিয়ে আর পারি না।
এই বাচ্চাদের জন্য দেখি বাড়ির সবাই পাগল।”
রাজ বলে,”দেখো কতো কাহিনী হয়ে গেছে আমাদের জীবনে।তারপর এদের আগমন হয়েছে নতুন করে।যদি এদের সাথে নিয়ে সুখে না থাকতে পারি তাহলে কাদের সাথে সুখে থাকবো বলো তো? ”
রিদি বলে,”সুখে থাকার পুরো বেপারটা আমাদের হাতে থাকে।কিছু সময় নিজের ইচ্ছা,রাগ,জেদ,ইগো এসব কিছু কম্প্রোমাইজ করলে সবাইকে নিয়ে সুখে থাকা যায়।
তবে একা নিজের চেষ্টায় এসব সম্ভব নয়।সবাইকে মিলে মিশে কম্প্রোমাইজ করতে হবে তবেই সুখের দেখা মিলবে নয়তো না।”
রাজ বলে,”হুম,তোমার কথা ঠিক।”
এদিকে আরিয়ান অনুকে বলে,”অনু বাচ্চাদের পেয়ে মিষ্টির কথা কিন্তু ভুলে যেওনা।
ও বাচ্চা মেয়ে,সবাই যদি বাচ্চাদের নিয়ে এভাবে আহ্লাদ করতে থাকে ওর কচি মনে তা কিন্তু প্রভাবিত করবে। ”
অনু বলে,”তুমি ঠিক কথা বলেছো।
আমি বাচ্চাদের নিয়ে এতো ব্যস্ত যে মিষ্টির কথা ভুলে গিয়েছি। ”
আরিয়ান বলে,”বাচ্চাদের সাথে ওকে একটু আদর করলে ফুরিয়ে যাবে না।
কথাটা সব সময় মনে রাখবে অনু।”
এদিকে অনু আবিরের সাথে কথা বলে,”ভাইয়া তুমি কাজের জন্য বাহিরে থাকো।
সে সময় কিন্তু মিষ্টির কাছে মাও থাকতে পারে না।মা নানা কাজে ব্যস্ত থাকে সব সময় মিষ্টিকে সময় দিতে পারে না।মিষ্টির জন্য হলেও তোমার একজন কে বাড়িতে আনতে হবে।

যে তোমার অনুপস্থিতি তে মিষ্টির খেয়াল রাখবে।”
আবির বলে,”আচ্ছা আমি তোর কথাটা ভেবে দেখবো।”
আবির ভাবতে থাকে সত্যি তো অনু ভুল কিছু বলে নাই।বাবা মায়ের বয়স হয়েছে।
তাদের নিজেদের শরীর আজকাল ভালো থাকে না।এর মাঝে তারা সব সময় মিষ্টিকে সময় দিতে পারে না।মিষ্টির সাথে এখন সব সময় কেউ একজন সাথে থাকবে ওকে শেখাবে পড়াবে এমন কাউকে দরকার। নিজের জন্য না হলেও মেয়েটার জন্য মায়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
আবিরের যেই ভাবনা সেই কাজ।
সে তার অফিসের নতুন পিএ কে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়।সে মেয়ে তো আবির কে বিয়ে করার কথা শুনে এক কথায় হ্যাঁ করে দেয়।আবির তার পিএ কে বিয়ের প্রস্তাব দেয় কারণ মেয়েটা অফিসে আবিরের খুব যত্ন নেয়।
আর আবির বুঝতে পারে মেয়েটা তাকে পছন্দ করে।আর হাতের কাছে এতো ভালো মেয়ে থাকতে বহু দূরে কেনো খুঁজতে যাবে।
আবির সবাইকে জানিয়ে দেয় শুক্রবার সে বিয়ে করবে তার অফিসের পিএ কে।
সবাই তো খুব খুশি যাক অবশেষে আবির তাহলে মুভ অন করছে জীবনে।
রিমার স্মৃতির বাহিরে গিয়ে নতুন স্মৃতি গড়ে তুলতে চাইছে সে হয়তো।
এদিকে নানারকম আয়োজনের মাধ্যমে বিয়ের দিনটা এসে উপস্থিত হয়।
আবির তার পরিবার কে নিয়ে কমিউনিটি সেন্টারে গিয়ে উপস্থিত হয়।
যে হলটা আবির নিজে বিয়ের জন্য বুকিং দিয়েছে।
বিয়ের আসরে বর বেসে আবির বসে।
সাথে সে মিষ্টি কে কোলে নিয়ে বসে আছে।

মেয়ের কোন এক আত্মীয়া এসে আবির কে জিজ্ঞাস করে, “তোমার কোলের মেয়েটা কে হয় বাবাজি? ”
আবির মিষ্টি হাসি দিয়ে বলে,”আমার মেয়ে মিষ্টি যার জন্য আপনাদের মেয়েকে মা হিসাবে নিয়ে যেতে এসেছি।”
সে মহিলা আবির কে আর কোনো প্রশ্ন করে না।সে সোজা মেয়ের কাছে গিয়ে বলে,”কি রে হিয়া তুই না বলেছিলি তোর বরের আগের বউ আর বাচ্চা মারা গেছে? তাহলে আমি যে এখন তার কোলে একটা বাচ্চা মেয়ে দেখে আসলাম।
সেই মেয়েকে সে নিজের মেয়ে বলে দাবি করছে।আর সেই বাচ্চার জন্য তোকে বিয়ে করতে এসেছে।তোকে সৎ মা বানিয়ে নিয়ে যাবে সে একথা নিজের মুখে বলেছে আমাকে।”
হিয়া সেখান থেকে উঠে সোজা আবিরের সামনে গিয়ে বলে,”এই মেয়েটা আপনার মেয়ে? ”
আবির বলে,”হুম আমার মেয়ে।”
হিয়া বলে,”আমি জানতাম এক্সিডেন্ট এ আপনার বউ বাচ্চা মারা গেছে।
সেই জন্য আপনাকে বিয়ে করতে রাজী হয়েছি নয়তো আগে যদি জানতাম আপনার একটা মেয়ে আছে তাহলে কখনো বিয়ের জন্য হ্যাঁ বলতাম না।”
আবির বলে,”এখন তো জানতে পেরেছো তাহলে সিদ্ধান্ত কি তোমার?”
হিয়া বলে,”আমি একটা শর্তে আপনাকে বিয়ে করতে রাজী আছি যদি আপনি আমাদের বিয়ের পরে মেয়েটাকে এতিমখানাতে রেখে আসেন।নয়তো আমি আপনাকে বিয়ে করবো না।”
আবির বর আসন থেকে উঠে এসে হিয়াকে একটা থাপ্পড় দিয়ে বলে,”বেয়াদব মেয়ে!
আমি আমার মেয়ের মা বানানোর জন্য তোমাকে বিয়ে করতে চাইছি। আর আমার সেই মেয়েকে কি না তুই এতিমখানাতে রেখে আসতে বলছিস। তোর এতো সাহস হয় কি করে।

তুই এতো ফালতু চিপ মাইন্ডের মেয়ে তা আগে জানলে কখনো তোকে বিয়ে করার জন্য রাজী হতাম না।”
হিয়া বলে,”আমার সতীনের মেয়েকে নিয়ে সংসার করার কোনো ইচ্ছা নেই।
রাখেন আপনার মেয়েকে কলিজার মাঝে ঢুকিয়ে।কোনো কুমারী মেয়ে জেনে বুঝে আপনার মতো লোক কে বিয়ে করে নিজের জীবন নষ্ট করতে আসবে না।সে কথা বলে হিয়া তার পরিবার কে সেখান থেকে নিয়ে চলে যায়।”
আবির অনুকে উদ্দেশ্য করে বলে,”আগেই জানতাম কোনো মেয়ে জেনে শুনে এক বাচ্চার বাবাকে বিয়ে করবে না।কিন্তু হিয়াকে দেখে ভেবেছিলাম এ হয়তো সবার থেকে আলাদা।তবে আমি ভুল ছিলাম। সবাই আমার টাকার জন্য আমাকে বিয়ে করতে চাইছে।
আমার মেয়ের মা হবার জন্য না।”
সবাই চুপচাপ মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে
আসলে এখানে কি বলা উচিৎ কেউ জানে না।
মিষ্টি আবির কে বলে,”বাবা আমার জন্য তোমার সমস্যা হচ্ছে? তাহলে তুমি ঐ আন্টি আমাকে যেখানে রেখে আসতে বলেছে সেখানে রেখে আসো না কেনো? ”
আবির নিজের মেয়েকে জড়িয়ে ধরে বলে,”না মা আমি তোমাকে কখনো আমার নিজের কাছে থেকে দূরে রাখতে পারবো না।যাদের বাবা মা নেই তারা থাকে সেখানে তোমার তো বাবা আছে মা নেই তাতে কি হয়েছে?”
মিষ্টি বলে,”যাদের মা থাকে না তাদের বাবা কখনো মায়ের মতো হতে পারে না বাবা।
মা তো মায়ের মতো হয়।তুমি তো মায়ের মতো করে ভালো বাসতে পারো না আমাকে।”
এমন সময় মৌ সামনে এসে বলে,”কাজী সাহেব আমি মিস্টার আবির খান কে বিয়ে করতে চাই।আপনি আমাদের বিয়ের ব্যবস্থা করেন।”
বাড়ির সবাই তো একদম হা করে তাকিয়ে থাকে।
আবির বলে,”এই মেয়ে তুমি পাগল হয়ে গেছো না কি? তুমি আমাকে বিয়ে করতে চাও?
এই তোমার তো বিয়ের বয়সী হয় নি এখনো?”
মৌ আবির কে ধাক্কা দিয়ে বলে,”এই আমি আঠারো বছর পার করেছি ছয় মাস আগে! তাহলে কে বলেছে আমার বিয়ের বয়স হয়নি? আজ বিয়ে করলে কাল বাচ্চা মা হতে পারবো।তাহলে পাঁচ বছরের বাচ্চার মা কেনো হতে পারবো না?
এই মিষ্টি আমি তোমার মা হলে সমস্যা আছে তোমার কোনো? ”
মিষ্টি মৌ কে জড়িয়ে ধরে বলে,”নাহ আমার কোনো সমস্যা নেই মৌ মা।”
মৌ বলে,”আমার মেয়ে রাজী সেখানে বাড়ির কারো আপত্তি থাকার কথা নেই।
কারণ বিয়েটা আমি নিজের ইচ্ছায় করছি।”
অনু বলে,”মৌ দেখে তুমি একদম বাচ্চামি করো না।এটা তোমার সারাজীবনের বেপার একদিনের না।”
মৌ বলে,”আমি জানি।দেখো ভাবী আমার ভাই তোমার ক্রাশ বর,তোমার ভাইটাকে না হয় আমি আমার ক্রাশ বর বানিয়ে নিবো।”
অনু বলে,”মানে কি?ক্রাশ কেমনে কি? ”
মৌ বলে,”আবির ভাই কে প্রথম যেদিন দেখেছিলাম সেদিনি ক্রাশ খেয়েছিলাম। আফসোস সে বিবাহিত আর এক বাচ্চা ছিলো।আজ যখন তাকে আপন করে পাবার সুযোগ এসেছে তখন কেনো আমি এই সুযোগ টাকে হাতছাড়া করতে যাবো।আমি তো আবির কে বিয়ে করে মিষ্টি কে নিয়ে সুখে সংসার করতে চাই।শুধু তোমরা সবাই আমার পাশে থেকো তাহলে হবে।”
এরপর আর কেউ কিছু বলে না যেখানে নিজের মেয়ে বিবাহিত ছেলেকে বিয়ে করতে চাইছে সেখানে কারো কিছু বলার থাকে না।
তবুও আবির দ্বিমত পোষণ করে।কিন্তু মিষ্টির জোরাজুরি তে সেও রাজী হয়ে যায়।
এরপর মৌ আর আবিরের বিয়ের শুভ কাজটা সম্পন্ন হয়ে যায়।



এরপর দেখতে দেখতে অনেক গুলো বছর পার হয়ে যায়।আল্লাহর রহমতে মৌ মিষ্টির আসল মায়ের মতো না হতে পারলেও ভাল মা হয়ে দেখিয়েছে সবাইকে।
এদিকে মৌ আর আবিরেে ঘর আলো করে আরেটা মেয়ের জন্ম হয়েছে।তাই বলে কিন্তু মৌ’য়ের একটু মিষ্টির প্রতি ভালবাসা কমে যায় নাই।
এদিকে রাজ আর রিদির ঘরে দুইটা ছেলে বাবু হয়েছে।বেচারা রাজ নিজের ছেলেদের নিয়ে বেশ নাকানিচোবানি খাচ্ছে।
রাজের বেহাল দশা দেখে রিদি বলে,”তুমি আগে যেমন ফাজিল ছিলে তোমার ছেলে গুলো একদম তোমার মতো হয়েছে।
রিমি আর আয়াতের এক ছেলে বাবু আছে শুধু।রিমির আর কোনো বাবু হবে না কেনোদিন ও।
আয়াত আর রিমি ঐ এক ছেলে নিয়ে খুব সুখে আছে।আর সাথে আরিয়ানের মেয়ে তো আছেই।
এদিকে অনুর ছেলে অর্ণব বেশ পাজি হয়েছে।
তাদের বাড়িতে মিষ্টি বেচারি তার ভয়ে আসতে পারে না।
অর্ণব মিষ্টি কে দেখলে বলে,”আম্মু আমি মিষ্টি কে আমার সিনিয়র বউ বানাতে চাই।”
অনু বলে,”এই ফাজিল পোলা ঐ তোর বড় বোন হয়।তোর বয়সে কতো বড় তা তুই জানিস? ”
অর্ণব বলে,”হোক বড় তাতে আমার কি?
বলে চলে যায়।”
অনু আরিয়ান কে সব কথা খুলে বলে তা শুনে আরিয়ান বলে,”আরে বাচ্চা মানুষ বড় হলে এসব কথা সে ভুলে যাবে।বাচ্চা ছেলের কথা কানে নিতে নেই তাহলে কান পচে যাবে।”
তাই বলে আরিয়ান অনুর কোলে থাকা ছোট পিচ্চি মেয়েটাকে আদর করে।
আরে হা বলতে ভুলে গেছি অনু আরিয়ানের ঘর আলো করে আরেকটা ছোট পরি আগমন করেছে।
ভালবেসে তার নাম রেখে আশা।
তাকে নিয়ে এখন অনুর দিন গুলো বেশ ভাল ভাবে কেটে যাচ্ছে।
অনু আরিয়ানের ভালোবাসা গভীর থেকে গভীরতম হয়েছে।
ওরা ওদের তিন বাচ্চা নিয়ে খুব সুখে দিন পার করছে।
অনু আরিয়ানের ভালবাসার ছায়াতলে তিন বাচ্চা কে বড় করছে।
আর সবাই মিলে মিশে থাকতে চেষ্টা করছে।
সবার জীবনে সুখ দুঃখ আসবেই এটাই স্বাভাবিক।
তাই বলে দুখের সময় নিজের বুদ্ধি কে সব সময় কাজে লাগাতে হবে।
আর সবাই যে জীবনে নিজের ক্রাশকে বর হিসাবে পাবে এমনটা কিন্তু না।
ক্রাশ কে বর হিসাবে পাওয়া টা ভাগ্যের বেপার।
সবার ভাগ্যে আবার ক্রাশকে বর হিসাবে পাওয়া লেখা থাকে না।
যারা ক্রাশ কে পেয়ে যায় তারা তো ভাগ্যবান।😊
(এতোদিন ধরে এই গল্পটাকে ভালবেসে পরার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন আমি এবং আমার পরিবার যেনো সুস্থ থাকতে পারি।)




সমাপ্তি ……..

👉 এক পলকে দেখে নিন সহজে গল্প খুঁজে পাওয়ার সুবিধার্থে দেওয়া হল