00

অন্তরালে !! Part- 02

অনেক খোন যবত আমার ঠোঁটের উপর তার শাসন চলতে আছে। আমার খুব ব্যাথা হচ্ছে ঠোঁটে আমি সহ্য করতে পারছিনা। হাট দুটো শক্ত করে ধরে রেখেছে আমি কিছুতেই ছাড়া পাচ্ছি না। চোখ বেয়ে টপ টপ করে পানি পরতে আছে। আমার যে কষ্ট হচ্ছে প্রচুর কারন সামনে থাকা লোকটি আমার ঠোঁট দুটোকে খুব বিছ্রিভাবে কামরাচ্ছে।
অনেকটা সময় পর তিনি সরে আসলেন৷ আমি বুঝতে পারলাম তিনি আর কেউ নন আমার বসই।
আমি কেঁদে চলেছি তার মুখে আমার ঠোঁটের রক্ত লেগে আছে এটাই তাহলে আমাকে স্টোর রুমে পাঠানোর কারন,
(ভোর বেলা উঠে সবার জন্য রান্না করে মাকে আবারো একটু বলতে যায় জদি দয়া করে আমাকে কাজটা ছাড়ার অনুমতি দেয় কিন্তু তিনি সেটা না করে আমার খাবার বন্ধ করে দেয়। আমি না খেয়ে অফিস চলে আসি। এসেই আাফি স্যার এর ডাক পরে আমি যেতে আমাকে স্টোর রুমে পাঠায় আর এসেই এতো কিছু)
আমি কান্না করতে করতে বলতে লাগলাম,
-কি পেয়েছেন টা কি আমায় আপনি এভাবে কেন ব্যাবোহার করছেন আমার সাথে কি ক্ষতি করেছি আমি। (বার বার গলা আটকে আসছে)
-দুরে জেতে চেয়েছো আমার কাছ থেকে তাই এটার শাস্তি। এখন কান্না থামাও
ফাইল গুলো নিয়ে কেবিনে আসো।
উনি চলে গেলেন।
-আমি ঠাই হয়ে দাঁড়িয়ে আছি। কি হলো কি এসব। আল্লাহ তুমি এ আমাকে কোথায় ফেল্লে। আর দুরে যেতে চেয়েছি মানে কাছেই কবে ছিলাম আমি ওনার। কি বলছেন এসব।
আমি ওয়াসরুমে গিয়ে মুখটা ধুয়ে নি আয়নায় তাকাতে নিজের ক্ষত বিক্ষত ঠোঁট দুটো সামনে পরে৷ রক্ত বাধ মানছে না আমি চেপে ধরি তাতে আমার যন্ত্রণা আরে বেড়ে যায় কিন্তু কি করবো রক্ত তো বাধ মানাতে হবে। একটু পর রক্ত পরা থেমে যায় আমি ভয়ে ভয়ে, আসতে থাকি লোকে কি ভাব্বে এটা ভেবে বেশি কষ্ট হচ্ছে কিন্তু আমি যে সবার মধ্যে দিয়ে হেটে আসলাম কেউ আমার দিকে তাকালে না আমি যেতে সবার নজর নিচের দিকে। কালকেও সবার নজর ঠিক এমনি নিচু ছিলে আমার সামনে। যেন অনেক সম্মান করে তারা আমাকে।আমি স্যারের কেবিনে যায়।
-আসবো।
-হুম।
-এই আপনার ফাইল (কথা বললে ঠোঁট নড়লেও কষ্ট হচ্ছে)
-এদিকে এসো
ওনার কথায় আমার কলিজার পানি সবটা শুনকিয়ে গেলো।
-কি হলো। (ধমক দিয়ে)।
আমি আস্তে আস্তে ওনার কাছে যেতে আমার হাতে একটা মলম ধরিয়ে দিলেন।
-লাগিয়ে নেও ব্যাথা কমবে সাথে দাগও।।
এই প্রথম মা ছাড়া আমার ব্যাথায় কেউ মলম লাগাতে বললো। মা বলতো সেটাও অনেক বছর আগে। আমি চুপ করে রইলাম এই লোকটার আমার আশে পাশে আনাগোনাও আমার কেমন ভয় লাগে। কিন্তু আমাকে সাহসী হতে হবে আমার পৃথিবীতে আমার সম্মান রক্ষা করার দায়িত্ব কারোর না। শুধু আমার এই ভাবে আর সওয়া যাবে না। আমি খানিক চুপ থেকে বলতে শুরু করলাম,
-আমি অনাথ একটা মেয়ে। মা নেই বাবা থাকেতেও নেই। আমাকে মেরে গুম করে দিলেও কেউ খোঁজ নিবে না সত্যি, তাই কি আপনি আমার উপর এভাবে অমানুষিক নির্যাতন করে যাচ্ছে?
আমার কথা শুনে আসফি স্যার রেগে গেলেন। চেয়ার থেকে উঠে একপা একপা করে এগিয়ে আসতে লাগলেন। আমি পেছোতে পেছোতে দেয়ালে ঠেকে যায়। উনি আমার পুরোপুরি কাছে চলে আসে আমাকে দুি হাত দিয়ে লক করে নেয়,
-তুমি সুধুই আমার। তুমি মানুষটা আমার কাছে ঠিক এমন আমি চাইলে তোমাকে যে-ভাবে রাখবো তোমাকে ঠিক সেভাবে থাকতে হবে। আমার কথায় কষ্ট পাবার কিছু নাই কারন কিছু দিনের মধ্যে আমাদের বিয়ে। তোমাকে আমি এসবের কিছুই বলতাম না। কিন্তু তুমি যে আমাকে কথা গুলে শোনালে তাই বললাম। আর বলবে তোমার মতামত। সেটা জানার প্রোয়জন মনে করি না।
আমার চোখের পানি বাদ ছেড়ে দিলো ছোট থেকে কখনো কারোর ভলোবাসা তেমন পাই নি মা মারা জাবার পর। কিন্তু আমি যেভাবে হোক অনেক লড়াই করে নিজের সম্মান রক্ষা করেছি কখনো সেভাবে কোন ছেলের সাথেই কথা বলিনি। এই লোকটাকে তো চিনিও না । বিয়ে মানে বিয়ে কি করে করবো আমি তাও আবার এই লোকটাকে অসম্ভব। কখনো সম্ভব নয়।
-আপনি কে আমি একটা অতি সাধারন মেয়ে আমি ছাড়া আপনি অনেক মেয়ে পাবেন জীবনে আমাকে ছেড়ে দিন৷ প্লিজ।
উনি আমার কথা শুনে মলিন হেসে চেয়ারে গিয়ে বসলেন।
-যাও এখন তোমার আর কোন প্রশ্নের উত্তর আমি দিতে পাটবো না।
আমি চলে এলাম।
-মেঘলা, আমার মেঘ একটু সময় নেও সব ঠিক করে দিবো আমি। তোমাকে একটা সুখি জীবন দিবো আমি কথা দিচ্ছি৷ কিন্তু তুমি দু বার এ চাকরি ছাড়ার কথা বলেছো। আমার কষ্ট হয় তুমি আমার থেকে দুরে গেলে তাইতো তোমাকে, অজান্তে কষ্ট দিয়ে ফেলছি। চিন্তা করো না খুব জলদি তোমাকে তুমি যেমন চাও ঠিক তেমন জীবন দিবো।
#অন্তরালে যে তোমাকেই ভালোবাসি।
সেই দিন স্যারকে আর আমার সামনে দেখিনি। অফিস ছুটি হলে বাসায় চলে আসি। মাথাটা কেমন ঝিম ঝিম ভাব খাওয়া হয়নি যে। আমি আসতে মা আমাকে অনেক কাজ ধরিয়ে দেয়৷
-মা আমার না অনেক খারাপ লাগছে আজ তুমি রান্নাটা করবে৷
-আমি কেন করতে যাবোরে মুখপুরি৷ ভাবের চোটে বাচি না৷ এত খারাপ লাগা কই থেকে আসে চুপচাপ রান্না করে নিবি কোন কথা বলিস না তোর ভাই বোন না খেয়ে আছে৷
মা চলে গেলেন৷ আমি খুব কষ্টে রান্না শেষ করি, তার পর সাবার খাওয়া হয়ে গেলে, একটু খেয়ে নি ঘরে চলে আসি,।
আর শক্তি নেই শরীরে বিছানায় শুতেই অতল ঘুমে তলিয়ে যায়
রাত ১ টা,
আমার শরীরে কারোর স্পর্শ অনুভব করছি গভীর স্পর্শ। আমি চোখটা খুলতে পারছি না৷ অনেক কষ্টে খুলি কিন্তু তাও ঘুম আমার এতই পাচ্ছে তার মুখটা দেখতে পারছি না। আমি ঘুমের মধ্যে হাত দিয়ে সরাতে গেলে লোকটা আমার হাতটা চেপে ধরে গলায় নাক ডোবায়। আমি চইছি নরা চরা করছি কিন্তু তাকে একটুও সরাতে পারছি না৷ এবার আমার অনেক অসস্তি হচ্ছে । আমি অনেকটা শক্তি খাটায়। অবশেষে সে নিজে থেকে সরে আসে আমি উঠে পরি ঘরের আলো জ্বালাতে অবাক একি কেউ নেই৷ কি হলো এগুলো আমি কি স্বপ্ন দেখছিলাম। কিছুই বুঝতে পারছি না। এদিকে ঘুমটা আজ একটু বেশি পাচ্ছে। আমি গিয়ে বিছনায় সুয়ে ঘুমিয়ে পরলাম।
সকালে ফজরের আাজান দিতে উঠে পরলাম কারন না উঠেও উপায় নেই একটু পর মা জদি দেখে রান্না হয়নি তবে আমাকে অনেক কথা শোনাবে পারলে মারবেও।
আমি উঠে নামাজ পরে একটু কুরআান তিলোয়াত করে। রান্না করে নি।
তার পর কিছু খেয়ে রুমে এসে রেডি হয়ে বেরিয়ে পরি জাহান্নামের উদ্দেশ্যে, অফিস টা আমার কাছে জাহন্নাম থেকে কিছু না। আমি বেরোতে দেখি দুটো লোক আমার বাসায় যাচ্ছে আমি তেমন খেয়াল করি নি হয়তো যাচ্ছে কাজ আাছে। আমি অফিসে পৌঁছাতে,
চলবে,।