অদ্ভুত তিনি

অদ্ভুত তিনি !! Part- 14

দুপুরে,
আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি আমান নাই। বোধ হয় কাজে গেছে। নামাজ পরে নিলাম।
নিচে নেমতে,
-ম্যাম স্যার খেয়ে নিতে বলছে। (আদ জ্বিন)
-কই গেছে উনি।
-জানি না বললো শুধু কাজ আছে ফিরতে দেরি হবে। ম্যাম জেন খেয়ে নেয়।
-আচ্ছা তুমি যাও। ।
আমি খাবার শেষ করে রুমে আসি। দেখলাম একটা বই টেবিলে রাখা আছে৷
আকর্ষণ কাজ করছে আমার বই টার প্রতি। আমি বইটা খুলে পরতে লাগলাম,
প্রথম পাতায় লেখা আছে, আমানের সব থেকে বেশি ভয় করে লোহা পুড়া। ওর শক্তির অর্ধেক কমে যাবে তাতে। এটা দেখে পরতে শুরু করি,
২০/০৩/২০১০
-জ্বিন আগুনের তারি হলেও তাদের আগুনে লোহা পুড়া, মেজের পারূদ এ সমস্যা হয় এটা আজ প্রথম জানলাম। দাইমা আমাকে আজ প্রথম বললেন। আমার এতে অনেক সমস্যা করন আমার মধ্যে বাকি জ্বিন দের থেকে একটু বেশি শক্তি আছে। যার জন্য দাইমা আমাকে এগুলার আসে পাশে ঘেসতে মানা করলেন। এটা আমার আসে পাশে উপস্থিত আমার শক্তির ৫০% কমিয়ে দিবে।
এর পর থেকে আমি আর এগুলার কাছে অবস্থান করি নি।
১৯/১০/২০১১
আমার জীবনের আরো একটা গোপন কথা আছে আমাকে পুরো পুরি ধ্বংস করতে গেলে আমার পাশে থেকে আমার উপর নজর রাখতে হবে। সেটা আমার আসে পাশে থাকে নাকি। দাইমা বললেন।

এটুকু পরতে বইটা হটাৎ বন্ধ হয়ে গেল। এত চেষ্টা করলাম খুলললোই না৷ যাহ ছেড়ে দিলাম।
তার পর ভাবলাম আকাশকে যানাতে হবে,
আমি ট্রান্সফর্মর চলু করে আকাশকে কন্টাক্ট করলাম,
আকাশকে সবটা বললাম।
-আচ্ছা মেঘ তুমি আমানের পাশে থেকে সবটা জানার চেষ্টা করো। ১৫ দিন সময় নেও৷ আমি ১৫ দিন পরে আসছি।
আমি ওটা রেখে বসলাম।
ঠিক করছিতো আমি।
বুঝতে পারছি না কিছু।
একটা ব্যাপার বার বার বাধা দিচ্ছে আমানের বাবার কথা উল্লেখ নাই কেন।
তার পর নিজেকে মানিয়ে নিলাম। যা হবে পরে দেখা যাবে, ।
১৫ দিন পর,
আজ ১৫ টা দিন হলো। আমান কেমন পাল্টে গেছে আমার কাছে আসে নি সেই দিনের পর থেকে। আমাকে টাচ পর্যন্ত করে নি এই ১৫ টা দিনের একটা মূহূর্তে। আমাকে এই কষ্ট টা ভেতর থেকে খুবলে খুবলে খাচ্ছে । এতটা কষ্ট আগে পাই নি৷ আমি কাছে যাতে চাইলে ইগনোর করেছে।
এইতো কালকের কথা।
(আমি তার কাছে এগিয়ে গলাম পানি দিতে,
-আপনার পানি।

-রেখে দেও৷
-কিছু বলবো।
-হু।
-আপনার কি কিছু হইছে।
-নাতো।
-বলেন না,
-কি হবে বলো। আল্লাহ তায়লা কপালে যা লিখছে তাই হবে না।
-ভালেবাসো না আগের মতো৷
এবার আমার দিতে তাকালেন,
-আমি কতেটা ভালেবাসি তা বোঝার মতো ক্ষমতা তোমার নাই৷
আমি তার মায়া ভারা কথায় আটকে গেলাম। চোখের পানি গড়িয়ে পরার আগে আমি আমি চলে এলাম।
এতেটা চেঞ্জ একটা মানুষ কি করে হতে পারে৷ এতো কষ্ট কি করে দিচ্ছে আমাকে।
নাহ মায়া বাদ দে মেঘ বন্যা আপুকে নিয়ে ভাব)
এই ১৫ দিনে আমি বুঝতে পারছি ওর ২য় দূর্বলাতাটা কি। একটা আয়াত আছে কুরানের সুরা জ্বিন এর একটা আয়াত ওর শরিরকে অবশ করে দেয়।
(বিঃদ্রঃ সম্পূর্ণ কাল্পনিক আমি এই বিষয়ে ভালো বুঝি না। কাল্পনিক ভাবে দেখবেন৷)
আজ তো আকাশের আসার কথা। কিছুতে মন বসছে না। এই ১৫ টা দিনের এমন কোন দিন নাই জখন আমি নামাজে কাদি নাই। আমার আমানকে ফিরিয়ে দিতে৷ কিন্তু কি হবে তা আজ নির্ধারণ হবে৷
কষ্ট হচ্ছে আমার।
এসব ভাবতে ভাবতে নিচে থেকে হটাৎ আমানের চিৎকার শুনতে পায়।
-মেঘ………

আমি দৌড়ে নিচে এসে দেখি আকাশ আমানের পেটে গরম কর ছুরি দিতে আঘাত করেছে। আর সেই আায়াত টা পাঠ করছে। আমান আস্তে আস্তে নিথর হয়ে আসছে।
একটাই কথা বললো শুধু,
-মেঘ ভালেবাসি…..
এটা বলার পর আকাশ আবারো আঘাত করলো আমানকে।
আমার শরীর অবশ হয়ে যাচ্ছে । পা চলছে না। এতো গুলো জ্বিন সব সেন্স লেস হয়ে পরে আছে। আমান মাটিতে লুটিয়ে পড়ে৷
পাটা থেমে গেছে আমার৷ আমানের বলা কথা বজছে কানে,
-মেঘ ভালেবাসি..
এতোটা কষ্ট হচ্ছে কান্না করাটা ভুলে গেছি৷
হটাৎ আকাশ এসে আমার হাত ধরে টানতে টানতে বাইরের দিকে নিতে লাগলো। আমার ভেতরে কোন ফিল কাজ করছে না৷ আমি আমানের দিতেই দৃষ্টি লাগিয়ে রাখছি।
আমান একটু ওঠার চেষ্টা করে বললেন আবছা ভাবে,
-খু..ব ভা…..লেবাসি প্রি……য়। য…যেও.. না। (হাতটা বাড়িয়ে দিয়ে)
এদিকে আকশ আমাকে টানতে টানতে দরজার কাছে নিয়ে এলো,
মনের মাঝে হটাৎ একটা কথা বাড়ি দিয়ে উঠলো।
আমি কি ওকে আর দেখতে পাবো,
চলবে,
(আচ্ছা এবার কি হবে। 🙄)
🌼