অদ্ভুত তিনি

অদ্ভুত তিনি !! Part- 15

আকাশ আমাকে দরজার কাছে আনতে আমি এক ঝটকে ওনার হাত থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে দৌড়ে আমানের কাছে চলে আসি।
ওনার মাথাটা কোলের উপর নিয়ে,
-আমান উঠুন না দেখুন আপনার জান পাখি আমি৷ ক্ষমা করে দিন। আমি কথা দিচ্ছি এমনটা কখনো করবো না। আাকাশ আমার স্বামীকে ঠিক করে দিন। এখনি। এখনি। এখনি। ওনার কিছু হলে আমি মরে যাবো। প্লিজ৷ (প্রচুর কান্না করতে করতে)
-মেঘ তুমি ভুলে যাচ্ছো তোমার আপুর এই অবস্থার জন্য সে দায়ি৷
-আমি কিছু শুনতে চাই না৷ ওানকে ঠিক করে দিন। আমি কিছু জানি না। আমান৷ (ওনার মাথায় মাথা ঠেকিয়ে)
-মেঘ বাচ্চাদের মতো করো না চলো আমার সাথে। এখনি (আমার হাত ধরে)
-ছারুন না আমাকে আমাকে ছোবার অধিকার আপনার নাই৷ আমাকে ছোবার অধিকার শুধু আমানের আছে। আর কারোর নাই৷ আমান উঠুন না৷
হটাৎ করেই আকাশ আমাকে যোর করে টানতে লাগলেন। আমি তার শক্তির সাথে পেরে উঠছি না। কিন্তু খুব চেষ্টা করছি নিজেকে ছাড়িয়ে নেবার ।
-আপমি কি করছেন ছাড়ুন আমাকে ছাড়ুন বলছি।
আকাশ কোন কথা শুনছে না। আমি তার হাতে কামড়ে দিলাম আমি কামড় দিতে পেছনে ফিরে তিনি আমার গালে দিলেন চড়৷ চড়ের তিব্রতা এতটা ছিলো আমি ছিটে ১ হাত দুরে গিয়ে পরি৷
আমি ব্যাথা অনুভব করতে পারছি না৷ মনে হচ্ছে শনির উপর আছি৷ কানে তালা লেগে গেছে। চি…….করে শব্দ শুনা যাচ্ছে৷
চোখ গুলো বড়ো বড়ো হয়ে গেল। আকাশ আবার আমার সামনে এসে পেছনে থাকা কাচের ফুলদানি দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করলেন। আমি আর কিছু জানি না৷ সামনে অন্ধকার আমি মেঝেতে শুয়ে পরলাম। চোখের সামনে আমনের নিথর শরীর টা। আর কিছু মনে নাই,

চোখ খুলতে একটা অন্ধকার রুমে আবিষ্কার করলাম নিজেকে৷ মাথা ব্যাথা আমি নড়তে পারছি না। পানির এতটা পিপাসা লেগেছে বলে বুঝানোর ভাষা নাই।
অনেক অন্ধকার ভয় তো বেড়েই চলেছে।
আমানের কথা মনে পরতে আমি কেদে দি আমার গলায় শব্দ নাই৷ আওয়াজ করতে গিয়েও পারছি না। মুখ থেকে বাক শক্তি হারিয়ে গেছে। এক হলো, আমানের কষ্ট, পানির চরম পিপাসা, মাথায় ব্যাথা, আমার এগুলো নিতে খিব কষ্ট হচ্ছে৷ চোখ দিয়ে অঝরে পানি পরছে। কিন্তু মুখ দিয়ে শব্দ করতে পারছি না৷
হাত দিয়ে উঠার চেষ্টা করছি পারছি না৷
মনে মনে শুধু আমনকে ডেকে যাচ্ছি।
তিনি তো আমার মনের কথা শুনতে পারতেন আজকি শুনতে পারছে না৷ একটু কষ্ট হলে আমার পাগল হয়ে যেতেন৷ আজ কি সে সত্যি নাই। তাবা পরলাম সঙ্গে সঙ্গে। কি ভাবছি এগুলো আমি না এগুলা ঠিক না৷
এসব ভাবতে ভাবতে হটাৎ মনে হলো ডিম লাইট টাইপ আলো জ্বলে উঠলো৷ আমি মাথাটা ঘুরাতে দেখি৷ আবছা ছায়া আমার দিকে এগিয়ে আসছে৷ মনে মনে ভয় লাগছে আকাশ আসছে নাতো। ও ছাড়া কে বা আসবে। দেখতে দেখতে আমার চোখ ছোট হয়ে আসছে। তবে বুঝতে পারছি তার শরীরে অদ্ভুত আলো এটা ডিম লাইট নয়৷ মনের মাঝে অচিন পাখি উরাল দিয়ে উঠলো। আমানের শরীরে এমন আলো। কিন্তু লোকটা কাছে আসতে কেমন চোখটা বন্ধ হয়ে আসলো। এতো চেষ্ট করলাম খুলতে পারছি না। শরীর অবশ করে নিয়ে আসছে। কিন্তু আসে পাশে ঘটে যাওয়া শব্দ শুনতে পারছি আমি।
আমার অনুভব হচ্ছে কেউ আমার বাহু ধরে উঠিয়ে আমাকে পরম যত্নে ঔষধ লাগিয়ে দিয়ে ব্যান্ডেজ করে দিচ্ছে। তার স্পর্শ আমার অনেক চেনা। খুব কাছ থেকে অনুভব করছি আমি। কিন্তু দেখতে পারছি না। আস্তে আস্তে সে আমাকে ঘুম পারিয়ে দিলেন৷ তর শরীরের অদ্ভুত ঘ্রান আমাকে ঘুতে বাদ্ধ করলো। আর কিছু মনে নাই৷

ঘুম ভাঙতে নিজেকে সেই ঘরেই আবিষ্কার করি৷
উঠে দেখি শরীরে শক্তি আসছে। আমি আস্তে করে উঠে আমানকে ডাকতে লাগি৷ –
-আমান আমান কই আপনি। এখানেইতো ছিলেন কই আপনি৷ ক্ষমা করে দিন আমাকে। আর এভাবে ভুল বুঝবো না৷ আমান কই আপনি। (বুকটা ফেটে কান্না আসছে)
আমি এতো ডাকছি কিন্তু কোন সারা পাচ্ছি না৷ মাথাটা এখনো ব্যাথা৷
আমি আস্তে আস্তে উঠে পরি৷ আমার মাথা এতই ব্যাথা যে পরে যেতে নিলাম৷ সঙ্গে সঙ্গে আমান ধরে ফেলে আমাকে৷
ওনার বহুতে পরে আমি বুঝতে পারি এটা আমান।
-আমান ক্ষমা৷
-কিছু বলো না৷ চুপ থাকো
-আপনি।
উনি কিছু বলতে দিলেন না আমাকে পুনরায় বিছনায় শুইয়ে দিলেন।
তার পর আমার মাথায় হাত রাখতে সেই আগের ব্যাথা অনুভব করতে লাগি৷ কিন্তু কিছু বলছি না দাতে দাঁত চেপে সহ্য করছি৷
আমানের স্পর্শ গভীর হচ্ছে। কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না কেন এতো শাস্তি দিচ্ছে আমাকে। আমান হুট করে আমার উপর শুয়ে পরলে, আমি এবর সহ্য করতে পারি নি।
-কষ্ট হচ্ছে। ছাড়ুন।
-খুব কষ্ট হচ্ছে তাইনা মেঘ।
-অনেক।
-কিন্তু আমদর যে এর থেকে ১০০০× বেশি কষ্ট হয়েছিলো মেঘ জখন তুমি আমাকে মরতে ছেড়ে দিয়েছিলে। আমাকে কি একটু বিশ্বাস করা যেত না।
-বি…বিশ্বাস ক…..ক…করুন। (ব্যাথায় জবান আটকে আসছে)
-করতে পারবো না। জান পাখি আমরা এক বার ঠকি বার বার না। একটা বার জিঙ্গেস করতে পারতে আদও তুমি এমন কি করেছো আমান। তোমার কি বাবা ছিলেন। বন্যা আপুকে কেন আটকে রেখেছ৷
শুনেছো এক বার৷
-আ.মার।

আর বলতে দিলেন না আমার ঠোঁট রুট ভাবে কামড়াতে লাগলেন। কিন্তু আমারযে কষ্ট হচ্ছে তাকি বুঝতে পারাছে না। আমার হাত নড়ানোর শক্তি নাই। কিছু সময় পর সে সরে আসে৷ আমার ঠোট কেটে রক্ত বার হচ্ছে৷
একি ভাবে বিছনায় পরে আছি আমি। তিনি বলতে শুরু করলেন,
-কতোটা ভালেবাসি যানো সেই দিন আমাকে প্রশ্ন করেছিলে তোমাকে আর আগের মতো ভালেবাসি কি না৷ সেই দিনের উত্তর আজ দেই৷ আমি নিজে তোমাকে আমার,……..
চলবে,