1. নতুন গল্পঃ2. ছোট গল্প গুলোঃলেখাঃ মেঘ লা (পিচ্চি)

অন্তরালে !! লেখাঃ মেঘ লা (পিচ্চি)

অন্তরালে

হটাৎ পেছন থেকে কারোর হেচকা টান অনুভব করলাম। পেছনে ফিরার আগে পেছনের লোকেটার বুকে গিয়ে পরলাম। হটাৎ এভাবে টান খেয়ে কিছুটা ভেবাচেকা খেয়ে গিলাম। আমি কিছু বলার আগে লোকটা আমার ঠোঁট দুটো আকরে ধরলো আমি অবাস হয়ে যাচ্ছি৷ সামনে থাকা লোকটি কে আমি তাকে দেখতেও পেলাম না। হাত পা ছুটাছুটি করতে লাগলাম কোন কিছুতে ছাড়া পাচ্ছি না৷ শেষ মেস শরীর এর সমস্ত শক্তি দিয়ে ধাক্কা দিলাম লোকটা একটু পেছনে সরতে দিলাম এক চড় লাগিয়ে। গালে হাত দিয়ে লোকটা তাকিয়ে আছে আমার দিকে।
এবার লেকটাকর মুখটা দেখতে পেলাম। হায় খোদা এ তো আর কেউ নয়। আমার বস। এ আমি কি দেখছি।
আমার ভাবনার অবসান ঘটিয়ে তিনি আবার এগিয়ে এসে আমার হাত দুটো চেপে ধরে আবার ঠোঁট দুটো আকরে ধরলো। আমি বেবুক হয়ে গেছি এগুলা কি হচ্ছে৷ ৫ মিনিট পর আমি ছুটাছুটি বন্ধ করে দিলে উনি আমাকে ছেড়ে চলে গেলেন। আমি অবাক পানে তার জাবার দিকে তাকিয়ে রইলাম৷ এগুলো কি হলো আমার সাথে। আমি আজ এখানে এক দম নতুন। আজ জয়েন করেছি যদিও আমার লেখাপড়া অনুযায়ী আমার চাকরিটা হবার কথা ছিলো না। তা-ও কি করে হলো জানি না।
(আমি মেঘলা পুরো নাম জান্নাতুল মেঘলা। সবাই ছোট করে মেঘলা বলে ডাকে। বাবা মায়ের, ক্ষমা করবেন বাবা নয় মায়ের একমাত্র মেয়ে। বাবার এক মাত্র মেয়ে নই আমার বাবার আরো দুইটা সন্তান আছে। একটা ভাই একটা বোন। আমার ৫ বছর বয়সে মা মারা গিয়েছিলো তার ১ মাসের মধ্যে বাবার সমস্ত ব্যবসা লস করে। বাবা কেন জানিনা আমাকে দায়ি করে এসবের জন্য৷ মা মারা জাবার ২ মাসের মধ্যে বাবা নতুন বিয়ে করে। আমার বাবার সেই বৌ এর বাবা আমার বাবাকে নতুন ব্যাবসার জন্য টাকা দেন। ভেবেছিলাম এটা নতুন মা হবে কিন্তু মানুষ যা চায় তা সব সময় হয় না৷ আমার সৎ মা খুবই খারাপ আমাকে কখোন ভালোবাসে নি সব সময় আমাকে কোন না কেন ভাবে কষ্ট দেয়। আমি পরতে চায় কিন্ত আমার কপালে পড়া লিখা নাই। আমি SSC তে গোল্ডেন A+ পেয়ে পাশ করেছি। কিন্তু আমাকে কলেজে যেতে দিবে না মা৷ তিনার সাফ কথা আমার পড়ার পেছনে আর ১ টা পয়সাও খরচ করবেন না। মায়ের একটা সোনার চেন ছিলো জেটা বেঁচে আমি ইন্টারে ভর্তি হয়। কিন্তু ২য় বর্ষে উঠে আর পারছিলাম না এভাবে চলতে। সহস করে বাবাকে বলি। বাবা সাফ মানা করে দেয় কিন্তু অবাক করা কথা হলো ঠিক তার পরের দিন মা আমাকে চকরি তে পাঠায়। আমি প্রথম না করলে আমাকে অনেক মারে বদ্ধ হয়ে এখানে আসি। আজ প্রথম এখানে আমার প্রথম লোকটিকে দেখে ভালো মনে হয়েছিলো। দুপুরে এটা লান্স ব্রেক আমি এখানে একা আসে পাশের সবাই চলে গেছে আর তাপ পর কি হলে তা তে জানেন)
আমি এখনো সেখানে দড়িয়ে আছি আমার সাথে এমন একটা কাজ হবে ভাবতে পারি নি।
খানিক পর সবাই চলে আসলো আমি নিজেকে সমলে ডেক্সে গিয়ে বসলাম।
তখনি এক জন লোক এসে বললো।
-মিস.মেঘলা আপনাকে স্যার ডেকেছে।
আমার গলা শুকিয়ে আসছে কি করি না যেয়েও উপায় নেয়৷ তার উপর চড়টা মারলাম৷। ভাবতে ভাবতে আমি কেবনির সমনে গিয়ে বললাম,
-মে আই কামিং স্যার?
-ইয়েস। তোমাকেই তো ডেকেছি
-জী স্যার বলুন।
-আপনি কি জানেন আপনার কাজ কি এ আফিসে।
-জী না৷
-আপনি আমার পিএ।
-জী (এটা শুনে মনে মনে আমি ঠিক করে নিয়েছি আমি কালকে
চাকরি ছেড়ে চলে জাবো আজ যেয়ে মাকে বলবো আর জাই হোক অন্তত একটা মেয়ে হয়ে মেয়ের কষ্ট তো বুঝবে)
-এই নেও কিছু ফাইল কমপ্লিট করবা৷
-কিন্তু আমি তো এগুলো বুঝি,
-আমি জানি না তুমি এগুলো কি ভাবে করবে জাস্ট শেষ না করা পর্যন্ত বাসায় যাবা না।
লোক টাকে দেখে মনে হয় এই রকম আচারন করতে পারে,
লম্বা একজান সুদর্শন পুরুষ তিনি৷ আল্লাহ যেন নিজের হাতে তাকে বানিয়েছেন মনের মতো করে৷। সব রুপ জেন তাঁকেই দিয়ে দিছে। ব্লাক সুট পরে আছেন ফলে সুন্দর্য টা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এমন করে কথা গুলো বলছেন জেন কিছুই হয় নি। কি করবে মনে মনে ভাবছি আজকে আল্লাহ চাইলে এখানে শেষ দিন হবে৷
আমি ফাইল গুলো নিয়ে চলে আসলাম। কিন্তু কি করবো কিছু বুঝতে পারছি না৷ বেবুকের মতো বসে আছি। হাতে নিয়ে। ভাবছি একটু পরে দেখি কিছু বুঝতে পারি কি না৷ পরতে শুরু করলাম। ১০ টা ফাইল শেষ করতে করতে ছুটির সময় হলো সবাই চলে গেল অফিস পুরো ফাকা আমি কি করবো। এগুলা তো বুঝতেই পারছি না৷ ঠিক এমন সমন তিনি এলেন আমার কাছে আমি তার নামটাও জানি না। উনি আমার কাছে এসে একদম আমার কাছে চলে এলো আমার কলিজার পানি শুকিয়ে যাচ্ছে । আস্তে করে আমার কানের কাছে এসে বললেন৷
-বাসায় যাও এগুলো অন্য কাউকে দিয়ে করিয়ে নিবো।
বলে তিনি চলে গেলেন আমি হাফ ছেড়ে বাচলাম৷
-যাক বাবা আমি আর এখানে আসছি না ।
(মেঘলা নাম না জানলে কি আপরা তো জানতে পারেন ইনি হলো আসফি পুরো নাম আসফি চৌধুরী । দি মাফিয়া কিং । বাট এই পরিচয় টা গোপনিয়৷ ওকে সবাই চৌধুরী গ্রুপ এর ওনার হিসাবে চিনে। )
মেঘলা চুপচাপ বাসায় চলে এলো। এসেই শুনতে পেল,
-কিরে নবাবা জাদি কয়টা বাজে এখন আসার সময় হলো। ঘরে কতো কাজ পরে আছে বাসন মেজে রাতের রান্না চড়াও এখুনি। (মেঘলার সৎ মা তাসনিম নাহার)
আমি ব্যাগটা রেখে কাজ করতে লাগলাম। সব কাজ শেষ করে। গোসল করতে করতে ৭টা বেজে গেল।
আমি গোসল করে, ময়ের রুমে এলাম।
-মা একটা কথা ছিলো।
-কি? (কথায় বোঝা যাচ্ছে তিনি বিরক্ত এমন টাই সব সময়ের ব্যবহার এখন আমার সয়ে গেছে)
-বলছি আমি চাকরিটা আর করবো না।
-কেন। (চিল্লিয়ে)
-মা আসলে আমার বস আমার সাথে অসভ্যতামি করেছে।
আমি কথাটা বলতে না বলতে মা আমার গালে চড় বসিয়ে দিলেন।
-তোকে রাতে জদি সে ইউস ও করে তাহলেও তোকে চকারিটা করতে হবে। তোর মতো মেয়েকে আমি আর বসিয়ে খাওয়াতে পারবো না।
আমি ছল ছল চোখে তাকিয়ে আছি৷ আমি ভেবেছিলাম এই কথাটা অন্তত বুঝবে। কিন্তি উল্টে তিনি জেটা বললেন আমি এ কথায় অবাক৷ ঘর থেকে বেরিয়ে এলাম। সোজা নিজের রুমে গিয়ে কাঁদতে থাকি।আজ আমার মা বেঁচে থাকলে এভাবে কেউ বলতে পারতো না। কি করবো ভেবে পাচ্ছি না। আমি না খেয়ে কাঁদতে কাদতে ঘুমিয়ে পরি কেউ ডাকেও নি৷। অবশ্য আসাও করি নি যে কপউ আমাকে ডেকে খেতে দিবে।
সকাল ৫ টা,
চলবে….. অন্তরালে

বিঃ দ্রঃ নিচে ভালো করে লক্ষ্য করুন পরবর্তী পর্বে দেওয়া আছে

বিঃ দ্রঃ “ লেখাঃ মেঘ লা (পিচ্চি)” লেখকের লেখা অন্য গল্প গুলো পড়তে এখানে ক্লিক করুন !!

👉আমাদের ফেসবুক পেজ