অদ্ভুদ সেই মেয়ে টি ! র্পব-০৬
হঠাৎ বলে উঠল…)
দিঘা – আমি রাজি (বলেই ছুট দিল।আমি
অবাক হবো না
হাসবো কিছুই বুঝলাম না।শুধু তার চলে
যাওয়াটা
দেখলাম।এটা কি ধরনের মেয়ে।যাই হোক
ব্যাপারটা
তো আমি বুঝাতে পেরেছি আর ও বুঝতে
পেরেছে,এটাই অনেক।এসব ভাবতে ভাবতে
হাফিজ চলে আসল।)
আমি – কোথায় গিয়েছিলি?
হাফিজ – আর বলিস না একটু ছাঁদে
গিয়েছিলাম।কিন্তু ওই
মেয়েটার জ্বালায় আর থাকতে পারলাম না।
আমি – কোন মেয়ে?
হাফিজ – আরে সেই রাগি মেয়ে।
আমি – ও আবার কি করল?
হাফিজ – কি করেনি সেটা বল।
আমি – কি করেছে সেটা কি বলবি?
হাফিজ – শোন তাহলে…(আমি ছাঁদে দাঁড়িয়ে
আছি।
এমন ওই মেয়েটা যেন উড়ে এসে বলল… < ওই
বিয়াদব ছেলে গতদিন আমাকে বলনাই কেন
বাসার
ঠিকানাটা? আর এত ভাব দেখাও ক্যান হ্যাঁ?
ইচ্ছে
হচ্ছে কানের নিচে দুইটা বসাই দেই।ফালতু।
তোমার
সাথে আর একটা থাকে না ওইটা কই?ওটা
একটা
মিটমিটে শয়তান।ওইটার মাথায় বেশি বুদ্ধি।
আমাকে
দেখে কেমন পালাই যায়।ওই টারে আমি
দেখে____> ওই মেয়েটার কথা শেষ না হতেই
আমি চলে এসেছি)
আমি – হি হি হি হি তুই কি ভয় পেয়েছিস?
একটা কথা
মনে রাখবি মেয়েদের কখনও সুযোগ দিবি না।
পারলে একটু বেশি কথা বলবি।(একটু জ্ঞান
দিলাম)
হাফিজ – এ আসছে আমার বীরপুরুষ।যে কিনা
মেয়েদের সাথে কথা বলার সময় হাটু কাঁপে।
আর
সে আমাকে জ্ঞান দিচ্ছে।
আমি – তুই কিন্তু আমাকে অপমান করছিস
হাফিজ – না দোস।কিন্তু একটা কথা আমি তো
বেঁচে
গেছি এবার তোর পালা।আর তোর উপর কেন
জানি
বেশি খেপে আছে।
আমি – তাই নাকি?(একটু ভয় পেয়ে বললাম)
হাফিজ – হুম
পরদিন সকালে র্ভারসিটি যাওয়ার গেটে
দিঘার সাথে
দেখা হল।আমি বললাম..
আমি – ওই কেমন আছো?
দিঘা – একটু হেসে বলল.. ভালো তোমরা?
হাফিজ – ভালো।কই যাও?
দিঘা – ডেটিং এ যাচ্ছি,যাবা নাকি আমার
সাথে? হাহাহাহা
আমি – হি হি হি না না ও যাবে না তুমি যাও
দিঘা – আচ্ছা তাহলে আমি গেলাম পরে কথা
বলব, বাই
আমি – বাই
হাফিজ – কিরে তোদের মধ্যে এত ভাব হলো
কি
করে? আর হা গতকাল না তোকে ও প্রোপোজ
করল, তুই রাজি হয়ে গেলি নাকি?
আমি – আরে না।
হাফিজ – তাহলে কাল কি এমন হলো যে
তোদের
আজ এত গলায় গলায় ভাব?
আমি – শোন তাহলে…(গতদিনের ঘটনাটা ওকে
বলতে বলতে ভারসিটি গেলাম)
.
সন্ধ্যায় রুমে বসে একটা অ্যাসাইনমেন্ট
করছিলাম
কিন্তু নেট-কানেকশন ভালো না পাওয়ায়
কাজ
করতে পারছিলাম না।তাই হাফিজকে
বললাম..
আমি – চল ছাঁদে গিয়ে কাজ করি
হাফিজ – চল
ছাঁদে বসে কাজ করছি।কাজ প্রায় শেষ তখন
বিপদ
এসে হাজির হলোবিপদ মানে সেই রাগি
মেয়েটা।
ওরে বাবা এ দেখি দাঁতে দাত কামড়িয়ে
একটানা আমার
দিকে তাকাই আছে।যেন খেয়ে ফেলবে।এই
রাগি লুকে কিন্তু ওকে চরম লাগছে।সত্যি
অমাইক।
চোখের চাহনিটা সেই।হঠাৎ মেয়েটা বলে
উঠল..
মেয়েটা – দিঘা এই দিকে আয়,এসে দেখে যা
(এখানে দিঘাও আছে দেখছি, দিঘা আসল)
তোকে
বলছিলাম না? সেই বিয়াদব দুটো এই দেখ
দিঘা – দিদি থামো
মেয়েটা – তুই জানিস না।এই দুইটা আমার
সাথে কি
বিয়াদবি করেছে।
দিঘা – দিদি ওরা খুব ভালো।তাছাড়া ওদের
তুমি এমন
করে বলেছো, শুনলে বাবা-মা খুব রাগ করবে।
মেয়েটা – এরা ভালো?(বলেই চলে গেল।
এতক্ষন আমরা চুপ করে ছিলাম।হাফিজ
দিঘাকে বলল..)
হাফিজ – কে এই মেয়েটা?
দিঘা – ওর নাম মেঘা,আমার মামাতো বোন।
এবার ও
মেডিকেল পড়ছে।আর এখন থেকে এখানেই
থাকবে।
এ ব্যাপারটা ওর মুখে শুনেছি,এতে তোমাদের
কোনো দোষ নেই।আর তোমরা ওর কথায় কিছু
মনে করো না।ওর বাবা খুব ধনী তো তাই এতো
বেশি রাগ।
(এ গুলা বলার পর দিঘা আমার দিকে
তাকালো,
দেখলো আমি চুপ করে আছি তাই দিঘা
আমাকে
বলল…)
দিঘা – তবে হ্যাঁ জয় দাদা রাজি থাকলে,
আমি মেঘা দিদি ও
জয় দাদাকে একসাথে জুড়ে দিতে পারবো
হা হা হা হা
হা হা হা।
হাফিজ – হা একদম ঠিক, ওদের দুজনের
একসাথে
মানাবে ভালো হি হি হি হি হি
—————–
চলবে
বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!