অদ্ভুত ভালোবাসা

অদ্ভুত ভালোবাসা ! পর্ব- ০৫

গল্প বিলাসী

সকালবেলা!

কিরে এতো সকালে কোথায় বের হচ্ছিস? শুনি?

আরে আন্টি তোমাকে তো বলাই হয়নি কাল এক্সাম দিয়ে আসার সময়
দেখি একলোক এক্সিডেন্ট করে পরে আছে তারপর আমি আর আমার
ফ্রেন্ডসররা তাকে হাসপাতালে
admit করে চলে এসেছিলাম।
এখন ওনাকেই দেখতে যাচ্ছি

ভালো করেছিস। আচ্ছা নাস্তা করে তারপরে বের হ

হুম

চোখ খুলতে খুব কষ্ট হচ্ছিলো।চোখ খুলে দেখি আমি Hospital
পাশে একজন নার্স বসে আছে।

এইখানে আসলাম কিভাবে?
কে নিয়ে এলো আমাকে?
Excuse me!

Yes!

বলছি আমাকে এইখানে কে নিয়ে আসছে?

নিশি আর তার ফ্রেন্ডসররা নিয়ে এসেছে।আপনি শুয়ে থাকুন আমি Doctor
কে আপনার জ্ঞান ফিরার কথাটা জানিয়ে আসি

নিশি নামটা শুনার পর কেমন জানি একটা কষ্ট অনুভব হলো।
বিগত দিন গুলোতে কতই না নিশিকে খুঁজেছি।
কিন্তু কোথাও পাইনি

নিশির চিঠিটা পড়ার পর থেকে কেমন যেনো একটা অনুভুতি হয়েছিলো।

রাতের ঘুম কেরে নিয়েছে আমার। আমিযে নিশিকে খুব মিস করি
যেখানে নিশি নামটা শুনেছি সেখানেই ছুটে গিয়েছি যদি আমার নিশিকে
খুঁজে পাই
কিন্তু প্রতিবারইই হতাশ হয়ে ফিরেছি।

সেইদিন তো শুধু তুমি যাওনি নিশি তুমিযে আমার মনটা ও নিয়ে গিয়েছিলে।
তোমার চিঠির প্রতিটা কথা যে আমাকে অনেকপরিবর্তন করে দিয়েছে

নিশি তুমি কি জানো আমিযে তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি।
তোমার প্রতি আমার যে অন্যরকম একটা অনুভুতি তৈরি হয়েছে তা কিভাবে
তোমাকে বুঝাবো?

প্রতিদিন তোমাকে দেখে আমার ভোর হয় আবার তোমাকে
দেখেই আমার রাত শেষ হয়।

আমিযে তোমাকে খুব ভালোবেসে ফেলেছি,
নিশি কোথায় তুমি?
একবার কি মিরাক্কেলীয় ভাবে দেখা হয়ে যেতে পারেনা আমাদের?

চোখের কোন দিয়ে পানি পরছে আর আমি আমার নিশির কথা ভাবছি আমার
ভূলের জন্য না জানি কতটা মাসুল দিতে হয়েছে তাকে?

যদি কখনো দেখা হয় তাহলে নিজের করে নিবো আর হারাতে দিবো
না তোমাকে তুমিযে আমার অভ্যাস হয়ে গেছো নিশি।

। সিয়াম : কিরে এতোক্ষন লাগলো কেনো তোর?

নিশি : sorry দোস্ত দেরি হয়ে গেছে। আচ্ছা petient এর কি জ্ঞান
ফিরেছে?

নিলা : হ্যা ফিরেছে এখন নাকি একটু সুস্থ আছে

নিশি : আচ্ছা চল গিয়ে দেখে আসি।

রবি : হ্যা চল।

নার্স : এইযে এইখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখবেন না ভিতরে যাবেন।
গিয়ে কথা বলে আসেন।

নিশি : ওনি কি ঘুমিয়ে আছে ঐদিক ফিরে আছে যে?

নার্স : না ভিতরে গিয়ে দেখেন।

ওনাকে কি আজ রিলিজ করা হবে?

নার্স : না আরো দুদিন থাকতে হবে।

নিশি : ও আচ্ছা। তোরা যা আমি বিলটা পেমেন্ট করে আসি আর তো
আসতে পারবোনা।

ওকে যা। তারাতাড়ি আসিস।

এইযে যারা আপনাকে এইখানে নিয়ে এসেছে ওরা আপনাকে দেখতে
এসেছে।

তাকিয়ে দেখলাম দুইটা ছেলে আর একটা মেয়ে।
মেয়েটার নাম মনে হয় নিশি

Thnx আপনাদের কে। যদি আমাকে না নিয়ে আসতেন তাহলে যে
আমার কি হতো আল্লাহ ই ভালো জানেন

নিলা : Thnx আমাদের চেয়ে বেশি নিশিকে দেয়া উচিত নিশিই আপনাকে
নিয়ে আসার সব ব্যবস্থা করেছে

ওনি কি আসেনি?

সিয়াম : এসেছে । একটু বাহিরে আছে আসছে। আপনার এখন কেমন
লাগছে?

জ্বি এখন ঠিক আছি।

নিলা : কিরে নিশি এখনো আসছেনা যে?

রবি : দারা আমি দেখছি

ওইতো আসছে

Sorry Guys দেরি হয়ে গেলো বলতে বলতে কেভিনে ঢুকলাম।।
কি অবস্থা আপনার বলেই petient এর দিকে তাকালাম

তাকিয়ে যা দেখলাম আমার পায়ের নিচ থেকে যেনো মাটি সরে
যাচ্ছে।

নীল চৌধুরী। আমি কখনো চাইনি তার সাথে আমার দেখা হোক। আর
ওনাকে দেখে কেনো জানি আমার সেই অতীতটা মনে পরে
গেলো আজ তার জন্য আমি আমার মায়ের কাছ থেকে দুরে।

তাকে কিছু বুঝতে না দিয়ে মুখে একটা মিথ্যে হাসি টেনে জিজ্ঞাসা
করলাম।

কি হলো কথা বলছেন না যে?আপনার কি কথা বলতে Problem হচ্ছে?

না Problem হবে কেনো?
আমি এতোক্ষন খারাপ ছিলাম এখন দিব্বি সুস্থ্য আছি

আচ্ছা আপনি রেস্ট নিন আমরা আসছি বলেই বেরিয়ে গেলো নিশি।

Excuse me! Mr,

নীরব : আমাকে বলছেন?

জ্বি। আপনার ফোন থেকে একটা কল করা যাবে?

Why Not?

তারপর রনিকে ফোন করে Hospital এর ঠিকানা দিয়ে দিলাম।

Thnx।

It’s Ok।
Takecare Bye।

এবার আর তোমাকে ছাড়ছিনা নিশি। তুমি এই ঢাকাতেই আছো আর আমি
কোথায় না খুঁজেছি

এবার আর তোমাকে ছাড়ছিনা নিশি। তুমি এই ঢাকাতেই আছো আর আমি
কোথায় না খুঁজেছি

নার্সকে জিজ্ঞাসা করে নিশির সব Information নিলাম।

তারকিছুদিন পর রিলিজ করলো

স্যার বিল পে করে গেছে

কে করেছে?

যে আপনাকে এইখানে admit করেছিলো

ও আচ্ছা। তারপর বাসায় আসলাম

বাসায় এসে শুধু এইটা ভাবছি যার এতো ক্ষতি আমি করেছি সে আজজ
আমাকে বাঁচিয়েছে। নিশির মুখটা আমার চোখে ভাসছে।

অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে smart ও হয়েছে অনেক।
perfect

এখন কাজ একটাই নিশিকে আমার করে পাওয়া যেভাবেই হোক আমি
নিশিকেই চাই।

কিছু লোক লাগিয়ে দিলাম ও কখন কোথায় যায় সে খবর আনতে।

বিকেলবেলা

নিলা : দোস্ত এর একটা ব্যবস্থা করা দরকার।

নিশি : কোনটা?

নিলা : ঐযে দেখ প্রতিদিন এইভাবে আমাদের Follow করে

Follow শব্দটা শুনে কেমন জানি লাগলো। এই Follow এর জন্য আজ
আমার জীবনটা এলোমেলো।

তুই sure যে এই ছেলেটা Follow করছে?

হ্যা। প্লিজ কিছু কর আর ঐদিন নিহাল ( নিলার বয়ফ্রেন্ড) আমার সাথে এইটা
নিয়ে ঝগড়া করছে বিলছে আমরা নাকি পছন্দ করি তাই তাকে কিছু বলিনা

আচ্ছা চলতো দেখি

কি সমস্যা আপনার এইভাবে আমাদের Follow করেন কেনো?

কি হলো চুপ করে আছেন কেনো? আর একদিন যদি দেখিনা জুতা পিটা
করে লম্বা মুখটা একদম গোলল করে দিবো ফাজিল

বলেই চলে আসলাম।

গাড়িথেকে নিশির কথাগুলো শুনছিলাম আর হালকা হাসছিলাম।

নাহ এই ছেলেটার একটা ব্যবস্থা করতে হবে?

ফার্স্ট ক্লাস ভালোই হলো তাইনা?

হুম। দোস্ত? তুই ক্লাসের ভাইয়াকে দেখেছিস?
ওয়াও কথা বলার প্রতিটা ধরন কতো সুন্দর।
আমারতো একদম হেব্বি লাগছে।

আমি কি নিহাল ভাইইয়া কে এই রেকর্ডটা দিবো?

নিলা :কোনটা?

নিশি: নিলার বলা কথা গুলো রেকর্ড করেছিলাম শুনিয়ে) এইটা?

নিলা : এইটা কখন করলি তুই? delate কর এক্ষনি

নিশি : ইসসস বয়েই গেছে আমার।
আমি কি delate করার জন্য করেছি নাকি?

নিলা : করনা দোস্ত। আমি না তোর জানেমান হই

নিশি : করবো একশর্তে ফুচকা পার্টি দিতে হবে

নিলা : Blackmail হচ্ছে কিন্তু।

নিশি : তাহলে এইটা আমার কাছেই থাক বলেই উল্টো দিকে হাটতে লাগলাম

নিলা : এই নিশি দারানা প্লিজ ওকে খাওয়াবো done?

নিলা : done এবার তো delate কর।

নিশি : আগে খাওয়া তারপর

নিলা : ওকে চল

আল্লাহ এতো ঝাল
চোখ দিয়ে পানি পড়ছে
ও মামা আমি আপনার কোন দিনের শত্রু ছিলাম বলেনতো?

দোকানি : কেনো?

নিশি :: এতো ঝাল দিলেন যে

দোকানের সবাই হাসতে লাগলো

দৌড়ে গিয়ে পানি খেলাম।
আল্লাহ আমি আর জিবনেও ফুচকা খামুনা আল্লাহ গো আমারে কি খাওয়াইলা

নিলা : কমন ডায়লগ তোর । আর জিবনে খাবিনা আজ পর্যন্ত কতবার
বলেছিস বলোতো?

কি করবো বল মন যে খেয়ে চায়
বলেই দুইজন হাসতে লাগলাম।

নিলা : আচ্ছা তুই দারা আমি বিলটা দিয়ে আসি

নিশি : ওকে যা।

বাসায় চলে আসলাম কেনো জানি মনে হচ্ছে কেউ আমাজে Follow
করছে

বাসায়

কিরে ক্লাস কেমন হলো?

হ্যা অনেক ভালো।

মন খারাপ?

না ( আন্টিকে বলা যাবেনা শুধু শুধু টেনশন করবে)

আচ্ছা আন্টি আমি কিছুদিনের জন্য গ্রামে যাবো।

কিন্তু যদি কোনো problem হয়?

কি problem হবে। তুমিতো মায়ের সাথে কথা বলে সব clear কিরে
দিয়েছো
তাহলে?

আমি কতবার বলেছি তোর মা আর ভাইকে এইখানে চলে আসতে কিন্তু
আসলোনা

এবার গিয়ে নিয়ে আসবো তুমি টেনশন করোনাতো। পরে দেখা
যাবে টেনশনে তোমার প্রেশার উঠে গেছে আমার আর যাওয়া
হবেনা

হা হা হা

আচ্ছা তাহলে খেয়ে Ready হয়ে নে।

হুম

কিছুদিনের জন্য গ্রামে চলে গেলে আর হয়তো follow করবেনা।।

চলে এলাম গ্রামে
অনেকদিন থাকবো তারপরেই মা আর ভাইকে নিয়ে চলে যাবো।

আজ এক সপ্তাহ পর তোমরা আমাকে বলছো এই কথা?

একসপ্তাহ ধরে কোনো খোজ পাওয়া যাচ্ছেনা স্যার ওনি হয়তো ঐ
বাসায় আর থাকেনা

১৫দিনের পরেই মা আর ভাইকে নিয়ে ঢাকাই চলে আসলাম।

আন্টি : যাক এবার তাহলে আসা হলো আপনাদের?

নিশি : আসতেই চাইছিলোনা কতো জোড় করে এনেছি তুমি জানো?

আন্টি : আচ্ছা আগে ফ্রেশ হ তো

নিশি : আন্টি তোমরা কথা বলো আমি একটু নিলার সাথে দেখা করবো

ওকে তারাতাড়ি চলে আসিস।

আরে আরে আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন।
আজব আমাকে ছাড়েন কারা আপনারা plz help me
আমি চিৎকার করে বলছিলাম কিন্তু কোনো লাভ হলোনা গাড়িথেকে
কোনো শব্দ বাহিরে শুনা যাচ্ছেনা

চোখ গুলো বেধে দিয়েছে আমি আর কিছু দেখতে পাচ্ছিনা আল্লাহ
আমার সাথে এইটা কি হলো?

চোখ খুলে দেখি আমি কারো বেডরুমে।

নিজের দিকে তাকালাম এইবার বুঝি সব হারালাম। চোখ দিয়ে পানি পরছে
পাশে তাকাতেই
দেখি নীল একটা চেয়ারে বসে আছে

আপনি?

continue…..
.বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *