অপ্রিয় হলেও সত্যি

অপ্রিয় হলেও সত্যি !! Part- 02

মেঘলা।
মেঘ ভেতরে যেতে দেখতে পায়, ৬.২ ইঞ্চির লম্বা এক সুট পরা লোক জানালার দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে পকেটে হাত দিয়ে।
– বেবি গার্ল তোমারকি কোন ধারণা আছে তুমি আমার সাথে কি ডিল করেছো? তোমাকে এই ডিল টার জন্য সবটা হারাতে হতে পারে। (জানালর দিকে মুখ করে)
– আমার কাছে হারানোর মতো কিছু নাই মাকে ছাড়া। আমার মাকে বাঁচানোর জন্য আমার যেটা ভালো মনে হয়েছে আমি সেটা করেছি। (নিচের দিকে তাকিয়ে)
– You’re thinking, but you have to do everything for me, whatever it is. Are you ready for this.
– হ্যা (কিছুটা সাহস নিয়ে)
-interesting very interesting. এই প্রথম আসফি চৌধুরীর সাথে এত সাহস নিয়ে কেউ কথা বললো। I like it baby girl.
আসফি পেছনে ফিরে দেখে মেঘ মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
-মিস. মেঘ এখন আমার জন্য কফি বানিয়ে আনুন black coffee and no sugar.
মেঘ মাথা তুলে আসফিকে বললো,
-বলছি কাল থেকে এখানে আসলে হবেকি আসলে মা হসপিটালে আছেন আমার ওনাকে দেখতে খুব ইচ্ছে করছে। যদি একটু ভেবে দেখতেন।
(মেঘ যদিও ছোট থেকে বড়োলোক পরিবারে সেই ভাবে মানুষ হয়েছে কিন্তু বেক্তিগত ভাবে মেঘের মধ্যে নাই কোন অহংকার নাই কোনো যেদ এটা অবশ্য তার মায়ের শিক্ষা জীবনে কখনো বড়ো ছোটর বিহিত করেনি কাউকে কষ্ট দেওয়া কথা বলে নি সব সময় simple থাকার চেষ্টা করেছে। মেঘ রোজ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পরে। কাউ ভয় পাক আর না পাক আল্লাহকে মেঘ অনেক ভয় করে। তার মতে সবাই তাকে ধোকা দিলেও তার আল্লাহ কখনো তাকে ধোকা দিবে না। কি অদ্ভুত তাইনা এই আসাধরন ঘরে বড়ো হওয়া সাধারণ মেয়েটার সাথে কত কি ঘটে গেল)
-তুমি কোথাও যাবে না। এখনেই থাকবা আর হ্যা রাতেও এখানেই থাকবা। তোমার মায়ের অপারেশন হয়ে গেলে ওনাকে এই বাড়িতে আনা হবে তখন দেখো।
মেঘ কিছুটা অবাক হয় কিন্তু কিছু না বলে চলে যেতে নিলে,
-এক মিনিট দাঁড়াও।
মেঘ থেমে পেছনে তাকায়,
আসফি এক পা এক পা করে মেঘের দিকে এগোতে থাকে মেঘ ভয়ে পিছতে থাকে, আসফি এক দম মেঘের কাছে চলে যায়
-baby girl আজ থেকে সারি পরবা বুঝছো আমি যেন কখনো না দেখি সারি ছাড়া তোমাকে। (মেঘের অনেক কাছে এগিয়ে গিয়ে)
মেঘের এতটা কাছে আসফি মেঘের হৃদকম্পন বড়িয়ে দিলো।
লোকটাকে মোটেও সুবিধার ঠেকছে না কি করবে এখন ও মনে মনে আল্লাহ কে ডাকছে, তার পর মনে কিছুটা সাহস নিয়ে বললো,
-দেখুন আমি আপনার সমস্ত কাজ করার ডিল করেছি আমি কি পরবো কি না পরবো সেটা বেক্তিগত ভাবে আমার ব্যাপার।
-তোমার সমস্ত কিছু আজ থেকে আমার হয়ে গেছে তুমি কি পরবে কি করবে সেটা সম্পুর্ন আমার উপর ডিপেন্ড করছে। একটা কথা কান খুলে শুনে রাখো তোমাকে আমি আজ এই মুহুর্তো থেকে ঠিক যা যা যখন বলবো তাই তাই তখন করতে হবে কোন বাহানা যেন না হয়। এখন ১০ মিনিটের মধ্যে নিজের কাপড় চেঞ্জ করে কফি নিয়ে এসো যা-ও। (রেগে চিৎকার করে)
মেঘ ভয় পেয়ে গেল,
-শা,,,,শাড়ি ক,,,,কই পাবো।
-এখানে আছে তোমার আলমারি তে। নিয়ে নেও।
মেঘ চুপ চাপ শাড়ি নিয়ে নেয়।
-৫ মিনিটে বাথরুমে গিয়ে শড়ি পরে বাকি ৫ মিনিটে কফি নিয়ে এসো।
মেঘ শাড়িটা পরে নেয়, মা তাকে সব কিছু শিখিয়েছে। রান্নাটাও মা শিখিয়েছে। মেঘ শাড়ি পরে বের হয়ে কিচেনে চলে যায়।
(আসফির পরিচয়টা নিবেন না, আসফি চৌধুরী। দা চৌধুরী গ্রুপ ওফ্ফ ইন্দসট্রিয়ের এক মাত্র ওনার। বয়স মাত্র ২৫ বছর। খুব কম বয়সে আনেকটা এগিয়ে গেছে। দেখতে মাসআ্লাহ অনেক সুন্দর । মেঘের সাথে এসব কারার কারণটা একটু একটু করে জানতে পারবেন)
৫ মিনিট শেষ হতে মাত্র ২০ সেকেন্ড বাকি মেঘ জলদি করে কফিটা নিয়ে রুমে আসতে আসতে ২০ সেকেন্ড লেট করে ফেলে,
মেঘ কফিটা আসফিকে দিতে আসফি কফিটা মেঘের হাতে ডেলে দেয়৷ মেঘ আহহ করে চিৎকার দিয়ে উঠে।
-Time is not waiting for anyone. You don’t know this common proverb, baby girl.এখন তুমি ৫ মিনিটে ৫ কাপ কফি করে আনবা। (চিল্লিয়ে)
মেঘ নিরশব্দে কেদে চলছে এমন বাজে ব্যাবোহার সে পিথম পেল। #অপ্রিয়-হলেও-সত্যি এটাই যে আজ তার জীবনে এসব ঘটছে।
-তোমার ৫ মিনিট থেকে ১ মিনিট বার হলো কিন্তু৷
মেঘ কথাটা শোনা মাত্র দৌড়ে কিচেনে চলে যায়। হাতটা জ্বলছে তাও কফি বানিয়ে নেয় ৫ কাপ তার পর আসফিকে দেয়৷
-গুড। এর পর থেকে এই ছোট মোটো আঘাত এর আভ্যাস করে নেও সামনে আরো অনেক কিছু বাকি৷ এখন তুমি পাশের রুমে চলে যা-ও। টেক সাম রেস্ট একটু পরে তোমার রুমের ঘন্টা বাজতে চলে আসবে।
– আমার আম্মু,
-তোমার আম্মুকে কাল সকালে এখনে আনা হবে ততোক্ষন অপেক্ষা করো।
নউ গো।
মেঘ চলে আসে।
রুমে এসে হাঁটু ভাজ করে কাঁদছে। জীবনটা কেমন ছিল হটাৎ কেনম হয়ে গেল। বাবা তুমি কই যেই তুমি মা আমাকে একটু বকুনি দিলে আমাকে নিয়ে চলে আসতে ঘুরতে। কখোন আমার আঘাত দেখতে পারোনি। মা আমাকে রান্না শিখতে গেলে রোজ বলতে আমার মেয়েকি রান্নার জন্য নাকি৷ কেন ফুলের মতো মানুষ করেছিলে আমাকে। করেছিলে যখন তখন ছেড়ে গেলে কেন। এই আসফি চৌধুরীর সাথে কি সম্পর্ক কেন আমাকে কষ্ট দিচ্ছে। কে এইলোকটা৷ আল্লাহ আমাকে নিয়ে যাও৷ মেঘ এগুলো ভাবছে আর আঝর ধারায় কাঁদতে থাকে,
ওদিকে আসফি,
খুব কষ্ট হচ্ছে তাইনা মেঘ তোমার চোখের পানি আমার সহ্য হচ্ছে না কষ্ট হচ্ছে কিন্তু তোমাকে কষ্ট পেতে হবে এর থেকে ১০০× বেশি কেবলতো শুরু তোমাকে এখনো অনেক সইতে হবে। (সিসিটিভিতে মেঘকে দেখতে দেখতে)
মেঘ কাঁদছে এমন সময়,
চলবে,