অদ্ভুদ সেই মেয়ে টি

অদ্ভুদ সেই মেয়ে টি ! র্পব-০৭

আমি দিঘার কান ধরে বললাম ভালোই তো পেঁকে
গেছো দেখছি।
আহ্ আহ্ আহ্ লাগছে তো।আর বলব না
কোনোদিন, এইবার তো ছাড়ো।
এবারের মত ছেড়ে দিলাম।আর হ্যাঁ হাফিজ রুমে চল
ওখানেই তোর ব্যাবস্থা করব।
প্লিজ দোস এবারটা।আর হবে না এমন।
আচ্ছা ঠিক আছে।মনে থাকে যেন সবার।
কিন্তু দিদি তো তোমাদের উপর এখনও রেগে
আছে।শুধু শুধু কেন যে রাগ করে আছে? আচ্ছা
আমি দিদিকে বুঝাতে চেষ্টা করবো।আর এদিকে
ফিজ ভাইয়া জয় দাদাকে একটু বুজাবেন যেন রাজি
হয়ে যায়।
বলেই দিঘা দৌড় দিল
দিঘাটা দেখি দিন দিন খুব ফাজিল হচ্ছে।সব সময় মজা
নেয়।হাফিজ রুমে চল অনেক রাত হইছে।
পরদিন সন্ধ্যায় দিঘা ও মেঘা আমাদের ফ্লাটে আসল।
মেঘা এসেছে দেখে তো আমরা আকাশ
থেকে পড়লাম।
আমি খুব সরি, অকারণে তোমাদের সাথে ঝগড়া
করেছি।আসলে আমি একটু রেগে যাই।আর সে
কারনেই এত কিছু।মেঘা বলল,
আরে এই মেঘাকে তো চিনা যাচ্ছে না। আগের
সেই রাগি ঝগরাটে মেঘা আর এখনকার মেঘার
মধ্যে কোনো মিল খুজে পাচ্ছি না, ব্যাপার কি?
আবার চোখের চাহনিটাও পরিবর্তন হয়েছে।
কেমন যেন মায়াবি মায়াবি।আমি ভাবলাম
না না সরি তো আমাদের বলা উচিত ছিল।আমরাও
অকারনে ঝগড়া করেছি আপনার সাথে।হাফিজ বলল
দিদি দেখছো? বলেছিলাম না এরা খুব ভালো।কত
সহজেই না সব কিছু ঠিক করে নিল।আর এদের
মধ্যে জয় দাদাটা খুব ভদ্র আর অল্পভাষী।।বলেই
দিঘা আমার দিকে তাকিয়ে হাসি দিল।
দিঘা তোমার জয় দাদার মনে হয় আমার উপর এখনও
রাগ কমে নাই?।। আমার দিকে তাকিয়ে মেঘা দিঘাকে
প্রশ্ন করল
না না ঠিক সেটা না।আমি ওসব কিছু মনে করিনি।।বাধ্য
হয়ে আমাকে কথা বলতে হল
তাহলে তো সব ওকে নাকি?।।দিঘা বলল
হুম আর কোনো সমস্যা নেই।।হাফিজ বলল
আমি একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম যে, মেঘা শুধু আড়
চোখে আমার দিকে তাকাচ্ছে।আর মিটি মিটি
হাসছে।আমি বুঝলাম না এর কারন কি।
আচ্ছা এখন তাহলে আমরা আসি।মেঘা বলল
এই যাহ্ এত সময়ে আপনাদের নাস্তাই দিতে খেয়াল
নাই।। আমি বললাম
আজ না অন্য আর একদিন খাবো।আজ বরং যাই।।
বলেই মেঘা চলে গেল
জয় দাদা কেমন লাগল দিদিকে।পছন্দ হইছে তো
এবার? বলেই ছুট দিয়ে দরজার পাশে দাঁড়ালো।
দাঁড়িয়ে আবার বলল..আমার দিদিটা কিন্তু খুব ভালো।
তাই নাকি দাঁড়াও দেখাচ্ছি মজা।এই বলে দিঘাকে একটু
তাড়া করলাম।কিন্তু দিঘা তার আগেই দৌড় দিল।পরদিন
সকালে কাকি আমাদের ফ্লাটে এসে বলল…
কেমন আছো জয়? হাফিজ কোথায় গেছে?
ভালো আছি।আপনি কেমন আছেন? হাফিজ তো
এই মাত্র কই যেন বের হল।কেন কিছু বলবেন?
আর বলো না মেয়ে দুটা বলছে আজ নাকি শফিং এ
যাবে কিন্তু দেখো তোমার কাকা আজ বাসায় নেই।
তাই বলছিলাম তুমি যদি একটু ওদের সাথে যাও, তোমার
যদি কোনো কাজ না থাকে। তাহলে আমি একটু
নিশ্চিন্ত থাকি।
আচ্ছা কাকি আমি যাবো।
ওকে।তাহলে আমি ওদের বলছি তুমি যাচ্ছো।
হুম।।তারপর কাকির কথা মত ওদের সাথে গেলাম শফিং
এ।ওদের বললে ভুল হবে দিঘা তো আসেই নাই।
ও মাঝ পথে বলল বাড়িতে কি নাকি ফেলে
এসেছে।এটা বলেই চলে গেল।।এখন মেঘা
কেনাকাটা করছে আর আমি এক কোনে দাঁড়িয়ে
চুপচাপ দেখছিলাম।।
এই ড্রেসটা কেমন দেখতো? পড়লে আমাকে
মানাবে? মেঘা আমার কাছে শুনল….
হ্যাঁ হ্যাঁ মানাবে।দেখলাম মেঘা খুশি মনে ওটা নিয়ে
নিল।এরপর প্রতেকটা ড্রেস আমার পছন্দ অনুসারে
কিনল।।শফিং শেষে মেঘা আমাকে বলল…তুমি কিছু
কিনবা না?।। না না আমার কিছু লাগবে না।। তাই বললে
হবে না আমি এত কিছু কিনলাম আর তুমি কিছু কিনবা না এটা
হয়?।। এটা বলেই আমার হাত ধরে জোর করে
টেনে নিয়ে গেল।যেতে যেতে বলল
তোমার প্রিয় রং কি? আমার কিন্তু হলুদ আর কালো।।
আমি বললাম কালো।।ওহ্ আমাদের মধ্যে মিলও
আছে দেখছি।।এরপর ও আমাকে একটা কালো টি-
শার্ট ও একটা কালো জিন্স প্যান্ট কিনে দিল।।এগুলার
কোনো দরকার ছিল?আমি বললাম…।।হা ছিল।ছিল
বলেই তো দিলাম।আর বেশি কথা না বলে আমার
সাথে আসো।।জানি আজ ফেসে গেছি,তাই আর
কথা না বলে ওর পিছু পিছু একটা কফি শফে ঢুকলাম।ও
দুইটা কফি অডার দিল।ওয়েটার কফি দিয়ে গেল।
দেখলাম কফির উপরে লাভ আঁকা।এটা দেখে মেঘার
দিকে তাকাতেই মেঘা মুচকি একটা হাসি দিল।।
আমি চুপ করে বসে কফি খাচ্ছি এমন সময় মেঘা
বলে উঠল….আরে মানুষ কফি হাউসে একটু কথা
বলার জন্য আসে, তোমার মত বসে থাকার জন্য না।
কি বলবো?
তুমি এমন তা কোনো মেয়ে তোমার সাথে কথা
বলে? এমন হলে তো কোনো মেয়ে
তোমাকে পছন্দ করবে না।
আমি তো এটাই চাই যেন কোনো মেয়ে
আমাকে পছন্দ আর আমার সাথে কথা না বলে।
হি হি হি কেন ছেকা খাইছো নাকি? তাই মেয়েতে
তোমার এতো এলার্জি? এই পযন্ত কয়টা প্রেম
করছো?
হি হি হি প্রেম? একটাও করি নাই।আর ছেকা হি হি হি
হইছে হইছে আর বলতে হবে না।তোমার যা
চেহেরা, তা মেয়েরা কি মরতে তোমার সাথে
প্রেম করবে? হি হি হি
ভাল।চলো এবার বাসায় যাওয়া যাক।
এখন যাবা? একটু মুখ ভার করে বলল। তা চলো।।
বাসায় এসে বলালাম যাক বাবা বাঁচা গেল।পরদিন সকালে
হাফিজ অসুস্থ থাকাই আমি একাই র্ভারসিটি যাচ্ছিলাম হঠাৎ
কে যেন আমাকে বলল…”আসো রিক্সায়
উঠো”।আমি ফিরে তাকাতেই দেখি মেঘা।মেঘা
আবার বলল… উঠে পড়ুন তারাতারি।
না তার দরকার হবে না।আর তো এটুকু রাস্তা বাকি
আছে, ৩ মিনিট লাগবে হেটে যেতে।বরং আপনি
যান, আপনার দেরি হয়ে যাবে।
এতো কথা বল কেনো।যেটা বলছি সেটা করো।
রিক্সায় উঠো।একটু রেগে বলল
তাই আমি আর কথা না বাড়িয়ে উঠে পড়লাম।উঠে
চুপচাপ বসে আছি।
তুমি কি সবসময় এমন চুপচাপ থাকো?
একটু হেসে বললাম… না।
এ বাবা তুমি হাসতেও পারো নাকি? আগে তো জানতাম
না।
ও ও ও … তা আপনি রাগ ছাড়াও যে কথা বলতে
পারেন এটা তো আমার আগে জানা ছিল ন।
কিহহ্ আমি রাগি? আর আমি সব সময় রেগে থাকি? আর
তুমি আমাকে এতো আপনি আপনি বলো কেন?
এবার থেকে আমার মতো তুমি করে বলবা।
থ্রেট দিয়ে একথা গুলো আমাকে বলল।যাক বাবা বাচাঁ
গেল, র্ভারসিটি এসে গেছে।তাই ওকে বললাম…
আচ্ছা বাই
সন্ধ্যায় ছাঁদে আসবা ওকে?
 


বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *